সালাতুল খাওফ ভয়ের নামাজ পড়ার নিয়মাবলী

সালাতুল খাওফ ভয়ের নামাজ পড়ার নিয়মাবলী

সালাতুল খাওফ ভয়ের নামাজ পড়ার নিয়মাবলী , এই অধ্যায়ে হাদীস =৪ টি ( ৪২৭-৪৩০ পর্যন্ত ) >> মুয়াত্তা ইমাম মালিক এর মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায় – ১১ঃ সালাতুল-খাওফ

পরিচ্ছেদঃ ১ – সালাতুল-খাওফ বা ভয়কালীন নামাজ

৪২৬ সালিহ ইবনি খাওয়াত [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

এমন এক ব্যক্তি হইতে বর্ণনা করেন, যিনি জাতুররিকা যুদ্ধের দিন রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ-এর সাথে সালাতুল-খাওফ আদায় করেন। একদল তাঁর সাথে কাতারে দাঁড়িয়েছিল, আর একদল শত্রুর মুকাবেলায় সারিবদ্ধ ছিল। যে দল তাঁর সাথে ছিল, তিনি সে দলকে নিয়ে এক রাকআত সালাতুল-খাওফ আদায় করলেন। অতঃপর তিনি দণ্ডায়মান রইলেন, [দলে যাঁরা ছিলেন] তাঁরা নিজের নামাজ আদায় করে নিলেন।

অতঃপর তাঁরা প্রত্যাবর্তন করে শত্র“র মুকাবেলায় সারিবদ্ধ হয়ে গেলেন। তারপর দ্বিতীয় দল উপস্থিত হল। নাবী সাঃআঃ তাঁদের সাথে বাকি নামাজ আদায় করলেন। অতঃপর তিনি বসা অবস্থায় রইলেন। সঙ্গিগণ তাদের নামাজ পূর্ণ করলে তাঁদের সাথে সালাম ফিরালেন।

[বুখারি ৪১২৯, ৪১৩০, মুসলিম ৮৪২] এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৭ সালিহ ইবনি খাওওয়াত আনসারী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

সাহল ইবনি আবি হাসমা [রাহিমাহুল্লাহ] তাঁর কাছে বর্ণনা করেছিলেন যে, সালাতুল-খাওফ হল এই ঈমাম নামাযে দাঁড়াবেন। তাঁর সঙ্গীদের একদল [তখন] তাঁর সাথে থাকিবে। আর একদল শত্রুর মুকাবেলায় থাকিবে। অতঃপর ঈমাম এক রাকআত নামাজ আদায় করে সিজদা করিবেন। তারপর দাঁড়িয়ে যাবেন। যখন পূর্ণ দাঁড়িয়ে যাবেন, তখন ঈমাম দণ্ডায়মান থাকিবেন। তাঁর সঙ্গীরা অবশিষ্ট এক রাকআত পূর্ণ করে সালাম ফিরিয়ে চালে যাবে ঈমাম তখনও দণ্ডায়মান থাকিবেন। নামাজ শেষ করে দলটি শত্রুর মুকাবেলায় নিয়োজিত হইবে। অতঃপর তাঁদেরকে এক রাকআত পড়াবেন, অতঃপর তাঁরা দাঁড়িয়ে নিজ নিজ পরবর্তী আকআত পড়িবে এবং সালাম ফিরাবে।

[বুখারি ৪১৩১, মুসলিম ৮৪১] এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৮ নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিতঃ

আবদুল্লাহ্ ইবনি উমার [রাদি.]-কে সালাতুল খাওফ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেনঃ ঈমাম অগ্রসর হইবেন [স্বীয় স্থানে], তাঁর সাথে থাকিবে লোকের একাংশ। তিনি তাদের এক রাকআত আদায় করাবেন। আর একদল লোক নিয়োজিত হইবে ঈমাম ও শত্র“দের মাঝখানে এবং সে দল তখন নামাজ আদায় করিবে না। যখন ঈমাম তাঁর সাথে যে দল আছে সে দলকে এক রাকআত আদায় করাবেন, তখন তারা পেছনে সরে যে দল নামাজ আদায় করেনি, সে দলের স্থানে চলে যাবে, তারা সালাম ফিরাইবে না। অতঃপর যারা নামাজ আদায় করেনি তারা এগিয়ে আসবে। ঈমাম তাদের সাথে এক রাকআত আদায় করিবেন। তৎপর ঈমাম দু রাকআত পূর্ণ পড়িয়াছেন বিধায় তিনি প্রত্যাবর্তন করিবেন। অতঃপর উভয় দলের প্রত্যেকে দাঁড়িয়ে এক রাকআত আদায় করিবে ইমামের প্রত্যাবর্তন করার পর। এইভাবে উভয় দলের প্রত্যেকের দুই দুই রাকআত পড়া হইবে। আর যদি খাওফ বা ভীতি এর চাইতে প্রচণ্ড হয়, তবে যে যেভাবে সম্ভব নামাজ আদায় করে নিবে; চলমান অবস্থায় হোক বা দাঁড়িয়ে অথবা সওয়ারীর উপর হোক, কিবলামুখী হোক বা না হোক। [সহীহ্, বুখারি ৪৫৩৫]

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলিলেন, নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] বলেছেন, আমি মনে করি, আবদুল্লাহ [রাদি.] এটা [সালাতুল-খাওফের নিয়ম] রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ হইতে বর্ণনা করেন।

এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস

৪২৯ সাঈদ ইবনি মুসায়্যাব [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

খন্দকের দিন সূর্য অস্ত গিয়েছে অথচ রসূলুল্লাহ্ সাঃআঃ যোহর ও আসরের নামাজ আদায় করেননি। [ঈমাম বুখারি অনুরূপ অর্থে ৭৪৫ নং হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন]

মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, সালাতুল-খাওফ সম্পর্কে যা আমি শুনিয়াছি, তন্মধ্যে কাসিম ইবনি মুহাম্মদ [রাহিমাহুল্লাহ] কর্তৃক সালিহ ইবনি খাওওয়াত [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণিত হাদীসটি আমার কাছে সর্বাপেক্ষা পছন্দনীয়।

এই হাদীসটির তাহকিকঃ অন্যান্য


by

Comments

One response to “সালাতুল খাওফ ভয়ের নামাজ পড়ার নিয়মাবলী”

Leave a Reply