শিকার ও যবহকৃত জন্তু খাওয়ার নিয়মাবলী
শিকার ও যবহকৃত জন্তু খাওয়ার নিয়মাবলী >> বুলুগুল মারাম এর মুল সুচিপত্র দেখুন
অধ্যায় – ১ঃ শিকার ও যবহকৃত জন্তু
পরিচ্ছেদ ০৫. শিকারী কুকুর পালনের বৈধতা
পরিচ্ছেদ ০৬. -ধারালো এবং জখম করা যায় এমন অস্ত্র দ্বারা শিকার করা
পরিচ্ছেদ ০৭. -পালকবিহীন তীর দ্বারা শিকার করা
পরিচ্ছেদ ০৮. -শিকারের প্রতি তীর নিক্ষেপের পর তা অদৃশ্য হয়ে গেলে, অতপর তা পেলে খাওয়ার বিধান
পরিচ্ছেদ ০৯.- জবেহের সময় বিসমিল্লাহ বলার বিধান
পরিচ্ছেদ ১০. -খাযফ করা নিষেধ এবং এর মাধ্যমে শিকারকৃত জন্তু খাওয়া হারাম {১৪৪৪}
পরিচ্ছেদ ১১. – কোন জীব জন্তুকে [তীর মারার জন্য] নিশানা রুপে গ্রহণ করা নিষেধ
পরিচ্ছেদ ১২. – মহিলার জবেহ করার বিধান
পরিচ্ছেদ ১৩. -জবেহ করার শরীয়ত সম্মত এবং নিষিদ্ধ যন্ত্রসমূহ
পরিচ্ছেদ ১৪. – প্রানীকে বেঁধে রেখে হত্য করা নিষেধ
পরিচ্ছেদ ১৫. – জবেহ করার শিষ্টাচারিতা সমূহ
পরিচ্ছেদ ১৬. – ভ্রুনের যাবহ করা প্রসঙ্গে
পরিচ্ছেদ ১৭. – জবেহ করার সময় বিসমিল্লাহ না বললে
পরিচ্ছেদ ০৫. শিকারী কুকুর পালনের বৈধতা
১৩৩২. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি গৃহপালিত পশুর রক্ষণাবেক্ষণ বা শিকার করণার্থে অথবা শস্য ক্ষেতের পাহারার উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে কুকুর পোষে, প্রতিদিন তার নেক আমল হতে এক কীরাত পরিমাণ কমতে থাকিবে। {১৪৩৯}
{১৪৩৯} বোখারী ২৩২২, ৩৩২৪, মুসলিম ১৫৭৫, তিরমিজি ১৪৯০, নাসাঈ ৪২৮৯, ৪২৯০, আবু দাঊদ ২৮৪৪, ইবনি মাজাহ ৩২০৪, আহম্মদ ৭৮৬৬, ৯৭৬৫। শিকার ও যবহকৃত জন্তু হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৬. -ধারালো এবং জখম করা যায় এমন অস্ত্র দ্বারা শিকার করা
১৩৩৩. আদী ইবনি হাতিম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বলেছেনঃ তুমি যদি তোমার কুকুরকে শিকার ধরার জন্য পাঠাবে বিসমিল্লাহ বলে পাঠাবে, যদি সে শিকারকে তোমার জন্য রেখে দেয় এবং তুমি তা জীবিত পাও তবে জবাই করিবে। আর যদি তুমি দেখ যে, কুকুর তার শিকারকে মেরে ফেলেছে কিন্তু সে তা হতে কিছু খায়নি, তবে তুমি তা খেতে পার। আর যদি তুমি তোমার কুকুরের সাথে অন্য কুকুর দেখিতে পাও এবং সেগুলো শিকার ধরে মেরে ফেলে, তা হলে তা খাবে না। কেননা, তুমি তো জান না যে, কোন্ কুকুরটি হত্যা করেছে? আর যদি তুমি শিকারের প্রতি তীর নিক্ষেপ কর তখন বিসমিল্লাহ বলবে। এরপর তা একদিন বা দুদিন পর এমন অবস্থায় হাতে পাও যে, তার গায়ে তোমার তীরের আঘাত ব্যতীত অন্য কিছু নেই, তাহলে খাও। আর যদি তা পানির মধ্যে পড়ে থাকে, তাহলে তা খাবে না। {১৪৪০}
{১৪৪০} বোখারী ১৭৫, ২০৫৪, ৫৪৭৫, ৫৪৭৭, ৫৪৮৩, মুসলিম ১৯২৯। শিকার ও যবহকৃত জন্তু হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৭. -পালকবিহীন তীর দ্বারা শিকার করা
১৩৩৪. আদী ইবনি হাতিম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে তীরের শিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ যদি তীরের ধারালো অংশ দ্বারা আঘাত করে থাক তাহলে খাও, আর যদি ফলার আঘাত লেগে থাকে এবং শিকারটি মারা যায় তাহলে খেও না। কেননা, সেটি ওয়াকীয বা থেতলে মরার মধ্যে গণ্য। {১৪৪১}
{১৪৪১} তিরমিজি ১৪৬৫, ১৪৬৯, ১৪৭০, নাসাঈ ৪২৬৪, ৪২৬৫, আবু দাঊদ ২৮৪৭, ২৮৫১, ২৮৫৩, ইবনি মাজাহ ২১১৩, ৩২০৮, ৩২১২, আহম্মদ ১৭১৮, ১৭৭৯১, দারিমী ২০০২। শিকার ও যবহকৃত জন্তু হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৮. -শিকারের প্রতি তীর নিক্ষেপের পর তা অদৃশ্য হয়ে গেলে, অতপর তা পেলে খাওয়ার বিধান
১৩৩৫. আবু সালাবাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ [আল্লাহর নাম নিয়ে] তুমি শিকারের প্রতি তোমার তীর নিক্ষেপ করার পর যদি ঐ শিকার তোমার হস্তগত না হয়ে অদৃশ্য থাকে, তারপর তুমি ওটা পেলে এবারে তুমি তা খাও যতক্ষণ পর্যন্ত সেটা দুর্গন্ধযুক্ত না হয়। {১৪৪২}
নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ [আল্লাহর নাম নিয়ে] তুমি শিকারের প্রতি তোমার তীর নিক্ষেপ করার পর যদি ঐ শিকার তোমার হস্তগত না হয়ে অদৃশ্য থাকে, তারপর তুমি ওটা পেলে এবারে তুমি তা খাও যতক্ষণ পর্যন্ত সেটা দুর্গন্ধযুক্ত না হয়। {১৪৪২}
শিকার ও যবহকৃত জন্তু হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ০৯.- জবেহের সময় বিসমিল্লাহ বলার বিধান
১৩৩৬. আয়িশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একদল লোক নাবী [সাঃআঃ]-কে বলিল কতক লোক আমাদের নিকট গোশ্ত নিয়ে আসে। আমরা জানি না যে, পশু যবহের সময় বিসমিল্লাহ বলা হয়েছিল কিনা। তখন নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ তোমরাই এর উপর বিসমিল্লাহ পড় এবং তা খাও। {১৪৪৩}
{১৪৪৩} বোখারী ২০৫৭, ৭৩৯৮, নাসাঈ ৪৪৩৬, আবু দাঊদ ২৮২৯, ইবনি মাজাহ ৩১৭৪, মালেক ১০৫৪, দারিমী ১৯৭৬। শিকার ও যবহকৃত জন্তু হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১০. -খাযফ করা নিষেধ এবং এর মাধ্যমে শিকারকৃত জন্তু খাওয়া হারাম {১৪৪৪}
১৩৩৭. আবদুল্লাহ ইবনি মুগাফ্ফাল মুজানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ছোট পাথর নিক্ষেপ করিতে নিষেধ করিয়াছেন। আর বলেছেনঃ এর দ্বারা কোন প্রাণী শিকার করা হয় না এবং কোন শত্রুকেও ঘায়েল করা হয় না। তবে এটি কারো দাঁত ভেঙ্গে ফেলতে পারে এবং চোখ ফুঁড়ে দিতে পারে। -শব্দ বিন্যাস মুসলিমের। {১৪৪৫}
{১৪৪৫} [আরবী] উভয় তর্জনীর মাঝখানে অথবা বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনীর মধ্যে কংকর রেখে তা নিক্ষেপ করাকে [আরবী] বলা হয়। বোখারী ৪৮৪২, ৬২৬০, মুসলিম ১৯৫৬, নাসাঈ ৪৮১৫, আবু দাঊদ ২৭, ৫২৭০, ইবনি মাজাহ ৩২২৭, আহম্মদ ১৬৩৫২, ২০০১৭, ২০০৩৮, দারিমী ৪৩৯, ৪৪০। শিকার ও যবহকৃত জন্তু হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১১. – কোন জীব জন্তুকে [তীর মারার জন্য] নিশানা রুপে গ্রহণ করা নিষেধ
১৩৩৮. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ কোন জীবন্ত জন্তুকে তীর মারার জন্য নিশানারূপে গ্রহণ করিবে না। {১৪৪৬}
{১৪৪৬} মুসলিম ১৯৯৭, তিরমিজি ১৪৭৫, নাসাঈ ৪৪৪৩, ৪৪৪৪, ইবনি মাজাহ ৩১৮৭, আহম্মদ ১৮৬৬, ২৪৭০, ২৫২৮। শিকার ও যবহকৃত জন্তু হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১২. – মহিলার জবেহ করার বিধান
১৩৩৯. কাব ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক নারী পাথরের সাহায্যে একটি বক্রী যবহ্ করেছিল। এ ব্যাপারে নাবী [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সেটি খাওয়ার নির্দেশ দেন। {১৪৪৭}
{১৪৪৭} বোখারী ২৩০৪, ৫৫০১, ৫৫০২, ইবনি মাজাহ ৩১৮২, আহম্মদ ১৫৩৩৮, ২৬৬২৭, মালেক ১০৫৭। শিকার ও যবহকৃত জন্তু হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৩. -জবেহ করার শরীয়ত সম্মত এবং নিষিদ্ধ যন্ত্রসমূহ
১৩৪০. রাফি বিন খাদীজ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] হতে বর্ণনা করেন। তিনি [সাঃআঃ] বলেনঃ যে জিনিস রক্ত প্রবাহিত করে এবং যার উপর আল্লাহ্র নাম নেয়া হয়, তা খাও। তবে দাঁত ও নখ দিয়ে নয়। দাঁত হল হাড় আর নখ হল হাবশীদের ছুরি। {১৪৪৮}
{১৪৪৮} বোখারী ২৪৮৮, ২৫০৭, ৩০৩৫, মুসলিম ১৯৬৮, তিরমিজি ১৪৯১, ১৪৯২, নাসাঈ ৪২৯৭, ৪৪০৪, আবু দাঊদ ২৮২১, ইবনি মাজাহ ৩১৩৭, ৩১৮৩, আহম্মদ ১৬৮১০, ১৬৮৩২, দারিমী ১৯৭৭। শিকার ও যবহকৃত জন্তু হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৪. – প্রানীকে বেঁধে রেখে হত্য করা নিষেধ
১৩৪১. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কোন জন্তুকে বেধে রেখে হত্যা করিতে নিষেধ করিয়াছেন। {১৪৪৯}
{১৪৪৯} মুসলিম ১৯৫৯, ইবনি মাজাহ ৩১৮৮, আহম্মদ ১৪০১৪, ১৪০৩৯। শিকার ও যবহকৃত জন্তু হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৫. – জবেহ করার শিষ্টাচারিতা সমূহ
১৩৪২. শাদ্দাদ ইবনি আওস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা প্রতিটি জীবের উপর ইহসান করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন [কোন ন্যায্য কারণে] যদি হত্যা কর তবে ভালভাবে হত্যা করিবে, [যথা সম্ভব কষ্টের লাঘব করিবে] যবাহ করলে ভালভাবে যবাহ করিবে-ছুরি ভাল করে ধার দেবে, যবাহকৃত জন্তুর কষ্টের লাঘব করিবে। {১৪৫০}
{১৪৫০} মুসলিম ১৯৫৫, তিরমিজি ১০০৯, নাসাঈ ৪৪০৫, ৪৪১১, আবু দাঊদ ২৮১৫, ইবনি মাজাহ ৩১৭০, আহম্মদ ১৬৬৫৪, ১৬৬৭৯, দারিমী ১৯৭০। শিকার ও যবহকৃত জন্তু হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৬. – ভ্রুনের যাবহ করা প্রসঙ্গে
১৩৪৩. আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ভ্রুণের যবাহ কাজ তার মায়ের যবাহ দ্বারা সম্পন্ন হয়। {১৪৫১}
{১৪৫১} তিরমিজি ১৪৭৬, আবু দাঊদ ২৮২৭, ইবনি মাজাহ ৩১৯৯, আহম্মদ ১০৮৬৭, ১০৯৫০, ইবনি হিব্বান ১০৭৭, আত্-তালখীসুল হাবীর ৪র্থ খণ্ড ১৬৫ পৃষ্ঠা। শিকার ও যবহকৃত জন্তু হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
পরিচ্ছেদ ১৭. – জবেহ করার সময় বিসমিল্লাহ না বললে
১৩৪৪. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ মুসলিমের জন্য [আল্লাহ্র] নামই যথেষ্ট, যদি যাবাহ করার সময় আল্লাহর নাম দিতে ভুলে যায় তবে আল্লাহর নাম নেবে [বিসমিল্লাহ বলবে] তারপর খাবে।
আব্দুর রায্যাক সহীস সনদে, ইবনি আব্বাস হতে মাওকূফরূপে হাদিসটি বর্ণনা করিয়াছেন। {১৪৫২} শিকার ও যবহকৃত জন্তু হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
১৩৪৫. ঈমাম আবু দাঊদের মারাসিল হইতে বর্ণীতঃ
গ্রন্থে এর একটা শাহিদ [সম অর্থবাহী] হাদিস রয়েছে-তাতে আছে, মুসলিমের যবাহ্কৃত জন্তু হালাল, সে তাতে বিসমিল্লাহ্ বলুক বা না বলুক। এর বর্ণনাকারী রাবীগণ মাজবূত [নির্ভরযোগ্য]। {১৪৫৩}
{১৪৫৩} ইবনিল কাত্তান তাহাঁর আল ওয়াহম ওয়াল ঈহাম ৩/৫৭৯ গ্রন্থে বলেন, হাদিসটির দোষ হচ্ছে মুরসাল, কারণ স্বলত আস সাদূসীর অবস্থা জানা যায় না। ইবনি উসাইমীন শরহে বুলুগুল মারাম ৬/৬৭ গ্রন্থে এ হাদিসটিকে অত্যন্ত দুর্বল বলেছেন। ইবনি কাসীর তাহাঁর তাফসীরুল কুরআন ৩/৩১৮ গ্রন্থে ও বাইহাকী সুনান আস সুগরা ৪/৪৩ গ্রন্থে, ঈমাম নববী তাহাঁর মাজমু ৮/৪১২ গ্রন্থে, ঈমাম যঈলয়ী নাসবুর রায়া একে মুরসাল বলেছেন। ঈমাম সনআনী, নাববী, শওকানী, আল আইনী, ইবনিল মুলকিন সহ অনেকেই এ হাদিসটিকে মুরসাল বলেছেন। ইবনি হাজার আসকালানী আত্-তালখীসুল হাবীর ৪/১৪৩৮ গ্রন্থে এর সনদকে দুর্বল বলেছেন। আলবানী যঈফুল জামেতে ৩০৩৯ এ জঈফ বলেছেন। তবে ইবনি হাজার আসকালানী ফাতহুল বারী ৯/৫৫২ গ্রন্থে একে মুরসাল জাইয়েদ ভালো মুরসাল বলেছেন। শিকার ও যবহকৃত জন্তু হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
Leave a Reply