রোগীর সেবা, সাওয়াব ও আল্লাহর ভালবাসার ফযিলত
রোগীর সেবা -শুশ্রূষার মর্যাদা >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
১২. অধ্যায়: আল্লাহর জন্য ভালবাসার ফযিলত
১৩. অধ্যায়: রোগীর সেবা-শুশ্রূষার মর্যাদা
১৪. অধ্যায়ঃ মুমিন ব্যক্তি কোন রোগ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদিতে পতিত হলে এমনকি তার গায়ে কাঁটাবিদ্ধ হওয়াও তার সাওয়াব
১২. অধ্যায়ঃ আল্লাহর জন্য ভালবাসার ফযিলত
৬৪৪২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কিয়ামাতের দিন আল্লাহ বলবেন, আমার মহত্ত্বের কারণে একে অপরের প্রতি ভালবাসা স্থাপনকারীরা কোথায়? আজ আমি তাদেরকে আমার বিশেষ ছায়ায় ছায়া প্রদান করব। আজ এমন দিন, যেদিন আমার ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়া নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩১৫, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৬৫]
৬৪৪৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ এক ব্যক্তি তার ভাইয়ের সাক্ষাতের জন্য অন্য এক গ্রামে গেল। আল্লাহ তাআলা তার জন্য পথিমধ্যে একজন ফেরেশ্তা নিযুক্ত করিলেন। সে ব্যক্তি যখন ফেরেশ্তার কাছে পৌছল, তখন ফেরেশতা জিজ্ঞেস করিলেন, তুমি কোথায় যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছো? সে বলিল, আমি এ গ্রামে আমার এক ভাইয়ের সাথে দেখা করার জন্য যেতে চাই। ফেরেশ্তা বলিলেন, তার কাছে কি তোমার কোন অবদান আছে, যা তুমি আরো প্রবৃদ্ধি করিতে চাও? সে বলিল, না। আমি তো শুধু আল্লাহর জন্যই তাকে ভালবাসি। ফেরেশতা বলিলেন, আমি আল্লাহর পক্ষ থেকে [তাহাঁর দূত হয়ে] তোমার কাছে অবহিত করার জন্য এসেছি যে, আল্লাহ তোমাকে ভালবাসেন, যেমন তুমি তোমার ভাইকে তাহাঁরই সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ভালবেসেছ।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩১৬, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৬৬]
৬৪৪৪. হাম্মাদ বিন সালামাহ হইতে বর্ণীতঃ
হাম্মাদ বিন সালামাহ এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- নেই, ইসলামিক সেন্টার- নেই]
১৩. অধ্যায়ঃ রোগীর সেবা -শুশ্রূষার মর্যাদা
৬৪৪৫. সাওবান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আবু রাবী বলেছেন, তিনি হাদীসটি নবী [সাঃআঃ] থেকে বর্ণনা করিয়াছেন। আর সাঈদের হাদীসে রয়েছে যে, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ রোগীর সেবা শুশ্রূষাকারী বেহেশ্তের ফলমূল আহরণে রত থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত সে না প্রত্যাবর্তন করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩১৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৬৭]
৬৪৪৬. রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর আযাদকৃত গোলাম সাওবান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন রোগীর সেবা-শুশ্রূষা করিতে থাকে সে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত বেহেশ্তের ফলমূল আহরণে রত থাকে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩১৮, ইসলামিক সেন্টার- নেই]
৬৪৪৭. সাওবান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যখন কোন মুসলিম তার মুসলিম ভাইয়ের রোগ সেবায় নিয়োজিত হয় তখন সে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত জান্নাতের ফল-ফলাদি আহরণে রত থাকে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩১৯, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৬৮]
৬৪৪৮. রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর আযাদকৃত গোলাম সাওবান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, যে ব্যক্তি কোন রোগীর সেবা করে, সে খুরফাতুল জান্নাতে রত থাকে। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! খুরফাতুল জান্নাত কী? তিনি বলিলেন, এর ফল-ফলাদি সংগ্রহ করা।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২০, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৬৯]
৬৪৪৯. আসিম আহওয়াল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আসিম আহওয়াল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে এ সানাদে বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২১, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৭০]
৬৪৫০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা কিয়ামাতের দিনে বলবেন, হে আদাম সন্তান! আমি অসুস্থ হয়েছিলাম; কিন্তু তুমি আমার সেবা-শুশ্রূষা করনি। সে বলবে, হে পরওয়ারদিগার! আমি কী করে তোমার সেবা-শুশ্রূষা করব, অথচ তুমি সারা জাহানের প্রতিপালক। আল্লাহ বলবেন, তুমি কি জানতে না যে, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়েছিল, আর তুমি তার সেবা করনি, তুমি কি জানতে না যে, তুমি তার সেবা-শুশ্রূষা করলে আমাকে তার কাছেই পেতে। হে আদাম সন্তান! আমি তোমার কাছে খাবার চেয়েছিলাম; কিন্তু তুমি আমাকে খেতে দাওনি। সে [বান্দা] বলবে, হে আমার পরওয়ারদিগার! আমি কী করে তোমাকে আহার করাতে পারি? তুমি তো সারা জাহানের প্রতিপালক। তিনি [আল্লাহ] বলবেন, তুমি কি জানতে না যে, আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে আহার চেয়েছিল? তুমি তাকে খেতে দাওনি। তুমি কি জানতে না যে, যদি তুমি তাকে আহার করাতে তাহলে তা অবশ্যই আমার কাছে পেতে। হে আদাম সন্তান! আমি তোমার কাছে পানীয় চেয়েছিলাম; কিন্তু তুমি আমাকে পানি পান করাওনি। সে [বান্দা] বলবে, হে আমার পরওয়ারদিগার! আমি কী করে তোমাকে পান করাব, অথচ তুমি সারা জাহানের প্রতিপালক। তিনি [আল্লাহ] বলবেন, আমার অমুক বান্দা তোমার কাছে পানীয় চেয়েছিল, তুমি তাকে পান করাওনি। যদি তুমি তাকে পান করাতে, তবে তা আমার কাছে পেয়ে যেতে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২২, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৭১]
১৪. অধ্যায়ঃ মুমিন ব্যক্তি কোন রোগ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদিতে পতিত হলে এমনকি তার গায়ে কাঁটাবিদ্ধ হওয়াও তার সাওয়াব
৬৪৫১. মাসরূক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আয়িশা [রাদি.] বলেছেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর চাইতে অধিকতর রোগ যন্ত্রণার কষ্ট অন্য কোন ব্যক্তির উপর দেখিনি। উসমানের বর্ণনায় الْوَجَعِ এর স্থলেوَجَعًا উল্লেখ রয়েছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৭২]
৬৪৫২. আমাশ থেকে জারীর হইতে বর্ণীতঃ
আমাশ থেকে জারীর-এর সানাদে তাহাঁর হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২৪, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৭৩]
৬৪৫৩. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর কাছে আসলাম। তখন তিনি জ্বরাক্রান্ত ছিলেন। আমি তাঁকে আমার হাতে স্পর্শ করে বললাম, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! আপনি তো ভীষণভাবে জ্বরাক্রান্ত। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, হ্যাঁ, আমি এ পরিমাণ জ্বরে ভুগছি, যে পরিমাণ তোমাদের দুজনের হয়ে থাকে। তিনি বলেন, আমি বললাম, এ কারণেই আপনার জন্য দ্বিগুণ প্রতিদান রয়েছে। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, কোন মুসলিম ব্যক্তির জ্বর কিংবা অন্য কোন কারণে বিপদ আপতিত হলে তার বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা এমনভাবে তার অপরাধসমূহ ক্ষমা করে দেন যেভাবে বৃক্ষাদি পাতা ঝরায়।
তবে যুহায়র বর্ণিত হাদীসে আমি আমার হাতে তাকে স্পর্শ করি অংশটুকু উল্লেখ নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২৫, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৭৪]
৬৪৫৪. আমাশ থেকে জারীর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমাশ থেকে জারীর [রাদি.]-এর সানাদে তাহাঁর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। আর আবু মুআবিয়াহ্ [রাদি.] কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে অতিরিক্ত আছে, তিনি বলেন, হ্যাঁ, সে সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার জীবন! পৃথিবীতে এমন কোন মুসলিম ব্যক্তি নেই… [শেষ পর্যন্ত]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২৬, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৭৫]
৬৪৫৫. আসওয়াদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, কয়েকজন কুরাইশী যুবক আয়িশা [রাদি.]-এর কাছে আগমন করিল। তখন তিনি মিনায় অবস্থান করছিলেন। সে সময় তারা হাসছিল। আয়িশা [রাদি.] বলিলেন, কোন্ বিষয় তোমাদেরকে হাসাচ্ছে? তারা বলিল, অমুক ব্যক্তি তাঁবুর রশির উপর পড়ে গেছে। ফলে তার গর্দান কিংবা চোখ নিষ্পিষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়। তিনি বলিলেন, তোমরা হেসো না। কেননা আমি শুনেছি, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে কোন মুসলিমের গায়ে একটি কাঁটা বিদ্ধ হয় কিংবা তার চেয়েও অধিক ছোট্ট কোন আঘাত লাগে, তার বিনিময়ে তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি পায় এবং তার একটি গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৭৬]
৬৪৫৬. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন ঈমানদার ব্যক্তির শরীরে একটি মাত্র কাঁটার আঘাত কিংবা তার চাইতেও কোন নগণ্য আঘাত লাগলে আল্লাহ তাআলা তার একটি মর্যাদা বাড়িয়ে দেন কিংবা তার একটি গুনাহ্ মোচন করে দেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৭৭]
৬৪৫৭. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন ঈমানদার ব্যক্তির দেহে একটি কাঁটা বিদ্ধ হলে কিংবা তার চেয়ে অধিক ক্ষুদ্র কোন মুসীবাত আপতিত হলে তার পরিবর্তে আল্লাহ তাআলা তার একটি গুনাহ মাফ করে দেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩২৯, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৭৮]
