যুদ্ধে পাথেয় বহন করা ও যুদ্ধকালীন তাকবীর উচ্চারণ করা

যুদ্ধে পাথেয় বহন করা ও যুদ্ধকালীন তাকবীর উচ্চারণ করা

যুদ্ধে পাথেয় বহন করা ও যুদ্ধকালীন তাকবীর উচ্চারণ করা >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

পর্বঃ ৫৬, জিহাদ, অধ্যায়ঃ (১২৩-১৩৪)=১২টি

৫৬/১২৩. অধ্যায়ঃ যুদ্ধে পাথেয় বহন করা।
৫৬/১২৪. অধ্যায়ঃ স্কন্ধে পাথেয় বহন করা।
৫৬/১২৫. অধ্যায়ঃ উটের পিঠে ভাই এর পশ্চাতে মহিলার উপবেশন।
৫৬/১২৬. অধ্যায়ঃ যুদ্ধ ও হাজ্জে একই সাওয়ারীতে পেছনে বসা।
৫৬/১২৭. অধ্যায়ঃ গাধার পিঠে অপরের পেছনে বসা।
৫৬/১২৮. অধ্যায়ঃ রিকাব বা অনুরূপ কিছু ধরে আরোহণে সাহায্য করা।
৫৬/১২৯. অধ্যায়ঃ কুরআন শরীফ নিয়ে শত্রু দেশে সফর করা অপছন্দনীয়।
৫৬/১৩০. অধ্যায়ঃ যুদ্ধকালীন তাকবীর উচ্চারণ করা।
৫৬/১৩১. অধ্যায়ঃ তাকবীর পাঠে আওয়াজ উচ্চ করা।
৫৬/১৩২. অধ্যায়ঃ কোন উপত্যকায় অবতরণ করার সময় তাসবীহ পাঠ করা।
৫৬/১৩৩. অধ্যায়ঃ উঁচু স্থানে আরোহণের সময় তাকবীর পাঠ করা।
৫৬/১৩৪. অধ্যায়ঃ মুসাফিরের জন্য তা-ই লিখিত হইবে, যা স্বীয় আবাসে আমল করত।

৫৬/১২৩. অধ্যায়ঃ যুদ্ধে পাথেয় বহন করা।

আল্লাহ তাআলার বাণীঃ “তোমরা পাথেয় সাথে নিও। আর তাকওয়াই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ পাথেয়।” (আল-বাকারা ১৯৭)

২৯৭৯.আসমা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবু বকর (রাদি.)-এর গৃহে আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর সফরের সরঞ্জাম গোছগাছ করে দিয়েছিলাম, যখন তিনি মদীনায় হিজরত করার সংকল্প করেছিলেন। আসমা (রাদি.) বলেন, আমি তখন মালপত্র কিংবা পানির মশক বাঁধার জন্য কিছুই পাচ্ছিলাম না। তখন আবু বকর (রাদি.)-কে বললাম, আল্লাহর শপথ! আমি আমার কোমর-বন্ধ ছাড়া বাঁধার কিছুই পাচ্ছি না। আবু বকর (রাদি.) বলিলেন, একে দুভাগ কর। এক খণ্ড দ্বারা মশক এবং অপর খণ্ড দ্বারা মালপত্র বেঁধে দাও। আমি তাই করলাম। এজন্যই আমাকে বলা হত দু কোমর বন্ধের মালিক।

২৯৮০. জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর যুগে কুরবানীর গোশত মদীনা পর্যন্ত পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করতাম।

২৯৮১. সুয়াইদ ইবনু নুমান (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন যে, খায়বার যুদ্ধে আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে তিনি জিহাদে অংশ গ্রহণ করেন। তাঁরা যখন খায়বারের সন্নিকটে অবস্থিত সাহবা নামক স্থানে পৌঁছলেন, তাঁরা সেখানে আসরের সালাত আদায় করিলেন। অতঃপর আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) খাবার নিয়ে আসতে বলিলেন। তখন নাবী (সাঃআঃ)-এর নিকট যবের ছাতু ছাড়া কিছুই নেয়া হয়নি। আমরা তা পানির সঙ্গে মিশিয়ে আহার করলাম ও পান করলাম। অতঃপর আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) উঠে দাঁড়ালেন এবং কুলি করিলেন, আমরাও কুলি করলাম ও সালাত আদায় করলাম।

২৯৮২. সালামা (ইবনু আকওয়া) (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক সফরে লোকদের পাথেয় কমে যায় এবং তারা অভাবগ্রস্ত হয়ে পড়েন, তখন আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর নিকট হাযির হয়ে তাদের উট যবহ করার অনুমতি চাইলেন। আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) তাদেরকে অনুমতি দিলেন। সে সময় উমর (রাদি.)-এর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ হল। তারা তাঁকে বিষয়টি জানালো। তিনি বলিলেন, উট যবহ করে অতঃপর তোমরা কিরূপে টিকে থাকবে? উমর (রাদি.) রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ)-এর নিকট এসে বলিলেন, হে আল্লাহর রাসুল! এ সকল লোক উট যবহ করে খেয়ে ফেলার পর কিভাবে বাঁচবে? তখন আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলিলেন, নিজ নিজ অবশিষ্ট পাথেয় নিয়ে হাজির করার জন্য তাদের মধ্যে ঘোষণা দাও। অতঃপর আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) খাবারের জন্য বরকতের দুআ করিলেন। অতঃপর তাদেরকে নিজ নিজ পাত্র নিয়ে হাজির হইতে বলিলেন। তারা তাদের পাত্র ভরে নিতে লাগলো, অবশেষে সকলই নিয়ে নিল। তখন আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলিলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন ইলাহ নেই। আর আমি আল্লাহর রাসুল।

৫৬/১২৪. অধ্যায়ঃ স্কন্ধে পাথেয় বহন করা।

২৯৮৩. জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমরা এক জিহাদে বের হলাম এবং আমরা সংখ্যায় তিনশ ছিলাম। প্রত্যেকে নিজ নিজ পাথেয় নিজেদের কাঁধে বহন করছিলাম। পথে আমাদের পাথেয় নিঃশেষ হয়ে গেল। এমনকি আমরা দৈনিক একটি মাত্র খেজুর খেতে থাকলাম। এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করিল, হে আবু আবদুল্লাহ! একটি মাত্র খেজুর একজন লোকের কী করে যথেষ্ট হত? তিনি বলিলেন, যখন আমরা তাও হারালাম তখন এর হারানোটা টের পেলাম। অবশেষে আমরা সমুদ্র তীরে এসে উপস্থিত হলাম। হঠাৎ সমুদ্র একটা বিরাট মাছ কূলে নিক্ষেপ করিল। আমরা সে মাছটি মজা করে আঠার দিন পর্যন্ত খেলাম।

৫৬/১২৫. অধ্যায়ঃ উটের পিঠে ভাই এর পশ্চাতে মহিলার উপবেশন।

২৯৮৪. আয়েশা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনার সাহাবীগণ তো হজ্জ ও উমরার সওয়াব নিয়ে ফিরছেন, আর আমি তো হাজ্জের বেশি কিছুই করিতে পারলাম না। তখন আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) তাঁকে বলিলেন, তুমি যাও, আবদুর রহমান তোমাকে তার পেছনে সাওয়ারীতে বসিয়ে নিবে। তিনি আবদুর রহমানকে আদেশ করিলেন, তাঁকে তানয়ীম থেকে উমরার ইহরাম করিয়ে আনতে। আর আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) মক্কায় উঁচুভূমিতে তাহাঁর ফিরে আসা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকলেন।

২৯৮৫. আবদুর রহমান ইবনু আবু বক্‌র সিদ্দীক (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) আয়েশা (রাদি.)-কে আমার পেছনে বসিয়ে তানয়ীম থেকে উমরার ইহরাম করিয়ে আনার জন্য আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

৫৬/১২৬. অধ্যায়ঃ যুদ্ধ ও হাজ্জে একই সাওয়ারীতে পেছনে বসা।

২৯৮৬. আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবু তলহা (রাদি.)-এর পেছনে একই সওয়ারীতে উপবিষ্ট ছিলাম। তখন লোকেরা হজ্জ ও উমরা পালনের জন্য লাব্বায়ক ধ্বনি তুলছিল।

৫৬/১২৭. অধ্যায়ঃ গাধার পিঠে অপরের পেছনে বসা।

২৯৮৭. উসামা ইবনু যায়েদ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) গাধার পিঠে পালান চাপিয়ে তার উপর চাদর বিছিয়ে তাতে চড়লেন। আর উসামহ (রাদি.) কে তাহাঁর পেছনে বসিয়ে নিলেন।

২৯৮৮. আব্দুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) মক্কা বিজয়ের দিন আপন সওয়ারীর পিঠে নিজের পেছনে উসামা ইবনু যায়েদ (রাদি.) কে বসিয়ে মক্কার উঁচু ভূমির দিক থেকে আসলেন। তাহাঁর সঙ্গে ছিলেন বিলাল (রাদি.) এবং চাবি রক্ষণকারী উসামান ইবনু ত্বলহা। আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) মসজিদের পাশে উটটিকে বসালেন। অতঃপর উসমান(রাদি.)-কে কাবা গৃহের চাবি নিয়ে আসতে আদেশ করিলেন। কাবা খুলে দেয়া হল এবং আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) ভেতরে প্রবেশ করিলেন। তাহাঁর সঙ্গে ছিলেন উসামা, বিলাল ও উসমান (রাদি.)। দিনের দীর্ঘ সময় তিনি সেখানে অবস্থান করিলেন। অতঃপর সেখান হইতে বেরিয়ে এলেন। এ সময়ে লোকেরা প্রবেশ করার জন্য দৌড়িয়ে আসল। সকলের আগে আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) ভেতরে প্রবেশ করিলেন এবং বিলাল (রাদি.)-কে দরজার পেছনে দাঁড়ানো দেখিতে পেলেন। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করিলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) কোন স্থানে সালাত আদায় করেছিলেন? আবদুল্লাহ (রাদি.) বলেন, আমি তাঁকে একথা জিজ্ঞেস করিতে ভুলে গিয়েছিলাম যে, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) কত রাকআত সালাত আদায় করেছিলেন?

৫৬/১২৮. অধ্যায়ঃ রিকাব বা অনুরূপ কিছু ধরে আরোহণে সাহায্য করা।

২৯৮৯. আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেন যে, মানুষের প্রত্যেক জোড়ার প্রতি সদকা রয়েছে, প্রতি দিন যাতে সূর্য উদিত হয় দুজন লোকের মাঝে সুবিচার করাও সদকা, কাউকে সাহায্য করে সাওয়ারীতে আরোহণ করিয়ে দেয়া বা তার উপরে তার মালপত্র তুলে দেয়াও সদকা, ভাল কথাও সদকা, সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে পথ চলায় প্রতিটি কদমেও সদকা, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করাও সদকা।

৫৬/১২৯. অধ্যায়ঃ কুরআন শরীফ নিয়ে শত্রু দেশে সফর করা অপছন্দনীয়।

একইভাবে মুহাম্মদ ইবনু বিশর (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) …ইবনু উমর (রাদি.) এর মাধ্যমে নাবী (সাঃআঃ) হইতে বর্ণিত। উবায়দুল্লাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) এর অনুসরণকারী ইবনু ইসহাকও … ইবনু উমর (রাদি.) এর মাধ্যমে আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) হইতে অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। অবশ্য আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) ও তাহাঁর সাহাবীগণ (রাদি.) শত্রুর ভূখণ্ডে সফর করিয়াছেন এবং তাঁরা কুরআন জানতেন।

২৯৯০. আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) কুরআন সঙ্গে নিয়ে শত্রু-দেশে সফর করিতে নিষেধ করিয়াছেন।

৫৬/১৩০. অধ্যায়ঃ যুদ্ধকালীন তাকবীর উচ্চারণ করা।

২৯৯১. আনাস (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) অতি সকালে খায়বার প্রান্তরে প্রবেশ করেন। সে সময়ে ইয়াহূদীগণ কাঁধে কোদাল নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে। তারা যখন তাঁকে দেখিতে পেল, তখন বলিতে লাগল, মুহাম্মদ সেনাদলসহ আগমণ করেছে, মুহাম্মদ সেনাদলসহ আগমণ করেছে ফলে তারা দূর্গে ঢুকে পড়ল। তখন আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) তাহাঁর উভয় হাত তুলে বলিলেন, আল্লাহু আকবর, খায়বার ধ্বংস হোক। আমরা যখন কোন সম্প্রদায়ের অঞ্চলে অবতরণ করি, তখন সাবধান করে দেয়া লোকদের সকাল মন্দ হয়। আমরা সেখানে কিছু গাধা পেলাম। অতঃপর আমরা এগুলোর (গোশ্‌ত) রান্না করলাম। এর মধ্যে আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর ঘোষণা দানকারী ঘোষণা দিল, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা ও তাহাঁর রাসুল (সাঃআঃ) তোমাদেরকে গাধার গোশত হইতে নিষেধ করিয়াছেন। ডেকগুলো উল্টে দেয়া হল তার সামগ্রীসহ। আলী সুফিয়ান সূত্রে নাবী (সাঃআঃ) তাহাঁর দুহাত উপরে উঠান বর্ণনায় আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি)-এর অনুসরণ করিয়াছেন।

৫৬/১৩১. অধ্যায়ঃ তাকবীর পাঠে আওয়াজ উচ্চ করা।

২৯৯২. আবু মূসা আল-আশআরী ( রাঃ) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক সফরে আমরা আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম। আমরা যখন কোন উপত্যকায় আরোহণ করতাম, তখন

لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللهُ وَاللهُ أَكْبَرُ

লা ইলাহা ইলাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহ ছারা কোনো মাবুদ নাই, আল্লাহ মহান।

বলতাম। আর আমাদের আওয়াজ অতি উঁচু হয়ে যেত। নাবী (সাঃআঃ) আমাদেরকে বলিলেন, হে লোক সকল! তোমরা নিজেদের প্রতি সদয় হও। তোমরা তো বধির বা অনুপস্থিত কাউকে ডাকছ না। বরং তিনি তো তোমাদের সঙ্গেই আছেন, তিনি তো শ্রবণকারী ও নিকটবর্তী।

৫৬/১৩২. অধ্যায়ঃ কোন উপত্যকায় অবতরণ করার সময় তাসবীহ পাঠ করা।

২৯৯৩. জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন আমরা যখন কোন উঁচু স্থানে আরোহণ করতাম, তখন তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করতাম আর যখন কোন উপত্যকায় অবতরণ করতাম, সে সময়ে সুবহানাল্লাহ বলতাম।

৫৬/১৩৩. অধ্যায়ঃ উঁচু স্থানে আরোহণের সময় তাকবীর পাঠ করা।

২৯৯৪. জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন আমরা যখন কোন উঁচুস্থানে আরোহণ করতাম, তখন তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করতাম আর যখন নিম্ন ভূখণ্ডে অবতরণ করতাম, সে সময়ে সুবহানাল্লাহ বলতাম।

২৯৯৫. আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃআঃ) যখন হজ্জ কিংবা উমরা থেকে ফিরতেন, বর্ণনাকারী বলেন, আমি জানি না, নাকি এরূপ বলেছেন যে, যখন জিহাদ থেকে ফিরতেন, তখন তিনি ঘাঁটি অথবা প্রস্তরময় ভূমিতে পৌঁছে তিনবার আল্লাহু আকবর বলিতেন। অতঃপর এ দুআ পাঠ করিতেন , “আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই; তিনি এক, তাহাঁর কোন শরীক নেই, কর্তৃত্ব তাহাঁরই এবং প্রশংসা তাহাঁরই; তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান। আমরা সফর থেক প্রত্যাবর্তনকারী, গুনাহ থেকে তওবাকারী, ইবাদতকারী, সিজদাকারী, আমাদের প্রতিপালকের প্রসংশাকারী। আল্লাহ তাআলা তাহাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করিয়াছেন, তাহাঁর বান্দাহকে সাহায্য করিয়াছেন, কাফির সৈন্যদলকে তিনি একাই পরাস্ত করিয়াছেন।” সালেহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আবদুল্লাহ কি ইন শা আল্লাহ বলেননি? তিনি বলিলেন, না।

৫৬/১৩৪. অধ্যায়ঃ মুসাফিরের জন্য তা-ই লিখিত হইবে, যা স্বীয় আবাসে আমল করত।

২৯৯৬. আবু ইসমাঈল আসসাক্‌সাকী হইতে বর্ণিতঃ

আবু বুরদাহ-কে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি এবং ইয়াযিদ ইবনু আবু কাবশা (রাদি.) সফরে ছিলেন। আর ইয়াযিদ (রাদি.) মুসাফির অবস্থায় রোযা রাখতেন। আবু বুরদাহ (রাদি.) তাঁকে বলিলেন, আমি আবু মুসা (আশআরী) (রাদি.)- কে একাধিকবার বলিতে শুনিয়াছি,তিনি বলেন, আল্লহর রাসুল (সাঃআঃ) বলেছেন, যখন বান্দা পীড়িত হয় কিংবা সফরে থাকে, তখন তাহাঁর জন্য তা-ই লেখা হয়, যা সে সুস্থ অবস্থায় আমল করত।


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply