রোগী সুস্থ হওয়ার দোয়া , দেখিতে যাওয়া, মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা করা অনুচিত
রোগী সুস্থ হওয়ার দোয়া , দেখিতে যাওয়া, মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা করা অনুচিত >>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
অধ্যায়ঃ ২১, অনুচ্ছেদঃ ১-১৩=১৩টি
অনুচ্ছেদ-১ঃ অসুস্থতার কারণে মুমিনের গুনাহ ক্ষমা হয়
অনুচ্ছেদ-২ঃ কোন ব্যক্তি সৎকাজে অভ্যস্ত হলে পরবর্তীতে অসুস্থতা বা সফরের কারণে তা করিতে বাধাগ্রস্ত হলে
অনুচ্ছেদ-৩ঃ মহিলা রোগীর সেবা করা
অনুচ্ছেদ-৪ঃ রোগী দেখিতে যাওয়া
অনুচ্ছেদ-৫ঃ অমুসলিম রোগী দেখা
অনুচ্ছেদ-৬ঃ পায়ে হেঁটে রোগী দেখিতে যাওয়া
অনুচ্ছেদ-৭ঃ উযু করে রোগী দেখিতে যাওয়ার ফাযীলাত
অনুচ্ছেদ-৮ঃ বারবার রোগী দেখা
অনুচ্ছেদ-৯ঃ চক্ষু রোগীকে দেখিতে যাওয়া
অনুচ্ছেদ-১০ঃ মহামারী উপদ্রুত এলাকা ত্যাগ করা
অনুচ্ছেদ-১১ঃ রোগী দেখিতে গিয়ে রোগীর সুস্থতা চেয়ে দুআ করা
অনুচ্ছেদ-১২ঃ রোগীকে দেখিতে গিয়ে তার জন্য দুআ করা
অনুচ্ছেদ-১৩ঃ মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা করা অনুচিত
অনুচ্ছেদ-১ঃ অসুস্থতার কারণে মুমিনের গুনাহ ক্ষমা হয়
৩০৮৯ঃ আল-খুদর গোত্রের তীরন্দাজ আমির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নুফাইলী বলেন, শব্দটি খাদরি নয়, বরং খুদর, তবে ব্যবহারে তা প্রচলিত হয়ে গেছে। আমির বলেন, আমি আমাদের শহরেই ছিলাম। এমন সময় আমরা কিছু পতাকা উড্ডীন দেখিতে পেয়ে লোকদের জিজ্ঞেস করি, এসব কি? তারা বললো, এগুলো রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] পতাকা। আমি তাহাঁর নিকট আসলাম। তখন তিনি একটি গাছের নিচে তাহাঁর জন্য বিছানো একটি কম্বলের উপর বসা ছিলেন। তাহাঁর চারপাশে তাহাঁর সাহাবীগণও বসা ছিলেন। আমি তাহাদের কাছে বসলাম।
রাসূল্ললাহ [সাঃআঃ] রোগ সম্পর্কে আলোচনা করিলেন। তিনি বলিলেনঃ মুমিন ব্যক্তি যখন অসুস্থ হয়, অতঃপর আল্লাহ্ তাঁকে রোগমুক্তি দেন, এটা তার অতীতের গুনাহের জন্য কাফফারা স্বরূপ এবং তার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শিক্ষণীয়। পক্ষান্তরে কোন মুনাফিক অসুস্থ হওয়ার পর তাহাকে তা থেকে মুক্তি দেয়া হলে সে এমন উটের মত যাকে তার মালিক শক্ত করে বেঁধে আবার ছেড়ে দিলো। কিন্তু সে কিছুই বুঝলো না, তার মালিক তাহাকে কেনই বা শক্ত করে বাঁধলো আর কেনই বা ছেড়ে দিলো। তাহাঁর আশেপাশে বসা লোকদের মধ্য হইতে এক ব্যক্তি বললো, হে আল্লাহ্র রাসূল! কিসের অসুস্থতা? আল্লাহ্র শপথ! আমি তো কখনও অসুস্থ হইনি? নাবী [সাঃআঃ] বলিলেনঃ তুমি আমাদের এখান থেকে উঠে যাও, কারণ তুমি আমাদের দলভুক্ত নও।
বর্ণনাকারী বলেন, আমরা তাহাঁর কাছে বসা। এমতাবস্থায় তাহাঁর কাছে এক ব্যক্তি আসলো। তার গায়ে কম্বল জড়ানো এবং তার হাতে কিছু একটা ছিলো। সে বললো, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমি আপনাকে দেখিতে পেয়েই আপনার কাছে উপস্থিত হলাম। গাছপালার মধ্য দিয়ে পথ অতিক্রম করার সময় আমি পাখির বাচ্চার আওয়াজ শুনতে পাই। আমি সেগুলো ধরে আমার কম্বলের মধ্যে রাখি। বাচ্চাগুলোর মা এসে আমার মাথার উপর চক্কর দিতে লাগলো। আমি বাচ্চাগুলোকে তাহাদের মায়ের জন্য কম্বলের মধ্য থেকে বের করে দিলাম। পাখিটি এসে বাচ্চাগুলোর সাথে মিলিত হলো। আমি সবগুলোকে আমার কম্বল দিয়ে লেপটিয়ে ধরে ফেললাম। এখন সবগুলো পাখি আমার সাথে রয়েছে। তিনি বলিলেনঃ সেগুলো বের করে রাখো। সুতারাং আমি বের করলাম। কিন্তু মা পাখিটা বাচ্চাদের রেখে যেতে চাইলো না। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর সাহাবীদের বলিলেনঃ বাচ্চাদের প্রতি মা পাখিটার মায়ায় তোমরা কি আশ্চর্যবোধ করছো না! তারা বলিলেন, হাঁ হে আল্লাহ্র রাসূল! তিনি বলিলেনঃ সেই সত্তার শপথ, যিনি আমাকে সত্য দ্বীনসহ পাঠিয়েছেন! বাচ্চাদের প্রতি মা পাখিটার যে মায়া রয়েছে, আল্লাহ্ অবশ্যই তাহাঁর বান্দাদের প্রতি আরো অধিক মমতাময়ী। তুমি যেখান থেকে বাচ্চাগুলোকে ধরে এনেছ মা-সহ তাহাদেরকে সেখানে রেখে আসো। সুতারাং সে পাখিগুলো সেখানে রেখে এলো।
দুর্বল ঃ মিশকাত [১৫৭১]। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩০৯০ ঃ মুহাম্মাদ ইবনি খালিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতা ও দাদার সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
তিনি [দাদা] রসূলুল্লাহর [সাঃআঃ] সাহচর্য লাভ করেছেন। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি ঃ কোন ব্যক্তির জন্য বিনাশ্রমে আল্লাহ্র পক্ষ থেকে মর্যাদার আসন নির্ধারিত হলে আল্লাহ্ তার দেহ, সম্পদ অথবা সন্তানকে বিপদগ্রস্ত করেন। অতঃপর সে তাতে ধৈর্য ধারণ করলে শেষ পর্যন্ত বরকতময় মহান আল্লাহ্ কর্তৃক নির্ধারিত উক্ত মর্যাদার স্তরে উপনীত হয়।
সহিহ ঃ সহিহাহ [২৫৯৯]। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-২ঃ কোন ব্যক্তি সৎকাজে অভ্যস্ত হলে পরবর্তীতে অসুস্থতা বা সফরের কারণে তা করিতে বাধাগ্রস্ত হলে
৩০৯১ঃ আবু মূসা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি নাবী [সাঃআঃ]-কে একবার দুইবার নয়, বহুবার বলিতে শুনিয়াছি ঃ কোন বান্দা নেক কাজ করলে এবং পড়ে রোগ বা সফর তাহাকে সে কাজ হইতে বিরত রাখলে তার আমলনামায় সুস্থ ও আবাসে অবস্থানকালে তার কৃত সৎ আমলের ন্যায় সওয়াব লেখা হইবে।
হাসান ঃ ইরওয়া [৫৬০]। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-৩ঃ মহিলা রোগীর সেবা করা
৩০৯২. উম্মূল আলা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি অসুস্থ হলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে দেখিতে আসলেন। তিনি বলিলেনঃ হে আলার মা! সুসংবাদ গ্রহণ করো, আগুন যেভাবে সোনা-রূপার ময়লা দূর করে দেয় তদ্রুপ মহান আল্লাহ্ কোন মুসলিমের রোগের দ্বারা তার গুনাহসমূহ দূর করে দেন।
সহিহ ঃ সহিহাহ [৭১৪]। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩০৯৩. আয়িশাহ [রাদি.] সূত্র হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি বলিলাম ঃ হে আল্লাহ্র রাসূল! মহান আল্লাহ্র কিতাবের সবচেয়ে কঠোর আয়াতটি আমি অবশ্যই অবহিত আছি। তিনি জিজ্ঞেস করিলেন ঃ হে আয়িশাহ! সেটি কোন আয়াত? তিনি বলিলেনঃ মহান আল্লাহ্র বাণী ঃ “কেউ পাপ করলে তার প্রতিফলন সেই পাবে এবং সে আল্লাহ্র বিপক্ষে কোন বন্ধু ও সাহায্যকারী পাবে না” [সূরাহ আন-নিসা ঃ ১২৩]। তিনি বলিলেনঃ হে আয়িশাহ! তুমি কি জানো, কোন মুসলিম যখন বিপদগ্রস্ত বা নির্যাতিত হয়, এতে তার আমলের মন্দ দিকগুলো দূরীভূত হয়ে যায়। যে ব্যক্তির হিসাব নেয়া হইবে সে মারা পড়বে বা শাস্তি পাবে। আয়িশাহ [রাদি.] বলিলেন, আল্লাহ্ কি বলেননি, “যার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হইবে তার হিসাব সহজে গ্রহণ করা হইবে” [সূরা আল-ইনশিক্বাক্ব ঃ ৮]। তিনি বলিলেনঃ হে আয়িশাহ! এর অর্থ আমল পেশ করা। অন্যথায় যার হিসাবে কড়াকড়ি হইবে সে তো মারা পড়বে।
সনদ দুর্বল। কিন্তু {…আরবী…} অংশটি সহিহ। হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
অনুচ্ছেদ-৪ঃ রোগী দেখিতে যাওয়া
৩০৯৪. উসামাহ ইবনি যায়িদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, [মুনাফিক সর্দার] আবদুল্লাহ ইবনি উবাই মরণ ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাকে দেখিতে যান। তিনি তার কাছে প্রবেশ করে তার চেহারায় মৃত্যুর ছাপ দেখে বলিলেনঃ আমি তোমাকে ইয়াহুদীদেরকে ভালোবাসতে নিষেধ করতাম। আবদুল্লাহ বললো, তাহাদের প্রতি আসআদ ইবনি যুরারাহ বিদ্বেষ পোষণ করে কী পেয়েছে? আবদুল্লাহ ইবনি উবাই মারা গেলে তার ছেলে আবদুল্লাহ [রাদি.] এসে বলিলেন, হে আল্লাহ্র নাবী! আবদুল্লাহ ইবনি উবাই মারা গেছে। তাহাকে কাফন দেয়ার জন্য আপনার একটা জামা দিন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর গায়ের চাঁদরটি খুলে তাহাকে দিলেন।
সনদ দুর্বল। কিন্তু কামীসের ঘটনা সহিহ। হাদিসের তাহকিকঃ অন্যান্য
অনুচ্ছেদ-৫ঃ অমুসলিম রোগী দেখা
৩০৯৫. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
এক ইয়াহুদী যুবক অসুস্থ হলে নাবী [সাঃআঃ] তাহাকে দেখিতে যান। তিনি তার মাথার কাছে বসে বলিলেনঃ তুমি ইসলাম গ্রহণ করো। সে তার পিতার দিকে তাকালো। সেও তার মাথার কাছেই বসা ছিলো। তার পিতা তাহাকে বললো, আবুল ক্বাসিমের কথা মেনে নাও। সে ইসলাম গ্রহণ করলো। নাবী [সাঃআঃ] সেখান থেকে উঠে আসার সময় বলিলেনঃ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্র, যিনি তাহাকে আমার মাধ্যমে দোযখ থেকে মুক্তি দিলেন।
সহিহ ঃ ইরওয়া [১২৭২]। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৬ঃ পায়ে হেঁটে রোগী দেখিতে যাওয়া
৩০৯৬. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] পায়ে হেঁটে আমাকে দেখিতে আসেন। তিনি খচ্চর বা তুর্কী ঘোড়ায় চড়ে আসেননি।
সহিহ ঃ তিরমিজি [৪১২৩]। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৭ঃ উযু করে রোগী দেখিতে যাওয়ার ফাযীলাত
৩০৯৭. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ কেউ উত্তমরূপে উযু করে নেকীর আশায় তার কোন [অসুস্থ] মুসলিম ভাইকে দেখিতে গেলে তাহাকে জাহান্নাম থেকে সত্তর খারীফ [সত্তর বছরের] পথ দূরে রাখা হইবে। আমি [সাবিত আল-বানানী] আবু হামযাহকে জিজ্ঞেস করি, খারীফ শব্দের তাৎপর্য কি? তিনি বলিলেন, বছর। আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, বাসরাহ্র মুহাদ্দিসগণ শুধু উযু করে রোগী দেখার অংশটুকু বর্ণনা করেছেন।
দুর্বল ঃ মিশকাত [১৫৫২], যয়ীফ আল-জামিউস সাগীর [৫৫৩৯]। রোগী সুস্থ হওয়ার দোয়া ও দেখিতে যাওয়া – হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস
৩০৯৮. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, কেউ বিকাল বেলা কোন রোগীকে দেখিতে গেলে সত্তর হাজার ফেরেশতা তার সাথে রওয়ানা হয় এবং তারা তার জন্য ভোর হওয়া পর্যন্ত ক্ষমা চাইতে থাকে। উপরন্তু তার জন্য জান্নাতে একটি বাগান তৈরি করা হয়। আর কোন ব্যক্তি দিনের প্রথমভাগে রোগী দেখিতে গেলে তার সাথেও সত্তর হাজার ফেরেশতা রওয়ানা হয় এবং তারা সন্ধ্যা হওয়া পর্যন্ত তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করিতে থাকে। তাহাকেও জান্নাতে একটি বাগান দেয়া হয়।
সহিহ মাওকুফ ঃ সহিহাহ [১৩৬৭]। রোগী সুস্থ হওয়ার দোয়া ও দেখিতে যাওয়া – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মাওকুফ
৩০৯৯. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আলী [রাদি.] হইতে এ সানাদেও উপরের হাদিসটি নাবী [সাঃআঃ] এর সূত্রে বর্ণিত। কিন্তু এতে খারীফ শব্দের উল্লেখ নেই।
রোগী সুস্থ হওয়ার দোয়া ও দেখিতে যাওয়া – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মারফু
৩১০০. আবু জাফর আবদুল্লাহ ইবনি নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
একদা আল-হাসান ইবনি আলী [রাদি.] অসুস্থ হলে তাহাকে আবু মূসা [রাদি.] দেখিতে আসেন। আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, এ হাদিসের বর্ণনা শুবাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কর্তৃক বর্ণিত হাদিসের অনুরূপ। আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, হাদিসের সনদসুত্র নাবী [সাঃআঃ] পর্যন্ত মারফু করা হয়েছে, তবে এটি যথার্থ নয়।
রোগী সুস্থ হওয়ার দোয়া ও দেখিতে যাওয়া – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মারফু
অনুচ্ছেদ-৮ঃ বারবার রোগী দেখা
৩১০১. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, খন্দকের যুদ্ধের দিন এক ব্যক্তির নিক্ষিপ্ত তীরে সাদ ইবনি মুআয [রাদি.] আঘাতপ্রাপ্ত হলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার জন্য মাসজিদের ভেতর একটি তাঁবু টানালেন। যেন তিনি কাছ থেকে তাহাকে দেখিতে পারেন।
রোগী সুস্থ হওয়ার দোয়া ও দেখিতে যাওয়া – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-৯ঃ চক্ষু রোগীকে দেখিতে যাওয়া
৩১০২. ইবনি আরক্বাম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একদা আমার চোখে ব্যাথা হলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে দেখিতে আসেন।
রোগী সুস্থ হওয়ার দোয়া ও দেখিতে যাওয়া – হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস
অনুচ্ছেদ-১০ঃ মহামারী উপদ্রুত এলাকা ত্যাগ করা
৩১০৩. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আবদুর রহমান ইবনি আওফ [রাদি.] বলিয়াছেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনিয়াছি ঃ তোমরা কোন অঞ্চলে প্লেগ-মহামারীর প্রাদুর্ভাবের কথা শুনলে সেখানে যাবে না। আর যদি কোন এলাকায় মহামারী ছড়িয়ে পড়ে এবং তোমরাও সেখানে অবস্থান করো, তাহলে সেখান থেকে পালিয়ে এসো না।
রোগী সুস্থ হওয়ার দোয়া ও দেখিতে যাওয়া – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১১ঃ রোগী দেখিতে গিয়ে রোগীর সুস্থতা চেয়ে দুআ করা
৩১০৪. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তার পিতা বলিয়াছেন, আমি মক্কাতে অসুস্থ হলে নাবী [সাঃআঃ] আমাকে দেখিতে আসেন। তিনি আমার কপালে হাত রাখলেন এবং বুক ও পেট মলে দিলেন। অতঃপর তিনি বলিলেনঃ হে আল্লাহ্! সাদ কে রোগমুক্ত করে দিন এবং তার হিজরাতকে পূর্ণ করে দিন।
রোগী সুস্থ হওয়ার দোয়া ও দেখিতে যাওয়া – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩১০৫. আবু মূসা আল-আশআরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, রোগীর সাথে দেখা-সাক্ষাত করো এবং বন্দীকে মুক্ত করো। সুফিয়ান আস-সাওরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আল-আনী অর্থ বন্দী।
সহিহ ঃ তাখরীজ মুশকিলাতুল ফিক্বর [১১২]। রোগী সুস্থ হওয়ার দোয়া ও দেখিতে যাওয়া – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১২ঃ রোগীকে দেখিতে গিয়ে তার জন্য দুআ করা
৩১০৬. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি এমন রোগীকে দেখিতে গেলো যার অন্তিম সময় আসেনি, সে যেন তার সামনে সাতবার বলে ঃ “আমি মহান আরশের প্রভু মহামহিম আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা করছি, তিনি যেন তোমাকে রোগমুক্তি দেন,” তাহলে তাহাকে নিশ্চয়ই রোগমুক্তি দেয়া হইবে।
সহিহ ঃ মিশকাত [১৫৫৩]। রোগী সুস্থ হওয়ার দোয়া ও দেখিতে যাওয়া – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩১০৭. আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ কেউ কোন রোগীকে দেখিতে গেলে সে যেন বলেঃ “হে আল্লাহ! আপনার বান্দাকে আরোগ্য দিন যাতে সে আপনার উদ্দেশ্যে শত্রুকে আঘাত হানতে পারে এবং আপনার জন্য জানাযায় বা সলাতে শরীক হইতে পারে।”
সহীহঃ সহিহাহ [১৫০৪]। রোগী সুস্থ হওয়ার দোয়া ও দেখিতে যাওয়া – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
অনুচ্ছেদ-১৩ঃ মৃত্যুর আকাঙ্ক্ষা করা অনুচিত
৩১০৮. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তোমাদের কেউ যেন বিপদে পড়ে মৃত্যু কামনা না করে। বরং সে যেন বলে, “হে আল্লাহ! যে পর্যন্ত জীবিত থাকা আমার জন্য কল্যাণকর, আমাকে ততক্ষণ জীবিত রাখুন এবং যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর, তখন আমাকে মৃত্যু দিন”।
রোগী সুস্থ হওয়ার দোয়া ও দেখিতে যাওয়া – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩১০৯. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে… হাদিসের বাকী অংশ উপরের হাদিসে অনুরূপ।
সহীহঃ এর পূর্বেরটি দেখুন। রোগী সুস্থ হওয়ার দোয়া ও দেখিতে যাওয়া – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply