শুফআ
শুফআ >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
পর্বঃ ৩৬, শুফআ, অধ্যায়ঃ (১-৩)=৩টি
৩৬/১. অধ্যায়ঃ স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তিতে শুফ্আ এর অধিকার। যখন (ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়ে) সীমানা নির্ধারিত হয়ে যায়, তখন আর শুফআ এর অধিকার থাকে না।
৩৬/২. অধ্যায়ঃ বিক্রয়ের আগে শুফ্আ এর অধিকারীর কাছে (বিক্রয়ের) প্রস্তাব করা।
৩৬/৩. অধ্যায়ঃ কোন প্রতিবেশী অধিক নিকটবর্তী।
৩৬/১. অধ্যায়ঃ স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তিতে শুফ্আ এর অধিকার। যখন (ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়ে) সীমানা নির্ধারিত হয়ে যায়, তখন আর শুফআ এর অধিকার থাকে না।
২২৫৭.জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) যে সব সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা হয়নি, তাতে শুফ্আ এর ফায়সালা দিয়েছেন। যখন সীমানা নির্ধারিত হয়ে যায় এবং রাস্তাও পৃথক হয়ে যায়, তখন শুফ্আ এর অধিকার থাকে না।
৩৬/২. অধ্যায়ঃ বিক্রয়ের আগে শুফ্আ এর অধিকারীর কাছে (বিক্রয়ের) প্রস্তাব করা।
হাকাম (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, বিক্রয়ের পূর্বে যদি অধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বিক্রয়ের অনুমতি দেয়, তবে তার শুফ্আ এর অধিকার থাকে না। শাবী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, যদি কারও উপস্থিতিতে তার শুফ্আর যমীন বিক্রি হয় আর সে এতে কোন আপত্তি না করে, তবে (বিক্রয়ের পরে) তার শুফ্আ এর অধিকার থাকে না।
২২৫৮. আমর ইবনু শারীদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি সাদ ইবনু আবু ওয়াক্কাস (রাদি.)- এর কাছে দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখন মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাদি.) এসে তাহাঁর হাত আমার কাঁধে রাখেন। এমতাবস্থায় নাবী (সাঃআঃ)- এর আযাদকৃত গোলাম আবু রাফি (রাদি.) এসে বলিলেন, হে সাদ! আপনার বাড়ীতে আমার যে দুটি ঘর আছে, তা আপনি আমার নিকট হইতে খরিদ করে নিন। সাদ (রাদি.) বলিলেন, আল্লাহর কসম, আমি সে দুটি খরিদ করব না। তখন মিসওয়ার (রাদি.) বলিলেন, আল্লাহর কসম, আপনি এ দুটো অবশ্যই খরিদ করবেন। সাদ (রাদি.) বলিলেন, আল্লাহর কসম, আমি তোমাকে কিস্তিতে চার হাজার (দিরহাম)- এর অধিক দিব না। আবু রাফি (রাদি.) বলিলেন, এই ঘর দুটির বিনিময়ে আমাকে পাঁচশ দীনার দেয়ার প্রস্তাব এসেছে। আমি যদি আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)- কে এ কথা বলিতে না শুনতাম যে, প্রতিবেশী অধিক হকদার তার নৈকট্যের কারণে, তাহলে আমি এ দুটি ঘর আপনাকে চার হাজার (দিরহাম)- এর বিনিময়ে কিছুতেই দিতাম না। আমাকে এ দুটি ঘরের বিনিময়ে পাঁচশ-দীনার দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তারপর তিনি তা তাঁকে (সাদ (রাদি.)- কে) দিয়ে দিলেন।
৩৬/৩. অধ্যায়ঃ কোন প্রতিবেশী অধিক নিকটবর্তী।
২২৫৯. আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমার দুজন প্রতিবেশী রয়েছে, তাদের মধ্যে কাকে আমি হাদিয়া দিব? তিনি বলিলেন, উভয়ের মধ্যে যার দরজা তোমার বেশী কাছে।
Leave a Reply