সহিহ আবু দাউদ শরীফ । আংটি অধ্যায় এর হাদিস সমূহ
সহিহ আবু দাউদ শরীফ । আংটি অধ্যায় এর হাদিস সমূহ , এই অধ্যায়ে হাদীস ২৬ টি (৪২১৪ – ৪২৩৯)>>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
অধ্যায় – ৩৬ঃ আংটি, অনুচ্ছেদঃ ১-৮=৮টি, হাদীসঃ (৪২১৪-৪২৩৯)=২৬টি
অনুচ্ছেদ-১ঃ আংটি ব্যবহার করা
অনুচ্ছেদ-২ঃ আংটি ব্যবহার না করা
অনুচ্ছেদ-৩ঃ স্বর্ণের আংটি সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-৪ঃ লোহার আংটি সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-৫ঃ ডান অথবা বাম হাতে আংটি পরা সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ–৬ঃ নূপুর সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-৭ঃ সোনা দিয়ে দাঁত বাঁধানো
অনুচ্ছেদ-৮ঃ মহিলাদের স্বর্ণালংকার ব্যবহার সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-১ঃ আংটি ব্যবহার করা
৪২১৪. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কতিপয় অনারব বাদশাদের নিকট চিঠি প্রেরণ করিতে চাইলে তাঁকে বলা হলো যে, তারা তো সীলমোহরবিহীন কোন চিঠি পড়ে না। সুতরাং তিনি রূপা দিয়ে একটি আংটি বানান, এবং তাতে “মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ” অঙ্কিত করান।
সহিহ আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪২১৫. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আনাস [রাদি.] সূত্রে ঈসা ইবনি ইউনুসের বর্ণিত উপরের হাদিসের অর্থানুরূপ বর্ণিত। এতে আরো রয়েছে নাবী [সাঃআঃ]-এর রূপার আংটি তাহাঁর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাহাঁর হাতেই ছিল, অতঃপর সেটি আবু বকর [রাদি.]-এর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাহাঁর হাতে, এরপর উমার [রাদি.]-এর মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তাহাঁর হাতে ছিল, অতঃপর উসমানের [রাদি.] হাতে এলে একদিন তিনি কূপের নিকট অবস্থানকালে হঠাৎ তাহাঁর হাত থেকে সেটি কূপে পড়ে যায়। পরে তাহাঁর নির্দেশে কূপের সমস্ত পানি নিষ্কাশন করা হয় কিন্তু সেটি আর পাওয়া যায়নি।
সহিহ আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪২১৬. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ]-এর একটি রূপার আংটি ছিল এবং এর পাথর ছিল আবিসিনীয়।
সহিহ আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪২১৭. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] আংটি ও তার পাথর পুরোটাই ছিল রূপার।
সহিহ আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪২১৮. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি আংটি বানিয়েছিলেন স্বর্ণের এবং এর উপরিভাগে মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ” অঙ্কন করেছিলেন। ফলে লোকেরাও স্বর্ণের আংটি বানালো। তিনি তা দেখে স্বর্ণের আংটি বর্জন করে বলিলেন আমি এটি আর কখনোই পরবো না। অতঃপর তিনি রূপা দিয়ে একটি আংটি বানালেন এবং তাতে “মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ” অঙ্কিত করালেন। তাহাঁর মৃত্যুর পর আবু বকর [রাদি.] তা ব্যবহার করেন। তার মৃত্যুর পর উমার [রাদি.] তা ব্যবহার করেন এবং তার পরে উসমান [রাদি.] তা ব্যবহার শুরু করেন। একদিন তার হাত থেকে সেটি আরীস নামক কূপে পড়ে যায়। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, উসমানের [রাদি.] হাত থেকে আংটিটি পড়ে যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত লোকেরা তার সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়নি।
সহিহ আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪২১৯. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি উমার [রাদি.] এ বিষয়ে নাবী [সাঃআঃ]-এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, নাবী [সাঃআঃ] রূপা দিয়ে একটি আংটি বানালেন এবং তাতে “মুহাম্মাদুর রসূলুল্লাহ” অঙ্কিত করে বলেন কেউ যেন তার আংটিতে এ বাক্য অঙ্কিত না করে। অতঃপর বর্ণনাকারী অবশিষ্ট হাদিস বর্ণনা করেন।
সহিহ আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪২২০. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি উমার [রাদি.] নাবী [সাঃআঃ]-এর সূত্রে এ সম্পর্কে বর্ণনা করেন, তারা আংটিটি অনুসন্ধান করে পেলেন না। অতঃপর উসমান [রাদি.] আরেকটি আংটি বানান এবং তাতে মুহাম্মাদ রসূলুল্লাহ বাক্য অঙ্কিত করেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি সেটি আংটি হিসেবে ব্যবহার করিতেন অথবা সীলমোহর হিসেবে সরকারী কাজে ব্যবহার করিতেন। {৪২২০}
সনদ দুর্বল, মাতান মুনকার।
সহিহ আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
অনুচ্ছেদ-২ঃ আংটি ব্যবহার না করা
৪২২১. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি একদিন নাবী [সাঃআঃ]-এর হাতে একটি রূপার আংটি দেখিতে পেলেন। লোকজনও আংটি বানিয়ে ব্যবহার শুরু করে। অতঃপর নাবী [সাঃআঃ] তা ছুঁড়ে ফেলে দিলেন, ফলে তারাও তা ছুঁড়ে ফেলে দেয়।
সহিহ আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩ঃ স্বর্ণের আংটি সম্পর্কে
৪২২২. আবদুর রহমান ইবনি হারমালাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি মাসউদ [রাদি.] বলিতেন, আল্লাহ্র নাবী [সাঃআঃ] দশটি বিষয় অপছন্দ করিতেন [১] পীত রং ব্যবহার, [২] বার্ধক্য পরিবর্তন করা, [৩] পরিধেয় বস্ত্র হেঁচড়ানো, [৪] [পুরুষদের] স্বর্ণের আংটি ব্যবহার, [৫] স্বামী ছাড়া অন্য পুরুষদের নিকট নারীদের সৌন্দর্য প্রকাশ করা, [৬] দাবা বা অনুরূপ খেলার গুটি চালনা করা, [৭] মুআব্বিজাত অর্থাৎ সূরাহ নাস ও ফালাক্ব ছাড়া অন্য কিছু দিয়ে ঝাড়ফুঁক করা, [৮] তাবীয লটকানো, [৯] লজ্জাস্থানের বাইরে বীর্যপাত করা, [১০] দুধ দানকারিনী স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস করা, তবে তা হারাম নয়। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, এ হাদিস কেবল বাসরাহ্র বর্ণনাকারীরা বর্ণনা করেছেন।
সহিহ আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার
অনুচ্ছেদ-৪ঃ লোহার আংটি সম্পর্কে
৪২২৩. আবদুল্লাহ ইবনি বুরাইদাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতা হইতে বর্ণীতঃ
একদা এক ব্যক্তি পিতলের আংটি পরিহিত অবস্থায় নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এলে তিনি তাহাকে বলেন আমি তোমার কাছ থেকে মূর্তির গন্ধ পাচ্ছি কেন? একথা শুনে লোকটি আংটি ছুড়ে ফেলে দিলো। অতঃপর সে একটি লোহার আংটি পরে এলে তিনি বলেন আমি তোমার নিকট জাহান্নামীদের অলংকার দেখছি কেন? লোকটি এটিও ছুড়ে ফেলে দিলো। লোকটি বললো, হে আল্লাহ্র রাসূল! তাহলে কিসের আংটি ব্যবহার করবো? তিনি বলেন রূপার আংটি ব্যবহার করো, তবে তা যেন এক মিস্কাল এর অধিক না হয়।
সহিহ আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪২২৪. ইয়াস ইবনিল হারিস ইবনি মুআইক্বীব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার নানা হইতে বর্ণীতঃ
লোহার একটি আংটি রূপা দিয়ে মুড়ানো ছিল। তিনি বলেন, সেটা কখনো আমার নিকট থাকতো। বর্ণনাকারী বলেন, মুআইক্বীব [রাদি.] ছিলেন নাবী [সাঃআঃ]-এর আংটির যিম্মাদার।
সহিহ আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪২২৫. আবু বুরদাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বলিয়াছেন দুআ করার সময় তুমি বলবে [অর্থ] “হে আল্লাহ্! আমাকে হিদায়াত দিন এবং এ পথে দৃঢ় রাখুন, আর হিদায়াতের মাধ্যমে আমাকে স্মরণে রাখুন, সোজা পথে পরিচালিত করুন, তীরের মত সোজা পথে চালিয়ে স্মরণে রাখুন।” তিনি [আলী] বলেন, তিনি আমাকে এই আঙ্গুলে বা এই আঙ্গুলে অর্থাৎ শাহাদাত ও মধ্যমা আঙ্গুলে আংটি পরতে নিষেধ করেন এবং কাস্সী ও মীসারা [দু প্রকার রেশমী বস্ত্র] পরিধান করিতে নিষেধ করেন। আবু বুরদাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমরা আলী [রাদি.]-কে বলিলাম, কাস্সী কি? তিনি বলেন, সিরিয়া অথবা মিসর হইতে আমাদের এখানে আমদানীকৃত কাপড়, যাতে কমলা লেবুর মত ডোরাকাটা থাকতো। আর মীসারা হলো স্ত্রীদের দ্বারা তাহাদের স্বামীদের জন্য উৎপাদিত জিনিস।
সহিহ আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৫ঃ ডান অথবা বাম হাতে আংটি পরা সম্পর্কে
৪২২৬. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] তাহাঁর ডান হাতে আংটি পরতেন।
সহিহ আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪২২৭. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] তাহাঁর বাম হাতে আংটি পরতেন, আংটির পাথর তাহাঁর হাতের তালুর দিকে থাকতো। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, ইবনি ইসহাক্ব ও উসামাহ ইবনি যায়িদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] নাফির [রাদি.] সূত্রে নাবী [সাঃআঃ]-এর ডান হাতের কথা বলিয়াছেন। {৪২২৭}
{৪২২৭} আবু দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। এটি বায়হাক্বীতে রয়েছে। সনদের আবদুল আযীয ইবনি আবু রাওয়াদ সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ সত্যবাদী, কিন্তু তার দ্বারা সন্দেহ আছে, তিনি ছিলেন মুরজিয়া। ঈমাম যাহাবী মীযান গ্রন্থে বলেনঃ ইবনিল হুসাইন বলেন, যয়ীফ।সহিহ আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ শায
৪২২৮. নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি উমার [রাদি.] তার বাম হাতে আংটি পরতেন।
সহিহ আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪২২৯. মুহাম্মাদ ইবনি ইসহাক্ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আস-সাল্ত ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি নাওফাল ইবনি আবদুল মুত্তালিবকে তার ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলে আংটি পরিধান করিতে দেখে তাহাকে প্রশ্ন করলাম, এটা কি? তিনি বলেন, আমি ইবনি আব্বাস [রাদি.]-কে এভাবে আংটি পরিধান করিতে দেখেছি। তিনি আংটির পাথর হাতের পিঠের দিকে রাখতেন। তিনি বলেন, ইবনি আব্বাস [রাদি.] অবশ্যই উল্লেখ করেছেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর আংটি পরতেন এভাবে।
সহিহ আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ–৬ঃ নূপুর সম্পর্কে
৪২৩০. আলী ইবনি সাহ্ল ইবনি যুবাইর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
একদা তাহাদের এক মুক্তদাসী যুবাইরের [রাদি.] কন্যাকে নিয়ে উমার ইবনিল খাত্তাবের [রাদি.] নিকট এলো। তার [কন্যার] পায়ে নূপুর ছিল। উমার [রাদি.] তা কেটে ফেলে দিয়ে বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ প্রতিটি ঘন্টাধ্বনির সাথে একটি শয়তান থাকে। {৪২৩০}
{৪২৩০} আবু দাউদ এটি এককভাবে বর্ণনা করেছেন। এটি রয়েছে মুনযিরীর আত-তারগীব গ্রন্থে। মুনযিরী বলেনঃ তাহাদের মুক্তদাসী অজ্ঞাত। আর আমির, উমার ইবনিল খাত্তাবকে পাননি। সহিহ আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪২৩১. আবদুর রহমান ইবনি হাইয়্যান আল-আনসারীর [রাদি.] মুক্তদাসী বুনানাহ আয়িশাহ [রাদি.]-এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
একদা তিনি আয়িশাহ [রাদি.]-এর নিকট উপস্থিত ছিলেন। তখন একটি ছোট বালিকাকে নিয়ে আসা হলো। বালিকার পায়ে নূপুরের আওয়াজ শুনে তিনি বলেন, এর পা থেকে নূপুর না খুলে তাহাকে আমার কাছে আনবেন না। তিনি আরো বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ যে ঘরে ঘন্টা থাকে সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করেন না। {৪২৩১}
{৪২৩১} আহমাদ। এর শাহিদ হাদিস রয়েছে নাসায়ীতে উম্মু সালাহ হইতে। আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭ঃ সোনা দিয়ে দাঁত বাঁধানো
৪২৩২. আবদুর রহমান ইবনি ত্বারাফাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
কুলাব যুদ্ধের দিন তার দাদা আরফাজাহ ইবনি আসআদের নাক কেটে গেলে তিনি রূপার নাক বানিয়ে নিলেন। তা দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ায় নাবী [সাঃআঃ]-এর নির্দেশে তিনি স্বর্ণের নাক তৈরী করে নেন।
আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৪২৩৩. আবদুর রহমান ইবনি ত্বারাফাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবদুর রহমান ইবনি ত্বারাফাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আরফাজাহ ইবনি আসআদ সূত্রে পূর্বোক্ত হাদিসের সমার্থক হাদিস বর্ণনা করেন। {৪২৩৩}
{৪২৩৩} নাসায়ী, আহমাদ। আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৪২৩৪. আরফাজাহ ইবনি আসআদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতা হইতে বর্ণীতঃ
আরফাজাহ ইবনি আসআদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতার সূত্রে পূর্বোক্ত হাদিসের সমার্থবোধক হাদিস বর্ণিত। {৪২৩৪}
{৪২৩৪} আবু দাউদ এটি একক ভাবে বর্ননা করেছেন। সহিহ আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৮ঃ মহিলাদের স্বর্ণালংকার ব্যবহার সম্পর্কে
৪২৩৫. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট [বাদশা] নাজ্জাশীর পক্ষ হইতে কিছু অলংকার উপঢৌকনস্বরূপ এলো। তাতে একটি স্বর্ণের আংটি ছিল, যার উপরিভাগে হাব্শী পাথর খচিত ছিল। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তা থেকে মুখ ফিরিয়ে কাঠির সাহায্যে অথবা তাহাঁর কোন আঙ্গুলের সাহায্যে এটা তুলে ধরেন এবং আবুল আস ও যাইনাবের কন্যা উমামাহ্কে ডেকে বলেনঃ হে আমার আদুরে ছোট্ট নাত্নী! তুমি এ অলংকারটি পরিধান করো।
আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৪২৩৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি তার প্রিয়জনকে আগুনের বালা পরাতে পছন্দ করে, সে যেন তাহাকে স্বর্ণের বালা পরতে দেয়। আর যে ব্যক্তি তার প্রিয়জনকে আগুনের মালা পরাতে পছন্দ করে, সে যেন তার গলায় স্বর্ণের মালা পরিয়ে দেয়। আর যে ব্যক্তি তার প্রিয়জনকে আগুনের কাঁকন পরাতে পছন্দ করে, সে যেন তার হাতে স্বর্ণের কাঁকন পরিয়ে দেয়। কিন্তু তোমরা রূপার অলংকার পরতে পারো এবং এর দ্বারা আনন্দ করিতে পারো।
আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
৪২৩৭. হুযাইফাহ [রাদি.] এর বোন হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ হে নারী জাতি! তোমরা কি রূপা দিয়ে অলংকার তৈরি করিতে পারো না? জেনে রাখো! তোমাদের মধ্যকার যে নারীই প্রদর্শনীর জন্য স্বর্ণালংকার পরবে, তাহাকে সে কারণে শাস্তি ভোগ করিতে হইবে। {৪২৩৭}
{৪২৩৭} নাসায়ী। সানাদে নাম উল্লেখহীন জনৈকা অজ্ঞাত মহিলা আছে।
আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪২৩৮. আস্মা বিনতু ইয়াযীদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ যে কোন নারী গলায় স্বর্ণের মালা পরবে, ক্বিয়ামাতের দিন তার গলায় আগুনের মালা ঝুলিয়ে দেয়া হইবে। আর যে কোন নারী তার কানে স্বর্ণের দুল পরবে, ক্বিয়ামতের দিন অনুরূপ একটি আগুনের দুল তার কানে লটকিয়ে দেয়া হইবে। {৪২৩৮}
{৪২৩৮} নাসায়ী, আহমাদ। সনদের মাহমূদ ইবনি আমর সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাক্ববূল। ঈমাম যাহাবী মীযান গ্রন্থ বলেনঃ তাহাকে ইবনি হাযম যয়ীফ বলিয়াছেন। ঈমাম যাহাবী বলেনঃ তার মধ্যে জাহালাত রয়েছে, এবং ইবনি হিব্বান তাহাকে সিক্বাহ বলিয়াছেন। সহিহ আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৪২৩৯. মুআবিয়াহ ইবনি আবু সুফিয়ান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] চিতা বাঘের চামড়ার গদিতে বসতে এবং স্বর্ণের জিনিস পরিধান করিতে নিষেধ করেছেন, তবে সামান্য পরিমাণ ব্যবহারে দোষ নেই। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আবু ক্বিলাবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] মুআবিয়াহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]- এর সাক্ষাৎ পাননি।
সহিহ আবু দাউদ শরীফ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply