সালাতে সুতরা
সালাতে সুতরা >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ৪, অধ্যায়ঃ ৯
- অধ্যায়ঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ
- অধ্যায়ঃ ৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
- অধ্যায়ঃ ৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ
অধ্যায়ঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ
৭৭২. [আবদুল্লাহ] ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ.
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] সকালে ঈদগাহে চলে যেতেন। যাবার সময় তাহাঁর সাথে একটি বর্শা নিয়ে যাওয়া হত। এ বর্শা সামনে রেখে তিনি সলাত আদায় করিতেন। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৯৭৩, ইবনি মাজাহ ১৩০৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৬১৬৮। সালাতে সুতরা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৭৭৩. আবু জুহায়ফাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি একবার মাক্কার আবতাহ্ নামক স্থানে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে একটি চামড়ার লাল তাঁবুতে দেখিতে পেলাম। বিলালকে দেখলাম রাসূলু্ল্লাহ [সাঃআঃ]-এর উযূর পানি হাতে তুলে নিতে। আর [অন্যান্য] লোকদেরকে দেখলাম উযূর অবশিষ্ট পানি নিবার জন্য কাড়াকাড়ি করছে। যারা তাহাঁর ব্যবহারের অবশিষ্ট উযূর পানি আনতে পেরেছে তারাই তা বারাকাতের জন্যে সারা শরীর ও মুখমণ্ডলে মাখছে। আর যারা উযূর পানি আনতে পারেনি তারা সঙ্গী সাথীদের [যারা পানি পেয়েছে] ভিজা হাত স্পর্শ করছে। এরপর আমি বিলালকে দেখলাম, হাতে একটি বর্শা নিল ও তা মাটিতে পুঁতে দিল। এ সময় রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বের হয়ে এলেন। কাপড়ের কিনারা সামলে লোকদেরকে নিয়ে দুই রাকআত সলাত আদায় করিলেন। সে বর্শাটি তখন তাহাঁর সামনে ছিল। এ সময় মানুষ ও জন্তু-জানোয়ারকে দেখলাম বর্শার বাইরে দিয়ে যাতায়াত করছে। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৩৭৬, মুসলিম ৫০৩, আবু দাউদ ৫২০, সহীহ ইবনি খুযাইমাহ্ ২৩৯৪। সালাতে সুতরা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৭৭৪. নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] [খোলা জায়গায় সলাত আদায় করলে] নিজের উটকে সামনে আড়াআড়িভাবে বসিয়ে উটের দিকে মুখ করে সলাত আদায় করিতেন। বোখারীর বর্ণনায় এ কথাও রয়েছে যে, নাফি বলেন, আমি ইবনি উমারকে জিজ্ঞেস করলাম, উট মাঠে চরাতে গেলে তিনি [সাঃআঃ] তখন কি করিতেন? উত্তরে ইবনি উমার [রাদি.] বলেন, তখন তিনি [সাঃআঃ] উটের হাওদা নিতেন এবং হাওদার পিছনের ডাণ্ডাকে সামনে রেখে সলাত আদায় করিতেন। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৫০৭, মুসলিম ৫০২, আবু দাউদ ৬৯২, তিরমিজি ৩৫২, আহমাদ ৪৪৬৮। সালাতে সুতরা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৭৭৫. ত্বলহাহ্ [রাদি.] ইবনি উবায়দুল্লাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: সলাত আদায় করার সময় হাওদার পিছনের দিকে লাঠির মত কোন কিছু সুতরাহ্ বানিয়ে সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়ে সলাত আদায় করিবে। এরপর তার সামনে দিয়ে কে এলো আর গেল তার কোন পরোয়া করিবে না। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ৪৪৯, তিরমিজি ৩৩৫, সহীহ ইবনি হিব্বান ২৩৭৯, সহীহ আল জামি ৮২৭। সালাতে সুতরা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৭৭৬. আবু জুহায়ম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: সলাত আদায়কারী ব্যক্তির সামনে দিয়ে যাতায়াতকারী এতে কি গুনাহ হয়, যদি জানত তাহলে সে সলাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে যাতায়াত অপেক্ষা চল্লিশ… পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা উত্তম মনে করত। এ হাদিসের বর্ণনাকারী আবু নাযর বলেন, ঊর্ধ্বতন রাবী চল্লিশ দিন অথবা চল্লিশ মাস অথবা চল্লিশ বছর বলেছেন আমার তা মনে নেই। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৫১০, মুসলিম ৫০৭, আবু দাউদ ৭০১, নাসায়ী ৭৫৬, তিরমিজি ৩৩৬, আহমাদ ১৭৫৪০, দারিমি ১৪৫৭, সহীহ ইবনি খুযাইমাহ্ ২৩৬৬, সহীহ আল জামি ৫৩৩৭, সহীহ আত তারগীব ৫৫৯। সালাতে সুতরা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৭৭৭. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, যখন কেউ কিছুর আড়াল দিয়ে সলাত শুরু করে, আর কেউ আড়ালের ভিতর দিয়ে চলাচল করিতে চায় তাকে বাধা দিবে। সে বাধা অমান্য করলে তার সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। কারণ চলাচলকারী [মানুষের আকৃতিতে] শায়ত্বান। এ বর্ণনাটি বোখারীর। মুসলিমেও এ মর্মে বর্ণনা আছে। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৫০৯, মুসলিম ৫০৫, আবু দাউদ ৭০০, আহমাদ ১১০৭, দারিমি ১৪৫১, সহীহ আল জামি ৬৩৮। সালাতে সুতরা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৭৭৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : নারী, গাধা ও কুকুর সলাত [সামনে দিয়ে অতিক্রম করে] নষ্ট করে। আর এর থেকে রক্ষা করে হাওদার [পেছনে দন্ডায়মান] ডান্ডার ন্যায় কিছু বস্তু। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ৫১১। সালাতে সুতরা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৭৭৯. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] রাতে সলাত আদায় করিতেন। আমি তাহাঁর ও ক্বিবলার মাঝখানে শুয়ে থাকতাম আড়াঅড়িভাবে লাশ পড়ে থাকার মতো। {১} [হাদিসটি সহীহ: বোখারী ৫১৫, মুসলিম ৫১২।]
{১} সহীহ : বোখারী ৫১৫, মুসলিম ৫১২, ইবনি মাজাহ ৯৫৬, আহমাদ ২৪০৮৮। সালাতে সুতরা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৭৮০. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন একবার আমি একটি মাদি গাধার উপর আরোহণ করে এলাম। তখন আমি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার উপক্রম হয়ে গেছি। এ সময় রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মিনায় অন্যান্য লোকজনসহ কোন দেয়ালের আড়াল ছাড়া সলাত আদায় করছিলেন। আমি কাতারের এক পাশের সামনে দিয়ে চলে গেলাম। এরপর গাধাটাকে চরাবার জন্য ছেড়ে দিয়ে আমি কাতারে দাঁড়িয়ে গেলাম। আমার এই কাজে কেউই কোন আপত্তি জানাল না। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৭৬, মুসলিম ৫০৪, আবু দাউদ ৭১৫, সহীহ ইবনি হিব্বান ২১৫১। সালাতে সুতরা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
অধ্যায়ঃ ৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৭৮১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : তোমাদের কেউ যখন সলাত আদায় করিবে সে যেন তার সামনে কিছু গেড়ে দেয়। কিছু যদি না পায় তাহলে তার লাঠিটা যেন দাঁড় করিয়ে দেয়। যদি তার সাথে লাঠিও না থাকে, তাহলে সে যেন সামনে একটা রেখা টেনে দেয়। এরপর তার সামনে দিয়ে কিছু যাতায়াত করলে তার কোন ক্ষতি হবে না। {১}
{১} জইফ : আবু দাউদ ৬৮৯, ইবনি মাজাহ ৯৪৩, জইফ আল জামি ৫২৯। কারণ এর সানাদে চরম বিশৃ্ঙ্খলা ও দুজন অপরিচিত রাবী রয়েছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
৭৮২. সাহল ইবনি আবু হাসমাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : তোমাদের কেউ সুতরাহ্ দাঁড় করিয়ে সলাত আদায় করলে সে যেন সুতরার কাছাকাছি দাঁড়ায়। তাহলে শয়তান তার সলাত নষ্ট করিতে পারবে না। {১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ৬৯৫। সালাতে সুতরা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৭৮৩. মিক্বদাদ ইবনি আসওয়াদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে কখনও কোন কাঠ, স্তম্ভ অথবা কোন গাছকে [সোজাসুজি] সামনে রেখে সলাত আদায় করিতে দেখিনি। যখনই দেখেছি তিনি, এগুলকে নিজের ডান ভ্রু অথবা বাম ভ্রুর সোজাসুজি রেখেছেন। নাক বরাবর সোজা রাখেননি। {১}
{১} জইফ : আবু দাউদ ৬৯৩। কারণ এর সানাদে একজন দুর্বল ও একজন অপরিচিত রাবী রয়েছে। অধিকন্তু এর সানাদ ও মাতান মুযত্বরিব বা বিশৃঙ্খলাপূর্ণ। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
৭৮৪. ফাযল ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের কাছে তাশরীফ আনলেন। আর আমরা তখন বনে অবস্থান করছিলাম। তাহাঁর সাথে ছিলেন আমার পিতা আব্বাস [রাদি.]। নবী [সাঃআঃ] তখন ময়দানে সলাত আদায় করিলেন, সামনে কোন আড়াল ছিল না। সে সময় আমাদের একটা গাধী ও একটি কুকুর তাহাঁর সামনে খেলাধূলা করছিল। কিন্ত নবী [সাঃআঃ] এদিকে কোন দৃষ্টি দিলেন না। {১}
{১} জইফ : আবু দাউদ ৭১৮। কারণ এর সানাদে অপরিচিত রাবী ও বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। আর এ ঘটনায় সহীহ হাদিস হলো পূর্ববর্তী ইবনি আব্বাস-এর হাদিসটি। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
৭৮৫. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : কোন কিছুই সলাত নষ্ট করিতে পারে না। এরপরও সলাতের সম্মুখ দিয়ে কিছু যাতায়াত করলে সাধ্য অনুযায়ী তাকে বাধা দিবে। নিশ্চয়ই তা শায়ত্বন। {১}
{১} জইফ : আবু দাউদ ৭১৯, যঈফু আল জামি ৬৩৬৬। কারণ এর সানাদে মুজালিদ ইবনি সাঈদ নামে মদ স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন একজন রাবী রয়েছে। আর তিনি এ হাদিসটি একবার মারফূ আর একবার মাওকূফ সূত্রে বর্ণনা করার মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করিয়াছেন। হাদিসের প্রথমাংশটি সহীহ হাদিসের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়ায় দুর্বল। আর দ্বিতীয় অংশটির অর্থ সহীহ। কারণ এর স্বপক্ষে শাহিদ রয়েছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
অধ্যায়ঃ ৯. তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৭৮৬. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সামনে ঘুমাতাম। আর আমার দু পা থাকত তাহাঁর ক্বিবলার দিকে। তিনি যখন সাজদাহ্ দিতেন আমাকে টোকা দিতেন। আমি আমার পা দুটি গুটিয়ে নিতাম। তারপর তিনি দাঁড়িয়ে গেলে আমি আমার দু পা লম্বা করে দিতাম। আয়িশাহ্ [রাদি.] বলেন, সে সময় ঘরে আলো থাকত না। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৩৮২, মুসলিম ৫১২, নাসায়ী ১৬৮, আহমাদ ২৫১৪৮, সহীহ ইবনি হিব্বান ২৩৪২। সালাতে সুতরা -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৭৮৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেনঃ সলাত [সালাত/নামায/সলাত] আদায়কারীর সামনে দিয়ে যাতায়াত কত বড় গুনাহ তা যদি তোমাদের কেউ জানতো, তাহলে সে [সলাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে] যাতায়াতের চেয়ে এক শত বছর পর্যন্ত [এক জায়গায়] দাঁড়িয়ে থাকাকে বেশী উত্তম মনে করতো। [ইবনি মাজাহ]{১}
{১} জইফ : ইবনি মাজাহ ৯৪৬, জইফ আল জামি ৫১২। যদিও মুনযিরী তারগীবে একে সহীহ বলেছেন কিন্তু এর সানাদে একজন বিতর্কিত ও একজন অপরিচিত রাবী থাকায় তা দুর্বল। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
৭৮৮. কাব ইবনি আহবার [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যদি সলাত [সালাত/নামায/সলাত] আদায়কারীর সামনে দিয়ে অতিক্রমকারী জানতো তার এই অপরাধের শাস্তি কি, তাহলে সে নিজের জন্য ভূগর্ভে ধ্বসে যাওয়াকে সলাত আদায়কারীর সামনে দিয়ে যাবার চেয়েও উত্তম মনে করতো। অন্য এক বর্ণনায় উত্তম-এর স্থানে বেশী সহজ শব্দ এসেছে। [মালিক]{১}
{১} মাক্বতূ : মুয়াত্ত্বা মালিক ৩৬৩। হাদিসের সানাদটি সহীহ তবে তা বিচ্ছিন্ন। অর্থাৎ- তাবিঈ কাব আল আহবার পর্যন্ত পৌঁছেছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ মাক্বতু
৭৮৯. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন আড়াল ছাড়া [সুতরাহ্] সলাত [সালাত/নামায/সলাত] আদায় করে, আর তার সম্মুখ দিয়ে গাধা, শূকর, ইয়াহূদী, মাজূসী ও স্ত্রীলোক অতিক্রম করে তাহলে তার সলাত [সালাত/নামায/সলাত] ভেঙ্গে যাবে। তবে যদি একটি কঙ্কর নিক্ষেপের পরিমাণ দূর দিয়ে যায় তাহলে কোন দোষ নেই। [আবু দাউদ]{১}
{১} জইফ : আবু দাউদ ৭০৪, জইফ আল জামি ৫৬৫। দুটি কারণে প্রথমত এখানে তার أَحْسِبُه عَنْ رَسُوْلِ اللهِ উক্তির মাধ্যমে হাদিসটি মারফূ হওয়ার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করিয়াছেন। দ্বিতীয়ত এখানে ইয়াহ্ইয়া ইবনি কাসীর-এর عَنْعَنَة রয়েছে।এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
Leave a Reply