উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পড়া- লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক দোয়া

উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পড়া- লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক দোয়া

উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পড়া- লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক দোয়া >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ২৫, হজ্জ, অধ্যায়ঃ (২৫-৩০)=৬টি

২৫/২৫. অধ্যায়ঃ উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পড়া।
২৫/২৬. অধ্যায়ঃ তালবিয়া পাঠ করা।
২৫/২৭. অধ্যায়ঃ তালবিয়া পড়ার আগে সওয়ারীতে আরোহণকালে তাহমীদ, তাসবীহ ও তাকবীর পড়া।
২৫/২৮. অধ্যায়ঃ সওয়ারী আরোহীকে নিয়ে সোজা দাঁড়িয়ে গেলে তালবিয়া পড়া।
২৫/২৯. অধ্যায়ঃ কিবলামুখী হয়ে তালবিয়া পড়া।
২৫/৩০. অধ্যায়ঃ নিম্নভূমিতে অবতরণকালে তালবিয়া পড়া।

২৫/২৫. অধ্যায়ঃ উচ্চৈঃস্বরে তালবিয়া পড়া।

১৫৪৮. আনাস ইবনু মালিক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) যোহরের সালাত মদীনায় চার রাকআত আদায় করিলেন এবং আসরের সালাত যুল-হুলাইফায় দুরাকআত আদায় করেন। আমি শুনতে পেলাম তাঁরা সকলে উচ্চৈঃস্বরে হজ্জ ও উমরাহর তালবিয়া পাঠ করছেন [৫৫]। (১৫৪০)

(আঃপ্রঃ ১৪৪৬, ইঃফাঃ ১৪৫২).[৫৫] ইহরাম ব্যতীত অন্য কোন ইবাদাতে মৌখিক নিয়তে শব্দ উচ্চারণ করা শরীয়তে বৈধ নয়। কেননা কেবল ইহরামের সময়ই নাবী (সাঃআঃ) থেকে ওভাবে মুখে নিয়ত উচ্চারণ করার কথা বর্ণিত আছে। অবশ্য তা প্রচলিত নাওয়াইতু আন…… বলে গদ বাধা নিয়মে নয়।

২৫/২৬. অধ্যায়ঃ তালবিয়া পাঠ করা।

১৫৪৯. আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর তালবিয়া নিম্নরূপঃ (অর্থ) আমি হাযির হে আল্লাহ, আমি হাযির, আমি হাযির; আপনার কোন অংশীদার নেই, আমি হাযির। নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা ও সকল নিআমত আপনার এবং কর্তৃত্ব আপনারই, আপনার কোন অংশীদার নেই। (১৫৪০)

(আঃপ্রঃ১৪৪৭, ইঃফাঃ ১৪৫৩)

১৫৫০. আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) কিভাবে তালবিয়া পাঠ করিতেন তা আমি ভালরূপে অবগত (তাহাঁর তালবিয়া ছিল)

 لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ

আমি হাযির হে আল্লাহ! আমি হাযির, আমি হাযির, আপনার কোন অংশীদার নেই, আমি হাযির, সকল প্রশংসা ও সকল নিআমত আপনারই। আবু মুআবিয়া (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) আমাশ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে হাদীস বর্ণনায় সফিয়া (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-এর অনুসরণ করিয়াছেন। আবু আতিয়্যাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়েশা (রাদি.) হইতে শুনিয়াছি।

(আঃপ্রঃ১৪৪৮, ইঃফাঃ ১৪৫৪)

২৫/২৭. অধ্যায়ঃ তালবিয়া পড়ার আগে সওয়ারীতে আরোহণকালে তাহমীদ, তাসবীহ ও তাকবীর পড়া।

১৫৫১. আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) আমাদেরকে নিয়ে মদীনায় যুহরের সালাত আদায় করেন চার রাকআত এবং যুল-হুলাইফায় (পৌঁছে) আসরের সালাত আদায় করেন দু রাকআত। এরপর সেখানেই ভোর পর্যন্ত রাত কাটালেন। সকালে সওয়ারীতে আরোহণ করে বায়দা নামক স্থানে উপনীত হলেন। তখন তিনি আল্লাহর হামদ, তাসবীহ ও তাকবীর পাঠ করছিলেন। এরপর তিনি হজ্জ ও উমরাহর তালবিয়া পাঠ করিলেন। সাহাবীগণ উভয়ের তালবিয়া পাঠ করিলেন। যখন আমরা (মক্কার উপকন্ঠে) পৌঁছলাম তখন তিনি সাহাবীগণকে (উমরা শেষ করে) হালাল হওয়ার নির্দেশ দিলেন এবং তাঁরা হালাল হয়ে গেলেন। অবশেষে যিলহজ্জ মাসের আট তারিখে তাঁরা হজ্জের ইহরাম বাঁধলেন। রাবী বলেন, নাবী (সাঃআঃ) নিজ হাতে কিছু সংখ্যক উট দাঁড়ানো অবস্থায় নহর (যবেহ) করিলেন। আর আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) মদীনায় সাদা কাল মিশ্রিত রঙ-এর দুটি মেষ যবেহ করেছিলেন।

আবু আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, কোন কোন রাবী হাদীসটি আইয়ূব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) সূত্রে জনৈক রাবীর মাধ্যমে আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিত বলে উল্লেখ করিয়াছেন। (১০৮৯)

(আঃপ্রঃ১৪৪৯, ইঃফাঃ ১৪৫৫)

২৫/২৮. অধ্যায়ঃ সওয়ারী আরোহীকে নিয়ে সোজা দাঁড়িয়ে গেলে তালবিয়া পড়া।

১৫৫২. ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ)-কে নিয়ে তাহাঁর সওয়ারী সোজা দাঁড়িয়ে গেলে তিনি তালবিয়া পাঠ করেন। (১৬৬)

(আঃপ্রঃ১৪৫০, ইঃফাঃ ১৪৫৬)

২৫/২৯. অধ্যায়ঃ কিবলামুখী হয়ে তালবিয়া পড়া।

১৫৫৩. নাফি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু উমর (রাদি.) যুল-হুলাইফায় ফজরের সালাত শেষ করে সওয়ারী প্রস্তুত করার নির্দেশ দিতেন, প্রস্তুত হলে আরোহণ করিতেন। সওয়ারী তাঁকে নিয়ে দাঁড়িয়ে গেলে তিনি সোজা কিবলামুখী হয়ে হারাম শরীফের সীমারেখায় পৌঁছা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করিতে থাকতেন। এরপর বিরতি দিয়ে যূ-তুওয়া নামক স্থানে পৌঁছে ভোর পর্যন্ত রাত যাপন করিতেন এবং অতঃপর ফজরের সালাত আদায় করে গোসল করিতেন এবং বলিতেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) এরূপই করে ছিলেন। ইসমাঈল (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) গোসল সম্পর্কিত বর্ণনায় আইয়ূব (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-এর অনুসরণ করিয়াছেন।

(১৫৫৪, ১৫৭৩, ১৫৭৪)(আঃপ্রঃ কিতাবুল হজ্জ অনুচ্ছেদ ২৯, ইঃফাঃ ৯৮৯)

১৫৫৪. নাফি (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, ইবনু উমর (রাদি.) মক্কা গমনের ইচ্ছা করলে দেহে সুগন্ধিবিহীন তেল লাগাতেন। অতঃপর যুল-হুলাইফার মাসজিদে পৌঁছে সালাত আদায় করে সওয়ারীতে আরোহণ করিতেন। তাঁকে নিয়ে সওয়ারী সোজা দাঁড়িয়ে গেলে তিনি ইহরাম বাঁধতেন। এরপর তিনি [ইবনু উমর (রাদি.)] বলিতেন, আমি নাবী (সাঃআঃ)-কে এরূপ করিতে দেখেছি। (১৫৫৩)

(আঃপ্রঃ , ইঃফাঃ ১৪৫) (আঃপ্রঃ১৪৫১, ইঃফাঃ ১৪৫৭)

২৫/৩০. অধ্যায়ঃ নিম্নভূমিতে অবতরণকালে তালবিয়া পড়া।

১৫৫৫. মুজাহিদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা ইবনু আব্বাস (রাদি.)-এর নিকটে ছিলাম, লোকেরা দাজ্জালের আলোচনা করে বলিল যে, রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেন, তাহাঁর দুচোখের মাঝে (কপালে) কা-ফি-র লেখা থাকবে। রাবী বলেন, ইবনু আব্বাস (রাদি.) বলিলেন, এ সম্পর্কে নাবী (সাঃআঃ) হইতে কিছু শুনিনি। অবশ্য তিনি বলেছেনঃ আমি যেন দেখছি মূসা (আঃ) নীচু ভূমিতে অবতরণকালে তালবিয়া পাঠ করছিলেন।

(৩৩৫৫, ৫৯১৩, মুসলিম ১/৭৩, হাদীস ১৬৬) (আঃপ্রঃ১৪৫২, ইঃফাঃ ১৪৫৮)


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply