যেসব কারনে সওম ভঙ্গ হয় না ও রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ
যেসব কারনে সওম ভঙ্গ হয় না ও রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ >>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
অধ্যায়ঃ ১৪, অনুচ্ছেদঃ ২৪-৪৬=২৩টি
অনুচ্ছেদ-২৪ঃ সাওমে বিসাল বা বিরতিহীন রোযা রাখা
অনুচ্ছেদ-২৫ঃ সওম পালনকারীর জন্য গীবাত করা
অনুচ্ছেদ-২৬ঃ সওম পালনকারীর মিসওয়াক করা
অনুচ্ছেদ-২৭ঃ পিপাসার কারণে সওম পালনকারীর শরীরে পানি ঢালা এবং বারবার নাকে পানি দেয়া
অনুচ্ছেদ-২৮ঃ সওম পালনকারীর শিংগা লাগানো
অনুচ্ছেদ-২৯ঃ সওম পালনকারীর শিংগা লাগানোর অনুমতি আছে
অনুচ্ছেদ-৩০ঃ রমাযান মাসে দিনের বেলাঃ সওম পালনকারীর স্বপ্নদোষ হলে
অনুছেদ-৩১ঃ সওম পালনকারী নিদ্রার সময় সুরমা লাগানো
অনুচ্ছেদ-৩২ঃ সওম পালনকারী ইচ্ছকৃত বমি করলে
অনুচ্ছেদ-৩৩ঃ সওম অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করা
অনুচ্ছেদ-৩৪ঃ সওম পালনকারী নিজের থুথু গিললে
অনুচ্ছেদ-৩৫ঃ [রোযাদার] যুবকের জন্য [চুম্বন] মাকরূহ
অনুচ্ছেদ-৩৬ঃ যে ব্যাক্তি রমাযান মাসে নাপাক অবস্থায় ভোর করে
অনুচ্ছেদ-৩৭ঃ কেউ রমযানের সওম পালন অবস্থায় স্ত্রীসহবাস করলে তার কাফফারাহ
অনুচ্ছেদ-৩৮ঃ ইচ্ছাকৃতভাবে সওম ভঙ্গের পরিণতি
অনুচ্ছেদ-৩৯ঃ যে ব্যাক্তি ভুলবশত আহার করে
অনুচ্ছেদ-৪০ঃ রমযানের ক্বাযা সওম আদায়ে বিলম্ব করা
অনুচ্ছেদ-৪১ঃ কোন ব্যক্তি ক্বাযা সওম রেখে মারা গেলে
অনুচ্ছেদ-৪২ঃ সফর অবস্থায় সওম পালন
অনুচ্ছেদ-৪৩ঃ কষ্টের আশঙ্কা হলে সফরে সওম না রাখা ভাল
অনুচ্ছেদ-৪৪ঃ যে ব্যক্তি [সফর অবস্থায়] সওম পালনকে প্রাধান্য দেন
অনুচ্ছেদ-৪৫ঃ সফরে রওয়ানা হয়ে মুসাফির কখন সওম ভঙ্গ করিবে?
অনুচ্ছেদ-৪৬ঃ কতদূর সফর করলে মুসাফির সওম ভঙ্গ করিতে পারে?
অনুচ্ছেদ–২৪ঃ সাওমে বিসাল বা বিরতিহীন রোযা রাখা
২৩৬০. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বিরতিহীন সওম পালন করিতে নিষেধ করেছেন। লোকেরা বললো, আপনি তো সাওমে বিসাল রাখেন। তিনি বলিলেনঃ আমার অবস্থা তোমাদের মতো নয়। কেননা আমাকে পানাহার করানো হয়।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৩৬১. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনেছেনঃ তোমরা বিরতিহীন সওম পালন করো না। অবশ্য কেউ সাওমে বিসাল করিতে চাইলে সাহারী পর্যন্ত করিতে পারে। সাহাবীরা বলিলেন, আপনি তো ক্রমাগত সওম পালন করেন? তিনি বলেনঃ আমার অবস্থা তোমাদের মতো নয়। আমার খাদ্যদাতা ও পানীয়দাতা আছেন। তিনি আমাকে পানাহার করান।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–২৫ঃ সওম পালনকারীর জন্য গীবাত করা
২৩৬২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ কেউ যদি সওম পালন করেও মিথ্যা বলা ও অপকর্ম ত্যাগ না করে, তাহলে তার পানাহার বর্জন করাতে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৩৬৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমাদের কেউ সওম পালন করলে সে যেন পাপাচারে লিপ্ত না হয় এবং মূর্খের ন্যায় আচরণ না করে। কেউ তার সাথে ঝগড়া করলে বা তাহাকে গালমন্দ করলে সে যেন বলে, আমি সায়িম [রোযাদার], আমি সায়িম।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–২৬ঃ সওম পালনকারীর মিসওয়াক করা
২৩৬৪. উবাইদুল্লাহ ইবনি আমির ইবনি রাবীআ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতা হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে সওম পালন অবস্থায় এতো বেশি মিসওয়াক করিতে দেখেছি যে, তা সংখ্যায় নির্ণয় করা মুশকিল। {২৩৬৪}
দুর্বলঃ মিশকাত [৯০০২], ইরওয়া ,[৮৬] যয়ীফ সুনান আত-তিরমিজি [১১৬/৭২৮] ২৩৬৪ তিরমিজি, আহমাদ। ঈমাম তিরমিজি বলেনঃ আমির বিন রবীআহর হাদিসটি হাসান। হাদিসের সানাদে রয়েছে আসিম বিন উবাইদুল্লাহ। হাফিয বলেনঃ তিনি যয়ীফ। ঈমাম বায়হাক্বী বলেনঃ তিনি শক্তিশালী নন। তাহাকে ইবনি মাঈন, ঈমাম বুখারী ও জাহলী প্রমূখ ঈমামগণ যয়ীফ বলিয়াছেন। এছাড়া সনদের উবাইদুল্লাহ বিন আমির সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ মাক্ববূল। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ–২৭ঃ পিপাসার কারণে সওম পালনকারীর শরীরে পানি ঢালা এবং বারবার নাকে পানি দেয়া
২৩৬৫. আবু বাকর ইবনি আবদুর রহমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে নাবী [সাঃআঃ] এর কোন এক সাহাবী হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, মাক্কাহ বিজয়ের বছরে এক সফরে আমি নাবী [সাঃআঃ] -কে লোকদের প্রতি সওম ভঙ্গের নির্দেশ দিতে দেখেছি। তিনি [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ দুশমনের মোকাবিলায় তোমরা শক্তি সঞ্চয় করো। অবশ্য রসূল [সাঃআঃ] নিজে সওম রেখেছেন। আবু বাকর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, হাদিস বর্ণনাকারী বলিয়াছেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে আল-আরজ নামক স্থানে পিপাসার কারণে বা গরমের ফলে সওমরত অবস্থায় তাহাঁর মাথায় পানি ঢালতে দেখেছি।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৩৬৬. লাক্বীত্ব ইবনি সাবরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তুমি উত্তমরূপে নাকে পানি দিয়ে তা পরিষ্কার করো- যদি তুমি সওম পালনের অবস্থায় না থাকো।
সহিহ। এটি পূর্বের ১৪২ নং হাদিসের অংশ বিশেষ। রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–২৮ঃ সওম পালনকারীর শিংগা লাগানো
২৩৬৭. সাওবান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] রক্তমোক্ষণকারী এবং যার রক্তমোক্ষণ করানো হয়েছে তাহাদের বলেনঃ উভয়ের সওম নষ্ট হয়েছে। শাইবান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আবু ক্বিলাবাহ বলিয়াছেন, আবু আসমা আর-রাহবী তাহাকে বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] আযাদকৃত গোলাম সাওবান [রাদি.] তা নাবী থেকে শুনেছেন।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৩৬৮. একদা শাদ্দাদ ইবনি আওস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] এর সাথে চলছিলেন… অতঃপর বর্ণনাকারী পূর্বোক্ত হাদিসের অনুরূপ বর্ণনা করেন।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৩৬৯. শাদ্দাদ ইবনি আওস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রমাযানের আঠার দিন অতিবাহিত হবার পর আমার হাত ধরে জান্নাতুল বাকীতে এক ব্যক্তির নিকট আসলেন, যে শিংগা লাগাচ্ছিল। তিনি বলিলেনঃ রক্তমোক্ষণকারী ও যার রক্তমোক্ষণ করা হয়েছে তাহাদের উভয়ের সওম নষ্ট হয়ে গেছে।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৩৭০. নাবী [সাঃআঃ] এর আযাদকৃত গোলাম সাওবান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ রক্তমোক্ষণকারী ও যে রক্তমোক্ষণ করায় তাহাদের উভয়ের সওম নষ্ট হয়ে যায়।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৩৭১. সাওবান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ রক্তমোক্ষণকারী ও যে রক্তমোক্ষণ করায় তাহাদের উভয়ের সওম নষ্ট হয়ে যায়।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–২৯ঃ সওম পালনকারীর শিংগা লাগানোর অনুমতি আছে
২৩৭২. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সওম অবস্থায় রক্তমোক্ষণ করিয়েছেন। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, উহাইব ইবনি খালিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এ হাদিস আইউব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে তার সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আবার জাফার ইবনি রবীআহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ও হিশাম ইবনি হাসসান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ইকরিমা-ইবনি আব্বাস [রাদি.] সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৩৭৩. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সওম ও ইহরাম অবস্থায় রক্তমোক্ষণ করিয়েছেন। {২৩৭৩}
দুর্বলঃ যয়ীফ সুনান আত-তিরমিজি [১২৪/৭৭৯], ইরওয়া [৯৩২], যয়ীফ সুনান ইবনি মাজাহ [৩৭১], তাকরীজ হাক্বীক্বাতুস সিয়াম [পৃঃ ৬৭-৬৮] ২৩৭৩ তিরমিজি, ইবনি মাজাহ, আহমাদ। ঈমাম তিরমিজি হাদিসটিকে হাসান সহিহ বলিয়াছেন। কিন্তু সানাদে ইয়াযীদ বিন আবু যিয়াদ রয়েছে। হাফিয বলেনঃ তিনি যয়ীফ। তার স্মরণশক্তি মন্দ এবং তিনি হাদিসের মাতানে ইযতিরাব করেছেন। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৩৭৪. আবদুর রহমান ইবনি আবু লায়লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে নাবী [সাঃআঃ] এর জনৈক সাহাবী হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রক্তমোক্ষণ করানো এবং সাওমে বিসাল পালন করিতে নিষেধ করেছেন। তবে তিনি এ দুটো কাজ সাহাবীদের প্রতি অনুগ্রহ করে হারাম করেননি। তাঁকে বলা হলো, হে আল্লাহর রসূল! আপনি তো ভোর রাত পর্যন্ত ক্রমাগত সওম পালন করেন! তিনি বলিলেনঃ আমি অবশ্যই ভোর রাত পর্যন্ত সওমে বিসাল করি। কেননা আমার প্রতিপালক আমাকে পানাহার করান।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৩৭৫. সাবিত [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আনাস [রাদি.] বলিয়াছেন, সওম পালনকারী রক্তমোক্ষণ করালে দুর্বল হয়ে যাবে বিধায় আমরা তা পরিত্যাগ করতাম।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৩০ঃ রমাযান মাসে দিনের বেলাঃ সওম পালনকারীর স্বপ্নদোষ হলে
২৩৭৬. নাবী [সাঃআঃ] এর জনৈক সাহাবী হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ কারো বমি হলে, স্বপ্নদোষ হলে এবং রক্তমোক্ষণ করালে সে সওম ভঙ্গ করিবে না। {২৩৭৬}
২৩৭৬ বায়হাক্বী। এর সানাদে নাম উল্লেখহীন জনৈক ব্যক্তি রয়েছে। ঈমাম ইবনি তাইমিয়্যাহ বলেনঃ তাহাকে চেনা যায়নি। আল্লামা মুনযিরী বলেনঃ এই হাদিসটি প্রমাণিত [সাবিত] নয়। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুছেদ-৩১ঃ সওম পালনকারী নিদ্রার সময় সুরমা লাগানো
২৩৭৭. আব্দুর রহমান ইবনিন নুমান ইবনি মাবাদ ইবনি হাওযা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতা ও তার দাদা হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] লোকেদেরকে ঘুমের সময় সুগন্ধিযুক্ত ইসমিদ সুরমা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়া বলিয়াছেনঃ সওম পালনকারী তা বর্জন করিবে।
ঈমাম আবু দাউদ বলেন, ইয়াহ্ইয়া ইবনি মাঈন আমাকে বলিয়াছেন, সুরমা ব্যবহার এর হাদিসটি মুনকার। {২৩৭৭}
২৩৭৭ আহমাদ। সানাদে নুমান অজ্ঞাত [মাজহুল]। যেমন আত-তাক্বরিব ও আল-মীযান গ্রন্থে রয়েছে। ইয়াহইয়া ইবনি মাঈন বলেনঃ হাদিসটি মুনকার। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৩৭৮. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি সওম অবস্থায় সুরমা লাগাতেন।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান মাওকুফ
২৩৭৯. আল-আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আমাদের কোন সাথীকে সওম পালনকারীর জন্য সুরমা ব্যবহার করাকে অপছন্দনীয় বলিতে দেখিনি। ইবরাহিম নাখঈ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সওম পালনকারীর জন্য সিবর সুরমা ব্যবহার এর অনুমতি দিয়েছেন।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ–৩২ঃ সওম পালনকারী ইচ্ছকৃত বমি করলে
২৩৮০. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ কোন সওম পালনকারীর অনিচ্ছাকৃত বমি হলে তাহাকে তা ক্বাযা করিতে হইবে না। তবে কেউ সেচ্ছায় বমি করলে তাহাকে অবশ্যই সওম ক্বাযা করিতে হইবে। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, হাফস ইবনি গিয়াস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৩৮১. মাদান ইবনি ত্বালহাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আবু দারদা [রাদি.] তাহাকে বর্ণনা করেন যে, একদা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বমি করার পর সওম করেন। অতঃপর আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর মুক্তদাস সাওবানের সঙ্গে দামিশকের জামে মাসজিদ এ সাক্ষাত করে বলি, আবু দারদা [রাদি.] আমাকে বলিয়াছেন যে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বমি করার কারনে ইফতার করেছেন। তিনি বলেন, তিনি সত্য বলিয়াছেন। ঐ সময় আমি তাঁকে অযুর পানি ঢেলে দিয়েছি।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৩৩ঃ সওম অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করা
২৩৮২. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সওম অবস্থায় [তাহাকে] চুমু দিতেন এবং একত্রে অবস্থান করিতেন। তিনি প্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রনে অধিক সক্ষম ছিলেন।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৩৮৩. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] রামযান মাসে [স্ত্রীদেরকে] চুমু দিতেন।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৩৮৪. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সওমরত অবস্থা আমাকে চুমা দিতেন। তখন আমিও সওমরত ছিলাম।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৩৮৫. জাবির ইবনি আব্দুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, উমার ইবনিল খত্তাব [রাদি.] বলেন, একদা আমি কামোদ্দিপ্ত হয়ে সওম অবস্থায় স্ত্রীকে চুমা দিলাম। এরপর আমি বলিলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আজ এক গুরুতর কাজ করে ফেলেছি, আমি সওম অবস্থায় স্ত্রীকে চুমু দিয়েছি। তিনি বলিলেন, তুমি পানি দিয়া কুলি করলে কি হতো? ঈসা ইবনি হাম্মাদের বর্ণনায় রয়েছেঃ আমি [উমার] বলিলাম, তাতে কোন ক্ষতি হতো না। আমি বলিঃ তাতে অসুবিধা নেই।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৩৪ঃ সওম পালনকারী নিজের থুথু গিললে
২৩৮৬. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] সওম পালন অবস্থায় তাহাকে চুমু দিতেন এবং তাহাঁর জিহ্বাও চুষতেন। ইবনিল আরাবী বলেন, আমি ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে জানতে পেরেছি, তিনি বলিয়াছেন, এ হাদিসের সনদ যথাথ নয়। {২৩৮৬}
দুর্বলঃ মিশকাত [২০০৫]। ২৩৮৬ আহমাদ, ইবনি খুযাইমাহ। সানাদে মুহাম্মাদ ইবনি দীনারের এর স্মরণশক্তি মন্দ। তার ব্যাপারে কাদরিয়া হওয়ার আরোপ রয়েছে। মৃত্যুর পূর্বে তার স্মরণশক্তি পরিবর্তন হয়ে গিয়াছিল। এছাড়া সাদ বিন আওস। তার সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ সত্যবাদী, তবে তার ভুল প্রচুর। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ–৩৫ঃ [রোযাদার] যুবকের জন্য [চুম্বন] মাকরূহ
২৩৮৭. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক ব্যক্তি নাবী [সাঃআঃ] নিকট সওম অবস্থায় স্ত্রীর সাথে অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তাহাকে অনুমতি প্রদান করেন। অতঃপর অন্য এক ব্যক্তি এসে অনুরূপ জিজ্ঞেস করলে তিনি তাহাকে নিষেধ করে দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি যাকে অনুমতি দিয়েছেন সে ছিল বৃ্দ্ধ এবং যাকে নিষেধ করেছেন সে ছিল যুবক।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ–৩৬ঃ যে ব্যাক্তি রমাযান মাসে নাপাক অবস্থায় ভোর করে
২৩৮৮. নাবী [সাঃআঃ] -এর স্ত্রী আয়িশাহ ও উম্মু সালামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তারা উভয়ে বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রমাযান মাসে নাপাক অবস্থায় ভোরে উপনীত হইতেন। বর্ণনাকারী আব্দুল্লাহ আল-আযরামী তার হাদিসে বলেন, তিনি রমযানের রাতে স্বপ্ন দোষের কারনে নয় বরং সহবাসজনিত নাপাক অবস্থায় সওম পালন করিতেন।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৩৮৯. নাবী [সাঃআঃ] স্ত্রী আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একদা এক ব্যক্তি দরজায় দাঁড়ানো অবস্থায় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে জিজ্ঞেস করলো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি নাপাক অবস্থায় ভোর করেছি এবং আমি সওম পালনের ইচ্ছা রাখি। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ আমিও [কখনো] নাপাক অবস্থায় ভোর করি এবং সওম পালনের ইচ্ছা রাখি। তাই আমি গোসল করে সওম পালন করি। লোকটি বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাদের মত নন। আল্লাহ আপনার আগের ও পরের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দিয়েছেন। এ কথা শুনে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অসন্তুষ্ট হয়ে বলিলেনঃ আল্লাহর শপথ! আমি আশা করি যে, নিশ্চয় আমি আল্লাহকে তোমাদের সকলের চেয়ে অধিক ভয় করবো এবং যা আমি অনুসরণ করবো তার মাধ্যমে তোমাদের চেয়ে অধিক প্রিয় হবো।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৩৭ঃ কেউ রমযানের সওম পালন অবস্থায় স্ত্রীসহবাস করলে তার কাফফারাহ
২৩৯০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী [সাঃআঃ] এর নিকট এসে বললো, আমি ধ্বংস হয়েছি। তিনি বলিলেনঃ তোমার কি হয়েছে? সে বললো, আমি সওম পালন অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সহবাস করেছি। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার কাছে আযাদ করার মত কোন গোলাম আছে কি? সে বললো, না। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি একাটানা দুই মাস সওম পালন করিতে পারবে? সে বললো, না। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার ষাটজন মিসকীনকে খাওয়ানোর সামর্থ্য আছে কি? সে বললো, না। তখন তিনি তাহাকে বলিলেনঃ তুমি বসো। এমন সময় একটি ঝুড়িভর্তি খেজুর নাবী [সাঃআঃ] নিকট নিয়ে এলে তিনি তাহাকে বলিলেনঃ এগুলো সদাক্বাহ করে দাও। লোকটি বললো, হে আল্লহর রাসূল! মাদীনাহর দুই পার্শ্বে আমাদের চাইতে অভাবী পরিবার আর নেই। বর্ণনাকারী বলেন, এতে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এমনভাবে হাসলেন যে, তাহাঁর সামনের দাঁতগুলো প্রকাশ হয়ে পড়ে। তিনি বলিলেনঃ তাহলে এগুলো তোমার পরিবারের লোকদের খাওয়াও। মুসাদ্দাসের বর্ণনায় রয়েছে তাহাঁর দাঁতগুলো প্রকাশ পেলো।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৩৯১. আয-যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
এই সানাদে পূর্বোক্ত হাদিসের অনরূপ বর্ণিত। তবে আয-যুহরী আরো বর্ণনা করেন যে, নিজের কাফফারাহ নিজেই ভোগ করা বা তার উপর কাফফারাহ ধার্য না করা কেবল ঐ ব্যক্তির জন্যই প্রযোজ্য ছিল। তাই বর্তমানে কোন ব্যক্তি অনরূপ করলে তাহাকে অবশ্যই কাফফারাহ দিতে হইবে। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, লাইস ইবনি সাদ, আল-আওযাঈ, মানসূর ইবনিল মুতামির ও ইরাক ইবনি মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ইবনি উয়াইনাহ্ বর্ণিত হাদিসের অর্থানুরূপ বর্ণনা করেছেন। তবে আল-আওযাঈর বর্ণনায় রয়েছেঃ “এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে”।
সহিহ। আর যুহরীর উক্তি মূলের বিপরীত। রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৩৯২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক ব্যক্তি রমাযানের সওম ভঙ্গ করলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাকে একটি গোলাম আযাদ করার অথবা একটানা দুই মাস সওম পালন অথবা ষাটজন মিসকীনকে আহার করানোর নির্দেশ দেন। ফলে লোকটি বলে, আমি এর কোনটিই করিতে সক্ষম নই। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাকে বলিলেনঃ তুমি বসো। এমন সময় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট একটি ঝুড়িভর্তি খেজুর এলে তিনি তাহাকে বলেনঃ এগুলো নিয়ে গিয়ে সদাক্বাহ করে দাও। লোকটি বলিল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার চেয়ে অধিক গরীব লোক নেই। একথা শুনে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এমনভাবে হাসলেন যে, তার মাড়ির দাঁত প্রকাশ হয়ে পড়ে। তিনি লোকটিকে বলিলেনঃ তাহলে এগুলো তুমি খাও। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, ইবনি জুরাইজ হইতে আয-যুহরীর মাধ্যমে মালিকের শব্দে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যক্তি সওম ভঙ্গ করে। তিনি তাতে বলিয়াছেনঃ অথবা একটি গোলাম আযাদ করো অথবা দুই মাস সওম রাখো কিংবা ষাটজন মিসকীনকে আহার করাও।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৩৯৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রমাযান মাসের সওম ভঙ্গ করে নাবী [সাঃআঃ] এর কাছে এলো। অতঃপর পূর্বের হাদিসের অনুরূপ। বর্ণনাকারী বলেন, পরে একটি ঝুড়িভর্তি খেজুর আসলো, যাতে পনের সা খেজুর ছিলো। তিনি আরো বলিয়াছেনঃ তুমি এবং তোমার পরিবার এগুলো খাও এবং একদিন সওম পালন করো আর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাও।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৩৯৪. নাবী [সাঃআঃ] এর স্ত্রী আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক ব্যক্তি রমাযান মাসে নাবী [সাঃআঃ] নিকট মাসজিদে এ আগমন করলো। সে বলিলও, হে আল্লাহর রাসূল! আমি জাহান্নামের যোগ্য হয়েছি। নাবী [সাঃআঃ] তাহাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তার কি ব্যাপার? লোকটি বললো, আমি স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করেছি। তিনি বলিলেনঃ সাদাক্বাহ করো। সে বললো, আল্লাহর শপথ! আমার কাছে কিছুই নেই, আর আমি সাদাক্বাহ করিতে সক্ষম নই। তিনি বলিলেনঃ বসো। লোকটি বসলো। অতঃপর তার বসা অবস্থায়ই এক লোক গাধার পিঠে করে খাদ্যের বোঝা নিয়ে উপস্থিত হলো। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] জিজ্ঞেস করলেনঃ জাহান্নামের যোগ্য ব্যক্তিটি কোথায়? লোকটি দাঁড়ালে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ এগুলো সাদাক্বাহ করে দাও। সে বলিল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের চেয়ে গরীব লোকদেরকে? আল্লাহর শপথ! আমরা সবচেয়ে গরীব। আমাদের কিছুই নেই। তিনি বলিলেনঃ তবে এগুলো তোমারাই খাও।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৩৯৫. আয়িশাহ [রাদি.] সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
এই সানাদে ঘটনাটি বর্ণিত। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর বিশ সা [খেজুর] ভর্তি একটি ঝুড়ি এলো। {২৩৯৫}
{২৩৯৫} ইবনি খুযাইমাহ, বায়হাক্বী। সানাদে ইবনি হারিস যয়ীফ হওয়ার পাশাপাশি দুইজন সিক্বাহ রাবীর বিরধীতাও করেছেন। হাদিসের তাহকিকঃ মুনকার
অনুচ্ছেদ–৩৮ঃ ইচ্ছাকৃতভাবে সওম ভঙ্গের পরিণতি
২৩৯৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি রমযানে আল্লাহের দেয়া অনুমতি ছাড়া সওম ভঙ্গ করলো সে সারা বছরেও তা পূরণ করিতে সক্ষম নয়। {২৩৯৬}
দুর্বলঃ যয়ীফ আল-জামিউস সাগীর [৫৪৬২], মিশকাত [২০১৩], যয়ীফ সুনান আত-তিরমিজি [১১৫/৭২৬], যয়ীফ সুনান ইবনি মাজাহ [৩৬৮]। ২৩৯৬ তিরমিজি, ইবনি মাজাহ, আহমাদ, দারিমী। ঈমাম তিরমিজি বলেনঃ আমি কেবল এ সূত্রই হাদিসটি আবহিত হয়েছি। হাফিয ইবনি হাজার ফাথহুল বারী গ্রন্থে এটিকে যয়ীফ বলিয়াছেন। তিনি বলেনঃ এর তিনটি দোষ রয়েছে। ইযতিরাব, আবু ত্বাউসের অবস্থা অজ্ঞাত হওয়া, এবং আবু হুরাইরাহ থেকে তার পিতার হাদিস শ্রবণের বিষয়ে সন্দেহ। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৩৯৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেন, অতঃপর ইবনি কাসীর ও সুলাইমান বর্ণিত হাদিসের অনুরূপ। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, সুফিয়ান ও শুবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ইবনিল মুতাব্বিস ও আবুল মুতাব্বিসের নাম নিয়ে মতভেদ করেছেন। {২৯৩৭}
২৩৯৭ তিরমিজি, ইবনি মাজাহ। ঈমাম তিরমিজি বলেনঃ আমরা কেবল এ সূত্রেই হাদিসটি অবহিত হয়েছি। দারিমী, আহমদ। এর সনদ পূর্বেরটি অনুরূপ। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ–৩৯ঃ যে ব্যাক্তি ভুলবশত আহার করে
২৩৯৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা নাবী [সাঃআঃ] এর কাছে একটি লোক এসে বললো, হে আল্লাহর রাসূল [সাঃআঃ]! আমি সওম অবস্থায় ভুলবশত পানাহার করেছি। তিনি বলেনঃ আল্লাহই তোমাকে পানাহার করিয়েছেন।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৪০ঃ রমযানের ক্বাযা সওম আদায়ে বিলম্ব করা
২৩৯৯. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ.
যদি আমার উপর রমযানের ক্বাযা সওম থাকতো, তাহলে শাবান মাস আসার আগে আমি তা আদায় করিতে সক্ষম হতাম না।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৪১ঃ কোন ব্যক্তি ক্বাযা সওম রেখে মারা গেলে
২৪০০. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি নিজের উপর ক্বাযা সওম রেখে মারা যায় তার পক্ষ হইতে তার উওরাধিকারীরা তা আদায় করিবে। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, এই বিধান মানতের সওমের জন্য প্রযোজ্য। ঈমাম আহমাদ ইবনি হাম্বল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর অভিমত এটাই।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৪০১. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যদি কোন ব্যক্তি রমাযান মাসে অসুস্থ হয়ে রমাযান মাস শেষ হওয়া পর্যন্ত সুস্থ না হয় এবং এ অবস্থায়ই মারা যায় তাহলে তার পক্ষ হইতে মিসকীনকে আহার করাতে হইবে। আর তার উপর মানতের সওম থকলে তার পক্ষ হইতে অভিভাবক তার ক্বাযা আদায় করিবে।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৪২ঃ সফর অবস্থায় সওম পালন
২৪০২. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একদা হামযাহ আল-আসলামী [রাদি.] নাবী [সাঃআঃ] -কে জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এমন ব্যক্তি যে, অনবরত সওম পালন করি, আমি কি সফরের অবস্থায়ও সওম রাখবো? তিনি বলিলেনঃ ইচ্ছা হলে সওম রাখো আর ইচ্ছা হলে রেখো না।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৪০৩. হামযাহ ইবনি মুহাম্মাদ ইবনি হামযাহ আল-আসলামী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতা ও তার দাদা হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি বলি, হে আল্লাহর রাসূল! আমি উটের মালিক, আমি এগুলোকে কাজে লাগাই। আমি এগুলোর উপর চড়ে সফর করি এবং ভাড়ায়ও খাটাই। আমার [সফর থাকা অবস্থায়] এই রমাযান মাস এসে যায়। আমি তো একজন স্বাস্থ্যবান যুবক। হে আল্লাহর রাসূল! আমি কি [সফরে] সওম পালন করবো? সওম তো আমার উপর ঋণ, কাজেই তা পরে রাখার [ক্বাযা করার] চেয়ে এখন রেখে দেয়াই আমার পক্ষে সহজ। হে আল্লাহর রাসূল! অধিক নেকীর আশায় আমি কি সওম রাখবো নাকি ভঙ্গ করবো? রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ হে হামযাহ! তোমার যা ইচ্ছা করিতে পারো। {২৪০৩}
দুর্বলঃ ইরওয়া [৯২৬]। ২৪০৩ হাকিম, বায়হাক্বী। সানাদে মুহাম্মাদ বিন হামযাহ রয়েছে। ইবনি হাযম তাহাকে যয়ীফ বলিয়াছেন। ইবনি কাওান বলেনঃ তিনি মাজহুল। হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেনঃ মাজহুলুল হাল। এছাড়া সনদের মুহাম্মাদ ইবনি আবদুল মজিদ সম্পর্কে ইবনি কাওান বলেনঃ তাহাকে চেনা যায়নি। হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেনঃ মাক্ববুল। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৪০৪. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] মাদীনাহ্ থেকে মক্কাহর উদ্দেশে বের হলেন। তিনি উসফান নামক জায়গায় পৌঁছে একপাত্র পানি চাইলেন এবং লোকদেরকে দেখানোর উদ্দেশে তা উঁচু করে মুখের কাছে ধরলেন। এটি রমাযান মাসের ঘটনা। এজন্যই ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলিতেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সফরে কখনো সওম রেখেছেন, আবার কখনো সওম রাখেননি। কাজেই কারো ইচ্ছা হলে সওম রাখতেও পারে, আবার নাও রাখতে পারে।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৪০৫. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমরা রমাযান মাসে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাথে সফর করেছি। এ সময় আমাদের কেউ সওম রেখেছেন এবং কেউ সওম রাখেননি। কিন্তু এ সময় সওম পালনকারী রোযাহীনকে এবং রোযাহীন সওম পালনকারীকে দোষারোপ করেননি।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৪০৬. ক্বাযাআহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা আমি আবু সাইদ আল-খুদরী [রাদি.] এর নিকট আসি। তখন তিনি লোকদের প্রশ্নের উওর দিচ্ছিলেন এবং লোকেরা শান্তভাবে তাহাঁর কথা শুনছিলো। আমি তাহাঁর সাথে একান্তে সাক্ষাতের অপেক্ষায় রইলাম। তিনি একাকী হলে আমি তাহাকে সফরের অবস্থায় রমাযানের সওম রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। তিনি বলিলেন, আমরা মক্কাহ বিজয়ের সময় রমাযান মাসে নাবী [সাঃআঃ] এর সাথে রওয়ানা হই। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সওম রেখেছিলেন এবং আমরাও সওম রেখেছিলাম। তিনি কোন এক মানযিলে নামলে তিনি পুনরায় বলিলেনঃ নিশ্চয় তোমরা শত্রুর কাছাকাছি এসে গেছো। এখন সওম ভঙ্গ করাটাই হইবে তোমাদের শক্তিবর্ধক হইবে। আমাদের কেউ কেউ সওম রাখলাম এবং কেউ কেউ সওমহীন অবস্থায় ভোর করলাম। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর আমরা পুনরায় সফর শুরু করলাম এবং এক মানযিলে নামলে তিনি পুনরায় বলিলেনঃ তোমরা শত্রুর মোকাবেলায় অবতীর্ণ হইবে। এখন সওম ভঙ্গ করাটাই হইবে তোমাদের শক্তিবর্ধক হইবে। কাজেই তোমরা সওম ভঙ্গ কর। আর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] দৃঢ় সংকল্পের উপর স্থির রইলেন। আবু সাঈদ [রাদি.] বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ] এর সাথে সফরে এই ঘটনার পূর্বেও সওম পালন করেছি এবং এর পরেও সওম পালন করেছি।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৪৩ঃ কষ্টের আশঙ্কা হলে সফরে সওম না রাখা ভাল
২৪০৭.জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একদা নাবী [সাঃআঃ] দেখলেন যে, এক ব্যক্তি কে ছায়া দেওয়া হচ্ছে এবং তার চারপাশে লোকেরা ভীড় করেছে। তখন তিনি বলিলেনঃ সফরে সওম পালন সওয়াবের কাজ নয়।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৪০৮. বনী আবদুল্লাহ ইবনি কাবের কুশাইর উপগোত্রীয় সদস্য আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমাদের উপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর অশ্বারোহী বাহিনী অতর্কিত হামলা করলে আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর নিকট পৌঁছি বা আসি। এ সময় তিনি আহার করছিলেন। তিনি বলিলেনঃ বসো এবং আমাদের সাথে খাও। আমি বলিলাম, আমি সওম অবস্থায় আছি। তিনি বলিলেনঃ বসো আমি তোমাকে সলাত ও সওম সম্পর্কে কিছু বলবো। নিশ্চয় আল্লাহ মুসাফির, দুগ্ধদানকারিনী ও গর্ভবতী থেকে অর্ধেক সলাত ও সওম কমিয়ে দিয়েছেন। [বর্ণনাকারী বলেন], আল্লাহর শপথ! তিনি [সাঃআঃ] একই সাথে এ শব্দ [দুগ্ধদানকারিনী ও গর্ভবতী] অথবা এর একটি শব্দ বলিয়াছেন। বর্ণনাকারী বলেন, পরে আমি এজন্য অনুতপ্ত হলাম যে, আমি কেন রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] সাথে আহারে অংশগ্রহন করলাম না।
হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ
অনুচ্ছেদ–৪৪ঃ যে ব্যক্তি [সফর অবস্থায়] সওম পালনকে প্রাধান্য দেন
২৪০৯. আবু দারদা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, প্রচন্ড গরমের দিনে আমরা রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] সাথে কোন এক যুদ্ধাভিযানে বের হই। তখন [গরমের কারণে] আমাদের কেউ হাত মাথার উপর রাখেন। শেষ পর্যন্ত রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ও আবদুল্লাহ ইবনি রাওয়াহ [রাদি.] ছাড়া আমাদের কেউ সওম রাখেনি।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৪১০. সিনান ইবনি সালামাহ ইবনিল মুহাব্বাক আল-হুযালী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতা হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূল [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তির কাছে এমন বাহন আছে যা তাহাকে পর্যাপ্ত আহারের স্থানে পৌঁছে দিবে, তার উচিত রমযানে সওম পালন করা যেখানেই সে [রমাযান মাস] পাবে। {২৪১০}
দুর্বলঃ যয়ীফ আল-জামিউস সাগীর [৫৮১০], মিশকাত [২০২৬]। ২৪১০ আহমদ। সনদের আবদুস সামাদ সম্পর্কে উক্বাইলী বলেনঃ তাহাকে এ হাদিস ছাড়া চেনা যায় না। ঈমাম বুখারী তাহাকে যুআফা গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেনঃ হাদিস বর্ণনায় শিথিল [লাইইয়্যিন]। ঈমাম আহমদ তাহাকে যয়ীফ বলিয়াছেন। এছাড়া সানাদে হাবীব বিন আবদুল্লাহ রয়েছে। তার সম্পর্কে হাফিয ইবনি হাজার আত-তাক্বরীব গ্রন্থে এবং ঈমাম যাহাবী আল-মীজান গ্রন্থে বলেনঃ মাজহুল [অজ্ঞাত]। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৪১১. সালামাহ ইবনিল মুহাব্বাক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি সফর অবস্থায় রমাযান মাস পাবে… অতঃপর পূর্বোক্ত হাদিসের অর্থানুযায়ী বর্ণিত। {২৪১১}
২৪১১ আহমদ। এর সানাদে আবদুস সামাদ রয়েছে। পূর্বেরটিতে তার সম্পর্কে আলোচনা গত হয়েছে। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
অনুচ্ছেদ–৪৫ঃ সফরে রওয়ানা হয়ে মুসাফির কখন সওম ভঙ্গ করিবে?
২৪১২. জাফার ইবনি খাইর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আমি রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] সাহাবী আবু বাসরাহ আল-গিফারীর [রাদি.] সাথে রমাযান মাসে মিসরের আল-ফুসতাত থেকে আমর ইবনিল আসের [রাদি.] জাহাজে সওয়ার ছিলাম। নৌযানের নোঙ্গর উঠানোর পরে তার সম্মুখে সকালের নাস্তা আনা হলো। জাফার তার বর্ণনায় বলেন, তিনি স্বীয় ঘর-বাড়ি থেকে দূরে যাওয়ার আগেই খাবারের দস্তরখান চাইলেন এবং আমাকে [খাদ্য গ্রহণের জন্য] কাছে ডাকলেন। আমি বলিলাম, আপনি কি ঘর-বাড়ি দেখছেন না? আবু বাসরাহ [রাদি.] বলিলেন, তুমি কি রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] সুন্নাত ছাড়তে চাও? জাফার বলেন, এরপর তিনি খেলেন।
রোজা ভঙ্গের কারন সমূহ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ–৪৬ঃ কতদূর সফর করলে মুসাফির সওম ভঙ্গ করিতে পারে?
২৪১৩. মানসুল আল-কালবী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
একদা রমাযান মাসে দিহ্য়া ইবনি খালীফাহ [রাদি.] দামিশকের এক অঞ্চল হইতে আক্বাবাহ ও ফুসতাতের মধ্যবর্তী দূরত্বের সম-পরিমাণ অর্থাৎ তিন মাইল দূরত্ব পর্যন্ত সফর করেন। তখন তিনি সওম ভঙ্গ করিলেন এবং তাহাঁর সাথের কিছু লোকও সওম ভঙ্গ করিলেন। এ সময় কিছু লোক সওম ভঙ্গ করা অপছন্দ করলো। পরে তিনি নিজ গ্রামে ফিরে এসে বলিলেন, আল্লাহর শপথ! আজ আমি এমন বিষয় দেখেছি, যা কখনো দেখার ধারণাও করিনি। কিছু লোক রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এবং তাহাঁর সাহাবীদের সুন্নাত থেকে বিমুখ হয়েছে। তিনি ঐ লোকদের নিন্দা করিলেন যারা [সফরে] সওম রেখেছিলো। তিনি বলিলেন, হে আল্লাহ্! আমাকে তোমার হিফাযাতে নাও। {২৪১৩}
২৪১৩ আহমাদ। সানাদে মানসূর ইবনি সাঈদ রয়েছে। ইবনিল মাদীনী বলেনঃ মাজহুল [অজ্ঞাত], তাহাকে আমি চিনি না। ইবনি খুজাইমাহ বলেনঃ আমি তাহাকে চিনি না। হাফিয ইবনি হাজার বলেনঃ মাসতূর [লুপ্ত]। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
২৪১৪. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি আল-গাবা বনভূমিতে যেতেন। তখন তিনি সওম ভঙ্গ করিতেন না এবং সলাত ক্বসর করিতেন না।
হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মাওকুফ
Leave a Reply