গীলাহ্ অর্থাৎ স্তন্যদায়িনী স্ত্রীর সাথে সঙ্গমের বৈধতা ..

গীলাহ্ অর্থাৎ স্তন্যদায়িনী স্ত্রীর সাথে সঙ্গমের বৈধতা

গীলাহ্ অর্থাৎ স্তন্যদায়িনী স্ত্রীর সাথে সঙ্গমের বৈধতা >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

২৪. অধ্যায়ঃ গীলাহ্ অর্থাৎ স্তন্যদায়িনী স্ত্রীর সাথে সঙ্গমের বৈধতা এবং আযল মাকরূহ হওয়া প্রসঙ্গে

৩৪৫৬. জুদামাহ্ বিন্তু ওয়াহ্ব আসাদিয়্যাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন, আমি স্তন্যদায়িনী স্ত্রীর সাথে সঙ্গম নিষিদ্ধ ঘোষণা করার ইচ্ছে করলাম। এরপর আমার নিকট আলোচনা করা হল যে, রোম ও পারস্যবাসী লোকেরাও তা করে থাকে, অথচ তাতে তাদের সন্তানদের কোন ক্ষতি হয় না।

ঈমাম মুসলিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, খালাফ তার সানাদ বর্ণনায় “জুদামাহ্ আল আসদিয়্যাহ্” উল্লেখ করিয়াছেন। কিন্তু ইয়াহ্ইয়া বর্ণিত জুযামাহ্ শব্দটিই সঠিক ও নির্ভুল।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪২৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪২৮]

৩৪৫৭. উকাশার ভগ্নি জুদামাহ্ বিনতু ওয়াহ্ব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি একদিন কিছু সংখ্যক লোকের সাথে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে হাযির হলাম। তিনি তখন বলছিলেন, আমি স্তন্যদায়িনী মহিলার সাথে সঙ্গম করা নিষেধ করার ইচ্ছা করলাম, এমতাবস্হায় আমি রোম ও পারস্যবাসী লোকদের অবস্হার কথা বিবেচনা করে অবগত হলাম যে, তারা তাদের স্তন্যদায়িনী স্ত্রীর সাথে সংগম করে থাকে, কিন্তু তা তাদের সন্তান সন্ততির কোনরূপ ক্ষতি করে না। অতঃপর লোকেরা তাকে আযল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিল।

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তা হল গোপন হত্যা। রাবী উবায়দুল্লাহ্ তাহাঁর বর্ণনায় আল মুক্রি সূত্রে আয়াতটুকুও উল্লেখ করিয়াছেন

 وَإِذَا الْمَوْءُودَةُ سُئِلَتْ‏

অর্থাৎ “যখন জীবন্ত সমাধিস্হ কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হইবে কী অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে”- [সূরাহ্ আত্ তাকভীরঃ ৮১:৮-৯]

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৩০, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪২৯]

৩৪৫৮. জুদামাহ্ বিনতু ওয়াহ্ব আল আসাদিয়্যাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি। [এরপর] সাঈদ ইবনি আবু আয়য়ূব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীত আযল ও গীলাহ্ সম্পর্কে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে [গীলাহ্-এর পরিবর্তে] গিয়াল উল্লেখ করেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৩১, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৩০]

৩৪৫৯. সাদ ইবনি আবু ওয়াক্কাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে বলিল, আমি আমার স্ত্রীর সাথে আযল করে থাকি। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে বলিলেন, তুমি এ কাজ কেন কর? লোকটি বলিল, আমি তার সন্তানের ক্ষতির আশংকা করি। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ যদি এ কাজ ক্ষতিকর হত তাহলে তা পারস্য ও রোমবাসীদেরও ক্ষতিসাধন করত।

রাবী যুহায়র তাহাঁর বর্ণনায় উল্লেখ করিয়াছেন, এ কাজ [আযল] যদি এ উদ্দেশ্যেই হয় তাহলে তা করা সঠিক নয়। কেননা তা পারস্য ও রোমবাসীদের কোন প্রকার ক্ষতি করে নি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৪৩২, ইসলামিক সেন্টার- ৩৪৩১]


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply