সালাম দেওয়ার গুরুত্ব ও প্রচার করার নির্দেশ- রিয়াদুস সালেহীন
সালাম দেওয়ার গুরুত্ব ও প্রচার করার নির্দেশ- রিয়াদুস সালেহীন >> রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে রিয়াদুস সালেহীন হাদিস শরীফ এর পরিচ্ছেদের হাদিস পড়ুন
পরিচ্ছেদ – ১৩১: সালাম দেওয়ার গুরুত্ব ও তা ব্যাপকভাবে প্রচার করার নির্দেশ
পরিচ্ছেদ – ১৩১: সালাম দেওয়ার গুরুত্ব ও তা ব্যাপকভাবে প্রচার করার নির্দেশ
পরিচ্ছেদ – ১৩২: সালাম দেওয়ার পদ্ধতি
পরিচ্ছেদ – ১৩৩: সালামের বিভিন্ন আদব-কায়দা
পরিচ্ছেদ – ১৩৪: দ্বিতীয়বার সত্বর সাক্ষাৎ হলেও পুনরায় সালাম দেওয়া মুস্তাহাব, যেমন কোথাও প্রবেশ করার পর বের হয়ে গিয়ে পুনরায় তৎক্ষণাৎ সেখানে প্রবেশ করলে কিংবা দু’জনের মাঝে কোন গাছ তথা অনুরূপ কোন জিনিসের আড়াল হলে, তারপর আবার দেখা হলে পুনরায় সালাম দেওয়া মুস্তাহাব
পরিচ্ছেদ – ১৩৫: নিজ গৃহে প্রবেশ করার সময় সালাম দেওয়া উত্তম
পরিচ্ছেদ – ১৩৬: শিশুদেরকে সালাম করা প্রসঙ্গে
পরিচ্ছেদ – ১৩৭: নারী-পুরুষের পারস্পরিক সালাম
পরিচ্ছেদ – ১৩৮: অমুসলিমকে আগে সালাম দেওয়া হারাম এবং তাদের সালামের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি। কোন সভায় যদি মুসলিম-অমুসলিম সমবেত থাকে, তাহলে তাদের (মুসলিমদের)কে সালাম দেওয়া মুস্তাহাব
পরিচ্ছেদ – ১৩৯: সভা থেকে উঠে যাবার সময়ও সাথীদেরকে ত্যাগ করে যাবার পূর্বে সালাম দেওয়া উত্তম
পরিচ্ছেদ – ১৪০: বাড়িতে প্রবেশ করার অনুমতি গ্রহণ ও তার আদব-কায়দা
পরিচ্ছেদ – ১৪১: অনুমতি প্রার্থীর জন্য এটা সুন্নত যে, যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে, তুমি কে? তখন সে নিজের পরিচিত নাম বা উপনাম ব্যক্ত করিবে। আর উত্তরে ‘আমি’ বা অনুরূপ শব্দ বলা অপছন্দনীয়
পরিচ্ছেদ – ১৪২: যে হাঁচি দিবে সে আলহামদু লিল্লাহ বললে তার উত্তর দেওয়া মুস্তাহাব। নচেৎ তা অপছন্দনীয়। হাঁচির উত্তর দেওয়া, হাঁচি ও হাই তোলা সম্পর্কিত আদব-কায়দা
পরিচ্ছেদ – ১৪৩: সাক্ষাৎকালীন আদব
আল্লাহ বলেছেন,
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ لَا تَدۡخُلُواْ بُيُوتًا غَيۡرَ بُيُوتِكُمۡ حَتَّىٰ تَسۡتَأۡنِسُواْ وَتُسَلِّمُواْ عَلَىٰٓ أَهۡلِهَاۚ ﴾ [النور: ٢٧]
অর্থাৎ “হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য কারও গৃহে গৃহবাসীদের অনুমতি না নিয়ে ও তাহাদেরকে সালাম না দিয়ে প্রবেশ করো না।” [সূরা নূর ২৭ আয়াত]
তিনি অন্যত্র বলেন,
﴿ فَإِذَا دَخَلۡتُم بُيُوتٗا فَسَلِّمُواْ عَلَىٰٓ أَنفُسِكُمۡ تَحِيَّةٗ مِّنۡ عِندِ ٱللَّهِ مُبَٰرَكَةٗ طَيِّبَةٗۚ ﴾ [النور: ٦١]
অর্থাৎ “যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ করিবে, তখন তোমরা তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম বলবে। এ হবে আল্লাহর নিকট হতে কল্যাণময় ও পবিত্র অভিবাদন।” [সূরা নূর ৬১ আয়াত]
তিনি অন্য জায়গায় বলেন,
﴿ وَإِذَا حُيِّيتُم بِتَحِيَّةٖ فَحَيُّواْ بِأَحۡسَنَ مِنۡهَآ أَوۡ رُدُّوهَآۗ ﴾ [النساء: ٨٦]
অর্থাৎ “যখন তোমাদেরকে অভিবাদন করা হয় [সালাম দেওয়া হয়], তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন কর অথবা ওরই অনুরূপ কর।” [সূরা নিসা ৮৬ আয়াত]
তিনি আরো বলেছেন,
﴿ هَلۡ أَتَىٰكَ حَدِيثُ ضَيۡفِ إِبۡرَٰهِيمَ ٱلۡمُكۡرَمِينَ ٢٤ إِذۡ دَخَلُواْ عَلَيۡهِ فَقَالُواْ سَلَٰمٗاۖ قَالَ سَلَٰمٞ ﴾ [الذاريات: ٢٤، ٢٥]
অর্থাৎ “তোমার নিকট ইব্রাহীমের সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত এসেছে কি? যখন তারা তার নিকট উপস্থিত হয়ে বলিল, ‘সালাম।’ উত্তরে সে বলিল, ‘সালাম।’” [সূরা যারিয়াত ২৪-২৫ আয়াত]
পরিচ্ছেদ – ১৩১: সালাম দেওয়ার গুরুত্ব ও তা ব্যাপকভাবে প্রচার করার নির্দেশ
আল্লাহ বলেছেন,
(আরবী)
অর্থাৎ “হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য কারও গৃহে গৃহবাসীদের অনুমতি না নিয়ে ও তাদেরকে সালাম না দিয়ে প্রবেশ করো না।” (সূরা নূর ২৭ আয়াত)
তিনি অন্যত্র বলেন,
(আরবী)
অর্থাৎ “যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ করিবে, তখন তোমরা তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম বলবে। এ হবে আল্লাহর নিকট হইতে কল্যাণময় ও পবিত্র অভিবাদন।” (সূরা নূর ৬১ আয়াত)
তিনি অন্য জায়গায় বলেন,
(আরবী)
অর্থাৎ “যখন তোমাদেরকে অভিবাদন করা হয় (সালাম দেওয়া হয়), তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন কর অথবা ওরই অনুরূপ কর।” (সূরা নিসা ৮৬ আয়াত)
তিনি আরো বলেছেন,
(আরবী)
অর্থাৎ “তোমার নিকট ইব্রাহীমের সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত এসেছে কি? যখন তারা তার নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, ‘সালাম।’ উত্তরে সে বলল, ‘সালাম।’” (সূরা যারিয়াত ২৪-২৫ আয়াত)
৮৪৯
আব্দুল্লাহ ইবনে আম্র ইবনুল ‘আস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি রসুলুল্লাহ সাঃআঃকে জিজ্ঞাসা করল, ‘সর্বোত্তম ইসলামী কাজ কী?’ তিনি বললেন, “(ক্ষুধার্তকে) অন্নদান করিবে এবং পরিচিত-অপরিচিত নির্বিশেষে সকলকে (ব্যাপকভাবে) সালাম পেশ করিবে।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ১২, ২৮, ৬২৩৬, মুসলিম ৩৯, তিরমিজী ১৮৫৫, নাসাঈ ৫০০০, আবু দাঊদ ৫১৯৪, ইবনু মাজাহ ৩২৫৩, ৩৬৯৪, আহমাদ ৬৫৪৫, ৬৮০৯, দারেমী ২০৮১), হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৫০. আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিত, নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘আল্লাহ যখন আদম আলাইহিস সালাম-কে সৃষ্টি করলেন। তখন তাঁকে বললেন, ‘তুমি যাও এবং ঐ যে ফিরিশ্তামন্ডলীর একটি দল বসে আছে, তাদের উপর সালাম পেশ কর। আর ওরা তোমার সালামের কী জবাব দিচ্ছে তা মন দিয়ে শুনো। কেননা, ওটাই হবে তোমার ও তোমার সন্তান-সন্ততির সালাম বিনিময়ের রীতি।’ সুতরাং তিনি (তাঁদের কাছে গিয়ে) বললেন,
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ
‘আসসালামু আলাকুম’। তাঁরা উত্তরে বললেন,
السَّلاَمُ عَلَيْكَ وَرَحْمَةُ اللهِ
‘আসসালামু আলাইকা অরাহমাতুল্লাহ’। অতএব তাঁরা ‘অরাহমাতুল্লাহ’ শব্দটা বেশী বললেন।’’
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৫১. আবু উমারা বারা ইবনে আযেব রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘রসুলুল্লাহ সাঃআঃ আমাদেরকে সাতটি (কর্ম করতে) আদেশ করেছেনঃ (১) রোগী দেখতে যাওয়া, (২) জানাযার অনুসরণ করা, (৩) হাঁচির (ছিঁকের) জবাব দেওয়া, (৪) দুর্বলকে সাহায্য করা, (৫) নির্যাতিত ব্যক্তির সাহায্য করা, (৬) সালাম প্রচার করা, এবং (৭) শপথকারীর শপথ পুরা করা।’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ১২৩৯, ২৪৪৫, ৫১৭৫, ৫৬৩৫, ৫৬৬০, ৫৮৩৮, ৫৮৪৯, ৫৮৬৩, ৬২২২, ৬২৩৫, ৬৬৫৪, মুসলিম ২০৬৬, তিরমিজী ১৭৬০, ২৮০৯, নাসাঈ ১৯৩৯, ৩৭৭৮, ৫৩০৯, ইবনু মাজাহ ২১১৫ আহমাদ ১৮০৩৪, ১৮০৬১, ১৮১৭০)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৫২
আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘তোমরা ঈমানদার না হওয়া পর্যন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। আর যতক্ষণ না তোমাদের পারস্পরিক ভালোবাসা গড়ে উঠবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা প্রকৃত ঈমানদার হইতে পারবে না। আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি কাজ বলে দেব না, যা করলে তোমরা একে অপরকে ভালবাসতে লাগবে? (তা হচ্ছে) তোমরা আপোসের মধ্যে সালাম প্রচার কর।’’
(মুসলিম ৫৪, তিরমিজী ২৬৮৮, আবু দাঊদ ৫১৯৩, ইবনু মাজাহ ৬৮, ৩৬৯২, আহমাদ ৮৮৪১, ৯৪১৬, ৯৮২১, ১০২৭২, ২৭৩১৪)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৫৩
আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাঃআঃকে বলতে শুনেছি, ‘‘হে লোক সকল! তোমরা সালাম প্রচার কর, (ক্ষুধার্তকে) অন্নদান কর, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখ এবং লোকে যখন (রাতে) ঘুমিয়ে থাকে, তখন তোমরা নামায পড়। তাহলে তোমরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করিবে।’’
(তিরমিজী হাসান সহীহ) (তিরমিজী ২৪৮৫, ইবনু মাজাহ ১৩৩৪, ৩২৫১, দারেমী ১৪৬০)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৫৪
তুফাইল ইবনে উবাই ইবনে কা‘ব হইতে বর্ণিতঃ
তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাঃআঃ-এর কাছে আসতেন এবং সকালে তাঁর সঙ্গে বাজার যেতেন। তিনি বলেন, ‘যখন আমরা সকালে বাজারে যেতাম, তখন তিনি প্রত্যেক খুচরা বিক্রেতা, স্থায়ী ব্যবসায়ী, মিসকীন, তথা অন্য কোন ব্যক্তির নিকট দিয়ে অতিক্রম করার সময় তাকে সালাম দিতেন।’ তুফাইল বলেন, সুতরাং আমি একদিন (অভ্যাসমত) আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাঃআঃ-এর নিকট গেলাম। তিনি আমাকে তাঁর সঙ্গে বাজারে যেতে বললেন। আমি বললাম, ‘আপনি বাজার গিয়ে কী করিবেন? আপনি তো বেচা-কেনার জন্য কোথাও থামেন না, কোন পণ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন না, তার দর-দাম জানতে চান না এবং বাজারের কোন মজলিসে বসেনও না। আমি বলছি, এখানে আমাদের সাথে বসে যান, এখানেই কথাবার্তা বলি।’ (তুফাইলের ভুঁড়ি মোটা ছিল, সেই জন্য) তিনি বললেন, ‘ওহে ভুঁড়িমোটা! আমরা সকাল বেলায় বাজারে একমাত্র সালাম পেশ করার উদ্দেশ্যে যাই; যার সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হয়, আমরা তাকে সালাম দিই।’
(মুঅত্ত্বা মালেক, বিশুদ্ধ সূত্রে)(মুওয়াত্তা মালিক ১৭৯৩)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদ – ১৩২: সালাম দেওয়ার পদ্ধতি
৮৫৫
ইমরান ইবনে হুসাইন রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একটি লোক নবী সাঃআঃ এর নিকট এসে এভাবে সালাম করল
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ
‘আসসালামু আলাইকুম’ আর নবী সাঃআঃ তার জবাব দিলেন। অতঃপর লোকটি বসে গেলে তিনি বললেন, ‘‘ওর জন্য দশটি নেকী।’’ তারপর দ্বিতীয় ব্যক্তি এসে
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ
‘আসসালামু আলাইকুম অরহমাতুল্লাহ’ বলে সালাম পেশ করল। নবী সাঃআঃ তার সালামের উত্তর দিলেন এবং লোকটি বসলে তিনি বললেন, ‘‘ওর জন্য বিশটি নেকী।’’ তারপর আর একজন এসে
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ الله وَبَركَاتُهُ
‘আসসালামু আলাইকুম অরাহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ’ বলে সালাম দিল। তিনি তার জবাব দিলেন। অতঃপর সে বসলে তিনি বললেন, ‘‘ওর জন্য ত্রিশটি নেকী।’’
(আবু দাঊদ, তিরমিজী হাসান সূত্রে)(তিরমিজী ২৬৮৯, আবু দাঊদ ৫১৯৫, আহমাদ ১৯৪৪৬, দারেমী ২৬৪০)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৫৬
আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা রসুলুল্লাহ সাঃআঃ আমাকে বললেন, ‘‘এই জিব্রীল আলাইহিস সালাম তোমাকে সালাম পেশ করছেন।’’ তিনি বলেন, আমিও উত্তরে বললাম,
وَعَلَيْهِ السَّلاَمُ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ
অআলাইহিস সালামু অরাহ্মাতুল্লাহি অবারাকাতুহ।
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৩১১৭, ৩৭৬৮,৬২০১, ৬২৪৯, ৬২৫৩, মুসলিম ২৪৪৭, তিরমিজী ২৬৯৩, ৩৮৮১, ৩৮৮২, নাসাঈ ৩৯৫২, ৩৯৫৩, ৩৯৫৪, আবু দাঊদ ৫২৩২, ইবনু মাজাহ ৩৬৯৬, আহমাদ ৩২৭৬০, ২৩৯৪১, ২৪০৫৩, ২৫৩৫২)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৫৭
আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
নবী সাঃআঃ যখন কোন কথা বলতেন, তখন তা তিনবার বলতেন; যাতে তাঁর কথা বুঝতে পারা যায়। আর যখন কোন গোষ্ঠীর কাছে আসতেন তখনও তিনি তিনবার করে সালাম পেশ করতেন।
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৯৪, ৯৫, তিরমিজী ২৭২৩, ৩৬৪০, আহমাদ ১২৮০৯, ১২৮৯৫)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৫৮
মিক্বদাদ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি স্বীয় দীর্ঘ হাদীসে বলেন, আমরা নবী সাঃআঃ এর জন্য তাঁর অংশের দুধ রেখে দিতাম। তিনি রাতের বেলায় আসতেন এবং এমনভাবে সালাম দিতেন যে, তাতে কোন ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগিয়ে দিতেন না এবং জাগ্রত ব্যক্তিদেরকে শুনাতেন। সুতরাং নবী সাঃআঃ (তাঁর অভ্যাসমত) এসে সালাম দিলেন, যেমন তিনি সালাম দিতেন।
(মুসলিম ২০৫৫, তিরমিজী ২৭১৯, আহমাদ ২৩৩০০, ২৩৩১০।)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৫৯. আসমা বিনতে য়্যাযীদ রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা নবী সাঃআঃ আমাদের একদল মহিলার নিকট দিয়ে পার হওয়ার সময় আমাদেরকে সালাম দিলেন।
(তিরমিজী ২৬৯৭, আবু দাঊদ ৫২০৪, ইবনু মাজাহ ৩৭০১, আহমাদ ২৭০১৪, দারেমী ২৬৩৭।)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৬০
আবু উমামাহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘আল্লাহর সর্বাধিক নিকটবর্তী মানুষ সেই, যে প্রথমে সালাম করে।’’
(আবু দাঊদ ৫১৯৭, তিরমিজী ২৬৯৪, আহমাদ ২১৬৮৮, ২১৭৭৬, ২১৮১৪)
হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস
৮৬১
আবু জুরাই হুজাইমী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাঃআঃ এর নিকট হাযির হয়ে বললাম,
عَلَيْكَ السَّلامُ
‘আলাইকাস সালাম’ ইয়া রসুলুল্লাহ! তিনি বললেন, ‘‘আলাইকাস সালাম’ বলো না। কেননা, ‘আলাইকাস সালাম’ হচ্ছে মৃত ব্যক্তিদেরকে জানানো অভিবাদন বাক্য।’’ (আবু দাঊদ,তিরমিজী হাসান সহীহ, ইতোপূর্বে সম্পূর্ণ হাদীসটি ৮০০ নম্বরে গত হয়েছে।)
(তিরমিজী ২৭২১, ২৭২২, আবু দাঊদ ৫০২৯)
হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস
পরিচ্ছেদ – ১৩৩: সালামের বিভিন্ন আদব-কায়দা
৮৬২
আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘আরোহী পায়ে হাঁটা ব্যক্তিকে, পায়ে হাঁটা ব্যক্তি বসে থাকা ব্যক্তিকে এবং অল্প সংখ্যক লোক অধিক সংখ্যক লোককে সালাম দেবে।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৬২৩১, ৬২৩২, ৬২৩৪, ৩১, ৩২, ৩৪, মুসলিম ২১৬০, তিরমিজী ২৭০৩, আবু দাঊদ ৫১৯৮, আহমাদ ২৭৩৭৯, ৮১১৩, ১০২৪৬)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৬৩
আবু উমামাহ সুদাই ইবনে আজলান বাহেলী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘লোকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী আল্লাহর নিকটবর্তী সেই, যে লোকদেরকে প্রথমে সালাম করে।’’ (আবু দাঊদ উত্তম সূত্রে)
(তিরমিজী ২৬৯৪, আবু দাঊদ ৫১৯৭, আহমাদ ২১৬৮৮, ২১৭৪৯, ২১৭৭৬, ২১৮১৪)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদ – ১৩৪: দ্বিতীয়বার সত্বর সাক্ষাৎ হলেও পুনরায় সালাম দেওয়া মুস্তাহাব, যেমন কোথাও প্রবেশ করার পর বের হয়ে গিয়ে পুনরায় তৎক্ষণাৎ সেখানে প্রবেশ করলে কিংবা দু’জনের মাঝে কোন গাছ তথা অনুরূপ কোন জিনিসের আড়াল হলে, তারপর আবার দেখা হলে পুনরায় সালাম দেওয়া মুস্তাহাব
৮৬৪
আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
নামায ভুলকারীর হাদীসে এসেছে যে, সে ব্যক্তি এসে নামায পড়ল। অতঃপর নবী সাঃআঃ এর নিকট এসে তাঁকে সালাম দিল। তিনি তার সালামের জবাব দিয়ে বললেন, ‘‘ফিরে যাও, এবং নামায পড়। কেননা, তোমার নামায পড়া হয়নি।’’ কাজেই সে ফিরে গিয়ে আবার নামায পড়ল। তারপর পুনরায় এসে নবী সাঃআঃকে সালাম দিল। এভাবে সে তিনবার করল।
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৭৫৭, ৭৯৩, ৬২৫১, ৬৬৬৭, মুসলিম ৩৯৭, তিরমিজী ৩০৩, নাসাঈ ৮৮৪, আবু দাঊদ ৮৫৬, ইবনু মাজাহ ১০৬০, ৩৬৯৫, আহমাদ ৯৩৫২)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৬৫
উক্ত রাবী হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যখন কেউ তার মুসলিম ভাইয়ের সাথে দেখা করিবে, তখন সে যেন তাকে সালাম দেয়। অতঃপর যদি তাদের দু’জনের মাঝে গাছ বা দেওয়াল অথবা পাথর আড়াল হয়, তারপর আবার সাক্ষাৎ হয়, তাহলে সে যেন আবার সালাম দেয়।’’
(আবু দাঊদ ৫২০০)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদ – ১৩৫: নিজ গৃহে প্রবেশ করার সময় সালাম দেওয়া উত্তম
৮৬৬
আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদা আমাকে রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বললেন, ‘‘হে বৎস! তোমার বাড়িতে যখন তুমি প্রবেশ করিবে, তখন সালাম দাও, তাহলে তোমার ও তোমার পরিবারের জন্য তা বরকতময় হবে।’’
(তিরমিজী ২৬৯৮)
হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস
পরিচ্ছেদ – ১৩৬: শিশুদেরকে সালাম করা প্রসঙ্গে
৮৬৭
আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি কতিপয় শিশুর নিকট দিয়ে অতিক্রম করার সময় তাদেরকে সালাম দিলেন এবং বললেন, ‘রসুলুল্লাহ সাঃআঃ এরূপ করতেন।’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৬২৪৭, মুসলিম ২১৬৮, তিরমিজী ২৬৯৬, আবু দাঊদ ৫২০২, ইবনু মাজাহ ৩৭০০, আহমাদ ১১৯২৮, ১২৩১৩, ১২৪৮৫, ১২৬১০, দারেমী ২৬৩৬)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদ – ১৩৭: নারী-পুরুষের পারস্পরিক সালাম
৮৬৮
সাহল ইবনে সা‘দ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে এক মহিলা ছিল। অন্য বর্ণনায় আছে আমাদের একটি বুড়ি ছিল। সে বীট (কেটে) হাঁড়িতে রেখে তাতে কিছু যব দানা পিষে মিশ্রণ করত। অতঃপর আমরা যখন জুমআর নামায পড়ে ফিরে আসতাম, তখন তাকে সালাম দিতাম। আর সে আমাদের জন্য তা পেশ করত।’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৯৩৮, ৯৩৯, ৯৪১, ৫৪০৩, ২৩৪৯, ৬২৪৮, ৬২৭৯, মুসলিম ৮৫৯, তিরমিজী ৫২৫, ইবনু মাজাহ ১০৯৯)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৬৯
উম্মে হানী ফাখেতাহ বিনতে আবী ত্বালেব রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘মক্কা বিজয়ের দিন আমি নবী সাঃআঃ এর নিকট হাজির হলাম। তখন তিনি গোসল করছিলেন। ফাতেমা তাঁকে একটি কাপড় দিয়ে আড়াল করছিলেন। আমি (তাঁকে) সালাম দিলাম।…’ অতঃপর তিনি সম্পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
তিনি বলেন, ‘মক্কা বিজয়ের দিন আমি নবী সাঃআঃ এর নিকট হাজির হলাম। তখন তিনি গোসল করছিলেন। ফাতেমা তাঁকে একটি কাপড় দিয়ে আড়াল করছিলেন। আমি (তাঁকে) সালাম দিলাম।…’ অতঃপর তিনি সম্পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৭০
আসমা বিনতে য়্যাযীদ রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘একদা নবী সাঃআঃ (আমাদের) একদল মহিলার নিকট অতিক্রম করার সময় আমাদেরকে সালাম দিলেন।
(আবু দাঊদ ৫২০৪, দারেমী ২৬৩৭, তিরমিজী ২৬৯৭, ইবনু মাজাহ ৩৭০১, আহমাদ ২৭০১৪)
হাদীসটির মানঃ দুর্বল হাদীস
পরিচ্ছেদ – ১৩৮: অমুসলিমকে আগে সালাম দেওয়া হারাম এবং তাদের সালামের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি। কোন সভায় যদি মুসলিম-অমুসলিম সমবেত থাকে, তাহলে তাদের (মুসলিমদের)কে সালাম দেওয়া মুস্তাহাব
৮৭১
আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানদেরকে প্রথমে সালাম দিয়ো না। যখন পথিমধ্যে তাদের কারো সাথে সাক্ষাৎ হবে, তখন তাকে পথের এক প্রান্ত দিয়ে যেতে বাধ্য করো।’’
(মুসলিম ২১৬৭, তিরমিজী ২৭০০, আবু দাঊদ ১৪৯, আহমাদ ৭৫১৩,৭৫৬২,৮৩৫৬,৯৪৩৩,৯৬০৩,১০৪৪১৮)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৭২
আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘কিতাবধারীরা (ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানরা) যখন তোমাদেরকে সালাম দেয়, তখন তোমরা জবাবে বল,
وَعَلَيْكُمْ
‘ওয়া আলাইকুম।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৬২৫৮, ৬৯২৬, মুসলিম ২১৬৩, তিরমিজী ৩৩০১, আবু দাঊদ ৫২০৭, ইবনু মাজাহ ৩৬৯৭, আহমাদ ১১৫৩৭,১১৭০৫,১১৭৩১,১২০১৯, ১২৫৮, ১২৫৮৩, ১২৬৭৪, ১৩৩৪৫)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৭৩
উসামা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
নবী সাঃআঃ এমন সভা অতিক্রম করেন, যার মধ্যে মুসলিম, মুশরিক (মূর্তিপূজক) ও ইয়াহুদীর সমাগম ছিল। নবী সাঃআঃ তাদেরকে সালাম করলেন।
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৬৬৩, ৪৫৬৬, ৬২০৭, ৬২৫৪, মুসলিম ১৭৯৮, তিরমিজী ২৭০২, আহমাদ ২১২৬০)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদ – ১৩৯: সভা থেকে উঠে যাবার সময়ও সাথীদেরকে ত্যাগ করে যাবার পূর্বে সালাম দেওয়া উত্তম
৮৭৪
আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যখন তোমাদের কেউ সভায় পৌঁছবে তখন সালাম দেবে। আর যখন সভা ছেড়ে চলে যাবে, তখনও সালাম দেবে। কেননা, প্রথম সালাম শেষ সালাম অপেক্ষা বেশী উত্তম নয়।’’
(আবু দাঊদ, তিরমিজী, হাসান হাদীস)(আবু দাঊদ ৫২০৮, তিরমিজী ২৭০৬, আহমাদ ৭৭৯৩, ৭১০২, ৯৩৭২)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদ – ১৪০: বাড়িতে প্রবেশ করার অনুমতি গ্রহণ ও তার আদব-কায়দা
মহান আল্লাহ বলেন,
(আরবী)
অর্থাৎ “হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য কারও গৃহে গৃহবাসীদের অনুমতি না নিয়ে ও তাদেরকে সালাম না দিয়ে প্রবেশ করো না।” (সূরা নূর ২৭ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
(আরবী)
অর্থাৎ “তোমাদের শিশুরা বয়ঃপ্রাপ্ত হলে তারাও যেন তাদের বয়োজ্যেষ্ঠদের মত (সর্বদা) অনুমতি প্রার্থনা করে।” (সূরা নূর ৫৯ আয়াত)
৮৭৫
আবু মূসা আশ্আরী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘অনুমতি তিনবার নেওয়া চায়। যদি তোমাকে অনুমতি দেয় (তাহলে ভিতরে প্রবেশ করিবে) নচেৎ ফিরে যাবে।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৬২৪৫, ২০৬২, ৭৩৫৩, মুসলিম ২১৫৪, আবু দাঊদ ৫১৮১, আহমাদ ১৯০১৬, ১৯০৬২, ১৯০৮৪, মুওয়াত্তা মালিক ১৭৯৮)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৭৬
সাহ্ল ইবনে সা‘দ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘দৃষ্টির কারণেই তো (প্রবেশ) অনুমতির বিধান করা হয়েছে।’’ (অর্থাৎ দৃষ্টি থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে ঐ নির্দেশ।) (বুখারী ও মুসলিম)
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৬২৪২, ৬৮৮৯, ৬৯০০, মুসলিম ২১৫৭, তি২৭০৮, নাসাঈ ৪৮‘‘৫৮, আবু দাঊদ ৫১৭১ আহমাদ ১১৮৪৮, ১১৬৪৪, ১২০১৭, ১২৪১৮, ১৩১৩১)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৭৭
রিব্য়ী ইবনে হিরাশ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন বনু ‘আমেরের একটা লোক আমাকে হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন যে, সে একদা নবী সাঃআঃ এর নিকট (প্রবেশ) অনুমতি চাইল। তখন তিনি বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। সুতরাং সে নিবেদন করল, ‘আমি কি প্রবেশ করব?’ রসুলুল্লাহ সাঃআঃ স্বীয় খাদেমকে বললেন, ‘বাইরে গিয়ে এই লোকটিকে অনুমতি গ্রহণের পদ্ধতি শিখিয়ে দাও এবং তাকে বল, তুমি বল
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ
‘আসসালামু আলাইকুম, আমি কি প্রবেশ করব?’ সুতরাং লোকটা ঐ কথা শুনতে পেয়ে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম, আমি কি প্রবেশ করব?’ অতঃপর নবী সাঃআঃ তাকে অনুমতি দিলেন এবং সে প্রবেশ করল। (আবু দাঊদ, বিশুদ্ধ সূত্রে)
(আবু দাঊদ ৫১৭৭, আহমাদ ২২৬১৭)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৭৮
কিল্দাহ ইবনে হাম্বাল রাদিয়াল্লাহু হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী সাঃআঃ এর নিকট এসে তাঁর কাছে বিনা সালামে প্রবেশ করলাম। নবী সাঃআঃ বললেন, ‘‘ফিরে যাও এবং বল,
السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ
‘আসসালামু আলাইকুম, আমি ভিতরে আসব কি?’’
(আবু দাঊদ ৫১৭৬, তিরমিজী ২৭১০, আহমাদ ১৪৯৯৯)
হাদীসটির মানঃ হাসান হাদীস
পরিচ্ছেদ – ১৪১: অনুমতি প্রার্থীর জন্য এটা সুন্নত যে, যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে, তুমি কে? তখন সে নিজের পরিচিত নাম বা উপনাম ব্যক্ত করিবে। আর উত্তরে ‘আমি’ বা অনুরূপ শব্দ বলা অপছন্দনীয়
৮৭৯
আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেন, ‘‘…. অতঃপর জিবরীল আলাইহিস সালাম আমাকে সঙ্গে নিয়ে নিকটবর্তী (প্রথম) আসমানে চড়লেন এবং তার (দরজা) খোলার আবেদন করলেন। তখন জিজ্ঞাসা করা হল, ‘আপনি কে?’ জিবরীল বললেন, ‘জিবরীল।’ জিজ্ঞাসা করা হল, ‘আপনার সাথে কে?’ তিনি বললেন, ‘মুহাম্মাদ।’ (এভাবে) তৃতীয়, চতুর্থ তথা বাকি সব আসমানে প্রত্যেক প্রবেশ-দ্বারে জিজ্ঞাসা করা হল ‘আপনি কে?’ আর জিবরীল উত্তর দিলেন, ‘জিবরীল।’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৩২০৭, ৩৩৯৩, ৩৪৩০, ৩৮৮৭, মুসলিম ১৬২, ১৬৪, তিরমিজী ৩৩৪৬, নাসাঈ ৪৪৮, আহমাদ ১৭৩৭৮, ১৭৩৮০)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৮০
আবু যার্র রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, কোন এক রাতে আমি বের হলাম। হঠাৎ (দেখলাম,) রসূল সাঃআঃ একাই পায়ে হেঁটে চলেছেন। আমি চাঁদের ছায়াতে চলতে লাগলাম। তিনি (পিছনে) ফিরে তাকালে আমাকে দেখে ফেললেন এবং বললেন, ‘‘কে তুমি?’’ আমি বললাম, ‘আবু যার্র।’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ১২৩৭, ২৩৮৮, ৩২২২, ৫৮২৭, ৬২৬৮, ৬৪৪৩, ৬৪৪৪, ৬৪৮৭, মুসলিম ৯৪, তিরমিজী ২৬৪৪, আহমাদ ২০৮৪০, ২০৯০৫, ২০৯১৫, ২০৯৫৩)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৮১
উম্মে হানী রাদিয়াল্লাহু আনহা হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী সাঃআঃ এর নিকট হাযির হলাম, তখন তিনি গোসল করছিলেন। আর (তাঁর মেয়ে) ফাতেমা তাঁকে কাপড় দিয়ে আড়াল করছিলেন। সুতরাং তিনি বললেন, ‘‘কে তুমি?’’ আমি বললাম, ‘আমি উম্মে হানী।’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৩৫৭, ২৮০, মুসলিম ৩৩৬, তিরমিজী ৪৭৪, ২৭৩৪, নাসাঈ ২২৫ আবু দাঊদ ১১০৪, ১১৭৬, ৩১৭১, ৪২৯২, ৬১৫৮, ইবনু মাজাহ ৪৬৫, ৬১৪, ১৩২৩, ১৩৭৯, আহমাদ ২৬৩৪৭, ২৬৩৫৬, ২৬৮৩৩,মুওয়াত্তা মালিক ৩৫৯, দারেমী ১৪৫২, ১৪৫৩)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৮২
জাবের রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী সাঃআঃ এর নিকট এসে দরজায় করাঘাত করলাম। তিনি বললেন, ‘‘কে?’’ আমি বললাম, ‘আমি।’ তিনি বললেন, ‘‘আমি, আমি।’’ যেন তিনি কথাটিকে অপছন্দ করলেন।
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৬২৫০, মুসলিম ২১৫৫, তিরমিজী ২৭১১, আবু দাঊদ ৫১৮৭, ইবনু মাজাহ ৩৭০৯, আহমাদ ১৩৭৭৩, ১৪০৩০, ১৪৪৯৩, দারেমী ২৬৩০)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদ – ১৪২: যে হাঁচি দিবে সে আলহামদু লিল্লাহ বললে তার উত্তর দেওয়া মুস্তাহাব। নচেৎ তা অপছন্দনীয়। হাঁচির উত্তর দেওয়া, হাঁচি ও হাই তোলা সম্পর্কিত আদব-কায়দা
৮৮৩
আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘আল্লাহ তা‘আলা হাঁচি ভালবাসেন, আর হাই তোলা অপছন্দ করেন। অতএব তোমাদের কেউ যখন হাঁচবে এবং
اَلحَمْدُ للهِ
‘আলহামদুলিল্লাহ’ পড়বে তখন প্রত্যেক মুসলিম শ্রোতার উচিত হবে যে, সে তার জবাবে
يَرْحَمُكَ اللهُ
‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলবে। আর হাই তোলার ব্যাপারটা এই যে, তা হচ্ছে শয়তানের পক্ষ থেকে (আলস্য ও ক্লান্তির লক্ষণ)। অতএব কেউ যখন হাই তুলবে তখন সে যেন যথাসাধ্য তা রোধ করে। কেননা, যখন তোমাদের কেউ হাই তোলে, তখন শয়তান তা দেখে হাসে।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৬২২৩, ৩২৮৯, ৬২২৬, মুসলিম ২৯৯৪, তিরমিজী ৩৭০, ২৭৪৬, ২৭৪৭, আবু দাঊদ ৫০২৮, আহমাদ ৭৫৪৫, ৯২৪৬, ১০৩১৭, ১০৩২৯, ২৭৫০৪)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৮৪
উক্ত রাবী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
নবী সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যখন তোমাদের কেউ হাঁচবে, তখন সে যেন বলে,
اَلحَمْدُ للهِ
‘আলহামদু লিল্লাহ।’ (তা শুনে) তার ভাই বা সাথীর বলা উচিত,
يَرْحَمُكَ اللهُ
‘য়্যারহামুকাল্লাহ।’ সুতরাং যখন জবাবে ‘য়্যারহামুকাল্লাহ’ বলবে, তখন যে (হাঁচি দিয়েছে) সে বলবে, ‘য়্যাহদীকুমুকাল্লাহু অ য়্যুস্লিহু বালাকুম।’ (অর্থাৎ আল্লাহ তোমাদেরকে সুপথ দেখান ও তোমাদের অন্তর সংশোধন করে দেন।)’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৬২২৪, আবু দাঊদ ৫০৩৩, আহমাদ ৮৪১৭)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৮৫
আবু মূসা আশআরী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাঃআঃকে বলতে শুনেছি যে, ‘‘যখন তোমাদের কেউ হাঁচবে এবং
اَلحَمْدُ للهِ
‘আলহামদু লিল্লাহ’ বলবে, তখন তার উত্তর দাও। যদি সে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ না বলে, তাহলে তার উত্তর দিয়ো না।’’
(মুসলিম ২৯৯২, আহমাদ ১৯১৯৭)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৮৬
আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
দু’জন লোক নবী সাঃআঃ এর নিকটে হাঁচল। তিনি তাদের মধ্যে একজনের উত্তর দিলেন। আর দ্বিতীয় জনের উত্তর দিলেন না। যে ব্যক্তির উত্তর দিলেন না সে বলল, ‘অমুক ব্যক্তি হাঁচল তো তার উত্তর দিলেন, আর আমি হাঁচলাম, কিন্তু আপনি আমার উত্তর দিলেন না!?’ তিনি বললেন, ‘‘ঐ ব্যক্তি
اَلحَمْدُ للهِ
‘আলহামদু লিল্লাহ’ পড়েছে। আর তুমি ‘আলহামদু লিল্লাহ’ পড়নি তাই।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৬২২৫, মুসলিম ২৯৯১)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৮৭
আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর রসূল সাঃআঃ যখন হাঁচতেন তখন নিজ হাত অথবা কাপড় মুখে রাখতেন এবং তার মাধ্যমে শব্দ কম করতেন।’ (আবু দাঊদ, তিরমিজী, হাসান সহীহ)
(তিরমিজী ২৭৪৫, আবু দাঊদ ৫০২৯, আহমাদ ৯৩৭০)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৮৮
আবু মূসা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইয়াহুদী সম্প্রদায় রসুলুল্লাহ সাঃআঃ এর নিকটে কৃত্রিমভাবে হাঁচতো এই আশায় যে, তিনি তাদের জন্য
يَرْحَمُكُم الله
‘য়্যারহামুকাল্লাহ’ (অর্থাৎ আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়া করুন) বলবেন। কিন্তু তিনি (তাদের হাঁচির জবাবে) বলতেন,
يَهْدِيكُم اللهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ
‘য়্যাহদীকুমুল্লাহু অয়্যুসলিহু বালাকুম’ (অর্থাৎ আল্লাহ তোমাদেরকে সৎপথগামী করুন ও তোমাদের অন্তরসমূহকে সংশোধন করে দেন।) (আবু দাঊদ, তিরমিজী হাসান সহীহ)
(আবু দাঊদ ৫০৩৮, তিরমিজী ২৭৩৯, আহমাদ ১৯০৮৯, ১৯১৮৫)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৮৯
আবু সা‘ঈদ খুদরী রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘যখন তোমাদের কেউ হাই তুলবে, তখন সে যেন আপন হাত দিয়ে নিজ মুখ চেপে ধরে রাখে। কেননা, শয়তান (মুখে) প্রবেশ করে থাকে।’’
(মুসলিম ২৯৯৫, আবু দাঊদ ৫০২৬, আহমাদ ১০৮৬৯, ১০৯৩০, ১১৪৭৯, ১১৫০৬, দারেমী ১৩৮২)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
পরিচ্ছেদ – ১৪৩: সাক্ষাৎকালীন আদব
৮৯০
আবুল খাত্ত্বাব ক্বাতাদাহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘আমি আনাস রাঃআঃ-কে জিজ্ঞাসা করলাম। রসুলুল্লাহ সাঃআঃ এর সাহাবীদের মধ্যে কি মুসাফাহা (করমর্দন) করার প্রথা ছিল?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৬২৬৩, তিরমিজী ২৭২৯)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৯১
আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, যখন ইয়ামানবাসীরা আগমন করল, তখন রসূল সাঃআঃ বলে উঠলেন, ‘‘ইয়ামানবাসীরা তোমাদের নিকট আগমন করেছে।’’ (আনাস বলেন,) এরাই সর্বপ্রথম মুসাফাহা আনয়ন করেছিল।
(আবু দাঊদ-বিশুদ্ধ সূত্রে) (আবু দাঊদ ৫২১৩, আহমাদ ১২৮০০, ১৩২১২)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৯২
বারা’ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেন, ‘‘দু’জন মুসলিম সাক্ষাৎকালে মুসাফাহা করলেই একে অপর থেকে পৃথক হবার পূর্বেই তাদের (গুনাহ) মাফ করে দেওয়া হয়।’’
(আবু দাঊদ ৫২১২, ৫২১১, তিরমিজী ২৭২৭, ইবনু মাজাহ ৩৭০৩)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৯৩
আনাস রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একটা লোক বলল, ‘হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মধ্য থেকে কোন লোক তার ভাইয়ের সাথে কিংবা তার বন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করলে তার সামনে কি মাথা নত করিবে?’ তিনি বললেন, ‘‘না।’’ সে বলল, ‘তাহলে কি তাকে জড়িয়ে ধরে চুমা দেবে?’ তিনি বললেন, ‘‘না।’’ সে বলল, ‘তাহলে কি তার হাত ধরে তার সঙ্গে মুসাফাহা করিবে?’ তিনি বললেন, ‘‘হ্যাঁ।’’
(তিরমিজী-হাসান) (তিরমিজী ২৭২৮, ইবনু মাজাহ ৩৭০২)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৯৪
সাফওয়ান ইবনু আসসাল রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
এক ইয়াহূদী তার সাথীকে বললঃ এসো আমরা এই নাবীর নিকট যাই। ফলে তারা দু’জন রসুলুল্লাহ সাঃআঃ-এর নিকট এল এবং তাঁকে নয়টি সুস্পষ্ট নিদর্শন সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করল। হাদীসের বর্ণনাকারী শেষ পর্যন্ত বর্ণনা করেন যে, তারপর তারা দু’জন রসুলুল্লাহ সাঃআঃ এর হাতে ও পায়ে চুমা দিল এবং বলল, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি নিঃসন্দেহে আপনি নাবী। এ হাদীস ইমাম তিরমিজী প্রমুখ সহীহ সানাদ সহকারে বর্ণনা করিয়াছেন। (তিরমিজী ও অন্যরা সহীহ সনদে)
(ইমাম নাবাবী বলেনঃ হাদীসটি ইমাম তিরমিজী প্রমুখ বিভিন্ন সহীহ্ সনদে বর্ণনা করিয়াছেন। আমি (আলবানী) বলছি: ইমাম তিরমিজী এবং অন্য কারো নিকট একটি সনদ ব্যতীত দ্বিতীয় কোন সনদ নেই। তা সত্ত্বেও এ সনদে আব্দুল্লাহ্ ইবনু সালেমাহ্ আলমুরাদী রয়েছেন যার সম্পর্কে মতভেদ করা হয়েছে। তিনিই হচ্ছেন ‘জুনবী ব্যক্তি কর্তৃক কুরআন তিলাওয়াত করা নিষিদ্ধ’ মর্মে বর্ণিত হাদীস আলী (রাযি) হইতে বর্ণনাকারী। তাকে মুহাক্কিক হাফিযগণ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। যেমনটি লেখক নিজেই বলেছেন। যারা তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন তাদের মধ্যে ইমাম আহমাদ, শাফে‘ঈ, বুখারী প্রমুখ রয়েছেন। যেমনটি ‘‘য‘ঈফু আবী দাঊদ’’ গ্রন্থে (নং ৩০) বিস্তারিত দেখবেন। আল্লামাহ্ যাইলা‘ঈ ‘‘নাসবুর রায়া’’ গ্রন্থে (৪/২৫৮) ইমাম নাসাঈর উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করিয়াছেন যে, তিনি ইমাম তিরমিজীর হাদীসটি সম্পর্কে বলেনঃ এ হাদীসটি মুনকার। তিনি আরো বলেনঃ মুনযেরী বলেনঃ সম্ভত তার মুনকার সাব্যস্ত করার ব্যাপারে কথা রয়েছে।
তিরমিজী ২৭৩৩, ৩১৪৪, ইবনু মাজাহ ৩৭০৫)
হাদীসটির মানঃ অন্যান্য
৮৯৫
ইবনু উমার রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি তাতে বলেছেন, অতঃপর আমরা নাবী সাঃআঃ এর নিকট গেলাম এবং তাঁর হাতে চুম্বন দিলাম। হাদীসটি আবু দাঊদ বর্ণনা করিয়াছেন। যঈফ। (এ নম্বরের হাদীসটি দুর্বল।)
আমি (আলবানী) বলছিঃ এর সনদে ইয়াযীদ ইবনু আবী যিয়াদ হাশেমী রয়েছেন। হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন ফলে মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল এবং তাকে ভুল ধরিয়ে দিতে হতো। এ সমস্যার দ্বারায় মুনযেরী সমস্যা বর্ণনা করিয়াছেন। আর ‘‘আলকাশেফ’’ গ্রন্থে এসেছেঃ তার হেফ্য শক্তি মন্দ ছিল। দেখুন ‘‘য‘ঈফু আবী দাঊদ-আলউম্ম-’’ (নং ১০৬)। আবু দাঊদ ৫২২৩, ইবনু মাজাহ ৩৭০৪, আহমাদ ৫৩৬১।
হাদীসটির মানঃ দুর্বল হাদীস
৮৯৬
আয়িশাহ রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
যাইদ ইবনু হারিসা রাঃআঃ মদীনায় এলেন। তখন রসুলুল্লাহ সাঃআঃ আমার ঘরে ছিলেন। যাইদ (দেখা করার জন্য) তাঁর কাছে এলেন এবং দরজায় টোকা মারলেন। নিজের কাপড় টানতে টানতে উঠে গিয়ে নাবী সাঃআঃ তার সাথে কোলাকুলি করলেন এবং তাকে চুমা দিলেন। (তিরমিজী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন)
(আমি (আলবানী) বলছি : হাদীসটির সনদের মধ্যের বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক আন্ আন্ করে বর্ণনা করিয়াছেন। আর তিনি হচ্ছেন প্রসিদ্ধ মুদাল্লিস (দোষ গোপন করে) বর্ণনাকারী। উল্লেখ্য শাইখ আলবানী ‘‘দিফা‘ আনিল হাদীসিন নাবাবী অস সীরাহ্’’ গ্রন্থে (নং ১০) বলেছেনঃ এর সনদে ধারাবাহিকভাবে তিনজন দুর্বল বর্ণনাকারী রয়েছেন। এ কারণেই হাফিয যাহাবী বলেছেনঃ হাদীসটি মুনকার। তিরমিজী ২৭৩২।)
হাদীসটির মানঃ দুর্বল হাদীস
৮৯৭
আবু যার্র রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাঃআঃ আমাকে বললেন, ‘‘কোন পুণ্য কাজকে তুমি অবশ্যই তুচ্ছ মনে করো না, যদিও তা তোমার ভাইয়ের সাথে সহাস্য বদনে সাক্ষাৎ করার পুণ্যই হোক না কেন।’’
(মুসলিম ২৬২৬, তিরমিজী ১৮৩৩, ইবনু মাজাহ ৩৩৬২, দারেমী ২০৭৯)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
৮৯৮
আবু হুরাইরা রাঃআঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী সাঃআঃ হাসান ইবনে আলী রাঃআঃ-কে চুম্বন দিলেন। (তা দেখে) আক্বরা’ ইবনে হাবেস বলে উঠল, ‘আমার তো দশটি সন্তান আছে, তাদের মধ্যে কাউকে আমি চুমা দিইনি।’ (তা শুনে) রসুলুল্লাহ সাঃআঃ বললেন, ‘‘যে দয়া করে না, তার প্রতি দয়া করা হয় না।’’
(সহীহুল বুখারী শরীফ ৫৯৯৭, মুসলিম ২৩১৮, তিরমিজী ১৯১১, আবু দাঊদ ৫২১৮, ব্হ ৮০৮১, ৭২৪৭, ৭৫৯২, ১০২৯৫)
হাদীসটির মানঃ সহীহ হাদীস
Leave a Reply