রোজা ভংগের কারণ , কাফ্ফারা, মিসওয়াক ও আলিঙ্গন

রোজা ভংগের কারণ , কাফ্ফারা, মিসওয়াক ও আলিঙ্গন

রোজা ভংগের কারণ , কাফ্ফারা, মিসওয়াক ও আলিঙ্গন >> সুনান তিরমিজি শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায়ঃ ৬, অনুচ্ছেদঃ (২৩-৩৬)=১৪টি

২৩. অনুচ্ছেদঃ রোযার কাফ্ফারা
২৪. অনুচ্ছেদঃ রোযাদার ব্যক্তি বমি করলে
২৫. অনুচ্ছেদঃ যে লোক [রোযা থাকাবস্থায়] ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে
২৬. অনুচ্ছেদঃ রোযাদার ব্যক্তি ভুলবশতঃ কিছু পানাহার করলে
২৭. অনুচ্ছেদঃ নিজের ইচ্ছায় রোযা ভেঙে ফেললে
২৮. অনুচ্ছেদঃ রমযানের রোযা ভঙ্গের কাফ্‌ফারা
২৯. অনুচ্ছেদঃ রোযাদারের মিসওয়াক করা
৩০. অনুচ্ছেদঃ রোযা থাকা অবস্থায় সুরমা ব্যবহার করা
৩১. অনুচ্ছেদঃ রোযা থাকাবস্থায় [স্ত্রীকে] চুমু দেয়া
৩২. অনুচ্ছেদঃ রোযা থাকাবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর আলিঙ্গন
৩৩. অনুচ্ছেদঃ রাত থাকাবস্থায় সংকল্প [নিয়্যাত] না করলে রোযা হয় না
৩৪. অনুচ্ছেদঃ নফল রোযা ভেঙ্গে ফেলা প্রসঙ্গে
৩৫. অনুচ্ছেদঃ রাত্রি চলে যাওয়ার পর নফল রোযা রাখা
৩৬. অনুচ্ছেদঃ [নফল] রোযা ভেঙ্গে ফেললে তার কাযা করা অপরিহার্য

২৩. অনুচ্ছেদঃ রোযার কাফ্ফারা

৭১৮. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি এক মাসের রোযা অসম্পন্ন রেখে মৃত্যু বরণ করে তার পক্ষ হইতে প্রতিদিনের রোযার জন্য একজন করে মিস্কীনকে যেন খাওয়ানো হয়।

যঈফ, ইবনি মাজাহ হাদীস নং-[১৭৫৭]। আবু ঈসা বলেন, শুধুমাত্র এই সনদেই আমরা ইবনি উমার [রাদি.] বর্ণিত হাদীসটি মারফূ হিসেবে অবগত হয়েছি। ইবনি উমার [রাদি.]-এর উক্তি হিসাবে মাওকূফরূপে বর্ণনাটিই সহিহ। মৃতের পক্ষ হইতে জীবিতরা রোযা রাখতে পারবে কি না এই প্রসঙ্গে আলিমগণের মাঝে মতের অমিল আছে। একদল আলিম বলেছেন, মৃত ব্যক্তির পক্ষে রোযা রাখা যায়। আহ্মাদ ও ইসহাকের এই মত। তারা বলেন, মৃত ব্যক্তির ওপর যদি মানতের রোযা অসম্পন্ন থাকে তবে তার পক্ষ হইতে সেই রোযা রাখা যাবে। আর যদি তার দায়িত্বে রামাযান মাসের রোযা বাকি থাকে তবে তার পক্ষ থেকে মিসকীনদের খাওয়াতে হইবে। ঈমাম মালিক, সুফিয়ান ও শাফিঈ বলেন, একজন অন্য জনের পক্ষ হইতে রোযা রাখতে পারবে না। আশআস হলেন সাওয়ারের পুত্র এবং মুহাম্মদ হলেন আবদুল রহমান ইবনি আবী লাইলার পুত্র। রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

২৪. অনুচ্ছেদঃ রোযাদার ব্যক্তি বমি করলে

৭১৯. আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌ [সাঃআঃ] বলেছেন, তিনটি জিনিস রোযা ভঙ্গ করে নাঃ রক্তমোক্ষণ, বমি ও স্বপ্নদোষ।

যঈফ, তাখরীজ হাকীকাতুস্ সিয়াম [২১-২২], যঈফ আবু দাঊদ [৪০৯]। আবু ঈসা বলেন, আবু সাঈদ খুদরীর হাদীসটি নির্ভরযোগ্য নয়। আবদুল্লাহ ইবনি যাইদ ইবনি আসলাম, আবদুল আযীয ইবনি মুহাম্মদ প্রমুখ এই হাদীসটিকে যাইদ ইবনি আসলাম হইতে মুরসালরূপে বর্ণনা করিয়াছেন। এতে তারা আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.]-এর নাম উল্লেখ করেননি। আবদুর রহমান ইবনি যাইদ ইবনি আসলাম হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল। আমি আবু দাউদ সিজযীকে বলিতে শুনিয়াছি, আমি আহমাদ ইবনি হাম্বলকে আবদুর রহমান ইবনি যাইদ ইবনি আসলাম প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তার ভাই আবদুল্লাহ ইবনি যাইদ সম্পর্কে কোন সমস্যা নেই। মুহাম্মাদ [বুখারী]-কে আলী ইবনি আবদুল্লাহ্ হইতে বর্ণনা করিতে শুনিয়াছি যে, তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ্ হইতে বর্ণনা করিতে শুনিয়াছি যে, তিনি বলেছেন, আবদুল্লাহ্ ইবনি আসলাম নির্ভরযোগ্য রাবী, কিন্তু আবদুর রহমান ইবনি যাইদ ইবনি আসলাম দুর্বল রাবী। মুহাম্মদ আরও বলেন, আমি তার হইতে কিছু্ই বর্ণনা করি না। রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

২৫. অনুচ্ছেদঃ যে লোক [রোযা থাকাবস্থায়] ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করে

৭২০. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন লোকের রোযা থাকাবস্থায় বমি হলে সে লোককে ঐ রোযার কাযা আদায় করিতে হইবে না। কিন্তু কোন লোক ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে তাকে কাযা রোযা আদায় করিতে হইবে।

-সহীহ্‌, ইবনি মা-জাহ [১৬৭৬]। আবু দারদা, সাওবান ও ফাযালা ইবনি উবাইদ [রাদি.] হইতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিত হাদীসটিকে হাসান গারীব বলেছেন। এই হাদীসটি ঈসা ইবনি ইউনুসের সূত্র ছাড়া হিশাম ইবনি সীরীন-এর সূত্রে আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিত আছে বলে আমাদের জানা নেই। মুহাম্মাদ বুখারী বলেন, আমি ঈসা ইবনি ইউনুসকে একজন নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারী বলে মনে করি না। আবু ঈসা বলেন, আবু হুরাইরা [রাদি.]-এর হাদীসটি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে একাধিক সূত্রে বর্ণিত আছে। কিন্তু এর সনদগুলো সহীহ্‌ নয়। আবু দারদা, সাওবান ও ফাযালা ইবনি উবাইদ [রাদি.] হইতে বর্ণিত আছে যে, “রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বমি করিলেন এবং রোযা পালন করা ছেড়ে দিলেন।” এ হাদীসের মর্ম হল এই যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] নফল রোযা পালন করছিলেন। বমি হওয়াতে তিনি দুর্বল হয়ে পড়ায় রোযা ভেঙ্গে ফেলেন। এ বিষয়টি কোন কোন হাদীসে বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে। আলিমগণ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে আবু হুরাইরা [রাদি.] কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের ভিত্তিতে বলেন, রোযাদার ব্যক্তির অনিচ্ছাকৃত বমি হলে তার কোন কাযা আদায় করিতে হইবে না। কিন্তু কোন লোক ইচ্ছাকৃতভাবে বমি করলে সে কাযা রোযা আদায় করিবে। ঈমাম শাফি, সুফিয়ান সাওরী, আহ্‌মাদ ও ইসহাকের এই অভিমত। রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস -রোজা ভংগের কারণ

২৬. অনুচ্ছেদঃ রোযাদার ব্যক্তি ভুলবশতঃ কিছু পানাহার করলে

৭২১. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ভুলবশতঃ যে লোক [রোযা থাকা অবস্থায়] কিছু খায় বা পান করে সে যেন রোযা ভেঙ্গে না ফেলে। কেননা, এটা এমন এক রিযিক যা আল্লাহ্‌ তাআলা তাকে ভোজন করিয়েছেন।

-সহীহ্‌, ইবনি মা-জাহ [১৬৭৩], নাসা-ঈ। রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস -রোজা ভংগের কারণ

৭২২. আবু সাঈদ আল-আশাজ্জ আবু উসামা হইতে বর্ণীতঃ

আবু সাঈদ আল-আশাজ্জ আবু উসামা হইতে, তিনি আউফ হইতে, তিনি ইবনি সীরীন হইতে, তিনি খাল্লাস হইতে, তিনি হুরাইরা [রাদি.] হইতে, তিনি নাবী রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে উপরোক্ত হাদীসের ন্যায় বর্ণনা করিয়াছেন।

-সহীহ্‌, দেখুন পূর্বের হাদীস। আবু সাঈদ ও উম্মু ইসহাক আল-গানাবিয়্যা [রাদি.] হইতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী বেশিরভাগ আলিম আমল করিতে বলেছেন। সুফিয়ান সাওরী, শাফিঈ, আহ্‌মাদ ও ইসহাক বলেন, ভুলবশতঃ পানাহার করলে রোযা নষ্ট হয় না। ঈমাম মালিক বলেন, কোন লোক রমযান মাসে ভুলবশতঃ পানাহার করলে সে লোককে এর কাযা আদায় করিতে হইবে। কিন্তু প্রথমোক্ত অভিমতই বেশি সঠিক। রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস -রোজা ভংগের কারণ

২৭. অনুচ্ছেদঃ নিজের ইচ্ছায় রোযা ভেঙে ফেললে

৭২৩. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন অজুহাত ছাড়া বা রোগ ছাড়া রামাযান মাসের একটি রোযা ভেঙে ফেলে, তার পুরো জিন্দেগীর রোযা দিয়েও এর ক্ষতিপূরণ হইবে না। যদিও সে জীবনভর রোযা রাখে।

যঈফ, ইবনি মাজাহ হাদীস নং-[১৬৭২]। আবু ঈসা বলেন, আবু হুরাইরার হাদীসটি আমরা শুধুমাত্র উপোরোক্ত সূত্রেই অবগত হয়েছি। আমি মুহাম্মাদ বুখারীকে বলিতে শুনিয়াছি, আবুল মুতাওবিস-এর নাম ইয়াযীদ এবং পিতার নাম মুতাওবিস। এই হাদীস ব্যতীত তার সূত্রে বর্ণিত অন্য কোন হাদীস আছে কি না তা আমাদের জানা নেই। রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

২৮. অনুচ্ছেদঃ রমযানের রোযা ভঙ্গের কাফ্‌ফারা

৭২৪. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এক লোক রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে বলিল, হে আল্লাহর রাসূল! আমিতো ধংস হয়ে গেছি। তিনি বললেনঃ কিসে তোমাকে ধ্বংস করিল? সে বলিল, আমি রোযা থাকাবস্থায় স্ত্রীসংগম করেছি। তিনি বলিলেন, তুমি কি একটি গোলাম মুক্ত করিতে পারবে? সে বলিল, না। তিনি বললেনঃ তুমি কি একসাথে দুমাস রোযা রাখতে পারবে? সে বলিল, না। তিনি বললেনঃ তুমি কি ষাটজন মিসকীনকে খাওয়াতে পারবে? সে বলিল, না। তিনি তাকে বললেনঃ তুমি বস। লোকটি বসে রয়ল। তারপর রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট এক [বড়] ঝুড়িভর্তি খেজুর আসলো। তিনি তাকে বললেনঃ এগুলো নিয়ে দান-খায়রাত করে দাও। সে বলিল, আমার চেয়ে দরিদ্র মাদীনার পাথরময় দুপ্রান্তের মাঝে আর কেউ নেই। আবু হুরাইরা [রাদি.] বলেন, [তার কথায়] তিনি হেসে দিলেন, এমনকি তাহাঁর চোয়ালের দাঁত দেখা গেলো। তিনি বললেনঃ এগুলো নাও এবং তোমার পরিবারবর্গকে খাওয়াও।

-সহীহ্‌, ইবনি মা-জাহ [১৬৭১], বুখারী, মুসলিম। ইবনি উমার, আইশা ও আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিত হাদীসটিকে হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। আলিমগণ এ হাদীসের ভিত্তিতে বলেন, রমযান মাসে কোন লোক স্বেচ্ছায় স্ত্রীসংগম দ্বারা রোযা ভেঙ্গে ফেললে প্রত্যেকটি রোযার জন্য তাকে একটি করে দাস মুক্ত করিতে হইবে অথবা দুমাস একটানা রোযা পালন করিতে হইবে অথবা ষাটজন গরীব লোককে খাওয়াতে হইবে। কিন্তু পানাহারের মাধ্যমে স্বেচ্ছায় কোন লোক রোযা ভেঙ্গে ফেললে তার কাফ্‌ফারা প্রসঙ্গে আলিমগণের মধ্যে মতবিরোধ আছে। একদল আলিম বলেন, তাকে রোযার কাযা ও কাফ্‌ফারা দুটোই আদায় করিতে হইবে। পানাহারকে তাঁরা স্ত্রীসংগমের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বলে মনে করেন। এরকমই অভিমত সুফিয়ান সাওরী, ইবনিল মুবারাক ও ইসহাকের। অন্য একদল আলিম বলেন, তাকে কাযা রোযা আদায় করিতে হইবে কিন্তু কাফ্‌ফারা আদায় করিতে হইবে না। কারণ, স্ত্রীসংগমের ক্ষেত্রেই রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে কাফ্‌ফারার উল্লেখ আছে, পানাহারের ক্ষেত্রে এর কোন উল্লেখ নেই। তারা বলেন, স্ত্রীসংগমের সাথে পানাহারের সাদৃশ্য নেই। এরকম অভিমত ঈমাম শাফি ও আহ্‌মাদ [রঃ]-এর। ঈমাম শাফি বলেন, যে লোক রোযা ভেঙ্গে ফেলেছিলো সে লোককে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] উক্ত খেজুর দান করেছিলেন। তাহাঁর উক্তি “নাও, তোমার পরিবারবর্গকে তা খাওয়াও” বাক্যাংশ বিভিন্ন অর্থ বহন করে। এমনও হইতে পারে যে, যে ব্যক্তির সামর্থ আছে তাকে কাফ্‌ফারা আদায় করিতে হয়। কিন্তু এ লোকটি কাফ্‌ফারা আদায় করার মত সামর্থবান ছিল না। পরে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাকে কিছু দান করে তার মালিক বানিয়ে দিলে সে বলিল, আমাদের চেয়ে বেশি অভাবগ্রস্ত এ এলাকায় অন্য কোন লোক নেই। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, “নিয়ে নাও এবং তোমার পরিবারবর্গকে খাওয়াও”। কেননা, কাফ্‌ফারা বাধ্যতামুলক হয় জীবনধারণের কোন অতিরিক্ত সম্পদ থাকলেই। এরকম অবস্থাসম্পন্ন লোক সম্বন্ধে ঈমাম শাফির অভিমত হচ্ছে, সে লোক ঐ মাল ভোগ করিতে পারে। আর কাফ্‌ফারা তার দায়িত্বে ঋণ হিসাবে থেকে যাবে। সে যে সময়ে তা দিতে সমর্থ হইবে সে সময়েই কাফ্‌ফারা আদায় করিতে হইবে। রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস -রোজা ভংগের কারণ

২৯. অনুচ্ছেদঃ রোযাদারের মিসওয়াক করা

৭২৫. আমির ইবনি রাবীআ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে রোযা থাকা অবস্থায় অসংখ্যবার মিসওয়াক করিতে দেখেছি।

যঈফ, ইরওয়া [৬৮]। এই অনুচ্ছেদে আইশা [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেন, আমির ইবনি রাবীআর হাদীসটি হাসান। এই হাদীস অনুযায়ী আলিমগণ বলেন, রোযাদারের মিসওয়াক করায় কোন সমস্যা নেই। তবে একদল আলিম কাঁচা ডাল দিয়ে এবং দিনের শেষাংশে মিসওয়াক করা অপছন্দ করিয়াছেন। ঈমাম শাফি দিনের যে কোন অংশে মিসওয়াক করাতে কোন সমস্যা মনে করেন না। ঈমাম আহমাদ ও ইসহাক দিনের শেষাংশে মিস্ওয়াক করা মাকরূহ মনে করেন। রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

৩০. অনুচ্ছেদঃ রোযা থাকা অবস্থায় সুরমা ব্যবহার করা

৭২৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী [সাঃআঃ] -এর নিকটে এসে বলিল, আমার চোখ ব্যথা করে। আমি রোযা থাকা অবস্থায় তাতে সুরমা লাগাতে পারি কি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। সনদ দুর্বল

এই অনুচ্ছেদে আবু রাফি [রাদি.] হইতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেন, আনাসের হাদীসের সনদ খুব একটা মজবুত নয়। এই বিষয়ে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হইতে সহিহ কিছু বর্ণিত নেই। আবু আতিকা একজন দুর্বল রাবী। রোযা থাকা অবস্থায় সুরমা ব্যবহার প্রসঙ্গে আলিমগণের মধ্যে মতের অমিল আছে। সুফিয়ান, ইবনিল মুবারাক, আহমাদ ও ইসহাকের মতে রোযা থাকা অবস্থায় সুরমা ব্যবহার করা মাকরূহ। ঈমাম শাফির মতে তা ব্যবহারের সম্মতি আছে। রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস

৩১. অনুচ্ছেদঃ রোযা থাকাবস্থায় [স্ত্রীকে] চুমু দেয়া

৭২৭. আইশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রমযান মাসে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] [রোযা থাকাবস্থায় স্ত্রীকে] চুমু দিতেন।

-সহীহ, ইবনি মা-জাহ [১৬৮৩], মুসলিম, বুখারী অনুরূপ উমার ইবনিল খাত্তাব, হাফ্‌সা, আবু সাঈদ, উম্মু সালামা, ইবনি আব্বাস, আনাস ও আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আইশা [রাদি.] হইতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। রোযা থাকাবস্থায় চুমু দেয়া প্রসঙ্গে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অন্যান্য আলিমদের মধ্যে মতপার্থক্য আছে। বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবী চুমু দেয়ার অনুমতি দিয়েছেন, কিন্তু যুবকদেরকে রোযা ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে এই অনুমতি দেননি। আর তাহাদের মতে স্ত্রীকে আলিঙ্গন করার বিষয়টি আর বেশি মারাত্মক। আর কোন আলিম বলেন, চুম্বনে রোযার সাওয়াব কমে, কিন্তু তাতে রোযা নষ্ট হয় না। তাহাদের মতে, রোযা পালনকারী নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে সে চুম্বন করিতে পারে। আর যদি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তার আস্থা না থাকে তাহলে সে চুম্বন করিবে না, যাতে করে রোযার হিফাযাত করা তার পক্ষে সম্ভব হয়। এরকম মতই সুফিয়ান সাওরী ও শাফিঈর। রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস -রোজা ভংগের কারণ

৩২. অনুচ্ছেদঃ রোযা থাকাবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর আলিঙ্গন

৭২৮. আইশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে রোযা থাকাবস্থায় আলিঙ্গন করিতেন। তবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনি তোমাদের চেয়ে অনেক বেশি সামর্থবান ছিলেন।

-সহীহ্‌, ইবনি মা-জাহ [১৬৮৪], বুখারী, মুসলিম। রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস -রোজা ভংগের কারণ

৭২৯. আইশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রোযা থাকাবস্থায় রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] [স্ত্রীকে] চুম্বন দিতেন এবং আলিঙ্গন করিতেন। আর তিনি তোমাদের চেয়ে অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণের অধিকারী ছিলেন।

-সহীহ, ইবনি মা-জাহ [১৬৭৮], বুখারী, মুসলিম। আবু ঈসা এই হাদীসটিকে হাসান সহীহ্‌ বলেছেন। আবু মাইসারার নাম আম্‌র এবং পিতার নাম শুরাহ্‌বীল। লিইরবিহি অর্থ তাহাঁর নিজের উপর। রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস -রোজা ভংগের কারণ

৩৩. অনুচ্ছেদঃ রাত থাকাবস্থায় সংকল্প [নিয়্যাত] না করলে রোযা হয় না

৭৩০. হাফসা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ ফজরের পূর্বেই যে লোক রোযা থাকার নিয়্যাত করেনি তার রোযা [ক্ববূল] হয়নি।

-সহীহ, ইবনি মা-জাহ [১৭০০]। আবু ঈসা বলেন, শুধুমাত্র উল্লেখিত সূত্রেই হাফসা [রাদি.] হইতে বর্ণিত এ হাদীসটি আমরা মারফূভাবে জেনেছি। এ হাদীসটি ইবনি উমার [রাদি.]-এর উক্তি হিসাবেও বর্ণিত আছে এবং এটিই বেশি সহিহ। এভাবেই হাদীসটি যুহরী হইতে মাওকূফ হিসেবে বর্ণিত আছে। ইয়াহইয়া ইবনি আইয়্যূব ছাড়া অন্য কেউ হাদীসটি মারফূ হিসেবে বর্ণনা করেননি। কিছু আলিমের মতানুযায়ী এই হাদীসটির অর্থ হচ্ছেঃ রাত থাকতেই অর্থাৎ ফজর উদিত হওয়ার পূর্বেই রমযানের রোযা অথবা কাযা বা মানতের রোযার ক্ষেত্রে কোন লোক নিয়্যাত না করলে তার রোযা আদায় হইবে না। কিন্তু ভোর হওয়ার পরও নফল রোযার নিয়্যাত করা যায়। এরকম মতই ঈমাম শাফি, আহ্‌মাদ ও ইসহাকের। রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস -রোজা ভংগের কারণ

৩৪. অনুচ্ছেদঃ নফল রোযা ভেঙ্গে ফেলা প্রসঙ্গে

৭৩১. উম্মু হানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকটে আমি বসা ছিলাম। তাহাঁর কাছে কিছু শরবত নিয়ে আসা হল। তা হইতে তিনি পান করিলেন, তারপর আমাকে তা দিলেন। আমিও তা হইতে কিছু পান করলাম। আমি বললাম, আমি তো অপরাধ করে ফেলেছি। আপনি আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। তিনি বললেনঃ তা কিভাবে? আমি বললাম, আমি রোযা রেখেছিলাম, তা ভেঙ্গে ফেলেছি। তিনি বললেনঃ তুমি কোন রোযার কাযা আদায় করছিলে কি? তিনি বলিলেন, না। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তাহলে এতে তোমার কোন ক্ষতি নেই।

-সহীহ্‌, তাখরীজুল মিশকাত [২০৭৯], সহীহ আবু দাঊদ [২১২০]। আবু সাঈদ ও আইশা [রাদি.] হইতেও এই অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস -রোজা ভংগের কারণ

৭৩২. উম্মু হানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর ঘরে আসেন এবং পানীয় আনতে বলেন। তা হইতে তিনি নিজে পান করিলেন, তারপর উম্মু হানীকে দিলেন এবং তিনিও তা পান করিলেন। তারপর উম্মু হানী [রাদি.] বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো রোযা রেখেছিলাম। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ নফল রোযা পালনকারী নিজের আমানাতদার। সে ব্যক্তি চাইলে রোযা পূর্ণও করিতে পারে আবার ভাঙ্গতেও পারে।

-সহীহ, প্রাগুক্ত। শুবা বলেন, আমি জাদাকে বললাম আপনি কি উম্মু হানী [রাদি.] হইতে  এ হাদীসটি শুনেছেন? তিনি বলেন, না। আবু সালিহ্ ও আমাদের পরিবারের লোকজন উম্মু হানী [রাদি.]-এর মারফতে আমার নিকট তা বর্ণনা করিয়াছেন। হাম্মাদ ইবনি সালামা এই হাদীস সিমাক হইতে, তিনি উম্মু হানীর দৌহিত্র হারূন হইতে, তিনি উম্মু হানী [রাদি.]-এর সূত্রে বর্ণনা করিয়াছেন। শুবার রিওয়াতটি অধিক হাসান। মাহমূদ ইবনি গাইলান আবু দাঊদের সূত্রে এটিকে বর্ণনা করিয়াছেন। তিনি এতে বলেছেন, “রোযা পালনকারী নিজের আমানাতদার”। আবু দাঊদের সূত্রে মাহমূদ ব্যতীত অন্য বর্ণনাকারীগণ সংশয়পূর্ণভাবে বর্ণনা করিয়াছেন যে, “রোযাদার ব্যক্তি নিজের উপর ক্ষমতাবান অথবা নিজের আমানাতদার”। শুবা হইতেও একাধিক সূত্রে দ্বিধা সহকারে এরকমই বর্ণিত আছে। উম্মু হানী [রাদি.] হইতে বর্ণিত হাদীসের সনদ প্রসঙ্গে বিরূপ বক্তব্য আছে। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অন্যান্যদের মতে নফল রোযা পালনকারী যদি তা ভেঙ্গে ফেলে তাহলে তার উপর কোন কাযা নেই। তবে ইচ্ছা করলে [মুস্তাহাব হিসাবে] সে লোক কাযা আদায় করিতে পারে। এ মত সুফিয়ান সাওরী, আহ্‌মাদ, ইসহাক ও শাফিঈর। রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ সহীহ হাদীস -রোজা ভংগের কারণ

৩৫. অনুচ্ছেদঃ রাত্রি চলে যাওয়ার পর নফল রোযা রাখা

৭৩৩. উম্মুল মুমিনীন আইশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] একদিন আমার নিকট আসলেন এবং বললেনঃ তোমার কাছে [খাওয়ার] কোন কিছু আছে কি? আমি বললাম, না। তিনি বললেনঃ তাহলে আমি রোযা রাখলাম।

-হাসান সহীহ, ইরওয়া [৯৬৫], সহীহ আবু দাঊদ [২১১৯], মুসলিম। রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান সহীহ

৭৩৪. মুমিনদের মাতা আইশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমার নিকট রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আসতেন এবং বলিতেনঃ তোমার নিকট সকালের খাবার কোন কিছু আছে কি? আমি বলতাম, না। তিনি বলিতেনঃ আমি রোযা রাখলাম। আইশা [রাদি.] বলেন, তিনি একদিন আমার নিকট আসলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! কিছু উপহার এসেছে আমাদের জন্য। তিনি বললেনঃ তা কি? আমি বললাম, হাইস। তিনি বললেনঃ আমি তো সকাল হইতে রোযা রেখেছি। আইশা [রাদি.] বলেন, তারপর তিনি তা খেলেন।

-হাসান সহীহ, প্রাগুক্ত।আবু ঈসা এই হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। ইয়াহইয়া ইবনি সাঈদ বলেন, তালহা ইবনি সাঈদ হাদীস শাস্ত্রে বিশেষজ্ঞ নন।[খেজুর, ছাতু ও ঘি এর সংমিশ্রনে তৈরী খাদ্যকে “হাইস” বলে- অনুবাদক]। রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ হাসান সহীহ

৩৬. অনুচ্ছেদঃ [নফল] রোযা ভেঙ্গে ফেললে তার কাযা করা অপরিহার্য

৭৩৫. আইশা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেছেন, আমি ও হাফসা [রাদি.] দুজনেই রোযা [নফল] ছিলাম। আমাদের সামনে খাবার আসলো এবং সে খাবারের প্রতি আমাদের লোভ জাগলো। তাই আমরা তা খেয়ে ফেললাম। তারপর রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আসলেন। হাফসা [রাদি.] আমার আগেই তার নিকটে গেলেন। আর তিনি ছিলেন পিতার কন্যা। তিনি বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা দুজন রোযা ছিলাম। আমাদের সামনে লোভজনক খাবার আসলে আমরা তা খেয়ে ফেললাম। তিনি বলেনঃ তোমরা দুজনে এর বদলে আর একদিন রোযা রেখে নিও।

যঈফ, যঈফ আবু দাউদ [৪২৩] আবু ঈসা বলেন, সালিহ্ ইবনি আবুল আখ্যার ও মুহাম্মাদ ইবনি আবু হাফসা তাহাদের এই হাদীসটিকে যুহরী, উরওয়া, আইশা [রাদি.]-এর সূত্রে একই রকম বর্ণনা করিয়াছেন। মালিক ইবনি আনাস, মামার, উবাইদুল্লাহ ইবনি উমার, যিয়াদ ইবনি সাদ প্রমুখ যুহরীর সূত্রে আইশা [রাদি.]-এর নিকট হইতে এই হাদীসটি মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করিয়াছেন। এতে তারা উরওয়ার নাম উল্লেখ করেননি। এই সনদ সূত্রটিই অনেক বেশী সহীহ। যেহেতু ইবনি জুরাইজ বলেন, আমি যুহরীকে প্রশ্ন করলামঃ আপনার নিকট আইশা [রাদি.]-এর বরাতে উরওয়া কিছু বর্ণনা করিয়াছেন কি? তিনি বলিলেন, এই হাদীস প্রসঙ্গে আমি উরওয়ার নিকটে কিছু শুনিনি। তবে সুলাইমান ইবনি আবদুল মালিকের শাসনামলে [৭১৫-৭১৭ খৃঃ] কিছু সংখ্যক ব্যক্তির মাধ্যমে আইশা [রাদি.]-এর সূত্রে আমি এটি শ্রবণ করেছি। ঈমাম তিরমিয়ী বলেনঃ আমাদের নিকট এই ঘটনা বর্ণনা করিয়াছেন আলী ইবনি ঈসা রাওহ ইবনি উবাদার সূত্রে ইবনি জুরাইজ হইতে। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর একদল সাহাবী ও তাবিঈ এই হাদীস অনুযায়ী আমল করার পক্ষে অভিমত দিয়েছেন। অর্থাৎ নফল রোযা ভেঙ্গে ফেললে তার কাযা আদায় করিতে হইবে। ঈমাম মালিকের ফতোয়াও তাই। রোজার হাদীস – এই হাদীসটির তাহকিকঃ দুর্বল হাদীস


by

Comments

Leave a Reply