রোজার ফজিলত । সন্দেহযুক্ত দিনে রোজা রাখা
রোজার ফজিলত । রমযান চাঁদ সেহরি ঋতুবতী ও নিয়্যত ইত্যাদি >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ২২ সাওম [রোজা] হাদীস (২১৭২-২২৫৪)
১.পরিচ্ছেদঃ রমযান মাস আসার পুর্বেই সাওম [রোজা] পালন শুরু করে দেওয়া
২.পরিচ্ছেদঃ ইয়াহ্য়া ইবনি আবু কাসীর ও মুহাম্মাদ ইবনি আমর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কর্তৃক আবু সালামা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে হাদীস বর্ণনায় পার্থক্যের উল্লেখ
৩.পরিচ্ছেদঃ এ প্রসঙ্গে আবু সালামা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কর্তৃক হাদীস বর্ণনার উল্লেখ
৪.পরিচ্ছেদঃ এ প্রসঙ্গে মুহাম্মাদ ইবনি ইব্রাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে হাদীস বর্ণনায় পার্থক্য
৫.পরিচ্ছেদঃ এ বিষয়ে আয়েশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণনাকারীদের শব্দের পার্থক্য-এর উল্লেখ
৬..পরিচ্ছেদঃ এ হাদীসে খালিদ ইবনি মাদান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে বর্ণনার পার্থক্যের উল্লেখ
৭.পরিচ্ছেদঃ সন্দেহযুক্ত দিনে সাওম [রোজা] পালন করা
৮.পরিচ্ছেদঃ সন্দেহযুক্ত দিনে রোজা রাখা
৯.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে রমযান মাসে তারাবীহ্র নামাজ আদায় করে এবং সাওম [রোজা] পালন করে তার সওয়াব এ বিষয়ে যুহ্রী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে রেওয়ায়ত বর্ণনায় পার্থক্য
১০.পরিচ্ছেদঃ এ হাদীস বর্ণনায় ইয়াহ্য়া ইবনি আবু কাসীর ও নায্র ইবনি শায়বান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] –এর বর্ণনার পার্থক্যের উল্লেখ
১১.পরিচ্ছেদঃ সিয়াম পালনের ফযীলত, এ প্রসঙ্গে আলী ইবনি আবু তালিব [রাঃআঃ] সূত্রে বর্ণিত হাদীসে আবু ইসহাক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে বর্ণনাকারীদের বর্ণনায় পার্থক্য
১২.পরিচ্ছেদঃ এ হাদিসের বর্ণনায় আবু সালিহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে বর্ণনাকারীদের বর্ণনা পার্থক্যের উল্লেখ
১৩.পরিচ্ছেদঃ সাওম [রোজা] পালনকারীর ফযীলত সম্পর্কে আবু উসামা [রাঃআঃ]-এর হাদীসে মুহাম্মদ ইবনি আবু ইয়াকূব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে বর্ণনাকারীদের বর্ণনা পার্থক্য উল্লেখ
১৪.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর রাস্তায় একদিন সাওম [রোজা] পালন করলো তার সওয়াব এ বিষয়ে হাদীস বর্ণনায় সুহায়ল ইবনি আবু সালিহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে বর্ণনা পার্থক্য প্রসঙ্গ
১৫.পরিচ্ছেদঃ এ বিষয়ে সুফিয়ান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে হাদীস বর্ণনায় বর্ণনা পার্থক্য
১.পরিচ্ছেদঃ রমযান মাস আসার পুর্বেই সাওম [রোজা] পালন শুরু করে দেওয়া
২১৭২. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্নিত। তিনি বলেছেন যে, তোমরা রমযান মাস আগমন করার পূর্বেই সাওম [রোজা] পালন শুরু করে দেবে না। তবে হ্যাঁ, ঐ ব্যক্তি শুরু করিতে পারবে, যে সর্বদা নিয়মিত সাওম [রোজা] পালন করত এবং তার নিয়মিত সাওম [রোজা] পালনকালীন দিনটি রমযান মাস আগমনের পূর্বের দিন হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২.পরিচ্ছেদঃ ইয়াহ্য়া ইবনি আবু কাসীর ও মুহাম্মাদ ইবনি আমর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কর্তৃক আবু সালামা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে হাদীস বর্ণনায় পার্থক্যের উল্লেখ
২১৭৩. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কখনো রমযান মাস আগমনের একদিন বা দুই দিন পূর্বেই সাওম [রোজা] পালন শুরু করে দেবে না। তবে হ্যাঁ, ঐ ব্যক্তি শুরু করিতে পারবে, যে ইতিপূর্বেও ঐ সময় নিয়মিত সাওম [রোজা] পালন করত। সে তার সাওম [রোজা] পালন করিতে পারবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৭৪. ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা রমযান মাস আগমনের একদিন বা দুই দিন আগে সাওম [রোজা] পালন শুরু করে দেবে না। তবে হ্যাঁ, তোমাদের কেউ যদি পূর্ব থেকেই নিয়মিত সাওম [রোজা] পালন করত এবং তার সাথে এই সময়ের মিল হইয়া যায় তবে সেটা স্বতন্ত্র ব্যাপার।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
৩.পরিচ্ছেদঃ এ প্রসঙ্গে আবু সালামা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কর্তৃক হাদীস বর্ণনার উল্লেখ
২১৭৫. উম্মে সালামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে কখনো একাধারে দুই মাস সাওম [রোজা] পালন করিতে দেখিনি। তবে হ্যাঁ, তিনি শাবান মাসকে রমযান মাসের সাথে মিলাতেন [সাওম [রোজা] পালনসহ] অর্থাৎ তিনি একাধারে শাবান ও রমযান মাসের সাওম [রোজা] পালন করিতেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৪.পরিচ্ছেদঃ এ প্রসঙ্গে মুহাম্মাদ ইবনি ইব্রাহীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে হাদীস বর্ণনায় পার্থক্য
২১৭৬. উম্মে সালামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] শাবান মাসকে রমযান মাসের সাথে মিলাতেন সাওম [রোজা] পালনসহ।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৭৭. আবু সালামা ইবনি আব্দুর রহমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি আয়িশা [রাঃআঃ]-কে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাওম [রোজা] পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলিলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন সাওম [রোজা] পালন করা শুরু করিতেন তখন আমরা মনে মনে বলতাম যে, তিনি আর সাওম [রোজা] ভঙ্গ করবেন না। আবার যখন সাওম [রোজা] ভঙ্গ করা শুরু করিতেন তখন আমরা মনে মনে বলতাম যে, তিনি আর সাওম [রোজা] পালন করবেন না। তিনি শাবান মাসের পূরা বা অধিকাংশ দিন সাওম [রোজা] পালন করিতেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
২১৭৮. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আমাদের কেউ [ঋতূ ইত্যাদির কারণে] রমযান মাসের সাওম [রোজা] পালন করিতে পারত না এবং তার কাযা আদায় করার সূযোগ পাওয়ার পূর্বে, শাবান মাস এসে যেত। আর রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] শাবান মাসের মত অন্য কোন মাসে এত অধিক সাওম [রোজা] পালন করিতেন না। তিনি অল্প কয়েক দিন ব্যতীত পূরো শাবান মাসই সাওম [রোজা] পালন করিতেন; বরং [বলিতে গেলে] পূরো শাবান মাসই সাওম [রোজা] পালন করিতেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৫.পরিচ্ছেদঃ এ বিষয়ে আয়েশা [রাঃআঃ] থেকে বর্ণনাকারীদের শব্দের পার্থক্য-এর উল্লেখ
২১৭৯. আবু সালামা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, আমি আয়েশা [রাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করলাম; আমি তাঁকে বললাম, আপনি আমাকে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাওম [রোজা] পালন সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বলিলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন সাওম [রোজা] পালন করিতে শুরু করিতেন তখন আমরা মনে মনে বলতাম যে, তিনি হয়ত সাওমই [রোজাই] পালন করিতে থাকিবেন। আবার যখন সাওম [রোজা] ভঙ্গ করা শুরু করিতেন তখন আমরা মনে মনে ধারণা করতাম যে, হয়ত সাওম [রোজা] ভঙ্গই করিতে থাকিবেন। আর তিনি শাবান মাস অপেক্ষা অন্য কোন মাসে এত অধিক সাওম [রোজা] পালন করিতেন না। উনি অল্প কিছু দিন ব্যতীত প্রায় পূরো শাবান মাসই সাওম [রোজা] পালন করিতেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৮০. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] পূরো বছরে শাবান মাসের চেয়ে বেশি অন্য কোন মাসে এত অধিক [নফল] সাওম [রোজা] পালন করিতেন না। তিনি পূরো শাবান মাসই সাওম [রোজা] পালন করিতেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৮১. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, নাবী [সাঃআঃ] শাবান মাস সাওম [রোজা] পালন করিতেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৮২. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি জানি না যে, রসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এক রাত্রে পূর্ণ কুরআন খতম করেছিলেন কিনা বা পুর্ণ রাত্রে সকাল পর্যন্ত জাগ্রত থেকে ছিলেন কিনা বা কখনো রমযান মাস ব্যতীত পূর্ণ মাস সাওম [রোজা] পালন করেছিলেন কিনা।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৮৩. আব্দুল্লাহ ইবনি শফীক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি আয়েশা [রাঃআঃ]-কে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সাওম [রোজা] সস্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলিলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন সাওম [রোজা] পালন করা শুরু করিতেন তখন আমরা মনে মনে বলতাম যে, তিনি হয়ত সাওমই [রোজা] পালন করিতে থাকিবেন, আর যখন সাওম [রোজা] ভঙ্গ করা শুরু করিতেন তখন আমরা মনে মনে বলতাম যে, তিনি হয়ত সাওম [রোজা] ভঙ্গই করিতে থাকিবেন। আর তিনি মদীনায় আসার পর থেকেই রমযান মাস ব্যতীত কখনো এক মাশ সাওম [রোজা] পালন করিতেন না।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৮৪. আব্দুল্লাহ ইবনি শকীক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি আয়েশা [রাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি চাশতের নামাজ আদায় করিতেন? তিনি বলিলেন, না। তবে হ্যাঁ, সফর থেকে আগমন করলে আদায় করিতেন। আমি তাঁকে প্রশ্ন করলাম যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি কখনো পূর্ণ এক মাস সাওম [রোজা] পালন করিতেন? তিনি বললেনঃ না। আমি জানি না যে, তিনি কখনো রমযান মাস ব্যতীত পূর্ণ এক মাস সাওম [রোজা] পালন করিয়াছেন আর কোন এক মাস ভঙ্গও করেন নাই বরং মৃত্যুর আগে পর্যন্ত মাসের কিছুদিন সাওম [রোজা] পালন করিতেন [করিতে অভ্যস্ত ছিলেন]।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৮৫. আব্দুল্লাহ ইবনি শকীক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি আয়েশা [রাঃআঃ]-কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কি চাশতের নামাজ আদায় করিতেন? তিনি বলিলেন, না; তবে হ্যাঁ সফর থেকে আসলে তখন আদায় করিতেন। আমি আবার প্রশ্ন করলাম যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর জন্য কি রমযান মাস ব্যতীত কোন নির্দিষ্ট সাওম [রোজা] ছিল? তিনি বললেনঃ আল্লাহর শপথ, তিনি রমযান মাস ব্যতীত মৃত্যু অবধি কখনো পূর্ণ এক মাস সাওম [রোজা] পালন করিতেন না আর পুর্ণ এক মাস সাওম [রোজা] ভঙ্গও করিতেন না, বরং মাসের কিছুদিন সাওম [রোজা] করিতেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৬.পরিচ্ছেদঃ এ হাদীসে খালিদ ইবনি মাদান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে বর্ণনার পার্থক্যের উল্লেখ
২১৮৬. জুবায়র ইবনি নূফায়র হইতে বর্ণিতঃ
এক ব্যক্তি আয়েশা [রাঃআঃ]-কে সাওম [রোজা] সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] পূর্ণ শাবান মাস সাওম [রোজা] পালন করিতেন আর সোমবার এবং বৃহস্পতিবারের সাওম [রোজা] উত্তম মনে করিতেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
২১৮৭. আয়িশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] শাবান এবং রমযান মাসে সাওম [রোজা] পালন করিতেন আর সোমবার এবং বৃহষ্পতিবারের সাওমকে [রোজাকে] উত্তম মনে করিতেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৭.পরিচ্ছেদঃ সন্দেহযুক্ত দিনে সাওম [রোজা] পালন করা
২১৮৮. সিলাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, আমরা আম্মার [রাঃআঃ]-এর কাছে ছিলাম। এমন সময়ে একটি ভুনা বকরী নিয়ে আসা হল। তিনি বলিলেন খাও। তখন উপস্থিত লোকদের একজন পাশে সরে গেলেন এবং বলিলেন যে, আমি সাওম [রোজা] পালন করছি। তখন আম্মার [রাঃআঃ] বললেনঃ যে ব্যক্তি সন্দেহযুক্ত দিনে সাওম [রোজা] পালন করিল সে আবুল কাসিম {রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]}-এর অবাধ্যতা করিল।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৮৯. সিমাক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, আমি ইকরামা [রাঃআঃ]-এর কাছে এমন একদিন গেলাম যে দিনটি সষ্পর্কে সন্দেহ করা হচ্ছিল যে, তা কি রমযান না শাবান। তিনি তখন রুটি ও সবজী খাচ্ছিলেন এবং দুধ পান করছিলেন। তিনি আমাকে বললেনঃ আসো [এবং খাও] আমি বললাম, আমি তো সাওম [রোজা] পালন করছি। তিনি আল্লাহর নামে শপথ করে বলিলেন যে, তোমাকে অবশ্যই সাওম [রোজা] ভঙ্গ করিতে হইবে। আমি দুইবার বললামঃ সুবহানাল্লাহ্। যখন আমি তাঁকে দেখলাম যে, তিনি শপথ করছেন এবং আমাকে ছাড়বেন না-আমি নিজেই অগ্রসর হইয়া বললামঃ এখন আপনার কাছে কি আছে আনুন। তিনি বলিলেন, আমি ইবনি আব্বাস [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা [রমযান মাসের] চাঁদ দেখে সাওম [রোজা] পালন করিবে এবং [শাওয়াল মাসের] চাঁদ দেখে সাওম [রোজা] ভঙ্গ করিবে। তবে হ্যাঁ, তোমাদের এবং চাঁদের মাঝখানে যদি মেঘ অথবা অন্ধকার আড়াল হয় তবে তোমরা শাবান মাসের গননা পূর্ণ করে নেবে এবং রমযান মাস আগমন করার পুর্বে তোমরা সাওম [রোজা] পালন দ্বারা রমযান মাসকে সন্বর্ধনা জানাবে না, আর একদিনের সাওম [রোজা] পালন দ্বারা রমযান মাসকে শাবান মাসের সাথে মিলিয়ে ফেলবে না।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৮.পরিচ্ছেদঃ সন্দেহযুক্ত দিনে রোজা রাখা
২১৯০. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলিতেনঃ খবরদার! তোমরা রমযান মাসকে এক অথবা দুই দিনের সাওম [রোজা] পালন দারা অগ্রে নিয়ে আসবে না। হ্যাঁ, ঐ ব্যক্তি যে নিয়মিত সাওম [রোজা] পালন করে, সে ঐদিনও সাওম [রোজা] পালন করিতে পারবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
৯.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে রমযান মাসে তারাবীহ্র নামাজ আদায় করে এবং সাওম [রোজা] পালন করে তার সওয়াব এ বিষয়ে যুহ্রী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে রেওয়ায়ত বর্ণনায় পার্থক্য
২১৯১. সাঈদ ইবনি মুসায়্যাব [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি রমযান মাসে আল্লাহ তাআলার উপর দূঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে তারাবীহ্র নামাজ আদায় করিবে তার পূর্বাপর সমস্ত [সগীরা] গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হইবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
২১৯২. উরওয়া ইবনি যুবায়র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সহধর্মীনী আয়েশা [রাঃআঃ] তাকে অবহিত করিয়াছেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফরযের নির্দেশ দেওয়া ব্যতীতই লোকদেরকে তারাবীহ্র সালাতের ব্যাপারে উৎসাহিত করিতেন এবং বলিতেন, যে ব্যাক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে তারাবীহ্র নামাজ আদায় করিবে তার পূর্বের সমস্ত [সগীরা] গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হইবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহীহ
২১৯৩. উরওয়া ইবনি যুবায়র [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আয়েশা [রাঃআঃ] তাঁকে খবর দিয়েছেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] [একদা] গভীর রাত্রে বের হইয়া গেলেন এবং মসজিদে গিয়ে লোকদের নিয়ে নামাজ আদায় করিলেন। এটা দীর্ঘ হাদীস; এতে উল্লেখ রয়েছে যে, আয়েশা [রাঃআঃ] বলেছেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] লোকদের ফরযের নির্দেশ দেওয়া ব্যতীতই তারাবীহ্র সালাতের ব্যাপারে উৎসাহ দিতেন এবং বলিতেন যে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে কদরের রাত্রিতে জাগরণ করে তার পূর্বাপর সমস্ত [সগীরা] গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হইবে। রাবী বলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইনতিকাল পর্যন্ত তাহাঁর আমল এরকমই ছিল।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
২১৯৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে রমাযানের ব্যাপারে বলিতে শুনিয়াছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে তারাবীহ্র নামাজ আদায় করে তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৯৫. উরওয়া ইবনি যুবাইর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
আয়েশা [রাঃআঃ] তাঁকে খবর দিয়েছনঃ একদা রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] গভীর রাত্রে বের হইয়া গেলেন এবং মসজিদে নামাজ আদায় করিলেন। এটি দীর্ঘ হাদীস। রাবী তাতে বলেছেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] লোকদের ফরযের নির্দেশ দেওয়া ব্যতীতই তারাবীহ্র সালাতের ব্যাপারে উৎসাহিত করিতেন এবং বলিতেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে রমযানে তারাবীহ্র নামাজ আদায় করে তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৯৬. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে রমযানের ব্যাপারে বলিতে শুনিয়াছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দূঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে রমযানে তারাবীহ্র নামাজ আদায় করে তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৯৭. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে রমযানে তারাবীহ্র নামাজ আদায় করে, তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৯৮. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফরযের নির্দেশ দেওয়া ব্যতীতই তারাবীহ্র সালাতের ব্যাপারে উৎসাহিত করিতেন। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে তারারীহ্র নামাজ [নামায/নামাজ] আদায় করে তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২১৯৯. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে তারাবীহ্র নামাজ [নামায/নামাজ] আদায় করে তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২০০. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে তারাবীহ্র নামাজ [নামায/নামাজ] আদায় করে, তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২০১. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দূঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে তারাবীহ্র নামাজ [নামায/নামাজ] আদায় করে তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২০২. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি রমযান মাসের সাওম [রোজা] পালন করে। আবু কুতায়বা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বর্ণিত হাদীসে আছে যে, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে তারাবীহ্র নামাজ [নামায/নামাজ] আদায় করে, তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দূঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে কদরের রাত্রে জাগ্রত থাকে তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২০৩. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দূঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে রমযান মাসের সাওম [রোজা] পালন করে, তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২০৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে রমযান মাসের সাওম [রোজা] পালন করে, তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২০৫. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দূঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে রমযান মাসের সাওম [রোজা] পালন করে, তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১০.পরিচ্ছেদঃ এ হাদীস বর্ণনায় ইয়াহ্য়া ইবনি আবু কাসীর ও নায্র ইবনি শায়বান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] –এর বর্ণনার পার্থক্যের উল্লেখ
২২০৬. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দূঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে তারাবীহ্র নামাজ [নামায/নামাজ] আদায় করে, তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে কদরের রাত্রে জাগ্রত থাকে, তার পূর্বাপৃর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২০৭. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দূঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে তারাবীহ্র নামাজ [নামায/নামাজ] আদায় করে, তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দূঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে কদরের রাত্রে জাগ্রত থাকে, তার পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২০৮. নযর ইবনি শায়বান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি আবু সালামা ইবনি আব্দুর রহমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সাথে সাক্ষাত করে তাঁকে বলিলেন, আপনি রমযান মাস সষ্পর্কে উত্তম যা কিছু আলোচনা শুনেছেন তা আমার কাছে বর্ননা করুন। তখন আবু সালামা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলিলেন যে, আব্দুর রহমান ইবনি আউফ [রাঃআঃ] আমার কাছে রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ননা করেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] রমযান মাসের আলোচনা করিলেন এবং রমযান মাসকে সকল মাসের উপর মর্যাদা দান করে বললেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে তারাবীহ্র নামাজ [নামায/নামাজ] আদায় করে, সে স্বীয় গুনাহসমূহ থেকে ঐ দিনের মত পবিত্র হইয়া যায় যে দিন তার মাতা তাকে প্রসব করেছিল।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
২২০৯. আবু সালামা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
অতঃপর পূর্বের অনুরূপ হাদীস বর্ননা করিলেন এবং বলিলেন যে, যে ব্যক্তি রমযান মাসে সাওম [রোজা] পালন করে এবং তারাবীহ্র নামাজ [নামায/নামাজ] আদায় করে আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে এবং সওয়াবের নিয়তে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
২২১০. নযর ইবনি শায়বান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি আবু সালামা ইবনি আব্দুর রহমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে বললামঃ আপনি আমার কাছে রমযান মাস সম্পর্কে যা আপনি আপনার পিতা থেকে শুনেছেন। আর আপনার পিতা তা রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে এমতাবস্হায় শুনিয়াছিলেন যে, আপনার পিতা এবং রসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-এর মাঝখানে অন্য আর কেউ ছিল না। তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, আমার পিতা আমার কাছে বর্ননা করিয়াছেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর রমযান মাসের সাওম [রোজা] ফরয করিয়াছেন এবং আমি তোমাদের জন্য তারাবীহ্র নামাজ [নামায/নামাজ] কে সুন্নাত করে দিয়েছি। অতএব যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার উপর দৃঢ় বিশ্বাস রেখে সওয়াবের নিয়তে রমযান মাসে সাওম [রোজা] পালন করে এবং তারাবীহ্র নামাজ [নামায/নামাজ] আদায় করে, সে স্বীয় গুনাহসমূহ থেকে সে দিনের মত পবিত্র হইয়া যায় যে দিন তার মাতা তাকে প্রসব করেছিল।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
১১.পরিচ্ছেদঃ সিয়াম পালনের ফযীলত, এ প্রসঙ্গে আলী ইবনি আবু তালিব [রাঃআঃ] সূত্রে বর্ণিত হাদীসে আবু ইসহাক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে বর্ণনাকারীদের বর্ণনায় পার্থক্য
২২১১. আলী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেছেন যে, আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ সাওম [রোজা] আমারই জন্য আর আমিই তার প্রতিদান দেব। সাওম [রোজা] পালনকারীর জন্য দুটি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে -যখন সে ইফতার করে এবং যখন সে তার রবের সাথে [আল্লাহ তাআলার] সাথে সাক্ষাৎ করিবে, ঐ সত্তার শপথ যাঁহার কুদরতী হস্তে আমার জীবন রয়েছে সাওম [রোজা] পালনকারীর [ক্ষুধাজনিত কারণে নির্শত] মুখের দূর্গ্নন্ধ আল্লাহ তাআলার নিকট মিশকের সুগন্ধি থেকে অধিক পছন্দনীয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
২২১২. আবুল আহওয়াস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] বলেছেন যে, আল্লাহ তাআলা বলেনঃ সাওম [রোজা] আমারই জন্য আর আমিই তার প্রতিদান দেব। সাওম [রোজা] পালনকারীর জন্য দুটি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে- একটি যখন সে তার রবের [প্রভুর] সাথে সাক্ষাৎ করিবে আর দ্বিতীয়টি তার ইফতারের সময়। আর সাওম [রোজা] পালনকারীর [ক্ষুধাজনিত কারণে নির্গত] মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহ তাআলার নিকট মিশকের সুগন্ধি থেকে অধিক পছন্দনীয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১২.পরিচ্ছেদঃ এ হাদিসের বর্ণনায় আবু সালিহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে বর্ণনাকারীদের বর্ণনা পার্থক্যের উল্লেখ
২২১৩. আবু সাইদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা বলেন যে, সাওম [রোজা] আমারই জন্য আর আমিই তার প্রতিদান দেব। সাওম [রোজা] পালনকারীর জন্য দুটি আনন্দের মুহূর্ত রয়েছে- সে যখন ইফতার করে আনন্দ লাভ করে আর সে যখন আল্লাহ তাআলার সাথে সাক্ষাৎ করিবে এবং আল্লাহ তাকে প্রতিদান দিবেন তখনও সে আনন্দ লাভ করিবে। ঐ সত্তার শপথ যাহার হাতে আমার জীবন, সাওম [রোজা] পালনকারীর মুখের দূর্গন্ধ আল্লাহ তাআলার নিকট মিশকের সুগন্ধি থেকে বেশী পছন্দনীয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২১৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন যে,১ [আল্লাহ বলেন] সাওম [রোজা] আমারই জন্য। আমিই তার প্রতিদান দেব। সাওম [রোজা] পালনকারীর জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে; ইফতারের সময় এবং আল্লাহ তাআলার সাথে সাক্ষাতের সময়। আর সাওম [রোজা] পালনকারীর [ক্ষুধাজনিত কারণে] নির্গত মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহ তাআলার নিকট কস্তূরীর সুগন্ধি থেকেও অধিক পছন্দনীয়।
১. এখানে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] আল্লাহর কথা বর্ণনা করিয়াছেন, যেহেতু হাদীসটি কুদসী হাদীস।রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২১৫. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যে কোন নেককাজ আদম সন্তান করে না কেন তার জন্য দশ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বর্ধিত করে সওয়াব লিপিবদ্ধ করা হয়। কিন্তু আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ সাওম [রোজা] ব্যতীত, যেহেতু সাওম [রোজা] আমারই জন্য এবং আমিই তার প্রতিদান দিব। সাওম [রোজা] পালনকারী আমারই কারণে স্বীয় কামভাব এবং পানাহার পরিত্যাগ করে। সাওম [রোজা] পালনকারীর জন্য সাওম [রোজা] ঢাল স্বরূপ। সাওম [রোজা] পালনকারীর জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে- তার ইফতারের সময় এবং তার রবের সাথে সাক্ষাতের সময়। আর সাওম [রোজা] পালনকারীর [ক্ষুধাজনিত কারণে নির্গত] মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহ তাআলার কাছে কস্তূরীর সুগন্ধি থেকেও অধিক পছন্দনীয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২১৬. আবু সালিহ যায়্যাত [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি আবু হুরাইরা [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন যে, বনী আদমের প্রত্যেক নেক কাজ তার নিজের জন্য [কেননা সব কাজের প্রতিদান তাকে দেওয়া হয়] কিন্তু সাওম [রোজা] আমারই জন্য [আল্লাহর জন্য] এবং আমিই নিজে [আল্লাহ নিজে] তার প্রতিদান দিব। আর সাওম [রোজা] ঢাল স্বরূপ। তোমাদের মধ্যে কেহ যখন সাওম [রোজা] পালন করে, তখন সে যেন অশ্লীল বাক্য ব্যবহার না করে এবং উচ্চস্বরে কথা না বলে ও কারো উপর রাগান্বিত না হয়। যদি কেউ তাকে গালি দেয় বা গায়ে পড়ে ঝগড়া করিতে আসে তখন সে যেন বলে, আমি সাওম [রোজা] পালন করছি। ঐ সত্তার শপথ যাহার পবিত্র হস্তে মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর প্রাণ, সাওম [রোজা] পালনকারীর [ক্ষুধাজনিত কারণে] মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহ তাআলার কাছে কস্তূরীর সুগন্ধি থেকেও অধিক পছন্দনীয় হইবে। সাওম [রোজা] পালনকারীর জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে- যাহার দ্বারা সে আনন্দিত হইবে। স্বীয় ইফতারের সময় সে আনন্দিত হইবে এবং তার রবের সাথে সাক্ষাত করার সময় তার সাওম [রোজা] পালনের কারণে আনন্দিত হইবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২১৭. আতা যায়্যাত [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি আবু হুরাইরা [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা বলেনঃ বনী আদমের প্রত্যেক নেক কাজ তারই। [কেননা নেক কাজের প্রতিদান তাকে দিয়ে দেওয়া হয়]। কিন্তু সাওম [রোজা] একমাত্র আমারই জন্য এবং আমিই নিজে তার প্রতিদান দিব। আর সাওম [রোজা] ঢাল স্বরূপ। তোমাদের মধ্যে কেও যখন সাওম [রোজা] পালন করে, তখন সে যেন অম্লীল বাক্য ব্যবহার না করে এবং উচ্চস্বরে কথা না বলে ও কারো উপর রাগান্বিত না হয়। যদি কেউ তাকে গালি দেয় বা গায়ে পড়ে ঝগড়া করিতে আসে তখন সে যেন বলে, আমি সাওম [রোজা] পালন করছি। ঐ সত্তার শপথ যাহার পবিত্র হস্তে মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর জীবন, আল্লাহ তাআলার নিকট সাওম [রোজা] পালনকারীর [ক্ষুধাজনিত কারণে নির্গত] মুখের দুর্গন্ধ কস্তূরীর সুগন্ধি থেকেও অধিক পছন্দনীয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২১৮. সাঈদ ইবনি মুসায়্যাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] বলেছেন যে, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ আল্লাহ তাআলা বলেনঃ বনী আদমের প্রত্যেক নেক কাজ তার নিজের। [কেননা সব নেক কাজের প্রতিদান তাকে দিয়ে দেওয়া হয়] কিন্তু সাওম [রোজা] ; একমাত্র আমারই জন্য এবং আমিই নিজে তার প্রতিদান দিব। ঐ সত্তার শপথ যাহার পবিত্র হস্তে মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর জীবন, সাওম [রোজা] পালনকারীর [ক্ষুধাজনিত কারণে নির্গত] মুখের দু্র্গন্ধ আল্লাহ তাআলার নিকট কস্তূরীর সুগন্ধি থেকেও অধিক পছন্দনীয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২১৯. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ [আল্লাহ বলেন] বনী আদম যে নেক কাজ করে তাকে তার দশ গুণ প্রতিদান দেওয়া হয়। কিন্তু সাওম [রোজা] আমারই জন্য এবং আমি নিজেই তার প্রতিদান দিব।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৩.পরিচ্ছেদঃ সাওম [রোজা] পালনকারীর ফযীলত সম্পর্কে আবু উসামা [রাঃআঃ]-এর হাদীসে মুহাম্মদ ইবনি আবু ইয়াকূব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে বর্ণনাকারীদের বর্ণনা পার্থক্য উল্লেখ
২২২০. আবু উমামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, আমি একবার রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে এসে বললামঃ আমাকে এমন একটি ইবাদাতের নির্দেশ দিন যা আমি আপনার নির্দেশ ক্রমে পালন করব। তিনি বললেনঃ তুমি সাওম [রোজা] কে আঁকড়ে ধর যেহেতু এর কোন বিকল্প নাই।১
১. যেহেতু সাওমের দ্বারা আত্মসংযমের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জিত হয়। তাকওয়ার অধিকারী মুত্তাকী ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে সম্মানিত। আল্লাহ বলেনঃ [আর-বী আছে] তোমাদের মধ্যে যে বেশি মুত্তাকী সে আল্লাহর কাছে বেশি সম্মানিত। রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২২১. আবু উমামা বাহিলিী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বললামঃ ইয়া রসুলুল্লাহ! আমাকে এমন একটি ইবাদাতের নির্দেশ দিন যা দ্বারা আল্লাহ আমার উপকার করবেন। তিনি বললেনঃ তুমি সাওমকে [রোজাকে][রোজা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম] আঁকড়ে ধর, যেহেতু এর কোন বিকল্প নাই।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২২২. আবু উমামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে প্রশ্ন করেছিলেন, কোন ইবাদাত সর্বোত্তম? রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ তুমি সাওম [রোজা] -কে আঁকড়ে ধর, যেহেতু সাওম [রোজা]-এর কোন বিকল্প নাই।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২২৩. আবু উমামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, আমি বললাম যে, ইয়া রসুলুল্লাহ! আমাকে কোন একটি আমলের নির্দেশ দিন। তিনি বলিলেন, তুমি সাওম [রোজা]-কে আঁকড়ে ধর যেহেতু সাওম [রোজা]-এর কোন বিকল্প নাই। [এ একটি অদ্বিতীয় ইবাদত]।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২২৪. মুআয ইবনি জাবাল [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, সাওম [রোজা] ঢাল স্বরূপ।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২২৫. মুআয ইবনি জাবাল [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, সাওম [রোজা] ঢাল স্বরপ।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
২২২৬. মুআয [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সাওম [রোজা] ঢাল স্বরূপ।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ লিগাইরিহি
২২২৭. আবু সালিহ যায়্যাত [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
অনুরুপ হাদীস বর্ণিত।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ নির্ণীত নয়
২২২৮. আবু সালিহ যায়্যাত [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি আবু হুরাইরা [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সাওম [রোজা] ঢাল স্বরূপ।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২২৯. আতা যায়্যাত [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি আবু হুরাইরা [রাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেনঃ রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সাওম [রোজা] ঢাল স্বরূপ।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২৩০. সাঈদ ইবনি আবু হিন্দ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
আমির ইবনি সাঅসাআ গোত্রের মুতাররিফ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] নামক জনৈক ব্যক্তি বর্ননা করিয়াছেন যে, উছমান ইবনি আবুল আস [রাঃআঃ] তাকে পান করাবার জন্য দুধ আনালে তিনি বলিলেন যে, আমি সাওম [রোজা] পালন করছি। তখন উছমান [রাঃআঃ] বললেনঃ আমি রসুলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম]-কে বলিতে শুনিয়াছি যে, সাওম [রোজা] ঢাল স্বরূপ, তোমাদের যুদ্ধে ব্যবহৃত ঢালের ন্যায়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২৩১. মুতারবিফ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, আমি উছমান ইবনি আবুল আস [রাঃআঃ]-এর কাছে গেলে তিনি আমার জন্য দুধ আনালেন। তখন আমি বললাম, আমি তো সাওম [রোজা] পালন করছি। তিনি বলিলেন যে, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি, সাওম [রোজা] জাহান্নামের অগ্নি থেকে ঢালস্বরূপ, তোমাদের যুদ্ধে ব্যবহৃত ঢালের ন্যায়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২৩২. যাকারিয়্যা ইবনি ইয়াহইয়া [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
অনুরুপ হাদীস বর্ণিত আছে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
২২৩৩. ইয়াদ ইবনি গুতায়ফ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
আবু উবায়দা [রাঃআঃ] বলেছেন যে, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ সাওম [রোজা] ঢালস্বরূপ যতক্ষন পর্যন্ত ভেঙ্গে না ফেলে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ জইফ হাদীস
২২৩৪. আয়েশা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সাওম [রোজা] জাহান্নামের অগ্নি থেকে ঢালস্বরূপ। তাই যে ব্যক্তি সাওম [রোজা] পালনরত অবস্থায় যাহার ভোর হয় সে যেন অজ্ঞ ব্যক্তির ন্যায় ব্যাবহার না করে। অন্য কেউ যদি তার সাথে অজ্ঞ ব্যক্তির ন্যায় আচরণ করে তবে সে যেন তার সাথে অশ্লীল বাক্য ব্যবহার না করে এবং গালি না দেয়। বরং বলে যে, আমি সাওম [রোজা] পালন করছি। ঐ সত্তার শপথ যাহার হস্তে মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর জীবন, সাওম [রোজা] পালনকারীর [ক্ষুধাজনিত কারণে নির্গত] মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহ তাআলার নিকট কস্তৃরীর সুগন্ধি থেকেও অধিক পছন্দনীয়।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২৩৫. আবু উবায়দা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ সাওম [রোজা] ঢালস্বরূপ যতক্ষণ পর্যন্ত সে তা ভেঙ্গে না ফেলে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ মাকতু
২২৩৬. সাহ্ল ইবনি সাদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন যে, সাওম [রোজা] পালনকারীদের জন্য জান্নাতে একটি দরজা রয়েছে যাকে রায়্যান বলা হয়, সে দরজা দিয়ে সাওম [রোজা] পালনকারীগণ ব্যতীত অন্য কেউ প্রবেশ করিতে পারবে না। যখন তাহাদের শেষ ব্যক্তি প্রবেশ করে ফেলবে, সে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হইবে। যে ব্যক্তি সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করিবে সে পানি পান করিবে আর যে পানি পান করিবে সে কখনো তৃষ্ণার্ত হইবে না।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২৩৭. আবু হাকিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সাহ্ল আমার কাছে বর্ণনা করিয়াছেন যে, নিশ্চয়ই জান্নাতে একটি দরজা আছে যাকে রায়্যান বলা হয়। কিয়ামতের দিন বলা হইবে কোথায় সাওম [রোজা] পালনকারীরা? তোমরা কেন রায়্যান এর দিকে আসছ না? যে ব্যক্তি সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করিবে সে কখনো তৃষ্ণার্ত হইবে না। যখন সাওম [রোজা] পালনকারীরা প্রবেশ করে ফেলবে সে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হইবে। অতএব সে দরজা দিয়ে সাওম [রোজা] পালনকারীগণ ব্যতীত অন্য কেউ প্রবেশ করিতে পারবে না।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
২২৩৮. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় এক জোড়া [ভাল জিনিস] দান করিবে তাকে কিয়ামতের দিন ডাকা হইবে, হে আল্লাহর বান্দা! তোমার এ দানটা কতই না ভালো। যে ব্যক্তি নামাজ [নামায/নামাজ] আদায়ে অভ্যস্ত হইবে তাকে সালাতের দরজা দিয়ে ডাকা হইবে, আর যে ব্যক্তি জিহাদে অভ্যস্ত হইবে তাকে জিহাদের দরজা দিয়ে ডাকা হইবে যে ব্যক্তি দান খয়রাতে অভ্যন্ত হইবে তাকে দান খয়রাতের দরজা দিয়ে ডাকা হইবে আর যে ব্যক্তি সাওম [রোজা] পালনে অভ্যস্ত হইবে তাকে রায়্যান নামক দরজা দিয়ে ডাকা হইবে। তখন আবু বকর সিদ্দিক [রাঃআঃ] বলিলেন, ইয়া রসুলুল্লাহ! কাউকে এক যোগে এই সমুদয় দরুজা দিয়ে ডাকার কোন প্রয়োজন নেই। তাই কাউকে কি এই সমুদয় দরজা দিয়ে এক যোগে ডাকা হইবে? রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, হ্যাঁ এবং আমি আশা করি যে, আপনি সেই সৌভাগ্যবান ব্যক্তিদের অন্যতম হইবেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২৩৯. আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, আমরা রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] সাথে একবার বের হলাম; তখন আমরা যুবক ছিলাম কিন্তু আমাদের বিবাহের সামর্থ্য ছিল না। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, হে যুবক শ্রেণী! তোমরা বিবাহ করে ফেল। কেননা তা দৃষ্টিকে অবনত রাখে আর লজ্জাস্থানের সংরক্ষণ করে। আর যে ব্যক্তি বিবাহের সামর্থ্য রাখে না সে যেন সাওম [রোজা] পালন করে। কেননা সাওম [রোজা] তার কামভাব দমন করিবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২৪০. আলকামা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
ইবনি মাসঊদ [রাঃআঃ] একদা আরাফাতে উছমান [রাঃআঃ]–এর সাথে সাক্ষাৎ করিলেন। তিনি ইবনি মাসঊদ [রাঃআঃ] কে নির্জনে নিয়ে গিয়ে বলিলেন যে, তোমার কি কোন যুবর্তীর প্রয়োজন আছে যাকে আমি তোমার সাথে বিবাহ দিয়ে দিব? তখন আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ] আলকামা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে ডেকে তার কাছে বর্ণনা করিলেন যে, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি বিবাহের সামর্থ্য রাখে সে যেন বিবাহ করে ফেলে। কেননা বিবাহ দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং লজ্জাস্হানকে সংরক্ষন করে। আর যে ব্যক্তি বিবাহের সামর্থ্য রাখে না সে যেন সাওম [রোজা] পালন করে, যেহেতু সাওম [রোজা] তার কামভাব দমনকারী।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২৪১. আব্দুলাহ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন যে, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি বিবাহের সামর্থ্য রাখে সে যেন বিবাহ করে আর যে ব্যক্তি বিবাহের সামর্থ্য না রাখে সে যেন সাওম [রোজা] পালন করে। কেননা সাওম [রোজা] তার কামভাবকে দমন করিবে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২৪২. আব্দুর রহমান ইবনি ইয়াযীদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, আমরা আব্দুল্লাহ [রাঃআঃ]-এর কাছে গেলাম। তখন আমাদের সাথে আলকামা, আসওয়াদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এবং একজন লোক ছিলেন। তিনি আমাদের সামনে এমন একটি হাদীস বর্ণনা করিলেন, যা আমার ধারণায়, উপস্থিত লোকদের নয় বরং আমাকেই উপলক্ষ করে বর্ণনা করিলেন। যেহেতু আমি উপস্থিত লোকদের মধ্যে কম বয়সের ছিলাম। রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন যে, হে যুবক শ্রেণী! তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি বিবাহের সামর্থ রাখে সে যেন বিবাহ করে, যেহেতু বিবাহ দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং লজ্জাস্হানকে সংরক্ষণ করে।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২৪৩. আলকামা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমি ইবনি মাসঊদ [রাঃআঃ]-এর সাথে বসা ছিলাম। তিনি তখন উসমান [বা]-এর কাছে ছিলেন। উসমান [রাঃআঃ] বলিলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] কয়েকজন যুবকের কাছে গেলেন এবং বলিলেন যে, তোমাদের মধ্যে যাহার সামর্থ্য রয়েছে সে যেন বিবাহ করে ফেলে। কেননা বিবাহ দূষ্টিকে অবনত রাখে এবং লজ্জাস্হানকে সংরক্ষণ করে। আর যাহার সামর্থ্য নেই, সাওম [রোজা] তার কামভাবকে দমন করিবে। আবু আব্দুর রহমান নাসায়ী বলেন, অত্র হাদিসের অন্যতম রাবী আবু মাশার-এর নাম যিয়াদ ইবনি কুলায়ব। তিনি নির্ভরযোগ্য এবং ইবরাহীমের ছাত্র; তার থেকে মানসূর, মুগীরা এবং শুবা রিওয়ায়াত করিয়াছেন। অপরদিকে আবু মাশার মাদানীর নাম নূজায়হ, তিনি দুর্বল।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৪.পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি মহান আল্লাহর রাস্তায় একদিন সাওম [রোজা] পালন করলো তার সওয়াব এ বিষয়ে হাদীস বর্ণনায় সুহায়ল ইবনি আবু সালিহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে বর্ণনা পার্থক্য প্রসঙ্গ
২২৪৪. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন সাওম [রোজা] পালন করিবে আল্লাহ তাআলা সেই একদিনের সাওমের বিনিময়ে তার চেহারাকে জাহান্নামের আগুন থেকে সত্তর বছরের দূরে সরিয়ে রাখবেন। [অর্থাৎ তার চেহারা জাহান্নাম থেকে বহু দুরে থাকিবে।]
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২৪৫. আবু সাইদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন সাওম [রোজা] পালন করিবে আল্লাহ তাআলা সেই একদিনের সাওমের বিনিময়ে তার জাহান্নামের মাঝ খানে সত্তর বছরের দুরত্ব করে দেবেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২৪৬. আবু হুরাইরা [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন সাওম [রোজা] পালন করিবে আল্লাহ তাআলা তার চেহারাকে জাহান্নামের আগুন থেকে সত্তর বছরের দূরে সরিয়ে রাখবেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২৪৭. আবু সাইদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন সাওম [রোজা] পালন করিবে আল্লাহ তাআলা তার চেহারাকে জাহান্নামের আগুন থেকে সত্তর বছরের দুরত্বে সরিয়ে রাখবেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২৪৮. আবু সাইদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন সাওম [রোজা] পালন করিবে আল্লাহ তাআলা সেই সাওমের বিনিময়ে তার চেহারাকে জাহান্নামের আগুন থেকে সত্তর বছরের দূরত্বে সরিয়ে রাখবেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২৪৯. আবু সাইদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন সাওম [রোজা] পালন করিবে আল্লাহ তাআলা তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে সত্তর বছরের দূরত্বে সরিয়ে রাখবেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২৫০. আবু সাইদ খূদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন সাওম [রোজা] পালন করিবে আল্লাহ তাআলা তার চেহারাকে জাহান্নামের আগুন থেকে সত্তর বছারের দূরে সরিয়ে রাখবেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
১৫.পরিচ্ছেদঃ এ বিষয়ে সুফিয়ান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে হাদীস বর্ণনায় বর্ণনা পার্থক্য
২২৫১. আবু সাইদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে কোন ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন সাওম [রোজা] পালন করিবে আল্লাহ তাআলা সেই সাওমের বিনিময়ে তার চেহারাকে জাহান্নামের আগুন থেকে সত্তর বছরের দূরত্বে সরিয়ে রাখবেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২৫২. আবু সাইদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী [সাঃআঃ] থেকে বর্নিত। তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন সাওম [রোজা] পালন করিবে আল্লাহ তাআলা সেই সাওমের বিনিময়ে তার চেহারা থেকে জাহান্নামের উত্তাপকে সত্তর বছরের দূরত্বে সরিয়ে রাখবেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২৫৩. আবু সাইদ খুদরী [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন সাওম [রোজা] পালন করিবে আল্লাহ তাআলা সেই সাওমের বিনিময়ে তার চেহারা থেকে জাহান্নামকে সত্তর বছরের দূরত্বে সরিয়ে রাখবেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ সহীহ হাদীস
২২৫৪. উকবা ইবনি আমির [রাঃআঃ] হইতে বর্ণিতঃ
রসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একদিন সাওম [রোজা] পালন করিবে আল্লাহ তাআলা তার থেকে জাহান্নামকে একশত বছরের দুরত্বে সরিয়ে রাখবেন।
রোজার ফজিলত ও বর্ণনা হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদীস
Leave a Reply