তাকবীর বলা ও রফাদাইন করার হাদিস

তাকবীর বলা ও রফাদাইন করার হাদিস

তাকবীর বলা ও রফাদাইন করার হাদিস >>  >> সুনানে নাসাই শরিফের মুল সুচিপত্র দেখুন

১০.পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় রাকআত থেকে দাঁড়াতে তাকবীর বলা
১১.পরিচ্ছেদঃ শেষ রাকআতের জন্য দাঁড়াবার সময় হস্তদ্বয় উত্তোলন
১২.পরিচ্ছেদঃ শেষ দুরাকআতের জন্য দাঁড়াবার সময় উভয় কাঁধ পর্যন্ত হস্তদ্বয় উত্তোলন
১৩.পরিচ্ছেদঃ নামাজে হস্তদ্বয় ওঠানো এবং হামদ [আলহামদুলিল্লাহ] ও ছানা [সুবহানা-কাল্লাহ] পাঠ করা

১০.পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় রাকআত থেকে দাঁড়াতে তাকবীর বলা

১১৭৯. আবদুর রহমান ইবন আমাম [রহঃ] হইতে বর্ণীত

আনাস ইবন মালিক [রাঃআঃ] নামাজে তাকবীর বলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হলে বলিলেন, [মুসল্লী] তাকবীর বলবে, যখন সে রুকূতে যাবে, সিজদায় যাবে, সিজদা থেকে তাহাঁর মাথা ওঠাবে এবং যখন দ্বিতীয় রাকআত থেকে দাঁড়াবে। হুতায়ম [রহঃ] {আনাস ইবন মালিক [রাঃআঃ]-কে} প্রশ্ন করিলেন, কার কাছ থেকে আপনি এগুলো শুনে মনে রেখেছেন? তিনি বলিলেন, নাবী [সাঃআঃ] আবু বকর [রাঃআঃ] এবং ঊমর [রাঃআঃ] থেকে। তখন হুতায়ম [রহঃ] তাঁকে বলিলেন, আর উসমান [রা]? তিনি বলিলেন, উসমান [রাঃআঃ] থেকেও [শুনে মনে রেখেছি]।

রফাদাইন করার হাদিস তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১১৮০. মুতাররাফ ইবন আবদুল্লাহ [রহঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, আলী ইবন আবু তালিব [রাঃআঃ] একদা নামাজ আদায় করছিলেন, তিনি প্রত্যেক নীচু স্থানে অবতরণ এবং উচুতে ওঠার সময় পূর্ণাংগভাবে তাকবীর বলছিলেন। তখন ইমরান ইবন হুসায়ন [রহঃ] বলিলেন, আলী ইবন আবু তালিব [রাঃআঃ] তিনি আমাকে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর নামাজের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন।

রফাদাইন করার হাদিস তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১১.পরিচ্ছেদঃ শেষ রাকআতের জন্য দাঁড়াবার সময় হস্তদ্বয় উত্তোলন

১১৮১. আবু হুমায়দ সায়ীদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, নাবী করীম [সাঃআঃ] যখন দু সিজদার পর দাঁড়াতেন, তাকবীর বলিতেন এবং হস্তদ্বয় তাহাঁর উভয় কাঁধ বরাবর উত্তোলন করিতেন, যেমন নামাজ শুরু করার সময় তিনি করিতেন।

রফাদাইন করার হাদিসতাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১২.পরিচ্ছেদঃ শেষ দুরাকআতের জন্য দাঁড়াবার সময় উভয় কাঁধ পর্যন্ত হস্তদ্বয় উত্তোলন

১১৮২. [আবদুল্লাহ] ইবন উমর [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

নাবী করীম [সাঃআঃ] থেকে বর্ণিত যে, তিনি যখন নামাজ আরম্ভ করিতেন, তখন তাহাঁর হস্তদ্বয় উত্তোলন করিতেন। আর যখন রুকূতে যাওয়ার ইচ্ছা করিতেন, যখন রুকূ থেকে মাথা ওঠাতেন এবং যখন দ্বিতীয় রাকআত থেকে দাঁড়াতেন তখনও অনুরূপভাবে উভয় কাঁধ বরাবর তাহাঁর হস্তদ্বয় ওঠাতেন।

রফাদাইন করার হাদিস তাহকিকঃ সহীহ হাদিস

১৩.পরিচ্ছেদঃ নামাজে হস্তদ্বয় ওঠানো এবং হামদ [আলহামদুলিল্লাহ] ও ছানা [সুবহানা-কাল্লাহ] পাঠ করা

১১৮৩. সহল ইবন সাদ [রাঃআঃ] হইতে বর্ণীত

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বনূ আমর ইবন আউফে [কোন সঙ্কট] মীমাংসার জন্য গেলেন। এরপর নামাজের সময় হলে মুয়াযযিন আবু বকর [রা]-এর কাছে এসে সাহাবীগণকে একত্র করে তাঁদের ঈমামতি করিতে অনুরোধ করিলেন। ইতিমধ্যে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এসে কাতার ফাঁক করে প্রথম সারিতে দাড়িয়ে গেলেন। সাহাবীগণ আবু বকর [রা]-কে রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর আগমন সম্পর্কে অবহিত করার জন্য হাতে তালি দিলেন। আবু বকর [রাঃআঃ] নামাজে [একাগ্রচিত্ততার কারণে] অন্য দিকে লক্ষ্য করিতেন না। যখন হাত তালির মাত্রা বেড়ে গেল তিনি বুঝতে পারলেন যে, তাঁদের নামাজে কোন কিছু ঘটেছে। তিনি লক্ষ্য করে রাসূলু্ল্লাহ [সাঃআঃ] এর আগমন সম্বন্ধে অবহিত হলেন। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর দিকে ইশারা করিলেন যে, তুমি নিজ অবস্থায় থাক। তখন আবু বকর [রাঃআঃ] রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর এ কথার জন্য তাহাঁর হস্তদ্বয় উত্তোলন পূর্বক আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও তাহাঁর গুণগান করিলেন এবং পিছু হটে গেলেন। রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] অগ্রসর হয়ে নামাজ আদায় করিলেন। নামাজ শেষ করে তিনি আবু বকর [রাঃআঃ] কে বলিলেন, আমি যখন তোমার প্রতি ইশারা করেছিলাম তখন তোমাকে নামাজ আদায় করিতে কিসে বারণ করেছিল? তিনি বলিলেন, ইবন আবু কোহাফার [আবু বকর] জন্য রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সামনে ঈমামতি করা সমীচীন ছিল না। তারপর রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সাহাবীগণকে বলিলেন, তোমাদের কি হয়েছিল? তোমরা হাতে তালি দিয়েছিলে কেন? হাতে তালি দেওয়া তো নারীদের জন্য। এরপর বলিলেন, যদি তোমাদের নামাজে কিছু ঘটে যায় তবে তোমরা তাসবীহ [সুবহানাল্লাহ] পড়বে।

তাহকিকঃ সহীহ হাদিস


Posted

in

by

Comments

One response to “তাকবীর বলা ও রফাদাইন করার হাদিস”

Leave a Reply