৬৪৫৮. আবু কুরায়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হিশাম-এর সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ
আবু কুরায়ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হিশাম-এর সূত্রে এ সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৩০, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৭৮]
৬৪৫৯. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কোন মুসলিমের উপর কোন বিপদ নিপতিত হলে তার বিনিময়ে তার গুনাহের কাফ্ফারা হয়ে যায়, এমনকি ক্ষুদ্রতর কোন কাঁটা বিদ্ধ হলেও।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৩১, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৮০]
৬৪৬০. নবী [সাঃআঃ]-এর সহধর্মিণী আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ঈমানদার ব্যক্তির উপর কোন বিপদাপদ আসলে, এমনকি একটি কাঁটা বিদ্ধ হলেও তার বিনিময়ে তার অপরাধ মোচন করা হয় কিংবা তার গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হয়।
ইয়াযীদ স্মরণ রাখতে পারেননি যে, উরওয়াহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কোন্ শব্দটি উল্লেখ করিয়াছেন, [আরবী] না [আরবী] [তবে শাব্দিক অর্থ একই, অর্থাৎ ক্ষমা করে দেয়া]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৩২, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৮১]
৬৪৬১. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনেছি যে, ঈমানদার ব্যক্তির উপর কোন বিপদ আপতিত হলে, এমনকি কোন কাঁটা বিঁধলেও তার বিনিময়ে তাকে একটি প্রতিদান দেয়া হয়; কিংবা তার একটি গুনাহ্ ক্ষমা করে দেয়া হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৩৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৮২]
৬৪৬২. আবু সাঈদ আল খুদরী ও আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তারা উভয়ে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনেছেন যে, কোন ঈমানদার ব্যক্তির এমন কোন ব্যথা-বেদনা, রোগ-ব্যাধি, দুঃখ-কষ্ট পৌঁছে না, এমনকি দুর্ভাবনা পর্যন্ত, যার প্রতিদানে তার কোন গুনাহ্ ক্ষমা করা হয় না।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৩৪, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৮৩]
৬৪৬৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যখন এ আয়াত
مَنْ يَعْمَلْ سُوءًا يُجْزَ بِهِ
“যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করে, তার প্রতিফল সে ভোগ করিবে”- [সুরা আন্ নিসা ৪ ঃ ১২৩] অবতীর্ণ হলো তখন কতিপয় মুসলিম ভয়ানক দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃতোমরা মধ্যম পন্থা অবলম্বন করো এবং সঠিক পন্থা গ্রহণ করো। একজন মুসলিম তার প্রত্যেকটি বিপদের পরিবর্তে এমনকি সে আছাড় খেলে কিংবা তার শরীরে কোন কাঁটা বিদ্ধ হলেও তাতে তার [গুনাহের] কাফফারাহ্ হয়ে যায়।
ঈমাম মুসলিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, উমর ইবনি আবদুর রহ্মান ইবনি মুহাইসিন মাক্কার অধিবাসী ছিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৩৫, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৮৪]
৬৪৬৪. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একদিন উম্মু সায়িব কিংবা উম্মুল মুসাইয়্যাব [রাদি.]-এর কাছে গিয়ে বলিলেন, তোমার কি হয়েছে হে উম্মু সায়িব অথবা উম্মুল মুসাইয়্যাব! কাঁদছ কেন? তিনি বলিলেন, ভীষণ জ্বর, একে আল্লাহ বর্ধিত না করুন। তখন তিনি বলিলেন, তুমি জ্বরকে গালমন্দ করো না। কেননা জ্বর আদাম সন্তানের পাপরাশি মোচন করে দেয়, যেভাবে হাঁপর লোহার মরিচিকা দূরীভূত করে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৩৬, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৮৫]
৬৪৬৫. আতা ইবনি রাবাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] আমাকে বলেছেন, আমি কি তোমাকে এক জান্নাতী মহিলার কথা বলব? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বলিলেন, এক কৃষ্ণকায় মহিলা নবী [সাঃআঃ]-এর কাছে এসে বলেছিল, আমি মৃগীরোগে আক্রান্ত হই এবং এ অবস্থায় আমি উলঙ্গ হয়ে পড়ি। অতএব আপনি আমার জন্য আল্লাহ নিকট দুআ করুন। তিনি বলিলেন, যদি তুমি চাও, ধৈর্যধারণ কর। তাহলে তোমার জন্য বিনিময় রয়েছে জান্নাত। আর যদি তুমি চাও তাহলে আমি আল্লাহর দরবারে দুআ করি যেন তিনি তোমাকে আরোগ্যতা দান করেন। তখন সে বলিল, আমি ধৈয্যধারণ করব। তবে আমি যে সে অবস্থায় সতর খুলে ফেলি। কাজেই আপনি আল্লাহর কাছে দুআ করুন যেন আমি সতর খুলে না ফেলি। তখন তিনি তার জন্য দুআ করিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৩৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬৩৮৬]
Leave a Reply