সন্দেহ সংশয় ও কুমন্ত্রনা বিষয়ক হাদিস সমূহ
সন্দেহ সংশয় ও কুমন্ত্রনা বিষয়ক হাদিস সমূহ >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ১, অধ্যায়ঃ ২
- অধ্যায়ঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ
- অধ্যায়ঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
- অধ্যায়ঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ
অধ্যায়ঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ
وَسْوَسَةٌ [ওয়াস্ওয়াসাহ্] বলা হয় অস্পষ্ট বা গুপ্ত আওয়াজকে। কারো কারো মতে অন্তরে যেসব চিন্তার উদয় ঘটে তা-ই ওয়াস্ওয়াসাহ্, যদি সেগুলো পাপ এবং নিকৃষ্ট কাজের দিকে আহবান করে। আর যদি আল্লাহর আনুগত্যমূলক বা সন্তোষজনক চরিত্রের দিকে আহবান করে তাহলে তাকে ইলহাম বলা হয়। তবে وَسْوَسَةٌ হলো দ্বিধাযুক্ত একটি বিষয় যা কারো কাছে স্থির হয় না।
৬৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : আমার উম্মাতের অন্তরে যে ওয়াসওয়াসাহ্ বা খট্কার উদয় হয়, আল্লাহ তাআলা তা মাফ করে দিবেন, যতক্ষণ না তারা তা কার্যে রূপায়ণ করে অথবা তা মুখে প্রকাশ করে। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ২৫২৮, মুসলিম ১২৭। সন্দেহ সংশয় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, [একদা] রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কতক সহাবা তাহাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের মধ্যে কেউ তার মনে কোন কোন সময় এমন কিছু কথা [সংশয়] অনুভব করে যা মুখে ব্যক্ত করাও আমাদের মধ্যে কেউ তা গুরুতর অপরাধ মনে করে। নবী [সাঃআঃ] জিজ্ঞেস করিলেন, তোমরা কি তা এমন গুরুতর বলে মনে কর? সহাবীগণ বললেন, হাঁ! তিনি [সাঃআঃ] বললেন, এটাই হল স্বচ্ছ ঈমান। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ১৩২, আবু দাউদ ৫১১১, আহমাদ ৯৬৯৫। এ হাদিসটি ঈমাম হাকিম [রাহিমাহুল্লাহ]-এর পা-ুলিপি হইতে বিলুপ্ত হয়েছে। সন্দেহ সংশয় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : শয়তান তোমাদের মধ্যে কারো কারো নিকটে আসে এবং [বিভিন্ন ব্যাপারে] প্রশ্ন করে, এটা কে সৃষ্টি করেছে? ঐটা কে সৃষ্টি করেছে? এমনটি অবশেষে এটাও বলে বসে যে, তোমার রবকে কে সৃষ্টি করেছে? শয়তান যখন এ পর্যায়ে পৌঁছে, তখন তার উচিত আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করা যাতে সে এ ধারণা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৩২৭৬, মুসলিম ১৩৪, সহীহাহ্ ১১৭, সহীহ আল জামি ৭৯৯৩, সহীহ আত তারগীব ১৬১৩। সন্দেহ সংশয় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, সব সময় মানুষ [বিভিন্ন ব্যাপারে] পরস্পর কথোপকথন করিতে থাকে। পরিশেষে এ পর্যায়ে এসে পৌঁছে যে, এসব মাখলূক্ব তো আল্লাহ সৃষ্টি করিয়াছেন, তাহলে আল্লাহকে সৃষ্টি করেছে কে? তাই যে ব্যক্তির মনে এ জাতীয় খট্কা, সংশয়, সন্দেহের উদয় হয় সে যেন বলে উঠে, আমি আল্লাহর প্রতি ও আল্লাহর রসূলের প্রতি ঈমান এনেছি। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ১৩৪, আবু দাউদ ৪৭২১, সহীহ আল জামি ৭৬৯৬; বোখারীতে হাদিসটি এ শব্দে নেই। সন্দেহ সংশয় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৭. ইবনি মাস্ঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার সাথে তার একটি জিন্ [শায়ত্বন] ও একজন মালাক [ফেরেশতা] সঙ্গী হিসেবে নিযুক্ত করে দেয়া হয়নি। সহাবীগণ জিজ্ঞেস করিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার সাথেও কি? তিনি [সাঃআঃ] বললেন, আমার সাথেও, তবে আল্লাহ তাআলা আমাকে জিন্ শাইত্বনের ব্যাপারে সাহায্য করিয়াছেন। ফলে সে আমার অনুগত হয়েছে। ফলে সে কক্ষনও আমাকে কল্যাণকর কাজ ব্যতীত কোন পরামর্শ দেয় না। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ২৮১৪, আহমাদ ৩৮০২, সহীহ ইবনি হিব্বান ৬৪১৭, সহীহ ইবনি খুযায়মাহ্ ৬৫৮। সন্দেহ সংশয় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৮. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : মানুষের মধ্যে শয়তান [তার] শিরা-উপশিরায় রক্তের মধ্যে বিচরণ করে থাকে। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ২০৩৮, মুসলিম ২১৭৪, আবু দাউদ ৪৭১৯, আহমাদ ১২১৮২। সন্দেহ সংশয় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৬৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : আদাম সন্তানের মধ্যে এমন কেউ নেই যার জন্মলগ্নে শয়তান তাকে স্পর্শ করেনি। আর এ কারণেই সন্তান জন্মকালে চিৎকার দিয়ে উঠে। শুধুমাত্র মারইয়াম ও তাহাঁর পুত্র {ঈসা আঃ] এর ব্যতিক্রম [তাদের শয়তান স্পর্শ করিতে পারেনি]। {১}
{১} সহীহ : বোখারী ৩৪৩১, মুসলিম ২৩৬৬, সহীহাহ্ ২৭১১, সহীহ আল জামি ৫৭০০, সহীহ ইবনি হিব্বান ৬২৩৫। সন্দেহ সংশয় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৭০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : জন্মের সময় শিশু এজন্য চিৎকার করে যে, শয়তান তাকে খোঁচা মারে। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ২৩৬৭, সহীহ আল জামি ৩৮৪৬, সহীহ ইবনি হিব্বান ৬১৮৩; বোখারী হাদিসটি বর্ণনা করেননি। সন্দেহ সংশয় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৭১. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : ইবলীস [শায়ত্বন] সমুদ্রের পানির উপর তার সিংহাসন স্থাপন করে। অতঃপর মানুষের মধ্যে ফিতনা-ফাসাদ সৃষ্টি করার জন্য সেখান থেকে তার বাহিনী চারদিকে প্রেরণ করে। এদের মধ্যে সে শায়ত্বনই তার নিকট সর্বাধিক সম্মানিত যে শয়তান মানুষকে সবচেয়ে বেশী ফিতনায় নিপতিত করিতে পারে। তাদের মধ্যে একজন ফিরে এসে বলে, আমি এরূপ এরূপ ফিতনাহ্ মানুষের মধ্যে সৃষ্টি করেছি। তখন সে [ইবলীস] প্রত্যুত্তরে বলে, তুমি কিছুই করনি। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, অতঃপর এদের অপর একজন এসে বলে, আমি মানব সন্তানকে ছেড়ে দেইনি, এমনকি দম্পতির মধ্যে সম্পর্কচ্ছেদ করে দিয়েছি। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, শয়তান এ কথা শুনে তাকে নিকটে বসায় আর বলে, তুমিই উত্তম কাজ করেছো। বর্ণনাকারী আমাশ বলেন, আমার মনে হয় জাবির [রাদি.] এটাও বলেছেন যে, “অতঃপর ইবলীস তার সাথে আলিঙ্গন করে”। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ২৮১৩, সহীহাহ্ ৩২৬১, সহীহ আত তারগীব ২০১৭, আহমাদ ১৪৩৭৭। এখানে تَرَكْتُهٗ -এর মধ্যকার [هٗ] দ্বারা সে ব্যক্তি উদ্দেশ্য যাকে কুমন্ত্রণা দিয়েছে। সন্দেহ সংশয় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৭২. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: শয়তান এ বিষয়ে নিরাশ হয়ে গেছে যে, জাযীরাতুল আরাব-এর মুসল্লীরা তার ইবাদাত করিবে, তবে সে তাদের পরস্পরের মধ্যে বিচ্ছেদ-বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টির ব্যাপারে নিরাশ হয়নি। {১}
{১} সহীহ : মুসলিম ২৮১, আবু দাউদ ৩৩৭৪, আহমাদ ১৪৩৬৮, সহীহাহ্ ১৬০৮, সহীহ আল জামি ১৬৫১। সন্দেহ সংশয় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
অধ্যায়ঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৭৩. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, জনৈক ব্যক্তি নবী [সাঃআঃ]-এর খিদমাতে এসে বলিল,হে আল্লাহর রসূল! আমি মনে এমন কুধারণা পাই যা মুখে প্রকাশ অপেক্ষা আগুনে জ্বলে কয়লা হয়ে যাওয়াই শ্রেয়। তিনি [সাঃআঃ] বললেন, আল্লাহর শুকরিয়া যে, আল্লাহ [তোমার] এ বিষয়কে কল্পনার সীমা পর্যন্তই রেখে দিয়েছেন। {১}
{১} সহীহ : আবু দাউদ ৫১১২ [সহীহ সুনানে আবু দাউদ]। সন্দেহ সংশয় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৭৪. ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ.
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : সকল মানুষের ওপরই শায়ত্বনের একটি ছোঁয়া রয়েছে এবং একইভাবে মালায়িকারও [ফেরেশতাদেরও] একটি ছোঁয়া আছে। শায়ত্বনের ছোঁয়া হল, সে মানুষকে মন্দ কাজের দিকে উস্কে দেয়, আর সত্যকে মিথ্যায় প্রতিপন্ন করে। অপরদিকে মালায়িকার ছোঁয়া হল, তারা মানুষকে কল্যাণের দিকে উৎসাহিত করে, আর সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করে। সুতরাং যে লোক মালায়িকার উৎসাহ-উদ্দীপনার অবস্থা নিজের মধ্যে দেখিতে পায়, তখন তার মনে করিতে হবে, এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে হচ্ছে, আর এ কারণে সে যেন আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করিবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি নিজের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থা অর্থাৎ শায়ত্বনের ওয়াস্ওয়াসাহ্ পায় সে যেন অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চায়। অতঃপর তিনি [সাঃআঃ]-এর সমর্থনে [কুরআনের আয়াতটি] পাঠ করিলেন
الشَّيْطَانُ يَعِدُكُمْ الْفَقْرَ وَيَأْمُرُكُمْ بِالْفَحْشَاۤءِ
“শায়ত্বন তোমাদেরকে অভাব-অনটনের ভয় দেখিয়ে থাকে এবং অশ্লীলতার আদেশ করে থাকে”- [সূরাহ বাক্বারাহ্ ২ : ২৬৮]
। এ হাদিসটি তিরমিজি নকল করিয়াছেন এবং বলেছেন হাদিসটি গরীব। {১}; {১} জইফ : তিরমিজি ২৯৮৮, যঈফুল জামি ১৯৬৩। কারণ এ হাদিসের সানাদে আত্বা ইবনি সায়িব নামক একজন মুযত্বরিব রাবী রয়েছেন যিনি হাদিস বর্ণনায় উলট-পালট করেন। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস
৭৫.আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : মানুষেরা তো [প্রথম সৃষ্টি জগত ইত্যাদি সম্পর্কে] পরস্পরের প্রতি প্রশ্ন করিতে থাকিবে, এমনটি সর্বশেষে এ প্রশ্নও করিবে, সমস্ত মাখলূক্বাতকে আল্লাহ সৃষ্টি করিয়াছেন, তবে আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে? যখন তারা এ প্রশ্ন উত্থাপন করে তখন তোমরা বলবে : আল্লাহ এক, তিনি অমুখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেননি আর কেউ তাকে জন্ম দেননি। তাহাঁর সমকক্ষও কেউ নেই। অতঃপর [শাইত্বনের উদ্দেশে] তিনবার নিজের বাম দিকে থু থু ফেলবে এবং বিতাড়িত শয়তান হইতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাবে। {১}
[মিশকাতের লেখক বলেন] উমার ইবনি আহ্ওয়াস-এর হাদিস খুতবাতু ইয়াওমিন্ নাহ্র অধ্যায়ে বর্ণনা করিবে ইন্শাআল্লাহ তাআলা। {১} হাসান : আবু দাউদ ৪৭২২, সহীহুল জামি ৮১৮২। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস
অধ্যায়ঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৭৬. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন : মানুষ পরস্পরে সর্বদা প্রশ্ন করিতে থাকিবে, এমনকি একসময় এ প্রশ্নও করিবে যে, যখন প্রত্যেক জিনিসকে আল্লাহ সৃষ্টি করিয়াছেন তবে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে সৃষ্টি করিল কে? {১} আর মুসলিমের বর্ণনায় আছে, তিনি {আনাস [রাদি.]] বলেন, তিনি [সাঃআঃ] বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন : আপনার উম্মাতেরা, প্রশ্ন করিতে থাকিবে, এটা কী? আর এটা কিভাবে হল? পরিশেষে এ ধরনের প্রশ্নও করে বসবে যে, যদি সমস্ত মাখলূক্বকে আল্লাহ সৃষ্টি করেন, তবে মহান আল্লাহ তাআলাকে সৃষ্টি করিয়াছেন কে? {2]
{১} সহীহ : বোখারী ৭২৯৬, দ্রষ্টব্য হাদিস : ২৬৬৫। {2] সহীহ : মুসলিম ১৩৬, সহীহ আল জামি ৫২১৯, সহীহ আল জামি ৪৩১৯। সন্দেহ সংশয় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৭৭. উসমান ইবনি আবুল আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! শয়তান আমার নামাজ ও কিরাআতের মধ্যে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় এবং সে আমার মনে সন্দেহ-সংশয় তৈরি করে দেয়। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেন, ঐটা একটা শয়তান যাকে খানযাব বা খিনযাব বলা হয়। যখন তোমার [মনে] তার উপস্থিতি অনুভব করিবে, তখন তা হইতে তুমি আল্লাহ তাআলার নিকট আশ্রয় চাইবে এবং বামদিকে তিনবার থু থু ফেলবে। {উসমান [রাদি.] বলেন] আমি {রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নির্দেশ অনুযায়ী] এরূপ করলে আল্লাহ তাআলা আমার নিকট হইতে শয়তান দূর করে দেন। {১}
{১} সহীহ: মুসলিম ২২০৩, আহমাদ ১৭৮৯৭, সহীহ আত তারগীব ১৬১৫, মুসান্নাফ আবদুর রায্যাক্ব ৪২২০। সন্দেহ সংশয় -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
৭৮. ক্বাসিম ইবনি মুহাম্মাদ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ
জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করিল, সলাতে আমি নানা ধরনের [ভুলের] সন্দেহের মধ্যে পড়ি। এটা আমার খুব বেশি হয়। তিনি [বর্ণনাকারী] বললেন, [এটা শাইত্বনের কাজ, এ রকম ধারণার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করো না] তুমি তোমার নামাজ পূর্ণ করিতে থাকিবে। কেননা সে [শায়ত্বন] তোমার কাছ থেকে দূর হবে না- যে পর্যন্ত না তুমি তোমার নামাজ পূর্ণ কর এবং মনে কর যে, আমি আমার নামাজ পূর্ণ করিতে পারিনি। {১}
{১} মুয়াত্ত্বা মালিক। أَهَمٌ [আহাম] হলো অনিচ্ছা সত্ত্বেও কোন দিকে খেয়াল ধাবিত হওয়া। ঈমাম মালিক [রাহিমাহুল্লাহ] ২২৬ নং হাদীসে এটি পরিপূর্ণরূপে বর্ণনা করিয়াছেন। এই হাদিসটির তাহকীকঃ নির্ণীত নয়
Leave a Reply