শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ এবং সওম ফারয হওয়ার সূচনা

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ এবং সওম ফারয হওয়ার সূচনা

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ এবং সওম ফারয হওয়ার সূচনা >>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

অধ্যায়ঃ ১৪, অনুচ্ছেদঃ ১-১৪=১৪টি

অনুচ্ছেদ-১: সওম ফারয হওয়ার সূচনা
অনুচ্ছেদ-২: “যারা সওম পালনে সক্ষম তারা ফিদ্ইয়া দিবে” এই বিধান রহিত
অনুচ্ছেদ-৩ঃ যিনি বলেন, বৃদ্ধ ও গর্ভবতীর জন্য উক্ত বিধান বহাল আছে
অনুচ্ছেদ-৪ঃ মাস উনত্রিশ দিনেও হয়
অনুচ্ছেদ-৫ঃ লোকেরা চাঁদ দেখিতে ভুল করলে
অনুচ্ছেদ-৬ঃ শাবান মাস মেঘাচ্ছন্ন থাকলে
অনুচ্ছেদ-৭ঃ যিনি বলেন, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে রমাযানের ত্রিশটি সওম পূর্ণ করো
অনুচ্ছেদ-৮ঃ রমাযান মাস আসার পূর্বে সওম পালন
অনুচ্ছেদ-৯ঃ যখন কোন শহরে অন্যান্য শহরের এক রাত আগে চাঁদ দেখা যায়
অনুচ্ছেদ – ১০ঃ সন্দেহের দিন সওম পালন মাকরূহ
অনুচ্ছেদ – ১১ঃ যে ব্যক্তি শাবানকে রমাযানের সাথে যুক্ত করে
অনুচ্ছেদ – ১২ঃ শাবানের শেষ দিকে সওম পালন মাকরূহ
অনুচ্ছেদ-১৩ঃ শাওয়ালের চাদঁ দেখার বিষয়ে দুই ব্যক্তির সাক্ষ্য প্রদান
অনুচ্ছেদ-১৪ঃ রমযানের চাঁদ দেখার বিষয়ে এক জনের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য

অনুচ্ছেদ: সওম ফারয হওয়ার সূচনা

২৩১৩. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ ‏

[আল্লাহর বাণী] “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর সিয়াম পালন ফারয করা হয়েছে যেমন ফারয করা হয়েছিলো তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের উপর” [সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ১৮৩]। নাবী [সাঃআঃ] এর সময় [ইসলামের প্রথম যুগে] লোকেরা যখন এশার সলাত আদায় করতো তখন থেকে তাহাদের উপর খানাপিনা ও স্ত্রী-সহবাস হারাম হয়ে যেতো এবং তারা পরবর্তী রাত পর্যন্ত সওম পালন করতো। কিন্তু এক ব্যক্তি নফসের উপর খিয়ানত করে তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে ফেলে, অথচ সে এশার সলাত আদায় করেছে কিন্তু তখনও সে পূর্বের সওমের ইফতার করেনি। এমতাবস্থায় মহান আল্লাহ যেসব সাহাবী এ অন্যায়ে লিপ্ত হয়নি তাহাদের প্রতি সহনশীল ও কল্যাণ প্রদর্শনের ইচ্ছা করিলেন এবং বলিলেনঃ

عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنْتُمْ تَخْتَانُونَ أَنْفُسَكُمْ ‏

“আল্লাহ জানেন, তোমরা নিজেদের নফসের সাথে খিয়ানাত করেছিলে” [সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ১৮৭]। এর দ্বারা আল্লাহ মানুষের উপকার করেছেন এবং এটা তাহাদের জন্য সহজ ও ঐচ্ছিক করে দিয়েছেন।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান সহিহ

২৩১৪. আল-বারাআ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, লোকেরা যখন সওম পালন করতো তখন তাহাদের কেউ যদি কিছু না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়তো তাহলে পরের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে কিছুই খেতে পারতো না। সিরমা ইবনি ক্বায়িস আল-আনসারী [রাদি.] সওম পালন অবস্থায় স্ত্রীকে এসে জিজ্ঞেস করিলেন, তোমার কাছে কিছু আছে কি? স্ত্রী বলিলেন, না, তবে আমি খুঁজে দেখি আপনার জন্য কিছু যোগার করিতে পারি কিনা। স্ত্রী খাবারের সন্ধানে গেলে স্বামী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লো। স্ত্রী ফিরে এসে এ অবস্থা দেখে বলিলেন, তোমার জন্য বঞ্চনা। [ক্ষুধার কারণে] পরদিন দুপুর না হইতেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। এ দিন তিনি নিজ ভূমিতে কাজকর্ম করছিলেন। বিষয়টি নাবী [সাঃআঃ] এর কাছে উল্লেখ করা হলে আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ “রমাযানের রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা তোমাদের জন্য বৈধ করা হলো” তিনি [সাঃআঃ] আয়াতটির ভোর পর্যন্ত তিলাওয়াত করেন।

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ: “যারা সওম পালনে সক্ষম তারা ফিদ্ইয়া দিবেএই বিধান রহিত

২৩১৫. সালামাহ ইবনিল আকওয়া [রাদি.]–এর আযাদকৄত গোলাম ইয়াযীদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, [আল্লাহর বাণী]

وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ 

“যারা সামর্থবান [কিন্তু সওম পালনে অক্ষম] তারা এর পরিবর্তে ফিদ্ইয়া হিসেবে একজন মিসকীনকে খাদ্য দিবে” [সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ১৮৪] এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর আমাদের কারোর ইচ্ছে হলে সওম না রেখে ফিদ্ইয়া দিতে চাইলে তাই করতো। অতঃপর পরবর্তী আয়াত [২ঃ ১৮৫ ] দ্বারা উপরের প্রথম বিধানটি মানসূখ হয়ে যায়।

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩১৬. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

 وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ

“যারা সামর্থবান [কিন্তু সওম পালনে অক্ষম] তারা এর পরিবর্তে ফিদ্ইয়া হিসেবে একজন মিসকীনকে খাদ্য দিবে” [সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ১৮৪] এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর যে লোক প্রতিদিন খাওয়াতে সক্ষম ছিলো সে সওম না রেখে ফিদ্ইয়া দিতো, এভাবে তার সিয়াম পূর্ণ হতো। অতঃপর মহান আল্লাহ বলেনঃ

 فَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ وَأَنْ تَصُومُوا خَيْرٌ لَكُمْ ‏

“আর যে ব্যক্তি অধিক সদাক্বাহ করিবে তা তার জন্য উত্তম। আর যদি তোমরা সওম পালন করো তবে তা অধিক উত্তম”। আল্লাহ আরো বলেনঃ

 فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ

“তোমাদের মধ্যে যারা এ মাসে উপনীত হইবে তারা সওম পালন করিবে। কেউ অসুস্থ হলে বা সফরে থাকলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূর্ণ করিবে”।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

অনুচ্ছেদ৩ঃ যিনি বলেন, বৃদ্ধ গর্ভবতীর জন্য উক্ত বিধান বহাল আছে

২৩১৭. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

গর্ভবতী ও দুগ্ধ প্রদানকারিণী মহিলার জন্যে ফিদ্ইয়া প্রদানের বিধান বহাল রয়েছে।

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩১৮. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

 وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ 

আল্লাহর বাণীঃ “যারা সামর্থবান [কিন্তু সওম পালনে অক্ষম] তারা এর পরিবর্তে ফিদ্ইয়া হিসেবে একজন মিসকীনকে খাদ্য দিবে” [সূরাহ আল-বাক্বারাহঃ ১৮৪]। তিনি বলেন এ আয়াতে অতিবৃদ্ধ ও বৃদ্ধার জন্য সওম ভঙ্গের বিধান রয়েছে। এরা উভয়ে যখন সওম পালনের শক্তি হারিয়ে ফেলেছে, এমতাবস্থায় সওম না রেখে প্রত্যেক দিন একজন মিসকীনকে খাবার দিবে। গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারিণী সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা করলে তাহাদের জন্যও সওম ভঙ্গের অনুমতি আছে। {২৩১৮}

শাযঃ ইরওয়া [৯১২]। ২৩১৮ বায়হাক্বী। হাদিসের তাহকিকঃ শায

অনুচ্ছেদ৪ঃ মাস উনত্রিশ দিনেও হয়

২৩১৯. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ আমরা উম্মী জাতি, লিখতে জানি না, হিসাব করিতেও জানি না। তবে মাস এতো দিনে, এতো দিনে এবং এতো দিনে হয়। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, সুলায়মান তৃতীয় বারে আঙ্গুল গুটিয়ে নেন। অর্থাৎ মাস কখনো উনত্রিশ দিনে এবং কখনো ত্রিশ দিনে হয়।

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩২০. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ মাস কখনো উনত্রিশ দিনে হয়। সুতরাং চাঁদ না দেখে তোমরা সওম পালন করিবেনা এবং চাঁদ না দেখা পর্যন্ত সওম পালন বন্ধও করিবে না। আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার কারণে চাঁদ দেখা না গেলে তোমরা মাস ত্রিশদিন পুরা করিবে। নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, ইবনি উমার [রাদি.] শাবানের উনত্রিশ দিনে পৌঁছুলে আকাশের দিকে তাকাতেন, যদি চাঁদ দেখিতে পেতেন তাহলে সওম রাখতেন। কিন্তু যদি না দেখিতে পেতেন অথচ আকাশ মেঘ বা কুয়াশামুক্ত রয়েছে, তাহলে সওম রাখতেন না। আর যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন অথবা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকতো তাহলে তিনি পরদিন সওম রাখতেন। বর্ণনাকারী বলেন, ইবনি উমার [রাদি.] সেদিন সওম সমাপ্ত করিতেন যেদিন লোকেরা ইফতার করতো [মাস শেষ করতো]।

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩২১. আইয়ূব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

উমার ইবনি আবদুল আযীয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বাসরাহ্ অধিবাসীদের কাছে লিখে পাঠালেন, ইবনি উমার [রাদি.] নাবী [সাঃআঃ] এর সূত্রে যেভাবে হাদিস বর্ণনা করেছেন তা হুবহু অমুক অমুক তারিখে আমাদের নিকট পৌঁছেছে। তবে গণনার উত্তম পন্থা হলো, যখন আমরা শাবানের চাঁদ দেখবো তখন ইনশাআল্লাহ সওম রাখাবো। তবে যদি এক দিন পূর্বেই [উনত্রিশে শাবানের পর] চাঁদ দেখা যায় তাহলে সেই হিসেবে সওম রাখবো।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মাকতু

২৩২২. ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমরা নাবী [সাঃআঃ] এর সাথে ত্রিশ দিন সওম পালনের তুলনায় বেশিরভাগই উনত্রিশ দিন সওম পালন করেছি।

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩২৩. আবদূর রহমান ইবনি আবু বাকরাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতা হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ দুই ঈদের মাস সাধারণত উনত্রিশ দিনে হয় না। তা হলো রমাযান এবং যিলহাজ্জ মাস।

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ৫ঃ লোকেরা চাঁদ দেখিতে ভুল করলে

২৩২৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যেদিন তোমরা সওম সমাপ্ত করিবে সেদিন তোমাদের ঈদের দিন। আর যেদিন তোমরা কুরবানী করিবে সেদিন তোমাদের ঈদুল আযহার দিন। আরাফাহর পুরোটাই অবস্থানের জায়গা। মিনার পুরাটাই কুরবানীর স্থান, মাক্কাহর প্রতিটি অলিগলিই কুরবানীর স্থান এবং গোটা মুযদালিফার এলাকাই অবস্থানস্থল।

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ৬ঃ শাবান মাস মেঘাচ্ছন্ন থাকলে

২৩২৫. আবদুল্লাহ ইবনি আবু ক্বায়িস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ [রাদি.] –কে বলিতে শুনিয়াছি, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] শাবান মাসের হিসাব এতো গুরুত্ব সহকারে রাখতেন যে, অন্য কোন মাসের হিসাব ততোটা গুরুত্ব দিয়ে রাখতেন না। অতঃপর তিনি রমাযানের চাঁদ দেখেই সওম পালন করিতেন। আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে তিনি শাবান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ করিতেন। এরপর সওম রাখতেন।

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩২৬. হুযাইফাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তোমরা চাঁদ না দেখে কিংবা শাবানের ত্রিশ দিন পূর্ণ না করে [রমাযানকে] এগিয়ে আনবে না। আর [শাওয়াল মাসের] চাঁদ না দেখা পর্যন্ত অথবা রমাযানের ত্রিশ দিন পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তোমরা সওম পালন করিতে থাকিবে। কতিপয় এ হাদিস বর্ণনায় হুযাইফাহ [রাদি.] এর নাম উল্লেখ করেননি।

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ৭ঃ যিনি বলেন, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে রমাযানের ত্রিশটি সওম পূর্ণ করো

২৩২৭. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তোমরা রমাযান মাস আগমনের একদিন অথবা দুদিন পূর্বে সওম পালন করিবে না। তবে কেউ যদি [প্রতি মাসে] ঐ তারিখে সওম পালনে অভ্যস্ত হয়, সে রাখতে পারে। তিনি আরো বলিয়াছেনঃ তোমরা চাঁদ না দেখে সওম পালন করিবে না এবং শাওয়ালের চাঁদ না দেখা পর্যন্ত সওম অব্যাহত রাখবে। যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয় তবে সওম ত্রিশ দিন পূর্ণ করিবে, অতঃপর সওম ভঙ্গ করিবে। আর মাস উনত্রিশ দিনেও হয়। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, হাতিম ইবনি আবু সাগীর, শুবাহ ও হাসান ইবনি সালিহ সিমাক হইতে হাদিসটি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তাঁরা “সওম ভঙ্গ করিবে” এ কথাটি বর্ণনা করেননি।

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ৮ঃ রমাযান মাস আসার পূর্বে সওম পালন

২৩২৮. ইমরান ইবনি হুসাইন [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি শাবানের শেষ দিকে সওম রেখেছো? সে বললো, না। তিনি বলিলেনঃ যখন তুমি সওম রাখোনি, তখন [রমাযানের শেষে] একদিন বা দুই দিন সওম রাখবে।

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩২৯. আবুল আযহার আল-মুগীরাহ ইবনি ফারওয়াহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা মুআবিয়াহ [রাদি.] হিমস শহরের প্রবেশ দ্বারে অবস্থিত মুসতাহিল বাজারে লোকদের উদ্দেশে দাঁড়িয়ে বলিলেন, হে জনগণ! আমরা অমুক দিন, অমুক দিন চাঁদ দেখেছি। সুতরাং আমরা সওম আরম্ভ করিতে যাচ্ছি। আর যে ব্যক্তি ভালো মনে করে সে যেন এরূপ করে। বর্ণনাকারী বলেন, তখন মালিক ইবনি হুবাইরাহ আস-সাবঈ দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করিলেন, হে মুআবিয়াহ! আপনি কি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে এ বিষয়ে কিছু শুনেছেন, নাকি আপনার ব্যক্তিগত অভিমত? মুআবিয়াহ [রাদি.] বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনেছিঃ তোমরা শাবান মাসে সওম পালন করো এবং বিশেষভাবে এর শেষদিকে। {২৩২৯}

২৩২৯ বায়হাক্বী। সনদের আবুল আযহার মুগীরাহ বিন ফারওয়াহ এর জাহলাত রয়েছে। তার সম্পর্কে হাফিয আত-তাক্বরীব গ্রন্থে বলেনঃ মাক্ববুল। ইবনি হিব্বান ছাড়া আর কেউ তাহাকে সিক্বাহ বলেননি। ইবনি হাযম মুহাল্লা গ্রন্থে বলেনঃ তিনি গাইরে মাশহুর। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

২৩৩০. আবুল ওয়ালীদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আমি আবু আমর আল-আওযাঈকে বলিতে শুনিয়াছি, সাররাহ অর্থ মাসের প্রথমভাগ। {২৩৩০}

{২৩৩০} বায়হাক্বী। হাদিসের তাহকিকঃ শায মাকতু

২৩৩১. আবু মুসহির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

সাঈদ ইবনি আবদুল আযীয [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলিতেন, সাররাহ অর্থ শাবানের প্রথম ভাগ। {২৩৩১}

শায , ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, কারো মতে, মাসের মধ্যভাগ, কারো মতে, শেষ ভাগ। সহীহঃ মাসের শেষভাগ।{২৩৩১} বায়হাক্বী। হাদিসের তাহকিকঃ শায

অনুচ্ছেদ৯ঃ যখন কোন শহরে অন্যান্য শহরের এক রাত আগে চাঁদ দেখা যায়

২৩৩২. ইবনি আব্বাস [রাদি.]- এর আযাদকৃত গোলাম কুরাইব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

উম্মুল ফাদল বিনতুল হারিস তাহাকে মুআবিয়াহ [রাদি.] -এর নিকট সিরিয়াতে কোন দরকারে পাঠালেন। কুরাইব বলেন, আমি সিরিয়া এসে তার কাজটি পুরা করি। এমতাবস্থায় রমাযানের চাঁদও উদিত হলো। আমরা সেখানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখি। রমাযানের শেষদিকে আমি মদিনায় ফিরে এলে ইবনি আব্বাস [রাদি.] বিভিন্ন আলোচনার পর চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিলেন, তোমরা কখন চাঁদ দেখেছো? আমি বলিলাম, আমি বৃহস্পতিবার চাঁদ দেখেছি। তিনি জিজ্ঞেস করিলেন, তুমি স্বচক্ষে চাঁদ দেখেছো? আমি বলিলাম, হ্যাঁ, লোকেরাও দেখেছে এবং সওম রেখেছে এবং মুআবিয়াহ [রাদি.] -ও সওম রেখেছেন। তিনি বলিলেন, আমরা চাঁদ দেখেছি শুক্রবার সন্ধ্যায়। সুতরাং আমরা ত্রিশ দিন পূর্ণ হওয়া অথবা [শাওয়ালের] চাঁদ না দেখা পর্যন্ত সওম পালন অব্যাহত রাখবো। তখন আমি বলিলাম, মুআবিয়াহর চাঁদ দেখা ও তাহাঁর সওম পালন কি আপনার সওম পালন ও ভঙ্গের জন্য যথেষ্ট নয়? তিনি উত্তর দিলেন, না, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে এরূপই নির্দেশ দিয়েছেন।

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩৩৩. আল-হাসান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আল-হাসান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] কোন এক শহরের অধিবাসী সম্পর্কে বর্ণিত। লোকটি সোমবার সওম পালন করে এবং দুই ব্যক্তি সাক্ষ্য দেয় যে, তারা রবিবার দিবাগত সন্ধ্যায় চাঁদ দেখেছে। তিনি বলিলেন, ঐ লোক এবং তার অধিবাসীকে সওম ক্বাযা করিতে হইবে না যতক্ষণ না তারা জানতে পারে যে, ঐ জনপদের লোকেরা রবিবার সওম পালন করেছে। তাহলে তারা সওম ক্বাযা করিবে।

হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ মাকতু

অনুচ্ছেদ১০ঃ সন্দেহের দিন সওম পালন মাকরূহ

২৩৩৪. সিলাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা এক সন্দেহজনক দিনে আম্মারের [রাদি.] নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন একটি ভূনা বকরী সেখানে উপস্থিত করা হলে কিছু লোক এক দিকে সরে গেলো [খাওয়া থেকে বিরত থাকলো]। তখন আম্মার [রাদি.] বলিলেন, যে ব্যক্তি সন্দেহজনক দিনে সওম পালন করেছে, সে আবুল কাসিম [সাঃআঃ] এর নাফরমানী করেছে।

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ১১ঃ যে ব্যক্তি শাবানকে রমাযানের সাথে যুক্ত করে

২৩৩৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা রমাযানের একদিন অথবা দুদিন পূর্বে সওম রাখবে না। অবশ্য কেউ প্রতি মাসে ঐ তারিখে সওম পালনে অভ্যস্ত হলে সে রাখতে পারে।

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩৩৬. উম্মে সালামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] শাবান মাস ছাড়া বছরের পূর্ণ একটি মাস কখনো সওম রাখতেন না। তিনি সওম অব্যাহত রেখে শাবানকে রমাযানের সাথে মিলাতেন।

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ১২ঃ শাবানের শেষ দিকে সওম পালন মাকরূহ

২৩৩৭. আবদুল আযীয ইবনি মুহাম্মাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

আব্বাদ ইবনি কাসীর [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] মদিনায় আগমন করে আল-আলা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -এর মাজলিস এ উপস্হিত হলেন। তিনি তার হাত ধরে তাহাকে দাঁড় করালেন, অতঃপর বলিলেন, হে আল্লাহ ! এ লোকটি তার পিতার সূত্রে আবু হুরায়রা [রাদি.] এর থেকে বর্ননা করেন যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ শাবান মাসের অর্ধেক অতিবাহিত হলে তোমরা [নাফল] সওম রাখবে না। আল-আলা বলেন, আল্লাহ সাক্ষী, আমার পিতা আবু হুরায়রা [রাদি.] থেকে নাবী [সাঃআঃ] এর সূত্রে উক্ত হাদিস আমার নিকট বর্ননা করেছেন।

সহিহ। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আস-সাওরী, শিবল ইবনিল আলা, উমাইস ও যুহাইর ইবনি মুহাম্মাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আল-আলা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। আবদুর রহমান [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এ হাদিসটি বর্ণনা করিতেন না। আমি ঈমাম আহমাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-কে জিজ্ঞেস করি, তা কেন? তিনি বলেন, তার কাছে হাদিস রহিয়াছে যে, নাৰী [সাঃআঃ] সওমের পালনের দ্বারা শাবানকে রমাযানের সাথে মিলাতেন। কিন্তু আল-আলা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] নাবী [সাঃআঃ] হইতে এর বিপরীত বর্ণনা করেছেন। ঈমাম দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমার মতে, দুই হাদিসের মধ্যে বিরোধ নাই। আল-আলা ছাড়া অন্য কেউ এটি তার পিতা থেকে বর্ণনা করেননি। শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ১৩ঃ শাওয়ালের চাদঁ দেখার বিষয়ে দুই ব্যক্তির সাক্ষ্য প্রদান

২৩৩৮. হুসাইন ইবনিল হারিস আল-জাদালী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

একদা মাক্কাহয় আমীর ভাষণ প্রদানের সময় বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে চাঁদ দেখে হাজ্জের অনুষ্ঠান আদায়ের উপদেশ দিয়েছেন। যদি চাঁদ না দেখি তাহলে দুজন নিষ্ঠাবান ব্যক্তির সাক্ষ্যের ভিত্তিতে যেন আমাদের হাজ্জের অনুষ্ঠানাদি পালন করি। আবু মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমি হুসাইন ইবনিল হারিস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] -কে জিজ্ঞেস করি, মাক্কাহর আমীর কে? তিনি বলেন, আমার জানা নেই। পরবর্তীতে তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হলে তিনি বলেন, মাক্কাহর আমীর হলেন মুহাম্মাদ ইবনি হাতিবের ভাই হারিস ইবনি হাতিব। অতঃপর উক্ত আমীর বলিলেন, তোমাদের মধ্যে এমন একজন আছেন যিনি আমার চাইতে আল্লাহ ও তাহাঁর রাসূল [সাঃআঃ] সম্বন্ধে অধিক জ্ঞাত। আর তিনিই এ কথাটি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] থেকে সাক্ষ্য দিয়ে বলিয়াছেন। একথা বলে তিনি এক লোকের দিকে ইঙ্গিত করিলেন। হুসাইন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আমার পাশে বসা এক বৃদ্ধ লোককে আমি জিজ্ঞেস করলাম, আমীরের ইঙ্গিতকৃত এই লোকটি কে? তিনি বলিলেন, ইনি আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.]। তিনি যে বলিয়াছেন, উনি [ইবনি উমার] আমার চেয়ে অনেক জ্ঞাত, তাও সঠিক। এরপর আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে উক্ত নির্দেশ দিয়েছেন।

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

২৩৩৯. রিবঈ ইবনি হিরাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে নাবী [সাঃআঃ] এর জনৈক সাহাবী হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রমাযানের শেষদিন সম্পর্কে লোকদের মধ্যে মত পার্থক্য দেখা দিলো, এমতাবস্হায় দুজন বেদুঈন এসে নাবী [সাঃআঃ] কাছে আল্লাহর নামে শপথ করে সাক্ষ্য দিলেন যে, তারা উভয়ে গতকাল সন্ধ্যার চাঁদ দেখেছেন। সুতরাং নাবী [সাঃআঃ] লোকদের সওম ভঙ্গ করার নির্দেশ দিলেন। খালফ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার হাদিসে বর্ণনা করেন যে, তিনি [সাঃআঃ] তাহাদেরকে সকালে তাহাদের ঈদগাহে গমনের নির্দেশ দিয়েছেন।

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ১৪ঃ রমযানের চাঁদ দেখার বিষয়ে এক জনের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য

২৩৪০. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এক বেদুঈন নাবী [সাঃআঃ] এর নিকট এসে বললো, আমি রমযানের চাঁদ দেখেছি। নাবী [সাঃআঃ] তাহাকে বলিলেনঃ তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলা্হ নেই? সে বললো, হ্যাঁ। তিনি পুনরায় বলিলেন, তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] আল্লাহর রাসূল? সে বললো, হ্যাঁ। তিনি বলিলেনঃ হে বিলাল! ঘোষণা করে দাও, লোকেরা যেন কাল সওম পালন করে। {২৩৪০}

দুর্বলঃ মিশকাত [১৯৭৮], যয়ীফ সুনান তিরমিজি [১০৮ /৬৯৪], যয়ীফ সুনান নাসায়ী [১২১ /২১১২], যয়ীফ সুনান ইবনি মাজা্হ [৩৬৪], ইরওয়া [৯০৭]। ২৩৪০ তিরমিজি, নাসায়ী, ইবনি মাজাহ, ইবনি খুযাইমাহ। ঈমাম তিরমিজি বলেনঃ ইবনি আব্বাসের হাদিসের মতপার্থক্য রয়েছে। হাদিসের সানাদে সিমাক রয়েছে। ইকরিমা সূত্রে তার বর্ণনা মুযতারিব। যেমন আত-তাক্ববীর গ্রন্থে রয়েছে। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

২৩৪১. ইকরিমাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

একদা সাহাবীগন রমযানের চাঁদ দেখা নিয়ে সন্দিহান হলে তারা তারাবীহ না পড়া ও সওম না রাখার ইচ্ছা করেন। এমন সময় হাররাহ এলাকা থেকে এক বেদুঈন এসে সাক্ষ্য দিলো যে, সে চাঁদ দেখেছে। তাহাকে নাবী [সাঃআঃ] নিকট উপস্হিত করা হলে তিনি তাহাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, আল্লাহ ছাড়া কোন ইলা্হ নেই, এবং আমি আল্লাহর রাসূল? সে বললো, হ্যাঁ, এবং সে সাক্ষ্য দিলো যে, সে চাঁদ দেখেছে। অতঃপর তিনি বিলাল [রাদি.] -কে নির্দেশ দিলেনঃ লোকদের মধ্যে ঘোষণা করে দাও যে, তারা যেন ক্বিয়াম করে এবং সওম রাখে। ঈমাম আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, হাদিসটি এক জামাআত সিমাকের মাধ্যমে ইকরিমাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] সূত্রে মুরসালভাবে বর্ণনা করেছেন, তিনি একে মারফু করেছেন। তবে হাম্মাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ছাড়া কেউই ক্বিয়াম তথা তারাবীহ সলাতের কথা উল্লেখ করেননি। {২৩৪১}

২৩৪১ বায়হাক্বী। এর পূর্বেরটি দেখুন। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

২৩৪২. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন লোকেরা রমযানের চাঁদ অন্বেষণ করছিল। আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে জানালাম যে, আমি চাঁদ দেখেছি। অতঃপর তিনি নিজেও সওম রাখলেন এবং লোকদেরকেও রমযানের সওম পালনের আদেশ দিলেন।

শাবান শাওয়াল ও রমজানের চাঁদ হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply