রোজার মাসআলা সমূহ এবং বিক্ষিপ্ত মাসালা

রোজার মাসআলা সমূহ এবং বিক্ষিপ্ত মাসালা

রোজার মাসআলা সমূহ এবং বিক্ষিপ্ত মাসালা >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ৭, অধ্যায়ঃ ২

  • অধ্যায়ঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

অধ্যায়ঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ

১৯৮২. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা সাহরী খাও। সাহরীতে অবশ্যই বারাকাত আছে। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ১৯২৩, মুসলিম ১০৯৫, তিরমিজি ৭০৮, নাসায়ী ২১৪৬, ইবনি মাজাহ ১৬৯২, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৭৫৯৮, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৮৯১৩, ইবনি খুযায়মাহ্ ১৯৩৭, আহমাদ ১১৯৫০, দারিমী ১৭৩৮, সহীহ আত তারগীব ১০৬৩। রোজার মাসআলা সমূহ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৯৮৩. আমর ইবনুল আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাদের ও আহলে কিতাবদের [ইয়াহূদী ও খৃষ্টান] সওমের মধ্যে পার্থক্য হলো সাহরীর। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ১০৯৬, আবু দাউদ ২৩৪৩, তিরমিজি ৭০৯, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৭৬০২, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৮৯১৫, আহমাদ ১৭৭৬২, ১৭৭৭১, ১৭৮০১, ইবনি খুযায়মাহ্ ১৯৪০, ইবনি হিববান ৩৪৭৭, দারিমী ১৭৩৯, আল আওসার লিত্ব ত্ববারানী ৩২০৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮১১৫, সহীহ আত তারগীব ১০৬৪, সহীহ আল জামি ৪২০৭, নাসায়ী ২১৬৬। রোজার মাসআলা সমূহ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৯৮৪. সাহল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যতদিন পর্যন্ত মানুষ তাড়াতাড়ি ইফতার করিবে, ততদিন তারা কল্যাণের মধ্যে থাকিবে।{১}

{১} সহীহ : বোখারী ১৯৫৭, মুসলিম ১০৯৮, তিরমিজি ৬৯৯, মুয়াত্ত্বা মালিক ১০১১, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৭৫৯২, ইবনি মাজাহ ১৬৯৭, আহমাদ ২২৮০৪, দারিমী ১৭৪১, ইবনি খুযায়মাহ্ ২০৫৯, মুজামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৫৭১৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮১১৮, শুআবুল ঈমান ৩৬৩০, ইবনি হিববান ৩৫০২, ইরওয়া ৯১৭, সহীহাহ্ ২০৮১, সহীহ আত তারগীব ১০৭৩, সহীহ আল জামি ৭৬৯৪। রোজার মাসআলা সমূহ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৯৮৫. উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন ওদিক থেকে রাত [পূর্বদিক হইতে রাতের কালো রেখা] নেমে আসে, আর এদিক থেকে [পশ্চিম দিকে] দিন চলে যায় এবং সূর্য ডুবে যায়, তখনই সায়িম [রোযাদার] ইফতার করে।{১}

{১} সহীহ : বোখারী ১৯৫৪, মুসলিম ১১০০, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ৭৫৯৫, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৮৯৪১, আহমাদ ১৯২, আবু দাউদ ২৩৫১, তিরমিজি ৬৯৮, ইবনি খুযায়মাহ্ ২০৫৮, ইবনি হিববান ৩৫১৩, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮০০৪, ইরওয়া ৯১৬, সহীহ আল জামি ৩৬৪। রোজার মাসআলা সমূহ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৯৮৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওমে বিসাল [অর্থাৎ- একাধারে সওম রাখতে] নিষেধ করিয়াছেন। তখন তাঁকে একজন জিজ্ঞেস করিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনি তো একাধারে সওম রাখেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের মধ্যে কে আমার মতো? আমি তো এভাবে রাত কাটাই যে, আমার রব আমাকে খাওয়ান ও পরিতৃপ্ত করেন। ১}

{১} সহীহ : বোখারী ৭২৯৯, মুসলিম ১১০৩, মালিক ১০৬০, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৯৫৯৫, আহমাদ ৭৭৮৬, ইবনি খুযায়মাহ্ ২০৬৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৩৭৫, ইবনি হিববান ৬৪১৩।রোজার মাসআলা সমূহ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

অধ্যায়ঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

১৯৮৭. হাফসা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ফজরের আগে সওমের নিয়্যাত করিবে না তার সওম হবে না। [তিরমিজি, আবু দাউদ, নাসায়ী, দারিমী। ঈমাম আবু দাউদ বলেন, মামার ও যুবায়দী, ইবনি উআয়নাহ্ এবং ইউনুস আয়লী সহ সকলে এ বর্ণনাটি হাফসাহ্র কথা বলে সাক্ষ্য দিয়েছেন।]{১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ২৪৫৪, তিরমিজি ৭৩০, নাসায়ী ২৩৩৩, আহমাদ ২৬৪৫৭, ইবনি খুযায়মাহ্ ১৯৩৩, মুজামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৩৩৭, সহীহ আল জামি ৬৫৩৫। তবে আহমাদের হাদিসটি দুর্বল। কারণ তাতে ইবনি লাহ্ইয়া রয়েছে। রোজার মাসআলা সমূহ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৯৮৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ [সাহরী খাবার সময়] তোমাদের কেউ ফজরের আযান শুনতে পেলে সে যেন হাতের বাসন রেখে না দেয়। বরং নিজের প্রয়োজন সেরে নেবে। {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ২৩৫০, আহমাদ ৯৪৭৪, ১০৬২৯, ১০৬৩০, মুসতাদারাক লিল হাকিম ৭২৯, সহীহাহ্ ১৩৯৪, সহীহ আল জামি ৬০৭। রোজার মাসআলা সমূহ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৯৮৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার কাছে সে বান্দা বেশী প্রিয় যে [সময় হয়ে যাবার সাথে সাথে] ইফতার করিতে ব্যস্ত হয়। ]{১}

{১} জইফ : তিরমিজি ৭০০, ইবনি খুযায়মাহ্ ২০৬২, ইবনি হিব্বান ৩৫০৭, আহমাদ ৭২৪১, ৮৩৬০, ৯৮১০, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮১২০, রিয়াযুস্ সলিহীন ১২৪৪, জইফ আত তারগীব ৬৪৯, জইফ আল জামি ৪০৪১। কারণ এর সানাদে কুবরাহ্ ইবনি আবদুর রহমান মন্দ স্মৃতিশক্তিজনিত কারণে একজন দুর্বল রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

১৯৯০. সালমান ইবনি আমির হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন ইফতার করিবে সে যেন খেজুর দিয়ে [শুরু] করে। কারণ খেজুর বারাকাতময়। যদি খেজুর না পায়, তাহলে যেন পানি দিয়ে ইফতার করে। কেননা পানি পবিত্র জিনিস।

[আহমাদ, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনি মাজাহ, দারিমী। فَإِنَّه بَرَكَةٌ {ফাইন্নাহূ বারাকাতুন] -এ অংশটুকু ঈমাম তিরমিজি ছাড়া আর কেউ উল্লেখ করেননি।]{১}; {১} জইফ : তবে তাহাঁর কর্ম থেকে এ ব্যাপারে বিশুদ্ধ হাদিস রয়েছে। আবু দাউদ ২৩৫৫, তিরমিজি ৬৫৪, ইবনি মাজাহ ১৬৯৯, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৯৭৯৭, আহমাদ ১৬২২৫, দারিমী ১৭৪৩, মুজামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৬১৯৪, সুনানুস্ সুগরা লিল বায়হাক্বী ১৩৮৯, শুআবুল ঈমান ৩৬১৫, ইবনি হিববান ৩৫১৫, যঈফাহ্ ৬৩৮৩, জইফ আত তারগীব ৬৫১, জইফ আল জামি ৩৮৯। কারণ এর সানাদে আর্ রবাব আয্ যাবিয়্যাহ্ একজন মাজহূল রাবী যিনি হাফসাহ্ থেকে বর্ণনা করিতে গিয়ে একাকী হয়েছেন আর ইবনি হিব্বান ছাড়া অন্য কেউ তাকে সিকাহ্ বলেননি। যেহেতু ইবনি হিববান মাজহূল রাবীদের সিকাহ্-এর অন্তর্ভুক্ত করিয়াছেন। তাই তার সিকাহ্করণ সবক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

১৯৯১. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সলাতের আগে কিছু তাজা খেজুর দিয়ে ইফতার করিতেন। যদি তাজা খেজুর না পেতেন, শুকনা খেজুর দিয়ে করিতেন। যদি শুকনা খেজুরও না পেতেন, কয়েক চুমুক পানি পান করে নিতেন{১}

{১} হাসান : আবু দাউদ ২৩৫৬, তিরমিজি ৬৯৬, আহমাদ ১২৬৭৬, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৫৭৬, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮১৩১, শুআবুল ঈমান ৩৬১৭, ইরওয়া ৯২২, সহীহ আত তারগীব ১০৭৭, সহীহ আল জামি ৪৯৯৫। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস

১৯৯২. যায়দ ইবনি খালিদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সায়িমকে ইফতার করাবে অথবা কোন গাযীর আসবাবপত্র ঠিক করে দেবে সে তাদের [সায়িম ও গাযীর] সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে।

[বায়হাক্বী- শুআবুল ঈমান-এ আর মুহয়্যিইউস্ সুন্নাহ্- শারহে সুন্নাহ্য় এ হাদিসটি বর্ণনা করিয়াছেন এবং বলেছেন হাদিসটি সহীহ]{১}; {১} সহীহ : তিরমিজি ৮০৭, ইবনি মাজাহ ১৭৪৬, ইবনি আবী শায়বাহ্ ১৯৫৫৫, দারিমী ১৭৪৪, মুজামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৫২১৭, শুআবুল ঈমান ৩৬৬৭, ইবনি হিববান ৩৪২৯, সহীহ আত তারগীব ১০৭৪, সহীহ আল জামি ৬৪১৪। রোজার মাসআলা সমূহ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৯৯৩. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইফতার করার পর বলিতেন, পিপাসা চলে গেছে, [শরীরের] রগগুলো সতেজ হয়েছে। আল্লাহর মর্জি হলে সাওয়াব প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। [{১}

{১} হাসান : আবু দাউদ ২৩৫৭, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৫৩৬, ইরওয়া ৯২০, সহীহ আল জামি ৪৬৭৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮১৩৩। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস

১৯৯৪. মুআয ইবনি যুহরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইফতার করার সময় [এ দুআ] বলিতেনঃ আল্ল-হুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আলা- রিয্কবিকা আফত্বরতু [অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তোমার জন্য সওম রেখে, তোমার {দান] রিযক দিয়ে ইফতবার করছি]। {১}

{১} জইফ : আবু দাউদ ২৩৫৮, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৫০০, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮১৩৪, জইফ আল জামি ৪৩৪৯, ইরওয়া ৯১৯। কারণ মুআয ইবনুয্ যুহরা একজন মাজহূল রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

অধ্যায়ঃ ২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

১৯৯৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দ্বীন সর্বদাই বিজয়ী থাকিবে [ততদিন], যতদিন মানুষ তাড়াতাড়ি ইফতার করিবে। কারণ ইয়াহূদী ও খৃষ্টানরা ইফতার করিতে বিলম্ব করে। {১}

{১} হাসান : আবু দাউদ ২৩৫৩, ইবনি মাজাহ ১৬৯৮, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৮৯৪৪, ইবনি খুযায়মাহ্ ২০৬০, ইবনি হিব্বান ৩৫০৩, শুআবুল ঈমান ৩৯১৬, আহমাদ ৯৮১০, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৫৭৩, সহীহ আত তারগীব ১০৭৫, সহীহ আল জামি ৭৬৮৯। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস

১৯৯৬. আবু আত্বিয়্যাহ্ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি ও মাসরূক উভয়ে [একদিন] আয়িশাহ্ [রাদি.]-এর কাছে গেলাম ও আমরা আরয করলাম, হে উম্মুল মুমিনীন! মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দুজন সাথী আছেন। তাদের একজন দ্রুত ইফতার করেন, দ্রুত নামাজ আদায় করেন। আর দ্বিতীয়জন বিলম্বে ইফতার করেন ও বিলম্বে নামাজ আদায় করেন। আয়িশাহ্ [রাদি.] জিজ্ঞেস করিলেন, তাড়াতাড়ি করে ইফতার করেন ও নামাজ আদায় করেন কে? আমরা বললাম, আবদুল্লাহ ইবনি মাস্ঊদ। আয়িশাহ্ [রাদি.] বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপই করিতেন। আর অপর ব্যক্তি যিনি ইফতার করিতে ও নামাজ আদায় করিতে দেরী করিতেন, তিনি ছিলেন আবু মূসা।১}

{১} সহীহ : মুসলিম ১০৯৯, আবু দাউদ ২৩৫৪, তিরমিজি ৭০২, নাসায়ী ২১৬১, আহমাদ ২৪২১২। রোজার মাসআলা সমূহ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৯৯৭. ইরবায ইবনি সারিয়াহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম [একদিন] আমাকে রমাযানের সাহরী খেতে ডাকলেন এবং বললেন, বারাকাতপূর্ণ খাবার খেতে এসো। ১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ২৩৪৪, নাসায়ী ২১৬৫, সহীহাহ্ ২৯৮৩, সহীহ আল জামি ৭০৪৩। রোজার মাসআলা সমূহ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৯৯৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুমিনের জন্য সাহরীর উত্তম খাবার হলো খেজুর।১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ২৩৪৫, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮১১৭, ইবনি হিববান ৩৪৭৫, সহীহাহ্ ৫৬২, সহীহ আত তারগীব ১০৭২। রোজার মাসআলা সমূহ -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply