রসূলুল্লাহ সাঃ চরিত্রবান, বিনয় ও দানশীল ছিলেন
রসূলুল্লাহ সাঃ চরিত্রবান, বিনয় ও দানশীল ছিলেন
১২. অধ্যায়ঃ নবী [সাঃআঃ] মানুষের মধ্যে প্রবাহমান বায়ু থেকেও শ্রেষ্ঠ দানশীল ছিলেন
১৩. অধ্যায়ঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সর্বোত্তম চরিত্রবান ছিলেন
১৪. অধ্যায়ঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর কাছে কেউ কিছু চাইলে তিনি কক্ষনো না বলেননি এবং তাহাঁর বদান্যতা প্রসঙ্গ
১৫. অধ্যায়ঃ ছেলেদের প্রতি নবী [সাঃআঃ] –এর দয়া, বিনয়, আন্তরিকতা এবং তাহাঁর মর্যাদা
১২. অধ্যায়ঃ নবী [সাঃআঃ] মানুষের মধ্যে প্রবাহমান বায়ু থেকেও শ্রেষ্ঠ দানশীল ছিলেন
৫৯০৩. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মানুষের মাঝে দানশীলতায় সবচেয়ে বেশী অগ্রগামী ছিলেন। তবে রমাযান মাসে তিনি আরো অধিক দানশীল হইতেন। কারণ জিবরীল [আঃ] প্রতি বছর রমাযান মাসে তাহাঁর সাথে দেখা করিতেন। রমাযান শেষ হওয়া পর্যন্ত রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর সম্মুখে কুরআন পাঠ করে শোনাতেন। যখন জিবরীল [আঃ] তাহাঁর সাথে দেখা করিতেন তখন তিনি বিক্ষিপ্ত বাতাসের চাইতেও বেশি দানশীল হইতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৩৮]
৫৯০৪. যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
হুবহু রিওয়ায়াত করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৩৯]
১৩. অধ্যায়ঃ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সর্বোত্তম চরিত্রবান ছিলেন
৫৯০৫. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি দশ বছর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর খিদমাত করেছি। আল্লাহর শপথ! তিনি কখনো আমাকে উহ্ শব্দও বলেননি এবং কোন সময় আমাকে এটা কেন করলে, ওটা কেন করনি তাও বলেননি।
আবু রাবী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ধিত বলেছেন, কোন বিষয় সম্পর্কে যা খাদিমের করা ঠিক নয় এবং তাহাঁর রিওয়ায়াতে আল্লাহর শপথের বর্ণনা নেই।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৪০]
৫৯০৬. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০৬, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৪১]
৫৯০৭. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যখন মাদীনায় আসেন তখন আবু তাল্হাহ্ [রাদি.] হাতে ধরে আমাকে নিয়ে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে উপস্থিত হলেন। অতঃপর বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আনাস অত্যন্ত বুদ্ধিমান ছেলে, সে আপনার সেবা করিবে। আনাস [রাদি.] বলেন, আমি তাহাঁর খিদমাত করেছি সফর ও ইকামাত অবস্থায়। আল্লাহর শপথ! আমি যে কোন কাজই করেছি, তিনি আমাকে বলেননি যে, কেন এমনটি করলে? আর যে কোন কাজই আমি করিনি, কেন তুমি এটি করনি, এ রকমও বলেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০৭, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৪২]
৫৯০৮. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি নয় বছর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সেবা করেছি। আমার জানা নেই, তিনি কখনো আমায় বলেছেন, কেন তুমি এ কাজ করলে? এবং কোন ব্যাপারে আমাকে কক্ষনো দোষারোপও করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০৮, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৪৩]
৫৯০৯. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সবচেয়ে উত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। একদা তিনি আমাকে একটি কাজে যাওয়ার আদেশ করিলেন, তখন আমি বললাম, আল্লাহর শপথ! আবি যাব না; কিন্তু আমার মনে এ বিশ্বাস ছিল, যে কাজে আমাকে নবী [সাঃআঃ] নির্দেশ দিয়েছেন আমি সে কাজে যাব। অতঃপর আমি বের হয়ে ছেলেদের নিকট দিয়ে যাচ্ছিলাম। তারা বাজারে খেলাধূলায় লিপ্ত ছিল। হঠাৎ করে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পশ্চাৎদিকে এসে আমার ঘাড় ধরলেন। আনাস [রাদি.] বলেনে, আমি তাহাঁর প্রতি দৃষ্টি দিলাম তখন তিনি হাসছিলেন। তিনি প্রশ্ন করিলেন, হে উনায়স! তুমি কি সেখানে গিয়েছিলে যেখানে তোমাকে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলাম? তিনি বলেন, আমি বললাম হ্যাঁ! হে আল্লাহর রসূল! অবশ্যই আমি যাচ্ছি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০৯, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৪৪]
৫৯১০. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আল্লাহর শপথ! আমি নয় বছর তাহাঁর সেবায় ছিলাম, কিন্তু আমার জানা নেই, কোন কাজ আমি করেছি সে ব্যাপারে বলেননি এরূপ কেন করলে কিংবা কোন কাজ করিনি, সে ব্যাপারে বলেননি, কেন অমুক অমুক কাজ করলে না?
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮০৯, ইসলামিক সেন্টার- নেই]
৫৯১১. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সমস্ত লোকের মাঝে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮১০, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৪৫]
১৪. অধ্যায়ঃ রসূলুল্লাহ সাঃ এর কাছে কেউ কিছু চাইলে তিনি কক্ষনো না বলেননি এবং তাহাঁর বদান্যতা প্রসঙ্গ
৫৯১২. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট কেউ কিছু কামনা করলে কোন দিন তিনি না বলেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮১১, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৪৬]
৫৯১৩. মুহাম্মাদ ইবনি মুনকাদিরের সানাদে জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
হুবহু রিওয়ায়াত করেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮১২, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৪৭]
৫৯১৪. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট ইসলাম গ্রহণ করার পর কেউ কিছু চাইলে তিনি অবশ্যই তা দিয়ে দিতেন। আনাস [রাদি.] বলেন, জনৈক লোক নবী [সাঃআঃ]-এর নিকট আসলো। তিনি তাকে এত বেশী ছাগল দিলেন যাতে দুউপত্যকার মাঝামাঝি স্থান পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। এরপর সে লোক তার গোত্রের নিকট গিয়ে তাদের বলিল, হে আমার জাতি ভাইয়েরা! তোমরা ইসলাম কবূল কর। কারণ মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] অভাবের আশঙ্কা না করে দান করিতেই থাকেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮১৩, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৪৮]
৫৯১৫. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, জনৈক লোক রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে দু পাহাড়ের মাঝামাঝি ছাগলগুলো চাইলে তিনি তাকে তা দিয়ে দিলেন। অতঃপর সে লোক তার গোত্রের নিকট প্রত্যাবর্তন শেষে বলিল, হে আমার জাতি ভাইয়েরা! তোমরা ইসলাম কবূল কর। আল্লাহর শপথ! মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] অভাবের আশঙ্কা না করে দান করেন।
আনাস [রাদি.] বলেন, যদিও মানুষ শুধু ইহকালের উদ্দেশ্যেই ইসলাম গ্রহণ করে তবুও ইসলাম গ্রহণ করিতে না করিতেই ইসলাম তার কাছে পৃথিবী এবং পৃথিবীর সকল প্রাচুর্যের চাইতে অধিকতর প্রিয় হয়ে যায়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮১৪, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৪৯]
৫৯১৬. ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাক্কাহ্ বিজয়ের যুদ্ধ করেন। এরপর তাহাঁর সাথে যে সব মুসলিম ছিলেন তাদের নিয়ে তিনি বের হন। আর তাঁরা সবাই হুনায়নের যুদ্ধ করেন। এ যুদ্ধে মহান আল্লাহ তাআলা তাহাঁর দ্বীনের এবং মুসলিমদের সাহায্য করেন। সেদিন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সাফ্ওয়ান ইবনি উমাইয়াহ্কে একশ উট দান করেন। এরপর একশ উট, পুনরায় আরও একশ উট প্রদান করেন।
ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, সাঈদ ইবনি মুসাইয়্যিব [রাদি.] আমাকে বলেছেন যে, সাফ্ওয়ান [রাদি.] বলেন, আল্লাহর শপথ! রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে দান করিলেন এবং এমন পরিমাণে আমাকে দান করিলেন যে, তিনি আমার কাছে সবচেয়ে নিম্নপ্রকৃতির লোক ছিলেন। অতঃপর তিনি আমাকে অবিরাম দান করিতে থাকলেন এমনকি আমার নিকটে সবচেয়ে পছন্দের লোক হয়ে গেলেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৮১৫, ইসলামিক সেন্টার- ৫৮৫০]
৫৯১৭. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ আমাদের নিকট যদি বাহরাইন হইতে মাল আসে তাহলে তোমাকে এই, এই, এই পরিমাণ দিব এবং তিনি উভয় হাত একত্র করিলেন। এরপর বাহরাইন থেকে মাল আসার আগেই রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] পরলোক গমন করেন। তারপর আবু বকর [রাদি.]-এর কাছে বাহরাইন হইতে মাল আসে। তিনি একজন ঘোষককে এ মর্মে ঘোষণা দেয়ার আদেশ দিলেন যে, নবী [সাঃআঃ]-এর উপর যার কিছু ওয়াদা অথবা ঋণ রয়েছে সে যেন [আমার] নিকট আসে। তখন আমি দাঁড়িয়ে বললাম, নবী [সাঃআঃ] আমাকে বলেছিলেন যে, বাহরাইন থেকে যদি আমাদের কাছে মাল আসে তবে তোমাকে এই, এই, এই পরিমাণ দিব। এ কথা শুনে আবু বকর [রাদি.] এক অঞ্জলি উঠালেন এবং বলিলেন, গুনে দেখো। আমি তা গুনে দেখলাম তাতে পাঁচশ আছে। অতঃপর তিনি বলিলেন, এর চেয়ে আরো দ্বিগুণ তুমি নিয়ে নাও।
[ই.ফা.৫৮১৬, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৫১]
৫৯১৮. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যখন নবী [সাঃআঃ] ইন্তিকাল করিলেন এবং আবু বকর [রাদি.]-এর নিকট আলা ইবনি হাযরামীর তরফ হইতে মাল আসলো। তখন আবু বকর [রাদি.] ঘোষণা দিলেন, যার জন্য রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর উপর ঋণ রয়েছে কিংবা তাহাঁর তরফ হইতে কোন ওয়াদা রয়েছে, সে যেন আমার কাছে চলে আসে। অবশিষ্টাংশ হাদীস ইবনি উয়াইনার অবিকল।
[ই.ফা.৫৮১৭, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৫২]
১৫. অধ্যায়ঃ ছেলেদের প্রতি নবী সাঃ আঃ–এর দয়া, বিনয়, আন্তরিকতা এবং তাহাঁর মর্যাদা
৫৯১৯.আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ রাত্রে আমার একটি সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়, আমি তার নাম আমার পিতা ইব্রাহীম [আঃ]-এর নামে রাখি। এরপর তিনি উম্মু সায়ফ নামক একজন মহিলাকে ঐ সন্তানটি দিলেন। তিনি একজন কর্মকারের সহধর্মিণী। কর্মকারের নাম আবু সায়ফ। নবী [সাঃআঃ] একদিন আবু সায়ফ-এর নিকট যাচ্ছিলেন আর আমিও তাহাঁর সঙ্গে যাচ্ছিলাম। যখন আমরা আবু সায়ফের গৃহে উপস্থিত হই তখন সে তার হাপর বা ফুঁকনীতে ফুঁক দিচ্ছিল, সারা গৃহ ধুঁয়ায় ভরপুর ছিল। আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর আগে দৌঁড়ে গিয়ে আবু সায়ফকে বললাম, তুমি একটু থামো। রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] আসছেন। সে থামল। এরপর নবী [সাঃআঃ] ছেলেকে ডাকলেন এবং তাকে জড়িয়ে ধরে আদর করিলেন এবং যা আল্লাহ্র ইচ্ছা রয়েছে তা বলিলেন।
আনাস [রাদি.] বলেন, আমি এ ছেলেকে দেখলাম, সে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর সামনে বড় বড় শ্বাস ফেলছিল। তা দেখে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর দুনয়ন অশ্রু ভিজে গেল। আর তিনি বললেনঃ চোখ কাঁদছে, মন কাতর হচ্ছে, মুখে আমরা তাই বলব রব্বুল আলামীন যা পছন্দ করেন। হে ইব্রাহীম! আল্লাহ্র শপথ! আমরা তোমার জন্য খুবই ব্যথিত।
[ই.ফা.৫৮১৮, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৫৩]
৫৯২০. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর চাইতে শিশুদের প্রতি বেশী দয়াশীল আর কাউকে আমি দেখিনি। তিনি বলেন, [রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]–এর ছেলে] ইব্রাহীম [রাদি.] মাদীনার গ্রামাঞ্চলে দুধ পান করিতেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁকে দেখার জন্য সেখানে যেতেন আর আমরাও তাহাঁর সাথে যেতাম। তিনি দাইয়ের গৃহে ঢুকতেন, আর সেখানে ধুঁয়ায় আচ্ছন্ন থাকত। কেননা, তার দুধপিতা কর্মকার [কামার] ছিল। তিনি ছেলেকে কোলে তুলে চুমু খেতেন। পরে তিনি প্রত্যাবর্তন করিতেন।
আম্র ইবনি সাঈদ [রাদি.] বলেন, যখন ইব্রাহীম [রাদি.] মৃত্যুবরণ করেন তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ ইব্রাহীম আমার পুত্র, দুধ পান করা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে। তার জন্য দুধপিতা ও দুধমাতা রয়েছে, যারা জান্নাতে তাকে দুধ পান করার সময়-সীমা পর্যন্ত দুধ পান করাবে।
[ই.ফা.৫৮১৯, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৫৪]
৫৯২১. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে গেঁয়ো আরবীয় লোক আসলো। তারা প্রশ্ন করিল, আপনারা কি আপনাদের বাচ্চাদের চুমু দেন? উপস্থিত সবাই বলিলেন, হ্যাঁ! তখন তারা বলিলেন, কিন্তু আল্লাহ্র শপথ! আমরা তো তাদের চুমু দেই না। তারপর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, আমি কি করবো, আল্লাহ্ যদি তোমাদের হইতে দয়া দূর করে নিয়ে থাকেন।
ইবনি নুমায়রের বর্ণনাতে আছে, তোমার অন্তর হইতে……।
[ই.ফা.৫৮২০, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৫৫]
৫৯২২.আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আকরা ইবনি হাবিস [রাদি.] রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে দেখলেন যে, তিনি [ঈমাম] হাসান [রাদি.]-কে চুমু দিচ্ছেন। তখন আকরা ইবনি হাবিস [রাদি.] বলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আমার দশটি সন্তান রয়েছে। আমি তাদের কাউকে চুমু দেইনি। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বললেনঃ যারা দয়া করে না [আল্লাহ্ কর্তৃক] তাদের প্রতি দয়া করা হইবে না।
[ই.ফা.৫৮২১, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৫৬]
৫৯২৩. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.]-এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
অবিকল হাদীস রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ই.ফা.৫৮২২, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৫৭]
৫৯২৪. জারীর ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে লোক মানুষের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে না [কিয়ামতের দিন] আল্লাহও তার প্রতি দয়া প্রদর্শন করবেন না।
[ই.ফা.৫৮২৩, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৫৮]
৫৯২৫. জারীর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমাশের হাদীসের হুবহু রিওয়ায়াত করিয়াছেন।
[ই.ফা.৫৮২৪, ইসলামিক সেন্টার-৫৮৫৯]
Leave a Reply