সালাতে কসর করা । কত দিনের সফরে সালাত কসর করিবে।
সালাতে কসর করা । কত দিনের সফরে সালাত কসর করিবে। >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ১৮, সালাতে কসর করা, অধ্যায়ঃ (১-২০)=২০টি
১৮/১. অধ্যায়ঃ কসর সম্পর্কে বর্ণনা এবং কতদিন অবস্থান পর্যন্ত কসর করিবে।
১৮/২. অধ্যায়ঃ মিনায় সালাত
১৮/৩. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃআঃ) বিদায় হজ্জে কত দিন অবস্থান করেছিলেন?
১৮/৪. অধ্যায়ঃ কত দিনের সফরে সালাত কসর করিবে।
১৮/৫. অধ্যায়ঃ যখন নিজ আবাসস্থল হইতে বের হইবে তখন হইতেই কসর করিবে।
১৮/৬. অধ্যায়ঃ সফরে মাগরিবের সালাত তিন রাকআত আদায় করা।
১৮/৭. অধ্যায়ঃ সাওয়ারীর উপরে সাওয়ারী যে দিকে মুখ করে থাকবে সেদিকে ফিরে নফল সালাত আদায় করা।
১৮/৮. অধ্যায়ঃ জন্তুর উপর ইঙ্গিতে সালাত আদায় করা।
১৮/৯. অধ্যায়ঃ ফরজ সালাতের সওয়ারী হইতে অবতরণ করা।
১৮/১০. অধ্যায়ঃ গাধার উপর (সওয়ার হয়ে) নফল সালাত আদায় করা। [১]
১৮/১১. অধ্যায়ঃ সফরকালে ফরজ সালাতের আগে ও পরে নফল সালাত আদায় না করা।
১৮/১২. অধ্যায়ঃ সফরে ফরজ সালাতের পূর্বে ও পরে নফল আদায় করা।
১৮/১৩. অধ্যায়ঃ সফর অবস্থায় মাগরিব ও ইশা সালাত জমা করা।
১৮/১৪. অধ্যায়ঃ মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করলে আযান দিবে, না ইকামাত?
১৮/১৫. অধ্যায়ঃ সূর্য ঢলে পড়ার আগে সফরে রওয়ানা হলে যুহরের সালাত আসরের সময় পর্যন্ত বিলম্বিত করা।
১৮/১৬. অধ্যায়ঃ সূর্য ঢলে পড়ার পর সফর আরম্ভ করলে যুহরের সালাত আদায় করার পর সওয়ারীতে আরোহণ করা।
১৮/১৭. অধ্যায়ঃ উপবিষ্ট ব্যক্তির সালাত।
১৮/১৮. অধ্যায়ঃ উপবিষ্ট ব্যক্তির ইঙ্গিতে সালাত আদায়।
১৮/১৯. অধ্যায়ঃ বসে সালাত আদায় করিতে না পারলে কাত হয়ে শুয়ে সালাত আদায় করিবে।
১৮/২০. অধ্যায়ঃ বসে সালাত আদায়কারী সুস্থ হয়ে গেলে কিংবা একটু হাল্কাবোধ করলে, বাকী সালাত (দাঁড়িয়ে) পূর্ণভাবে আদায় করিবে।
১৮/১. অধ্যায়ঃ কসর সম্পর্কে বর্ণনা এবং কতদিন অবস্থান পর্যন্ত কসর করিবে।
১০৮০. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) একদা সফরে ঊনিশ দিন পর্যন্ত অবস্থান কালে সালাত কসর করেন। সেহেতু আমরাও ঊনিশ দিনের সফরে থাকলে কসর করি এবং এর চেয়ে অধিক হলে পূর্ণ সালাত আদায় করি।
১০৮১. আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমরা নাবী (সাঃআঃ)-এর সাথে মদীনা ফিরে আসা পর্যন্ত তিনি দুরাকআত, দুরাকআত সালাত আদায় করিয়াছেন। (রাবী বলেন) আমি (আনাস রা.)-কে বললাম, আপনারা (হজ্জকালীন সময়) মক্কায় কয় দিন অবস্থান করেছিলেন? তিনি বলিলেন, সেখানে আমরা দশ দিন অবস্থান করেছিলাম।
১৮/২. অধ্যায়ঃ মিনায় সালাত
১০৮২. আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ) আবু বক্র এবং উমর (রাদি.)-এর সঙ্গে মিনায় দুরাকআত সালাত আদায় করেছি। উসমান (রাদি.)-এর সঙ্গেও তাহাঁর খিলাফতের প্রথম দিকে দুরাকআত আদায় করেছি। অতঃপর তিনি পূর্ণ সালাত আদায় করিতে লাগলেন।
১০৮৩. হারিসা ইবনু ওয়াহব (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) নিরাপদ অবস্থায় আমাদেরকে নিয়ে মিনায় দুরাকআত সালাত আদায় করেন।
১০৮৪. ইবরাহীম (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
আমি আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-কে বলিতে শুনিয়াছি, উসমান ইবনু আফ্ফান (রাদি.) আমাদেরকে নিয়ে মিনায় চার রাকআত সালাত আদায় করিয়াছেন। অতঃপর এ সম্পর্কে আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাদি.)-কে বলা হলো, তিনি প্রথমে ইন্না লিল্লাহ পড়লেন, অতঃপর বলিলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে মিনায় দুরাকআত পড়েছি এবং উমর ইবনু খাত্তাব (রাদি.)-এর সঙ্গে মিনায় দুরাকআত পড়েছি। কতই না ভাল হতো যদি চার রাকআতের পরিবর্তে দুরাকআত মাকবূল সালাত হতো।
১৮/৩. অধ্যায়ঃ নাবী (সাঃআঃ) বিদায় হজ্জে কত দিন অবস্থান করেছিলেন?
১০৮৫. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) এবং তাহাঁর সাহাবীগণ (যুল হিজ্জার) ৪র্থ তারিখ সকালে (মক্কায়) আগমন করেন এবং তাঁরা হাজ্জের জন্য তালবীয়া পাঠ করিতে থাকেন। অতঃপর তিনি তাঁদের হাজ্জকে উমরায় পরিণত করার আদেশ দেন। তবে তারা ব্যতীত যাঁদের নিকট হাদী (কুরবানীর পশু) ছিল। হাদীস বর্ণনায় আতা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.)-এর অনুসরণ করিয়াছেন।
১৮/৪. অধ্যায়ঃ কত দিনের সফরে সালাত কসর করিবে।
এক দিন ও এক রাতের সফরকে রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) সফর বলে উল্লেখ করিয়াছেন। ইবন উমর ও ইবন আব্বাস (রাদি.) চার বুরদ অর্থাৎ ষোল ফারসাখ দূরত্বে কসর করিতেন এবং সাওম পালন করিতেন না। [১]
[১] এক ফারসাখ হলো- তিন মাইল। – আইনী
১০৮৬. ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন: কোন নারীই যেন মাহরামকে
[২] সঙ্গে না নিয়ে তিন দিনের সফর না করে।. [২] ইসলামের দৃষ্টিতে যাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া হারাম এমন পুরুষ ব্যক্তি।
১০৮৭. আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ কোন মহিলার সাথে কোন মাহরাম পুরুষ না থাকলে, সে যেন তিন দিনের সফর না করে। আহমাদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)….ইবনু উমর (রাদি.) সূত্রে নাবী (সাঃআঃ) হইতে হাদীস বর্ণনায় উবাইদুল্লাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-এর অনুসরণ করিয়াছেন।
১০৮৮. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যে মহিলা আল্লাহ এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, তার পক্ষে কোন মাহরাম পুরুষকে সাথে না নিয়ে একদিন ও এক রাত্রির পথ সফর করা জায়িয নয়। ইয়াহইয়া ইবনু আবু কাসীর সুহায়ল ও মালিক (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)….হাদীস বর্ণনায় ইবনু আবু যিব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-এর অনুসরণ করিয়াছেন।
১৮/৫. অধ্যায়ঃ যখন নিজ আবাসস্থল হইতে বের হইবে তখন হইতেই কসর করিবে।
আলী (রাদি.) বের হওয়ার পরই কসর করিলেন । অথচ তাঁকে বলা হল, এ তো কূফা । তিনি বলিলেন, না, যতক্ষণ পর্যন্ত কূফায় প্রবেশ না করি (ততক্ষন কসর করব)
১০৮৯. আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে মদীনায় যুহরের সালাত চার রাকআত আদায় করেছি এবং যুল-হুলাইফায় আসরের সালাত দু রাকআত আদায় করেছি।
১০৯০. আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, প্রথম অবস্থায় সালাত দু রাকআত করে ফরজ করা হয় অতঃপর সফরে সালাত সেভাবেই স্থায়ী থাকে এবং মুকীম অবস্থায় সালাত পূর্ণ (চার রাকআত) করা হয়েছে। যুহরী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আমি উরওয়াহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-কে জিজ্ঞেস করলাম, (মিনায়) আয়েশা (রাদি.) কেন সালাত পূর্ণ আদায় করিতেন? তিনি বলিলেন, উসমান (রাদি.) যে ব্যাখ্যা গ্রহণ করিয়াছেন, আয়েশা (রাদি.) তা গ্রহণ করিয়াছেন।
১৮/৬. অধ্যায়ঃ সফরে মাগরিবের সালাত তিন রাকআত আদায় করা।
১০৯১. আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-কে দেখেছি সফরে ব্যস্ততার কারণে তিনি মাগরিবের সালাত বিলম্বিত করিয়াছেন, এমনকি মাগরিব ও ইশার সালাত একত্রে আদায় করিয়াছেন। সালিম (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) সফরের ব্যস্ততার সময় এ রকমই করিতেন।
১০৯২. See previous Hadith. অপর এক সূত্রে সালিম (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
ইবনু উমর (রাদি.) মুযদালিফায় মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করিতেন। সালিম (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আরও বলেন, ইবনু উমর (রাদি.) তাহাঁর স্ত্রী সাফিয়্যাহ বিনত আবু উবাইদ-এর দুঃসংবাদ পেয়ে মদীনা ফেরার সময় মাগরিবের সালাত বিলম্বিত করেন। আমি তাঁকে বললাম, সালাতের সময় হয়ে গেছে। তিনি বলিলেন, চলতে থাক। আমি আবার বললাম, সালাত? তিনি বলিলেন, চলতে থাক। এমনকি দুই বা তিন মাইল অগ্রসর হলেন। অতঃপর নেমে সালাত আদায় করিলেন। পরে বলিলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ)-কে সফরের ব্যস্ততার সময় এমনভাবে সালাত আদায় করিতে দেখেছি। আবদুল্লাহ (রাদি.) আরো বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ)-কে দেখেছি, সফরে যখনই তাহাঁর ব্যস্ততা ঘটেছে, তখন তিনি মাগরিবের সালাত (দেরী করে) আদায় করিয়াছেন এবং তা তিন রাকআতই আদায় করিয়াছেন। মাগরিবের সালাম ফিরিয়ে অল্প দেরি করেই ইশার ইকামত দেয়া হত এবং দুরাকআত আদায় করে সালাম ফিরাতেন। কিন্তু ইশার পরে গভীর রাত না হওয়া পর্যন্ত (নফল) সালাত আদায় করিতেন না।
১৮/৭. অধ্যায়ঃ সাওয়ারীর উপরে সাওয়ারী যে দিকে মুখ করে থাকবে সেদিকে ফিরে নফল সালাত আদায় করা।
১০৯৩. আমির (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ)-কে দেখেছি, তাহাঁর সাওয়ারী যে দিকেই ফিরেছে, তিনি সে দিকেই সালাত আদায় করিয়াছেন।
১০৯৪. জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) সওয়ার অবস্থায় ক্বিবলা ছাড়া অন্য দিকে মুখ করে নফল সালাত আদায় করিয়াছেন।
১০৯৫. নাফি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনু উমর (রাদি.) তাহাঁর সওয়ারীর উপর (নফল) সালাত আদায় করিতেন এবং এর উপর বিতরও আদায় করিতেন। তিনি বর্ণনা করিয়াছেন যে, নাবী (সাঃআঃ) এমন করিতেন।
১৮/৮. অধ্যায়ঃ জন্তুর উপর ইঙ্গিতে সালাত আদায় করা।
১০৯৬. আবদুল্লাহ ইবনু দীনার (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) সফরে সওয়ারী যে দিকেই ফিরেছে সে দিকেই মুখ ফিরে ইঙ্গিতে সালাত আদায় করিতেন এবং আবদুল্লাহ (রাদি.) বর্ণনা করিয়াছেন যে, নাবী (সাঃআঃ) এমন করিতেন।
১৮/৯. অধ্যায়ঃ ফরজ সালাতের সওয়ারী হইতে অবতরণ করা।
১০৯৭. আমির ইবনু রাবীআ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-কে দেখেছি, তিনি সওয়ারীতে উপবিষ্ট অবস্থায় মাথা দিয়ে ইঙ্গিত করে সে দিকেই সালাত আদায় করিতেন যে দিকে সওয়ারী ফিরত। কিন্তু আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) ফরজ সালাতে এমন করিতেন না।
১০৯৮. সালিম (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ (রাদি.) সফরকালে রাতের বেলায় সওয়ারীর উপর থাকা অবস্থায় সালাত আদায় করিতেন, কোন্ দিকে তাহাঁর মুখ রয়েছে সে দিকে লক্ষ্য করিতেন না এবং ইবনু উমর (রাদি.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) সওয়ারীর উপর নফল সালাত আদায় করিয়াছেন, সওয়ারী যে দিকে মুখ ফিরিয়েছে সে দিকেই এবং তার উপর বিতরও আদায় করিয়াছেন। কিন্তু সওয়ারীর উপর ফরজ সালাত আদায় করিতেন না।
১০৯৯. জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) সওয়ারীর উপর পূর্ব দিক ফিরেও সালাত আদায় করিয়াছেন। কিন্তু যখন তিনি ফরজ সালাত আদায় করার ইচ্ছা করিতেন, তখন তিনি সওয়ারী হইতে অবতরণ করিতেন এবং ক্বিবলামুখী হইতেন।
১৮/১০. অধ্যায়ঃ গাধার উপর (সওয়ার হয়ে) নফল সালাত আদায় করা। [১]
[১] প্রাণীর উপর সাওয়ার অবস্থায় ক্বিবলার দিক থেকে অন্য দিকে মুখ ঘুরে গেলে সে অবস্থায় সালাত আদায় করা যাবে কিন্তু ফরজ সালাত নয়।
১১০০. আনাস ইবনু সীরীন (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) যখন সিরিয়া হইতে ফিরে আসছিলেন, তখন আমার তাঁকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য এগিয়ে এসেছিলাম। আইনুত্ তামর (নামক) স্থানে আমরা তাহাঁর সাক্ষাৎ পেলাম। তখন আমি তাঁকে গাধার পিঠে (আরোহী অবস্থায়) সামনের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করছেন। অর্থাৎ ক্বিবলার বাম দিকে মুখ করে। তখন তাঁকে আমি প্রশ্ন করলাম, আপনাকে তো দেখলাম ক্বিবলা ছাড়া অন্য দিকে মুখ করে সালাত আদায় করিয়াছেন? তিনি বলিলেন, যদি আমি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-কে এমন করিতে না দেখতাম, তবে আমিও তা করতাম না।
১৮/১১. অধ্যায়ঃ সফরকালে ফরজ সালাতের আগে ও পরে নফল সালাত আদায় না করা।
১১০১. হাফ্স ইবনু আসিম (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
ইবনু উমর (রাদি.) একবার সফর করেন এবং বলেন, আমি নাবী (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে থেকেছি, সফরে তাঁকে নফল সালাত আদায় করিতে দেখিনি এবং আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেনঃ “নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।”
(সুরা আল-আহযাব ৩৩/২২১)
১১০২. হাফস ইবনু আসিম (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইবনু উমর (রাদি.)-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, আমি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম, তিনি সফরে দু রাকআতের অধিক আদায় করিতেন না। আবু বক্র, উমর ও উসমান (রাদি.)-এর এ রীতি ছিল। [১]
[১] অত্র হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) সফরে চিরকালই কস্র করেন, কখনো পূর্ণ সালাত আদায় করেননি। তাই একদল আলিমের মতে সফরে কাসর করিতেই হইবে। পূর্ণ পড়লে চলবে না। ইবনু উমর বলেন, সফরের সালাত দুরাকআত। যে ব্যক্তি এ সুন্নাত ত্যাগ করিবে সে কুফরী করে- (মুহাল্লা ৪র্থ খণ্ড ২৬৬ পৃষ্ঠা)। ইবনু আব্বাস বলেন, যে ব্যক্তি সফরে চার রাকআত পড়ে, সে যেন ঘরে দুরাকআত পড়ে। (ঐ ২৭০ পৃষ্ঠা)
ইমাম ইবনু কাইয়ূম বলেন, নাবী (সাঃআঃ) সফরে ৪ রাকআত বিশিষ্ট সালাত গুলো ৪ রাকআতই আদায় করিয়াছেন এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। আর আয়েশা (রাদি.)-এর হাদীসে আছে যে, নাবী (সাঃআঃ) কাস্র এবং পূর্ণ দুরকমই আদায় করিয়াছেন-সে হাদীসটি সম্পর্কে ইমাম ইবনু তাইমিয়া বলেন, হাদীসটি সহীহ নয়, বরং এটা আল্লাহর রসূলের উপরে একটা মিথ্যা অপবাদ। (যাদুল মাআদ ১ম খণ্ড ১২৮ পৃষ্ঠা)
১৮/১২. অধ্যায়ঃ সফরে ফরজ সালাতের পূর্বে ও পরে নফল আদায় করা।
সফরে নাবী (সাঃআঃ) ফজরের দু রাকাআত (সুন্নাত) আদায় করিয়াছেন।
১১০৩. ইবনু আবু লায়লা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
উম্মু হানী (রাদি.) ব্যতীত অন্য কেউ নাবী (সাঃআঃ)-কে সলাতুয্ যুহা (পূর্বাহ্নের সালাত) আদায় করিতে দেখেছেন বলে আমাদের জানান নি। তিনি [উম্মু হানী (রাদি.)] বলেন, নাবী (সাঃআঃ) মক্কা বিজয়ের দিন তাহাঁর ঘরে গোসল করার পর আট রাকআত সালাত আদায় করিয়াছেন। আমি তাঁকে এর চেয়ে সংক্ষিপ্তভাবে কোন সালাত আদায় করিতে দেখিনি, তবে তিনি রুকূ ও সিজদা পূর্ণভাবে আদায় করেছিলেন।
১১০৪. আমির ইবনু রাবীআ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি (সাঃআঃ)-কে রাতের বেলা সফরে বাহনের পিঠে বাহনের গতিপথ অভিমুখী হয়ে নফল সালাত আদায় করিতে দেখেছেন।
১১০৫. ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) (সফরে) তাহাঁর বাহনের পিঠে এর গতিপথ অভিমুখী হয়ে মাথার দ্বারা ইঙ্গিত করে নফল সালাত আদায় করিতেন। আর ইবনু উমর (রাদি.)ও তা করিতেন।
১৮/১৩. অধ্যায়ঃ সফর অবস্থায় মাগরিব ও ইশা সালাত জমা করা।
১১০৬. সালিম (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) তার পিতা হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) যখন দ্রুত সফর করিতেন, তখন মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করিতেন।
১১০৭. ইবনু আব্বাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সফরে দ্রুত চলার সময় আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) যুহর ও আসরের সালাত একত্রে আদায় করিতেন আর মাগরিব ইশা একত্রে আদায় করিতেন। [১]
[১] অত্র হাদীস দ্বারা দুওয়াক্তের সালাত এক ওয়াক্তে একত্রিত করা চলে। তিনি (সাঃআঃ) কিভাবে জমা করিতেন এ সম্পর্কে মুআয ইবনু জাবালের হাদীস থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়। তিনি বলেন, তাবূক যুদ্ধের সময় আল্লাহর নাবী (সাঃআঃ) সফর শুরু করার পূর্বে সূর্য ঢলে যেত তখন তিনি (যুহরের ওয়াক্তেই) যুহর ও আসর জমা করিতেন এবং সূর্য ঢলার পূর্বে যদি তিনি রওয়ানা হইতেন তাহলে যুহরকে দেরী করিতেন এবং আসরের সময় সাওয়ারী থেকে নেমে যুহর ও আসর জমা করিতেন। আর মাগরিবেও তিনি এরূপ করিতেন। অর্থাৎ রওয়ানা হওয়ার পূর্বে যদি সূর্য ডুবে যেত তাহলে (মাগরিবের ওয়াক্তে) তিনি মাগরিব ও ইশা জমা করিতেন এবং সূর্য ডোববার পূর্বে যদি রওয়ানা হইতেন তাহলে মাগরীবকে দেরী করিতেন এবং ইশার সময়ে নেমে মাগরিব ও ইশা জমা করিতেন (আবু দাউদ, তিরমিযী, মিশকাত ১১৮ পৃষ্ঠা)
হানাফিগণ বলেন, সালাত জমা করিতে হলে প্রথম ওয়াক্তকে দেরী করে শেষ ওয়াক্তে নিয়ে গিয়ে এবং দ্বিতীয় ওয়াক্তকে একটু আগে টেনে দুওয়াক্তের মাঝখানে জমা করিতে হইবে। অর্থাৎ যুহরের আওয়াল ওয়াক্তে আসর জমা হইবে না এবং আসরের আউয়াল ওয়াক্তে যুহর জমা হইবে না। বরং যুহরের শেষ ওয়াক্তে যুহর ও আসরকে জমা করিতে হইবে। আল্লামা রহমানী বলেন, বুখারী; মুসলিম, আবু দাউদ ও নাসায়ীর রিওয়াতকৃত আনাস, ইবনু উমর ও জাবির কর্তৃক বর্ণিত সহীহ ও স্পষ্ট হাদীসগুলো হানাফিগণের উক্ত মতটিকে বাতিল বলে প্রমাণিত করে এবং এ কথার সাক্ষ্য দেয় যে, দুওয়াক্তের মধ্যে যে কোন এক ওয়াক্তে দুওয়াক্তের সালাত জমা হইতে পারে- (মিরআত ২/২৬৯)। ইমাম শাফিঈ, মালিক ও আহমাদের মতও তাই- (আওনুল মাবূদ ১/৪৭২)।
১১০৮. আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) সফর কালে মাগরিব ও ইশার সালাত একত্রে আদায় করিতেন এবং আলী ইবনু মুবারাক ও হারব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)…. আনাস (রাদি.) হইতে হাদীস বর্ণনায় হুসাইন (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-এর অনুসরণ করিয়াছেন যে, নাবী (সাঃআঃ) একত্রে আদায় করিয়াছেন।
১৮/১৪. অধ্যায়ঃ মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করলে আযান দিবে, না ইকামাত?
১১০৯. আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসুল (সাঃআঃ)-কে দেখেছি যখন সফরে তাঁকে দ্রুত পথ অতিক্রম করিতে হত, তখন মাগরিবের সালাত এত বিলম্বিত করিতেন যে মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করিতেন। সালিম (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) ও দ্রুত সফরকালে ঐ রকমই করিতেন। তখন ইকামাতের পর মাগরিব তিন রাকআত আদায় করিতেন এবং সালাম ফিরাতেন। অতঃপর অল্প সময় অপেক্ষা করেই ইশা-এর ইকামাত দিয়ে তা দুরাকআত আদায় করে সালাম ফিরাতেন। এ দুয়ের মাঝখানে কোন নফল সালাত আদায় করিতেন না এবং ইশার পরেও না। অতঃপর মধ্যরাতে (তাহাজ্জুদের জন্য) উঠতেন।
১১১০. আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) সফরে এ দু সালাত একত্রে আদায় করিতেন অর্থাৎ মাগরিব ও ইশা।
১৮/১৫. অধ্যায়ঃ সূর্য ঢলে পড়ার আগে সফরে রওয়ানা হলে যুহরের সালাত আসরের সময় পর্যন্ত বিলম্বিত করা।
এ বিষয়ে নাবী (সাঃআঃ) থেকে আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাদি.)-এর বর্ণনা রয়েছে।
১১১১. আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) সূর্য ঢলে পড়ার পূর্বে সফর শুরু করলে আসরের ওয়াক্ত পর্যন্ত যুহর বিলম্বিত করিতেন এবং উভয় সালাত একত্রে আদায় করিতেন। আর (সফর শুরুর আগেই) সূর্য ঢলে গেলে যুহর আদায় করে নিতেন। অতঃপর সওয়ারীতে উঠতেন।
১৮/১৬. অধ্যায়ঃ সূর্য ঢলে পড়ার পর সফর আরম্ভ করলে যুহরের সালাত আদায় করার পর সওয়ারীতে আরোহণ করা।
১১১২. আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) সূর্য ঢলে পড়ার পূর্বে সফর শুরু করলে আসরের ওয়াক্ত পর্যন্ত যুহরের সালাত বিলম্বিত করিতেন। অতঃপর অবতরণ করে দু সালাত একসাথে আদায় করিতেন। আর যদি সফর শুরু করার পূর্বেই সূর্য ঢলে পড়তো তাহলে যুহরের আদায় করে নিতেন। অতঃপর সওয়ারীতে চড়তেন।
১৮/১৭. অধ্যায়ঃ উপবিষ্ট ব্যক্তির সালাত।
১১১৩. আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) তাহাঁর ঘরে সালাত আদায় করিলেন, তখন তিনি অসুস্থ ছিলেন। তাই তিনি বসে বসে সালাত আদায় করছিলেন এবং এক দল সাহাবী তাহাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করিতে লাগলেন। তখন তিনি বসে পড়ার জন্য তাদের প্রতি ইঙ্গিত করিলেন। অতঃপর সালাত শেষ করে তিনি বললেনঃ ইমাম নির্ধারণ করা হয় তাঁকে অনুসরণ করার উদ্দেশে। কাজেই তিনি রুকূ করলে তোমরা রুকূ করিবে এবং তিনি মাথা তুললে তোমরাও মাথা তুলবে।
১১১৪. আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) ঘোড়া হইতে পড়ে গেলেন। এতে আঘাত লেগে তাহাঁর ডান পাশের চামড়া ছিলে গেল। আমরা তাহাঁর রোগের খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য তাহাঁর নিকট গেলাম। ইতোমধ্যে সালাতের সময় হলে তিনি বসে সালাত আদায় করিলেন। আমরাও বসে সালাত আদায় করলাম। পরে তিনি বললেনঃ ইমাম তো নির্ধারণ করা হয় তাকে অনুসরণ করার জন্যে। কাজেই তিনি বললেনঃ ইমাম তাকবীর বললে, তোমরাও তাকবীর বলবে, রুকূ করলে তোমরাও রুকু করিবে, তিনি মাথা তুললে তোমরাও মাথা তুলবে। তিনি যখন ——- বলে তোমরা বলবে ——–।
১১১৫. ইমরান ইবনু হুসাইন (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি ছিলেন অর্শ রোগী। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-কে সালাত আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ যদি কেউ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে তবে তা-ই উত্তম। আর যে ব্যক্তি বসে সালাত আদায় করিবে, তাহাঁর জন্য দাঁড়িয়ে সালাত আদায়কারীর অর্ধেক সওয়াব আর যে শুয়ে আদায় করিবে তার জন্য বসে আদায়কারীর অর্ধেক সওয়াব।
১৮/১৮. অধ্যায়ঃ উপবিষ্ট ব্যক্তির ইঙ্গিতে সালাত আদায়।
১১১৬. ইমরান ইবনু হুসাইন (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি অর্শ রোগী ছিলেন, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-কে বসে সালাত আদায়কারীর ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেনঃ যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করিল সে উত্তম আর যে ব্যক্তি বসে সালাত আদায় করিল তার জন্য দাঁড়ান ব্যক্তির অর্ধেক সওয়াব আর যে শুয়ে আদায় করিল, তার জন্যে বসে সালাত আদায়কারীর অর্ধেক সওয়াব। আবু আবদুল্লাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আমার মতে এ হাদীসে ———— (ঘুমন্ত) এর দ্বারা ————- (শায়িত) অবস্থা বুঝানো হয়েছে।
১৮/১৯. অধ্যায়ঃ বসে সালাত আদায় করিতে না পারলে কাত হয়ে শুয়ে সালাত আদায় করিবে।
আতা (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, কিবলার দিকে মুখ করিতে অক্ষম ব্যক্তি যে দিকে সম্ভব সে দিকে মুখ করে সালাত আদায় করিবে।
১১১৭. ইমরান ইবনু হুসাইন (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমার অর্শ রোগ ছিল। তাই আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর খিদমতে সালাত সম্পর্কে প্রশ্ন করলাম, তিনি বললেনঃ দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করিবে, তা না পারলে বসে, যদি তাও না পার তাহলে শুয়ে।
১৮/২০. অধ্যায়ঃ বসে সালাত আদায়কারী সুস্থ হয়ে গেলে কিংবা একটু হাল্কাবোধ করলে, বাকী সালাত (দাঁড়িয়ে) পূর্ণভাবে আদায় করিবে।
হাসান (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেছেন, অসুস্হ ব্যক্তি ইচ্ছা করলে দুরাকাআত সালাত বসে এবং দুরাকাআত দাড়িয়ে আদায় করিতে পারে।
১১১৮. উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-কে অধিক বয়সে পৌঁছার পূর্বে কখনো রাতের সালাত বসে আদায় করিতে দেখেননি। (বার্ধক্যের) পরে তিনি বসে কিরআত পাঠ করিতেন। যখন তিনি রুকূ করার ইচ্ছা করিতেন, তখন দাঁড়িয়ে যেতেন এবং প্রায় ত্রিশ কিংবা চল্লিশ আয়াত তিলাওয়াত করে রুকূ করিতেন।
১১১৯. উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বসে সালাত আদায় করিতেন। বসেই তিনি কিরআত পাঠ করিতেন। যখন তাহাঁর কিরাআতের প্রায় ত্রিশ বা চল্লিশ আয়াত বাকী থাকত, তখন তিনি দাঁড়িয়ে যেতেন এবং দাঁড়িয়ে তা তিলাওয়াত করিতেন, অতঃপর রুকূ করিতেন; পরে সিজদা করিতেন। দ্বিতীয় রাকআতেও তেমনই করিতেন। সালাত শেষ করে তিনি লক্ষ্য করিতেন, আমি জেগে থাকলে আমার সাথে কথা বলিতেন আর ঘুমিয়ে থাকলে তিনিও শুয়ে পরতেন।
Leave a Reply