রোজার পবিত্র করা

রোজার পবিত্র করা

রোজার পবিত্র করা >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ৭, অধ্যায়ঃ ৩

  • অধ্যায়ঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

অধ্যায়ঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ

১৯৯৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি [সিয়ামরত অবস্থায়] মিথ্যা কথা বলা ও এর উপর আমাল করা ছেড়ে না দেয়, তার পানাহার ত্যাগ করায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই। [বোখারী]{১}

{১} সহীহ : বোখারী ১৯০৩, আবু দাউদ ২৩৬২, তিরমিজি ৭০৭, ইবনি মাজাহ ১৬৮৯, আহমাদ ১০৫৬২, ইবনি খুযায়মাহ্ ১৯৯৫, ইবনি হিববান ৩৪৮০, সহীহ আত তারগীব ১০৭৯, সহীহ আল জামি ৬৫৩৯। রোজার পবিত্র -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২০০০. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওমরত অবস্থায় [নিজের স্ত্রীদেরকে] চুমু খেতেন এবং [তাদেরকে] নিজের শরীরের সাথে মিশিয়ে ধরতেন। কেননা তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] প্রয়োজনে নিজেকে তোমাদের চেয়ে অনেক বেশী নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমর্থ ছিলেন।{১}

{১} সহীহ : বোখারী ১৯২৭, মুসলিম ১১০৬, তিরমিজি ৭২৯, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক্ব ৭৪৪১, আহমাদ ২৪১৩০, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮০৭৬। রোজার পবিত্র -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২০০১. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাযান [রমজান] মাসে ভোর পর্যন্ত অপবিত্র অবস্থায় থাকতেন। এ অপবিত্রতা স্বপ্নদোষের কারণে নয়। এরপর তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] গোসল করিতেন ও সওম পালন করিতেন।{১}

{১} সহীহ : বোখারী ১৯৩০, মুসলিম ১১০৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৭৯৯৪। রোজার পবিত্র -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২০০২. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন। ঠিক এভাবে তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] সায়িম অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন।{১}

{১} সহীহ : বোখারী ১৯৩৮, মুসলিম ১২০২, ইরওয়া ৯৩২। রোজার পবিত্র -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২০০৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সওম অবস্থায় ভুলে কিছু খেয়ে বা পান করে ফেলে, সে যেন সওম পূর্ণ করে। কেননা এ খাওয়ানো ও পান করানো আল্লাহর তরফ থেকেই হয়ে থাকে। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ১৯৩৩, মুসলিম ১৯৫৫, ইবনি মাজাহ ১৬৭৩, আহমাদ ৯১৩৬, ১০৩৬৯, দারিমী ১৭৬৭, ইবনি খুযায়মাহ্ ১৯৮৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮০৭১, ইবনি হিববান ৩৫১৯, আবু দাউদ ২৩৯৮, ইরওয়া ৯৩৮, সহীহ আল জামি ৬৫৭৩। রোজার পবিত্র -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২০০৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা এক সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে বসেছিলাম। হঠাৎ করে এক ব্যক্তি [সালামাহ্ ইবনি সাখর আল বায়াযী] তাহাঁর কাছে হাযির হলো ও বলিতে লাগল, হে আল্লাহর রসূল! আমি ধ্বংস হয়ে গেছি! তিনি বললেন, তোমার কি হয়েছে? সে বলিল, আমি সওমরত অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করে বসেছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার কি কোন গোলাম আছে যাকে তুমি মুক্ত করে দিতে পার? লোকটি বলিল, না। তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, তুমি কি একাধারে দু মাস সিয়াম পালন করিতে পারবে? সে বলিল, না। তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, তুমি কি ষাটজন মিসকীনকে খাওয়াতে পারবে? সে বলিল, না। তখন তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেনঃ তুমি বসো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও এখানে কিছুক্ষণ বসে রইলেন। ঠিক এ সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট একটি আরাক নিয়ে আসা হলো। এতে ছিল খেজুর।

আরাক একটি বড় ভাণ্ড বা গাঁইটকে বলা হয় [যা খেজুরের পাতা দিয়ে তৈরি; এতে ষাট থেকে আশি সের পর্যন্ত খেজুর ধরে]। এটা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ প্রশ্নকারী কোথায়? লোকটি বলিল, এই তো আমি। তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, এটি নিয়ে নাও। এগুলো সদাকাহ্ করে দাও। লোকটি বলিল, হে আল্লাহর রসূল! আমি কি এগুলো আমার চেয়েও গরীবকে দান করব? আল্লাহর কসম, মাদীনার উভয় প্রান্তে এমন কোন পরিবার নেই, যারা আমার পরিবারের চেয়ে বেশী অভাবী। মাদীনার উভয় প্রান্ত বলিতে সে দুটি কঙ্করময় এলাকা বুঝিয়েছে। [তার কথা শুনে] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে ফেললেন। এমনকি তাহাঁর সামনের পাটির দাঁতগুলো দেখা গেল। তারপর তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, আচ্ছা এ খেজুরগুলো তোমার পরিবার-পরিজনকে খাওয়াও। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ১৯৩৬, ৬৭০৯, ৬৭১১, মুসলিম ১১১১, আবু দাউদ ২৩৯০, তিরমিজি ৭২৪, ইবনি মাজাহ ১৬৭১, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৯৭৮৬, আহমাদ ৭২৯০, ইবনি খুযায়মাহ্ ১৯৪৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮০৪০, ইরওয়া ৯৩৯। রোজার পবিত্র -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

অধ্যায়ঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

২০০৫. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সায়িম অবস্থায় চুমু খেতেন এবং তিনি তাহাঁর জিহবা লেহন করিতেন। \{১}

{১} জইফ : আবু দাউদ ২৩৮৬, আহমাদ ২৪৯১৬, ইবনি খুযায়মাহ্ ২০০৩, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮১০২। কারণ এর সানাদে মুহাম্মাদ ইবনি দীনার এবং সাঈদ ইবনি আওস দুজনই দুর্বল রাবী। আর মিসদা মাজহূলুল হাল। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

২০০৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সায়িম অবস্থায় স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিলেন। তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তাকে তা করার অনুমতি দিলেন। এরপর আরো এক ব্যক্তি এসে তাঁকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। এ ব্যক্তিকে তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] তা করিতে নিষেধ করিলেন। যাকে তিনি অনুমতি দিয়েছিলেন সে ছিল বৃদ্ধ। আর যাকে নিষেধ করেছিলেন সে ছিল যুবক। {১}

{১} হাসান সহীহ : আবু দাউদ ২৩৮৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮০৮৩। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান সহীহ

২০০৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তির সায়িম অবস্থায় [অনিচ্ছায়] বমি হবে তার সওম কাযা করিতে হবে না। আর যে ব্যক্তি গলার ভিতর আঙ্গুল বা অন্য কিছু ঢুকিয়ে দিয়ে ইচ্ছাকৃত বমি করিবে তাকে কাযা আদায় করিতে হবে। [তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনি মাজাহ, দারিমী। ঈমাম তিরমিজি বলেন, হাদিসটি গরীব। কারণ ঈসা ইবনি ইউনুস ছাড়া এ হাদিসটি আর কারো বর্ণনায় রয়েছে তা আমরা জানি না। ঈমাম বোখারীও এ হাদিসটিকে মাহফূয {সংরক্ষিত] মনে করেন না, অর্থাৎ- হাদিসটি মুনকার।]{১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ২৩৮০, তিরমিজি ৭২০, ইবনি মাজাহ ১৬৭৬, আহমাদ ১০৪৬৩, দারাকুত্বনী ২২৭৬, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৫৫৭, ইবনি হিব্বান ৩৫১৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮০২৭, ইরওয়া ৯৩০, সহীহ আল জামি ৬২৪৩। রোজার পবিত্র -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২০০৮. মাদান ইবনি তালহা [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

{১} সহীহ : আবু দাউদ ২৩৮১, তিরমিজি ৮৭, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৯২০১, আহমাদ ২১৭০১, দারিমী ১৭৬৯, ইবনি খুযায়মাহ্ ১৯৫৬, দারাকুত্বনী ৫৯০, ইবনি হিববান ১০৯৭। রোজার পবিত্র -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২০০৯. আমির ইবনি রবীআহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

{১} জইফ : আবু দাউদ ২৩৬২, তিরমিজি ৭২৫, আহমাদ ১৫৬৭৪, দারাকুত্বনী ২৩৬৮, ইরওয়া ৬৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৩২৫। কারণ এর সানাদে আসিম ইবনি উবায়দুল্লাহ্ একজন দুর্বল রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

২০১০. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললেন, আমার চোখে অসুখ। এ কারণে আমি কি সায়িম অবস্থায় চোখে সুরমা লাগাতে পারি? তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, হ্যাঁ। [তিরমিজি; তিনি বলেন, এ হাদিসের সানাদ মজবুত নয়। আর এক বর্ণনাকারী আবু আতিকাহ্-কে দুর্বল মনে করা হয়।]{১}

{১} সানাদ জইফ : তিরমিজি ৭২৬। কারণ আবু আতিকহ্ একজন দুর্বল রাবী যেমনটি ঈমাম তিরমিজি [রাহিমাহুল্লাহ] বলেছেন। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

২০১১. সাহাবী হইতে বর্ণীতঃ

একজন সাহাবী বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আরজ-এ [মক্কা মাদীনার মাঝখানে একটি জায়গার নাম] সায়িম অবস্থায় পিপাসা দমনের জন্য অথবা গরম কমানোর জন্য মাথায় পানি ঢালতে দেখেছি। {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ২৩৬৫, মুয়াত্ত্বা মালিক ১০৩২, আহমাদ ১৫৯০৩। রোজার পবিত্র -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২০১২. শাদ্দাদ ইবনি আওস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রমাযান [রমজান] মাসের আঠার তারিখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাক্বীতে [মাদীনার কবরস্থানে] এমন এক লোকের কাছে আসলেন, যে শিঙ্গা লাগাচ্ছিল। এ সময় তিনি আমার হাত ধরেছিলেন। তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, যে শিঙ্গা লাগায় ও যে শিঙ্গা দেয় উভয়েই নিজেদের সওম ভেঙ্গে ফেলেছে। {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ২৩৬৯, তিরমিজি ৭৭৪, ইবনি মাজাহ ১৬৮১, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক্ব ৭৫২০, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৯৩০০, আহমাদ ১৭১২৪, দারিমী ১৭৭১, মুজামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৭১২৫, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৫৬৩, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮২৮২, ইরওয়া ৯৩১, সহীহ আল জামি ১১৩৬। রোজার পবিত্র -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২০১৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন শারঈ কারণ কিংবা কোন রোগ ছাড়া রমাযানের কোনদিন ইচ্ছা করে সওম পালন না করে, তাহলে সারা জীবন সওম রেখেও তার কাযা আদায় হবে না।

[আহমদ, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনি মাজাহ, দারিমী, তারজামাতুল বাব, বোখারী। ঈমাম তিরমিজি বলেন, আমি মুহাম্মাদ অর্থাৎ- ঈমাম বোখারীকে বলিতে শুনিয়াছি, আবুল মুত্বও্য়িস নামক রাবী এ হাদিস ছাড়া অন্য কোন হাদিস বর্ণনা করিয়াছেন বলে জানি না।]{১}; {১} জইফ : আবু দাউদ ২৩৯৬, তিরমিজি ৭২৩, ইবনি মাজাহ ১৬৭২, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক্ব ৭৪৭৫, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৯৭৮৪, আহমাদ ১০০৮০, দারিমী ১৭৫৬, জইফ আল জামি ৫৪৬২। কারণ এর সানাদে ইবনুল মুত্বওয়িস একজন মাজহূল রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

২০১৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অনেক সায়িম এমন আছে যারা তাদের সওম দ্বারা ক্ষুধার্ত থাকা ছাড়া আর কোন ফল লাভ করিতে পারে না। এমন অনেক কিয়ামরত [দন্ডায়মান] ব্যক্তি আছে যাদের রাতের ইবাদাত নিশি জাগরণ ছাড়া আর কোন ফল আনতে পারে না। {১}

{১} হাসান সহীহ : ইবনি মাজাহ ১৬৯১, দারিমী ২৭৬২। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান সহীহ

অধ্যায়ঃ ৩. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

২০১৫. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিনটি জিনিস সায়িমের সওম ভঙ্গ করে না। শিঙ্গা, বমি ও স্বপ্নদোষ।

[তিরমিজি; তিনি বলেন, এ হাদিসটি ত্রুটিমুক্ত নয়। এর একজন বর্ণনাকারী আবদুর রহমন ইবনি যায়দকে হাদিস সম্পর্কে দুর্বল হিসেবে গণ্য করা হয়।]{১}; {১} জইফ : তিরমিজি ৭১৯, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৯৩১৬, জইফ আল জামি ২৫৬৭। কারণ এর সানাদে আবদুর রহমান ইবনি যায়দ ইবনি আসলাম একজন দুর্বল রাবী যেমনটি ঈমাম বোখারী [রাহিমাহুল্লাহ] তার উস্তায আলী ইবনি মাদীনী হইতে উল্লেখ করিয়াছেন। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

২০১৬. সাবিত আল বুনানী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আপনারা কী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সময়ে সায়িমকে শিঙ্গা দেয়া মাকরূহ মনে করিতেন? তিনি বলেন, না; তবে দুর্বল আশংকা থাকলে। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ১৯৪০, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮২৬৫। রোজার পবিত্র -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

২০১৭. ঈমাম বোখারী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

বর্ণনা করিয়াছেন যে, ইবনি উমার [প্রথম প্রথম] সায়িম অবস্থায় [শরীরে] শিঙ্গা লাগাতেন। কিন্তু পরে তিনি তা ত্যাগ করেন। তবে রাতের বেলা তিনি শিঙ্গা লাগাতেন।{১}

{১} ঈমাম বোখারী [রাহিমাহুল্লাহ] তাহাঁর [بَابُ الحِجَامَةِ وَالقَيْءِ لِلصَّائِمِ] সায়িমের শিঙ্গা লাগানো এবং বমন [বমি] করা অধ্যায়ে সানাদবিহীন অবস্থায় এটি বর্ণনা করিয়াছেন। সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৩০৪। এই হাদিসটির তাহকীকঃ নির্ণীত নয়

২০১৮. আত্বা [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, সায়িম [রোযাদার] ব্যক্তি কুলি করে মুখ থেকে পানি ফেলে দেয় আর তার মুখের থুথু বা পানির অবশিষ্টাংশ যা থেকে যায় তাতে সওমের কোন ক্ষতি হবে না। আর কোন ব্যক্তি যেন চুইংগাম না চিবায়। যদি চিবানোর কারণে তার রস গিলে ফেলে, তাহলে তার ক্ষেত্রে আমি বলিনি যে, সে সওম ভঙ্গ করিল, বরং তা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। {১}

{১} ঈমাম বোখারী এ বর্ণনাটি তাহাঁর তারজামাতুল বাব-এ নিয়ে এসেছেন। অধ্যায়টি হলো- [بَابُ قَوْلِ النَّبِيِّ ﷺ إِذَا تَوَضَّأَ، فَلْيَسْتَنْشِقْ بِمَنْخِرِهِ المَاءَ وَلَمْ يُمَيِّزْ بَيْنَ الصَّائِمِ وَغَيْرِه].এই হাদিসটির তাহকীকঃ নির্ণীত নয়


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply