সাহরী ও ফাজরের সলাতের মধ্যে সময়ের পরিমাণ কত

সাহরী ও ফাজরের সলাতের মধ্যে সময়ের পরিমাণ কত

সাহরী ও ফাজরের সলাতের মধ্যে সময়ের পরিমাণ কত >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ৩০, সাওম, অধ্যায়ঃ (১৬-২০)=৫টি

৩০/১৬. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ “আর তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ না কালো রেখা ভোরের সাদা রেখা পরিষ্কার দেখা যায় । তারপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত”- (আল-বাকারাহ: ১৮৭) । এ বিষয়ে নাবী (সাঃআঃ) হইতে বারা (রাদি.) হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন ।
৩০/১৭. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃআঃ)- এর বাণীঃ বিলালের আযান তোমাদের সাহরী হইতে যেন বিরত না রাখে ।
৩০/১৮. অধ্যায়ঃ (সময়ের) শেষভাগে সাহরী খাওয়া ।
৩০/১৯. অধ্যায়ঃ সাহরী ও ফাজরের সলাতের মধ্যে সময়ের পরিমাণ কত?
৩০/২০. অধ্যায়ঃ সাহরীতে বারকাত রয়েছে তবে তা ওয়াজিব নয় ।

৩০/১৬. অধ্যায়ঃ মহান আল্লাহর বাণীঃ “আর তোমরা পানাহার কর যতক্ষণ না কালো রেখা ভোরের সাদা রেখা পরিষ্কার দেখা যায় । তারপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত”- (আল-বাকারাহ: ১৮৭) । এ বিষয়ে নাবী (সাঃআঃ) হইতে বারা (রাদি.) হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন ।

১৯১৬

আদী ইবনু হাতিম (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন এই আয়াত নাযিল হলোঃ “তোমারা পানাহার কর (রাত্রির) কাল রেখা হইতে (ভোরের) সাদা রেখা যতক্ষণ স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়” তখন আমি একটি কাল এবং একটি সাদা রশি নিলাম এবং উভয়টিকে আমার বালিশের নিচে রেখে দিলাম। রাতে আমি এগুলোর দিকে বারবার তাকাতে থাকি। কিন্তু আমার নিকট পার্থক্য প্রকাশিত হলো না। তাই সকালেই আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর নিকট গিয়ে এ বিষয় বললাম। তিনি বললেনঃ এতো রাতের আঁধার এবং দিনের আলো।

১৯১৭

সাহল ইবনু সাদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, যখন এই আয়াত নাযিল হলঃ “তোমরা পানাহার কর, যতক্ষণ কাল রেখা হইতে সাদা রেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হয়।” কিন্তু তখনো —– কথাটি নাযিল হয়নি। তখন সাওম পালন করিতে ইচ্ছুক লোকেরা নিজেদের দুই পায়ে একটি কাল এবং একটি সাদা সুতলি বেঁধে নিতেন এবং সাদা কাল এই দুটির মধ্যে পার্থক্য না দেখা পর্যন্ত তাঁরা পানাহার করিতে থাকতেন। এরপর আল্লাহ তাআলা —— শব্দটি নাযিল করলে সকলেই বুঝতে পারলেন যে, এ দ্বারা উদ্দেশ্য হল রাত (-এর আঁধার) এবং দিন (-এর আলো)।

৩০/১৭. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃআঃ)- এর বাণীঃ বিলালের আযান তোমাদের সাহরী হইতে যেন বিরত না রাখে ।

১৯১৮

আয়িশাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, বিলাল (রাদি.) রাতে আযান দিতেন। তাই আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) ইরশাদ করেনঃ ইবনু উম্মু মাকতূম (রাদি.) আযান না দেয়া পর্যন্ত তোমরা পানাহার কর। কেননা ফাজর না হওয়া পর্যন্ত সে আযান দেয় না।

১৯১৯

কাসিম (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

এদের উভয়ের আযানের মাঝে শুধু এতটুকু ব্যবধান ছিল যে, একজন নামতেন এবং অন্যজন উঠতেন।

৩০/১৮. অধ্যায়ঃ (সময়ের) শেষভাগে সাহরী খাওয়া ।

১৯২০

সাহল ইবনু সাদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আমার পরিবার-পরিজনের মাঝে সাহরী খেতাম। এরপর আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর সাথে সালাতে অংশ গ্রহণ করার জন্য জলদি করতাম।

৩০/১৯. অধ্যায়ঃ সাহরী ও ফাজরের সলাতের মধ্যে সময়ের পরিমাণ কত?

১৯২১

যায়দ ইবনু সাবিত (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) এর সঙ্গে সাহরী খাই এরপর তিনি সলাতের জন্য দাঁড়ান। বর্ণনাকারী বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, আযান ও সাহরীর মাঝে কতটুকু ব্যবধান ছিল? তিনি বলিলেন, পঞ্চাশ আয়াত (পাঠ করা) পরিমাণ।

৩০/২০. অধ্যায়ঃ সাহরীতে বারকাত রয়েছে তবে তা ওয়াজিব নয় ।

কেননা নাবী (সাঃআঃ) ও তাহাঁর সাহাবীগণ ক্রমাগতভাবে সাওম পালন করিয়াছেন কিন্তু সেখানে সাহরীর কোন উল্লেখ নেই ।

১৯২২

আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

নাবী (সাঃআঃ) একটানা সাওম পালন করিতে থাকলে লোকেরাও একটানা সাওম পালন করিতে শুরু করে। এ কাজ তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। নাবী (সাঃআঃ) তাদের নিষেধ করিলেন। তারা বলিল, আপনি যে একনাগাড়ে সাওম পালন করছেন? তিনি বললেনঃ আমি তো তোমাদের মত নই। আমাকে খাওয়ানো হয় ও পান করানো হয়।

১৯২৩

আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ তোমরা সাহরী খাও। কেননা সাহরীতে বরকত রহিয়াছে।


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply