রোগ-ব্যাধি বা অন্য কোন অক্ষমতার কারণে শর্তসাপেক্ষে ইহরাম খুলে ফেলা জায়িয
রোগ-ব্যাধি বা অন্য কোন অক্ষমতার কারণে শর্তসাপেক্ষে ইহরাম খুলে ফেলা জায়িয >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
১০. অধ্যায়ঃ কোন অসুবিধার কারনে ইহরাম অবস্থায় মাথা কামানো জায়িয, মাথা কামালে ফিদ্ইয়াহ্ দেয়া ওয়াজিব এবং ফিদ্ইয়ার পরিমাণ
১১. অধ্যায়ঃ ইহরাম অবস্থায় শিঙ্গা লাগানো জায়িয
১২. অধ্যায়ঃ ইহরাম অবস্থায় চোখের চিকিৎসা করানো জায়িয
১৩. অধ্যায়ঃ মুহরিম ব্যক্তির জন্য শরীর ও মাথা ধৌত করা জায়িয
১৪. অধ্যায়ঃ ইহরাম অবস্থায় মারা গেলে তার বিধান
১৫. অধ্যায়ঃ রোগ-ব্যাধি বা অন্য কোন অক্ষমতার কারণে শর্তসাপেক্ষে ইহরাম খুলে ফেলা জায়িয
১৬. অধ্যায়ঃ হায়য-নিফাস অবস্থায় ইহরাম বাঁধা জায়িয এবং ইহরাম বাঁধার পূর্বে গোসল করা মুস্তাহাব
১০. অধ্যায়ঃ কোন অসুবিধার কারনে ইহরাম অবস্থায় মাথা কামানো জায়িয, মাথা কামালে ফিদ্ইয়াহ্ দেয়া ওয়াজিব এবং ফিদ্ইয়ার পরিমাণ
২৭৬৭. কাব ইবনি উজরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, হুদায়বিয়ার সময় রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আমার কাছে এলেন এবং আমি তখন চুলায় আমার হাঁড়ি বা পাতিলের নীচে আগুন জ্বালাচ্ছিলাম-আর উকুন আমার চেহারার উপর গড়িয়ে পড়ছিল। নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলিলেন, তোমার মাথার পোকাগুলো কি তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে? আমি বললাম, হ্যা। তিনি বলিলেন, তাহলে মাথা মুড়িয়ে ফেল এবং তিনদিন সওম পালন কর অথবা ছয়জন মিসকিনকে আহার করাও অথবা একটি কুরবানী কর। আইয়ূব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমার মনে নেই তিনি [মুজাহিদ] কোন্ শব্দটি আগে বলেছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৪৪, ইসলামিক সেন্টার-২৭৪২]
২৭৬৮. আইয়ূব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে এ সানাদ হইতে বর্ণীতঃ
সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৪৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৪৩]
২৭৬৯. কাব ইবনি উজরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমার সম্পর্কে নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হয়েছে,
فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ بِهِ أَذًى مِنْ رَأْسِهِ فَفِدْيَةٌ مِنْ صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍ
“তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রোগাক্রান্ত হইবে অথবা যার মাথায় কোন অসুখ হইবে এবং এ কারণে সে মাথা মুড়িয়ে ফেলে, তবে তাকে ফিদ্ইয়্যাহ্ হিসেবে সওম পালন করিতে হইবে অথবা সদাক্বাহ্ দিতে হইবে অথবা কুরবানী করিতে হইবে”- [সূরাহ আল বাকারাদি. ১৯৬]।
রাবী বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর নিকট এলাম এবং তিনি বলিলেন, আরও নিকটে আসো। অতএব আমি নিকটবর্তী হলাম এবং তিনি বলিলেন, পোকাগুলো কি তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে?
ইবনি আওন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] [নিজস্ব সূত্র পরম্পরায়] বলেন, আমার মনে হয় তিনি বলেছিলেন, হ্যাঁ। কাব [রাদি.] বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আমাকে সওম অথবা সদাক্বাহ্ কর ছয়জন মিসকীনের মাঝে এক ফারাক্ব [তিন সা] পরিমাণ, অথবা সহজলভ্য হলে কুরবানীর মাধ্যমে ফিদ্ইয়্যাহ্ আদায়ের নির্দেশ দিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৪৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৪৪]
২৭৭০. কাব ইবনি উজরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তার নিকট দাঁড়ালেন এবং তখন তার মাথা থেকে উকুন ঝরে পরছিল। রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলিলেন, এগুলো কি তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বলিলেন, তাহলে তোমার মাথা কামিয়ে ফেল। রাবী বলেন, অতএব আমার সম্পর্কে এ নাযিল হয়ঃ
فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ بِهِ أَذًى مِنْ رَأْسِهِ فَفِدْيَةٌ مِنْ صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍ
“তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রোগাক্রান্ত হইবে অথবা যার মাথায় কোন অসুখ হইবে [এবং এ কারণে মাথা মুড়িয়ে ফেলবে] তবে তাকে ফিদ্ইয়্যাহ্ হিসেবে সওম পালন করিতে হইবে অথবা সদাক্বাহ্ দিতে হইবে অথবা কুরবানী করিতে হইবে”- [সূরাহ্ আল বাকারা ২:১৯৬]।
অতঃপর রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আমাকে বলিলেন, তুমি তিনদিন সওম পালন কর অথবা এক ফারাক্ব [তিন সা] খাদ্য ছয়জন মিসকিনকে দান কর অথবা করবানী কর- যা সহজলভ্য হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৪৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৪৫]
২৭৭১. কাব ইবনি উজরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] হুদায়বিয়ায় তার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন- মাক্কায় প্রবেশের পূর্বে- তিনি যখন ইহরাম অবস্থায় ছিলেন এবং নিজের হাঁড়ির নিচে আগুন জ্বালাচ্ছিলেন। এ অবস্থায় তার [মাথা থেকে] মুখমণ্ডলে উকুন ঝরে পড়ছিল। রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলিলেন, এগুলো কি তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। রসূলুল্লাহ বলিলেন, তাহলে তোমার মাথা মুড়িয়ে ফেল এবং ছয়জন মিসকিনকে এক ফারাক খাদ্য দান কর [এক ফারাক্ব-এ তিন সা], অথবা তিনদিন সওম পালন কর অথবা একটি কুরবানী কর। ইবনি আবু নাজীহ-এর বর্ণনায় আছে, “অথবা একটি বকরী কুরবানী কর।”
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৪৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৪৬]
২৭৭২. কাব ইবনি উজরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] হুদায়বিয়ায় তার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বলিলেন, পোকাগুলো কি তোমার মাথায় উপদ্রব করছে? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তাকে বলিলেন, মাথা মুড়িয়ে ফেল। অতঃপর একটি বকরী কুরবানী কর অথবা তিনদিন সওম পালন কর অথবা ছয়জন মিসকিনকে তিন সা খেজুর খেতে দাও।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৪৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৪৭]
২৭৭৩. আবদুল্লাহ ইবনি মাক্বিল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি মসজিদে কাব ইবনি উজ্রাহ্ [রাদি.]-এর নিকট বসলাম। অতঃপর আমি তাকে এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, “ফিদ্ইয়াহ্ হিসেবে সওম পালন করিতে হইবে অথবা সদক্বাহ্ দিতে হইবে অথবা কুরবানী করিতে হইবে।” কাব [রাদি.] বলিলেন, তা আমার সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। আমার মাথায় কিছু কষ্ট ছিল। অতঃপর আমাকে রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর নিকট নিয়ে যাওয়া হল এবং তখন আমার মুখমণ্ডলে উকুন গড়িয়ে পড়ছিল। নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলিলেন, আমি যা দেখছি তাতে মনে হয় যে, তোমার অসহনীয় কষ্ট হচ্ছে। তুমি কি একটি বকরী সংগ্রহ করিতে সক্ষম হইবে? আমি বললাম, না। তখন আয়াত নাযিল হয়, “ফিদ্ইয়াহ্ হিসেবে সওম পালন করিতে হইবে, সদাক্বাহ্ করিতে হইবে অথবা কুরবানী করিতে হইবে।” নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলিলেন, তিনদিন সওম পালন কর অথবা ছয়জন মিসকীনের প্রত্যেককে অর্ধ সা করে খাদ্য দান কর। কাব [রাদি.] বলেন, আয়াতটি বিশেষভাবে আমার প্রসঙ্গে নাযিল হয়েছে কিন্তু এর নির্দেশ সাধারণভাবে তোমাদের সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৫০, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৪৮]
২৭৭৪. কাব ইবনি উজরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি ইহরাম অবস্থায় নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর সাথে রওনা হলেন। তার মাথা ও দাঁড়িতে উকুন ধরে যায়। নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তা জানতে পেরে তাকে ডেকে পাঠালেন এবং একজন নাপিতও ডাকলেন। সে তার মাথা মুড়িয়ে দিল। অতঃপর তিনি বলিলেন, তোমার সাথে কুরবানীর পশু আছে কি? তিনি বলিলেন, আমি তা সংগ্রহ করিতে সক্ষম নই। অতঃপর নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তাকে তিনদিন সওম পালনের অথবা ছয়জন মিসকীনের প্রত্যেককে এক সা করে খাদ্য দান করার নির্দেশ দিলেন। আল্লাহ তাআলা বিশেষ করে তার প্রসঙ্গে নাযিল করিলেন, “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি রোগাক্রান্ত হইবে অথবা যার মাথায় কোন অসুখ হইবে…”। অতঃপর এ আয়াতের নির্দেশ সাধারণভাবে সকল মুসলিমের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৫১, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৪৯]
১১. অধ্যায়ঃ ইহরাম অবস্থায় শিঙ্গা লাগানো জায়িয
২৭৭৫. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ইহরাম অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়ে ছিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৫২, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৫০]
২৭৭৬. ইবনি বুহায়নাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ইহরাম অবস্থায় মাক্কায় যাবার পথে নিজের মাথার মথ্যস্থলে শিঙ্গা লাগিয়েছিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৫৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৫১]
১২. অধ্যায়ঃ ইহরাম অবস্থায় চোখের চিকিৎসা করানো জায়িয
২৭৭৭. নুবায়হ ইবনি ওয়াহ্ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমার [ইহরাম অবস্থায়] আবান ইবনি উসমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর সাথে রওনা হলাম। আমরা মালাল নামক স্থানে পৌঁছলে উমর ইবনি উবায়দুল্লাহর চোখে পীড়া দেখা দিল। রাওহা নামক স্থানে পৌঁছে তার চোখের ব্যথা আরও তীব্রতর হল। তিনি [নুবায়হ] আবান ইবনি উসমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর কাছে [কী করিতে হইবে তা] জিজ্ঞেস করার জন্য একজনকে পাঠালেন, তিনি বলে পাঠালেন, চোখে মুসব্বারের প্রলেপ দাও, কারণ উসমান [রাদি.] রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] থেকে বর্ণনা করিয়াছেন যে, ইহরাম অবস্থায় এক ব্যক্তির চক্ষুরোগ দেখা দিলে রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তার চোখে মুসব্বারের প্রলেপ দেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৫৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৫২]
২৭৭৮. নুবায়হ ইবনি ওয়াহাব্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
উবায়দুল্লাহ ইবনি মামার-এর পুত্র উমারের চোখ ফুলে উঠলে তিনি সুরমা লাগানোর ইচ্ছা করিলেন। কিন্তু আবান ইবনি উসমান [রাদি.] তাকে চোখে সুরমা লাগাতে নিষেধ করিলেন এবং মুসব্বারের প্রলেপ দেয়ার নির্দেশ দিলেন। তিনি উসমান ইবনি আফ্ফান [রাদি.]-এর সূত্রে নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] থেকে এও বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] এরূপ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৫৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৫৩]
১৩. অধ্যায়ঃ ইহরাম অবস্থায় মারা গেলে তার বিধান
২৭৮১. ইবনি আব্বাস [রাদি.]-এর সূত্রে রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] হইতে বর্ণীতঃ
এক ব্যক্তি তার উটের পিঠ থেকে পড়ে গেল। ফলে তার ঘাড় ভেঙ্গে গেল এবং মারা গেল। নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলিলেন, তাকে কুলপাতা মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল দাও, তার দু কাপড়েই কাফন দাও এবং তার মাথা অনাবৃত রাখ। কারণ আল্লাহ তাআলা কেয়ামতের দিন তাকে তালবিয়াহ পাঠরত অবস্থায় উঠাবেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৫৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৫৬]
২৭৮২. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা এক ব্যক্তি আরাফার ময়দানে রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর সাথে উকূফরত ছিল। হঠাৎ সে তার বাহন থেকে নীচে পড়ে গেল। এতে তার ঘাড় মটকিয়ে গেল এবং সে মারা গেল। নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -কে তা অবহিত করা হলে তিনি বলিলেন, তাকে কুলপাতা মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল দাও, তার দুই কাপড় দিয়েই তার কাফনের ব্যবস্থা কর, তাকে সুগন্ধি লাগিও না এবং তার মাথাও আবৃত কর না। [রাবী আইয়ূব বলিলেন] কারণ আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তাকে তালবিয়াহ পাঠরত অবস্থায় উঠাবেন। আম্র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] অনুরূপ বলেছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৫৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৫৭]
২৭৮৩. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর সাথে [আরাফাতে] অবস্থান করছিল। হাদীসের অবশিষ্ট বর্ণনা হাম্মাদ-এর সূত্রে আইয়ূবের অনুরূপ বর্ণিত।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৬০, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৫৮]
২৭৮৪. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর সঙ্গে এসেছিল। সে উট থেকে পড়ে গেল এবং তার ঘাড় মটকে গেল। ফলে সে মারা গেল। রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলিলেন, তাকে কুলপাতা মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল করাও এবং তার পরনের দু কাপড়ে তাকে কাফন দাও এবং তার মাথার চুল আবৃত করো না। কারন সে কিয়ামাতের দিন তালবিয়াহ পাঠরত অবস্থায় উপস্থিত হইবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৬১, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৫৯]
২৭৮৫. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর সঙ্গে এসেছিল ….. পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তবে এ বর্ণনায় আছে, “তাকে কিয়ামাতের দিন তালবিয়াহ পাঠরত অবস্থায় উঠানো হইবে।” এতে আরও আছে, কোথায় সে উটের পিঠ থেকে পড়ে গেল তা সাঈদ ইবনি জুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৬২, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৬০]
২৭৮৬. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় তার বাহন পিঠ থেকে ফেলে দিয়ে তার ঘাড় ভেঙ্গে দিলে সে মারা গেল। রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলিলেন, তাকে কুলপাতা মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল করাও, তার পরিধেয় বস্ত্র দুটি দিয়ে তার কাফন দাও, কিন্তু তার মুখমণ্ডল ও মাথা অনাবৃত রাখ। কারণ তাকে কিয়ামাতের দিন তালবিয়াহ পাঠরত অবস্থায় উঠানো হইবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৬৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৬১]
২৭৮৭. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর সাথে ছিল। তার উষ্ট্রী তার ঘাড় ভেঙ্গে দিল, ফলে সে মারা গেল। রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলিলেন, তাকে কুলপাতা মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল করাও, তার পরিধেয় বস্ত্র দুখানা দিয়ে তাকে কাফন পরাও, কিন্তু তার দেহে সুগন্ধি মাখাও না এবং তার মাথাও আবৃত করো না। কারণ তাকে কিয়ামাতের দিন মাথার চুল জমাট করা অবস্থায় উঠানো হইবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৬৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৬২]
২৭৮৮. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক ব্যক্তিকে তার উট নীচে ফেলে দিলে তার ঘাড় ভেঙ্গে যায় [এবং সে মারা যায়]। সে রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর সাথে ইহরাম অবস্থায় ছিল। রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তাকে কুলপাতা মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল করাতে, সুগন্ধি না লাগাতে এবং মাথা অনাবৃত রাখতে নির্দেশ দেন। কারণ কিয়ামাতের দিন তাকে মাথার চুল জমাট করা অবস্থায় পুনরুত্থিত করা হইবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৬৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৬৩]
২৭৮৯. সাঈদ ইবনি জুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি ইবনি আব্বাস [রাদি.]-কে বর্ণনা করিতে শুনেছেন, এক ব্যক্তি ইহরাম অবস্থায় নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর নিকট এসে উপস্থিত হল হঠাৎ সে তার উষ্ট্রীর পিঠ থেকে পড়ে গেল এবং ঘাড় মটকে যাওয়ার ফলে মারা গেল। রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তাকে কুলপাতা মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল করাতে, তার পরিধেয় দুখণ্ড বস্ত্রে কাফন দিতে, সুগন্ধি না লাগাতে এবং মাথা কাফনের বাইরে রাখতে নির্দেশ দিলেন।
শুবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, অতঃপর আবু বিশ্র আমাকে এভাবে বলিলেন, তাকে এভাবে কাফন পরাও যাতে তার মাথা ও মুখমণ্ডল বাইরে থাকে। কারণ তাকে কিয়ামাতের দিন মাথার চুল জমাট করা অবস্থায় উঠানো হইবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৬৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৬৪]
২৭৯০. সাঈদ ইবনি জুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলেছেন, এক ব্যক্তিকে তার বাহন নিচে ফেলে দিলে ঘাড় মটকে সে মারা যায়। সে রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর সঙ্গে ছিল। রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] উপস্থিত লোকদেরকে নির্দেশ দিলেন তাকে কুলপাতা মিশ্রিত পানি দিয়ে গোসল করাতে এবং তার মুখমণ্ডল খুলে রাখতে। রাবী বলেন, আমি মনে করি যে, তার মাথা অনাবৃত রেখে কাফন পরাতে নির্দেশ দিলেন। কারণ তাকে তালবিয়াহ পাঠরত অবস্থায় পুনরুত্থিত করা হইবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৬৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৬৫]
২৭৯১. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর সাথে ছিল। তার উষ্ট্রী তাকে পিঠ থেকে ফেলে দেয়ায় তার ঘাড় ভেঙ্গে যায়, এতে সে মারা যায়। নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বললেনঃ তাকে গোসল দাও, তার দেহে সুগন্ধি মাখিও না এবং তার মুখমণ্ডলও ঢেকে দিও না। কারণ তাকে তালবিয়াহ পাঠরত অবস্থায় উঠানো হইবে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৬৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৬৬]
১৪. অধ্যায়ঃ মুহরিম ব্যক্তির জন্য শরীর ও মাথা ধৌত করা জায়িয
২৭৭৯. ইব্রাহীম ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি হুনায়ন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে তার পিতার সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ
আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস ও মিসওয়ার ইবনি মাখরামাহ্ [রাদি.] আবওয়া নামক স্থানে পরস্পর মতবিরোধে লিপ্ত হলেন। আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলিলেন, মুহরিম ব্যক্তি মাথা ধৌত করিতে পারবে, কিন্তু মিসওয়ার [রাদি.] বলিলেন, সে মাথা ধৌত করিতে পারবে না। ইবনি আব্বাস [রাদি.] আমাকে [অর্থাৎ আবদুল্লাহ ইবনি হুনায়নকে] এ সম্পর্কিত মাসাআলাহ্ জানার জন্য আবু আইয়ূব আল আনসারী [রাদি.]-এর নিকট পাঠালেন। আমি তাকে কূপের দু খুঁটির মাঝে গোসলরত অবস্থায় পেলাম। তিনি একখণ্ড কাপড় টাঙ্গিয়ে নিজেকে আড়াল করে নিয়েছিলেন। আমি তাকে সালাম করলে তিনি জিজ্ঞেস করিলেন, কে? আমি বললাম, আবদুল্লাহ ইবনি হুনায়ন, আমাকে আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] আপনার নিকট এ কথা জিজ্ঞেস করার জন্য পাঠিয়েছেন যে, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ইহরাম অবস্থায় কিভাবে মাথা ধৌত করিতেন? আবু আইয়ূব [রাদি.] তার হাত টানানো কাপড়ের উপর রাখলেন এবং তা [সামান্য] নীচু করিলেন- যাতে তার মাথা আমার দৃষ্টিগোচর হল। অতঃপর তিনি তার গোসলে সাহায্যকারী ব্যক্তিকে পানি ঢালতে বলিলেন। অতপর সে তার মাথায় ঢালল। এরপর তিনি উভয় হাত সামনে ও পিছনে সঞ্চালন করে নিজের মাথা মললেন। এরপর তিনি বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -কে এরূপ করিতে দেখেছি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৫৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৫৪]
২৭৮০. যায়দ ইবনি আসলাম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এ সানাদ সূত্রে উপরোক্ত হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে তিনি বলেছেন, আবু আইয়ূব [রাদি.] তার উভয় হাত সামনে-পিছনে সঞ্চালন করে সম্পূর্ণ মাথা ভালভাবে মললেন। এরপর মিসওয়ার [রাদি.] ইবনি আব্বাস [রাদি.]-কে বলিলেন, আমি আর কখনও আপনার সাথে বিতর্কে লিপ্ত হব না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৫৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৫৫]
১৫. অধ্যায়ঃ রোগ-ব্যাধি বা অন্য কোন অক্ষমতার কারণে শর্তসাপেক্ষে ইহরাম খুলে ফেলা জায়িয
২৭৯২. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] যুবাআহ্ বিনতু যুবায়র [রাদি.]-এর নিকট গেলেন এবং তাকে বলিলেন, তুমি হজ্জের ইচ্ছা পোষণ করেছো? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ, আল্লাহর কসম! কিন্তু আমি প্রায়ই অসুস্থ থাকি। তখন তিনি তাকে বলিলেন, তুমি হজ্জ কর এবং শর্ত রাখ ও বল, হে আল্লাহ! তুমি যেখানে আমাকে আটকিয়ে দিবে [সেখানে আমি ইনরাম খুলব]। তিনি মিকদাদ [রাদি.]-এর স্ত্রী ছিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৬৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৬৭]
২৭৯৩. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] যুবায়র ইবনি আবদুল মুত্ত্বালিব কন্যা যুবাআহ্ [রাদি.]-এর নিকট আসলেন। তখন তিনি বলিলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আমি হজ্জের সংকল্প করেছি- কিন্তু আমি অসুস্থ। নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলিলেন, তুমি হজ্জের ইহরাম বাঁধ এবং এই শর্ত কর যে, আল্লাহ! তুমি যেখানে আমাকে আটকিয়ে দিবে সেখানে আমি ইহরাম আমি খুলব।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৭০, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৬৮]
২৭৯৪. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আয়িশা [রাদি.] থেকে অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৭১, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৬৯]
২৭৯৫. আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
যুবায়র ইবনি আবদুল মুত্ত্বালিব কন্যা যুবাআহ্ [রাদি.] রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর কাছে বলিলেন, আমি একজন পীড়িত [ভাড়ী] মহিলা এবং আমি হজ্জের সংকল্প রাখি। আপনি আমাকে কী নির্দেশ দেন? তিনি বলিলেন, তুমি হজ্জের ইহরাম বাঁধ এবং শর্ত কর যে, আল্লাহ! তুমি আমাকে যেখানে আটকিয়ে দিবে সেখানে আমি ইহরাম খুলব।
রাবী বলেন, তিনি হজ্জের অনুষ্ঠানাদি পালনে সক্ষম হয়েছিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৭২, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৭০]
২৭৯৬. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
যুবাআহ [রাদি.] হজ্জের ইচ্ছা করিলেন। নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তাকে শর্তসাপেক্ষে ইহরাম বাঁধার নির্দেশ দিলেন। তিনি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর নির্দেশ মুতাবিক তাই করিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৭৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৭১]
২৭৯৭. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] যুবআহ [রাদি.]-কে বলিলেন, তুমি হজ্জ কর এবং শর্ত রাখ যে, আল্লাহ্! তুমি যেখানে আমাকে থামিয়ে দিবে, সেখানে আমি ইহরাম খুলব। ইসহাক্বের বর্ণনায় আছে, নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] যুবাআহ [রাদি.]-কে এ নির্দেশ দিয়েছিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৭৪, ইসলামিক সেন্টার-২৭৭২]
১৬. অধ্যায়ঃ হায়য-নিফাস অবস্থায় ইহরাম বাঁধা জায়িয এবং ইহরাম বাঁধার পূর্বে গোসল করা মুস্তাহাব
২৭৯৮. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আসমা বিনতু উমায়স [রাদি.] আশ্ শাজার নামক স্থানে আবু বাকর [রাদি.]-এর পুত্র মুহাম্মাদকে প্রসব করিলেন। রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আবু বাকর [রাদি.]-এর মাধ্যমে তাকে গোসল করে ইহরাম বাঁধার নির্দেশ দিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৭৫, ইসলামিক সেন্টার-২৭৭৩]
২৭৯৯. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আসমা বিনতু উমায়স [রাদি.] যুল হুলায়ফাহ্ নামক স্থানে সন্তান প্রসব করলে রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আবু বাকর [রাদি.]-কে নির্দেশ দিলেন এবং তিনি তদানুযায়ী তাকে গোসল করে ইহরাম বাঁধতে বলিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৭৬, ইসলামিক সেন্টার-২৭৭৪]
Leave a Reply