রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর চরিত্র
রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর চরিত্র মাধুর্য , এই অধ্যায়ে হাদীস ১২ টি ( ২৬৪-২৭৪ পর্যন্ত )<< শামায়েলে তিরমিযী হাদীসের মুল সুচিপত্র দেখুন
অধ্যায়-৪৮ঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর চরিত্র (মাধুর্য)
১।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) সকলের সাথেই পূর্ণ মনোযোগের দিয়ে কথা বলিতেন
২।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর চরিত্র সম্পর্কে আনাস [রাদি.] এর বর্ণনা
৩।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কখনো অশোভনীয় আচরণ করিতেন না
৪।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কখনো কাউকে প্রহার করিতেন না
৫।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কখনো নিজের জন্য প্রতিশোধ নিতেন না
৬।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) খারাপ লোকের সাথেও উত্তম আচরণ করিতেন
৭।পরিচ্ছদঃ আলী [রাদি.] এর ভাষায় রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর চরিত্রের বর্ণনা
৮।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর নিকট কোন কিছু চাইলে তিনি কখনো না বলিতেন না
৯।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল
১০।পরিচ্ছদঃ তিনি আগামীকালের জন্য কোন কিছু জমা করে রাখতেন না
১১।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) হাদিয়া গ্রহণ করিতেন এবং প্রতিদান দিতেন
১।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) সকলের সাথেই পূর্ণ মনোযোগের দিয়ে কথা বলিতেন
২৬৪. আমর ইবনি আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) সমাজের নিকৃষ্ট ব্যক্তির সাথেও পূর্ণ মনোযোগ ফিরিয়ে মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে কথা বলিতেন। এমনকি আমার সঙ্গেও তিনি কথা বলিতেন অনুরূপভাবে। তাতে আমার মনে হলো, আমি সমাজের উত্তম মানুষ। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি ভালো, না আবু বকর ভালো? তিনি বলিলেন, আবু বকর! আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি ভালো, না উমার ভালো? তিনি বলিলেন, উমার! আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, আমি ভালো না উসমান? তিনি বলিলেন, উসমান! আমি যখন বিস্তারিতভাবে রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, তখন আমাকে সঠিক কথা বলে দিলেন। পরে আমি মনে মনে কামনা করলাম, যদি আমি তাকে এরূপ প্রশ্ন না করতাম।
রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর চরিত্র হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর চরিত্র সম্পর্কে আনাস [রাদি.] এর বর্ণনা
২৬৪. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি ১০ বছর রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর খেদমত করেছি; কিন্তু এ সময়ের মধ্যে তিনি কখনো আমার কোন কাজে উহ শব্দটি পর্যন্ত করেননি। আমি করেছি এমন কোন কাজের ব্যাপারে তিনি কখনো জিজ্ঞেস করেননি যে, কেন করেছি? আর না করার ব্যাপারেও তিনি কখনো জিজ্ঞেস করেননি যে, কেন করোনি? চরিত্র মাধুর্যে তিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ। কোন রেশমী কাপড় বা কোন বিশুদ্ধ রেশম বা অন্য কোন এমন নরম জিনিস স্পর্শ করিনি, যা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর হাতের তালুর চেয়ে নরম। আমি এমন কোন মিশক বা আতরের সুবাস পাইনি, যা রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর ঘামের ঘ্রাণ হতে অধিক সুগন্ধিময়।{১}
{১} শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং/৩৬৬৪; দারিমী, হাদিস নং/৬২; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/১৩০৫৭; সহিহ ইবনি হিব্বান, হাদিস নং/২৮৯৪। রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর চরিত্র হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৩।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কখনো অশোভনীয় আচরণ করিতেন না
২৬৫. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কখনো ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় কোন প্রকার অশোভনীয় কথা বলিতেন না। বাজারেও তিনি উচ্চৈঃস্বরে কথা বলিতেন না। মন্দের প্রতিকার মন্দ দ্বারা করিতেন না; বরং ক্ষমা করে দিতেন। অতঃপর কখনো তা আলোচনাও করিতেন না।{১}
{১} মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/২৫৪৫৬; সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকী, হাদিস নং/১৩৮৬২ঃ মুসনাদুত তায়ালুসী, হাদিস নং/১৬২৩, শুআবুল ঈমান, হাদিস নং/৭৯৪৪ সহিহ ইবনি হিব্বান, হাদিস নং/৬৪৪৩। রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর চরিত্র হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৪।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কখনো কাউকে প্রহার করিতেন না
২৬৬. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একমাত্র আল্লাহর পথে জিহাদ ছাড়া কখনো রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) স্বীয় হাত দ্বারা [ইচ্ছাকৃতভাবে] কাউকে প্রহার করেননি এবং কোন দাস-দাসী বা স্ত্রীলোককেও প্রহার করেননি।{১}
{১} সহিহ মুসলিম, হ/৬১৯৫; আবু দাউদ, হাদিস নং/৪৭৮৮; ইবনি মাজাহ, হাদিস নং/১৯৮৪; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/২৫৯৬৫; সহিহ ইবনি হিব্বান, হাদিস নং/৪৮৮; বায়হাকী, হাদিস নং/২০৫৭৭; শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং/৩৬৬৭; শুআবুল ঈমান, হাদিস নং/১৩৫৮। রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর চরিত্র হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৫।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) কখনো নিজের জন্য প্রতিশোধ নিতেন না
২৬৭. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)-কে কখনো নিজের জন্য প্রতিশোধ নিতে দেখিনি, যতক্ষণ না কেউ আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করত। অবশ্য যখন কেউ আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করত, তখন তাহাঁর ন্যায় অধিক ক্রোধান্বিত আর কেউ হতো না। তাঁকে যদি দুটি কাজের মধ্যে যেকোন একটির অনুমতি দেয়া হতো, তবে তিনি সহজ কাজটি বেছে নিতেন, যতক্ষণ না এটাতে কোন গুনাহ হতো।{১}
{১} মুসনাদে হুমাইদী, হাদিস নং/২৭৪; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/২৫০২৯; মুস্তাদরাকে হাকিম, হাদিস নং/৪২২৩; সিলসিলা সহিহাহ, হাদিস নং/৫০৭; সুনানুল কুবরা লিন নাসাঈ, হাদিস নং/৯১১৮। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৬।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) খারাপ লোকের সাথেও উত্তম আচরণ করিতেন
২৬৮. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর কাছে আসার অনুমতি চাইল। আমি সে সময় তাহাঁর কাছে বসা ছিলাম। তিনি বলিলেন, এ ব্যক্তি গোত্রের কতই না খারাপ লোক! অতঃপর তাকে আসার অনুমতি দেয়া হলো এবং তিনি তাহাঁর সঙ্গে অতিশয় নরমভাবে কথা বলিলেন। অতঃপর লোকটি বের হয়ে গেলে আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! ব্যক্তিটি সম্পর্কে এরূপ কথা বলিলেন, আবার তাহাঁর সাথে বিনম্র ব্যবহার করিলেন। রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিলেন, হে আয়েশাহ! যে লোকের খারাপ ব্যবহারের জন্য লোকজন তাকে পরিহার করে এবং তাহাঁর থেকে দূরে থাকে, সে সবচেয়ে খারাপ লোক।{১}
{১} আবু দাউদ, হাদিস নং/৪৭৯৩; আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং/৩৩৮; শুআবুল ঈমান, হাদিস নং/৭৭৪৭; সহিহ ইবনি হিব্বান, হাদিস নং/৫৬৯৬; সিলসিলা সহিহাহ, হাদিস নং/১০৪৯; মুসনাদে আবু ইআলা, হাদিস নং/৪৮২৩। রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর চরিত্র হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৭।পরিচ্ছদঃ আলী [রাদি.] এর ভাষায় রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর চরিত্রের বর্ণনা
২৬৯. হাসান ইবনি আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, হুসাইন ইবনি আলী [রাদি.] বলেছেন, আমি আমার পিতাকে রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর সাথীদের ব্যাপারে তাহাঁর আচরণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি। উত্তরে তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) ছিলেন সদা হাস্যোজ্জোল ও বিনম্র স্বভবের অধিকারী। তিনি রূঢ়ভাষী বা কঠিন হৃদয়ের অধিকারী ছিলেন না। তিনি উচ্চৈঃস্বরে কথা বলিতেন না, অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করিতেন না, অপরের দোষ খোঁজে বেড়াতেন না এবং কৃপণ ছিলেন না। তিনি অপছন্দনীয় কথা হতে বিরত থাকতেন। তিনি কাউকে নিরাশ করিতেন না, আবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতিও দিতেন না। তিনটি বিষয় থেকে তিনি দূরে থাকতেন— ঝগড়া-বিবাদ ও অহংকার করা এবং অযথা কথাবর্তা বলা। তিনটি কাজ হতে লোকদেরকে বিরত রাখতেন- কারো নিন্দা করিতেন না, কাউকে অপবাদ দিতেন না এবং কারো দোষ-ত্রুটি তালাশ করিতেন না। যে কথায় সওয়াব হয়, শুধু তাই বলিতেন। তিনি যখন কথা বলিতেন তখন উপস্থিত শ্রোতাহাদের মনোযোগ এমনভাবে আকর্ষণ করিতেন, যেন তাহাদের মাথার উপর পাখি বসে আছে।
তিনি কথা বলা শেষ করলে অন্যরা তাকে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা জিজ্ঞেস করিতে পারত। তাহাঁর কথায় কেউ বাদানুবাদ করিতেন না। কেউ কোন কথা বলা শুরু করলে তাহাঁর কথা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি চুপ থাকতেন। কেউ কোন কথায় হাসলে বা বিস্ময় প্রকাশ করলে তিনিও হাসতেন কিংবা বিস্ময় প্রকাশ করিতেন। অপরিচিত ব্যক্তির দৃঢ় আচরণ কিংবা কঠোর উক্তি ধৈৰ্য্যের সঙ্গে সহ্য করিতেন। কখনো কখনো সাহাবীগণ অপরিচিত লোক নিয়ে আসতেন। রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলিতেন, কারো কোন প্রয়োজন দেখলে তা সামাধা করিতে তোমরা সাহায্য করিবে। কেউ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলে তিনি চুপ করে থাকতেন। কেউ কথা বলিতে থাকলে তাকে থামিয়ে দিয়ে নিজে কথা আরম্ভ করিতেন না। অবশ্য কেউ অযথা কথা বলিতে থাকলে তাকে নিষেধ করে দিতেন, অথবা মজলিস হতে উঠে যেতেন, যাতে বক্তার কথা বন্ধ হয়ে যায়।{১}
{১} শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং/৩৭০৫৷ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৮।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর নিকট কোন কিছু চাইলে তিনি কখনো না বলিতেন না
২৭০. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর নিকট কোন কিছু চাইলে তিনি কখনো না বলিতেন না।{১}
{১} সহিহ মুসলিম, হাদিস নং/৬১৫৮; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/১৪৩৩৩; মুসনাদে আৰু ইয়ালা, হাদিস নং/২০০১; মুসনাদুত তায়ালুসী, হাদিস নং/১৮২৬; মুজামুল আওসানত, হাদিস নং/১৩৩৯; মুসনাদে হুমাইদী, হাদিস নং/১২৮২; শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং/৩৬৮৫। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
৯।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল
২৭১. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) ছিলেন লোকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দানশীল। বিশেষ করে রমযান মাসে তিনি উদারভাবে দান করিতেন। এ মাসে জিবরাঈল [আঃ] তাহাঁর কাছে আগমন করিতেন এবং তাকে পবিত্র কুরআন শুনতেন। যখন তাহাঁর কাছে জিবরাঈল [আঃ] আগমন করিতেন, তখন রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এত বেশি দান খয়রাত করিতেন, যেন প্রচণ্ড বায়ু প্রবাহ কিংবা মুষলধারে বৃষ্টি বর্ষিত হতো।{১}
{১} সহিহ বোখারী, হাদিস নং/১৯০২ সহিহ মুসলিম, হাদিস নং/৬১৪৯; সুনানে নাসাঈ, হাদিস নং/২০৯৫; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/৩৪২৫; ইবনি খুযাইমা, হাদিস নং/১৮৮৯; ইবনি হিব্বান, হাদিস নং/৩৪৪০; আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নং/২৯২; শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং/৩৬৮৭। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১০।পরিচ্ছদঃ তিনি আগামীকালের জন্য কোন কিছু জমা করে রাখতেন না
২৭২. আনাস ইবনি মালিক [রাদি. হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর অভ্যাস ছিল, তিনি আগামীকালের জন্য কিছু জমা রেখে দিতেন না।{১}
{১} শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং/৩৬৯০; তাহযীবুল আছার, হাদিস নং/২৪৯০; সহিহ ইবনি হিব্বান, হ/৬৩৫৬ সহিহ তারগীব ওয়াত তারহীব, হাদিস নং/৯৩০; জামেউস সগীর, হাদিস নং/৮৯৭৭; শুআবুল ঈমান, হাদিস নং/১৩৯১। হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
১১।পরিচ্ছদঃ রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) হাদিয়া গ্রহণ করিতেন এবং প্রতিদান দিতেন
২৭৩. রুবাইয়্যি বিনতে মুআওভভিয ইবনি আফরা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমি এক পাত্র খেজুর এবং কিছু হালকা পাতলা শসা নিয়ে রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) এর খেদমতে উপস্থিত হলাম। রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) আমাকে এক মুষ্ঠ অলংকার ও স্বর্ণ দান করিলেন।{১}
{১} মুজামুল কাবীর লিত তাবারানী, হাদিস নং/২০১৫৭; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/২৭০৬৮। রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর চরিত্র তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
২৭৪. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) দান গ্রহণ করিতেন এবং প্রতিদানও দিতেন।{১}
{১} সহিহ বোখারী, হাদিস নং/২৫৮৫; আবু দাউদ, হাদিস নং/৩৫৩৮; মুজামুল আওসাত, হাদিস নং/৮০৩১; মুসনাদে আহম্মদ, হাদিস নং/২৪৬৩৫; বায়হাকী, হাদিস নং/১১৮০০; শারহুস সুন্নাহ, হাদিস নং/১৬১০; জামেউস সগীর, হাদিস নং/৯১৩০। রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর চরিত্র হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস
Leave a Reply