সলাত । আনওয়ারুল মিশকাত শরীফ

সলাত । আনওয়ারুল মিশকাত শরীফ

সলাত । আনওয়ারুল মিশকাত শরীফ >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ৪, অধ্যায়ঃ সলাত

পরিচ্ছদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৫৬৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, এক জুমুআহ হইতে অপর জুমুআহ পর্যন্ত এবং এক রমযান হইতে আরেক রমযান পর্যন্ত সব গুনাহের কাফ্‌ফারাহ্‌ হয়, যদি কাবীরাহ গুনাহ সমূহ বেঁচে থাকা হয়। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ২৩৩, আহমাদ ৯১৯৭, সহীহাহ্ ৩৩২২, সহীহ আল জামি ৩৮৭৫, সহীহ আত তারগীব ৬৮৪। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৫৬৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] [সাহাবীগণের উদ্দেশ্যে ] বললেন, আচ্ছা বল তো, তোমাদের কারো বাড়ীর দরজার কাছে যদি একটি নদী থাকে, যাতে সে নদীতে পাঁচবার গোসল করে তাহলে কি তার শরীরে কোন ময়লা থাকতে পারে? সাহাবীগ্ণ উত্তরে বললেন, না কোন ময়লা থাকতে পারে না। তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেন, এ দৃষ্টান্ত হল পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের। এ পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়কারীর গুনাসমূহ আল্লাহ্‌ ক্ষমা করে দেন । {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৫২৮, মুসলিম ৬৬৭, নাসায়ী ৪৬২, তিরমিজি ২৮৬৮, আহমাদ ৮৯২৪, সহীহ ইবনি হিব্বান ১৭২৬, ইরওয়া ১৫, সহীহ আত তারগীব ৩৫২। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৫৬৬. আবদুল্লাহ [বিন মাসউদ] [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি এক মহিলাকে চুমু দিয়েছিল । তারপর সে নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর নিকট এসে বিষয়টি বলিল। এ সময়ে আল্লাহ্‌ ওয়াহী নাযিল করেনঃ “সালাত ক্বায়িম কর দিনের দু অংশে, রাতের কিছু অংশে । নিশ্চয় নেক কাজ পাপ কাজকে দূর করে দেয়” [সুরাহ হূদ ১১:১১৪] । {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৫২৬, মুসলিম ২৭৬৩, তিরমিজি ৩১১৪, ইবনি মাজাহ ৪২৫৪, আহমাদ ৩৬৫৩, সহীহ ইবনি হিব্বান ১৭২৯। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৫৬৭. আনাস [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এক লোক এসে বলিল, হে আল্লাহর রসূল ! আমি হাদ্দ যোগ্য-এর কাজ [অপরাধ] করে ফেলেছি। আমার উপর তা প্রয়োগ করুন। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তার অপরাধ সম্পর্কে কিছুই জিজ্ঞেস করিলেন না। বরং সলাতের ওয়াক্ত হয়ে গেলে নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] সলাত আদায় করিলেন। লোকটিও রসূলের সাথে সলাত আদায় করিল। তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] সলাত শেষ করলে লোকটি দাঁড়িয়ে বলিল, হে আল্লাহর রসূল! আমি হাদ্দ-এর কাজ করেছি। আমার উপর আল্লাহর কিতাবের নির্দিষ্ট হাদ্দ জারী করুন। উত্তরে তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বললেন, তুমি কি আমাদের সাথে সলাত আদায় করনি। লোকটি বলিল, হ্যাঁ, করেছি। তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বললেন, [এ সলাতের মাধ্যমে] আল্লাহ তোমার গুনাহ বা হাদ্দ মাফ করে দিয়েছেন। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৬৮২৩, মুসলিম ২৭৬৪। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৫৬৮. {আবদুল্লাহ [রাদি.]] ইবনি মাস্ঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] – কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন্ কাজ [আমাল] আল্লাহর কাছে বেশী প্রিয়? তিনি[ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বললেন, সঠিক সময়ে সলাত আদায় করা। আমি বললাম, এরপর কোন্ কাজ? তিনি বললেন, মা-বাবার সাথে সদ্ব্যবহার করা। আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, এরপর কোন্ কাজ? তিনি বললেন, আল্লাহর পথে জিহাদ করা। রাবী {ইবনি মাসউদ[রাহিমাহুল্লাহ]] বলেন, তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আমাকে এসব উত্তর দিলেন। আমি যদি আরও জিজ্ঞেস করতাম, তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আমাকে আরও কথা বলিতেন। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৫২৭, মুসলিম ৮৫, নাসায়ী ৬১০, আহমাদ ৩৮৯০, ইরওয়া ১১৯৮, সহীহ আত তারগীব ৩৯৭। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৫৬৯. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ [মুমিন] বান্দা ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হল সলাত পরিত্যাগ করা। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৮২, আবু দাউদ ৪৬৭৮, নাসায়ী ৪৬৪, তিরমিজি ২৬২০, ইবনি মাজাহ ১০৭৮। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

পরিচ্ছদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৫৭০. উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ পাঁচ ওয়াক্ত সলাত, যা আল্লাহ তাআলা [বান্দার জন্য] ফারয্ করিয়াছেন। যে ব্যক্তি এ সলাতের জন্য ভালভাবে উযূ করিবে, সঠিক সময়ে আদায় করিবে এবং এর রুকূ ও খুশুকে পরিপূর্ণরূপে করিবে, তার জন্য আল্লাহর ওয়াদা রয়েছে যে, তিনি তাকে ক্ষমা করে দিবেন। আর যে তা না করিবে, তার জন্য আল্লাহর ওয়াদা নেই। ইচ্ছা করলে তিনি ক্ষমা করে দিতে পারেন আর ইচ্ছা করলে শাস্তিও দিতে পারেন। {৫৮৩] মালিক এবং নাসায়ী অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। {১}

{১} সহীহ : আহমাদ ২২৭০৪, আবু দাউদ ৪২৫, মালিক ১৪, নাসায়ী ৪৬১, সহীহ আত তারগীব ৩৭০। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৫৭১. আবু উমামাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ তোমাদের উপর ফারয্ করা পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় কর, তোমাদের জন্য নির্দিষ্ট করা মাসটির সিয়াম [রোযা] পালন কর, আদায় কর তোমাদের ধন- সম্পদের যাকাত এবং তোমাদের নেতৃবৃন্দের অনুগত্য কর। তাহলে তোমাদের রবের জান্নাতে প্রবেশ করিতে পারবে। {১}

{১} সহীহ : আহমাদ ২১৬৫৭, তিরমিজি ৬১৬, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ৮৬৭। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৫৭২. আমর ইবনি শুআয়ব [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ যখন তোমার সন্তানদের বয়স সাত বছরে পৌছবে তখন তাদেরকে সলাত আদায়ের জন্য নির্দেশ দিবে। আর [সলাত আদায় করার জন্য] তাদের শাস্তি দিবে যখন তারা দশ বছরে পৌছবে এবং তাদের ঘুমানোর স্থান পৃথক করে দিবে। {১} শারহে সুন্নাহ- তে এভাবে রয়েছে।

{১} হাসান : আবু দাউদ ৪৯৫, সহীহুল জামি ৫৮৬৮, আহমাদ ২/১৮০ ও ১৮৭। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস

৫৭৩. সাবরাহ্ ইবনি মাবাদ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

কিন্তু মাসাবীহ-তে সাবরাহ্ বিন মাবাদ হইতে বর্ণিত হয়েছে।

এই হাদিসটির তাহকীকঃ নির্ণীত নয়

৫৭৪. বুরায়দাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ আমাদের ও তাদের [মুনাফিকদের] মধ্যে যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তা হল সলাত। অতএব যে সলাত পরিত্যাগ করিবে, সে [প্রকাশ্যে] কুফরী করিল [অর্থাৎ কাফির হয়ে যাবে]। {১}

এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

পরিচ্ছদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ

৫৭৫. আবদুল্লাহ [রাদি.] বিন মাস্ঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এক লোক নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর নিকট এসে বলিল, হে আল্লাহর রসূল! আমি মাদীনার উপকন্ঠে এক মহিলার সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হওয়া ছাড়া আর সব রসাস্বাদন করেছি। আমি আপনার দরবারে উপস্থিত, তাই আমার প্রতি এ অপরাধের কারণে যা শাস্তি বিধান করার তা আপনি করুন। উমার [রাহিমাহুল্লাহ] বললেন, আল্লাহ তোমার অপরাধ ঢেকে রেখেছিলেন। তুমি নিজেও তা ঢেকে রাখতে [আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে, তবে তা উত্তম হত]। বর্ণনাকারী [আবদুল্লাহ] বলেন, নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তার কথার কোন উত্তর দিলেন না। তাই লোকটি উঠে চলে যেতে লাগল। অতঃপর নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তার পিছনে লোক পাঠিয়ে তাকে ডেকে আনলেন এবং তার সামনে এ আয়াত পাঠ করিলেন- [অর্থ] “সলাত কায়িম কর দিনের দুঅংশে, রাতের কিছু অংশে। নিশ্চয়ই নেক কাজ বদ কাজকে দূর করে দেয়, উপদেশ গ্রহণকারী জন্য এটা একটা উপদেশ”- [সূরাহ্ হূদঃ ১১:১১৪] । এ সময়ে উপস্থিত এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করিল, হে আল্লাহর নবী ! এ হুকুম কি বিশেষভাবে তার জন্য। উত্তরে তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেন, না, বরং সকল মানুষের জন্যই। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ২৭৬৩, সহীহ আত তারগীব ৩১৬৩, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১৭০৮৫, তিরমিজি ৩১১২। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৫৭৬/.আবু যার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এক শীতের সময়ে নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বের হলেন, আর তখন গাছের পাতা ঝরে পড়ছিল । তিনি একটি গাছের দুটি ডাল ধরে নাড়া দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তাতে গাছের পাতা ঝরতে লাগল। আবু যার [রাহিমাহুল্লাহ] বলেন, তখন তিনি আমাকে ডাকলেন, হে আবু যার! উত্তরে আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল ! আমি উপস্থিত। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর কোন মুসলিম বান্দা যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির বিধানের জন্য খালিস মনে সলাতে আদায় করে, আর জ়ীবন থেকে তার গুনাহসমূহ এভাবে ঝরে পড়তে থাকে যেভাবে গাছের পাতা ঝরে পড়ে। {১}

{১} হাসান : আহমাদ ২১০৪৬, সহীহ আত তারগীব ৩৮৪। যদিও তার সানাদে মুযাহিম ইবনি মুআবিয়াহ্ [রাদি.]আয্ যববী নামে একজন অপরিচিত রাবী রয়েছে, এরপরও মুনযিরী এর সানাদকে হাসান বলেছেন। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস

৫৭৭. যায়দ বিন খালিদ আল জুহানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেন: যে ব্যক্তি দু রাক্‌আত সলাত আদায় করেছে, আর এতে ভুল করেনি, আল্লাহ তার অতীত জীবনের সব গুনাহ [সগীরাহ্‌] ক্ষমা করে দিবেন। {১}

{১} হাসান সহীহ : আহমাদ ২১১৮৩, আবু দাউদ ৯০৫, সহীহ আত তারগীব ২২৮। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান সহীহ

৫৭৮. আবদুল্লাহ ইবনি আমর ইবনুল আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] একদিন সলাত সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে বললেন: যে ব্যক্তি সলাতের হিফাযাত করিবে, তা ক্বিয়ামাতের দিন তার জন্য জ্যোতি, দলীল ও মুক্তির উপায় হবে। আর যে ব্যক্তি সলাতের হিফাযাত করিবে না, তার জন্য এটা জ্যোতি, দলীল ও মুক্তির কারণ হবে না। ক্বিয়ামাতের দিন সে কারূন, ফিরআওন, হামান ও উবাই বিন খালাফ-এর সাথে থাকিবে। {১}

{১} জইফ : আহমাদ ৬৫৪০, দারিমী ২৭২১, জইফ আত তারগীব ৩১২, বায়হাক্বী- শুআবুল ঈমান ২৫৬৫। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

৫৭৯. আবদুল্লাহ বিন শাক্বীক্ব [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর সহাবীগণ সলাত ছাড়া অন্য কোন আমাল পরিত্যাগ করাকে কুফ্‌রী বলে মনে করিতেন না। {১}

1] সহীহ : তিরমিজি ২৬২২, সহীহ আত তারগীব ৫৬৫। এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

৫৮০. আবুদ্ দারদা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমার বন্ধু [রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]] আমাকে উপদেশ দিয়েছেন : [১] তুমি আল্লাহর সাথে কাউকে শারীক করিবে না, যদিও তোমাকে খন্ড-বিখন্ড করা হয় বা আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়, [২] ইচ্ছা করে কোন ফার্‌য সলাত ত্যাগ করিবে না। যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে ফার্‌য সলাত ত্যাগ করিবে তার উপর থেকে ইসলাম প্রদত্ত নিরাপত্তা উঠে যাবে, [৩] মদ পান করিবে না। কারণ মদ হচ্ছে সকল মন্দের চাবিকাঠি। {১}

{১} হাসান লিগয়রিহী : ইবনি মাজাহ ৪০৩৪, সহীহ আত তারগীব ৫৬৭। যদিও এর সানাদে শাহ্র ইবনি হাওশাব দুর্বল রাবী রয়েছে কিন্তু তার শাহিদ বর্ণনা থাকায় তা হাসানের স্তরে উন্নীত হয়েছে।এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান লিগাইরিহি


Posted

in

by

Comments

One response to “সলাত । আনওয়ারুল মিশকাত শরীফ”

Leave a Reply