জাকাত পশু উশর ফিতর এর মাসআলা – হেদায়া কিতাব বাংলা
জাকাত পশু উশর ফিতর এর মাসআলা – হেদায়া কিতাব বাংলা
জাকাত অধ্যায়
- প্রথম অনুচ্ছেদঃ গবাদি পশুর জাকাত
- দ্বিতীয় অনুচ্ছেদঃ সম্পদের জাকাত
- তৃতীয় অনুচ্ছেদঃ উশর উসূলকারীর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রমকারী
- চতুর্থ অনুচ্ছেদঃ খনিজ-সম্পদ ও প্রোথিত-সম্পদ
- পঞ্চম অনুচ্ছেদঃ ফসল ও ফলের জাকাত
- ষষ্ঠ অনুচ্ছেদঃ জাকাত-সাদাদা কাকে দেয়া জাইয বা জাইয নয়
স্বাধীন জ্ঞানসম্পন্ন প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম ব্যাক্তি ‘নিসাব পরিমাণ পূর্ণ মালিক হল এবং তাহার উপর এক বছর অতিক্রান্ত হয়, তখন ঐ ব্যক্তি [সম্পদের] উপর জাকাত ওয়াজিব [অর্থাত্ ফরয] হয়। ওয়াজিব হওয়ার দলীল হলো আল্লাহ্ তাআলার বাণী আর তোমরা জাকাত প্রদান কর।
তাছাড়া রসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেছেন- তোমরা তোমাদের মালের জাকাত প্রদান কর। তদুপরি এ সিদ্ধান্তের উপর উম্মতের ইজমা প্রতিষ্ঠিত। ওয়াজিব শব্দে ফরয বুঝান হয়েছে। কেননা (জাকাত ওয়াজিব হওয়ার যে দলিল) তাতে ‘সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।
স্বাধীন হওয়ার জন্য য়ে শর্ত তা দ্বারা মালিকানার পূর্ণতা অর্জিত হয়। আর ‘জ্ঞান সম্পন্ন ও প্রাপ্ত বয়স্কতার শর্ত আরোপ করার কারণ একটু পরেই উল্লেখ করছি।
মুসলমান হওয়ার শর্ত আরোপ করার কারণ এই যে, জাকাত হল একটি ইবাদত। আর কাফিরের পক্ষ থেকে ইবাদত সাব্যস্ত হতে পারে না।
নিসাব পরিমাণ মালের মালিকানা জরুরী, কেননা রাসূলূল্লাহ্ (সাঃআঃ) এ পরিমাণকে (জাকাত ওয়াজিব হও্রয়ার) কারণরূপে নির্ধারণ করেছেন।
এক বছর অতিক্রান্ত হওয়া জরূরী। কেননা এমন একটা সময়কাল অপরিহার্য যাতে (মালের) বৃদ্ধি সম্পন্ন হতে পারে। আর শরীআত তার সীমা নির্ধারণ করেছে ‘এক বছর ‘ দ্বারা। কেননা রাসূলূল্লাহ্ (সাঃআঃ) বলেছেন- এক বছর অতিক্রান্ত হওয়া পর্যন্ত কোন মালে জাকাত নেই। তাছাড়া এ সময়ের অবকাশে মাল বর্ধিত হওয়ার সম্ভাবনা রহিয়াছে। কারণ এতে বিভিন্ন মৌসুম সমূহ শামিল রহিয়াছে। আর সাধারণতঃ তাতে মূল্যের তারতম্য হয়ে থাকে। সুতরাং হুকুম ও সিদ্ধান্তটি তারই উপর আবর্তিত করা হয়েছে।
আর কোন কোন মতে জাকাত হলো তাত্ক্ষনিক ওয়াজিব। কেননা এ-ই ‘নিঃশর্ত আদেশের চাহিদা।
আর কারো কারো মতে এটি বিলম্বিত ওয়াজিব। কেননা সমগ্র জীবনই হল এটি আদায় করার সময়। এ কারণেই আদায়ে ত্রুটির পর নিসাব বিনিষ্ট হয়ে গেলে তার উপর আদায়ের যিম্মাদারী থাকে না।
অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক ও বিকৃত মস্তিষ্ক ব্যাক্তির উপর জাকাত ওয়াজিব নয়।
ইমাম শাফিঈ (রঃআঃ) ভিন্নমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, জাকাত হল আর্থিক দায়-দায়িত্ব। সুতরাং এটা অন্যান্য আর্থিক দায়-দায়িত্বের সমতুল্য। যেমন স্ত্রীদের ভরণ পোষন। আর এটি উশর ও খিরাজের অনুরূপ হয়ে যায় (যা বাচ্চা ও পাগলের মাল থেকেও নেয়া হয়)।
আমাদের যুক্তি এই যে, জাকাত হল ইবাদত। সুতরাং স্ব-ইচ্ছা ছাড়া তা আদায় হবে না, যাতে ‘পরীক্ষা এর দিকটি সাব্যস্ত হতে পারে। আর ‘আকল না থাকার কারণে এ দুজনের ‘স্ব-ইচ্ছা বলতে কিছু নেই।
‘খারাজ এর বিপরীত। কেননা খারাজ হল ভূমি কর। জমির আর্থিক ‘দায় তদ্রুপ উশরের ক্ষেত্রে ‘আর্থিক দায় এর একটিই প্রধান। পক্ষান্তরে ‘ইবাদত এর দিকটি আনুসঙ্গিক।
পাগল যদি বছরের কোন অংশে সুস্থত্য লাভ করে তবে সেটা রোজার ক্ষেত্রে মাসের কোন অংশে সু্স্থতা লাভ করার সমতুল্য হবে।
ইমাম আবূ ইউসুফ (রঃআঃ) এর মতে বছরের অধিকাংশ সময় ধর্তব্য। আর পাগলের বেলায় স্থায়ী কোন পার্থক্য নেই।
আর ইমাম আবূ হানীফা (রঃআঃ) হতে বর্ণীত আছে যে, নাবালক যদি পাগল অবস্থায় বালেগ হয় তবে সুস্থতা লাভের সময় থেকে বছর পূর্ণ হওয়া বিবেচনা করা হবে। যেমন নাবালগের জন্য সাবালক হওয়ার সময় থেকে।
‘মুকাতাব এর উপর জাকাত নেই। কেননা সে পূর্ণভাবে মালের মালিক নয়। কারণ তার মধ্য্য মালিকানার পরিপন্থি দাসত্ব বিদ্যমান। এ কারনেই সে আপন গোলামকে আযাদ করার অধিকারী নয়।
যার উপর তার সম্পদকে বেষ্টনকারী ৠণ রহিয়াছে, তার উপর জাকাত নেই।
ইমাম শাফিঈ (রঃআঃ) বলেন, জাকাত ওয়াজিব হবে। যেহেতু যাকাতের সব বিদ্যমান রহিয়াছে। আর তা হল পূর্ণ নিসাবের মালিক হওয়া।
আমাদের দলিল এ্ই যে, তার মাল তার মৌলিক প্রয়োজনে দায়বদ্ধ। সুতরাং সেটাকে অস্তিত্বহীন গণ্য করা হবে। যেমন পিপাসা নিবৃতির জন্য রক্ষিত পানি এবং ব্যবহারিক ও কর্তব্য সম্পাদনের কাপড়।
যদি তার সম্পদ ৠণ থেকে অধিক হয় তবে উদ্বৃত্ত অংশ নিসাব পরিমাণ হলে তার জাকাত দিবে। কেননা তা প্রয়োজন মুক্ত। আর ৠণ দ্বারা উদ্দেশ্য এমন ৠণ, মানুষের পক্ষ থেকে যার তাগাদাকারী রহিয়াছে। সুতরাং মান্নত ও কাফ্ফারার ৠণ জাকাতকে বাধা দিবে না। আর যাকাতের ৠণ নিসাব বিদ্যমান থাকা অবস্থায় জাকাতকে বাধা দেয়। কেননা ঐ ৠণের কারণে নিসাব কমে যাবে। তদ্রুপ মাল নষ্ট করার পরও একই হুকুম।
উভয় ক্ষেত্রে যুফার (রঃআঃ) এর ভিন্নমত রহিয়াছে। আর কথিত বণনা মতে দ্বিতীয় ক্ষেত্রে ইমাম আবূ ইউসুফ (রঃআঃ) এর ভিন্নমত রহিয়াছে। কেননা আমাদের দলিল হল (মানুষের পক্ষ হতে) এই মালের তাগাদাকারী রহিয়াছে। গবাদি পশুর ক্ষেত্রে তাগাদাকারী হলেন শাসনকর্তা। পক্ষান্তরে ব্যবসা দ্রব্যের ক্ষেত্রে তাগাদাকারী হলেন শাসনকর্তার নায়েব। কেননা মালিকগণ তার পক্ষে নায়েব বিবেচিত হয়ে থাকেন।
বসবাসের ঘরে, ব্যবহারের কাপড় চোপড়, ঘরের আসবাবপত্রে, সওয়ারির পশুর ক্ষেত্রে, খিদমতের গোলামদের ক্ষেত্রে এবং ব্যবহারের অস্ত্রাদির ক্ষেত্রে জাকাত নেই। কেননা তা মৌলিক প্রয়োজনে ব্যবহৃত । তাছাড়া তা ‘বর্ধন-গুণ সম্পন্ন নয়। জ্ঞানসেবীদের জ্ঞানর্চ্চায় ব্যবহৃত কিতাবাদি এবং পেশাদার লোকদের উপকরণাদি সম্পর্কেও একই হুকুম। এই কারণে যা আমরা (এইমাত্র) বলেছি।
যার অন্য কারো উপর কোন ৠণ রহিয়াছে, কিন্তু সে কয়েক বছর ধরে তা অস্বীকার করে এসেছে, অতঃপর ৠণসংক্রান্ত প্রমাণ তার হাতে এল, তখন সে উক্ত মালের বিগত বছরগুলোর জাকাত প্রদান করবে না।
এর অর্থ এই যে, ৠণ গ্রহীতা মানুষের নিকট স্বীকারোক্তির করার কারণে তার পক্ষে প্রমাণ সাব্যস্ত হয়ে গেছে, এটা ‘মালে যিমার এর মাসআলার অন্তর্ভূ্ক্ত। এ বিষয়ে ইমাম যুফার ও ইমাম শাফিঈ (রঃআঃ) এর ভিন্নমত রহিয়াছে।
হারিয়ে যাওয়া মাল, পলাতক বা পথহারা গোলাম, ছিনিয়ে নেওয়া মাল, যার পক্ষে কোন প্রমাণ নেই, সমুদ্র (অর্থাত্ অথৈ পানিতে) পড়ে যাওয়া মাল, খোলা মাঠে পুতে রাখা মাল, যার স্থান এখন মনে নেই এবং শাসক যে মাল বাজেয়াপ্ত করেছেন-এ সবই ‘মালে যিমারের অন্তর্ভূক্ত।
পলাতক, পথহারা ও ছিনিয়ে নেওয়া গোলামের পক্ষ থেকে সাদকাতুল ফিত্র ওয়াজিব হওয়ার বিষয়ের ব্যাপারেও অনুরূপ মতভেদ রহিয়াছে।
ইমাম যুফার (রঃআঃ) ও শাফিঈ (রঃআঃ) এর দলিল এই যে, (জাকাত ওয়াজিব হওয়ার) কারণ, বিদ্যমান। আর হস্তচ্যুত হওয়া (জাকাত) ওয়াজিব হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক নয়। যেমন, মুসাফিরের (বাড়ীতে রক্ষিত) মাল।
আমাদের দলিল হল আলী (রাঃআঃ) এর বাণী – মালে যিমারের উপর জাকাত নেই। তাছাড়া (জাকাত ওয়াজিব হওয়ার কারণ) হল বর্ধন-গুণ সম্পন্ন মাল। আর হস্তক্ষেপ ও পরিচালনার সক্ষমতাহা ছাড়া বর্ধন সম্ভব নয়। আর উপস্থিত ক্ষেত্রে তার সক্ষমতা নেই। পক্ষান্তরে মুসাফির তার স্থলবর্তীর মাধ্যমে পরিচালনা করিতে সক্ষম। (সুতরাং এর উপর সেগুলোকে কিয়াস করা ঠিক নয়)।
ঘরে পুতে রাখা মাল নিসাবের মধ্যে গণ্য হবে। কেননা তা হস্তগত করা সহজ। আর জমিতে বা বাগানে পুতে রাখা মাল সম্পর্কে (যদি স্থান ভূলে যায়) তবে মাশায়েখগণের মতভেদ রহিয়াছে।
ৠণের কথা স্বীকার করে এমন কোন লোকের নিকট যদি ৠণ থাকে, তবে সে স্বচ্ছল হোক কিংবা অস্বচ্ছল, ঐ মালের উপর জাকাত ওয়াজিব হবে। কেননা (সচ্ছলের ক্ষেত্রে) সরাসরি কিংবা (অসচ্ছলের ক্ষেত্রে উপার্জনের পর) উক্ত ৠণ উদ্ধার করা সম্ভব।
তদ্রুপ (জাকাত ওয়াজিব হবে) যদি ৠণ এমন অস্বীকারকারী ব্যক্তির নিকট থাকে যার অনকূলে প্রমাণ রহিয়াছে কিংবা কাযী সে বিষয়ে অবগত থাকেন। কারণ আমরা আগেই উল্লেক করেছি।
ৠণ যদি এমন ব্যক্তির নিকট থাকে, যাকে দেউলিয়া করা হয়েছে আর সে ৠণের কথা স্বীকার করে, তখন ইমাম আবূ হানীফা (রঃআঃ) এর মতে উক্ত মাল নিসাব রূপে গণ্য হবে। কেননা, তার মতে কাযীর পক্ষ থেকে দেউলিয়া ঘোষণা করা শুদ্ধ নয়।
পক্ষান্তরে, ইমাম মুহাম্মাদ (রঃআঃ) এর মতে জাকাত ওয়াজিব হবে না। কেননা দেউলিয়া ঘোষণা করা দ্বারা তার মতে দেউলিয়াত্ব সাব্যস্ত হয়ে যায়।
ইমাম আবূ ইউসুফ (রঃআঃ) দেউলিয়াত্ব সাব্যস্ত হওয়ার ব্যাপারে মুহাম্মাদ (রঃআঃ) এর সাথে একমত। পক্ষান্তরে গরীব লোকদের প্রতি সুবিবেচনার লক্ষ্যে যাকাতের হুকুম সাব্যস্ত করার ব্যাপারে তিনি ইমাম আবূ হানীফা (রঃআঃ) এর সঙ্গে একমত।
কেউ ব্যবসার উদ্দেশ্যে দাসী খরিদ করিলে, তারপর তাকে খিদমতে নিয়োজিত করার নিয়্যত করিলে, তাহলে ঐ দাসী থেকে জাকাত রহিত হয়ে যাবে। কেননা, নিয়্যত কর্মের সংগে যুক্ত হয়েছে। অর্থাত্ ব্যবসা বর্জন করা।
আর যদি পুনরায় ব্যবসায় নিয়্যত করে তবে তাকে বিক্রি করার পূর্ব পর্যন্ত তা ব্যবসায়ের জন্য বলে বিবেচিত হবে না। সুতরাং (বিক্রির পরে) তার মূল্যের উপর জাকাত ওয়াজিব হবে। কেননা, এখানে নিয়্যত কর্মের সংগে যুক্ত হয়নি। কারণ সে তো (এখনও) ব্যবসা করেনি। সুতরাং নিয়্যত গ্রহণযোগ্য হবে না। এ কারণেই তো মুসাফির শুধু নিয়্যতের দ্বারাই মুকীম হয়ে যায়। কিন্তু মুকীম সফর ছাড়া শুধু নিয়্যত দ্বারা মুসাফির হয় না।
যদি কোন জিনিস খরিদ করে আর ব্যবসার নিয়্যত করে তবে সেটা ব্যবসার জন্যই গণ্য হবে। কেননা, নিয়্যত কর্মের সংগে যুক্ত হয়েছে। পক্ষান্তরে যদি উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হয় এবং ব্যবসার নিয়্যত করে, তা হলে ব্যবসার জন্য গণ্য হবে না। কেননা তার পক্ষে থেকে কোন কর্ম পাও্রয়া যায় নি।
আর যদি দানের মাধ্যমে, ওসীয়তের মাধ্যমে, বিবাহের মাধ্যমে, ‘খোলা এর মাধ্যমে অথবা কিয়াসের উপর সন্ধির মাধ্যমে বস্তুটির মালিক হয় এবং সেটাকে ব্যবসার জন্য নিয়্যত করে, তবে ইমাম আবূ ইউসুফ (রঃআঃ) এর মতে তা ব্যবসার জন্য হয়ে যাবে। কেননা নিয়্যতটি কর্মের সংগে যুক্ত হয়েছে।
আর ইমাম মুহাম্মাদ (রঃআঃ) এর মতে তা ব্যবসার মধ্য গণ্য হবে না। কেননা নিয়্যতটি ‘ব্যবসা কর্মের সংগে যুক্ত হয়নি। কারো কারো মতে মতভেদটি এর বিপরীত।
জাকাত আদায় করার সংগে যুক্ত নিয়্যত কিংবা জাকাত পরিমাণ অর্থ আলাদা করার সংগে নিয়্যত ছাড়া আদায় করা সহীহ্ হবে না। কেননা জাকাত একটি ইবাদত। সুতরাং তার জন্য নিয়্যত শর্ত হবে। আর নিয়্যতের ক্ষেত্রে আসল হল কর্মের সংগে যুক্ত হওয়া। তবে যেহেতু ‘জাকাত প্রদান (সাধারণত) বিভিন্ন সময়ে হয়ে থাকে। তাই সহজতার লক্ষ্যে যাকাতের অর্থ আলাদা করার সময় নিয়্যতের উপস্থিতিই যথেষ্ট। যেমন সিয়ামের ক্ষেত্রে নিয়্যতকে অগ্রবর্তী করার বিষয়টি।
যে ব্যক্তি যাকাতের নিয়্যত ব্যতীত সমস্ত মাল দান করে ফেলে, তার যাকাতের ফরয আদায় হয়ে যাবে।
এটা হল সূক্ষ কিয়াসের ভিত্তিতে। কেননা তার উপর ওয়াজিব ছিল মালের একটা অংশ দান করা। সুতরাং সমগ্র মালের মাঝেই তা নির্ধারিত আছে। অতএব নির্ধারণ করার প্রয়োজন নেই।
যদি আংশিক নিসাব দান করে থাকে তবে দানকৃত অংশের জাকাত রহিত হয়ে যাবে। এটি মুহাম্মাদ (রঃআঃ) এর মত। কেননা ওয়াজিব অংশটি সমগ্র মালের মাঝে বিস্তৃত রহিয়াছে। পক্ষান্তরে ইমাম আবূ ইউসুফ (রঃআঃ) এর মতে তা রহিত হবে না। কেননা অবশিষ্ট মাল ওয়াজিব যাকাতের ক্ষেত্র হতে পারার কারণে দানকৃত অংশ নির্ধারিত হয়নি। প্রথম সুরতটি এর বিপরীত। নির্ভুল বিষয় আল্লাহ্ই অধিক জ্ঞাত।
Leave a Reply