রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা এর হাদীস সমূহ

রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা

রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা , এই অধ্যায়ে হাদীস ১৬ টি ( ২২৪-২৩৯ পর্যন্ত ) << শামায়েলে তিরমিযী হাদীসের মুল সুচিপত্র দেখুন

অধ্যায়-৪৩ঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর রোযা 

১।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা
২।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) প্রতি মাসে ৩টি করে রোযা রাখতেন
৩।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) সোম ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন
৪।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) আশুরার রোযা রাখতেন
৫।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর আমল ছিল নিয়মিত
৬।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর রাতের আমল

১।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা

২২৪. আবদুল্লাহ ইবনি শাকীক [রহঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আয়েশাহ [রাদি.] কে রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর রোযা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তাতে তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) [ক্রমাগত] রোযা রাখতেন, এমনকি আমরা বলতাম, তিনি বুঝি অনবরত রোযা রেখেই যাবেন। আর যখন ইফতার করিতেন, তখন আমরা বলতাম, তিনি হয়তো আর রোযা রাখবেন না। আয়েশাহ [রাদি.] বলেন, মদিনায় হিজরতের পর রমযান মাস ছাড়া আর কোন সময় তিনি পূর্ণ মাস রোযা রাখতেন না।{১}

{১} সহিহ মুসলিম, হাদিস নং/২৭৭৫; সুনানে নাসাঈ, হাদিস নং/২৩৪৯; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/২৫২৭৬; শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং/১৮০৯; মুসনাদে আবু আওয়ানা, হাদিস নং/২৯৩৮। রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২২৫. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আনাস [রাদি.] কে নাবী (সাঃআঃ) এর রোযা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলিলেন, নাবী (সাঃআঃ) কোন মাসে এমনভাবে রোযা রাখতেন যে, আমরা মনে করতাম- তিনি হয়তো এ মাসে আর রোযা ছাড়বেন না। আবার অনেক সময় এমনভাবে রোযা ছেড়ে দিতেন যে, আমরা মনে করতাম— তিনি আর রোযা রাখবেন না। অবস্থা এমন ছিল যে, তুমি যদি তাঁকে নামাজরত অবস্থায় দেখিতে চাইতে, তবে তাঁকে নামাজরত অবস্থায়-ই দেখিতে পেতে। আর যদি নিদ্রিত অবস্থায় দেখিতে চাইতে, তবে তাঁকে নিদ্রিত অবস্থায়-ই দেখিতে পেতে।{১}

{১} ইবনি খুযাইমা, হাদিস নং/২১৩৪; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/১৩৪৯৮; মুসনাদুল বাযযার, হাদিস নং/৬৫৯২ঃ বায়হাকী, হাদিস নং/৪৫১১ শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং/৯৩২; সহিহ ইবনি হিব্বান, হাদিস নং/২৬১৮; মুসান্নাফে ইবনি আবি শায়বা, হাদিস নং/৯৮৪০। রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২২৬. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কখনো এমনভাবে রোযা রাখতেন যে, আমরা বলতাম, এ মাসে হয়তো তিনি আর রোযা ভাঙ্গবেন না। যখন রোযা ছেড়ে দিতেন, তখন [তাহাঁর অবস্থা দেখে] আমরা বলতাম, তিনি বুঝি আর রোযা রাখবেন না। মদিনায় হিজরতের পর রমযান মাস ছাড়া তিনি আর কখনো পূর্ণ মাস রোযা রাখেননি।{১}

{১} মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/১৯৯৮; মুসনাদুত তায়ালুসী, হাদিস নং/২৭৪৮। রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২২৭. উম্মু সালামা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কে রমযান ও শাবান মাস ছাড়া অন্য কোন মাসে একাধিক্রমে রোযা রাখতে দেখিনি।{১}

{১} সুনানে নাসাঈ, হাদিস নং/২১৭৫; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/২৬৬০৪; শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং/১৭২০; সহিহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হাদিস নং/১০২৫। রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২২৮. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কে শাবান মাস ছাড়া আর কোন মাসে এত অধিক রোযা রাখতে দেখিনি। তিনি শাবান মাসের অধিকাংশ দিনই রোযা রাখতেন। বরং প্রায় সারা মাসই তাহাঁর রোযা অবস্থায় কাটত।{১}

{১} সুনানে নাসাঈ, হাদিস নং/২১৭৮; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/২৫৩৫৭; সহিহ ইবনি হিব্বান, হাদিস নং/৩৫১৬; বায়হাকী, হাদিস নং/৮২১২; সহিহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হাদিস নং/১০২৪। রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) প্রতি মাসে ৩টি করে রোযা রাখতেন

২২৯. আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) প্রতি মাসের প্রথমদিকে তিনটি করে রোযা রাখতেন। জুমুআর দিন খুব কমই ইফতার করিতেন।{১}

{১} মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/৩৮৬০; সহিহ ইবনি হিব্বান, হাদিস নং/৩৬৪৫; মুসনাদুল বাযযার, হাদিস নং/১৮১৮ শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং/১৮০৩ঃ জামেউস সগীর, হাদিস নং/৯১০৩। রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) সোম ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন

২৩০. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) সোম ও বৃহস্পতিবারের রোযার প্রতি খুবই খেয়াল রাখতেন।{১}

{১} সুনানে নাসাঈ, হাদিস নং/২৩৬১; ইবনি মাজাহ, হাদিস নং/১৭৩৯; বায়হাকী, হাদিস নং/৮২৩০; মুসনাদে হাদিস নং/২৪৭৯২; সহিহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হাদিস নং/১০৪৪। রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩১. আবু হুরায়রা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী (সাঃআঃ) বলেছেন, সোম বা বৃহস্পতিবার দিন মানুষের আমল আল্লাহর দরবারে পেশ করা হয়। আর রোযা অবস্থায় আমার আমল আল্লাহর কাছে পেশ করা হোক- এটা আমি পছন্দ করি।{১}

{১} শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং/১৭৯৯। রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩২. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) কোন মাসে শনি, রবি ও সোম এবং কোন মাসে মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার দিন রোযা রাখতেন।{১}

{১} তাহযীবুল আছার, হাদিস নং/৯৮৪; মুসনাদে উমার ইবনি খাত্তাব, হাদিস নং/১২২০। রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩৩. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) শাবান মাস ছাড়া অন্য কোন মাসে এর চেয়ে বেশি রোযা রাখতেন না।

রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩৪. ইয়াযীদ আর রিশক [রহঃ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি মুআয [রাদি.] কে বলিতে শুনিয়াছি যে, তিনি বলেন, আমি আয়েশাহ [রাদি.] কে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কি প্রতি মাসে তিনটি করে রোযা রাখতেন? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, কোন কোন তারিখে রোযা রাখতেন? তিনি বলিলেন, কোন নির্দিষ্ট তারিখ ছিল না। সুযোগ পেলেই তিনি রোযা রাখতেন।{১}

{১} শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং/১৮০২; মুসনাদুত তায়ালুসী, হাদিস নং/১৬৭৭; মুস্তাখরাকে ইবনি আওয়ানা, হাদিস নং/২৩৭৩; মুসনাদে ইসহাক ইবনি রাহওয়াই, হাদিস নং/১৩৯৩। রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৪।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) আশুরার রোযা রাখতেন

২৩৫. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, জাহেলী যুগে কুরাইশরা আশুরার দিন রোযা রাখত। রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)-ও হিজরতের পূর্বে আশুরার রোযা রাখতেন। মদিনায় হিজরতের পরও তিনি আশুরার রোযা রাখতেন এবং এ রোযা রাখার নির্দেশ দিতেন। অতঃপর রমযানের রোযা ফরয করা হলে তা ফরযে পরিণত হয় এবং আশুরা ছেড়ে দেয়া হয়। সুতরাং যার ইচ্ছা সে তা রাখতে পারে, আবার যার ইচ্ছা ছেড়ে দিতে পারে।{১}

{১} মুয়াত্তা ঈমাম মালেক, হাদিস নং/৬৬২; সহিহ বোখারী, হাদিস নং/২০০২ সহিহ মুসলিম, হাদিস নং/২৬৯৮; আবু দাউদ, হাদিস নং/২৪৪৪; সহিহ ইবনি হিববান, হাদিস নং/৩৬২১; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/৬২৯২; বায়হাকী, হাদিস নং/৮১৯৫; মুসান্নাফে ইবনি আবি শাইবা, হাদিস নং/৯৪৪৭; সিলসিলা সহিহাহ, হাদিস নং/৩৫৩১। রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৫।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর আমল ছিল নিয়মিত

২৩৬. আলক্বামা হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আয়েশাহ [রাদি.] কে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কি ইবাদাতের জন্য কোন দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করিতেন? তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর আমল ছিল সর্বকালীন। রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) যেমন সামর্থ্যবান ছিলেন, তোমাদের মধ্যে এমন সামর্থ্যবান কেউ আছে কি?{১}

{১} সহিহ বোখারী, হাদিস নং/১৯৮৭ সহিহ মুসলিম, হাদিস নং/১৮৬৫ঃ আবু দাউদ, হাদিস নং/১৩৭২; সহিহ ইবনি খুযাইমা, হাদিস নং/১২৮১; সহিহ ইবনি হিব্বান, হাদিস নং/৩৬৪৭; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/২৫৬০৩; বায়হাকী, হাদিস নং/৮২৫৫। রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩৭. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদিন রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমার কাছে আসলেন। সে সময় জনৈক মহিলা আমার কাছে বসা ছিল। তিনি জিজ্ঞেস করিলেন, এ মহিলাটি কে? আমি বললাম, সে অমুক। সে সারা রাত বিনিদ্র অবস্থায় কাটায়। রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমল করা উচিত। আল্লাহর কসম! তিনি নেকী দান করিতে কখনো কুণ্ঠিত হন না, যতক্ষণ না তোমরা আমলে কুণ্ঠিত হও। আয়েশাহ [রাদি.] বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এমন কাজ করিতেই পছন্দ করেন, যা লোকেরা সর্বদা করিতে সামর্থ্য রাখে।{১}

1} ইবনি মাজাহ, হাদিস নং/৪২৩৮; সহিহ ইবনি খুযাইমা, হাদিস নং/১২৮২; মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদিস নং/৪৬৫১; বায়হাকী, হাদিস নং/৪৫১৪; শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং/৯৩৩। রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩৮. আবু সালিহ হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আয়েশাহ [রাদি.] ও উম্মে সালামার কাছে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর কাছে প্রিয় কাজ কোনটি ছিল? তাঁরা উভয়েই বলিলেন, যে আমল সব সময় করা হয়, তা যত কমই হোক না কেন।{১}

{১} মুয়াত্তা ঈমাম মালেক, হাদিস নং/৪১৯; সহিহ বোখারী, হাদিস নং/৬৪৬৫; সহিহ মুসলিম, হাদিস নং/১৮৬৪ সহিহ ইবনি হিব্বান, হাদিস নং/৩২৩; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/২৪০৮৯; সহিহ ইবনি খুযাইমা, হাদিস নং/১২৮৩; বায়হাকী, হাদিস নং/৪৩৪২। রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৬।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর রাতের আমল

২৩৯. আসিম ইবনি হুমায়দ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আওফ ইবনি মালিক [রাদি.]-কে বলিতে শুনিয়াছি, আমি এক রাতে রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর সঙ্গে ছিলাম। তিনি মিসওয়াক করিলেন। পরে ওযু করিলেন এবং সালাতে দাঁড়ালেন। আমিও তাহাঁর সঙ্গে দাঁড়ালাম। তিনি সূরা বাকারা আরম্ভ করিলেন। এরপর রহমতের আয়াত পাঠ করে চুপ থাকলেন এবং রহমত প্রার্থনা করিলেন। এরপর আযাবের আয়াত পাঠ করে চুপ থাকলেন এবং মুক্তি কামনা করেন। তারপর রুকূ করিলেন এবং এ দুআ পাঠ করিলেন,

 سُبْحَانَ ذِي الْجَبَرُوتِ وَالْمَلَكُوتِ , وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْعَظَمَةِ

“সুবহা-নাযিল জাবারুতি ওয়াল মালাকূতি ওয়াল কিবরিয়া-ই ওয়াল আযামতি”।, অর্থাৎ আমি পবিত্রতা ঘোষণা করছি ঐ সত্তার, যিনি মাহাত্ম্য, রাজত্ব, বড়ত্ব ও সম্মানের অধিকারী।

অতঃপর রুকূর সমপরিমাণ সময় সিজদা করেন এবং উপরোক্ত দুআটি আবারও পাঠ করেন। অতঃপর দ্বিতীয় রাকআতে সূরা আলে ইমরান পাঠ করেন। তারপর একেক রাকআতে একেক সূরা পাঠ করেন।{১}

{১} আবু দাউদ, হাদিস নং/৮৭৩; সুনানে নাসাঈ, হাদিস নং/১১৩২; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/২৪০২৬; মুজামুল কাবীর লিত তাবারানী, হাদিস নং/১৪৫৪০; বায়হাকী, হাদিস নং/৩৫০৪; শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং/৯১২। রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস


by

Comments

One response to “রসূলুল্লাহ [সাঃ] এর রোযা এর হাদীস সমূহ”

Leave a Reply