সিদরাতুল মুনতাহার আলোচনা। অধ্যায়ঃ ৭৬

সিদরাতুল মুনতাহার আলোচনা। অধ্যায়ঃ ৭৬

সিদরাতুল মুনতাহার আলোচনা। অধ্যায়ঃ ৭৬ >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

৭৬. অধ্যায়ঃ সিদরাতুল মুনতাহার আলোচনা।

৩২০. আবদুল্লাহ [রাযিঃ] হইতে বর্ণিতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] –কে মিরাজ রজনীতে সিদ্‌রাতুল মুন্‌তাহা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হলো। এটি ষষ্ঠ আসমানে অবস্থিত। {৭৬} জমিন থেকে যা কিছু উত্থিত হয় তা সে পর্যন্ত এসে পৌছে এবং সেখানে থেকে তা গ্রহণ করা হয়। তদ্রূপ ঊর্ধ্বলোক থেকে যা কিছু অবতরণ হয় তাও এ পর্যন্ত এসে পৌছে এবং সেখান থেকে তা গ্রহণ করা হয়। এরপর আবদুল্লাহ [রাঃআ:] তিলাওয়াত করলেনঃ

 إِذْ يَغْشَى السِّدْرَةَ مَا يَغْشَى

“ যখন প্রান্তবর্তী বাদরী বৃক্ষটি যা দ্বারা আচ্ছাদিত হবার, তা দ্বারা আচ্ছাদিত হলো” – [সূরাহ আন্‌ নাজম ৫৩ : ১৬] এবং বলেন, এখানে যা দ্বারা কথাটির অর্থ সোনার পতঙ্গসমূহ। তিনি বলেন, তারপর রসুলুল্লাহ [সাঃআ:]-কে তিনটি বিষয় দান করা হলো, পাঁচ ওয়াক্ত সলাত। সূরাহ আল-বাকারায় শেষ দু আয়াত এবং শির্‌ক মুক্ত উম্মাতের মারাত্মক গুনাহ তাওবার মাধ্যমে ক্ষমার সুসংবাদ”। {৭৭}

[ই.ফা. ৩২৮; ই.সে. ৩৩৯]

{৭৬} ইমাম নাবাবী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন যে, প্রত্যেক কিতাবে উল্লেখ আছে যে, সিদরাতুল মুনতাহা ষষ্ঠ আসমানে। শুধু আনাস [রাযিঃ] –এর বর্ণিত হাদীস সমূহে আছে যে, সিদরাতুল মুনতাহা সপ্তম আসমানের উপরে। কাযী ইয়ায বলেনঃ সঠিক এবং অধিকাংশের মত এটাই। এ দু প্রকার হাদীসের মধ্যে সামঞ্জস্য এভাবে করা যায় যে, সিদরাতুল মুনতাহার জড় বা গোড়া ষষ্ঠ আসমানে এবং এ গাছের ডালপাতা সপ্তম আসমানের উপর পর্যন্ত গেছে। কারণ খুব বড় গাছ। খলীল বলেনঃ সিদরাতুল মুনতাহা একটি গাছ যা সপ্তম আসমানে আছে। যা আসমান সমূহ এবং জান্নাত সমূহকে ছায়া করে আছে।

{৭৭} মারাত্মক গুনাহ ক্ষমার অর্থ এ উম্মাহর যে ব্যক্তি শিরক মুক্ত অবস্থায় মারা যাবে, সে চিরস্তায়ী জাহান্নামে থাকিবে না। বরং আল্লাহ্‌ তাকে যখনই হোক ক্ষমা করে দিবেন। হে আল্লাহ্‌! তোমার খাস রহমতে শিরক হতে আমাদের বাচিয়ে রেখ এবং তাওহিদের উপর যেন আমাদের সমাপ্তি হয় এ প্রার্থনা করি। [সক্ষিপ্ত নাবাবী]

৩২১. শাইবানী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

আমি যির ইবনি হুবায়শকে “তাহাদের মধ্যে দু ধনুকের ব্যবধান ছিল কিংবা তাহাঁর ও কম”-[সূরাহ আন্‌ নাজ্‌ম ৫৩ : ৯]। এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলিলেন, ইবনি মাসুদ [রাঃআ:] আমাকে বলেছেন, নবি [সাঃআ:] জিবরীল [আ:]-কে দেখেছিলেন, তাহাঁর ছয়শ ডানা আছে

[ই.ফা. ৩২৯; ই.সে. ৩৪০]

৩২২. আবদুল্লাহ [রাযিঃ] হইতে বর্ণিতঃ

مَا كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى

“তিনি যা দেখেছেন তাহাঁর অন্তকরণ তা অস্বীকার করেনি”-[সূরাহ আন্‌ নাজ্‌ম ৫৩ : ১১]। আয়াতটি তিলাওয়াত করিলেন এবং এর ব্যাখা প্রসঙ্গে বলিলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] জিবরীল [আ:]-কে দেখেছিলেন তাহাঁর ছয়শ ডানা আছে।

[ই.ফা. ৩৩০; ই.সে. ৩৪১]

৩২৩. আবদুল্লাহ হইতে বর্ণিতঃ

 لَقَدْ رَأَى مِنْ آيَاتِ رَبِّهِ الْكُبْرَى

“তিনি তো তাহাঁর প্রতিপালকের মহান নিদর্শনাবলী দেখেছিলেন”-[সূরাহ আন্‌ নাজ্‌ম ৫৩ : ১৮]। এ আয়াত তিলাওয়াত করিলেন এবং এর ব্যাখা প্রসঙ্গে বলিলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআ:] জিবরীল [আ:]-কে তাহাঁর আকৃতিতে দেখেছিলেন, তাহাঁর ছয়শ ডানা আছে।

[ই.ফা. ৩৩১; ই.সে. ৩৪২]


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply