শিশু কন্যা, ইয়াতীম, বিধবার ও সন্তানের সাথে সম্পর্ক
শিশু কন্যা, ইয়াতীম, বিধবার ও সন্তানের সাথে সম্পর্ক >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
৭৮/১৭. অধ্যায়ঃ কারো শিশু কন্যা কে নিজের সাথে খেলাধুলা করার ব্যাপারে বাধা না দেওয়া অথবা তাকে চুম্বন দেয়া, তার সাথে হাস্য তামাশা করা।
৭৮/১৮. অধ্যায়ঃ সন্তানকে আদর-স্নেহ করা, চুমু দেয়া ও আলিঙ্গন করা।
৭৮/১৯. অধ্যায়ঃ আল্লাহ দয়া-মায়াকে একশ ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন।
৭৮/২০. অধ্যায়ঃ সন্তান সাথে খাবে, এ ভয়ে তাকে হত্যা করা।
৭৮/২১. অধ্যায়ঃ শিশুকে কোলে উঠানো।
৭৮/২২. অধ্যায়ঃ শিশুকে রানের উপর স্থাপন করা।
৭৮/২৩. অধ্যায়ঃ সদ্ব্যবহার করা ঈমানের অংশ।
৭৮/২৪. অধ্যায়ঃ ইয়াতীমের দেখাশুনাকারীর ফাযীলাত।
৭৮/২৫. অধ্যায়ঃ বিধবার ভরণ-পোষণের জন্য চেষ্টাকারী।
৭৮/১৭. অধ্যায়ঃ কারো শিশু কন্যা কে নিজের সাথে খেলাধুলা করার ব্যাপারে বাধা না দেওয়া অথবা তাকে চুম্বন দেয়া, তার সাথে হাস্য তামাশা করা।
৫৯৯৩
উম্মু খালিদ বিনত খালিদ ইবনু সাঈদ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আমার পিতার সাথে রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর কাছে এলাম। আমার গায়ে তখন হলুদ রং এর জামা ছিল। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, সানাহ সানাহ। আব্দুল্লাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, হাবশী ভাষায় এর অর্থ সুন্দর, সুন্দর। উম্মু খালিদ বলেনঃ আমি তখন মোহরে নবূওয়াত নিয়ে খেলতে লাগলাম। আমার পিতা আমাকে ধমক দিলেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেনঃ ও যা করছে করিতে দাও। এরপর রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বললেনঃ তোমার কাপড় পুরোনো কর ও জীর্ণ কর, আবার পুরোনো কর, জীর্ণ কর, আবার পুরোনো কর জীর্ণ কর। তিনবার বলিলেন। আব্দুল্লাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেনঃ তিনি দীর্ঘ জীবন লাভকারী হিসেবে আলোচিত হয়েছিলেন।(আঃপ্রঃ- ৫৫৫৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৫৪)
৭৮/১৮. অধ্যায়ঃ সন্তানকে আদর-স্নেহ করা, চুমু দেয়া ও আলিঙ্গন করা।
সাবিত (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আনাস (রাদি.) থেকে বর্ণনা করেন, নাবী (সাঃআঃ) (তাহাঁর পুত্র) ইবরাহীমকে চুমু দিয়েছেন ও তার ঘ্রাণ গ্রহণ করিয়াছেন।
৫৯৯৪
ইবনু আবু নুআয়ম (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি ইবনু উমার (রাদি.) -এর কাছে ছিলাম। তখন তাহাঁর কাছে একটি লোক মশার রক্তের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলো। তিনি বললেনঃ কোন দেশের লোক তুমি? সে বললঃ আমি ইরাকের বাসিন্দা। ইবনু উমার (রাদি.) বললেনঃ তোমরা এর দিকে তাকাও, সে আমাকে মশার রক্তের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করছে, অথচ তারা নাবী (সাঃআঃ) -এর সন্তানকে হত্যা করেছে। আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) কে বলিতে শুনেছিঃ ওরা দুজন (অর্থাৎ হাসান ও হুসাইন) দুনিয়াতে আমার দুটি সুগন্ধি ফুল।(আঃপ্রঃ- ৫৫৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৫৫)
৫৯৯৫
নাবী (সাঃআঃ) -এর স্ত্রী আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ একটি স্ত্রীলোক দুটি মেয়ে সাথে নিয়ে আমার কাছে এসে কিছু চাইলো। আমার কাছে একটি খুরমা ব্যতীত আর কিছুই সে পেলো না। আমি তাকে ওটা দিলাম। স্ত্রীলোকটি তার দুমেয়েকে খুরমাটি ভাগ করে দিল। তারপর সে উঠে বের হয়ে গেল। এ সময় নাবী (সাঃআঃ) এলেন। আমি তাঁকে ব্যাপারটি জানালাম। তখন তিনি বললেনঃ যাকে এ সব কন্যা সন্তান দিয়ে কোন পরীক্ষা করা হয়, অতঃপর সে তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করে, এ কন্যারা তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে প্রতিবন্ধক হইবে। (আঃপ্রঃ- ৫৫৬০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৫৬)
৫৯৯৬
আবু ক্বাতাদাহ (রাঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ একদা নাবী (সাঃআঃ) আমাদের সম্মুখে আসলেন। তখন উমামাহ বিনত আবুল আস তাহাঁর স্কন্ধের উপর ছিলেন। এই অবস্থায় নাবী (সাঃআঃ) সলাতে দণ্ডায়মান হলেন। যখন তিনি রুকূতে যেতেন, তাকে নামিয়ে রাখতেন, আবার যখন উঠে দাঁড়াতেন, তখন তাকেও উঠিয়ে নিতেন।(আঃপ্রঃ- ৫৫৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৫৭)
৫৯৯৭
আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) একদা হাসান ইবনু আলীকে চুম্বন করেন। সে সময় তাহাঁর নিকট আক্রা ইবনু হাবিস তামীমী (রাদি.) উপবিষ্ট ছিলেন। আক্রা ইবনু হাবিস (রাদি.) বললেনঃ আমার দশটি পুত্র আছে, আমি তাদের কাউকেই কোন দিন চুম্বন দেইনি। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) তাহাঁর পানে তাকালেন, অতঃপর বললেনঃ যে দয়া করে না, সে দয়া পায় না। [মুসলিম ৪৩/১৫, হাদীস ২৩১৮, আহমাদ ৭২৯৩] আঃপ্রঃ- ৫৫৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৫৮)
৫৯৯৮
আয়েশা (রাঃ হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, এক বেদুঈন নাবী (সাঃআঃ) -এর নিকট এসে বললো। আপনারা শিশুদের চুম্বন করেন, কিন্তু আমরা ওদের চুম্বন করি না। নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ আল্লাহ যদি তোমার হৃদয় হইতে দয়া উঠিয়ে নেন, তবে তোমার উপর আমার কি কোন অধিকার আছে? [মুসলিম ৪৩/১৫, হাদীস ২৩১৭, আহমাদ ২৪৪৬২] আঃপ্রঃ- ৫৫৬৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৫৯)
৫৯৯৯
উমার ইবনু খাত্তাব (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার নাবী (সাঃআঃ) -এর নিকট কতকগুলো বন্দী আসে। বন্দীদের মধ্যে একজন স্ত্রীলোক ছিল। তার স্তন ছিল দুধে পূর্ণ। সে বন্দীদের মধ্যে কোন শিশু পেলে তাকে কোলে তুলে নিত এবং দুধ পান করাত। নাবী (সাঃআঃ) আমাদের বললেনঃ তোমরা কি মনে কর এ স্ত্রীলোকটি তার সন্তানকে আগুনে ফেলে দিতে পারে? আমরা বললামঃ ফেলার ক্ষমতা রাখলেও সে কখনো ফেলবে না। তারপর তিনি বললেনঃ এ স্ত্রীলোকটি তার সন্তানের উপর যতটা দয়ালু, আল্লাহ তাহাঁর বান্দার উপর তার চেয়েও বেশি দয়ালু।( [মুসলিম ৪৯/৪, হাদীস ২৭৫৪] আঃপ্রঃ- ৫৫৬৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬০)
৭৮/১৯. অধ্যায়ঃ আল্লাহ দয়া-মায়াকে একশ ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন।
৬০০০
আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) -কে বলিতে শুনেছিঃ আল্লাহ রাহমাতকে একশ ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন। তার মধ্যে নিরানব্বই ভাগ তিনি নিজের কাছে সংরক্ষিত রেখেছেন। আর পৃথিবীতে একভাগ পাঠিয়েছেন। ঐ এক ভাগ পাওয়ার কারণেই সৃষ্ট জগত পরস্পরের প্রতি দয়া করে। এমনকি ঘোড়া তার বাচ্চার উপর থেকে পা উঠিয়ে নেয় এই আশঙ্কায় যে, সে ব্যথা পাবে। [৬৪২৯; মুসলিম ৪৯/৪, হাদীস ৬৪৬৯] আঃপ্রঃ- ৫৫৬৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬১)
৭৮/২০. অধ্যায়ঃ সন্তান সাথে খাবে, এ ভয়ে তাকে হত্যা করা।
৬০০১
আবদুল্লাহ (ইবনু মাসঊদ) (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলামঃ হে আল্লাহর রাসুল! কোন গুনাহ সব হইতে বড়? তিনি বললেনঃ কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ গণ্য করা, অথচ তিনিই তোমাকে সৃষ্টি করিয়াছেন। তিনি বললেনঃ তারপরে কোনটি? নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ তোমার সাথে খাবে, এ আশঙ্কায় তোমার সন্তানকে হত্যা করা। [১৫] তিনি বললেনঃ তারপরে কোনটি? নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে যিনা করা। তখন নাবী (সাঃআঃ) -এর কথার সত্যতা প্রতিপন্ন করে অবতীর্ণ হলোঃ “আর যারা আল্লাহর সাথে অন্য কোন ইলাহকে ডাকে না”- (সুরা আল-ফুরক্বান ২৫/৬৮)।(আঃপ্রঃ- ৫৫৬৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬২)
[১] অধিক সন্তান জন্ম নিলে সংসারে অভাব অনটন দেখা দিবে। তাদেরকে খাওয়াতে পরাতে পারবে না, নিজেদের খাবারেও কষ্ট হইবে এরূপ মন মানসিকতা নিয়ে সন্তান হত্যা ও ভ্রুণ হত্যা সমান গুনাহর অন্তর্ভুক্ত। প্রতিটি জীবকে আল্লাহ তাআলা রিযক সহকারে দুনিয়াতে পাঠিয়ে থাকেন এবং তিনি তাদের আহারের ব্যবস্থা করে থাকেন। যেমন সুরা আনআমের ১৫১ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন,{وَلاتَقْتُلُواأَوْلادَكُمْمِنْإِمْلاقٍنَحْنُنَرْزُقُكُمْ}অর্থাৎ দরিদ্রতার ভয়ে তোমাদের সন্তানদের হত্যা করো না
ইসলামী অর্থ ব্যবস্থায় দুনিয়াতে খাদ্যের কোন অভাব নেই। অনৈসলামিক ব্যবস্থার ফলে সমাজে অভাব কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি হয়ে থাকে।
৭৮/২১. অধ্যায়ঃ শিশুকে কোলে উঠানো।
৬০০২
আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
যে, নাবী (সাঃআঃ) একটি শিশুকে নিজের কোলে উঠিয়ে নিলেন। তারপর তাকে তাহনীক [১৬] করালেন। শিশুটি তাহাঁর কোলে প্রসাব করে দিল। তখন তিনি পানি আনতে বলিলেন এবং তা (প্রস্রাবের জায়গায়) ঢেলে দিলেন।(আঃপ্রঃ- ৫৫৬৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬৩)
[১৬] খেজুর চিবিয়ে রসালো করে নবজাতকের মুখে দেয়াকে তাহনীক বলা হয়।
৭৮/২২. অধ্যায়ঃ শিশুকে রানের উপর স্থাপন করা।
৬০০৩
উসামাহ ইবনু যায়দ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
উসামাহ ইবনু যায়দ (রাদি.) বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমার হাত ধরে তাহাঁর এক রানের উপর আমাকে বসাতেন এবং হাসানকে বসাতেন অন্য রানে। তারপর দুজনকে একত্রে মিলিয়ে নিতেন। পরে বলিতেনঃ হে আল্লাহ! আপনি এদের দুজনের উপর রহম করুন, কেননা আমিও এদের ভালোবাসি।
অপর এক সূত্রে তামীমী বলেন, এ হাদীসটি সম্পর্কে আমার মনে সন্দেহ জাগল। ভাবলাম, আবু উসমান থেকে আমি এতো এতো হাদীস বর্ণনা করেছি, এ হাদীসটি মনে হয় তার কাছ হইতে শুনিনি। পরে খোঁজ করে দেখলাম যে, আবু উসমানের নিকট হইতে শোনা যে সব হাদীস আমার কাছে লেখা ছিল, তাতে এটি পেয়ে গেলাম।(আঃপ্রঃ- ৫৫৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬৪)
৭৮/২৩. অধ্যায়ঃ সদ্ব্যবহার করা ঈমানের অংশ।
৬০০৪
আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি অন্য কোন মহিলার উপর ততটা ঈর্ষা পোষণ করতাম না, যতটা ঈর্ষা করতাম খাদীজার উপর। অথচ আমার বিয়ের তিন বছর আগেই তিনি মারা যান। কারণ, আমি শুনতাম, নাবী (সাঃআঃ) তাহাঁর নাম উল্লেখ করিতেন। আর জান্নাতের মাঝে মণি-মুক্তার একটি ঘরের খোশ-খবর খাদীজাকে শোনানোর জন্যে তাহাঁর প্রতিপালক তাঁকে নির্দেশ দেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) কখনও ছাগল যবহ করলে তার একটি টুকরো খাদীজার বান্ধবীদের কাছে অবশ্যই পাঠাতেন।(আঃপ্রঃ- ৫৫৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬৫)
৭৮/২৪. অধ্যায়ঃ ইয়াতীমের দেখাশুনাকারীর ফাযীলাত।
৬০০৫
সাহল ইবনু সাদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
যে, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ আমি ও ইয়াতীমের দেখাশুনাকারী জান্নাতে এভাবে (একত্রে) থাকব। এ কথা বলার সময় তিনি তর্জনী ও মধ্যমা আঙ্গুলদ্বয় মিলিয়ে ইঙ্গিত করে দেখালেন।(আঃপ্রঃ- ৫৫৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬৬)
৭৮/২৫. অধ্যায়ঃ বিধবার ভরণ-পোষণের জন্য চেষ্টাকারী।
৬০০৬
সফওয়ান ইবনু সুলায়ম (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি নাবী (সাঃআঃ) থেকে মারফূরুপে বর্ণনা করিয়াছেন। নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যে লোক বিধবা ও মিস্কীনদের ভরণ-পোষণের ব্যাপারে চেষ্টা করে, সে আল্লাহর পথে জিহাদকারীর মত। অথবা সে ঐ ব্যক্তির মত, যে দিনে সিয়াম পালন করে ও রাতে (ইবাদাতে) দন্ডায়মান থাকে।
আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিত। তিনি নাবী (সাঃআঃ) থেকে এ রকমই বর্ণনা করিয়াছেন।(আঃপ্রঃ- ৫৫৭২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৬৮)
Leave a Reply