যুহার নামাজ মুস্তাহাব আর তার সর্বনিম্ন হচ্ছে দু রাকআত
যুহার নামাজ মুস্তাহাব আর তার সর্বনিম্ন হচ্ছে দু রাকআত >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
১৩. অধ্যায়ঃ যুহার নামাজ মুস্তাহাব আর তার সর্বনিম্ন [রাকআতের পরিমান] হচ্ছে দু রাকআত, আর সম্পুর্ন হচ্ছে আট রাকআত, মধ্যম পরিমান হচ্ছে চার অথবা ছয় রাকআত এবং এগুলো রক্ষনাবেক্ষন করার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান ১৫৪৫-১৫৬০
১৪. অধ্যায়ঃ ফাজ্রের দু রাকআত সুন্নাত, তার জন্য উৎসাহ দান, সেটা সংক্ষেপে ও সর্বদা আদায় করা এবং এতে যে ক্বিরাআত পাঠ মুস্তাহাব।
১৫. অধ্যায়ঃ ফার্যের পূর্বে ও পরে নিয়মিত সুন্নাতের ফাযীলাত এবং তার সংখ্যার বিবরণ
১৩. অধ্যায়ঃ যুহার নামাজ মুস্তাহাব আর তার সর্বনিম্ন [রাকআতের পরিমান] হচ্ছে দু রাকআত, আর সম্পুর্ন হচ্ছে আট রাকআত, মধ্যম পরিমান হচ্ছে চার অথবা ছয় রাকআত এবং এগুলো রক্ষনাবেক্ষন করার ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান
১৫৪৫. আবদুল্লাহ ইবনি শাক্বীক্ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আয়েশাহকে জিজ্ঞেস করলাম যে, নবী [সাঃআঃ] কি চাশ্তের নামাজ আদায় করিতেন? জবাবে তিনি বললেনঃ না, তিনি সলাতুয্ যুহা আদায় করিতেন না। তবে যখন সফর থেকে ফিরে আসতেন তখন আদায় করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৩০, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৩৭]
১৫৪৬. আবদুল্লাহ ইবনি শাক্বীক্ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি আয়েশাহকে জিজ্ঞেস করলাম যে, নবী [সাঃআঃ] কি যুহা বা চাশ্তের নামাজ আদায় করিতেন। জবাবে তিনি বললেনঃ না, তবে তিনি যখন সফর থেকে ফিরে আসতেন তখন আদায় করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৩১, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৩৮]
১৫৪৭. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি কখনো রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে যুহা বা চাশ্তের নামাজ আদায় করিতে দেখিনি। তবে আমি নিজে চাশ্তের নামাজ আদায় করে থাকি। অনেক কাজ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পছন্দ করা সত্বেও এ আশংকায় তা করিতেন না যে, লোকজন সে অনুযায়ী কাজ করলে তা ফরয করে দেয়া হইতে পারে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৩২, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৩৯]
১৫৪৮. মুআযাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
আয়িশা [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যুহা বা চাশ্তের নামাজ কয় রাকআত আদায় করিতেন? জবাবে আয়িশা [রাদি.] বলিলেন, তিনি যুহা বা চাশতের নামাজ সাধারণতঃ চার রাকআত আদায় করিতেন এবং অনেক সময় ইচ্ছামত আরো বেশী আদায় করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৩৩, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৪০]
১৫৪৯. মুহাম্মাদ ইবনি জাফার ও শুবাহ্ হইতে বর্ণীতঃ
ইয়াযীদ থেকে একই সানাদে অনুরুপ হাদীস বর্ননা করিয়াছেন। তবে ইয়াযীদ তার বর্ননায় “মা-শা-আল্ল-হু” [আল্লাহ যা চান] কথাটি উল্লেখ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৩৪, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৪১]
১৫৫০. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যুহা বা চাশ্তের নামাজ চার রাকআত আদায় করিতেন এবং আল্লাহর ইচ্ছায় বেশীও আদায় করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৩৫, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৪২]
১৫৫১. আবু ক্বাতাদাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
একই সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৩৬, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৪৩]
১৫৫২. আবদুর রহমান ইবনি আবু লায়লা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, একমাত্র উম্মু হানী ছাড়া আর কেউ-ই আমাকে এ কথা বলেন নি যে, সে নবী [সাঃআঃ]-কে যুহা বা চাশতের নামাজ আদায় করিতে দেখেছে। উম্মু হানী বর্ণনা করিয়াছেন যে, মক্কা বিজয়ের দিন নবী [সাঃআঃ] তাহাঁর ঘরে গিয়ে আট রাকআত নামাজ আদায় করিয়াছেন। [তিনি এ কথাও বলেছেন যে,] আমি নবী [সাঃআঃ]-কে আর কখনো এত সংক্ষিপ্ত করে নামাজ আদায় করিতে দেখিনি। তবে তিনি রুকু ও সাজদাহ্গুলো পূর্ণরূপে আদায় করছিলেন। ইবনি বাশ্শার তার বর্ণিত হাদীসে কাত্তু [কখনো] শব্দটি উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৩৭, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৪৪]
১৫৫৩. আবদুল্লাহ ইবনি হারিস ইবনি নাওফাল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, এমন কোন লোকের সন্ধান পেতে আমি খুবই আকাঙ্ক্ষী ছিলাম এবং এ ব্যাপারে লোকদের জিজ্ঞেসও করতাম যে, এমন কেউ আমাকে এ মর্মে জ্ঞাত করিতে পারবে যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] সলাতুয যুহা বা চাশ্তের নামাজ আদায় করিয়াছেন। তবে একমাত্র আবু ত্বলিবের কন্যা উম্মু হানী ছাড়া আর কাউকেই এমন পাইনি যে, আমাকে এ ব্যাপারে কিছু অবহিত করিতে পেরেছে। তিনি [উম্মু হানী] আমাকে জানিয়েছেন যে, মক্কা বিজয়ের দিন সুর্যোদয়ের পর বেলা কিছু বাড়লে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তার কাছে আসলেন। একটি কাপড় আনা হল এবং তা দিয়ে পর্দা করে দিলে তিনি গোসল করিলেন। তারপর সলাতে দাড়ালেন এবং আট রাকআত আদায় করিলেন। উম্মু হানী [রাদি.] বলেছেন- এ সলাতে তার ক্বিয়াম [দাঁড়ানো] দীর্ঘতর ছিল, না রুকু দীর্ঘতর ছিল, না সাজদাহ্ দীর্ঘতর ছিল তা আমি জানিনা। তবে ক্বিয়াম, রুকু ও সাজদাহ্ সবগুলোই মনে হয় এক রকমের দীর্ঘ ছিল। উম্মু হানী [রাদি.] বলেছেনঃ এর আগে কিংবা পরে আর কখনো আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে সলাতুয্ যুহা বা চাশ্তের নামাজ আদায় করিতে দেখিনি। হাদীসটির বর্ণনাকারী মুরাদী এটি ইউনুস থেকে বর্ণনা করিয়াছেন। তবে তিনি আখবারানী অর্থাৎ ইউনুস আমাকে বলেছেন কথাটি উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৩৮, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৪৫]
১৫৫৪. উম্মু হানী [রাদি.]-এর আযাদকৃত দাস আবু মুর্রাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, তিনি আবু ত্বলিবের কন্যা উম্মু হানী [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছেন। [তিনি বলেছেন] মক্কা বিজয়ের বছরে আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর কাছে গিয়ে দেখলাম, তিনি গোসল করছেন আর তাহাঁর কন্যা ফাত্বিমাহ্ একটি কাপড় দিয়ে তাঁকে পর্দা করে রেখেছেন। উম্মু হানী বলেন- আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তখন তিনি জানতে চাইলেন, কে? আমি বললামঃ আমি আবু ত্বলিবের কন্যা উম্মু হানী। তিনি [খুশীতে] বললেনঃ উম্মু হানীকে স্বাগতম। অতঃপর গোসল শেষ করে তিনি সলাতে দাড়াঁলেন এবং একটি মাত্র কাপড় গায়ে জড়িয়ে আট রাকআত নামাজ আদায় করিলেন। নামাজ শেষে আমি তাঁকে বললামঃ হে আল্লাহর রসুল! আমার ভাই আলী ইবনি আবু ত্বলিব বলেছেনঃ তিনি আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.]-এর পুত্র অমুককে হত্যা করে ছাড়বেন অথচ আমি তাকে নিরাপত্তা দিয়েছি। সব শুনে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, হে উম্মু হানী! তুমি যাকে নিরাপত্তা দান করেছ আমিও তাকে নিরাপত্তা দান করেছি। উম্মু হানী বর্ণনা করেছেনঃ এ ঘটনা ছিল যুহা বা চাশ্তের সময়ের।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৩৯, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৪৬]
১৫৫৫. উম্মু হানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
মক্কা বিজয়ের বছর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাঁর ঘরে একটি কাপড় গায়ে জড়িয়ে তার দু প্রান্ত দু দিকে উঠিয়ে আট রাকআত নামাজ আদায় করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৪০, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৪৭]
১৫৫৬. আবু যার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ প্রতিটি দিন শুরু হওয়ার সাথে সাথে তোমাদের প্রত্যেকের প্রতিটি অস্থি-বন্ধনী ও গিঁটের উপর সদাক্বাহ্ ওয়াজিব হয়। সুতরাং প্রতিটি তাসবীহ্ অর্থাৎ সুবহানাল্ল-হ বলা সদাক্বাহ্ হিসেবে গন্য হয়। প্রতিটি তাহমীদ অর্থাৎ আলহম্দুলিল্লা-হ বলা তার সদাক্বাহ্ হিসেবে গন্য হয়। প্রতিটি আল্ল-হু আকবর তার জন্য এবং নাহী আনিল মুনকার অর্থাৎ খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখার প্রতিটি প্রয়াসও তার জন্য অনুরুপ সদাক্বাহ বলে গন্য হয়। তবে যুহা বা চাশ্তের মাত্র দু রাকআত নামাজ যদি সে আদায় করে তাহলে তা এ সবগুলোর সমকক্ষ হইতে পারে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৪১, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৪৮]
১৫৫৭. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমার বন্ধু {অর্থাৎ রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]} আমাকে তিনটি কাজ করিতে উপদেশ দিয়েছেন। সেগুলো হল – প্রতি মাসে তিনটি করে সওম [রোযা] পালন করিতে, যুহা বা চাশ্তের দু রাকআত নামাজ আদায় করিতে এবং ঘুমানোর পূর্বে বিত্র নামাজ আদায় করিতে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৪২, ইসলামিক সেন্টার-১৫৪৯]
১৫৫৮. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] -এর মাধ্যমে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৪৩, ইসলামিক সেন্টার-১৫৫০]
১৫৫৯. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমার বন্ধু আবুল ক্বাসিম [সাঃআঃ] আমাকে তিনটি কাজ করিতে আদেশ করিয়াছেন। এতটুকু বর্ণনা করার পর তিনি আবু হুরায়রাহ্ থেকে আবু উসমান বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ই.ফা.১৫৪৪, ইসলামিক সেন্টার-১৫৫১]
১৫৬০. আবুদ্ দারদা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমার প্রিয়তম বন্ধু আমাকে তিনটি কাজ করিতে আদেশ করিয়াছেন। আমার জীবদ্দশায় তা কখনো পরিত্যাগ করব না। [তিনি আমাকে আদেশ করিয়াছেন] প্রতি মাসে তিনটি করে সিয়াম পালন করিতে যুহা বা চাশ্তের নামাজ আদায় করিতে আর বিত্র নামাজ আদায় করার আগে না ঘুমাতে।
[ই.ফা.১৫৪৫, ইসলামিক সেন্টার-১৫৫২]
১৪. অধ্যায়ঃ ফাজ্রের দু রাকআত সুন্নাত, তার জন্য উৎসাহ দান, সেটা সংক্ষেপে ও সর্বদা আদায় করা এবং এতে যে ক্বিরাআত পাঠ মুস্তাহাব।
১৫৬১. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
উম্মুল মুমিনীন হাফসাহ্ তাকে বলিলেন যে, ফাজ্রের নামাজের আযানের পর মুয়ায্যিন যখন থেমে যেত এবং ভোরের আলো প্রকাশ পেত তখন রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফরয নামাজের ইক্বামাত দেয়ার পূর্বে সংক্ষিপ্তভাবে দু রাকআত নামাজ আদায় করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৪৬, ইসলামিক সেন্টার-১৫৫৩]
১৫৬২. হাফ্সাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, ফাজ্র উদিত হলে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হালকা করে দু রাকআত নামাজ আদায় করিতেন।
[ই.ফা.১৫৪৭,ইসলামিক সেন্টার-১৫৫৪]
১৫৬৩. হাফ্সাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, ফাজ্র উদিত হলে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] হালকা করে দু রাকআত নামাজ আদায় করিতেন।
[ই.ফা.১৫৪৮, ইসলামিক সেন্টার-১৫৫৫]
১৫৬৪. শুবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
একই সানাদে অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।
[ই.ফা.১৫৪৯, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৫৬]
১৫৬৫. হাফ্সাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] ফাজ্রের আলো প্রকাশিত হওয়ার পর দু রাকআত নামাজ আদায় করিতেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৫০, ইসলামিক সেন্টার-১৫৫৭]
১৫৬৬. আয়েশাহহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আযান শোনার পর রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফাজ্রের দু রাকআত নামাজ আদায় করিতেন আর তা সংক্ষিপ্ত আদায় করিতেন।
[ই.ফা.১৫৫১, ইসলামিক সেন্টার-১৫৫৮]
১৫৬৭. আলী ইবনি হুজ্র, আবু কুরায়ব, আবু বকর ও ইবনি নুমায়র, আম্র আন্ নাক্বিদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ….. সকলে হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
একই সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন। তবে আবু উসামাহ্ বর্ণিত হাদীসে “যখন ফজরের উদিত হলো” কথাটি উল্লেখ আছে।
[ই.ফা.১৫৫২, ইসলামিক সেন্টার-১৫৫৯]
১৫৬৮. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নবী [সাঃআঃ] ফাজ্রের নামাজের আযান ও ইক্বামাতের মধ্যবর্তী সময়ে দু রাকআত নামাজ আদায় করিতেন।
[ই.ফা.১৫৫৩, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৬০]
১৫৬৯. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফাজ্রের দু রাকআত [সুন্নাত] নামাজ এত সংক্ষিপ্তভাবে আদায় করিতেন যে, আমি বলতাম, তিনি [সাঃআঃ] কি নামাজের দু রাকআতে সূরাহ্ ফাতিহাহ্ পড়েছেন?
[ই.ফা.১৫৫৪, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৬১]
১৫৭০. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ফাজ্রের সময় অর্থাৎ ভোর হলে রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] দু রাকআত [সুন্নাত] নামাজ আদায় করিতেন। নামাজ দু রাকআত এত সংক্ষিপ্ত হত যে, আমার মনে প্রশ্ন জাগত- তিনি [সাঃআঃ] কি সলাতে সূরাহ্ ফাতিহাহ্ পড়েছেন?
[ই.ফা.১৫৫৫, ইসলামিক সেন্টার-১৫৬২]
১৫৭১. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] ফাজ্রের [ফরয নামাজের] পূর্বের দু রাকআত সুন্নাত আদায় করার প্রতি যত কঠোরভাবে খেয়াল রাখতেন অন্য কোন নাফ্ল নামাজের প্রতি ততখানি রাখতেন না।
[ই.ফা.১৫৫৬, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৬৩]
১৫৭২. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
ফাজ্রের দু রাকআত নাফল্ নামাজের জন্য আমি রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে যত ব্যস্ততা প্রকাশ করিতে দেখেছি অন্য কোন নাফ্ল নামাজের জন্য ততটা ব্যস্ততা প্রকাশ করিতে দেখিনি।
[ই.ফা.১৫৫৭, ইসলামিক সেন্টার-১৫৬৪]
১৫৭৩. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] বলেছেন, ফাজ্রের দু রাকআত [সুন্নাত] নামাজ দুন্ইয়া ও তার সব কিছুর থেকে উত্তম।
[ই.ফা.১৫৫৮, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৬৫]
১৫৭৪. ইয়াহ্ইয়া ইবনি হাবীব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আয়িশাহ্ [রাদি.] নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি [সাঃআঃ] ফজরের দু রাকআত নামাজ সম্পর্কে বলেছেন যে, ঐ দু রাকআত নামাজ আমার কাছে সারা দুন্ইয়ার সব কিছু থেকে অধিক প্রিয়।
[ই.ফা.১৫৫৯, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৬৬]
১৫৭৫. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফাজ্রের দূ রাকআত সলাতে [আরবী] পড়েছেন।
[ই.ফা.১৫৬০, ইসলামিক সেন্টার-১৫৬৭]
১৫৭৬. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেছেনঃ রাসুলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফাজ্রের দু রাকআত সুন্নাত নামাজের প্রথম রাকআতে সূরাহ বাক্বারার [আরবী]-[সূরাহ্ বাক্বারাহ্ ২:১৩৬] আয়াতটি এবং দ্বিতীয় রাকআতে [আরবী] [সূরাহ্ আ-লি ইমরান ৩:৬৪] আয়াতটি পড়তেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৬১, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৬৮]।
১৫৭৭. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি. হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] ফাজ্রের দুরাকআত সুন্নাত সালাতে [সূরা বাক্বারার আয়াত] [আরবী] [সূরা বাক্বারা ২:১৩৬] আয়াতটি এবং দ্বিতীয় রাকআতে [আরবী] [সূরাহ আল ইমরান ৩:৬৪] আয়াতটি পড়তেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৬২, ইসলামিক সেন্টার-১৫৬৯]
১৫৭৮. উসমান ইবনি হাকীম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] মারওয়ান আল ফাযার হইতে বর্ণীতঃ
একই সানাদে হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ই.ফা ১৫৬৩, ইসলামিক সেন্টার-১৫৭০]
১৫. অধ্যায়ঃ ফার্যের পূর্বে ও পরে নিয়মিত সুন্নাতের ফাযীলাত এবং তার সংখ্যার বিবরণ
১৫৭৯. আম্র ইবনি আওস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যে রোগে আমবাসাহ ইবনি আবু সুফ্ইয়ান মৃত্যুবরণ করিয়াছেন-সে রোগ শয্যায় থাকাকালে তিনি আমার কাছে এমন একটি হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন যা খুবই খুশীর বা আনন্দের। তিনি বলেছেন: আমি উম্মু হাবীবাহ্কে বলিতে শুনেছি; তিনি বলেছেনঃ আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-কে এ কথা বলিতে শুনেছি যে, দিন ও রাতে যে ব্যক্তি মোট ১২ রাকআত [সুন্নাত] নামাজ আদায় করে তার বিনিময়ে জান্নাতে ঐ ব্যক্তির জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হয়। উম্মু হাবীবাহ্ বলেছেন: আমি যে সময়ে রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]- এর কাছে এ নামাজ সম্পর্কে শুনেছি তখন থেকে আর কখনো তা আদায় করা পরিত্যাগ করিনি। আম্বাসাহ ইবনি আবু সুফ্ইয়ান বলেছেন: এ নামাজ সম্পর্কে যখন আমি উম্মু হাবীবার কাছে শুনেছি; তখন থেকে আর ঐ নামাজ গুলো কখনো পরিত্যাগ করিনি। আম্র ইবনি আওস বলেছেনঃ যে সময়ে এ নামাজ সম্পর্কে আমি আম্বাসাহ্ ইবনি আবু সুফ্ইয়ান- এর নিকট থেকে শুনেছি সে সময় থেকে আর কখনো তা পরিত্যাগ করিনি। নুমান ইবনি সালিম বলেছেন: যে সময় আমি এ হাদীসটি আম্র ইবনি আওস- এর নিকট থেকে শুনেছি তখন থেকে কখনো আর তা পরিত্যাগ করিনি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৬৪, ইসলামিক সেন্টার-১৫৭১]
১৫৮০. নুমান ইবনি সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
একই সানাদে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে, [হাদীসটি হল] যে ব্যক্তি দিনে ১২ রাকআত নফল [সুন্নাত] নামাজ আদায় করে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হয়।{২৯}
[ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৬৫, ইসলামিক সেন্টার-১৫৭২]
{২৯} এ ১২ রাকআত হলঃ যুহরের পূর্বে ৪ রাকআত ও পরে ২ রাকআত, মাগরিবের পরে ২ রাকআত, ইশার পরে ২ রাকআত এবং ফাজ্রের পূর্বে ২ রাকআত মোট ১২ রাকআত। যুহরের পর ৪ রাকআত আদায় করা সম্বন্ধে উম্মু হাবীবাহ [রাদি.] থেকে হাদীসে এসেছে, যে ব্যক্তি যুহরের পূর্বে ৪ রাকআত ও পরে ৪ রাকআত হিফাযাত করে আদায় করে যাবে আল্লাহ জাহান্নামকে তার জন্য হারাম করে দিয়েছেন। [আবু দাউদ, তিরমিযী, মুসলিম শারহে নাবাবী- ১ম খন্ড ২৫১ পৃষ্ঠা]
১৫৮১. নবী [সাঃআঃ] এর স্ত্রী উম্মু হাবীবাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছি। [তিনি বলেছেন] কোন মুসলিম বান্দা যখন আল্লাহর সন্তুষ্টির নিমিত্তে প্রতিদিন ফার্য ছাড়াও আরো ১২ রাকআত নাফ্ল নামাজ আদায় করে আল্লাহ তাআলা তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করেন অথবা [বর্ণনাকারীর সন্দেহ] জান্নাতে তার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হয়। উম্মু হাবীবাহ্ [রাদি.] বর্ণনা করিয়াছেন- এরপর আর কখনো এ নামাজ সমূহ আদায় করিতে বিরত থাকিনি। আর আমর ইবনি আওস বলেছেন-পরবর্তী সময়ে কখনো আমি এ নামাজ আদায় করিতে বিরত হই না। নুমান ইবনি সালিমও অনুরূপ কথাই বলেছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৬৬, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৭৩]
১৫৮২. উম্মু হাবীবাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] বলেছেন: কোন মুসলিম বান্দা যদি উত্তমরূপে ওযু করে আল্লাহর উদ্দেশে প্রতিদিন নামাজ আদায় করে- এতটুকু বর্ণনা করার পর তিনি উপরে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৬৭ , ইসলামিক সেন্টার-১৫৭৪]
১৫৮৩. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাথে যুহরের পূর্বে দু রাকআত, পরে দু রাকআত, মাগরিবের সালাতের পর দু রাকআত, ইশার সালাতের পর দু রাকআত এবং জুমুআর সালাতের পর দু রাকআত নামাজ আদায় করেছি। তবে মাগরিব, ইশা ও জুমুআর সালাতের পরের দু রাকআত নামাজ নবী [সাঃআঃ] এর সাথে তাহাঁর বাড়ীতে আদায় করেছি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১৫৬৮, ইসলামিক সেন্টার- ১৫৭৫]
Leave a Reply