যায়নাব বিনতু জাহ্শকে বিবাহ করা , পর্দার হুমুম নাযিল হওয়া এবং বিবাহের ওয়ালীমাহ্ সাবিত হওয়া
যায়নাব বিনতু জাহ্শকে বিবাহ করা , পর্দার হুমুম নাযিল হওয়া এবং বিবাহের ওয়ালীমাহ্ সাবিত হওয়া >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
১৫. অধ্যায়ঃ যায়নাব বিনতু জাহ্শকে বিবাহ করা , পর্দার হুমুম নাযিল হওয়া এবং বিবাহের ওয়ালীমাহ্ সাবিত হওয়া
৩৩৯৪. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যখন যায়নাব [রাদি.]-এর ইদ্দাত পূর্ণ হল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যায়দ [রাদি.]-কে বলিলেন, তুমি যায়নাবের নিকট আমার কথা উল্লেখ কর। আনাস [রাদি.] বলেন, যায়দ [রাদি.] রওনা হলেন এবং তাহাঁর নিকট গেলেন। তখন তিনি আটা খামির করছিলেন। যায়দ [রাদি.] বলেন, আমি যখন তাঁকে দেখলাম তাহাঁর মর্যাদা আমার অন্তরে এমনভাবে জাগ্রত হল যে, আমি তাহাঁর প্রতি তাকাতে পারলাম না। কেননা রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁকে স্মরণ করিয়াছেন। তাই আমি তাহাঁর দিকে পিঠ ফিরে দাঁড়ালাম এবং পিছনের দিকে সরে পড়লাম। এরপর বললাম, হে যায়নাব! রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আপনাকে স্মরণ করে আমাকে পাঠিয়েছেন। তিনি বলিলেন, আমি এ সম্পর্কে কিছুই করব না যে পর্যন্ত না আমি আমার রবের কাছ থেকে নির্দেশ লাভ না করি। এরপর তিনি তার নামাজের জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালেন। এদিকে কুরআন নাযিল হল এবং রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এসে যায়নাবের বিনা অনুমতিতেই তাহাঁর ঘরে প্রবেশ করিলেন। আনাস [রাদি.] বলেন, আমরা দেখেছি যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [যায়নাবের সে বিবাহ উপলক্ষে] দুপুর বেলায় আমাদের রুটি গোশ্ত খাইয়েছেন। খাওয়া-দাওয়ার পর লোকেরা বের হয়ে গেল কিন্তু কয়েকজন লোক খাওয়ার পর আলাপে মশগুল থাকল। এ সময় রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বের হয়ে পড়লেন, আমিও তাহাঁর অনুসরণ করলাম। তিনি তাহাঁর বিবিগণের ঘরে ঘরে উপস্থিত হয়ে তাঁদের সালাম করিতে লাগলেন। আর বিবিগণ তাঁকে জিজ্ঞেস করছিলেন, ইয়া রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]! আপনার এ স্ত্রীকে কেমন পেয়েছেন। আনাস [রাদি.] বলেন, আমার মনে নেই, [আলাপরত] সে লোকদের বের হয়ে যাওয়ার কথা আমিই তাঁকে জানিয়ে ছিলাম, না তিনিই আমাকে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, অত:পর তিনি চললেন এবং সে ঘরে প্রবেশ করিলেন। আমিও তাহাঁর সঙ্গে প্রবেশ করিতে যাচ্ছিলাম। তিনি আমার ও তাহাঁর মধ্যে পর্দা টেনে দিলেন। আর পর্দার বিধান নাযিল হল। আনাস [রাদি.] বলেন, লোকদের নাসীহাত দিলেন দেয়ার যা ছিল।
ইবনি রাফি তার হাদীসে অতিরিক্ত বর্ণনা করিতে গিয়ে এ আয়াত উল্লেখ করেন: [অর্থ] “তোমাদের অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য প্রস্তুতির অপেক্ষা না করে নবী গৃহে প্রবেশ করিবে না… কিন্তু আল্লাহ সত্য বলিতে সংকোচবোধ করেন না।”- [সুরা আল আহযাব ৩৩:৫৩]।”
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৩৬৭, ইসলামিক সেন্টার- ৩৩৬৬]
৩৩৯৫. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে কোন মহিলার জন্য- আবু কামিল বলেন, তাহাঁর কোন স্ত্রীর জন্য- সেরূপ ওয়ালীমাহ করিতে দেখিনি যেমন ওয়ালীমাহ করিয়াছেন যায়নাবের জন্য। তার জন্য তিনি একটি বকরী যাবাহ করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৩৬৮, ইসলামিক সেন্টার- ৩৩৬৭]
৩৩৯৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যায়নাব [রাদি.]-এর জন্য রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এত অধিক পরিমাণ অথবা উত্তমভাবে ওয়ালীমাহ্ করেছিলেন, যা তিনি তাহাঁর সহধর্মিণীদের কারো জন্য করেননি। সাবিত বুনানী জিজ্ঞেস করেন, তিনি কী দিয়ে ওয়ালীমাহ্ করেছিলেন?
তিনি [আনাস রাদি.] বলিলেন, সবাইকে তিনি রুটি ও গোশ্ত খাওয়ালেন। এমনকি তারা উদ্বৃত্ত রেখে গেল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৩৬৯, ইসলামিক সেন্টার- ৩৩৬৮]
৩৩৯৭. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] যখন যায়নাব বিনতু জাহ্শ [রাদি.]-কে বিবাহ করেন তখন তিনি লোকদের দাওয়াত করেন। তারা খাওয়া-দাওয়া করে বসে কথাবার্তা বলিতে লাগল। আনাস [রাদি.] বলেন, তখন নবী [সাঃআঃ] যেন দাঁড়াতে উদ্যত হলেন তবুও তারা উঠল না। এরূপ দেখে তিনি উঠে গেলেন। তারা উঠে যাওয়ার পর তাদের মধ্যে যারা উঠবার তারা উঠে গেল।
আসিম ও ইবনি আবদুল আলা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর বর্ণনায় অতিরিক্ত রয়েছে- আনাস [রাদি.] বলেন, কিন্তু তিনজন লোক ঘরে বসে রইল। নবী [সাঃআঃ] ঘবে প্রবেশ করার জন্য এসে দেখিতে পান যে, কয়েকজন লোক বসে আছে। এরপর তারাও উঠে চলে গেল। আনাস [রাদি.] বলেন, আমি এসে তাদের চলে যাওয়ার সংবাদ নবী [সাঃআঃ]-কে দিলাম। আনাস [রাদি.] বলেন, তিনি এসে প্রবেশ করিলেন। আমিও তাহাঁর সঙ্গে প্রবেশ করিতে অগ্রসর হলাম। এ সময় তিনি আমার ও তাহাঁর মাঝখানে পর্দা ঝুলিয়ে দিলেন। আনাস [রাদি.] বলেন, আর আল্লাহ তাআলা নাযিল করেন: “তোমাদের অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা খাওয়ার জন্য অপেক্ষা না করে নবীগৃহে প্রবেশ করিবে না।… -আল্লাহর দৃষ্টিতে এটা গুরুতর অপরাধ”।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৩৭০, ইসলামিক সেন্টার- ৩৩৬৯]
৩৩৯৮. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি পর্দার হুকুম সংক্রান্ত ঘটনা সম্পর্কে সবার চাইতে বেশি অবগত। এ ব্যাপারে উবাই ইবনি কাব [রাদি.] আমাকে জিজ্ঞেস করিতেন। আনাস [রাদি.] বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] যায়নাব বিনতু জাহ্শের স্বামী হন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাঁকে বিবাহ করেন মাদীনায়। এ উপলক্ষে তিনি দ্বিপ্রহরের সময় খাওয়ার জন্য লোকদের দাওয়াত দেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বসলেন এবং তারা তাহাঁর সঙ্গে বসল। লোকদের যারা উঠে যাওয়ার উঠে গেল। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] উঠলেন এবং রওনা হলেন। আমিও তাহাঁর সঙ্গে চলতে থাকলাম। তিনি আয়িশা [রাদি.]-এর হুজরায় পৌঁছলেন। যখন তিনি ধারণা করিলেন যে, তারা [উপবিষ্ট লোকজন] বেরিয়ে গেছে তখন তিনি ফিরে এলেন এবং আমিও তাহাঁর সঙ্গে ফিরে এলাম। দেখা গেল, তখন তারা তাদের জায়গায় বসা আছে। তখন তিনি ফিরে গেলেন এবং আমিও তাহাঁর সঙ্গে দ্বিতীয়বার ফিরে গেলাম। তিনি আয়িশা [রাদি.]-এর হুজরায় পৌঁছলেন। আবার তিনি যায়নাবের ঘরের দিকে ফিরলেন। দেখা গেল, লোকেরা চলে গেছে। তখন তিনি আমার ও তাহাঁর মাঝখানে পর্দা টেনে দিলেন। আর পর্দার আয়াত অবতীর্ণ হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৩৭১, ইসলামিক সেন্টার- ৩৩৭০]
৩৩৯৯. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [যায়নাব বিনতু জাহ্শকে] বিবাহ করেন এবং তার সহধর্মিণীর কাছে গেলেন। আনাস [রাদি.] বলেন, আমার মা উম্মু সুলায়ম [রাদি.] হায়স [হালুয়া] তৈরী করেছিলেন এবং তা একখানি ছোট পাত্রে রেখে আমাকে বলিলেন, হে আনাস! এটা রসূলুল্লাহ এর কাছে নিয়ে যাও এবং তাঁকে বল, এটা আমার মা আপনার খিদমাতে পাঠিয়েছেন এবং আপনাকে সালাম পৌছিয়েছেন। [আরও বলো যে] তিনি বলেছেন, হে আল্লাহ্র রসূল! এ সামান্য [হায়স] আপনার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে [দেয়া হল]। আনাস [রাদি.] বলেন, আমি হায়স নিয়ে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর কাছে গেলাম এবং বললাম, হে আল্লাহ্র রসূল! আমার মা আপনাকে সালাম দিয়েছেন এবং বলেছেনঃ এ সামান্য [হায়স] আমাদের পক্ষ থেকে আপনাকে দেয়া হল। তিনি বলিলেন, এটা রাখ। অত:পর বললেনঃতুমি যাও, অমুক অমুক অমুককে দাওয়াত দাও এবং সেসব লোককেও যাদের সাথে তোমার সাক্ষাৎ হইবে। এ বলে, তিনি লোকদের নাম বলিলেন। আনাস [রাদি.] বলেন, আমি তখন বর্ণিত লোকদের দাওয়াত দিলাম এবং তাদেরও যাদের সাথে আমার সাক্ষাৎ হল।
সাবিত [র:] বলেন, আমি আনাস [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করলাম, [আমন্ত্রিত লোকদের] সংখ্যা কত ছিল? তিনি বলিলেন, প্রায় তিনশত।
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাকে বলিলেন, হে আনাস! [হায়সের] পাত্রটি নিয়ে এসো। আনাস [রাদি.] বলেন, দাওয়াতপ্রাপ্ত লোকজন এসে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ঘরে ও তাহাঁর চতুষ্পার্শ্বে ভীড় করলো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন- তোমরা দশ দশ জন করে একত্রিত হয়ে প্রত্যেকই পাত্র থেকে নিজের সামনের স্থান থেকে খাদ্য গ্রহণ কর। আনাস [রাদি.] বলিলেন, সকলেই খেয়ে তৃপ্ত হলেন। তিনি বলেন, একদল গেল আরেক দল প্রবেশ করিল। এভাবে সকলে খাবার কাজ সেরে নিল। অত:পর তিনি আমাকে বলিলেন, হে আনাস! [হায়সের পাত্র] উঠাও। তিনি বলেন, এরপর আমি পাত্রটি তুলে নিলাম। পাত্রটি রাখার সময় এতে খাদ্য বেশি ছিল কিনা সেটি উঠাবার সময় তা আমি বুঝতে পারিনি। আনাস [রাদি.] বলেন, তাদের কিছু লোক রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-এর ঘরে বসে কথাবার্তা বলিতে লাগল। আর রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] [সেখানে] বসা ছিলেন এবং তাহাঁর সহধর্মিণী [যায়নাব] দেয়ালমুখী হয়ে পিছনে ফিরে রইলেন। তাদের উপস্থিতি তাহাঁর কাছে কষ্টকর মনে হল। অত:পর তিনি তাহাঁর অন্যান্য বিবিদের কাছে বেরিয়ে গেলেন এবং কিছুক্ষণ পর ফিরে এলেন। তাঁরা যখন দেখল যে, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] ফিরে এসেছেন, তারা বুঝতে পারল যে, তাদের এ কাজ [আলাপচারিতা] তাহাঁর [সাঃ-এর] জন্য কষ্টকর হয়েছে। আনাস [রাদি.] বলিলেন, তখন তারা তাড়াতাড়ি দরজার দিকে এগিয়ে গেল এবং সবাই বেরিয়ে গেল। তখন রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এলেন এবং পর্দা টেনে দিলেন এবং পর্দার ভিতরে প্রবেশ করিলেন। আমি ঘরে বসে রইলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি আমার কাছে ফিরে এলেন। তখন এ আয়াত নাযিল হয়। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বের হয়ে এসে এ আয়াতগুলো লোকদের কাছে পাঠ করে শোনালেন- [অর্থ] “হে মুমিনগণ! তোমাদের অনুমতি দেয়া না হলে তোমরা আহার্য প্রস্তুতের জন্য অপেক্ষা না করে আহার গ্রহণের জন্য নবীর গৃহে প্রবশ করিবে না, তবে তোমাদের আহ্বান করলে তোমরা প্রবেশ করিবে এবং আহারের পর তোমরা চলে যাবে এবং কথাবার্তায় মশগুল হয়ে পড়বে না। কারণ তোমাদের এ আচরণ নবীকে কষ্ট দেয়” … আয়াতের শেষ পর্যন্ত [সুরা আল আহযাব ৩৩: ৫৩]
রাবী জাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আনাস [রাদি.] বলেছেন, আমি লোকদের কাছে হাদীস বর্ণনা করছিলাম, এ আয়াতের প্রতি অনুগত হওয়ার জন্যে। আর নবী [সাঃআঃ]-এর বিবিগণকে পর্দার আড়ালে নেয়া হল।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৩৭২, ইসলামিক সেন্টার- ৩৩৭১]
৩৪০০. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, যখন নবী [সাঃআঃ] যায়নাবকে বিবাহ করিলেন তখন উম্মু সুলায়ম [রাদি.] পাথরের একটি পাত্রে তাহাঁর জন্য হায়স পাঠালেন। আনাস [রাদি.] বলেন, তখন নবী [সাঃআঃ] বললেনঃতুমি যাও, মুসলিমদের মধ্যে যার সঙ্গে তোমার সাক্ষাৎ হয় তাকে আমার পক্ষ থেকে দাওয়াত দাও। অত:পর যার সঙ্গে সাক্ষাৎ হল আমি তাকে দাওয়াত দিলাম। তারা তাহাঁর কাছে আসতে শুরু করিল এবং খেয়ে চলে যেতে লাগল। আর নবী [সাঃআঃ] তাহাঁর হাত খাদ্যের উপর রাখলেন এবং তাতে দুআ পড়লেন। এতে আল্লাহ্র ইচ্ছায় তিনি যা পাঠ করার তা পড়লেন। যারই সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে তাকেই দাওয়াত দিতে বাদ দেইনি। সকলেই খেল এবং তৃপ্ত হল। তারা বেরিয়ে গেল কিন্তু তাদের একদল রয়ে গেল। তারা তাহাঁর সেখানে দীর্ঘালাপে লিপ্ত রইল। নবী [সাঃআঃ] তাদের কিছু বলিতে লজ্জাবোধ করছিলেন। তাই তিনি নিজেই বেরিয়ে গেলেন এবং তাদের ঘরে রেখে গেলেন। তখন আল্লাহ তাআলা এ আয়াত নাযিল করেন- [অর্থ] “হে মুমিনগণ! তোমাদের অনুমতি দেয়া না হলে আহার্য প্রস্তুতের জন্য অপেক্ষা না করে আহার গ্রহণের জন্য তোমরা নবী গৃহে প্রবেশ করিবে না।” ক্বাতাদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, তোমরা আহার্য প্রস্তুতির সময়ের যদি অপেক্ষা না কর তবে তোমাদের আহ্বান করলে তোমরা প্রবেশ করিবে। এ বিধান তোমাদের ও তাদের হৃদয়ের জন্য অধিকতর পবিত্র”- [সুরা আল আহ্যাব ৩৩:৫৩]।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৩৩৭৩, ইসলামিক সেন্টার- ৩৩৭২]
Leave a Reply