সালাতের নিষিদ্ধ সময়

সালাতের নিষিদ্ধ সময়

সালাতের নিষিদ্ধ সময়  >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ৪, অধ্যায়ঃ ২২

  • অধ্যায়ঃ ২২. প্রথম অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ২২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ২২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

অধ্যায়ঃ ২২. প্রথম অনুচ্ছেদ

১০৩৯. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন সূর্য উদয়ের ও অস্ত যাওয়ার সময় সলাত আদায়ের জন্য অন্বেষণ না করে। একটি বর্ণনার ভাষা হলো, তিনি বলেছেন, “যখন সূর্য গোলক উদিত হয় তখন সলাত ত্যাগ করিবে, যে পর্যন্ত সূর্য বেশ স্পষ্ট হয়ে না উঠবে। ঠিক এভাবে আবার যখন সূর্য গোলক ডুবতে থাকে তখন সলাত আদায় করা থেকে বিরত থাকিবে, যে পর্যন্ত সূর্য সম্পূর্ণভাবে ডুবে না যায়। আর সূর্য উঠার ও অস্ত যাওয়ার সময় সলাতের ইচ্ছা করিবে না। কারণ সূর্য শায়ত্বনের দু শিং-এর মধ্যখান দিয়ে উদয় হয়। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৫৮৫, ৩২৮৩, মুসলিম ৮২৮। সালাতের নিষিদ্ধ সময় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১০৪০. উকবাহ্ ইবনি আমির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, তিন সময় রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সলাত আদায় করিতে ও মুর্দা দাফন করিতে আমাদেরকে বারণ করিয়াছেন। প্রথম হলো সূর্য উদয়ের সময়, যে পর্যন্ত না তা সম্পূর্ণ উদিত হয়। দ্বিতীয় হলো দুপুরে একবারে সূর্য ঠিক স্থির হওয়ার সময় থেকে সূর্য ঢলার আগ পর্যন্ত। আর তৃতীয় হলো সূর্য ডুবে যাবার সময় যে পর্যন্ত না তা ডুবে যায়। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৮৩১। সালাতের নিষিদ্ধ সময় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১০৪১. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইরশাদ করেছেনঃ ফাজ্‌রের সলাতের পর সূর্য উঠে উপরে চলে না আসা পর্যন্ত আর কোন সলাত নেই। আর আস্‌রের সলাতের পর সূর্য না ডুবা পর্যন্ত কোন সলাত নেই। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৫৮৬, মুসলিম ৮২৭। সালাতের নিষিদ্ধ সময় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১০৪২. আমর ইবনি আবাসাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] মাদীনায় তাশরীফ আনলে আমিও মাদীনায় চলে আসলাম। তাহাঁর কাছে প্রবেশ করলাম। অতঃপর আমি বললাম, আমাকে সলাত সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বললেন, ফাজ্‌রের সলাত আদায় করো। এরপর সলাত হইতে বিরত থাকো যতক্ষণ পর্যন্ত সূর্য উঠে উপরে না আসে। কেননা, সূর্য উদয় হয় শায়ত্বনের দু শিং-এর মাঝখান দিয়ে। আর এ সময় কাফিরগণ [সূর্য পূজারীরা] একে সাজদাহ্ করে। তারপর সলাত পড়ো। কেননা এ সময়ে [আল্লাহর কাছে বন্দার] সলাতের উপস্থিতির সাক্ষ্য দেয়া হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত ছায়া বর্শার উপর উঠে না আসে ও জমিনের উপর না পড়ে [আর্থাৎ ঠিক দুপুরের সময়], এ সময়ও সলাত হইতে বিরত থাকো। এজন্য যে এ সময় জাহান্নমকে গরম করা হয়। তারপর ছায়া যখন সামান্য ঢলে যাবে তখন সলাত আদায় করো। সলাতের সময়টা মালায়িকাহ্র [ফেরেশ্‌তাদের] উপস্থিতি ও সাক্ষ্য দেয়ার সময় যে পর্যন্ত তুমি আস্‌রের সলাত আদায় না করিবে। তারপর আবার সলাত হইতে বিরত থাকিবে সূর্য ডুবা পর্যন্ত। কারণ সূর্য শায়ত্বনের দু শিং-এর মাঝখান দিয়ে অস্ত যায়। এ মুহূর্তে সূর্য পূজক কাফিররা সূর্যকে সাজদাহ্ করে। আম্‌র ইবনি আবাসাহ্‌ [রাদি.] বলেন, আমি আবার আবেদন করলাম, হে আল্লাহর রসূল! উযূর ব্যাপরে কিছু বয়ান করুন। তিনি বললেন, তোমাদের যে লোক উযূর পানি তুলে নিবে, কুলি করিবে, নাকে পানি দিয়ে ঝেড়ে নেবে। তাতে তার চেহারার, মুখের ও নাকের ছিদ্রের পাপরাশি ঝরে যায়। সে যখন তার চেহারাকে আল্লাহর নির্দেশ মতো ধুয়ে নেয় তখন তার চেহারার পাপরাশি তার দাঁড়ির পাশ দিয়ে পানির সঙ্গে পড়ে যায়। আর সে যখন তার দুটি হাত কনুই পর্যন্ত ধুয়ে নেয় তখন দুহাতের পাপ তার আঙ্গুলের মাথা দিয়ে বের হয়ে পানির ফোটার সঙ্গে পড়ে যায়। তারপর সে যখন তার মাথা মাসেহ করে তখন তার মাথার পাপরাশি চুলের পাশ দিয়ে পানির সঙ্গে পড়ে যায়। আর যখন সে তার দু পা গোছাদ্বয়সহ ধৌত করে তখন তার দু পায়ের পাপ তার আঙ্গুলের পাশ দিয়ে পানির সঙ্গে পড়ে যায়। তারপর সে উযূ সমাপ্ত করে যখন দাঁড়ায় ও সলাত আদায় করে এবং আল্লাহর উপযুক্ত প্রশংসা ও গুণগান বর্ণনা করে, আল্লাহর জন্যে নিজের মনকে নিবেদিত করে, তাহলে সলাতের শেষে তার অবস্থা তেমন [নিষ্পাপ] হয়ে যায় যেদিন তার মা তাকে প্রসব করেছিল। \{১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৮৩২। সালাতের নিষিদ্ধ সময় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১০৪৩. কুরায়ব [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, ইবনি আব্বাস, মিস্‌ওয়ার ইবনি মাখরামাহ্ ও আবদুর রহ্‌মান ইবনি আয্‌হার [রাদি.] তারা সকলে তাকে আয়িশাহ্ [রাদি.]-এর কাছে পাঠালেন। তারা তাকে বলে দিলেন, আয়িশাকে তাদের সালাম দিয়ে আস্‌রের সলাতের পর দু রাক্আত সলাত আদায় করার ব্যাপারে প্রশ্ন করিতে। কুরায়ব বলেন, আমি আয়িশার নিকট হাযির হলাম। ঐ তিনজন যে খবর নিয়ে আমাকে পাঠালেন আমি সে খবর তার কাছে পৌঁছালাম। আয়িশাহ্‌ [রাদি.] বললেন, উম্মু সালামাহ্ [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করো। অতঃপর তাদের কাছে গেলাম, তারপর তারা আমাকে উম্মু সালামাহ [রাদি.]-এর কাছে পাঠালেন। অতঃপর উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] বললেন, আমি নবী [সাঃআঃ] থেকে শুনিয়াছি। তিনি এ দু রাক্আত সলাত আদায় করিতে নিষেধ করিয়াছেন। তারপর আমি দেখলাম, রসূল [সাঃআঃ] নিজেই এ দু রাক্আত সলাত আদায় করছেন। তিনি [এ দু রাক্আত সলাত আদায় করে] ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিলেন, আমি খাদিমকে রসূলের দরবারে পাঠালাম এবং তাকে বলে দিলাম, তুমি রসূলকে গিয়ে বলবে যে, উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] বলেছেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি আপনাকে বলিতে শুনিয়াছি এ দু রাক্আত সলাত আদায় করিতে নিষেধ করিয়াছেন। অথচ আমি আপনাকে এ দু রাক্আত সলাত আদায় করিতে দেখেছি। রসূল [সাঃআঃ] বললেন, হে আবু উমাইয়্যার মেয়ে! তুমি আস্‌রের পরে দু রাক্আত সলাত আদায়ের ব্যাপারে প্রশ্ন করেছ। আবদুল ক্বায়স গোত্রের কিছু লোক [ইসলামী শিক্ষা ও দ্বীনের হুকুম আহকাম জানার জন্য] আমার কাছে আসে। [তাদের দ্বীনের ব্যাপারে আহকাম বলিতে বলিতে] তারা আমাকে যুহরের পরের দু রাক্আত সুন্নাত সলাত আদায় করা থেকে ব্যস্ত রাখেন। সেটাই এ দু রাক্আত [যে দু রাক্আত সলাত এখন আস্‌রের পরে পড়লাম]। ] {১}

{১} সহীহ : বোখারী ১২৩৩, মুসলিম ৮৩৪। সালাতের নিষিদ্ধ সময় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

অধ্যায়ঃ ২২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

১০৪৪. মুহাম্মাদ ইবনি ইব্রাহীম [রাহিমাহুল্লাহ] ক্বায়স ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] এক লোককে দেখলেন যে, সে ফাজ্‌রের সলাতের পর দু রাক্আত সলাত আদায় করছে। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [তাকে] বললেন, ভোরের সলাত দু রাক্আত, দু রাক্আত। সে ব্যক্তি বললো, ফাজ্‌রের ফার্‌য সলাতের পূর্বের দু রাক্আত সলাত আমি আদায় করিনি। সে সলাতই এখন আদায় করেছি। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] চুপ থাকলেন।

[আবু দাউদ; ঈমাম তিরমিজিও এমন বর্ণনা করিয়াছেন এবং বলেছেন, এ বর্ণনার সূত্র মুত্তাসিল নয়। কারণ ক্বায়স ইবনি আম্‌র হইতে মুহাম্মাদ ইবনি ইব্‌রা-হীম অত্র হাদিস শ্রবণ করেনি। তাছাড়াও শারহুস্ সুন্নাহ্ ও মাসাবীহের কোন নুসখায় ক্বায়স ইবনি ক্বাহ্‌দ [রাদি.] থেকে এমনই বর্ণিত হয়েছে।] {১};{১} সহীহ : আবু দাউদ ১২৬৭, ইবনি মাজাহ ১১৫৪, আহমাদ ২৩৭৬০। সালাতের নিষিদ্ধ সময় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১০৪৫. জুবায়র ইবনি মুত্ইম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

মহানবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ হে আব্‌দ মানাফ-এর সন্তানেরা! তোমরা কাউকে এ ঘরের [খানায়ে কাবার] তাওয়াফ করিতে এবং রাত-দিনের যে সময় মনে ইচ্ছা হয় এতে সলাত আদায় করিতে নিষেধ করো না [তাকে সলাত আদায় করিতে দাও]। {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ১৮৯৪, আত তিরমিজি ৮৬৮, নাসায়ী ৫৮৫, ইবনি মাজাহ ১২৫৪, সহীহ আল জামি ৭৯০০। সালাতের নিষিদ্ধ সময় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১০৪৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

মহানবী [সাঃআঃ] দুপুরের সময় সলাত আদায় করিতে নিষেধ করিয়াছেন যে পর্যন্ত সূর্য ঢলে না পড়বে। একমাত্র জুমুআর দিন ব্যতীত।{১}

{১} জইফ : মুসনাদ আশ্ শাফিঈ ৬৩ নং পৃঃ, জইফ আল জামি ৬০৪৮। কারণ সানাদে ইব্রাহীম বিন মুহাম্মাদ এবং ইসহকব বিন আবদুল্লাহ মাতরূক রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

১০৪৭. আবুল খলীল [রাহিমাহুল্লাহ] আবু ক্বাতাদাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] ঠিক দুপুরে সলাত আদায় করাকে মাকরূহ মনে করিতেন, যে পর্যন্ত না সূর্য ঢলে যায়, একমাত্র জুমুআর দিন ছাড়া। তিনি আরো বলেন, জুমুআর দিন ব্যতীত প্রতিদিন দুপুরে জাহান্নামকে গরম করা হয়। {আবু দাউদ; তিনি বলেছেন- আবু ক্বাতাদাহ্ [রাহিমাহুল্লাহ]-এর সাথে আবুল খলীলের সাক্ষাৎ হয়নি [তাই এ হাদিসের সানাদ মুত্তাসিল নয়]।] {১}

{১} জইফ : আবু দাউদ ১০৮৩, জইফ আল জামি ১৮৪৯। দুটি কারণে প্রথমতঃ আবুল খলীল সাহাবী আবু ক্বাতাদার সাক্ষাত পাননি, বিধায় সানাদে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। দ্বিতীয়তঃ লায়স বিন আবী সুলায়ম একজন দুর্বল রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

অধ্যায়ঃ ২২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

১০৪৮. আবদুল্লাহ আস্ সুনাবিহী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন সূর্য উঠে তখন এর সঙ্গে শায়ত্বনের শিং থাকে। তারপর সূর্য উপরে উঠে গেলে শায়ত্বনের শিং তার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আবার যখন দুপুর হয়, শয়তান সূর্যের নিকট আসে। আবার সূর্য ঢলে গেলে শয়তান এর থেকে পৃথক হয়ে যায়। আবার সূর্য ডুবার মুহূর্তে শয়তান তার নিকট আসে। সূর্য ডুবে গেলে শয়তান তার হইতে পৃথক হয়ে যায়। এসব সময় রসূল [সাঃআঃ] সলাত আদায় করিতে নিষেধ করিয়াছেন। {১}

{১} সহীহ : তবে فَإِذَا اسْتَوَتْ قَارَنَهَا فَإِذا زَالَت فَارقهَا অংশটুকু ব্যতীত। নাসায়ী ৫৫৯, ইবনি মাজাহ ১২৫৩, মালিক ৪৪, আহমাদ ১৯০৬৩। সালাতের নিষিদ্ধ সময় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১০৪৯. আবু বাসরাহ্ আল গিফারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে মুখাম্মাস নামক স্থানে আস্‌রের সলাত আদায় করালেন। তারপর বললেন, এ সলাতটি তোমাদের পূর্বের মানুষের উপরও অবশ্য পালনীয় বিধান করা হয়েছিল, কিন্তু তারা তা নষ্ট করে দিয়েছে। কাজেই যে লোক এ সলাতরে ব্যাপারে যত্নবান হবে সে দ্বিগুণ প্রতিদান পাবে। [তিনি এ কথাও বলেছেন,] আস্‌রের সলাত আদায় করার পর আর কোন সলাত নেই, যে পর্যন্ত শাহিদ উদিত না হবে। আর শাহিদ হলো তারকা। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৮৩০। সালাতের নিষিদ্ধ সময় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১০৫০. মুআবিয়াহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি মানুষদেরকে লক্ষ্য করে বলেন, তোমরা তো একটি সলাত আদায় করছ। আর আমরা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর সঙ্গ পেয়েছি। তবে আমরা তাঁকে এ দু রাক্‌আত সলাত আদায় করিতে দেখিনি। বরং তিনি তো আস্‌রের সমাপ্তির পরে এ দু রাক্‌আত সলাত আদায় করিতে নিষেধ করিয়াছেন। {১}

1] সহীহ : বোখারী ৫৮৭। সালাতের নিষিদ্ধ সময় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১০৫১. আবু যার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি কাবা ঘরের দরজার উপর উঠে বলেছেন, যিনি আমাকে জানেন তিনি তো জানেনই। আর যারা আমাকে জানেন না তারা জেনে রাখুক, আমি জুনদুব। আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, ফাজ্‌রের সলাত আদায় করার পর সূর্য উঠার পূর্ব পর্যন্ত এবং আস্‌রের সলাতের পর সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত কোন সলাত নেই, একমাত্র মাক্কায়, একমাত্র মাক্কায়, একমাত্র মাক্কায়

{১} সহীহ : আহমাদ ২১৪৬২, বায়হাক্বী ৪২০৭, সহীহাহ্ ৩৪১২। সালাতের নিষিদ্ধ সময় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply