রসূলুল্লাহ্ এর উপস্থিতি তাহাঁর সহাবাদের নিরাপত্তা ছিল
রসূলুল্লাহ্ এর উপস্থিতি তাহাঁর সহাবাদের নিরাপত্তা ছিল >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
৫১. অধ্যায়ঃ রসূলুল্লাহ্ এর উপস্থিতি তাহাঁর সহাবাদের নিরাপত্তা ছিল এবং সহাবাগণের উপস্থিতি সমগ্র উন্মাতের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ামক ছিল
৬৩৬০. আবু বুরদাহ [রাদি.] এর পিতা সানাদ হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন আমরা বললাম, আমরা যদি তাহাঁর সাথে ইশার সালাত আদায় করা পর্যন্ত উপবিষ্ট হইতে পারতাম [তা হলে কতই না ভালো হতো]। রাবী বলেন, আমরা বসে থাকলাম। তখন রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আমাদের নিকট আসলেন। তারপর তিনি বললেনঃ তোমরা এখনো পর্যন্ত এখানে উপবিষ্ট আছ? আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল আমরা আপনার সাথে মাগরিবের নামাজ আদায় করেছি। তারপর আমরা বললাম যে ইশার নামাজ আপনার সাথে আদায় করার জন্য বসে অপেক্ষা করি। তিনি বললেনঃ তোমরা অনেক ভাল করেছ কিংবা তোমরা ঠিক করেছ। তিনি [রাবী] বলেন, তারপর তিনি [সাঃআঃ] আকাশের দিকে মাথা তুললেন এবং তিনি অধিকাংশ সময়ই আকাশের পানে তাহাঁর মাথা তুলতেন। অতঃপর তিনি বলিলেন তারকারাজি অবস্থানের কারণেই আকাশ স্থিতিশীল রয়েছে। তারকারাজি যখন বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়বে তখন আকাশের জন্য ওয়াদাকৃত বিপদ আসন্ন হইবে [অর্থ্যাৎ- কিয়ামাত এসে যাবে এবং আসমান ফেটে চৌচির হয়ে যাবে]। আর আমি আমার সাহাবাদের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা স্বরুপ। আমি যখন বিদায় নিব তখন আমার সাহাবাদের উপর ওয়াদাকৃত সময় এসে সমুপস্থিত হয়ে যাবে [অর্থ্যাৎ – ফিতনা-ফাসাদ ও দ্বন্দ সংঘাত লেগে যাবে]। আর আমার সাহাবাগণ সকল উন্মাতের জন্য রক্ষাকবচ স্বরুপ। আমার সাহাবীগণ যখন বিদায় হয়ে যাবে তখন আমার উন্মাতের উপর ওয়াদাকৃত বিষয় উপস্থিত হইবে। {৪০}
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬২৩৬, ই.স ৬২৮৪]
{৪০} অর্থ্যাৎ – শিরক, বিদআত ছড়িয়ে পড়বে, ফিতনাহ-ফাসাদের আর্বিভাব হইবে, শাইতানের শিঙ উদয় হইবে, নাসারাদের রাজত্ব কায়েম হইবে, মাক্কাহ ও মাদীনার অবমাননা করা হইবে।, বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়বে ইত্যাদি। [ঈমাম নাবাবী]
Leave a Reply