রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দৈহিক গঠন
রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দৈহিক গঠন , এই অধ্যায়ে হাদীস ১১ টি ( ১-১১ পর্যন্ত ) << শামায়েলে তিরমিযী হাদীসের মুল সুচিপত্র দেখুন
অধ্যায়-১ঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর দৈহিক গঠন
১. পরিচ্ছেদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বেশী দীর্ঘ ছিলেন না, আবার বেশী খাটোও ছিলেন না
২. পরিচ্ছেদঃ তিনি ছিলেন গৌরবর্ণের
৩. পরিচ্ছেদঃ তিনি ছিলেন মধ্যমাকৃতির
৪. পরিচ্ছেদঃ তাহাঁর দুকাঁধের মধ্যবর্তী স্থান প্রশস্ত ছিল
৫. পরিচ্ছেদঃ তাহাঁর হস্তদ্বয় ও পদদ্বয়ের তালু এবং আঙ্গুলসমূহ ছিল মাংসল
৬. পরিচ্ছেদঃ তিনি ছিলেন প্রশস্ত মুখ, ডাগর চক্ষু এবং সরু গোড়ালি বিশিষ্ট
৭. পরিচ্ছেদঃ তিনি ছিলেন পূর্ণিমার চাঁদের চেয়েও চমৎকার
৮. পরিচ্ছেদঃ তাহাঁর শুভ্রতা ছিল রৌপ্যের ন্যায়
৯. পরিচ্ছেদঃ তিনি ছিলেন ইবরাহীম [আঃ] এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ
১০. পরিচ্ছেদঃ তিনি ছিলেন শুভ্রকায় ও লাবণ্যময়
ভুমিকা
শামায়েলে তিরমিযী pdf – শামায়েল বলতে সাধারণ কোন ব্যক্তির দৈহিক, চারিত্রিক এবং ব্যবহারিক বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলির বর্ণনা সম্বলিত গ্রন্থকে বলা হয়। ইমাম তিরমিযী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দৈহিক, চারিত্রিক ও ব্যবহারিক ও গুণাবলী সম্পর্কে এই কিতাব লিখেন। কিতাবটিতে শুধুমাত্র মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর বর্ণনা সম্পর্কিত হাদীসগুলোকে এখানে তুলে ধরা হয়েছে। হাদীস গ্রন্থটিতে অধ্যায় অনুসারে হাদীসগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। এতে কিছু যইফ হাদীস রয়েছে। এই তাহক্বীকে যইফ হাদীসগুলো বাদ দিয়ে সহীহ হাদীসগুলোকে সংকলন করা হয়েছে। হাদীসের তাহকীক নেয়া হয়েছে শাইখ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)। সহীহ শামায়েলে তিরমিযী বিশেষ বৈশিষ্ট্য: এ গ্রন্থে শামায়েলে তিরমিযীর কেবল সহীহ হাদীসগুলো সংকলন করা হয়েছে, বিষয়বস্তু বুঝার সুবিদার্থে হাদীসের শুরুতে শিরোনাম দেয়া হয়েছে, অনেক হাদীসের ব্যাখ্যা সংযোজন করা হয়েছে, মূল শামায়েলে তিরমিযীর সহীহ হাদীসগুলো অন্যান্য হাদীস গ্রন্থের যেসব রয়েছে হাদীসের নম্বরসহ সেসব কিতাবের রেফারেন্স দেয়া হয়েছে।
১. পরিচ্ছেদ: রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বেশী দীর্ঘ ছিলেন না, আবার বেশী খাটোও ছিলেন না
১. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] খুব দীর্ঘ ছিলেন না আবার খাটোও ছিলেন না। তিনি ধবধবে সাদা কিংবা বাদামী বর্ণেরও ছিলেন না। তাহাঁর চুল একেবারে কোঁকড়ানো ছিল না, আবার একদম সোজাও ছিল না। ৪০ বছর বয়সে আল্লাহ তাআলা তাকে নবুওয়াত দান করেন। এরপর মক্কায় ১০ বছর এবং মদিনায় ১০ বছর কাটান। আল্লাহ তাআলা ৬০ বছর বয়সে তাকে ওফাত দান করেন। ওফাতকালে তাহাঁর মাথা ও দাড়ির ২০টি চুলও সাদা ছিল না। {১}
ব্যাখ্যা ঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর মাঝে যেমন উত্তম গুণাবলির সর্বাধিক সমাবেশ ঘটেছিল, তেমনি তার দৈহিক সৌন্দর্যও ছিল অতুলনীয়। এ হাদিস থেকে বুঝা যায় যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বেমানান দীর্ঘকায় ছিলেন না। আবার অতি খাটোও ছিলেন না। বরং মাঝারি গড়নের চেয়ে একটু দীর্ঘ ছিলেন। উল্লেখ্য যে, নাবী [সাঃআঃ]এর ইন্তেকাল হয়েছে ৬৩ বছর বয়সে। তিনি মক্কায় ১৩ বছর এবং মদিনায় ১০ বছর অতিবাহিত করিয়াছেন। এ সংক্রান্ত হাদিসগুলো এ গ্রন্থের শেষের দিকে উল্লেখ করা হয়েছে। বর্ণিত হাদিসটিতে দশকের পরের সংখ্যা ৩ বাদ দিয়ে মক্কায় অবস্থানকাল ১০ বছর এবং নাবী [সাঃআঃ] এর মোট বয়স ৬০ উল্লেখ করা হয়েছে। {১} সহিহ বোখারী, হাদিস নং/৫৯০০; সহিহ মুসলিম, হাদিস নং/৬২৩৫; মুয়াত্তা মালেক, হাদিস নং/১৬৩৯ ইবনি মাজাহ, হাদিস নং/১৩৫৪৩, মুসনাদুল বাযযার, হাদিস নং/৬১৮৯; শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং/৩৭৩৫; সহিহ ইবনি হিব্বান, হাদিস নং/৬৩৮৭। রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দৈহিক গঠন হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২. পরিচ্ছেদঃ তিনি ছিলেন গৌরবর্ণের
২. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মধ্যমাকৃতির ছিলেন। বেশি লম্বা কিংবা বেশি খাটোও ছিলেন না। তাহাঁর দেহ ছিল খুব আকর্ষণীয়। আর তাহাঁর চুল বেশি কোকড়ানো কিংবা একেবারে সোজাও ছিল না। তিনি ছিলেন গৌরবর্ণের। পথ চলতে তিনি সামনের দিকে কিছুটা ঝুঁকে চলতেন। {২}
{২} মুসনাদে আবু ইআলা, হাদিস নং/৩৮৩২ শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং/৩৬৪০। রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দৈহিক গঠন হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩. পরিচ্ছেদঃ তিনি ছিলেন মধ্যমাকৃতির
৩. বারা ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মধ্যমাকৃতির ছিলেন। তার দুই কাঁধের মধ্যবর্তী অংশ ছিল তুলনামূলক প্রশস্ত। তার ঘন চুলগুলো কানের লতি পর্যন্ত লম্বা ছিল। তার দেহে লাল লুঙ্গি ও লাল চাদর শোভা পেত। আমি তার তুলনায় সুদর্শন কাউকে কখনো দেখিনি।” {৩}
ব্যাখ্যা ঃ এ হাদীসে লাল চাদর ও লুঙ্গি পরিধান করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পুরুষের জন্যে লাল রংয়ের কাপড় পরিধান করিতে নিষেধ করিয়াছেন। এ বিরোধ সমাধানে কেউ কেউ বলেন, উজ্জ্বল লাল পরিধান করিতে নিষেধ করা হয়েছে। এখানে যে কাপড়দ্বয়ের কথা বলা হয়েছে, সেটা লাল ডোরাকাটা ছিল, উজ্জ্বল লাল বর্ণের ছিল না। {৩} সহিহ বোখারী, হাদিস নং/৩৫৫১ সীহ মুসলিম, হাদিস নং/৬২১০; নাসাঈ, হাদিস নং/৫২৩২। রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দৈহিক গঠন হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪. পরিচ্ছেদঃ তাহাঁর দুকাঁধের মধ্যবর্তী স্থান প্রশস্ত ছিল
৪. বারা ইবনি আযিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি কাঁধ পর্যন্ত লম্বা চুলবিশিষ্ট লাল চাদর ও লাল লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় রাসুলুল্লাহ [সাঃ] এর চেয়ে সুদর্শন কাউকে দেখিনি। তাহাঁর কেশগুচ্ছ ছিল কাঁধ বরাবর। তাহাঁর দুকাঁধের মধ্যবর্তী স্থান অন্যদের তুলনায় কিছুটা প্রশস্ত ছিল তিনি অধিক খাটো বা অধিক দীর্ঘাকৃতির ছিলেন না।” {৪}
ব্যাখ্যাঃ ৩ নং হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর মাথার চুল কানের লতি পর্যন্ত দীর্ঘ ছিল। আর এ হাদীসে বলা হয়েছে, কাঁধ পর্যন্ত দীর্ঘ ছিল। উভয় বক্তব্যই ঠিক। কেননা, চুল সব সময় এক অবস্থায় থাকে না। কখনো কম হয়, কখনো বেশি হয়। আবার ইচ্ছাকৃতভাবেও বড় ছোট রাখা হয়। চুলের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থার ব্যাখ্যা এভাবে করা যায় যে, তিনি সর্বোচ্চ কাধ পর্যন্ত লম্বা করিয়াছেন, যাকে জিম্মা বলা হয়। আর সর্বাধিক ছোট করার পরিমান ছিল কানের লতি, যাকে ওয়াফরা বলে। আর এর মাঝামাঝি অবস্থানকে লিম্মা বলা হয়। {৪} সহিহ মুসলিম, হাদিস নং/৬২১১; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/১৮৫৮১। রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দৈহিক গঠন হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫. পরিচ্ছেদঃ তাহাঁর হস্তদ্বয় ও পদদ্বয়ের তালু এবং আঙ্গুলসমূহ ছিল মাংসল
৫. আলী ইবনি আবু তালিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বেশি দীর্ঘ কিংবা বেশি খাটো ছিলেন না। তার হস্তদ্বয় ও পদদ্বয়ের তালু এবং আঙ্গুলসমূহ ছিল মাংসল। তাহাঁর মাথা ছিল কিছুটা বড় এবং হাত-পায়ের জোড়াগুলো ছিল মোটা। বুক হতে নাভি পর্যন্ত পশমের একটি সরু রেখা প্রলম্বিত ছিল। যখন পথ চলতেন মনে হতো যেন কোন উঁচু স্থান হতে নিচে অবতরণ করছেন। বর্ণনাকারী বলেন, তার পূর্বে কিংবা পরে আমি তার মতো [অনুপম আকর্ষণীয়] আর কাউকে দেখিনি।
{৫} মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/৭৪৬; মুস্তাদরাকে হাকিম, হাদিস নং/৪১৯৪; সহিহ ইবনি হিব্বান, হাদিস নং/৬৩১১। রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দৈহিক গঠন হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬. পরিচ্ছেদঃ তিনি ছিলেন প্রশস্ত মুখ, ডাগর চক্ষু এবং সরু গোড়ালি বিশিষ্ট
৬. জাবির ইবনি সামুরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর মুখ প্রশস্ত ছিল। চোখের শুভ্রতার মাঝে কিছুটা লালিমা ছিল। পায়ের গোড়ালি স্বল্প মাংসল ছিল। শুবা [রহঃ] বলেন, আমি সিমাক [রহঃ]-কে বললাম, [যলীউল ফাম] কী? তিনি বলিলেন, বড় মুখগহ্বর বিশিষ্ট। আমি আবার বললাম, [আশকালুল আইন] কী? তিনি বলিলেন, ডাগর চক্ষুবিশিষ্ট। আমি বললাম, এ [মানুহূসুল আক্কিব] কী? তিনি বলিলেন, সরু গোড়ালি বিশিষ্ট । {৬}
{৬} সহিহ মুসলিম, হাদিস নং/৬২১৬; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/২১০২৪ সহিহ ইবনি হিব্বান, হাদিস নং/৬২৮৯; জামেউস সগীর, হাদিস নং/৮৯৫২ঃ মিশকাত, হাদিস নং/৫৭৮৪। রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দৈহিক গঠন হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৭. পরিচ্ছেদঃ তিনি ছিলেন পূর্ণিমার চাঁদের চেয়েও চমৎকার
৭. জাবির ইবনি সামুরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি একবার পূর্ণিমা রাত্রির স্নিগ্ধ আলোতে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে লাল চাদর ও লুঙ্গি পরিহিত অবস্থায় দেখলাম। তখন আমি একবার তার দিকে ও একবার চাঁদের দিকে তাকাতে থাকলাম। মনে হলো তিনি আমার কাছে পূর্ণিমার চাঁদের চেয়ে অধিকতর চমৎকার। {৭}
{১} মুস্তাদরাকে হাকিম, হাদিস নং/৭৩৮৩; মারেফাতুস সাহাবা, হাদিস নং/১৪৩৫; মিশকাত, হাদিস নং/৫৭৯৪। রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দৈহিক গঠন হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৮. আবু ইসহাক [রহঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একবার বারা ইবনি আযিব [রাদি.]-কে এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করিল, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর চেহারা কি তরবারির ন্যায় ছিল? তিনি বলিলেন, না; বরং তা ছিল চাঁদের মতো। {৮}
ব্যাখ্যাঃ তরবারির সাথে সাদৃশ্য করা এ জন্য ক্রটিযুক্ত ছিল যে, এতে চেহারা অধিক লম্বা হওয়ার ধারণা সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া তরবারির চমকে শুভ্রতা বেশি থাকে, কিন্তু উজ্জ্বলতা থাকে না। তাই বারা ইবনি আযিব [রাদি.] তরবারির কথা অস্বীকার করে চাঁদের সাথে তুলনা করিয়াছেন। {১} সহিহ বোখারী, হাদিস নং/৩৫৫২; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/১৮৫০১; দারিমী, হাদিস নং/৬৪; সহিহ ইবনি হিব্বান, হাদিস নং/৬২৮৭। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৮. পরিচ্ছেদঃ তাহাঁর শুভ্রতা ছিল রৌপ্যের ন্যায়
৯. আবু হুরায়রা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ও শুভ্রতায় ছিলেন রৌপ্যের ন্যায় এবং তার চুলগুলো ছিল কিছুটা কোকড়ানো। {৯}
ব্যাখ্যা ঃ আনাস [রাদি.] হতে বর্ণিত এ অধ্যায়ের সর্বপ্রথম হাদীসে উল্লেখিত হয়েছে যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর গায়ের রং নিরেট সাদা ছিল না। তাই এ হাদীসে তাকে রূপার সাথে তুলনা করা হয়েছে। তিনি লাল মিশ্রিত সাদা ছিলেন এবং উজ্জ্বল সুন্দর ছিলেন। {১} জামেউস সগীর, হাদিস নং/৮৭৪৮; সিলসিলা সহিহাহ, হাদিস নং/২০৫৩। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৯. পরিচ্ছেদঃ তিনি ছিলেন ইবরাহীম [আঃ] এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ
১০. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন, আমার কাছে নাবীগণকে পেশ করা হয়। মূসা [আঃ] এর মধ্যে বিভিন্ন লোকের সাদৃশ্য বিদ্ধমান ছিল। তিনি যেন শানুয়াহ গোত্রের লোক। আমি ঈসা ইবনি মারইয়াম [আঃ]-কে উরওয়া ইবনি মাসউদের সাদৃশ্যপূর্ণ দেখিতে পাই। তারপর আমি ইবরাহীম [আঃ]-কে দেখিতে পাই এবং তাকে পাই তোমাদের সঙ্গীর সাথে সর্বাধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। তোমাদের সঙ্গী বলে তিনি নিজেকে বুঝিয়েছেন। আর আমি জিবরাঈল [আঃ]-কে দিহইয়া [কালবী] এর সাথে সদৃশ্যপূর্ণ দেখিতে পাই। {১০}
{১০} সহিহ মুসলিম, হাদিস নং/৪৪১; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/১৪৬২৯; সহিহ ইবনি হিব্বান, হাদিস নং/৬২৩২; জামেউস সগীর, হাদিস নং/৭৪৫১ মিশকাত, হাদিস নং/৫৭১৪ জামেউস সগীর, হাদিস নং/৮৭৫১; মিশকাত, হাদিস নং/৫৭৮৫। রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দৈহিক গঠন হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১০. পরিচ্ছেদঃ তিনি ছিলেন শুভ্রকায় ও লাবণ্যময়
১১. আবু তুফায়েল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ঐ কে দেখেছি- তবে তাকে যারা দেখেছেন তাহাদের মধ্যে আমি ছাড়া কেউ ভূপৃষ্ঠে বেঁচে নেই। [বর্ণনাকারী বলিলেন] আমি বললাম আপনি আমার কাছে তার বিবরণ পেশ করুন। তিনি বলিলেন, তিনি ছিলেন শুভ্রকায় ও লাবণ্যময় সুসামঞ্জস্যপূর্ণ। {১১}
{১১} সহিহ মুসলিম, হাদিস নং/৬২১৮; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/২৩৮৪৮; আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং/৭৯০; শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং/৩৬৪৮; জামেউস সগীর, হাদিস নং/৮৭৫১; মিশকাত, হাদিস নং/৫৭৮৫। রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর দৈহিক গঠন হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply