সুদ গ্রহীতা, তার সাক্ষ্যদাতা ও তার লেখক এবং সুদখোরের শাস্তি
সুদ গ্রহীতা, তার সাক্ষ্যদাতা ও তার লেখক এবং সুদখোরের শাস্তি >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৩৪, ক্রয় ও বিক্রয়, অধ্যায়ঃ (২৩-২৬)=৪টি
৩৪/২৩. অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ “হে মুমিনগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ গ্রহণ করো না এ ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর তবে সফলতা অর্জন করিতে পারবে।“ (আল ইমরানঃ ১৩০)
৩৪/২৪. অধ্যায়ঃ সুদ গ্রহীতা, তার সাক্ষ্যদাতা ও তার লেখক।
৩৪/২৫. অধ্যায়ঃ সুদখোরের গুনাহ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলার বাণীঃ
৩৪/২৬. অধ্যায়ঃ (আল্লাহ তাআলার বাণী): আল্লাহ সুদকে ধ্বংস করেন এবং যাকাতে ক্রমবৃদ্ধি প্রদান করেন। আল্লাহ কোন অকৃতজ্ঞ অপরাধীকে পছন্দ করেন না। (আল-বাকারাঃ ২৭৬)
৩৪/২৩. অধ্যায়ঃ আল্লাহ তাআলার বাণীঃ “হে মুমিনগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধিহারে সুদ গ্রহণ করো না এ ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর তবে সফলতা অর্জন করিতে পারবে।“ (আল ইমরানঃ ১৩০)
২০৮৩. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, মানুষের উপর এমন এক যুগ অবশ্যই আসবে যখন মানুষ পরোয়া করিবে না যে কিভাবে সে মাল অর্জন করিল হালাল উপায়ে না হারাম উপায়ে।
৩৪/২৪. অধ্যায়ঃ সুদ গ্রহীতা, তার সাক্ষ্যদাতা ও তার লেখক।
এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলার বাণীঃ যারা সুদ খায় তারা সেই ব্যক্তিরই ন্যায় দাঁড়াবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এ জন্য যে, তারা বলে, বেচাকেনা তো সুদের মতো … তারা অগ্নির অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হইবে। (আল-বাকারাঃ ২৭৫)
২০৮৪. আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন সুরা আল-বাকারার শেষ আয়াতগুলো নাযিল হল, তখন নাবী (সাঃআঃ) তা মসজিদে পড়ে শোনালেন। তারপর মদের ব্যবসা হারাম বলে ঘোষণা করেন।
২০৮৫. সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, আজ রাত্রে আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, দুব্যক্তি আমার নিকট আগমন করে আমাকে এক পবিত্র ভূমিতে নিয়ে গেল। আমরা চলতে চলতে এক রক্তের নদীর কাছে পৌঁছলাম। নদীর মধ্যস্থলে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছে এবং আরেক ব্যক্তি নদীর তীরে, তার সামনে পাথর পড়ে রয়েছে। নদীর মাঝখানে লোকটি যখন বের হয়ে আসতে চায় তখন তীরের লোকটি তার মুখে পাথর খণ্ড নিক্ষেপ করে তাকে স্বস্থানে ফিরিয়ে দিচ্ছে। এভাবে যতবার সে বেরিয়ে আসতে চায় ততবারই তার মুখে পাথর নিক্ষেপ করছে আর সে স্বস্থানে ফিরে যাচ্ছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ কে? সে বলিল, যাকে আপনি (রক্তের) নদীতে দেখেছেন, সে হল সুদখোর।
৩৪/২৫. অধ্যায়ঃ সুদখোরের গুনাহ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলার বাণীঃ
“হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যা বকেয়া আছে, তা ছেড়ে দাও। অতঃপর যদি তোমরা না কর তবে যুদ্ধের ঘোষণা শুনে নাও আল্লাহ এবং তাহাঁর রসূলের পক্ষ থেকে; আর যদি তোমরা তাওবাহ কর, তবে তোমরা প্রাপ্ত হইবে তোমাদের মূলধন; আর তোমরা কারো প্রতি যুলুম করিতে পারবে না, আর কেউ তোমাদের প্রতি যুলুম করিতে পারবে না।“
(আল-বাকারা (২): ২৭৮-২৮১)
ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলেন, এটিই শেষ আয়াত, যা নাবী (সাঃআঃ)-এর উপর নাযিল হয়েছে।
২০৮৬. আওন ইবনু আবু জুহাইফা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার পিতাকে দেখেছি, তিনি এক গোলাম খরিদ করেন যে শিঙ্গা লাগানোর কাজ করত। তিনি তাহাঁর শিঙ্গার যন্ত্রপাতি সম্পর্কে নির্দেশ দিলেন এবং তা ভেঙ্গে ফেলা হল। আমি এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলিলেন, নাবী (সাঃআঃ) কুকুরের মূল্য এবং রক্তের মূল্য গ্রহণ করিতে নিষেধ করিয়াছেন [৪], আর দেহে দাগ দেয়া ও নেয়া হইতে নিষেধ করিয়াছেন। সুদ খাওয়া ও খাওয়ানো নিষেধ করিয়াছেন আর ছবি অঙ্কনকারীর উপর লানত করিয়াছেন।
[৪] রক্ত মোক্ষণ করে পারিশ্রমিক গ্রহণ করার অবৈধতা পরবর্তীতে উল্লেখিত হাদীস দ্বারা বাতিল হয়ে গেছে। চিত্র অঙ্কনকারী বলিতে জীবসম্পন্ন প্রাণীর চিত্র অঙ্কনকারী বুঝানো হয়েছে যা অন্য হাদীস দ্বারা আমরা জানতে পারি। কোন প্রাণীর চিত্র অঙ্কন করা হারাম।
সুদখোরের শাস্তি- (হাদীস নং ২১০৫)
৩৪/২৬. অধ্যায়ঃ (আল্লাহ তাআলার বাণী): আল্লাহ সুদকে ধ্বংস করেন এবং যাকাতে ক্রমবৃদ্ধি প্রদান করেন। আল্লাহ কোন অকৃতজ্ঞ অপরাধীকে পছন্দ করেন না। (আল-বাকারাঃ ২৭৬)
২০৮৭. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, মিথ্যা কসম পণ্য চালু করে দেয় বটে, কিন্তু বরকত নিশ্চিহ্ন করে দেয়।
Leave a Reply