সফরে নামাজের নিয়ম । সফরে নামাজ সংক্ষিপ্ত করা ।

সফরে নামাজের নিয়ম

সফরে নামাজের নিয়ম । সফরে নামাজ সংক্ষিপ্ত করা । >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ১৫, সফরে নামাজ সংক্ষিপ্ত করা, হাদীস (১৪৩৩ – ১৪৫৮)

১.পরিচ্ছেদ: সফরে নামাজ সংক্ষিপ্ত করা
২.পরিচ্ছেদঃ মক্কায় নামাজ আদায় করা
৩.পরিচ্ছেদঃ মিনায় নামাজ আদায় করা
৪.পরিচ্ছেদঃ যতটুকু দূরত্বে নামাজ সংক্ষিপ্তভাবে আদায় করা যায়
৫.পরিচ্ছেদঃ সফরের সময় নফল নামাজ ছেড়ে দেওয়া

১.পরিচ্ছেদ: সফরে নামাজ সংক্ষিপ্ত করা

১৪৩৩. ইয়ালা ইবনি উমাইয়া [রহঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমি উমর ইবনি খাত্তাব [রাঃআঃ]-কে বললামঃ [আরবি] অর্থঃ যদি তোমাদের আশংকা হয় যে, কাফিরগণ তোমাদের জন্য ফিৎনা সৃষ্টি করিবে তবে, নামাজ সংক্ষিপ্ত করলে তোমাদের কোন দোষ নেই। [১৯:৪] এখন তো মানুষ [কাফিরদের ফিৎনা থেকে] নিরাপদ আছে! তখন উমর [রাঃআঃ] বলিলেন, আমিও সে ব্যাপারে আশ্চর্যবোধ করেছি, তুমি যে ব্যাপারে আশ্চর্যবোধ করেছ। তাই আমি সে ব্যাপারে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তখন তিনি বলেছিলেন, এ হল একটি দান বিশেষঃ যা আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রদান করিয়াছেন। অতএব, তাহাঁর দানকে কবূল করে নাও।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪৩৪. উমাইয়া ইবনি আব্দুল্লাহ [রহঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি আব্দুল্লাহ ইবনি উমর [রাঃআঃ]-কে বলিলেন, আমরা তো বাড়ীতে অবস্থানকালীন এবং সংকটকালীন সময়ের নামাজের উল্লেখ কুরআনে দেখিতে পাই, কিন্তু সফরকালীন নামাজের উল্লেখ কুরআনে দেখিতে পাই না। তখন ইবনি উমর [রাঃআঃ] তাঁকে বলিলেন, হে আমার ভ্রাতুষ্পুত্র। নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা আমাদের কাছে মুহাম্মদ [সাঃআঃ]-কে পাঠিয়েছেন এমতাবস্থায় যে, আমরা তখন কিছুই জানতাম না। আমরা তদ্রুপই করি যেরূপ মুহাম্মদ [সাঃআঃ]-কে করিতে দেখতাম।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪৩৫. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন মক্কা থেকে মদীনা অভিমুখে বের হলেন, তিনি রাব্বুল আলামীন ব্যতীত আর কাউকে ভয় করিতেন না। [এতদসত্ত্বেও] তিনি নামাজ দু রাকআতই আদায় করিতেন।

সফরে নামাজের নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪৩৬. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে মক্কা এবং মদীনার মধ্যে সফর করতাম, তখন আমরা আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে ভয় করতাম না। এতদসত্ত্বেও আমরা নামাজ দু রাকআতই আদায় করতাম।

সফরে নামাজের নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪৩৭. ইব্‌নুস সিম্‌ত [রহঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমি উমর ইবনি খাত্তাব [রাঃআঃ]-কে যুলহুলায়কাতে নামাজ দুরাকআত আদায় করিতে দেখেছি। তখন আমি তাঁকে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বলিলেন, আমি তদ্রুপই করছি যেরূপ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে করিতে দেখেছি।

সফরে নামাজের নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪৩৮. আনাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে মদীনা থেকে মক্কা অভিমুখে বের হলাম। তিনি প্রত্যাবর্তন করা পর্যন্ত সর্বদাই নামাজ সংক্ষিপ্তভাবে আদায় করিতেন। তিনি মক্কায় দশ দিন অবস্থান করেছিলেন।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪৩৯. আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে এক সফরে নামাজ দুরাকআত আদায় করলাম, আর আবু বকর [রাঃআঃ] ও উমর [রাঃআঃ]-এর সাথেও [সফরে] দুরাকআত আদায় করেছি।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪৪০. উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, জুমুআর নামাজ দুরাকআত, ঈদুল ফিত্‌রের নামাজ দুরাকআত, ঈদুল আযহার নামাজ দুরাকআত আর সফরের নামাজ দুরাকআতই পরিপূর্ণ, অসম্পূর্ণ নয়। নাবী [সাঃআঃ]-এর ভাষ্য মতে।

সফরে নামাজের নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪৪১. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, তোমাদের নাবী [সাঃআঃ]-এর ভাষ্য মতে বাড়ীতে অবস্থানকালীন নামাজ চার রাকআত, আর সফরকালীন নামাজ দুরাকআত, এবং সংকটকালীন সময়ের নামাজ এক রাকআত ফরয করা হয়েছে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪৪২. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, তোমাদের নাবী [সাঃআঃ]-এর ভাষ্য মতে আল্লাহ্‌ তাআলা বাড়ীতে অবস্থানকালীন সময়ে চার রাকআত, সফরকালীন দুরাকআত এবং সংকটকালীন এক রাকআত নামাজ ফরয করিয়াছেন।

সফরে নামাজের নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

২.পরিচ্ছেদঃ মক্কায় নামাজ আদায় করা

১৪৪৩. মূসা ইবনি সালামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমি ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ]-কে বললাম, আমি মক্কায় কিভাবে নামাজ আদায় করব যখন আমি জামাআতে নামাজ আদায় না করি? তিনি বলিলেন, দুরাকআত আদায় করিবে, এটাই আবুল কাসেম [সাঃআঃ]-এর সুন্নাত।

সফরে নামাজের নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪৪৪. মূসা ইবনি সালামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ]-কে প্রশ্ন করিলেন যে, এরপর আমি জামাআতে নামাজ পেলাম না, তখন আমি “বাথহা” নামক স্থানে ছিলাম। তা কিরূপে আদায় করা সমীচীন মনে করেন? তিনি বলিলেন, দুরাকআত আদায় করিবে, এটাই আবুল কাসেম [সাঃআঃ]-এর সুন্নাত।

সফরে নামাজের নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৩.পরিচ্ছেদঃ মিনায় নামাজ আদায় করা

১৪৪৫. হারিছা ইবনি ওয়াহ্‌ব খুযায়ী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমি একদা নাবী [সাঃআঃ]-এর সাথে মিনায় দুরাকআত নামাজ আদায় করলাম অথচ মানুষ তখন অধিক নিরাপদ ছিল।

সফরে নামাজের নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪৪৬. হারিছা ইবনি ওয়াহ্‌ব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদের নিয়ে মিনায় দুরাকআত নামাজ আদায় করিলেন, অথচ তখন মানুষ অধিক নিরাপদ ছিল।

সফরে নামাজের নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪৪৭. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে মিনায় দুরাকআত নামাজ আদায় করেছি এবং আবু বকর [রাঃআঃ] ও উমর [রাঃআঃ]-এর সাথেও আর উসমান [রাঃআঃ]-এর সাথেও দু রাকআত আদায় করেছি তাহাঁর খিলাফতের প্রথম যামানায়।

সফরে নামাজের নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি

১৪৪৮. আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমি মিনায় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে দু রাকআত নামাজ আদায় করেছি।

সফরে নামাজের নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪৪৯. আব্দুর রহমান ইবনি ইয়াযীদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, উসমান [রাঃআঃ] মিনায় চার রাকআত নামাজ আদায় করিলেন এবং এ সংবাদ আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ]-এর কাছে পৌঁছল। তখন তিনি বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে নামাজ দুরাকআত আদায় করেছি।

সফরে নামাজের নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪৫০. ইবনি উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

। তিনি বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]-এর সাথে মিনায় নামাজ দু রাকআত আদায় করেছি, আবু বকর [রাঃআঃ]-এর সাথে এবং উমর [রাঃআঃ]-এর সাথেও নামাজ দু রাকআত আদায় করেছি।

সফরে নামাজের নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪৫১. আব্দুল্লাহ্‌ ইবন উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মিনায় নামাজ দু রাকআত আদায় করিয়াছেন, আবু বকর [রাঃআঃ] তা দু রাকআত আদায় করিয়াছেন, উমর [রাঃআঃ] তা দু রাকআত আদায় করিয়াছেন, আর উসমান [রাঃআঃ]-ও তা তাহাঁর খিলাফতের প্রথম যামানায় দু রাকআত আদায় করিয়াছেন।

সফরে নামাজের নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

৪.পরিচ্ছেদঃ যতটুকু দূরত্বে নামাজ সংক্ষিপ্তভাবে আদায় করা যায়

১৪৫২. আনাস ইবনি মালিক [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাথে মদীনা থেকে মক্কা অভিমুখে বের হলাম। তখন তিনি আমাদের নিয়ে প্রত্যাবর্তন করা পর্যন্ত নামাজ দু রাকআত আদায় করিতেন। আমি বললাম, তিনি কি মক্কায় অবস্থান করেছিলেন? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। আমরা তথায় দশ দিন অবস্থান করেছিলাম।

সফরে নামাজের নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪৫৩. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মক্কায় পনের দিন অবস্থান করেছিলেন, তথায় তিনি নামাজ দু রাকআত দু রাকআত আদায় করিতেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মক্কা বিজয়ের সময় ১৫ [পনের] দিন এবং বিদায় হজ্জের সময় ১০ [দশ] দিন মক্কায় অবস্থান করেছিলেন।

সফরে নামাজের নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

১৪৫৪. আলা ইবনি হাযরামী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন, মুহাজির তার হজ্জ কর্ম সম্পাদনের পর তিন দিন অবস্থান করিবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪৫৫. আলা ইবনি হাযরামী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, নাবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেন, মুহাজির মক্কায় হজ্জ কর্ম সম্পাদনের পর তিন দিন অবস্থান করিবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৪৫৬. আয়িশাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি উমরার উদ্দেশ্যে মদীনা থেকে মক্কা অভিমুখে রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর সাথে রওয়ানা হয়ে মক্কায় পৌছে বলিলেন, আমার পিতা মাতা আপনার উপর কুরবান হোক, আপনি নামাজ সংক্ষিপ্ত আদায় করিয়াছেন, আর আমি পরিপূর্ণ আদায় করেছি। আপনি রোযা রাখেন নি, কিন্তু আমি রোযা রেখেছি। তিনি বলিলেন, তুমি ভালই করেছ হে আয়িশাহ [রাঃআঃ]। তিনি আমাকে দোষারোপ করিলেন না।

সফরে নামাজের নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার

৫.পরিচ্ছেদঃ সফরের সময় নফল নামাজ ছেড়ে দেওয়া

১৪৫৭. ওয়াবারা ইবনি আব্দুর রহমান [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, ইবনি উমর [রাঃআঃ] সফরে নামাজ দু রাকআত থেকে বেশী আদায় করিতেন না, দু রাকআতের আগেও কোন নামাজ আদায় করিতেন না এবং তার পরেও না। তখন তাঁকে বলা হল, এ কি রকম নামাজ? তিনি বলিলেন, এ রকমই আমি রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-কে করিতে দেখেছি।

হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য

১৪৫৮. ঈসা ইবনি হাফ্‌স [রহঃ] হইতে বর্ণীত

। তিনি বলেন, আমার পিতা আমার কাছে বর্ণনা করিয়াছেন যে, আমি এক সফরে ইবনি উমর [রাঃআঃ]-এর সাথে ছিলাম। তিনি জোহর এবং আসরে দুরাকআত করে আদায় করিলেন। তারপর তিনি তার বিছানায় ফিরে গেলেন। তখন তিনি দেখলেন যে, মুসল্লীরা তাসবীহ পড়া আরম্ভ করে দিয়েছে। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, এরা কি করছে? আমি বললাম, তাঁরা তাসবীহ পড়ছে। তিনি বলিলেন, যদি আমি এই দুরাকআত ফরযের পূর্বে বা পরে নফল নামাজ আদায় করতাম তাহলে এই দু রাকআত ফরযকে পূর্ন চার রাকআত আদায় করতাম। আমি রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর সাথে অবস্থান করেছি, তিনি সফরে দুরাকআতের বেশী আদায় করিতেন না। আমি আবু বকর [রাঃআঃ] উমর [রাঃআঃ] ও উসমান [রাঃআঃ]-এরও সাহচর্য লাভ করেছি। তাঁরাও মৃত্যু অবধি অনুরূপ করিতেন।

সফরে নামাজের নিয়ম হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

One response to “সফরে নামাজের নিয়ম । সফরে নামাজ সংক্ষিপ্ত করা ।”

Leave a Reply