সাক্ষ্য প্রদান । মিথ্যা সাক্ষ্যদানের কঠিন শাস্তি সম্পর্কে
সাক্ষ্য প্রদান >> বুলুগুল মারাম এর মুল সুচিপত্র দেখুন
অধ্যায় – ১ঃ সাক্ষ্য প্রদান
পরিচ্ছেদ ১৪. সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আহবান করার পুর্বেই যারা সাক্ষ্য দেয়ার জন্য উপস্থিত হয়, তাহাদের প্রশংসা করা প্রসঙ্গে
পরিচ্ছেদ ১৫. সাক্ষ্য দানের জন্য আহবান না করা হলেও যারা সাক্ষ্য দেয়, তাহাদের প্রতি নিন্দা করা প্রসঙ্গে
পরিচ্ছেদ ১৬. যাদের সাক্ষ্য গ্রহন করা যায় না
পরিচ্ছেদ ১৭. ব্যক্তির প্রকাশ্য দিক বিবেচনায় সাক্ষ্য গ্রহন
পরিচ্ছেদ ১৮. মিথ্যা সাক্ষ্যদানের কঠিন শাস্তি সম্পর্কে
পরিচ্ছেদ ১৯. নিশ্চিতভাবে জানা থাকলে সাক্ষ্য দেওয়া, সন্দেহ থাকলে সাক্ষ্য না দেওয়া
পরিচ্ছেদ ২০. শপথ ও সাক্ষ্য গ্রহন দ্বারা বিচার করার বৈধতা
অধ্যায় [২]ঃ দাবি এবং প্রমাণ
পরিচ্ছেদ ২১. প্রমাণ ব্যতিরেকে দাবি গ্রহন করা যাবে না
পরিচ্ছেদ ২২. উভয় পক্ষের মধ্যে কে লটারী করার সুযোগ পাবে তা নির্নয়ের জন্য লটারী করা প্রসঙ্গে
পরিচ্ছেদ ২৩. মিথ্যা শপথ দ্বা রা কোন মুসলমানের অধিকার আত্মসাৎ করার কঠিন শাস্তি প্রসঙ্গে
পরিচ্ছেদ ২৪. যদি দুজন ব্যক্তি কোন কিছু নিয়ে আদালতে দাবী পেশ করে এবং উভয়েরই কোন প্রমান নেই
পরিচ্ছেদ ২৫. রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মিম্বারেকৃত ক্বসমের গুরত্ব
পরিচ্ছেদ ২৬. আসরের পর মিথ্যা শপথ করার কঠিন অপরাধ প্রসঙ্গে
পরিচ্ছেদ ২৭. কোন বস্তুর দাবীদার দুজন হলে আর তা তাহাদের একজনের দখলে থাকলে এবং উভয়ে প্রমান পেশ করলে তা দখলকারীর বলে গণ্য হইবে
পরিচ্ছেদ ২৮. দাবীদারের উপর কসম করার দায়িত্ব প্রসঙ্গে
পরিচ্ছেদ – বংশবিশেষজ্ঞের উক্তিতে বংশধারা নির্ধারণ
পরিচ্ছেদ ১৪. সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আহবান করার পুর্বেই যারা সাক্ষ্য দেয়ার জন্য উপস্থিত হয়, তাহাদের প্রশংসা করা প্রসঙ্গে
১৩৯৯. যায়দ ইবনি খালিদ জুহানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেন, তোমাদেরকে উত্তম সাক্ষীগনের সংবাদ দেব না কি? [অবশ্যই দেব] তারা হচ্ছে, সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আহ্বান করার আগেই যারা সাক্ষ্য দেয়ার জন্য উপস্থিত হয়। {১৫০৭}
{১৫০৭} মুসলিম ১৭১৯, তিরমিজি ২২৯৫, ২২৯৭, আবু দাউদ ৩৫৯৬, ইবনি মাজাহ ২৩৬৪, আহম্মদ ১৬৫৯২, ১৬৫৯৯, মালেক ১৪২৬। সাক্ষ্য প্রদান হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৫. সাক্ষ্য দানের জন্য আহবান না করা হলেও যারা সাক্ষ্য দেয়, তাহাদের প্রতি নিন্দা করা প্রসঙ্গে
১৪০০. ইমরান ইবনি হুসাইন [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেন, আমার যুগের লোকেরাই তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম। অতঃপর তাহাদের নিকটবর্তী যুগের লোকেরা, অতঃপর তাহাদের নিকটবর্তী যুগের লোকেরা। অতঃপর তোমাদের পর এমন লোকেরা আসবে, যারা সাক্ষ্য দিতে না ডাকলেও তারা সাক্ষ্য দিবে, যারা খিয়ানাত করিবে, আমানত রক্ষা করিবে না। তারা মান্নত করিবে কিন্তু তা পুর্ন করিবে না। তাহাদের মধ্যে মেদওয়ালাদের প্রকাশ ঘটবে। {১৫০৮}
{১৫০৮} বোখারী ৩৬৫০, ৬৪২৮, ৬৬৯৫, মুসলিম ২৫৩৫, তিরমিজি ২২২১, ২২২২, আবু দাউদ ৪৬৫৭, আহম্মদ ১৯৩১৯, ১৯৩৩৪, ১৯৪৫১. সাক্ষ্য প্রদান হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৬. যাদের সাক্ষ্য গ্রহন করা যায় না
১৪০১. আব্দুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেন, কোন খিয়ানাতকারী, খিয়ানাতকারিনীর ও কোন হিংসুকের সাক্ষ্য তার মুসলিম ভাইয়ের বিপক্ষে এবং কোন চাকরের সাক্ষ্য তার মালিকেরে পরিবারের পক্ষে গ্রহন করা জায়িয হইবে না। {১৫০৯}
{১৫০৯} আবু দাউদ ৩৬০০, আহম্মদ ৬৮৬০, ৬৯০১। সাক্ষ্য প্রদান হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
১৪০২. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] কে বলিতে শুনেছেন, কোন অজ্ঞ যাযাবরের সাক্ষ্য স্থায়ী বাসিন্দার বিপক্ষে গৃহিত হইবে না। {১৫১০}
{১৫১০} আবু দাউদ ৩৬০২, ইবনি মাজাহ ২৩৬৭। ঈমাম যাহাবি বলেন, হাদিসটি মুনকার; ইবনি দাক্কীক্ক আল-ঈদ হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন, তাওযিহুল আহকাম ৭/২০০. সাক্ষ্য প্রদান হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
পরিচ্ছেদ ১৭. ব্যক্তির প্রকাশ্য দিক বিবেচনায় সাক্ষ্য গ্রহন
১৪০৩. উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসুল [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর সময়ে কিছু ব্যক্তিকে ওয়াহীর ভিত্তিতে পাকড়াও করা হত। এখন যেহেতু ওয়াহী বন্ধ হয়ে গেছে, সেহেতু এখন আমাদের সামনে তোমাদের যে ধরনের আমাল প্রকাশ পাবে, সেগুলোর ভিত্তিতেই তোমাদের বিচার করব। {১৫১১}
{১৫১১} বোখারীর বর্ননায় আরো রয়েছে-[আরবী] যে ব্যক্তি আমাদের সামনে ভালো প্রকাশ করিবে তাকে আমরা নিরাপত্তা দান করব এবং নিকটে আনবো, তার অন্তরের বিষয়ে আমাদের কিছু করনীয় নেই। আল্লাহই তার অন্তরের বিষয়ে হিসাব নিবেন। আর যে ব্যক্তি আমাদের সামনে মন্দ আমাল প্রকাশ করিবে, তার প্রতি আমরা তাহাদের নিরাপত্তা প্রদান করব না, যদিও সে বলে যে, তার অন্তর ভালো।[বোখারী ২৬৪১, নাসাঈ ৪৭৭৭, আবু দাউদ ৪৫৩৭, আহম্মদ ২৮৮। সাক্ষ্য প্রদান হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৮. মিথ্যা সাক্ষ্যদানের কঠিন শাস্তি সম্পর্কে
১৪০৪. আবু বাকরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানকে বড় পাপ বলে গন্য করিয়াছেন। {১৫১২}
{১৫১২} রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] [আরবি] বলেন, আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় কবীরা গুনাহগুলো সম্পর্কে অবহিত করবো না? এ কথাটি তিনি বারবার বলিলেন। সকলে বলিলেন, হে আল্লহর রাসুল! অবশ্যই বলুন। তিনি বলিলেন, আল্লাহর সঙ্গে শিরক করা এবং পিতা মাতার অবাধ্য হওয়া এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া। তিনি হেলান দিয়ে বসেছিলেন, এবার সোজা হয়ে বসলেন। তিনি কথাগুলো বারবার বলিতেই থাকলেন; এমনকি আমরা বলিতে লাগলাম, আর যদি তিনি না বলিতেন।[বোখারী ২৬৫৪, ৬২৭৩, ৬৯১৯, মুসলিম ৮৭, তিরমিজি ১৯০১, ২৩০১, আহম্মদ ১৯৮৭২, ১৯৮৮১। সাক্ষ্য প্রদান হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৯. নিশ্চিতভাবে জানা থাকলে সাক্ষ্য দেওয়া, সন্দেহ থাকলে সাক্ষ্য না দেওয়া
১৪০৫. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] একজন লোককে বলেছিলেন- তুমি কি সুর্য দেখতছ? সে বললোঃ হ্যাঁ। রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তাকে বললেনঃ এরুপ নিশ্চিত জানা বস্তুর সাক্ষ্য দিবে। অন্যথায় তা ত্যাগ করিবে। হাদিসটি ইবনি আদী দুর্বল সনদে বর্ননা করিয়াছেন। হাকিম এটিকে সহিহ মন্তব্য করে ভুল করিয়াছেন। {১৫১৩}
{১৫১৩} কামিল ইবনি আদী [৬/২২১৩]। সাক্ষ্য প্রদান হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদ ২০. শপথ ও সাক্ষ্য গ্রহন দ্বারা বিচার করার বৈধতা
১৪০৬. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] শপথ ও সাক্ষ্য গ্রহন দ্বারা বিচার করিয়াছেন। {১৫১৪}
{১৫১৪} মুসলিম ১৯৭২, আবু দাউদ ৩৬০৮, ইবনি মাজাহ ২৩৭০, আহম্মদ ২২৮৫, ২৮৮১, ২৯৬১। ঈমাম নাসাঈ এর সানাদকে উত্তম বলেছেন। সাক্ষ্য প্রদান হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
১৪০৭. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একটি হাদিস ঈমাম আবু দাউদ ও তিরমিজি সংকলন করিয়াছেন, ইবনি হিব্বান সহিহ বলেছেন। {১৫১৫}
{১৫১৫} আবু দাউদ ৩৬১০, ৩৬১১, তিরমিজি ১৩৪৩, ইবনি মাজাহ ২৩৬৮।সাক্ষ্য প্রদান হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অধ্যায় [২]ঃ দাবি এবং প্রমাণ
পরিচ্ছেদ ২১. প্রমাণ ব্যতিরেকে দাবি গ্রহন করা যাবে না
১৪০৮. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেন, যদি কেবল দাবীর উপর ভিত্তি করে মানুষের দাবী পুরন করা হয়, তাহলে মানুষ তাহাদের জান ও মালের দাবী করে বসতো। কিন্তু বিবাদিকে ক্বসম করানো হইবে। {১৫১৬} বায়হাক্বীতে সহিহ সনদে বর্নিত হাদীসে আছে, প্রমান দিতে হইবে বাদীকে আর বাদী প্রমান দিতে না পারলে বিবাদীর উপর ক্বসমের দায়িত্ব অর্পিত হইবে।
{১৫১৬} বোখারী ২৫১৪, ২৬৬৮, মুসলিম ১৭১১, তিরমিজি ১৩৪২, নাসাঈ ৫৪১৫ আবু দাউদ ৩৬৯১, ইবনি মাজাহ ২৩২১, আহম্মদ ২২৮০, ২৬০৮। সাক্ষ্য প্রদান হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২২. উভয় পক্ষের মধ্যে কে লটারী করার সুযোগ পাবে তা নির্নয়ের জন্য লটারী করা প্রসঙ্গে
১৪০৯. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একদল লোককে নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] হলফ করিতে বলিলেন। তখন [কে আগে হলফ করিবে এ নিয়ে] হুড়াহুড়ি শুরু করে দিল। তখন তিনি কে [আগে] হলফ করিবে, তা নির্ধারনের জন্য তাহাদের নামে লটারী করার নির্দেশ দিলেন। {১৫১৭}
{১৫১৭} বোখারী ২৬৭৪, আবু দাউদ ৩৬১৬, ইবনি মাজাহ ২৩২৯, আহম্মদ ৯৯৭৪, ১০৪০৮। সাক্ষ্য প্রদান হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২৩. মিথ্যা শপথ দ্বা রা কোন মুসলমানের অধিকার আত্মসাৎ করার কঠিন শাস্তি প্রসঙ্গে
১৪১০. আবু উমামাহ হারিসী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেন, যে ব্যক্তি স্বীয় মিথ্যা ক্বসমের মাধ্যমে মুসলিমের প্রাপ্য অধিকার আত্মসাৎ করিবে আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম ওয়াজিব করে দিবেন। আর তার জন্য জান্নাতকে নিষিদ্ধ করে দেবেন। কোন এক ব্যক্তি তাঁকে বললো, হে রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] যদি [যুলুম করে আত্মসাৎ করার] বস্তুটি তুচ্ছ হয়? উত্তরে তিনি বলিলেন, যদিও বাবলা গাছের একটি শাখা হয়। {১৫১৮}
{১৫১৮} মুসলিম ১৩৭, নাসাঈ ৫৪১৯, আবু দাউদ ২৩২৪। সাক্ষ্য প্রদান হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১৪১১. আশআস ইবনি ক্বাইস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেন, যে এমন [মিথ্যা] কসম করে, যা দ্বারা কোন মুসলিমের হক আত্মসাৎ করিবে। সে [ক্বিয়ামাতের দিন] আল্লাহর সঙ্গে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করিবে যে, আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট। {১৫১৯}
{১৫১৯} বোখারী ২৩৫৭, ২৫১৬, ২৬৬৭, ২৬৭৭, মুসলিম ১৩৮, তিরমিজি ১২৬৯, ২৯৯৬, আবু দাউদ ৩২৪৩, ইবনি মাজাহ ২৩২৩, আহম্মদ ৩৫৬৬, ৩৫৮৫, ৩৯৩৬। সাক্ষ্য প্রদান হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২৪. যদি দুজন ব্যক্তি কোন কিছু নিয়ে আদালতে দাবী পেশ করে এবং উভয়েরই কোন প্রমান নেই
১৪১২. আবু মূসা আশআরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
দুব্যক্তি একটি জানোয়ারের দাবী নিয়ে রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] এর কাছে মোকদ্দমা দায়ের করলো। এ বিষয়ে তাহাদের কারো কোন প্রমান ছিল না। রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] জন্তুটির মুল্য তাহাদের মধ্যে অর্ধেক করে ভাগাভাগি করে দিলেন। {১৫২০}
{১৫২০} শাইখ আলবানী ইরওয়াউল গালীল ২৬৫৬, জঈফ নাসাঈ ৫৪৩৯ গ্রন্থে হাদিসটিকে দুর্বল বলেছেন। ঈমাম বাইহাকী তার আস সুনান আল কুবরা ১০/২৫৮ গ্রন্থে হাদিসটিকে মুত্তাসিল ও গারীব বলেছেন। সাক্ষ্য প্রদান হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
পরিচ্ছেদ ২৫. রাসুল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মিম্বারেকৃত ক্বসমের গুরত্ব
১৪১৩. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেন, যে ব্যক্তি আমার এ মিম্বারের উপর পাপের [মিথ্যা] ক্বসম করিবে সে তার জন্য জাহান্নামে অবস্থান ক্ষেত্র নির্ধারন করিবে। {১৫২১}
{১৫২১} আবু দাউদ ৩২৪৬, ইবনি মাজাহ ২৩২৫, আহম্মদ ১৪২৯৬, ২৪৬০৬, মালেক ১৪৩৪। সাক্ষ্য প্রদান হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২৬. আসরের পর মিথ্যা শপথ করার কঠিন অপরাধ প্রসঙ্গে
১৪১৪. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ তিন রকম লোকের সাথে আল্লাহ তায়ালা ক্বিয়ামাতের দিন আল্লাহ তাআলা কথা বলবেন না এবং তাহাদেরকে পবিত্রও করবেন না, আর তাহাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি। [এক] ঐ ব্যক্তি, যে জনশুন্য ময়দানে অতিরিক্ত পানির মালিক কিন্তু মুসাফিরকে তা থেকে পান করিতে দেয় না। [দুই] সে ব্যক্তি যে আসরের পর অন্য লোকের কাছে দ্রব্য সামগ্রী বিক্রয় করিতে গিয়ে এমন ক্বসম খায় যে, আল্লাহর শপথ! এটার এত দাম হয়েছে। ক্রেতা সেটাকে সত্য বলে বিশ্বাস করে সে জিনিস কিনে নেয়। অথচ সে জিনিসের এত দাম হয়নি। [তিন] ঐ ব্যক্তি যে একমাত্র দুনিয়ার স্বার্থে ইমামের বায়আত গ্রহন করে। [বাদশাহ] ঐ লোকের মনের বাসনা পুর্ন করলে সে তার বায়আত পুর্ন করে। আর যদি তা না হয়, তাহলে বায়আত ভঙ্গ করে। {১৫২২}
{১৫২২} বোখারী ২৩৫৮, ২৩৬৯, ২৬৭২, ৭৪৪৬, মুসলিম ১০৮, তিরমিজি ১৫৯৫, ইবনি মাজাহ ২৮৭০, আহম্মদ ৭৩৯৩, ৯৮৬৬। সাক্ষ্য প্রদান হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ২৭. কোন বস্তুর দাবীদার দুজন হলে আর তা তাহাদের একজনের দখলে থাকলে এবং উভয়ে প্রমান পেশ করলে তা দখলকারীর বলে গণ্য হইবে
১৪১৫. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
দুজন লোক একটা উটনী নিয়ে বিবাদ করে তারা প্রত্যেকেই বলেঃ এটা আমার উটনী, আমার অধীনেই বাচ্চা প্রসব করেছে- তাহাদের দাবীর উপরে প্রত্যেকেই সাক্ষ্য প্রদান করে। রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ঐ উটনীটা উপস্থিত সময়ে যার অধিকারে ছিল তার অনুকুলে ফায়সালা দিয়েছিলেন। {১৫২৩}
{১৫২৩} ঈমাম মুলকিন তাহাঁর আল বাদরুল মুনীর ৯/৬৯৫ গ্রন্থে বলেন, এতে যায়েদ বিন নুআইম মুহাম্মাদ ইবনিল হাসান থেকে বর্ননা করিয়াছেন। তাকে এই হাদিস ছাড়া তার অন্য কোন সহিহ হাদিস জানা যায় না। ইবনিল কাত্তান তাহাঁর আল ওয়াহম আল ঈহাম ২/৫৫০ গ্রন্থে বলেন, এর মধ্যে যায়েদ বিন নুআইম নামক রাবী সম্পর্কে কিছু জানা যায় না, এছাড়া এর মধ্যে রয়েছে মুহাম্মাদ ইবনিল হাসান ও আবু হানীফা। ঈমাম যাহাবী মীযানুল ইতিদাল ২/১০৬ গ্রন্থে হাদিসটিকে গরীব বলেছেন। সাক্ষ্য প্রদান হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদ ২৮. দাবীদারের উপর কসম করার দায়িত্ব প্রসঙ্গে
১৪১৬. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সালাম] [বিবাদী ক্বসম প্রত্যাখ্যান করার ফলে] দাবীদার [বাদী] কে ক্বসম করিয়েছিলেন। {১৫২৪}
{১৫২৪} দারাকুতনী ৪র্থ খন্ড ২১৩ পৃষ্ঠা। হাদিসটি দুর্বল। শায়খ আলবানী ইরওয়াউল গালীল [২৬৪২] গ্রন্থে একে দুর্বল বলেছেন। ঈমাম যাহাবী তার তানকীহুত তাহকীক [২/৩২৬] গ্রন্থে একে মুনকার বলেছেন। ইবনিল কাইয়্যিম তাহাঁর আত তুরুক আল হুকমিয়্যাহ [১০৪] গ্রন্থে বলেন, এর সনদে মুহাম্মাদ বিন মাসরূক রয়েছে। দেখা দরকার যে সে ব্যক্তিটি কে? ইবনি হাজার আস কালানী তাহাঁর আত তালখিসুল হাবীর [৪/১৫৯৪] গ্রন্থে বলেন, এর বর্ননাকারী মুহাম্মাদ বিন মাসরূকের পরিচয় জানা যায়নি। আর ইসহাক ইবনিল ফুরাতের ব্যাপারে বিতর্ক রয়েছে। ঈমাম সনআনী তাহাঁর সুবুলুস সালাম [৪/২১০] গ্রন্থেও অনুরূপ মন্তব্য করিয়াছেন। সাক্ষ্য প্রদান হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
পরিচ্ছেদ – বংশবিশেষজ্ঞের উক্তিতে বংশধারা নির্ধারণ
১৪১৭,. আয়িশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একবার রসূলুল্লাহ [সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আমার কাছে এমন হাসিখুশি অবস্থায় আসলেন যে, তাহাঁর চেহারার রেখাগুলো চমকাচ্ছিল। তিনি বললেনঃ তুমি কি দেখনে যে মুজাযযিয আল-মুদলিযী [চিহ্ন দেখে বংশ নির্ধারণকারী] যায়দ ইবনি হারিসাহ এবং উসামাহ ইবনি যায়দ-এর দিকে অনুসন্ধানের দৃষ্টিতে লক্ষ্য করেছে। এরপর সে বলেছে, তাহাদের সে বলেছে, তাহাদের দুজনের পাগুলো পরস্পর থেকে [এসেছে] {১৫২৫}
{১৫২৫} বোখারী ২৫৫৫, ৩৭৩১, ৬৭৭১, মুসলিম ১৪৫৯, তিরমিজি ২১২৯, নাসাঈ ৩৪৯৩, ৩৪৯৪, আবু দাউদ ২২৬৭, ইবন মাজাহ ২৩৪৯, আহম্মদ ২৩৫৭৯। সাক্ষ্য প্রদান হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply