সুন্নাহ হাদিস – কুপ্রবৃত্তি ও কুরআন নিয়ে বিতর্ক করা নিষেধ

সুন্নাহ হাদিস – কুপ্রবৃত্তি ও কুরআন নিয়ে বিতর্ক করা নিষেধ

সুন্নাহ হাদিস – কুপ্রবৃত্তি ও কুরআন নিয়ে বিতর্ক করা নিষেধ , এই অধ্যায়ে হাদীস ১৭৭ টি (৪৫৯৬ – ৪৭৭২) >>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

অধ্যায়ঃ ৪২, অনুচ্ছেদঃ ১-৭=২০টি

অনুচ্ছেদ-১ঃ সুন্নাতের ব্যাখ্যা সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-২ঃ কুরআন নিয়ে ঝগড়া পরিহার এবং অস্পষ্ট আয়াতের অনুসরণ নিষিদ্ধ
অনুচ্ছেদ-৩ঃ কুপ্রবৃত্তির অনুসারীদের থেকে দূরে থাকা ও তাহাদেরকে ঘৃণা করা
অনুচ্ছেদ-৪ঃ কুপ্রবৃত্তির অনুসারীদেরকে সালাম দেয়া
অনুচ্ছেদ-৫ঃ কুরআন নিয়ে বিতর্ক করা নিষেধ
অনুচ্ছেদ-৬ঃ সুন্নাতের অনুসরণ আবশ্যক
অনুচ্ছেদ-৭ঃ সুন্নাত অনুসরণের আহবান

অনুচ্ছেদ-১ঃ সুন্নাতের ব্যাখ্যা সম্পর্কে

৪৫৯৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ ইয়াহুদীরা একাত্তর অথবা বাহাত্তর দল-উপদলে বিভক্ত হয়েছে এবং খৃস্টানরাও একাত্তর অথবা বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছে, আর আমার উম্মাত হইবে তিয়াত্তর দলে বিভক্ত।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

৪৫৯৭. মুআবিয়াহ ইবনি আবু সুফিয়ান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি দাঁড়িয়ে বলিলেন, জেনে রাখো! রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের মাঝে দাঁড়িয়ে বলিলেন, জেনে রাখো! তোমাদের পূর্ববর্তী আহলে কিতাব বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছে এবং এ উম্মাত অদূর ভবিষ্যতে তিয়াত্তর দলে বিভক্ত হইবে। এর মধ্যে বাহাত্তর দল জাহান্নামে যাবে এবং একটি জান্নাতে যাবে। আর সে দল হচ্ছে আল-জামাআত। ইবনি ইয়াহ্‌ইয়া ও আমর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেনঃ “বিষয়টি হল, আমার উম্মাতের মধ্যে এমন এমন দলের আবির্ভাব ঘটবে যাদের সর্বশরীরে [বিদআতের] প্রবৃত্তি এমনভাবে অনুপ্রবেশ করিবে যেমন পাগলা কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগীর সর্বশরীরে সঞ্চারিত হয়।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

অনুচ্ছেদ-২ঃ কুরআন নিয়ে ঝগড়া পরিহার এবং অস্পষ্ট আয়াতের অনুসরণ নিষিদ্ধ

৪৫৯৮,আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এ আয়াত পড়লেনঃ “তিনিই আপনার উপর কিতাব নাযিল করেছেন, যার কিছু সংখ্যক আয়াত মুহকাম… হইতে কিন্তু “জ্ঞানী ছাড়া কেউ উপদেশ গ্রহন করে না” [৩-৭ পর্যন্ত]। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ “যখন তোমরা দেখবে সেসব লোককে যারা মুতাশাবিহ আয়াতের অনুসরণ করছে, তখন মনে করিবে, এরাই সেসব লোক আল্লাহ যাদের নাম নিয়েছেন। সুতরাং, তোমরা তাহাদের থেকে সতর্ক থাকিবে।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৩ঃ কুপ্রবৃত্তির অনুসারীদের থেকে দূরে থাকা ও তাহাদেরকে ঘৃণা করা

৪৫৯৯. আবু যার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাউকে ভালোবাসা এবং আল্লাহর জন্যই বিদ্বেষ পোষণ করা অতি উত্তম কাজ। {৪৫৯৮}

দুর্বলঃ যঈফাহ হা/১৩১০। {৪৫৯৮} আহমাদ। হাদিসের সনদে নাম উল্লেখহীন অজ্ঞাত ব্যক্তি রয়েছে। সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৪৬০০. ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমাকে আব্দুর রহমান ইবনি আব্দুল্লাহ ইবনি কাব ইবনি মালিক জানিয়েছে যে, কাব ইবনি মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর পুত্র আব্দুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] যিনি তার পিতার অন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পুত্রদের মধ্যে হইতে তার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন, তিনি বলেন, আমি আমার পিতা কাব ইবনি মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে শুনিয়াছি এবং বর্ণনাকারী ইবনিস সার্‌হ তার তাবূকের যুদ্ধে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে অংশগ্রহণ না করে পিছনে থেকে যাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। কাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের ঐ তিনজনদের সঙ্গে কথা বলিতে মুসলিমদেরকে বারণ করিলেন। এ অবস্থায় অনেক দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমি আমার চাচাতো ভাই আবু ক্বাতাদাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর বাগানের দেয়ালে উঠে তাহাকে সালাম দিলাম। কিন্তু আল্লাহর কসম! তিনি আমার সালামের জবাব দেননি। অতঃপর বর্ণনাকারী তার তাওবাহ কবুল হওয়া সম্পর্কে আয়াত নাযিল হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেন।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৪ঃ কুপ্রবৃত্তির অনুসারীদেরকে সালাম দেয়া

৪৬০১. আম্মার ইবনি ইয়াসির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা আমার দুই হাত ফেটে গেলে আমি আমার পরিবার–পরিজনের নিকটে আসি। তারা আমাকে [হাতকে] জাফরান দ্বারা রাঙিয়ে দিলো। পরবর্তী দিন আমি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট গিয়ে তাঁকে সালাম করলাম। কিন্তু তিনি আমার সালামের জবাব না দিয়ে বলিলেনঃ তুমি ফিরে গিয়ে তোমার হাতের রং ধুয়ে ফেলো।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৪৬০২. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

সাফিয়্যাহ বিনতু হুয়াই [রাদি.]-এর উট রোগাক্রান্ত হলো এবং যাইনাব [রাদি.] -এর নিকট তার অতিরিক্ত বাহন ছিল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যাইনাব [রাদি.] –কে তার বাহনটি সাফিয়্যাহ [রাদি.] -কে দিতে বলিলেন, যাইনাব [রাদি.] বলিলেন, আমি কি ঐ ইয়াহুদীনীকে দিবো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাতে নারাজ হলেন এবং যিলহাজ্জ, মুহাররম ও সফর মাসের কিছু দিন তার সংশ্রব পরিহার করিলেন। {৪৬০১}

দুর্বলঃ গায়াতুল মারাম হা/৪১০। {৪৬০১} মিশকাত হা/১৪০৩। সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ-৫ঃ কুরআন নিয়ে বিতর্ক করা নিষেধ

৪৬০৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ কুরআন সম্বন্ধে সন্দেহ পোষণ কুফরী।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

অনুচ্ছেদ-৬ঃ সুন্নাতের অনুসরণ আবশ্যক

৪৬০৪. আল-মিক্বদাম ইবনি মাদীকারিব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ জেনে রাখো! আমাকে কিতাব এবং তার সঙ্গে অনুরূপ কিছু দেয়া হয়েছে। জেনে রাখো! এমন এক সময় আসবে যখন কোন প্রাচুর্যবান লোক তার আসনে বসে বলবে, তোমরা শুধু এ কুরআনকেই গ্রহণ করো, তাতে যা হালাল পাবে তা হালাল এবং যা হারাম পাবে তা হারাম মেনে নিবে। নাবী [সাঃআঃ] বলেন, জেনে রাখো! গৃহপালিত গাধা তোমাদের জন্য হালাল নয় এবং ছেদন দাঁতবিশিষ্ট হিংস্র পশুও নয়। অনুরূপ সন্ধিবদ্ধ অমুসলিম গোত্রের হারানো বস্তু তোমাদের জন্য হালাল নয়, অবশ্য যদি সে এর মুখাপেক্ষী না হয়। আর যখন কোন লোক কোন সম্প্রদায়ের নিকট আগন্তুক হিসাবে পৌঁছে তখন তাহাদের উচিত তার মেহমানদারী করা। যদি তারা তা না করে, তাহলে তাহাদেরকে কষ্ট দিয়ে হলেও তার মেহমানদারীর পরিমাণ জিনিস আদায় করার অধিকার তার আছে।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৬০৫. উবাইদুল্লাহ ইবনি আবু রাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ অচিরেই তোমাদের মধ্যকার কোন ব্যক্তি তার গদি আঁটা আসনে হেলান দিয়ে বসে থাকাবস্থায় তার নিকট আমার নির্দেশিত কোন কর্তব্য বা নিষেধাজ্ঞা পৌঁছাবে, তখন সে বলবে, আমি অবহিত নই। আমরা যা আল্লাহ্‌র কিতাবে পাবো শুধু তারই অনুসরণ করবো।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৬০৬. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের এই দ্বীনের মধ্যে এমন কিছু প্রবর্তন করিবে যা তাতে নেই, তা প্রত্যাখ্যাত। ইবনি ঈসা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ কোন ব্যক্তি আমাদের আচার–অনুষ্ঠানের বিপরীত কিছু প্রবর্তন করলে তা বর্জনীয়।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৬০৭. আবদুর রহমান ইবনি আমর আস-সুলামী ও হুজর ইবনি হুজর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একদা আমরা আল-ইরবাদ ইবনি সারিয়াহ [রাদি.]-এর নিকট আসলাম। যাদের সম্পর্কে এ আয়াত নাযিল হয়েছে তিনি তাহাদের অন্তর্ভুক্ত ঃ “তাহাদেরও কোন অপরাধ নেই যারা তোমার নিকট বাহনের জন্য এলে তুমি বলেছিলে ঃ আমি তোমাদের জন্য কোন বাহনের ব্যবস্থা করিতে পারছি না” [সূরাহ আত-তাওবাহ ঃ ৯২]। আমরা সালাম দিয়ে বলিলাম, আমরা আপনাকে দেখিতে, আপনার অসুস্থতার খবর নিতে এবং আপনার কাছ থেকে কিছু অর্জন করিতে এসেছি। আল-ইরবাদ [রাদি.] বলিলেন, একদিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে সঙ্গে নিয়ে সলাত আদায় করিলেন, অতঃপর আমাদের দিকে ফিরে আমাদের উদ্দেশ্যে জ্বালাময়ী ভাষণ দিলেন, তাতে চোখগুলো অশ্রুসিক্ত হলো এবং অন্তরগুলো বিগলিত হলো। তখন এক ব্যক্তি বলিলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! এ যেন কারো বিদায়ী ভাষণ! অতএব আপনি আমাদেরকে কি নির্দেশ দেন? তিনি বলেনঃ আমি তোমাদেরকে আল্লাহ্ভীতির, শ্রবণ ও আনুগত্যের উপদেশ দিচ্ছি, যদিও সে [আমীর] একজন হাবশী গোলাম হয়। কারণ তোমাদের মধ্যে যারা আমার পরে জীবিত থাকিবে তারা অচিরেই প্রচুর মতবিরোধ দেখবে। তখন তোমরা অবশ্যই আমার সুন্নাত এবং আমার হিদায়াতপ্রাপ্ত খলীফাহ্গণের সুন্নাত অনুসরণ করিবে, তা দাঁত দিয়ে কামড়ে আঁকড়ে থাকিবে। সাবধান! [ধর্মে] প্রতিটি নবাবিষ্কার সম্পর্কে! কারণ প্রতিটি নবাবিষ্কার হলো বিদআত এবং প্রতিটি বিদআত হলো ভ্রষ্টতা।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৬০৮. আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ সাবধান! চরমপন্থীরা ধ্বংস হয়েছে, তিনি এ কথা তিনবার বলিলেন।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৭ঃ সুন্নাত অনুসরণের আহবান

৪৬০৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি সৎপথের দিকে ডাকবে সে তার অনুসারীর সমান সওয়াব পাবে, অথচ অনুসরণকারীর সওয়াব কমানো হইবে না। অপরদিকে যে ব্যক্তি ভ্রষ্টতার দিকে ডাকবে সে তার অনুসারীর সমান পাপে জর্জরিত হইবে, তার অনুসারীর পাপ মোটেও কমানো হইবে না।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৬১০. আমির ইবনি সাদ [রাদি.] হইতে তার পিতার সুত্র হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে বস্তু হারাম না হওয়া সত্ত্বেও কোন মুসলিম ব্যক্তির প্রশ্ন করার কারণে হারাম হয়েছে, সে মুসলিমদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অপরাধী।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৬১১. ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আবু ইদরীস আল-খাওলানী আয়িযুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাকে জানিয়েছে, মুআয ইবনি জাবাল [রাদি.]-এর সহচর ইয়াযীদ ইবনি আমীরাহ তাহাকে জানিয়েছে, তিনি বলেন মুআয [রাদি.] কোন ওয়াজে বসলেই বলিতেন, আল্লাহ্‌ মহা ন্যায়বিচারক, সন্দেহকারীরা ধ্বংস হয়েছে। অতঃপর মুআয ইবনি জাবাল [রাদি.] একদিন বলেন, তোমাদের পরবর্তী যুগে ফিত্বনাহ্‌ সৃষ্টি হইবে, তখন প্রচুর সম্পদ থাকিবে। মুমিন, মুনাফিক, পুরুষ-নারী, ছোট-বুড়ো, স্বাধীন-গোলাম সকলে কুরআন খুলে পাঠ করিবে [কিন্তু অর্থ বুঝবে না]। অচিরেই কেউ বলবে, “লোকদের কি হলো, তারা কেন আমার অনুসরণ করিবে না যতক্ষণ না আমি তাহাদের জন্য এছাড়া নতুন কিছু প্রবর্তন করিতে পারি”। অতএব তোমরা তার এ বিদআত হইতে বেঁচে থাকিবে। কারণ দ্বীনের মধ্যে যা নতুন প্রবর্তন করা হয় তা গোমরাহী। আমি তোমাদেরকে জ্ঞানী ব্যক্তিদের পথভ্রষ্টতা সম্পর্কে সতর্ক করছি। কেননা শয়তান পন্ডিতদের মুখ দিয়ে গোমরাহী কথা বলায়। আবার মুনাফিকরাও মাঝে মাঝে হক কথা বলে। বর্ণনাকারী বলেন, আমি মুআয [রাদি.]-কে বলিলাম, আল্লাহ্‌ আপনার উপর সদয় হোন, জ্ঞানী ব্যক্তি যে পথভ্রষ্টতাপূর্ণ কথা বলে আর মুনাফিক সত্য কথা বলে এটা আমি কিভাবে বুঝবো? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, জ্ঞানী ব্যক্তিদের সেসব ভ্রান্তিপূর্ণ কথা বর্জন করিবে যা লোকে গ্রহণ করিতে অস্বীকার করিবে এবং বলবে, এ আবার কেমন কথা। তবে এসব কথায় তোমরা জ্ঞানীদের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করিবে না। কেননা হয়ত জ্ঞানী ব্যক্তি এসব ভ্রান্তিপূর্ণ কথা থেকে ফিরে আসবে। আর তুমি হক কথা শুনামাত্র তা গ্রহণ করো, কেননা হকের মধ্যে নূর আছে। ইবনি ইসহাক্ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে বলেন, মুআয ইবনি জাবাল [রাদি.] বলেন, হ্যাঁ, তুমি যদি জ্ঞানী ব্যক্তির বক্তব্যে সন্দেহ করো, যতক্ষণ না বলো, তিনি এর দ্বারা কি বুঝাচ্ছেন।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মাওকুফ

৪৬১২. আবুস্‌ সালত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি উমার ইবনি আবদুল আযীয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর নিকট তাক্বদীর সম্পর্কে জানতে চেয়ে চিঠি লিখলো। উত্তরে তিনি লিখেন, অতঃপর আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি, আল্লাহ্‌কে ভয় করো, ভারসাম্যপূর্ণভাবে তাহাঁর হুকুম মেনে চলো, নাবী [সাঃআঃ]-এর সুন্নাতের অনুসরণ করো, তাহাঁর আদর্শ প্রতিষ্ঠা লাভের ও সংরক্ষিত হওয়ার পর বিদআতীদের বিদআত বর্জন করো। সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরা তোমার কর্তব্য। কারণ এ সুন্নাত তোমাদের জন্য আল্লাহ্‌র অনুমতিক্রমে রক্ষাকবজ। জেনে রাখো! মানুষ এমন কোন বিদআত করেনি যার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে কোন প্রমাণ প্রতিষ্ঠিত হয়নি বা তার বিরুদ্ধে এমন কোন শিক্ষা নেই যা তার ভ্রান্তি প্রমাণ করে। কেননা সুন্নাতকে এমন এক ব্যক্তিত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন, যিনি সুন্নাতের বিপরীত সম্বন্ধে অবগত। আর ইবনি ফাসির তার বর্ণনায় “তিনি জানতেন ভুলত্রুটি, অজ্ঞতা ও গোঁড়ামি সম্পর্কে” একথাগুলো উল্লেখ করেননি। কাজেই তুমি নিজের জন্য ঐ পথ বেছে নিবে যা তোমার পূর্ববর্তী মহাপুরুষগণ তাহাদের নিজেদের জন্য অবলম্বন করেছেন। কারণ তারা যা জানতে পেরেছেন তার পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করেছেন এবং তীক্ষ্ণ দূরদর্শিতার সঙ্গে বিরত থেকেছেন এবং তারা দ্বীন সম্পর্কে পারদর্শী ছিলেন, আর যা করিতে তারা নিষেধ করেছেন, তা জেনে-শুনেই নিষেধ করেছেন। তারা দ্বীনের অর্থ উপলব্ধির ক্ষেত্রে আমাদের চেয়ে অনেক জ্ঞানী ছিলেন। আর তোমাদের মতাদর্শ যদি সঠিক পথ হয় তাহলে তোমরা তাহাদেরকে ডিঙ্গিয়ে গেলে। আর যদি তোমরা বলো যে, তারা দ্বীনের মধ্যে নতুন কথা উদ্ভাবন করেছেন তবে বলো, পূর্ববর্তী লোকেরাই উত্তম ছিলেন এবং তারা এদের তুলনায় অগ্রগামী ছিলেন। যতটুকু বর্ণনা করার তা তারা বর্ণনা করেছেন, আর যতটুকু বলার প্রয়োজন তা তারা বলিয়াছেন। এর অতিরিক্ত বা এর কমও বলার নেই। আর এক গোত্র তাহাদেরকে উপেক্ষা করে কিছু কমিয়েছে, তারা সঠিক পথ হইতে সরে গেছে, আর যারা বাড়িয়েছে তারা সীমালঙ্ঘন করেছে। আর পূর্ববর্তী মহাপুরুষগণ ছিলেন এর মাঝামাঝি সঠিক পথের অনুসারী। পত্রে তুমি তাক্বদীরে বিশ্বাস সম্পর্কে জানতে চেয়ে লিখেছো। আল্লাহ্‌র অনুগ্রহে তুমি এমন ব্যক্তির নিকট এ বিষয়ে জানতে চেয়েছো যিনি এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ। আমার জানা মতে, তাক্বদীরে বিশ্বাসের উপর বিদআতীদের নবতর মতবাদ প্রভাব বিস্তার করিতে পারেনি। এটা কোন নতুন বিষয় নয়, জাহিলিয়াতের সময়ও এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। অজ্ঞ লোকেরা তখনও তাহাদের আলোচনা ও কবিতায় এ বিষয়টি উল্লেখ করতো এবং তাহাদের ব্যর্থতার জন্য তাক্বদীরকে দায়ী করতো। ইসলাম এসে এ ধারণাকে আরো বদ্ধমূল করেছে এবং এ ব্যাপারে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অনেক হাদিস উল্লেখ করেছেন। আর মুসলিমগণ তাহাঁর নিকট  শুনেছে এবং তাহাঁর জীবদ্দশায় ও মৃত্যুর পরে পরস্পর আলোচনা করেছে। তারা অন্তরে বিশ্বাস রেখে, তাহাদের রবের অনুগত হয়ে, নিজেদেরকে অক্ষম মনে করে এ বিশ্বাস স্থাপন করেছে যে, এমন কোন বস্তু নেই যা আল্লাহ্‌র জ্ঞান, কিতাব ও তাক্বদীর বহির্ভূত। এছাড়া তা আল্লাহ্‌র আমোঘ কিতাবে লিপিবদ্ধ আছে। আর যদি তোমরা বলো, কেন আল্লাহ্‌ এ আয়াত নাযিল করেছেন এবং কেন একথা বলিয়াছেন, তবে জেনে রাখো! তারাও কিতাবের ঐসব বিষয় পড়েছেন যা তোমরা পড়ছো; উপরন্তু তারা সেসব ব্যাখ্যা অবহিত ছিলেন যা তোমরা জানো না। এতদসত্ত্বেও তারা বলিয়াছেন, সবকিছু আল্লাহ্‌র কিতাব ও তাক্বদীর অনুযায়ী সংঘটিত হয়ে থাকে। আল্লাহ্‌ যা নির্ধারণ করেছেন তা অবশ্যই ঘটবে, আল্লাহ্‌ যা চান তাই হয় এবং যা চান না তা হয় না। লাভ বা ক্ষতি কোন কিছুই আমরা নিজেদের জন্য করিতে সক্ষম নই। অতঃপর তারা ভালো কাজের প্রতি উৎসাহী ও খারাপ কাজের ব্যাপারে সাবধান হয়েছেন।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মাকতু

৪৬১৩.নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, সিরিয়াতে আব্দুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.]-এর এক বন্ধু ছিলেন। তিনি তার সঙ্গে পত্র আদান প্রদান করিতেন। একদা তিনি এই মর্মে চিঠি লিখে পাঠালেন, বিশ্বস্ত সূত্রে আমি জানতে পেরেছি যে, তুমি তাক্বদীরের কোন বিষয়ে সমালোচনা করেছো। কাজেই এখন হইতে তুমি আমাকে লিখবে না। আমি রাসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি ঃ অচিরেই আমার উম্মাতের মধ্যে এমন এক গোত্রের আবির্ভাব হইবে যারা তাক্বদীরকে অস্বীকার করিবে।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৪৬১৪. খালিদ আল-হায্‌যা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি হাসান বাসরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে বলিলাম, হে আবু সাঈদ! আদম [আঃ] সম্বন্ধে আমাকে বলুন, তাঁকে কি আকাশের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছিল, না পৃথিবীর জন্য? তিনি বলেন, বরং পৃথিবীর জন্য। আমি বলিলাম, আপনার কি মত, তিনি যদি নিষ্পাপ থাকতেন এবং নিষিদ্ধ গাছের ফল না খেতেন? আরও বলুন! যদি তিনি নিজেকে সংযত রাখতেন তাহলে কি বৃক্ষের ফল না খেয়ে পারতেন? তিনি বলিলেন, না খেয়ে তাহাঁর কোন উপায় ছিল না। আমি বলিলাম, আল্লাহ্‌র বাণী সম্পর্কে আমাকে অবহিত করুন ঃ “তোমরা কেউ কাউকে আল্লাহ্‌ সম্বন্ধে বিভ্রান্ত করিতে পারবে না, কেবল জাহান্নামে প্রবেশকারীকে ব্যতীত” [সূরাহ্‌ আস-সাফ্‌ফাত ঃ ১৬২-১৬৩]। তিনি [হাসান বাসরী] বলেন, আল্লাহ্‌ যাদের জন্য জাহান্নামে প্রবেশকে অবধারিত করে রেখেছেন, শয়তান কেবল তাহাদেরকেই জাহান্নামে নিতে পারবে।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ হাসান মাকতু

৪৬১৫. হাসান বাসরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি মহান আল্লাহ্‌র বানী “এবং তিনি তাহাদেরকে এজন্য সৃষ্টি করেছেন” [সূরাহ্‌ হূদ ঃ ১১৯]-এর ব্যাখ্যায় বলেন, তিনি [আল্লাহ্‌] এদেরকে [মুমিনদের] এর [জান্নাতের] জন্য এবং এদেরকে [মুনাফিকদের] এজন্য [জাহান্নামের জন্য] সৃষ্টি করেছেন।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মাকতু

৪৬১৬. খালিদ আল-হায্‌যা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি হাসান বাসরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে “তোমরা কেউই কাউকে আল্লাহ্‌ সম্বন্ধে বিভ্রান্ত করিতে পারবে না কেবল জাহান্নামে প্রবেশকারীকে ব্যতীত” এ আয়াতের অর্থ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, শুধু তাহাদেরকেই শয়তান পথভ্রষ্ট করিতে পারবে যাদের জাহান্নামে প্রবেশ করাকে আল্লাহ্‌ অবধারিত করেছেন।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মাকতু

৪৬১৭. হুমাইদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

হাসান বাসরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলিতেন, তার আকাশ [জান্নাত] হইতে যমীনে পতিত হওয়া এ কথা বলা তার নিকট এটা কথা বলার চেয়ে উত্তম যে, বিষয়টি আমারই কর্তৃত্বে।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মাকতু

৪৬১৮. হুমাইদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

হাসান বাসরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বসরাহ থেকে মাক্কায় আমাদের নিকট আগমন করলে মাক্কাহর ফকীহগণ আমাকে তার সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দিলেন যে, তিনি তাহাদের উদ্দেশ্যে এক সমাবেশে যেন ভাষণ দেন। তিনি তাতে সম্মত হলে তারা একত্র হলেন এবং তিনি তাহাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। আমি তার চেয়ে উত্তম বক্তা আর দেখিনি। এক ব্যক্তি বললো, হে আবু সাঈদ! শয়তানকে কে সৃষ্টি করেছেন? তিনি বলিলেন, সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ ছাড়া কি অন্য কোন সৃষ্টিকর্তা আছে? মহান আল্লাহ শয়তান, ভাল-মন্দ সবই সৃষ্টি করেছেন। লোকটি বললো, আল্লাহ তাহাদেরকে ধ্বংস করুন! কি করে তারা এ শাইখের উপর মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৬১৯. হাসান বাসরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আল্লাহর বাণী, “এভাবে আমি পাপীদের অন্তরে তা সঞ্চার করি” [সূরাহ আল-হিজরঃ ১২]। এর অর্থ হচ্ছে, শিরক।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৬২০. হাসান বাসরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

মহান আল্লাহর এ বাণী “তাহাদের ও এদের বাসনার মধ্যে প্রতিবন্ধক সৃষ্টি করা হয়েছে” [সূরাহ সাবাঃ ৫৪]- সম্পর্কে বলেন, তাহাদের ও ঈমানের মধ্যে।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মাকতু

৪৬২১. ইবনি আওন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি সিরিয়ায় সফর করছিলাম। তখন এক ব্যক্তি আমার পিছন হইতে আমাকে ডাকলো। আমি তাকিয়ে দেখি, তিনি রাজা ইবনি হাইওয়াহ। তিনি আমাকে বলিলেন, হে আবু আওন! তারা হাসান বাসরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সম্পর্কে এসব কি বলছে! ইবনি আওন বলেন। আমি বলিলাম, তারা হাসান বাসরীর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] উপর অনেক মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মাকতু

৪৬২২. হাম্মাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আমি আইয়ূবকে বলিতে শুনিয়াছি, দুধরণের লোক হাসান বাসরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর উপর মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। এক. তাক্বদীর অস্বীকারকারীরা, তাহাদের এরূপ মিথ্যা বলার কারণ হলো তাহাদের ধারণা, এরূপ প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সন্দেহের মধ্যে ফেলা যাবে। দুই. যারা তার ব্যাপারে অন্তরে শত্রুতা ও হিংসা রাখে। তারা বলে থাকে, তিনি কি এই এই বলেননি?

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৬২৩. ইয়াহ্ইয়া ইবনি কাসীর আল-আসবারী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

কুররাহ ইবনি খালিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আমাদেরকে বলিতেন, হে যুবক সমাজ! তোমরা হাসান বাসরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সম্পর্কে এরূপ ধারণা করো না যে, তিনি তাক্বদীর বিরোধী ছিলেন। কারণ, তার অভিমত ছিল সুন্নাত মোতাবেক ও সঠিক।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৬২৪. ইবনি আওন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, যদি আমরা জানতাম, হাসান বাসরীর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] উক্তি এতোটা প্রসিদ্ধি লাভ করিবে তাহলে অবশ্যই আমরা তার নিকট গিয়ে একটি কিতাব লিখতাম এবং লোকদেরকে সাক্ষী বানাতাম। কিন্তু আমরা একটি কথা বলেছি, এখন কে তা প্রসিদ্ধ করিবে।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৬২৫. আইয়ূব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, হাসান বাসরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আমাকে বলিয়াছেন, আমি আর কখনো এ ধরণের কথা বলবো না।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪৬২৬. উসমান আল্‌-বাত্তী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, হাসান বাসরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] যখন কোন আয়াতের ব্যাখ্যা করিতেন, তখন তাকদীরকে প্রমাণ করিতেন।

সুন্নাহ হাদিস – এই হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

Comments

One response to “সুন্নাহ হাদিস – কুপ্রবৃত্তি ও কুরআন নিয়ে বিতর্ক করা নিষেধ”

Leave a Reply