রাতের সালাতে যা পরতেন

রাতের সালাতে যা পরতেন

রাতের সালাতে যা পরতেন >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ৪, অধ্যায়ঃ ৩২

  • অধ্যায়ঃ ৩২. প্রথম অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ৩২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ৩২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

অধ্যায়ঃ ৩২. প্রথম অনুচ্ছেদ

১২১১. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] রাত্রে তাহাজ্জুদের সলাতের জন্য সজাগ হয়ে এ দুআ পড়তেন,

اللّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّموتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ نُورُ السَّموتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ مَلِكُ السَّموتِ وَالْأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ الْحَقُّ وَوَعْدُكَ الْحَقُّ وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ وَقَوْلُكَ حَقٌّ وَالْجَنَّةُ حَقٌّ وَالنَّارُ حَقٌّ وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ وَمُحَمَّدٌ حَقٌّ وَالسَّاعَةُ حَقٌّ اللّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَبِكَ آمَنْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ وَبِكَ خَاصَمْتُ وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِه مِنِّي أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لَا إِلهَ إِلَّا أَنْتَ وَلَا إِلهَ غَيْرُكَ

“আল্ল-হুম্মা লাকাল হাম্‌দু, আনতা ক্বইয়্যিমুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি, ওয়ামান ফীহিন্না, ওয়ালাকাল হাম্‌দু, আন্‌তা নূরুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি, ওয়ামান ফীহিন্না ওয়ালা কাল হাম্‌দু, আনতা মালিকুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি, ওয়ামান ফীহিন্না, ওয়ালাকাল হামদ্, আন্‌তাল হাক্কু, ওয়া ওয়াদুকাল হাক্কু, ওয়ালিক্ব-উক্বা হাক্কুন, ওয়া ক্বওলুকা হাক্কুন, ওয়াল জান্নাতু হাক্কুন, ওয়ান্‌না-রু হাক্কুন, ওয়ান্ নবীয়্যূনা হাক্কুন, ওয়া মুহাম্মাদুন হাক্কুন, ওয়াস্ সা-আতু হাক্কুন, আল্ল-হুম্মা লাকা আস্‌লামতু, ওয়াবিকা আ-মান্‌তু, ওয়া আলায়কা তাওয়াক্কাল্‌তু, ওয়া ইলায়কা আনাব্‌তু, ওয়াবিকা খ-সাম্‌তু, ওয়া ইলায়কা হা-কাম্‌তু, ফাগ্ফিরলী মা- ক্বদ্দাম্‌তু, ওয়ামা- আখ্‌খার্‌তু, ওয়ামা আস্‌রার্‌তু, ওয়ামা আলান্‌তু, ওয়ামা- আন্‌তা আলামু বিহী মিন্নী, আন্‌তাল মুক্বদ্দিমু, ওয়া আন্‌তাল মুআখ্‌খিরু, লা- ইলা-হা ইল্লা- আন্‌তা, ওয়ালা- ইলা-হা গয়রুকা।

” অর্থাৎ “ হে আল্লাহ! সব প্রশংসাই তোমার। তুমিই আসমান জমিন এবং যা এ উভয়ের মাঝে আছে ক্বায়িম রেখেছ। সকল প্রশংসা তোমার। তুমি আসমান জমিন এবং এ উভয়ের মধ্যে যা আছে সকলের বাদশাহ। সকল প্রশংসা তোমারই। তুমিই সত্য। তোমার ওয়াদা সত্য। তোমার সাক্ষাৎ সত্য। তোমার কালাম সত্য। জান্নাত সত্য। জাহান্নাম সত্য। সকল নবী সত্য। মুহাম্মাদ [রাসূলুল্লাহ] [সাঃআঃ] সত্য। ক্বিয়ামত সত্য। হে আল্লাহ! আমি তোমার প্রতি আত্মসমর্পণ করেছি। আমি তোমার ওপর ঈমান এনেছি। তোমার ওপরই ভরসা করেছি। তোমার দিকেই আমি ফিরেছি। তোমার মদদেই আমি শত্রুর মুকাবিলা করছি। তোমার নিকট আমার ফরিয়াদ। তুমি আমার আগের ও পরের সকল গুনাহ মাফ করে দাও। আমার গোপন ও প্রকাশ্য গুনাহ তুমি মাফ করে দাও। আমার ওসব গুনাহও তুমি ক্ষমাকরে দাও, যা আমার চেয়ে তুমি ভাল অবগত আছো। তুমি যাকে ইচ্ছা করিবে আগে আনবে, যাকে ইচ্ছা করিবে পেছনে সরিয়ে দিবে। তুমি ছাড়া [প্রকৃত] কোন মাবূদ নেই। ] {১}

{১} সহীহ : বোখারী ১১২০, ৭৪৪২, মুসলিম ৭৬৯। রাতের সালাতে যা পরতেন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২১২. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] রাত্রে তাহাজ্জুদের জন্য দাঁড়িয়ে প্রথমত : এ দুআ পাঠ করিতেন,

اللّهُمَّ رَبَّ جِبْرِيْلَ وَمِيكَائِيْلَ وَإِسْرَافِيْلَ فَاطِرَ السَّموتِ وَالْأَرْضِ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ اهْدِنِىْ لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ إِنَّكَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلى صِرَاطٍ مُسْتَقِيْمٍ

“আল্ল-হুম্মা রব্বা জিবরীলা ওয়া মীকাঈলা, ওয়া ইস্‌রা-ফীলা, ফাত্বিরাস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরযি, আ-লিমাল গয়বি ওয়াশ্ শাহা-দাতি, আন্‌তা তাহ্‌কুমু বায়না ইবা-দিকা ফীমা কা-নূ ফীহি ইয়াখ্‌তালিফূন, ইহ্‌দিনী লিমাখ্‌তুলিফা ফীহি মিনাল হাক্বক্বি বিইয্‌নিকা, ইন্নাকা তাহ্‌দি মান তাশা-উ ইলা- সিরাত্বিম মুসতাক্বীম।

” অর্থাৎ হে আল্লাহ! হে জিবরীল, মীকাঈল ও ইসরাফীলের রব, হে আসমান ও জমিনের সৃষ্টিকর্তা, হে প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য জ্ঞানের অধিকারী! তুমিই তোমার বান্দাদের মতপার্থক্য ফায়সালা করে দিবে। হে আল্লাহ! সত্যের সম্পর্কে যে ইখতিলাফ করা হচ্ছে, এ সম্পর্কে আমাকে সরল সঠিক পথ দেখাও। কারণ তুমি যাকে চাও, সরল পথ দেখাও। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৭৭০। রাতের সালাতে যা পরতেন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২১৩. উবাদাহ্ ইবনুস সামিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইরশাদ করিয়াছেন, যে লোক রাত্রে ঘুম থেকে জেগে এ দুআ পাঠ করিবে :

 لَا إِلهَ إِلَّا اللّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَسُبْحَانَ اللّهِ وَالْحَمْدُ لِلّهِ وَلَا إِلهَ إِلَّا اللّهُ وَاللّهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّهِ

“লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহ্‌দাহূ লা- শারীকা লাহূ, লাহুল মুল্‌কু ওয়ালাহুল হাম্‌দু, ওয়াহুওয়া আলা- কুল্লি শাইয়্যিন ক্বদীর, ওয়া সুব্‌হা-নাল্ল-হি ওয়াল হাম্‌দু লিল্লা-হি ওয়ালা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াল্ল-হু আকবার, ওয়ালা-হাওলা ওয়ালা- ক্যুওয়াতা ইল্লা-বিল্লা-হ”

[অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া সত্যিকার কোন মাবূদ নেই, তিনি এক তাহাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তাহাঁরই, প্রশংসা মাত্রই তাহাঁর এবং তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাশীল। আল্লাহ তাআল পবিত্র, সকল প্রশংসা আল্লাহর, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন ইলাহ নেই, আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহর অনুগ্রহ ব্যতীত গুনাহ হইতে বাঁচার ও সৎকার্য করার ক্ষমতা কারো নেই]। তারপর বলবে, “রব্বিগ্ ফির্‌লী”[অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর]। অথবা বললেন, পুনরায় দুআ পাঠ করিবে। তার দুআ কবূল করা হবে। তারপর যদি উযূ করে ও সলাত আদায় করে, তার সলাত কবূল করা হবে। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ১১৫৪। রাতের সালাতে যা পরতেন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

অধ্যায়ঃ ৩২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

১২১৪. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাত্রে ঘুম থেকে জেগে হয়ে উঠলে বলিতেন,

لَا إِلهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ اللّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَسْتَغْفِرُكَ لِذَنْبِىْ وَأَسْأَلُكَ رَحْمَتَكَ اللّهُمَّ زِدْنِي عِلْمًا وَلَا تُزِغْ قَلْبِىْ بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنِىْ وَهَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ

“লা- ইলা-হা ইল্লা- আন্‌তা সুব্‌হা-নাকা, আল্ল-হুম্মা ওয়াবি হাম্‌দিকা আসতাগ্‌ফিরুকা লিযাম্‌বি, ওয়া আস্আলুকা রহমাতাকা, আল্ল-হুম্মা যিদ্‌নী ইলমা-, ওয়ালা- তুযিগ ক্বল্‌বি বাদা ইয হাদায়তানী, ওয়া হাব্‌লী মিল্লাদুন্‌কা রহমাতান, ইন্নাকা আন্‌তাল ওয়াহ্‌হা-ব। ” {১}

{১} জইফ : আবু দাউদ ৫০৬১, ইবনি হিব্বান ৫৫৬১, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১৯৮১, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৪১৬, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ৪৫। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

১২১৫. মুআয ইবনি জাবাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ইরশাদ করিয়াছেন : যে মুসলিম রাত্রে পাক-পবিত্র অবস্থায় আল্লাহর যিক্‌র করে ঘুমিয়ে যায়, তারপর রাত্রে জেগে উঠে আল্লাহর নিকট কল্যাণ কামনা করে, আল্লাহ তাকে [দুনিয়া ও আখিরাতে] অবশ্যই কল্যাণ দান করেন। {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ৫০৪২, সহীহ আত তারগীব ৫৯৮, সহীহ আল জামি ৫৭৫৪, আদ্ দাওয়াতুল কাবীর ৪২৭। রাতের সালাতে যা পরতেন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২১৬. শারীকুল হাওযানী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ্ [রাদি.]-এর নিকট গিয়ে প্রশ্ন করেছি, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রাত্রে ঘুম থেকে সজাগ হওয়ার পর কোন জিনিস দিয়ে ইবাদত আরম্ভ করিতেন? আয়িশাহ্ [রাদি.] বললেন, তুমি আমাকে এমন বিষয়ে জিজ্ঞেস করেছ যা তোমার পূর্বে আমাকে কোন লোক জিজ্ঞেস করেনি। তিনি রাত্রে ঘুম থেকে জেগে উঠার পর প্রথম দশবার আল্ল-হু আকবার পাঠ করিতেন। আলহাম্‌দু লিল্লা-হ বলিতেন দশবার। “সুব্‌হা-নাল্ল-হি ওয়া বিহাম্‌দিহী” পাঠ করিতেন দশবার। “সুব্‌হা-নাল মালিকিল কুদ্দূস” পাঠ করিতেন দশবার। আস্‌তাগ্‌ফিরুল্ল-হ পাঠ করিতেন দশবারলা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ পাঠ করিতেন দশবার। আর দশবার পড়তেন এ দুআ,

اللّهُمَّ إِنِّىْ أَعُوذُ بِكَ مِنْ ضِيْقِ الدُّنْيَا وَضِيْقِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ

“আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন যীক্বিদ্ দুন্ইয়া ওয়া যীক্বি ইয়াওমিল ক্বিয়া-মাহ্”। এরপর তিনি [সাঃআঃ] [তাহাজ্জুদের] সলাত আরম্ভ করিতেন।{১}

{১} হাসান সহীহ : আবু দাউদ ৫০৮৫। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান সহীহ

অধ্যায়ঃ ৩২. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

১২১৭. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাত্রে রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ সলাতের জন্যে দাঁড়ালে প্রথমে আল্ল-হু আকবার বলে এ দুআ পড়তেন,

سُبْحَانَكَ اللّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالى جَدُّكَ وَلَا إِلهَ غَيْرُكَ

সুবহা-নাকা আল্ল-হুম্মা ওয়াবি হামদিকা, ওয়াতাবা- রকাসমুকা ওয়াতাআলা- জাদ্দুকা, ওয়ালা- ইলা-হা গয়রুকা।

অর্থাৎ হে আল্লাহ! তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আমরা তোমার প্রশংসা করছি। তোমার নাম বারাকাতপূর্ণ। তোমার মর্যাদা অনেক উপরে। তুমি ব্যতীত কোন মাবূদ নেই।

তারপর তিনি বলিতেন,

اللّهُ أَكْبَرُ كَبِيرً

আল্ল-হু আকবার কাবীরা-। এরপর বলিতেন,

أَعُوذُ بِاللّهِ السَّمِيْعِ الْعَلِيْمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ مِنْ هَمْزِه وَنَفْخِه وَنَفْثِه

আঊযু বিল্লা-হিস্ সামীউল আলীম, মিনাশ্ শায়ত্ব-নির রজীম, মিন হামযিহী, ওয়া নাফখিহী ওয়া নাফসিহ। [তিরমিজি, আবু দাউদ, নাসায়ী; ঈমাম আবু দাঊদের বর্ণনায় গয়রুকার পর এ কথাটুকু আছে, তারপর তিনি বলিতেন,

لَا إِلهَ إِلَّا اللّهُ

লা- ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ তিনবার। আর হাদিসের শেষের দিকের শব্দগুলো হলোঃ তিনি [সাঃআঃ]

أَعُوذُ بِاللّهِ السَّمِيْعِ الْعَلِيْمِ

আঊযু বিল্লা-হিস সামীইল আলীম পড়ে] তারপর ক্বিরাআত [কিরআত] পড়া আরম্ভ করিতেন।]{১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ৭৭৫, আত তিরমিজি ২৪২, নাসায়ী ৮৯৯, আল কালিমুত্ব ত্বইয়্যিব ১৩০। রাতের সালাতে যা পরতেন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১২১৮. রবীআহ্ ইবনি কাব আল আসলামী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাঃআঃ-এর কামরার নিকট রাত্র কাটিয়েছি। আমি তাহাঁর কণ্ঠস্বর শুনতে পেতাম। তিনি রাতে তাহাজ্জুদের সলাতের জন্যে সজাগ হলে বেশ লম্বা সময় পর্যন্ত সুবহা-না রব্বিল আ-লামীন পাঠ করিতেন। তারপর আবার লম্বা সময় সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবি হামদিহী পড়তেন। ]{1

{১} সহীহ : নাসায়ী ১৬১৮, আহমাদ ১৬৫৭৪। রাতের সালাতে যা পরতেন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply