যারা নিজেদের উপর অত্যাচার করেছে [ সামূদ গোত্রের ] তাদের আবাসস্থলে ..

যারা নিজেদের উপর অত্যাচার করেছে [ সামূদ গোত্রের ] তাদের আবাসস্থলে

যারা নিজেদের উপর অত্যাচার করেছে [ সামূদ গোত্রের ] তাদের আবাসস্থলে >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

১. অধ্যায়ঃ যারা নিজেদের উপর অত্যাচার করেছে [ সামূদ গোত্রের ] তাদের আবাসস্থলে তোমরা যাবে না; তবে কান্নাজড়িত অবস্থায় যেতে পার

৭৩০৭ আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ দুনিয়া মুমিনের জন্য কয়েদখানা এবং কাফিরের জন্য জান্নাততুল্য।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৪৯, ইসলামিক সেন্টার- ৭২০১]

৭৩০৮ জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

একদিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আলিয়াহ্ অঞ্চল থেকে মাদীনায় আসার পথে এক বাজার দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। এ সময় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর উভয় পাশে বেশ লোকজন ছিল। যেতে যেতে তিনি ক্ষুদ্র কান বিশিষ্ট একটি মৃত বকরীর বাচ্চার পাশ দিয়ে যেতে তার কাছে গিয়ে এর কান ধরে বলিলেন, তোমাদের কেউ কি এক দিরহাম দিয়ে এটা ক্রয় করিতে আগ্রহী। তখন উপস্থিত লোকেরা বলিলেন, কোন কিছুর বদৌলতে আমরা এটা নিতে আগ্রহী নই এবং এটি নিয়ে আমরা কি করব? তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ বিনা পয়সায় তোমরা কি সেটা নিতে আগ্রহী? তারা বলিলেন, এ যদি জীবিত হত তবুও তো এটা দোষী। কেননা এর কান হচ্ছে ছোট ছোট। আর এখন তো সেটা মৃত, আমরা কিভাবে তা গ্রহণ করব? অতঃপর তিনি বলিলেন, আল্লাহর শপথ! এ তোমাদের কাছে যতটা নগণ্য, আল্লাহর কাছে দুনিয়া এর তুলনায় আরও বেশি নগণ্য।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৫০, ইসলামিক সেন্টার- ৭২০২]

৭৩০৯ জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি নবী [সাঃআঃ] হইতে অবিকল বর্ণনা করিয়াছেন। তবে আস্ সাকাফীর হাদীসের মধ্যে এ কথা বর্ধিত বর্ণিত রয়েছে যে, এটি যদি জীবিতও হত, তবুও ক্ষুদ্র কান বিশিষ্ট হওয়ায় একটি দোষণীয় ব্যাপার ছিল।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৫১, ইসলামিক সেন্টার- ৭২০৩]

৭৩১০ মুতার্রিফ [রাদি.]-এর পিতা হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা আমি নবী [সাঃআঃ]-এর কাছে আসলাম। তখন তিনি …… [সূরাহ্ আত্ তাকা-সুর] পাঠ করছিলেন। তিনি বলিলেন, আদাম সন্তানগণ বলে, আমার মাল আমার সম্পদ। বস্তুতঃ হে আদাম সন্তান! তোমার সম্পদ সেটা যা তুমি খেয়ে নিঃশেষ করে দিয়েছ, পরিধান করে পুরাতন করে ফেলেছ এবং দান করে খরচ করেছো।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৫২, ইসলামিক সেন্টার- ৭২০৪]

৭৩১১ মুতার্রিফ [রাদি.]-এর পিতা হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদিন আমি নবী [সাঃআঃ]-এর কাছে গেলাম। এরপর তিনি হাম্মাম-এর হাদীসের অবিকল বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৫৩, ইসলামিক সেন্টার- ৭২০৫]

৭৩১২ আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, বান্দাগণ বলে, আমার মাল আমার সম্পদ। অথচ তিনটিই হলো তার মাল, যা সে খেয়ে নিঃশেষ করে দিল। অথবা যা সে পরিধান করে পুরাতন করে দিল। কিংবা যা সে দান করিল এবং সঞ্চয় করিল। এছাড়া অবশিষ্টগুলো তার থেকে চলে যাবে এবং তা মানুষের জন্য রেখে যেতে হইবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৫৪, ইসলামিক সেন্টার- ৭২০৬]

৭৩১৩ আলা ইবনি আবদুর রহমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে এ সানাদ হইতে বর্ণীতঃ

অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৫৪, ইসলামিক সেন্টার- ৭২০৭]

৭৩১৪ . আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তিনটি জিনিস মৃত ব্যক্তির সাথীরূপে তার সঙ্গে যায়। অতঃপর দুটি ফিরে আসে এবং একটি তার সঙ্গে থেকে যায়। সঙ্গে গমন করে পরিবার-পরিজন, ধন-সম্পদ এবং তার আমাল। তার জাতি গোষ্ঠী ও ধন-সম্পদ ফিরে আসে আর কেবল তার আমাল থেকে যায়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৫৫, ইসলামিক সেন্টার- ৭২০৮]

৭৩১৫. বানু আমির ইবনি লুওয়াই-এর চুক্তিবদ্ধ মিত্র আমর ইবনি আওফ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

যিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে বদর যুদ্ধে শারীক হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]আবু উবাইদাহ্ ইবনিল জারবাহ [রাদি.]-কে বাহ্রাইনে জিজিয়া বা কর আদায় করিতে পাঠিয়েছেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বাহ্রাইনবাসীদের সাথে সন্ধি করেছিলেন এবং তাদের জন্য আলা ইবনি আল হায্রামী [রাদি.]-কে শাসনকর্তা নিয়োজিত করেছিলেন। এরপর আবু উবাইদাহ্ [রাদি.] বাহ্রাইন থেকে ধন-সম্পদ নিয়ে এলে, আনসার সহাবাগণ তাহাঁর আগমন সংবাদ শুনল, তারপর তারা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে ফজরের নামাজ আদয় করিল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] নামাজ আদায়ন্তে মুখ ফিরিয়ে বসলে তারা তাহাঁর কাছে উপস্থিত হলো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাদেরকে দেখে মুচকি হেসে বলিলেন, আমার মনে হচ্ছে আবু উবাইদাহ্ বাহরাইন থেকে কিছু নিয়ে এসেছে, এ সংবাদ তোমরা শুনেছ? তারা বলিলেন, জী হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! তিনি বললেনঃ তাহলে তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ করো যা তোমাদেরকে খুশী করিবে আশা রাখো। আল্লাহর শপথ! তোমাদের উপর দারিদ্র্য ও অভাব-অনটনের আশঙ্কা আমি করি না। আমি তোমাদের ব্যাপারে এ আশঙ্কা করি যে, যেমনভাবে তোমাদের উপর প্রাচুর্য ও ঐশ্বর্য ঢেলে দেয়া হইবে, যেমনিভাবে পূর্ববর্তীদের উপরও প্রাচুর্য ও ঐশ্বর্য ঢেলে দেয়া হয়েছিল। অতঃপর তোমরা তেমনিভাবে প্রতিযোগিতা করিবে যেমন করে তারা প্রতিযোগিতা করেছে। পরিশেষে তোমাদেরকেও ধ্বংস করে দিবে যেমনিভাবে তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৫৬, ইসলামিক সেন্টার- ৭২০৯]

৭৩১৬. যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে ইউনুস-এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে সালিহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হাদীসের মধ্যে …….. –এর স্থানে ……… “পরিশেষে তোমাদেরকে তাদের মতোই অমনোযোগী করে দিবে” কথাটি বর্ণিত আছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৫৭, ইসলামিক সেন্টার- ৭২১০]

৭৩১৭ আবদুল্লাহ ইবনি আমর ইবনিল আস [রাদি.]-এর সূত্রে রসূলুল্লাহ [সাঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেছেন, যখন রোম সাম্রাজ্য ও পারস্য [ইরান] সাম্রাজ্য তোমাদের অধিকারে আসবে তখন তোমরা কিরূপ সম্প্রদায় হইবে? উত্তরে আবদুর রহ্মান ইবনি উওফ [রাদি.] বলেন, আল্লাহ আমাদেরকে যেরূপ আদেশ করিয়াছেন আমরা ঐরূপই বলব। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ অন্য কিছু কি বলবে না? তখন তোমরা পরস্পর ঈর্ষাপরায়ণ হইবে, এরপর হিংসা করিবে, অতঃপর সম্পর্ক ছিন্ন করিবে, এরপর শত্রুতা করিবে। কিংবা এরূপ কিছু কথা তিনি বলেছেন। অতঃপর তোমরা নিঃস্ব মুহাজির লোকেদের কাছে যাবে এবং একজনকে অপরের শাসনকর্তা নিযুক্ত করিবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৫৮, ইসলামিক সেন্টার- ৭২১১]

৭৩১৮. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমাদের কেউ যদি ধন ও সৃষ্টিগত [সুন্দরের] দিক থেকে তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির প্রতি দৃষ্টিপাত করে তবে সে যেন সাথে সাথে তার চেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি দৃষ্টিপাত করে, যাদের উপরে তাকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৫৯, ইসলামিক সেন্টার- ৭২১২]

৭৩১৯. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.]-এর সানাদে নবী [সাঃ] হইতে বর্ণীতঃ

আবু যিনাদ-এর অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৬০, ইসলামিক সেন্টার- ৭২১৩]

৭৩২০. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের চেয়ে নিম্নস্তরের লোকদের প্রতি দৃষ্টি দাও। তবে তোমাদের চেয়ে উঁচু স্তরের লোকেদের দিকে লক্ষ্য করো না। কেননা আল্লাহর নিআমাতকে তুচ্ছ না ভাবার এটাই উত্তম পন্থা।

আবু মুআবিয়ার বর্ণনায় ……… -এর স্থলে ……… শব্দ বর্ধিত বর্ণিত আছে।

. [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৬১, ইসলামিক সেন্টার- ৭২১৪]

৭৩২১. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি নবী [সাঃআঃ]-কে এ কথা বলিতে শুনেছেন যে, বানী ইসরাঈলের মাঝে তিন লোক ছিল। একজন ছিল কুষ্ঠরোগী, দ্বিতীয়জন টাক মাথা বিশিষ্ট এবং তৃতীয়জন অন্ধ। আল্লাহ তাআলা এ তিনজনকে পরীক্ষা করার ইচ্ছা করিলেন। তাই তিনি তাদের কাছে একজন ফেরেশ্তা পাঠালেন। ফেরেশ্তা প্রথমে কুষ্ঠরোগীর নিকট এসে বলিলেন, তোমার কাছে সবচেয়ে বেশী প্রিয় জিনিস কি? সে বলিল, উত্তম [গায়ের] রং, ভালো চামড়া এবং আমার থেকে যেন এ রোগ নিরাময় হয়ে যায়, যার কারণে লোকেরা আমাকে ঘৃণা করে। অতঃপর ফেরেশ্তা তার শরীরে হাত বুলালেন। এতে তার এ কুৎসিত ব্যাধি ভালো হলো এবং তাকে সুন্দর রং ও সুন্দর চর্ম দান করা হলো। ফেরেশ্তা আবার তাকে প্রশ্ন করিলেন, তোমার কাছে প্রিয় মাল কোন্টি? সে বলিল, উট বা গাভী। বর্ণনাকারী ইসহাক্ সন্দেহ পোষণ করিয়াছেন। তবে কুষ্ঠরোগী বা টাক মাথাওয়ালা তাদের একজন বলিল, উট আর অপরজন বলিল গাভী। অতঃপর তাকে গর্ভবতী উষ্ট্রী প্রদান করা হলো এবং বলিলেন, আল্লাহ তোমাকে এতে বারাকাত দান করুন। এরপর ফেরেশ্তা টাক মাথা লোকের কাছে এসে তাকে প্রশ্ন করিলেন, তোমার নিকট সবচেয়ে বেশী প্রিয় জিনিস কি? সে বলিল, সুন্দর চুল এবং আমার থেকে যেন এ ব্যাধি নিরাময় হয়ে যায় যার করণে লোকেরা আমাকে অভক্তি করছে। ফেরেশ্তা তার শরীরে হাত বুলালে তার ব্যাধি ভালো হয়ে যায়। এরপর তাকে দান করা হয় সুন্দর চুল। পুনরায় ফেরেশ্তা তাকে প্রশ্ন করিলেন যে, কোন্ মাল তোমার কাছে সবচেয়ে বেশী প্রিয়? সে বলিল, গাভী। তারপর তাকে গর্ভবতী একটি গাভী দান করা হলো এবং ফেরেশ্তা বলিলেন, আল্লাহ তোমাকে এতে বারাকাত দান করুন। এরপর ফেরেশ্তা অন্ধ ব্যক্তির নিকট আসলেন এবং বলিলেন, তোমার নিকট কোন জিনিস সবচেয়ে প্রিয়? সে বলিল, আল্লাহ তাআলা আমাকে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিক যাতে আমি লোকজন দেখিতে পারি। অতঃপর ফেরেশ্তা তার চোখের উপর হাত বুলালে আল্লাহ তার দৃষ্টি শক্তি ফিরিয়ে দেন। এরপর ফেরেশ্তা আবার তাকে প্রশ্ন করিলেন, কোন্ সম্পদ তোমার কাছে বেশী প্রিয়? সে বলিল, বকরী। তাকে গর্ভবতী বকরী দান করা হলো। অতঃপর উষ্ট্রী, গাভী এবং বক্রী সবই বাচ্চা দিল। ফলে তার এক মাঠ উট, তার এক মাঠ গাভী এবং তার এর মাঠ বকরী হয়ে গেল। অতঃপর ফেরেশ্তা অনতিকাল পরে তার পূর্ববৎ আকৃতিতে কুষ্ঠরোগীর কাছে এসে বলিল, আমি একজন মিসকীন ও নিঃস্ব ব্যক্তি, সফরে আমার সকল অবলম্বন নিঃশেষ হয়ে গেছে। আল্লাহর, অতঃপর তোমার সহযোগিতা ছাড়া বাড়ী পৌঁছাও আমার পক্ষে সম্ভব নয়। সুতরাং যে আল্লাহ তোমাকে উত্তম রং, সুন্দর চামড়া এবং অনেক সম্পদ প্রদান করিয়াছেন তার নামে আমি তোমার কাছে একটি উট সাহায্য চাচ্ছি, যেন এ সফরে আমি তাতে আরোহণ করে বাড়ী পৌঁছতে পারি। এ কথা শুনে সে বলিল, দায়-দায়িত্ব অনেক বেশী, তাই দেয়া সম্ভব নয়। তখন ফেরেশ্তা বলিলেন, আমি তোমাকে চিনি বলে মনে হচ্ছে। তুমি কি নিঃস্ব, কুষ্ঠরোগী ছিলে না? এরপর আল্লাহ তোমাকে অনেক সম্পদ প্রদান করিয়াছেন। সে বলিল, বাহ্! আমি তো বাপ-দাদা হইতেই বংশপরম্পরায় এ সম্পদের উত্তরাধিকার হয়েছি। অতঃপর ফেরেশ্তা বলিলেন, যদি তুমি মিথ্যাবাদী হও, তবে আল্লাহ তাআলা যেন তোমাকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেন। এবার ফেরেশ্তা তার আগের আকৃতিতে টাক মাথা লোকের কাছে এসে ঐ লোকের ন্যায় তাকেও বলিলেন এবং সে-ও প্রথম লোকের মতোই জবাব দিল। অতঃপর তিনি বলিলেন, যদি তুমি মিথ্যাবাদী হও তবে যেন আল্লাহ তাআলা তোমাকে তোমার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেন। এরপর ফেরেশ্তা তাহাঁর আগের আকৃতিতে অন্ধ লোকের কাছে এসে বলিল, আমি একজন নিঃস্ব, মুসাফির ব্যক্তি। আমার সফরের যাবতীয় সম্বল নিঃশেষ হয়ে গেছে। আল্লাহ তাআলা এবং পরে তোমার সহযোগিতা ছাড়া আজ বাড়ী পৌঁছা আমার পক্ষে অসম্ভব। যে আল্লাহ তোমাকে দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দিয়েছেন তার নামে তোমার কাছে আমি একটি বকরী চাই যেন আমি সফর শেষে বাড়ী পৌঁছতে পারি। এ কথা শুনে লোকটি বলিল, হ্যাঁ, আমি অন্ধ ছিলাম, আল্লাহ আমার দৃষ্টিশক্তি আবার ফিরিয়ে দিয়েছেন। আপনার ইচ্ছামত আপনি নিয়ে যান এবং যা মনে চায় রেখে যান। আল্লাহর শপথ! আজ আল্লাহর নামে আপনি যা নিবেন এ বিষয়ে আমি আপনাকে বাধা দিব না। অতঃপর ফেরেশ্তা বলিলেন, তুমি তোমার সম্পদ রেখে দাও। তোমাদের তিনজনের পরীক্ষা হলো। আল্লাহ তোমার প্রতি সন্তুষ্ট এবং তোমার অপর দু সাথীদ্বয়ের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৬২, ইসলামিক সেন্টার- ৭২১৫]

৭৩২২. আমির ইবনি সাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, সাদ ইবনি ওয়াক্কাস [রাদি.] একটা তার উটের পালের মাঝে উপবিষ্ট ছিলেন, এমতাবস্থায় তার পুত্র উমর এসে পৌঁছলেন। সাদ [রাদি.] তাকে দেখামাত্রই পাঠ করিলেন, “আঊযুবিল্লা-হি মিন্ শার্রি হা-যার্ র-কিব” অর্থাৎ- আমি এ আরোহীর অনিষ্ট হইতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। তারপর সে তার আরোহী হইতে নেমে বলিল, আপনি লোকেদেরকে ছেড়ে দিয়ে উষ্ট্র এবং বকরীর মাঝে এসে বসে আছেন। আর এদিকে কর্তৃত্ব নিয়ে লোকেরা পরস্পর একে অপরের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত। এ কথা শুনে সাদ [রাদি.] তার বুকে আঘাত করে বলিলেন, চুপ থাকো। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে এ কথা বলিতে শুনেছি যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ মুত্তাকী, আত্মনির্ভবাশীল ও লোকালয় হইতে নির্জনে বাসকারী বান্দাকে আল্লাহ তাআলা ভালোবাসেন।

. [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৬৩, ইসলামিক সেন্টার- ৭২১৬]

৭৩২৩. সাদ ইবনি আবু ওয়াক্কাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ! আরবের বাসিন্দাদের মাঝে সর্বপ্রথম আমিই আল্লাহর রাস্তায় তীর ছুঁড়েছি। আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে যুদ্ধ করতাম। তখন হুবলাহ্ এবং সামুর নামের বৃক্ষের পাতা ছাড়া আমাদের কাছে খাবার উপযোগী কোন খাদ্যই অবশিষ্ট থাকত না। তাই আমাদের একজন বক্রীর মতো মল ত্যাগ করত। আর এখন বানূ আসাদের লোকেরা দীনী বিষয়ে আমাদেরকে ধমক দিচ্ছে, এমনই যদি হয় তবে তো আমি অকৃতকার্য এবং আমার আমাল সবই ব্যর্থ।

ইবনি নুমায়র তার বর্ণনায় ……. শব্দটি উল্লেখ করেননি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৬৪, ইসলামিক সেন্টার- ৭২১৭]

৭৩২৪. ইসমাঈল ইবনি আবু খালিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে এ সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

অবিকল বর্ণনা করিয়াছেন। তবে এতে রয়েছে যে, ফলে আমাদের একজন বকরীর মতো মল নির্গত করত। যার একাংশ অন্য অন্য অংশের সাথে মিশতো না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৬৫, ইসলামিক সেন্টার- ৭২১৮]

৭৩২৫. খালিদ ইবনি উমায়র আল আদাবী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, উত্বাহ্ ইবনি গাযওয়ান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] একদিন আমাদের মাঝে বক্তৃতা দিলেন এবং প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান করে বলিলেন, অতঃপর বলেছেন- পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবার সংবাদ দিয়েছে ও শীঘ্রই বিদায় নিচ্ছে। পৃথিবীর কিয়দংশ অবশিষ্ট রয়েছে, যেমন আহারের পর পাত্রের মধ্যে কিছু খাদ্য অবশিষ্ট থেকে, যা ভক্ষণকারী রেখে দেয়। একদিন এ দুনিয়া পরিত্যাগ করে তোমরা স্থায়ী জগতের দিকে রওয়ানা করিবে। অতএব তোমরা ভবিষ্যতের জন্য কিছু পুণ্য নিয়ে রওনা করো। কেননা আমাদের সম্মুখে আলোচনা করা হয়েছে যে, জাহান্নামের এক কোণে একটি পাথর নিক্ষেপ করা হইবে, তারপর সেটা সত্তর বছর পর্যন্ত ক্রমাগ্রতভাবে যেতে থাকিবে, তথাপিও সেটা তার তলদেশে গিয়ে পৌঁছতে পারবে না। আল্লাহর কসম! জাহান্নাম- পূর্ণ হয়ে যাবে। তোমরা কি এতে আশ্চর্যান্বিত হচ্ছ? এবং আমার নিকট এটাও বর্ণনা করা হয়েছে যে, জান্নাতের এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত চল্লিশ বছরের পথ। শীঘ্রই একদিন এমন আসবে, যখন সেটা মানুষের ভিড়ে পরিপূর্ণতা লাভ করিবে। আমি নিজেকে দেখেছি যে, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গী সাত ব্যক্তির সপ্তমজন ছিলাম। তখন আমাদের কাছে বৃক্ষের পাতা ছাড়া আর কোন খাবারই ছিল না। ফলে আমাদের চোয়াল ঘা হয়ে গেল। এ সময় আমি একটি চাদর পেয়েছিলাম। অতঃপর আমার ও সাদ ইবনি মালিক-এর জন্য আমি সেটাকে দু টুকরো করে নেই। এক টুকরো দিয়ে আমি লুঙ্গি বানিয়েছি এবং আরেক টুকরোটি দিয়ে লুঙ্গি বানিয়েছে সাদ ইবনি মালিক [রাদি.]। আজ আমাদের সকলেই কোন না কোন শহরের আমীর। এরপর তিনি বলেন, আমি আমার কাছে বড় এবং আল্লাহর কাছে ছোট হওয়া থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। সকল নবীদের নাবূওয়াতই এক পর্যায়ে শেষ হয়ে যাবে। পরিশেষে সেটা রাজতন্ত্রে রূপ নিবে। আমার পর আগমনকারী আমীর-উমারাদের খবর তোমরা শীঘ্রই পাবে এবং তাদেরকে পরীক্ষা করে নিবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৬৬, ইসলামিক সেন্টার- ৭২১৯]

৭৩২৬. খালিদ ইবনি উমায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি জাহিলী যুগ পেয়েছিলেন, খালিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, একদিন উতবাহ্ ইবনি গায্ওয়ান [রাদি.] ভাষণ দিলেন। তখন তিনি বাসরার শাসনকর্তা ছিলেন। অতঃপর ইসহাক্ সূত্রে শাইবান-এর অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৬৭, ইসলামিক সেন্টার- ৭২২০]

৭৩২৭. খালিদ ইবনি উমায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি উতবাহ্ ইবনি গায্ওয়ান [রাদি.]-কে এ কথা বলিতে শুনলাম যে, তিনি বলেন, এক সময় আমি রসূলুল্লাহ-এর সঙ্গী সাতজনের সপ্তম ব্যক্তি ছিলাম, তখন হুবলাহ্ গাছের পাতা ছাড়া আমাদের কোন খাবার ছিল না। পাতা খেতে খেতে অবশেষে আমাদের মুখে ঘা হয়ে যায়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৬৮, ইসলামিক সেন্টার- ৭২২১]

৭৩২৮. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ.

তিনি বলেন, সহাবাগণ জিজ্ঞেস করিলেন, হে আল্লাহর রসূল! কিয়ামাতের দিন আমরা কি আমাদের রবকে দেখিতে পাব? জবাবে তিনি বলিলেন , আকাশে মেঘ না থাকাবস্থায় দুপুরের সময় সূর্য দেখিতে তোমাদের কোন কষ্ট হয় কি? সহাবাগণ বলিলেন, জী না। অতঃপর তিনি বলিলেন, আকাশে মেঘ না থাকাবস্থায় পূর্ণিমার চাঁদ দেখিতে তোমাদের কোন কষ্ট হয় কি? সহাবাগণ বলিলেন, জী না। তারপর তিনি বলিলেন, ঐ সত্তার কসম! যাঁর হাতে আমার জীবন! চন্দ্র-সূর্য কোন একটি দেখিতে তোমাদের যেরূপ কষ্ট হয় না, তোমাদের রবকেও দেখিতে তোমাদের ঠিক তদ্রূপ কষ্ট হইবে না। আল্লাহর সাথে বান্দার সাক্ষাৎ হইবে। তখন তিনি বলিলেন, হে অমুক! আমি কি তোমাকে সম্মান দান করিনি, কর্তৃত্ব দান করিনি, জোড়া মিলিয়ে দেইনি, ঘোড়া-উট তোমার কাজে লাগিয়ে দেইনি এবং সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের মাঝে তোমার পানাহারের ব্যবস্থা করিনি? জবাবে বান্দা বলবে, হ্যাঁ, হে আমার রব! তারপর তিনি বলবেন, তুমি কি মনে করিতে যে, তুমি আমার মুখোমুখী হইবে? সে বলবে, না, তা মনে করতাম না। তিনি বলিলেন, তুমি যেরূপভাবে আমাকে ভুলে গিয়েছিলে তদ্রূপভাবে আমিও তোমাকে ভুলে যাচ্ছি। অতঃপর দ্বিতীয় অপর এক ব্যক্তির আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ হইবে। তখন তিনি তাকেও বলবেন, হে অমুক! আমি কি তোমাকে সম্মান দান করিনি, নেতৃত্ব দেইনি, তোমার পরিবার [জোরা মিলিয়ে] দেইনি, উট-ঘোড়া তোমার কাজে লাগিয়ে দেইনি এবং সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে পানাহারের জন্য তোমাকে কি সুবিধা করে দেইনি? সে বলবে, হ্যাঁ করিয়াছেন। হে আমার পালনকর্তা! তারপর তিনি বলিলেন, আমার সাথে তোমার সাক্ষাৎ হইবে এ কথা তুমি মনে করিতে? সে বলবে, না। তখন আল্লাহ তাআলা বলবেন, তুমি যেমন আমাকে ভুলে গিয়েছিলে অনুরূপভাবে আমিও তোমাদেরকে ভুলে যাব। তারপর তৃতীয় অপর এক ব্যক্তির আল্লাহর সাথে দেখা হইবে। এরপর তিনি আগের মতো অবিকল বলবেন। তখন লোকটি বলবে, হে আমার প্রতিপালক! আমি আপনার প্রতি এবং কিতাব ও রসূলগণের প্রতি ঈমান এনেছি। আমি নামাজ আদায় করেছি, সাওম পালন করেছি এবং সদাকাহ্ করেছি। এমনিভাবে সে যথাসাধ্য নিজের প্রশংসা করিবে। এমতাবস্থায় আল্লাহ তাআলা বলবেন, এখনই তোমার মিথ্যা প্রকাশিত হয়ে যাবে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তারপর তাকে বলা হইবে, এখনই আমি তোমার উপর আমার সাক্ষী উপস্থিত করব। তখন বান্দা মনে মনে চিন্তা করিতে থাকিবে যে, কে তার বিপক্ষে সাক্ষী দিবে? তখন তার জবান বন্ধ করে দেয়া হইবে এং তার উরু, গোশ্ত ও হাড়কে বলা হইবে, তোমরা কথা বলো। ফলে তার উরু, গোশ্ত ও হাড় তার আমালের ব্যাপারে বলিতে থাকিবে। এ ব্যবস্থা এজন্য করা হইবে যেন, আত্মপক্ষ সমর্থন করার কোন সুযোগ তার অবশিষ্ট না থাকে।

এ ব্যক্তি হচ্ছে মুনাফিক যার প্রতি আল্লাহ তাআলা অসন্তুষ্ট।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৬৯, ইসলামিক সেন্টার- ৭২২২]

৭৩২৯. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে ছিলাম। এ সময় তিনি হেসে বলিলেন, তোমরা কি জান, আমি কেন হাসলাম? আমরা বললাম, এ সম্পর্কে আল্লাহ ও তার রসূলই ভাল জানেন। অতঃপর তিনি বলিলেন, বান্দা তার তদীয় রবের সঙ্গে যে কথা বলবে, এজন্য হাসলাম। বান্দা বলবে, হে আমার পালনকর্তা! তুমি কি আশ্রয় দাওনি আমাকে অত্যাচার হইতে? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ আল্লাহ তাআলা বলবেন, হ্যাঁ আমি কারো প্রতি অত্যাচার করি না। এরপর বান্দা বলবে, আমি আমার ব্যাপারে স্বীয় সাক্ষ্য ছাড়া অন্য কারো সাক্ষী হওয়াকে বৈধ মনে করি না। তখন মহান আল্লাহ বলবেন, আজ তুমি নিজেই তোমার সাক্ষী হওয়ার জন্য যথেষ্ট এবং সম্মানিত কিরামান কাতিবীন [লিপিকারবৃন্দও] যথেষ্ট। তারপর বান্দার জবান বন্ধ করে দেয়া হইবে এবং তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে নির্দেশ দেয়া হইবে যে, তোমরা বলো। তারা তার আমাল সম্পর্কে বলবে। তারপর বান্দাকে কথা বলার অনুমতি দেয়া হইবে। তখন বান্দা তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে উদ্দেশ্য করে বলবে, অভিসম্পাত তোমাদের প্রতি, তোমরা দূর হয়ে যাও। আমি তো তোমাদের জন্যই বিবাদ করছিলাম।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৭০, ইসলামিক সেন্টার- ৭২২৩]

৭৩৩০. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদের পরিবার-পরিজনকে জীবন ধারণোপযোগী রিজিক দান করো।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৭১, ইসলামিক সেন্টার- ৭২২৪]

৭৩৩১. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদের পরিবার-পরিজনক প্রয়োজনীয় জীবিকা দান করো।

আমরের বর্ণনায় ……… শব্দটি বর্ণিত আছে [অর্থ একই]।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৭২, ইসলামিক সেন্টার- ৭২২৫]

৭৩৩২. উমারাহ্ ইবনি কাকা[রাদি.] থেকে এ সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

অবিকল বর্ণনা করিয়াছেন। তবে এ বর্ণনায় ……………. –এর পরিবর্তে …….. শব্দ বর্ণিত আছে। {১৫} [ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৭৩, ইসলামিক সেন্টার- ৭২২৬]

{১৫} ………..অর্থ সামান্য পরিমাণ, ন্যূনতম প্রয়োজন, জীবিকা। যতটুকু হলে অন্যের মুখাপেক্ষী হইতে হইবে না।

৭৩৩৩. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাদীনায় আগমনের পর থেকে তাহাঁর ইনতিকালের পূর্ব পর্যন্ত পরিবার-পরিজন নিয়ে একাধারে তিন দিন গমের রুটি তৃপ্তির সাথে খাননি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৭৪, ইসলামিক সেন্টার- ৭২২৭]

৭৩৩৪. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একাধারে তিন দিন গমের রুটি পেট ভরে খাননি, এ অবস্থায়ই তিনি পরপারে চলে যান।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৭৫, ইসলামিক সেন্টার- ৭২২৮]

৭৩৩৫. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, দুদিন একাধারে মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর পরিবার-পরিজন যবের রুটি কক্ষনো পেট ভর্তি করে খাননি। এ অবস্থায়ই রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ওফাত হয়ে যায়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৭৬, ইসলামিক সেন্টার- ৭২২৯]

৭৩৩৬. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এরে পরিবার-পরিজন তিন দিনের বেশি গমের রুটি কক্ষনো পেট ভর্তি খাদ্য গ্রহণ করেননি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৭৭, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৩০]

৭৩৩৭. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, তিন দিন একাধারে মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর পরিবার গমের রুটি পূর্ণতৃপ্ত সহকারে ভক্ষণ করেননি। এ অবস্থায়ই তিনি পরপারে চলে যান।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৭৮, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৩১]

৭৩৩৮. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর পরিবার-পরিজন দু দিন পূর্ণতৃপ্ত হয়ে গমের রুটি খাননি। দুদিনের একদিন তিনি খুরমা খেয়েই অতিবাহিত করিতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৭৯, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৩২]

৭৩৩৯. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর পরিবার মাসের পর মাস এমনভাবে অতিবাহিত করতাম যে, আমরা [রান্না করার জন্য] আগুনও প্রজ্জ্বলন করতাম না। আমরা শুধু খেজুর ও পানি খেয়েই দিনাতিপাত করতাম।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৮০, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৩৩]

৭৩৪০. হিশাম ইবনি উরওয়াহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

এ সূত্রে অবিকল বর্ণনা করিয়াছেন। এতে রয়েছে যে, …… কিন্তু ……….. কথাটির উল্লেখ নেই।

আবু কুরায়ব-এর বর্ণনায় বর্ধিত রয়েছে এই যে, হ্যাঁ, যখন গোশ্ত আসত তখন আগুন জ্বালানো হত।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৮১, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৩৪]

৭৩৪১. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, যখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইন্তিকাল করেন, তখন আমার পাত্রে অল্প পরিমাণ যব ছিল। আমি তা থেকেই খেতাম। এভাবে অনেক দিন অতিবাহিত হলো। পরিশেষে আমি তা পরিমাপ করলাম, অতঃপর সেটা শেষ হয়ে গেল।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৮২, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৩৫]

৭৩৪২. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, হে আমার বোনের ছেলে! আমরা নতুন চন্দ্র দেখতাম তারপর আবার নতুন চন্দ্র দেখতাম। আবারও নতুন চন্দ্র দেখতাম। অর্থাৎ- দুমাসে তিনটি নতুন চন্দ্র দেখতাম। অথচ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ঘরে আগুন জ্বলত না। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে খালা! আপনারা কিভাবে দিনাতিপাত করিতেন? তিনি বলিলেন, দুটো কালো বস্তু দ্বারা- তা হচ্ছে খুরমা ও পানি। তবে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কতিপয় আনসারী প্রতিবেশী ছিল। তাদের ছিল দুগ্ধবতী উটনী ও বকরী- তারা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর জন্য সেগুলো দোহন করে এর দুধ তাহাঁর কাছে প্রেরণ করিতেন এবং তিনি আমাদেরকে তাই পান করিতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৮৩, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৩৬]

৭৩৪৩. নবী [সাঃ]-এর স্ত্রী আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইন্তিকাল করিয়াছেন অথচ দুবেলা তিনি রুটি ও যাইতুন দ্বারা কক্ষনো পূর্ণতৃপ্ত হননি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৮৪, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৩৭]

৭৩৪৪. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইন্তিকাল করিয়াছেন, যখন লোকেরা দুটি কালো বস্তু তথা খেজুর ও পানি খেয়ে পূর্ণতৃপ্ত হতো।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৮৫, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৩৮]

৭৩৪৫. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এমন সময় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ওফাত হয়েছে, যখন আমরা দুটি কালো জিনিস তথা পানি ও খেজুর খেয়ে পূর্ণতৃপ্ত হতাম।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৮৬, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৩৯]

৭৩৪৬. সুফ্ইয়ান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

অবিকল বর্ণনা করিয়াছেন। তবে এখানে শুধু ………………………….. অথচ আমরা দুটি কালো জিনিস [পানি ও খেজুর] দ্বারা পরিতৃপ্ত হয়নি এ কথাটিই বর্ণিত আছে। অর্থাৎ আমরা তৃপ্ত সহকারের খেজুর ও পানিও পেতাম না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৮৭, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৪০]

৭৩৪৭. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, ঐ সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার জীবন!

বর্ণনাকারী ইবনি আব্বাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আবু হুরায়রা্ [রাদি.] বলেছেন, ঐ সত্তার শপথ! যাঁর হাতে আবু হুরাইরার জীবন। একাধারে তিন দিন গমের রুটি দিয়ে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার পরিবার-পরিজনকে পূর্ণতৃপ্ত আহার করাতে পারেননি। এ অবস্থায়ই তিনি দুনিয়া ত্যাগ করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৮৮, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৪১]

৭৩৪৮. আবু হাযিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা্ [রাদি.]-কে স্বীয় আঙ্গুল দ্বারা কয়েকবার ইঙ্গিত করতঃ এ কথা বলিতে শুনেছি যে, ঐ সত্তার শপথ! যাঁর হাতে আবু হুরাইরার জীবন, একাধারে তিন দিন পর্যন্ত আল্লাহর নবী ও তাহাঁর পরিবার গমের রুটি দিয়ে কক্ষনো পরিতৃপ্ত হননি। এমতাবস্থায় তিনি দুনিয়া থেকে বিদায় গ্রহণ করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৮৯, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৪২]

৭৩৪৯. নুমান ইবনি বাশীর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, তোমরা কি চাহিদা মতো পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানীয় পাচ্ছ না? অথচ আমি তোমাদের নবী [সাঃআঃ]- কে দেখেছি যে, তিনি ক্ষুধা নিবারণের জন্য নিম্নমানের খুরমাও পাননি।

বর্ণনাকারী কুতাইবাহ্ অন্য বর্ণনায় ……. [নিম্নমানের খুরমা] শব্দটি উল্লেখ করেননি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৯০, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৪৩]

৭৩৫০. সিমাক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে এ সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

অবিকল বর্ণনা করিয়াছেন। তবে সিমাক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] যুহায়র-এর হাদীসের মধ্যে এ কথাটি বর্ধিত বর্ণনা করেছেনে যে, অথচ বর্তমানে তোমরা খুরমা ও মাখনের বিভিন্ন প্রকার খাদ্য ছাড়া কোন খাদ্য গ্রহণ করো না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৯১, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৪৪]

৭৩৫১. সিমাক ইবনি হারব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নুমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে বক্তৃতারত অবস্থায় আমি এ কথা বলিতে শুনলাম যে, উমর [রাদি.] বলেছেন, মানুষ কি পরিমাণ দুনিয়া অর্জন করেছে। অথচ রসূল [সাঃআঃ]-কে আমি দেখেছি যে, তিনি ক্ষুধার তাড়নায় সারা দিন অস্থির থাকতেন। ক্ষুধা নিবারণের জন্য নিম্নমানের খেজুরও তিনি পেতেন না। [যার মাধ্যমে পেটপূর্ণ করবেন]।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৯২, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৪৫]

৭৩৫২. .আবদুল্লাহ ইবনি আমর ইবনিল আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এক লোক তাকে জিজ্ঞেস করিল যে, আমরা কি মুহাজির ফকীরদের দলভুক্ত নই? এ কথা শুনে আবদুল্লাহ তাকে বলিলেন, তোমার কি সহধর্মিণী নেই, যার কাছে তুমি গিয়ে থাকো? উত্তরে সে বলিল, হ্যাঁ আছে। অতঃপর তিনি বলিলেন, বসবাস করার জন্য তোমার কি আবাসস্থল নেই? সে বলিল, হ্যাঁ আছে। তখন তিনি বলিলেন, তবে তো তুমি ধনীদের পর্যায়ভুক্ত। তারপর সে বলিল, আমার একজন খাদিমও আছে। এ কথা শুনে তিনি বলিলেন, তাহলে তো তুমি বাদশাহ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৯৩, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৪৬]

৭৩৫৩. আবু আবদুর রহমান হইতে বর্ণীতঃ

একদিন তিন লোক আবদুল্লহ ইবনি আম্‌র ইবনিল আস [রাদি.]-এর কাছে আসলেন। তখন আমি তার কাছে বসা ছিলাম। তারা এসে বলিল, হে আবু মুহাম্মাদ! আমাদের কোন কিছুই নেই, আমাদের পরিবারের ভরণ-পোষণের কোন ব্যবস্থা নেই, সওয়ারীও নেই, কোন আসবাবপত্রও নেই। তারপর তিনি তাদেরকে বলিলেন, তোমরা যা চাও আমি তাই করব। তোমরা যদি ইচ্ছা কর আমার কাছে চলে এসো। আল্লাহ তোমাদের ভাগ্যলিপিতে যা রেখেছেন আমি তোমাদেরকে তা প্রদান করব। তোমরা চাইলে বাদশাহে্র নিকট আমি তোমাদের আলোচনা করব। আর তোমাদের মনে চাইলে তোমরা সবর করো। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে এ কথা বলিতে শুনেছি যে, কিয়ামাতের দিন দরিদ্র মুহাজির ব্যক্তিগত বিত্তবানদের চেয়ে চল্লিশ বছর আগেই জান্নাতে পৌঁছে যাবে।

এ কথা শুনে তারা বলিলেন, আমরা ধৈর্য অবলম্বন করব, কারো কাছে কিছুই চাইব না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৯৩, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৪৬]

৭৩৫৪. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আসহাবে হিজ্র তথা সামূদ গোত্র সম্পর্কে সহাবাদেরকে বলেছেন: শাস্তিপ্রাপ্ত এ সম্প্রদায়ের উপর দিয়ে ক্রন্দনরত অবস্থায় তোমাদের পথ চলা উচিত। যদি তোমাদের কান্না না আসে তাদের এলাকায় কিছুতেই ঢুকবে না। যাতে এমনটি না ঘটে যে, তাদের উপর যে আযাব এসেছিল, অনুরূপ আযাব তোমাদের উপরও এসে যায়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৯৪, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৪৭]

৭৩৫৫. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে একদিন আমরা হিজ্র অধিবাসীদের এলাকা দিয়ে পথ অতিক্রম করছিলাম। এমন সময় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে বলিলেন, যারা নিজেদের প্রতি যুল্ম করেছে তাদের জনপদ দিয়ে তোমরা ক্রন্দনরত অবস্থায় যাবে এ ভয়ে যে, তাদের উপর যে শাস্তি পতিত হয়েছে অনুরূপ শাস্তি তোমাদের উপরও যেন এসে না যায়। অতঃপর [ধমকের স্বরে] তিনি তার সওয়ারীকে আরো দ্রুতগতি করে উক্ত অঞ্চল অতিক্রম করিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৯৫, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৪৮]

৭৩৫৬. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একবার লোকেরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সঙ্গে হিজ্র তথা সামূদ গোত্রের জনপদে পৌঁছলেন। অতঃপর লোকেরা তথাকার কূপ হইতে পানি উত্তোলন করিলেন এবং এর দ্বারা আটার খামীর প্রস্তুত করিলেন। এ দেখে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাদেরকে এ পানি ফেলে দেয়া এবং খামীর উষ্ট্রকে খাইয়ে ফেলার নির্দেশ দিলেন। আর তাদেরকে ঐ কূপ হইতে পানি উত্তোলনের নির্দেশ দিলেন, যে কূপ হইতে সালিহ [আঃ]-এর উষ্ট্রী পানি পান করত।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৯৬, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৪৯]

৭৩৫৭. উবাইদুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে এ সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

অবিকল হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে এতে …………………….. এর পরিবর্তে …………………. কথাটি বর্ণিত রয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৭১৯৭, ইসলামিক সেন্টার- ৭২৫০]

Comments

One response to “যারা নিজেদের উপর অত্যাচার করেছে [ সামূদ গোত্রের ] তাদের আবাসস্থলে ..”

Leave a Reply