সালাতের ওয়াক্ত -প্রথম ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সালাত আদায় করা

সালাতের ওয়াক্ত -প্রথম ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সালাত আদায় করা

সালাতের ওয়াক্ত -প্রথম ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সালাত আদায় করা >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ৪, অধ্যায়ঃ ২

  • অধ্যায়ঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

অধ্যায়ঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ

৫৮৭. সাইয়্যার ইবনি সালামাহ্ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি ও আমার আব্বা আবু বারযাহ্ আল আসলামী [রাদি.]- এর নিকট গেলাম। আমার আব্বা তাকে জিজ্ঞেস করিলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফরয সলাত কিভাবে আদায় করিতেন? তিনি উত্তরে বললেন, যুহরের সলাত- যে সলাতকে তোমরা প্রথম সলাত বল, সূর্য ঢলে পড়লেই পড়তেন। আসরের সলাত আদায় করিতেন এমন সময়, যার পর আমাদের কেউ মাদীনার শেষ প্রান্তে তার বাড়ীতে ফিরতে পারতেন, অথচ সূর্য তখনও পরিষ্কার থাকত। বর্ণনাকারী বলেন, মাগরিবের সলাত সম্পর্কে কী বলেছেন, আমি তা ভুলে গেছি। আর ইশার সলাত, যাকে তোমরা আতামাহ্ বল, তিনি [সাঃআঃ] দেরী করে পড়তেই ভালবাসেন এবং ইশার সলাতের আগে ঘুম যাওয়া বা সলাতের পরে কথা বলাকে পছন্দ করিতেন না। তিনি [সাঃআঃ] ফাজরের সলাত শেষ করিতেন, যখন কেউ নিজের সঙ্গে বসা ব্যক্তিকে চিনতে পারত এবং এ সময় ষাট হইতে একশ আয়াত তিলাওয়াত করিতেন। {৫৯৯] অপর এক বর্ণনায় রয়েছে, তিনি [সাঃআঃ] ইশার সলাতকে রাতের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত পিছিয়ে নিতেও দ্বিধা করিতেন না এবং ইশার সলাতের আগে ঘুম যাওয়া ও পরে কথা বলাকে আপছন্দ করিতেন। {2]

{১} সহীহ : বোখারী ৫৪৭, মুসলিম ৬৪৭।{2] সহীহ : বোখারী ৫৪১, নাসায়ী ৫৩০, আবু দাউদ ৩৯৮, আহমাদ ১৯৭৬৭, দারিমি ১৩৩৮। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৫৮৮. মুহাম্মাদ ইবনি আমর ইবনুল হাসান ইবনি আলী হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আম্র জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.]-কে নবী [সাঃআঃ]-এর সলাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। উত্তরে তিনি বললেন, তিনি [সাঃআঃ] দুপুর ঢলে গেলে যুহরের সলাত আদায় করিতেন। আসরের সলাত আদায় করিতেন, তখনও সূর্যের দীপ্তি থাকত। মাগরিবের সলাত আদায় করিতেন সূর্য অস্ত যেতেই। আর ইশার সলাত, যখন লোক অনেক হত এবং তাড়াতাড়ি পড়তেন। আর লোকজন কম হলে দেরী করিতেন এবং অন্ধকার থাকতে ফাজরের সলাত আদায় করিতেন। {১}

এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৫৮৯. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা যখন নবী [সাঃআঃ]-এর পেছনে যুহরের সলাত আদায় করতাম, তখন গরম থেকে বাঁচার জন্য আমাদের কাপড়ের উপর সাজদাহ্ করতাম। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৫৪২, মুসলিম ৬২০, নাসায়ী ১১১৬, তিরমিজি ৫৮৪, সহীহ ইবনি খুযাইমাহ্ ৬৭৫; শব্দসমূহ বোখারীর। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৫৯০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: যখন গরমের প্রকোপ বেড়ে যাবে, ঠান্ডা সময়ে সলাত [যুহর] আদায় করিবে। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৫৩৬, ৫৩৭, মুসলিম ৬১৫, আবু দাউদ ৪০২, নাসায়ী ৫০০, তিরমিজি ১৫৭, ইবনি মাজাহ ৬৭৮, আহমাদ ৭৬১৩, সহীহ ইবনি হিব্বান ১৫০৭, সহীহ আল জামি ৩৩৯।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৫৯১. আবু সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

বোখারীর অন্য এক বর্ণনায় আবু সাঈদ [রাদি.] হইতে বর্ণিত যে, যুহরের সলাত ঠান্ডা সময়ে আদায় করিবে। [অর্থাৎ আবু হুরায়রাহর বর্ণনায় [আরবী] শব্দ ব্যবহার হয়েছে আর আবু সাঈদের বর্ণনায় [আরবী] শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে] কারন গরমের প্রকোপ জাহান্নামের ভাপ। জাহান্নাম আপন প্রতিপালকের নিকট অভিযোগ করে বলেছিল, হে আমার আল্লাহ! [গরমের তীব্রতায়] আমার একাংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলেছে। তখন আল্লাহ তাকে অনুমতি দিলেন দুটি নিঃশ্বাস ফেলার। এক নিঃশ্বাস শীতকালে, আর এক নিঃশ্বাস গরমকালে। এজন্যই তোমরা গরমকালে তাপের তীব্রতা বেশী পাও। আর শীতকালে শীতের প্রচন্ডতা বেশী। {১}

বোখারীর আর এক বর্ণনায় আছে, তোমরা গরমের যে প্রচন্ডতা অনুভব কর তা জাহান্নামের গরম নিঃশ্বাাসের কারনেই। আর শীতের তীব্রতা যা পাও তা জাহান্নামের ঠান্ডা নিঃশ্বাসের কারনেই।

{১} সহীহ : বোখারী ৫৩৭-৫৩৮, মুসলিম ৬১৫, তিরমিজি ২৫৯২, ইবনি মাজাহ ৪৩১৯, আহমাদ ৭২৪৭, দারিমি ২৮৮৭, সহীহ ইবনি হিব্বান ৭৪৬৬।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৫৯২. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আসরের সলাত এমন সময় আদায় করিতেন যখন সূর্য উপরের আকাশে ও উজ্জ্বল অবস্থায় থাকত। আর কেউ আওয়ালীর দিকে [মাদীনার উপকন্ঠে] গিয়ে পুনরায় আসার পরেও সূর্য উপরেই থাকত। এসব আওয়ালীর কোন কোনটি মাদীনাহ্ হইতে চার মাইল বা এর কাছাকাছি দূরত্বের ছিল। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৫৫০, মুসলিম ৬২১, নাসায়ী ৫০৭, ইবনি মাজাহ ৬৮২, আহমাদ ১৩৩৩১, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ২০৭৫, সহীহ ইবনি হিব্বান ১৫১৯। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৫৯৩. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: এটা [আসরের সলাত দেরী করে আদায়] মুনাফিক্বের সলাত। তারা বসে বসে সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকে। সূর্যের হলদে রং এবং শায়ত্বনের দু শিং- এর মধ্যস্থলে গেলে [সূর্যাস্থের সময়ে] তারা তাড়াতাড়ি উঠে চার ঠোকর মারে। এতে তারা আল্লাহকে খুব কমই স্মরণ করে। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৬২২, নাসায়ী ৫১১, তিরমিজি ১৬০, আহমাদ ১১৯৯৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ২০৮৮।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৫৯৪. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: যে ব্যক্তির আসরের সলাত ছুটে গেল তার গোটা পরিবার ও ধন সম্পদ যেন উজার হয়ে গেল। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৫৫২, মুসলিম ৬২৬, আবু দাউদ ৪১৪, নাসায়ী ৫১২, তিরমিজি ১৭৫, আহমাদ ৫৩১৩, সহীহ আল জামি ৫৪৯১, সহীহ আত তারগীব ৪৮০। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৫৯৫. বুরায়দাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: যে ব্যক্তি আসরের সলাত ছেড়ে দিল সে তার আমল বিনষ্ট করিল। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৫৫৩, নাসায়ী ৪৭৪, আহমাদ ২২৯৫৭, সহীহ আত তারগীব ৪৭৮।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৫৯৬. রাফি ইবনি খদীজ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে মাগরিবের সলাত আদায় করতাম। সলাত শেষ করে আমাদের কেউ তার তীর পড়ার স্থান [পর্যন্ত] দেখিতে পেত। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৫৫৯, মুসলিম ৬৩৭, ইবনি মাজাহ ৬৮৭, আহমাদ ১৭২৭৬, ইরওয়া ২৫৬।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৫৯৭. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, সহাবীগণ ইশার সলাত আদায় করিতেন শাফাক্ব অদৃশ্য হবার পর হইতে রাতের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৫৬৯, মুসলিম ৬৩৮, নাসায়৫৫৩৫, আহমাদ ২৪০৫৯। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৫৯৮. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফাজরের সলাত আদায় করিতেন। যে সব স্ত্রীলোক চাদর গায়ে মুড়িয়ে সলাত আদায় করিতে আসতেন, অন্ধকারের দরুন তাদের চেনা যেত না। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৮৬৭, মুসলিম ৬৪৫, আবু দাউদ ৪২৩, নাসায়ী ৫৪৫, তিরমিজি ১৫৩, মালিক ৪/৭, আহমাদ ২৫৪৫৪, সহীহ ইবনি হিব্বান ১৪৯৮। لِفَاعٌ [লিফা] বলা সে কাপড়কে যা শরীরের সমস্ত অংশকে আবৃত বা ঢেকে রাখে। আর এ শব্দ হইতেই مُتَلَفِّعَاتُ শব্দটি এসেছে।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৫৯৯. ক্বাতাদাহ্ [রাহিমাহুল্লাহ] আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] ও যায়দ ইবনি সাবিত [রাদি.] [সিয়াম পালনের জন্য] সাহ্‌রী খেলেন। সাহ্‌রী শেষ করে নবী [সাঃআঃ] [ফাজরের] সলাতে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং সলাত আদায় করিলেন। আমরা আনাসকে জিজ্ঞেস করলাম, এ দুজনের খাবার পর সলাত শুরু করার আগে কী পরিমাণ সময়ের বিরতি ছিল? তিনি উত্তরে বলেন, এ পরিমাণ বিরতির সময় ছিল যাতে একজন পঞ্চাশ আয়াত তিলাওয়াত করিতে পারে। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৫৭৬, নাসায়ী ২১৫৫, আহমাদ ১৩৪৬০। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৬০০. আবু যার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বললেন, সে সময় তুমি কী করিবে যখন তোমাদের উপর শাসকবৃন্দ এমন হবে, যারা সলাতের প্রতি অমনোযোগী হবে অথবা তা সঠিক সময় হইতে পিছিয়ে দিবে? আমি বললাম, আপনি কী আমাকে নির্দেশ দেন? তিনি [সাঃআঃ] বললেন, এ সময়ে তুমি তোমার সলাতকে সঠিক সময়ে আদায় করে নিবে। অতঃপর তাদের সাথে পাও, আবার আদায় করিবে। আর এ সলাত তোমার জন্য নাফ্‌ল হিসেবে গন্য হবে। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৬৪৮, আবু দাউদ ৪৩১, ইবনি মাজাহ ১২৫৬, তিরমিজি ১৭৬, দারিমি ১২৬৪, আহমাদ ২১৩২৪, সহীহ আল জামি ৪৫৮৮; তবে হাদিসের এ শব্দগুলো আবু দাঊদের।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৬০১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের আগে ফাজরের সলাতের এক রাক্‌আত পেল, সে ফাজরের সলাত পেয়ে গেল। এভাবে যে সূর্যাস্তের পূর্বে আস্‌র সলাতের এক রাক্‌আত পেল, সে আস্‌রের সলাত পেলো। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৫৭৯, মুসলিম ৬০৮, নাসায়ী ৫১৭, তিরমিজি ১৮৬, মালিক ৫/৮, সহীহ ইবনি হিব্বান ১৫৮৩, ইরওয়া ২৫৩, সহীহ আল জামি ৫৯৯২।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৬০২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ সূর্যাস্তের আগে আসরের সলাতের এক সাজদাহ্‌ [রাক্‌আত] পেলে সে যেন তার সলাত পূর্ণ করে। এমনিভাবে ফাজরের সলাত সূর্যোদয়ের আগে এক সাজদাহ্‌ [রাক্‌আত] পেলে সেও যেন তার সলাত পূর্ণ করে। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৫৫৬, নাসায়ী ৫১৬, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৭৭৪, সহীহ ইবনি হিব্বান ১৫৮৬, সহীহাহ্ ৬৬।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৬০৩. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সলাত আদায় করিতে ভুলে যায় অথবা আদায় না করে ঘুমিয়ে পড়ে, তার কাফ্‌ফারাহ্‌ হলো যখনই তা স্মরণ হবে সলাত আদায় করে নিবে। {১} অন্য বর্ণনায় আছে, ঐ সলাত আদায় করে নেয়া ছাড়া তার কোন প্রতিকারই নেই। {2]

{১} সহীহ : মুসলিম ৬৮৪। {2] সহীহ : বোখারী ৫৯৭, মুসলিম ৬৮৪, আবু দাউদ ৪৪২, নাসায়ী ৬১৩, তিরমিজি ১৭৮, ইবনি মাজাহ ৬৯৬, আহমাদ ১৩৫৫০, সহীহ ইবনি হিব্বান ১৫৫৬, ইরওয়া ২৬৩।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৬০৪.আবু ক্বাতাদাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ঘুমিয়ে থাকার কারণে সলাত আদায় করিতে না পারলে তা দোষ নেই। দোষ হল জেগে থেকেও সলাত আদায় না করা। সুতরাং তোমাদের কেউ সলাত আদায় করিতে ভুলে গেলে অথবা সলাতের সময় ঘুমিয়ে থাকলে, যে সময়েই তার কথা স্মরণ হবে, আদায় করে নিবে। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেছেন, আর-বি “আমার স্মরণে সলাত আদায় কর” – [সূরাহ্‌ ত্ব-হা – ২০:১৪]। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৬৮১, ৬৮৪, আবু দাউদ ৪৪১, নাসায়ী ৬১৫, তিরমিজি ১৭৭, ইবনি মাজাহ ৬৯৮। তবে তাতে [তিরমিজিতে] আয়াতটি নেই।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

অধ্যায়ঃ ২.দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৬০৫. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ হে আলী! তিনটি বিষয়ে দেরী করিবে নাঃ [১] সলাতের সময় হয়ে গেলে আদায় করিতে দেরী করিবে না। [২] জানাযাহ্‌ উপস্থিত হয়ে গেলে তাতেও দেরী করিবে না। [৩] স্বামীবিহীন নারীর উপযুক্ত বর পাওয়া গেলে তাকে বিয়ে দিতেও দেরী করিবে না। {১}

{১} জইফ : তিরমিজি ১০৭৫। কারণ এর সানাদে সাঈদ ইবনি আবদুল্লাহ আল জুহানী রয়েছে যাকে ইবনি হিব্বান, আজালী বিশ্বস্ত বললেও ঈমাম আবু হাতিম ও ঈমাম যাহাবী অপরিচিত হিসেবে উল্লেখ করিয়াছেন। আর ইবনি হাজার তাকে মুতাবাআহ্-এর ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য বলেছেন। কিন্তু এখানে তার কোন মুতাবাআহ্ নেই। তবে হাদিসের অর্থ সহীহ।এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

৬০৬. [আবদুল্লাহ] ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সলাত প্রথম সময়ে আদায় করা আল্লাহকে খুশি করা এবং শেষ সময়ে আদায় করা আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাওয়ার শামিল। [অর্থাৎ গুনাহ হইতে বেঁচে থাকা] {১}

{১} মাওযূ : তিরমিজি ১৭২, আবু দাউদ ৪২৬, ইরওয়া ২৫৯। কারণ এর সানাদে ইয়াকূব ইবনি আল ওয়ালীদ আল মাদানী রয়েছে যাকে ঈমাম আহমাদ মিথ্যুক হিসেবে অবহিত করিয়াছেন।এই হাদিসটির তাহকীকঃ জাল হাদিস

৬০৭. উম্মু ফারওয়াহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কোন কাজ [আমাল] বেশী উত্তম? তিনি [সাঃআঃ] বললেন, সলাতকে তার প্রথম ওয়াক্তে আদায় করা। {১}

ঈমাম তিরমিজি বলেন, এ হাদিস আবদুল্লাহ ইবনি উমার আল উমারী ছাড়া আর কারো নিকট হইতে বর্ণিত হয়নি। তিনিও মুহাদ্দিসগণের নিকট সবল নন।

{১} সহীহ লিগয়রিহী : আবু দাউদ ৪২৬, তিরমিজি ১৭০, সহীহ আত তারগীব ৩৯৯, আহমাদ ২৭১০৩। হাদিসটির সানাদে ত্রুটি থাকলেও তার শাহিদমূলক বর্ণনা থাকায় তা সহীহের স্তরে উন্নীত হয়েছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ লিগাইরিহি

৬০৮. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহ্‌ তাআলা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে দুনিয়া হইতে উঠিয়ে নেয়ার আগ পর্যন্ত তিনি কোন সলাতকে এর শেষ ওয়াক্তে দুবারও আদায় করেননি। {১}

{১} সহীহ : তিরমিজি ১৭৪, হাকিম ১/১৯০। ঈমাম তিরমিজি যদিও হাদিসটি মুনক্বাতি বলেছেন কিন্তু ঈমাম হাকিম হাদিসটি মুত্তাসিল সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৬০৯. আবু আইয়ূব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমার উম্মাত সর্বদাই কল্যাণ লাভ করিবে, অথবা তিনি বলেছেন, ফিতরাত-এর উপর প্রতিষ্ঠিত থাকিবে, যদি তারা তারকারাজি উজ্জ্বল হয়ে উঠা পর্যন্ত মাগরিবের সলাতকে বিলম্বিত না করে। {১}

{১} হাসান : আবু দাউদ ৪১৮, আস্ সামরুল মুস্তাত্বব ১/৬১। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস

৬১০. আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

দারিমী এ হাদিস আব্বাস [রাদি.] থেকে বর্ণনা করিয়াছেন।

{১} জইফ : দারিমী ১/২৭৫। কারণ এর সানাদে উমার ইবনি ইব্রাহীম আল আব্দী রয়েছে যার সম্পর্কে হাফিয ইবনি হাজার বলেন : সে সত্যবাদী। তবে ক্বাতাদাহ্ থেকে তার বর্ণনাগুলো দুর্বল। আর তার এ বর্ণনাটি ক্বাতাদাহ্ থেকে।এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

৬১১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আমার উম্মাতের জন্য কষ্টকর হবে মনে না করলে তাদেরকে ইশার সলাত রাতের এক-তৃতীয়াংশ অথবা অর্ধরাত পর্যন্ত দেরী করে আদায়ের নির্দেশ দিতাম। {১}

{১} সহীহ : আহমাদ ৭৪১২, তিরমিজি ১৬৭, ইবনি মাজাহ ৬৯১, সহীহুল জামি ৫৩১৩।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৬১২. মুআয ইবনি জাবাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা এ সলাত [অর্থাৎ ইশার সলাত] দেরী করে আদায় করিবে। কারণ এ সলাতের মাধ্যমে অন্যসব উম্মাতের উপর তোমাদের বেশী মর্যাদা দেয়া হয়েছে। তোমাদের আগের কোন উম্মাত এ সলাত আদায় করেনি। {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ৪২১, সহীহুল জামি ১০৪৩।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৬১৩. নুমান ইবনি বাশীর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি খুব ভালভাবে জানি তোমাদের এ সলাতের, অর্থাৎ শেষ সলাত ইশার ওয়াক্ত সম্পর্কে। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তৃতীয়বার [তৃতীয় রাতের] চাঁদ অস্ত যাবার পর এ সলাত আদায় করিতেন। {১}

এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৬১৪. রাফি ইবনি খদীজ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা ফাজরের সলাত ফর্সা আলোতে আদায় কর। কারণ ফর্সা আলোতে সলাত আদায় করলে অনেক বেশী সাওয়াব পাওয়া যায়। {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ৪২৪, তিরমিজি ১৫৪, দারিমী ১২১৭, ইরওয়া ২৫৮। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

অধ্যায়ঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৬১৫. রাফি ইবনি খদীজ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে আসরের সলাত আদায় করার পর উট যাবাহ করতাম। এ উট ছাড়িয়ে দশ ভাগ করা হত, তারপর রান্না করা হত। আর আমরা রান্না করা এ গোশত সূর্যাস্তের আগে খেতাম। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ২৪৮৫, মুসলিম ৬২৫, আহমাদ ১৭২৭৫, সহীহ ইবনি হিব্বান ১৫১৫। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৬১৬. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা এক রাতে শেষ ইশার সলাতের জন্য রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর অপেক্ষা করছিলাম। তিনি এমন সময় বের হলেন, যখন রাতের এক-তৃতীয়াংশ অতিক্রান্ত অথবা এরও কিছু পর। আমরা জানি না, পরিবারের কোন কাজে তিনি ব্যতিব্যস্ত ছিলেন, নাকি অন্য কিছু। তিনি বের হয়ে বললেন, তোমরা এমন একটি সলাতের অপেক্ষা করছ, যার জন্য অন্য ধর্মের লোকেরা অপেক্ষা করে না। আমরা উম্মাতের জন্য কঠিন হবে মনে না করলে তাদের নিয়ে এ সলাত আমি এ সময়েই আদায় করতাম। এরপর তিনি মুয়াযযিনকে নির্দেশ দিলে সে ইক্বামাত দিল। আর তিনি [সাঃআঃ] সলাত আদায় করালেন। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৬৩৯, নাসায়ী ৫৩৭, সহীহ ইবনি খুযাইমাহ্ ৩৪৪, সহীহ ইবনি হিব্বান ১৫৩৬, সহীহ আল জামি ২৩০৩। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৬১৭. জাবির ইবনি সামুরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তোমাদের সলাতের মতই সলাত আদায় করিতেন। কিন্তু তিনি [সাঃআঃ] ইশার সলাত তোমাদের চাইতে কিছু দেরীতে আদায় করিতেন এবং সংক্ষেপ করিতেন। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৬৪৩, আহমাদ ২১০০২।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৬১৮. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা একরাতে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে সলাত আদায় করলাম। [সেদিন] তিনি অর্ধেক রাত পর্যন্ত মাসজিদে এলেন না। {তিনি [সাঃআঃ] এসে] আমাদের বললেন, তোমরা তোমাদের নিজ নিজ জায়গায় বসে থাক। তাই আমরা বসে রইলাম। এরপর তিনি [সাঃআঃ] বললেন, অন্যান্য লোক সলাত আদায় করেছে। বিছানায় চলে গেছে। আর জেনে রেখো, তোমরা যতক্ষণ সলাতের অপেক্ষা করিবে, সময় সলাত[রত থাকা] গণ্য হবে। আমি যদি বুড়ো, দুর্বল ও অসুস্থদের দিকে লক্ষ্য না রাখতাম তাহলে সর্বদা এ সলাত অর্ধেক রাত পর্যন্ত দেরী করে আদায় করতাম। {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ৪২২, নাসায়ী ৫৩৮।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৬১৯.উম্মু সালামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যুহরের সলাতকে তোমাদের চেয়ে বেশী আগে ভাগে আদায় করিতেন। আর তোমারা আসরের সলাত তাহাঁর চেয়ে বেশী আগে আদায় কর। {১}

{১} সহীহ : আহমাদ ২৫৯৩৯, তিরমিজি ১৬১।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৬২০. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [যুহরের সলাত] গরমকালে ঠান্ডা করে [গরম কমলে] আদায় করিতেন আর শীতকালে আগে আগে আদায় করিতেন। {১}

{১} সহীহ : নাসায়ী ৪৯৯। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৬২১. উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বলেছেন: আমার পর শীঘ্রই তোমাদের উপর এমন সব প্রশাসক নিযুক্ত হবে যাদেরকে নানা কাজ ওয়াক্তমত সলাত আদায়ে বিরত রাখবে, এমনকি তার ওয়াক্ত চলে যাবে। অতএব [সে সময়] তোমরা তোমাদের সলাত ওয়াক্তমত আদায় করিতে থাকিবে। এক ব্যক্তি বলে উঠল, হে আল্লাহর রসূল! তারপর আমি কি তাদের সাথে এ সলাত আবার আদায় করব? উত্তরে তিনি [সাঃআঃ] বললেন, হ্যাঁ। {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ৪৩৩, সহীহুল জামি ২৪২৯। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৬২২. ক্ববীসাহ্ ইবনি ওয়াক্কাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: আমার পর তোমাদের উপর এমন সব শাসক নিযুক্ত হবে, যারা সলাতকে পিছিয়ে ফেলবে। যা তোমাদের জন্য কল্যাণ হলেও তাদের জন্য অকল্যাণ ডেকে আনবে। তাই যতদিন তারা ক্বিবলাহ্ হিসাবে [ক্বাবা-কে]মেনে নিবে ততদিন তাদের পিছনে তোমরা সলাত আদায় করিতে থাকিবে। {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ৪৩৪, ইরওয়া ৫২৯। যদিও এর সানাদে দুর্বলতা রয়েছে কিন্তু পূর্ববর্তী হাদিসটি এর শাহিদ। তাই তা সহীহের স্তরে উন্নীত হয়েছে। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত

৬২৩. [তাবিঈ] উবায়দুল্লাহ ইবনি আদী ইবনি খিয়ার [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি খলীফা উসমান [রাদি.] -এর নিকট উপস্থিত হলেন। তখন তিনি নিজ ঘরে অবরুদ্ধ ছিলেন। তাকে তিনি বললেন, আপনিই জনগনের ঈমাম। কিন্তু আপনার উপর এ বিপদ আপতিত যা আপনি দেখছেন। এ সময় বিদ্রোহী নেতা [ইবনি বিশর] আমাদের সলাতে ইমামাত করছে। এতে আমরা গুনাহ মনে করছি। তখন তিনি {উসমান [রাদি.]] বললেন, মানুষ যেসব কাজ করে, এসবের মধ্যে সলাত হচ্ছে সর্বোত্তম। অতএব মানুষ যখন ভাল কাজ করিবে, তাদের সাথে শারীক হবে। যখন মন্দ কাজ করিবে, তাদের এ মন্দ কাজ হইতে দূরে সরে থাকিবে। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৬৯৫।এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস -সালাতের ওয়াক্ত


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply