যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ Jaif Miskat- ইলম অধ্যায়
যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ Jaif Miskat- ইলম অধ্যায় >> জইফ মিশকাত শরীফ এর মুল সূচীপত্র দেখুন
৩ ইলম
পরিচ্ছেদঃ ইলম
৪১. আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
একদা রসূল [সাঃআঃ] আমাদের বলিলেন, জনসাধারণ তোমাদের অনুসারী হইবে। আর দিক-দিগন্ত হইতে তারা তোমাদের নিকট দ্বীনের জ্ঞান লাভ করার উদ্দেশ্যে আসবে। সুতরাং যখন তারা আসবে, তখন তোমরা তাহাদের সদুপদেশ দিবে।
তাহক্বীক্ব : জইফ। তিরমিজি হাদীস নং/২৬৫০; মিশকাত হাদীস নং/২০৪, জইফ তিরমিজি হাদীস নং/২৬৫০ । যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৪২. আবু হুরায়রা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, জ্ঞানের কথা মুমিনের হারানো সম্পদ। সুতরাং যে যেখানে পাবে সে-ই তার অধিকারী।
তাহক্বীক্ব : জইফ। ইবরাহীম ইবনি ফাযল নামের রাবী জইফ। উল্লেখ্য যে, মিশকাতে হাকীম রয়েছে। কিন্তু মূল হাদীসে মুমিন রয়েছে। তিরমিজি হাদীস নং/২৬৮৭; ইবনি মাজাহ হাদীস নং/৪১৬৯; মিশকাত হাদীস নং/২১৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/২০৫, ২/১৩ পৃঃ। যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৪৩. আব্দুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, একজন ফক্বীহ শয়তানের উপর এক হাযার আবেদ অপেক্ষাও মারাত্মক।
তাহক্বীক্ব : হাদীসটি জাল। এর সনদে রূহ ইবনি জুনাহ নামে একজন রাবী আছে। সে মিথ্যুক বলে অভিযুক্ত।
তিরমিজি হাদীস নং/২৬৮১; ইবনি মাজাহ হাদীস নং/২০২; মিশকাত হাদীস নং/২১৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/২০৬। আল-ইলালুল মুতানাহিয়াহ ১/১৩৪ পৃ:, আবু ইসহাক্ব আল-হুওয়াইনী, আন-নাফেলাতু ফিল আহাদীছিয জয়িফা ওয়াল বাতিলাহ, পৃ: ৪৬-এর টীকা দ্র:, জইফ তিরমিজি হাদীস নং/২৬৮১; জইফ ইবনে মাজাহ হাদীস নং/২০২। যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ জাল হাদীস
৪৪. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, ইলম তালাশ করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরয এবং অপাত্রে ইলম স্থাপনকারী যেন শূকরের গলায় জহরত, মুক্তা বা স্বর্ণ স্থাপনকারীর ন্যায়।
তাহক্বীক্ব : উক্ত বর্ণনার শেষাংশ জইফ। প্রথমাংশ সহীহ। তবে উক্ত অংশের সাথে মুসলিমাতুন যোগ করার কোন ভিত্তি নেই। ইবনি মাজাহ হাদীস নং/২২৪; মিশকাত হাদীস নং/২১৮; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/২০৭। জইফ ইবনে মাজাহ হাদীস নং/২২৪; যঈফুল জামে হাদীস নং/৩৬২৬। সহীহ ইবনি মাজাহ হাদীস নং/২২৪। তাহক্বীক্ব মিশকাত হাদীস নং/২১৮-এর টীকা দ্র: ১/৭৬ পৃ: । যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৪৫. সাখবারা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যক্তি ইলম অন্বেষণ করিবে, তার জন্য তা পূর্ববর্তী পাপ সমূহের কাফফারা হয়ে যাবে।
তাহক্বীক্ব : হাদীসটি জাল। তিরমিজি হাদীস নং/২৬৪৮; মিশকাত হাদীস নং/২২১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/২১০। যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ জাল হাদীস
৪৬. আবু সাঈদ খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, মুমিন কখনও ইলম শ্রবণে তৃপ্তি লাভ করে না, যতক্ষণ না সে তার প্রতিদানে জান্নাত পায়।
তাহক্বীক্ব : জইফ। জইফ তিরমিজি হাদীস নং/২৬৮৬। যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৪৭. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, আমার পক্ষ হইতে হাদীছ বর্ণনার ব্যাপারে সতর্ক হইবে, যে পর্যন্ত না তা তোমরা আমার বলে জানবে। কারণ যে ব্যাক্তি আমার প্রতি ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা আরোপ করিবে, সে যেন তার স্থান জাহান্নামে করে নেয়।
তাহক্বীক্ব : জইফ। যইফ তিরমিজি হাদীস নং/২৯৫১.যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৪৮. আব্দুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ.
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যাক্তি কুরআন সম্পর্কে নিজের মনমত কোন কথা বলবে, সে যেন তার স্থান জাহান্নামে করে নেয়।
তাহক্বীক্ব : জইফ। যইফ তিরমিজি হাদীস নং/২৯৫১, যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৪৯. জুন্দুব [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ব্যাক্তি কুরআনের ব্যাপারে নিজের মত অনুযায়ী কোন কথা বলবে, আর তাতে যদি সে সত্যও বলে, তবুও সে ভুল করিবে।
তাহক্বীক্ব : জইফ।যইফ তিরমিজি হাদীস নং/২৯৫২; আবুদাউদ হাদীস নং/৩৬৫২ ; যইফুল জামে হাদীস নং/৫৭৩৬, যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৫০. আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, কুরআন সাত হরফে নাজিল হয়েছে। তার প্রত্যেক আয়াতের একটি বাইরের ও একটি ভিতর দিক রয়েছে; প্রত্যেক দিকেরই একটি হদ রয়েছে, আর প্রত্যেক হদেরই একটি অবগতি স্থান রয়েছে।
তাহক্বীক্ব : জইফ। সিলসিলা যইসলামিক ফাউন্ডেশনহ হাদীস নং/২৯৬৯ ; যইফুল জামে হাদীস নং/১৩৩৮. যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৫১. আব্দুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, ইলম তিন ধরনের। মুহকাম আয়াত, প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত, ফরয আদেল। এর বাইরে যা রয়েছে তা অতিরিক্ত। আমর ইবনে শুআইব তার পিতার সূত্রে তার দাদা থেকেও বর্ণনা করিয়াছেন। সেখানে মুখতাল শব্দের পরিবর্তে মুরা শব্দ রয়েছে।
তাহক্বীক্ব : জইফ। যইফ আবুদাউদ হাদীস নং/২৮৮৫; যইফ ইবনে মাজাহ হাদীস নং/৫৪ ; যইফুল জামে হাদীস নং/ ৩৮৭১, যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৫২. মুআবিয়া [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
নাবী করীম [সাঃআঃ] বিভ্রান্তিমূলক কথা বলিতে নিষেধ করিয়াছেন।
তাহক্বীক্ব : জইফ। আবুদাউদ হাদীস নং/৩৬৫৬ ; যইফুল জামে হাদীস নং/৬০৩৫, যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৫৩. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, তোমরা ফারায়েয ও কুরআন শিক্ষা কর এবং লোকদের ইহা শিক্ষা দাও। কারণ আমাকে উঠিয়ে নেওয়া হইবে।
তাহক্বীক্ব : জইফ। যইফ তিরমিজি হাদীস নং/২০৯১, যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৫৪. আবু হুরাইরা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
আবু হুরাইরা [রাদি.] রসূল [সাঃআঃ] হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, এমন সময় সমাগত যে, প্রায় মানুষই ইলমের সন্ধানে দুনিয়া ঘুরে বেড়াবে, কিন্তু কোথাও মদিনার আলেমের অপেক্ষা অধিক বিজ্ঞ আলেম পাবে না।
তাহক্বীক্ব : জইফ। তিরমিজি হাদীস নং/২৬৮০; সিলসিলা যইসলামিক ফাউন্ডেশনহ হাদীস নং/৪৮৩৩. যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৫৫. হাসান বছরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
হাসান বছরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে মুরসাল সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, যার মৃত্যু এসে গেছে এমন অবস্থায়, যখন সে ইসলাম কে জীবিত করার উদ্দেশ্যে ইলম অন্বেষণে ব্যস্ত আছে, জান্নাতে তার আর নাবীদের মধ্যে মাত্র এক ধাপের পার্থক্য থাকিবে।
তাহক্বীক্ব : জইফ। দারেমী হাদীস নং/৩৫৪ ; দুরসূল নাসিরুদ্দিন আলবানী পৃষ্ঠা ৯, যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৫৬. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
আলী [রাদি.] বলেন, রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, দ্বীনের আলেম কি উত্তম লোক! যদি তাহাঁর প্রতি লোক মুখাপেক্ষী হয়, তিনি তাহাদের উপকার সাধন করেন ; আর যখন তাহাঁর প্রতি মানুষের কোন প্রয়োজন থাকে না, তখন তিনি নিজেকে নিরপেক্ষ করে রাখেন।
তাহক্বীক্ব : হাদীছটি জাল। সিলসিলা যইসলামিক ফাউন্ডেশনহ হাদীস নং/৮১২, যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ জাল হাদীস
৫৭. ওয়াছেলা ইবনি আসক্বা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
যে ব্যক্তি ইলম তালাশ করেছে এবং তা লাভ করিতে পেরেছে, তার জন্য দুই গুণ ছওয়াব রহিয়াছে। আর যদি তা লাভ করিতে না পারে, তাহলে তার জন্য একগুণ ছওয়াব রহিয়াছে।
তাহক্বীক্ব : জইফ। দারেমী হাদীস নং/৩৩৫; মিশকাত হাদীস নং/২৫৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/২৩৬, ২/২৫ পৃঃ। যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৫৮. আব্দুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রাতের কিছু সময় ইলমের আলোচনা করা পূর্ণ রাত্রি জাগরণ অপেক্ষা উত্তম।
তাহক্বীক্ব : জইফ। উক্ত বর্ণনার সনদে ইবনি জুরাইজ নামে একজন জইফ রাবী আছে। সে ইবনি আব্বাস [রাদি.]-এর যুগ পায়নি। দারেমী হাদীস নং/২৬৪; মিশকাত হাদীস নং/২৫৬; বঙ্গানুবাদ , শকাত হাদীস নং/২৩৯, হ/২৬ পৃঃ। যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৫৯. আব্দুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
একদিন রসূল [সাঃআঃ] তাহাঁর মসজিদে দুটি মজলিসের নিকট দিয়ে অতিক্রম করিলেন। তখন তিনি বলিলেন, উভয় মজলিসই ভাল কাজে রত; তবে এক মজলিস অন্য মজলিস অপেক্ষা উত্তম। এই যে দলটি এরা অবশ্য আল্লাহকে ডাকছে এবং আল্লাহর প্রতি আগ্রহ প্ৰকাশ করছে। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাহাদের আশা পূর্ণও করিতে পারেন। আর ইচ্ছা করলে নাও করিতে পারেন। কিন্তু এই দলটি, যারা ইলম শিক্ষা করছে এবং যারা জানে না তাহাদের শিক্ষা দিচ্ছে; এরাই উত্তম। আর আমিও শিক্ষক হিসাবে প্রেরিত হয়েছি। অতঃপর রসূল [সাঃআঃ] এই দলের সাথে বসে গেলেন।
তাহক্বীক্ব : জইফ। ইবনি মাজাহ হাদীস নং/২২৯; দারেমী হাদীস নং/৩৪৯; মিশকাত হাদীস নং/২৫৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/২৪০। যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৬০. আবু দারদা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ]-কে জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রসূল [সাঃআঃ]! ইলমের কোন সীমায় পৌছলে একজন ব্যক্তি ফক্বীহ হইতে পারে? উত্তরে তিনি বলিলেন, যে ব্যক্তি আমার উম্মতের জন্য দ্বীনের ব্যাপারে ৪০টি হাদীছ মুখস্থ করেছে, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে ফকীহরূপে উঠাবেন। এছাড়া কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য সুপারিশকারী ও সাক্ষী হব।
তাহক্বীক্ব : হাদীছটি জাল। এর সনদে ইসহাক্ব ইবনি নাজীহ ও খালেদ ইবনি ইয়াযীদ আল-উমরী নামে দুইজন মিথ্যুক রাবী আছে। বায়হাক্বী, শুআবুল ঈমান হাদীস নং/১৭২৫; মিশকাত হাদীস নং/২৫৮; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/২৪১। যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ জাল হাদীস
৬১. আনাস ইবনি মালেক [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] একদিন আমাদের জিজ্ঞেস করিলেন, তোমরা কি বলিতে পার দানের দিক দিয়ে সর্বাপেক্ষা বড় দানশীল কে? তারা বলিলেন, আল্লাহ ও তাহাঁর রসূল [সাঃআঃ]- ই বেশী জানেন। রসূল [সাঃআঃ] বলিলেন, দানের দিক দিয়ে আল্লাহই হচ্ছেন সর্বাপেক্ষা বড়। অতঃপর বনী আদমের মধ্যে আমিই সর্বাপেক্ষা বড় দানশীল। আর আমার পর বড় দাতা হচ্ছেন সেই ব্যক্তি, যে ইলম শিক্ষা করিবে এবং উহা প্রচার করিতে থাকিবে। কিয়ামতের দিন সে একাই একজন আমীর অথবা একটি উম্মত হয়ে উঠবে।
তাহক্কীক্ব : জইফ। বায়হাক্বী হাদীস নং/১৭৬৭; মিশকাত হাদীস নং/২৫৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/২৪২, ২/২৭ পৃঃ। যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৬২. আওন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
আব্দুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] বলেছেন, দুই পিপাসু ব্যক্তি কখনো তৃপ্তি লাভ করে না- আলেম ও দুনিয়াদার। কিন্তু এই দুইজন আবার সমান নয়; আলেম- তার প্রতি আল্লাহর সম্ভষ্টি বৃদ্ধি পেতে থাকে, আর দুনিয়াদার আল্লাহর অবাধ্যতার পথে অগ্রসর হইতে থাকে। অতঃপর আব্দুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] পাঠ করিলেন, কখনোই নয়, নিশ্চয়ই মানুষ নিজেকে স্বয়ং সম্পূর্ণ দেখে অবাধ্যতা করিতে থাকে [আলাক ৫-৬]। বৰ্ণনাকারী আওন [রাদি.] বলেন, আর অপর ব্যক্তি সম্পর্কে তিনি এই আয়াত পড়লেন, আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে নিশ্চয় আলেমগণই আল্লাহকে ভয় করেন। [ফাতির ২৮]
তাহক্বীক্ব : জইফ। দারেমী হাদীস নং/৩৩২; মিশকাত হাদীস নং/২৬১। যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৬৩. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] বলেন, রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, সেদিন বেশী দূরে নয়, যেদিন আমার উম্মতের কিছু লোক দ্বীনের জ্ঞান লাভে সচেষ্ট হইবে ও কুরআন শিক্ষা করিবে এবং বলবে যে, আমরা আমীরদের নিকট যাব এবং তাহাদের দুনিয়ার কিছু অংশ গ্ৰহণ করে পরে তাহাদের নিকট হইতে সরে পড়ব। কিন্তু তা কখনো হইবে না। যথা [কন্টকময়] কানাদ গাছ, উহা হইতে যেমন কাঁটা ব্যতীত কোন ফল লাভ করা যায় না, তেমনি এদের নিকট হইতে কোন ফল লাভ করা যায় না; মুহাম্মাদ ইবনি ছাব্বাহ বলেন, অর্থাৎ পাপ ব্যতীত।
তাহক্বীক্ব : জইফ। ইবনি মাজাহ হাদীস নং/২৫৫; মিশকাত হাদীস নং/২৬২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/২৪৫। যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৬৪. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, ভুলে যাওয়া হচ্ছে ইলমের পক্ষে আপদস্বরূপ। ইলমকে নষ্ট করা হচ্ছে অনুপযুক্ত লোককে বলা।
তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি জাল। দারেমী হাদীস নং/৬৩৭; মিশকাত হাদীস নং/২৬৫; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/২৪৭। যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ জাল হাদীস
৬৫. সুফিয়ান ছাওরী হইতে বর্ণিতঃ
ওমর [রাদি.] একদা কাবকে বলিলেন, প্রকৃত আলেম কারা? তিনি বলিলেন, যারা ইলম অনুযায়ী আমল করে। তিনি পুনরায় বলেন, কোন জিনিষ আলেমদের অন্তর হইতে ইলম বের করে দেয়? তিনি বলিলেন, লোভ।
তাহক্বীক্ব : হাদীছটি মুযাল বা জইফ। দারেমী হাদীস নং/৫৯৫; মিশকাত হাদীস নং/২৬৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/২৪৮, ২/২৯ পৃঃ। যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৬৬. আহ্ওয়াছ ইবনি হাকীম হইতে বর্ণিতঃ
আহ্ওয়াছ ইবনি হাকীম তাহাঁর পিতা হইতে বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রসূল [সাঃআঃ]-কে মন্দ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিলেন, তিনি বলিলেন, মন্দ সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞেস কর না; বরং আমাকে ভাল সম্পর্কে জিজ্ঞেস কর । এটা তিনি তিনবার বলিলেন। অতঃপর বলিলেন, জেনে রাখ, সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট লোক হল আলেমরা, যারা খারাপ এবং সর্বাপেক্ষা ভাল হচ্ছে আলেমদের মধ্যে যারা ভাল।
তাহক্বীক্ব : হাদীছটি মুযাল, জইফ। দারেমী হাদীস নং/৩৭০; মিশকাত হাদীস নং/২৪৯, যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৬৭. আবু দারদা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ্র নিকট সর্বাধিক মন্দ সে ব্যক্তিই হইবে, যে তার ইলম দ্বারা উপকৃত হইতে পারেনি।
তাহক্বীক্ব : নিতান্তই জইফ। দারেমী হা /২৬২; মিশকাত হাদীস নং/২৬৮;বঙ্গানুবাদ মিশকাত হাদীস নং/২৫০,২/৩০ পৃঃ। যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ খুবই দুর্বল
৬৮. হাসান বছরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ
ইলম দুই প্রকার। এক প্রকার যা আত্মায় থাকে, আর এটা হল উপকারী ইলম। আর এক প্রকার যা মুখে থাকে, তা হল মানুষের বিরুদ্ধে আল্লাহ্র পক্ষে দলীল।
তাহক্বীক্ব : জইফ। সিলসিলা জয়িফা হা / ৩৯৪৫ ; জইফ আত- তারগীব ওয়াত তারহীব হা /৬৮। যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৬৯. আবু হুরায়রা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
একদা রসূল [সাঃআঃ] বলিলেন, তোমরা জুব্বুল হাযান হইতে আল্লাহ্র নিকট পানাহ চাও। ছাহাবীগন জিজ্ঞেস করিলেন, হে আল্লাহ্র রসূল [সাঃআঃ]! জুব্বুল হাযন কী? তিনি বলিলেন, জাহান্নামের মধ্যে একটি গর্ত, যা হইতে স্বয়ং জাহান্নামও দৈনিক ১০০ বার পরিত্রান চেয়ে থাকে। ছাহাবীগণ পুনরায় জিজ্ঞেস করিলেন, হে আল্লাহ্র রসূল [সাঃআঃ] সেখানে কারা যাবে? রসূল [সাঃআঃ] বলিলেন, সেসকল কুরআন অধ্যয়নকারী, যারা নিজেদের কাজ অন্যদের দেখিয়ে থাকে। তিরমিজি; ইবনি মাজাহও এরূপ বর্ণনা করিয়াছেন; কিন্তু তিনি কিছু অতিরিক্ত বর্ণনা করিয়াছেন, কুরআন অধ্যয়নকারীদের মধ্যে তারাই আল্লাহ্র নিকট সর্বাপেক্ষা ঘৃণিত, যারা আমীর-ওমারার সাথে সাক্ষাৎ করিবে।
তাহক্বীক্ব : নিতান্তই জইফ। জইফ তিরমিজি হা / ২৩৮৩; জইফ ইবনে মাজাহ হা /২৫৬; সিলসিলা জয়িফা হা /৫০২৪; জইফ আত –তারগীব ওয়াত তারহীব হাদীস নং/১৬; তাহক্বীক্ব মিশকাত হা /২৭৫,১/৯০ পৃঃ। যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ খুবই দুর্বল
৭০. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেন, অচিরেই মানুষের উপর এমন এক যুগ আসবে, যখন নাম ব্যতীত ইসলামের কিছুই অবশিষ্ট থাকিবে না, অক্ষর ব্যতীত কুরআনের কিছুই বাকী থাকিবে না। তাহাদের মসজিদ সমূহে আবাদ হইবে কিন্তু তা হেদায়াতশূন্য। তাহাদের আলেমগন হইবেন আকাশের নিচে সর্বনিকৃষ্ট লোক। তাহাদের নিকট থেকে ফেৎনা প্রকাশ পাবে। অতঃপর বিপর্যয় তাহাদের দিকেই ফিরে যাবে।
তাহক্বীক্ব : অত্যন্ত জইফ। বায়হাক্বী, শুআবুল ঈমান হা /১৯০৮;মিশকাত হাদীস নং/২৭৬;বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা /২৫৮,২/৩৩ পৃঃ। যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ খুবই দুর্বল
৭১. আব্দুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
একদা রসূল [সাঃআঃ] আমাকে বলিলেন ,তোমরা ইলম শিক্ষা কর এবং লোকদের তা শিক্ষা দাও। তোমরা ফারায়েয শিক্ষা কর এবং লোকদের উহা শিক্ষা দাও। তোমরা কুরআন শিক্ষা কর এবং লোকদের উহা শিক্ষা দাও। কারন আমাকে উঠিয়ে নেওয়া হইবে এবং ইলমকে সত্বর উঠিয়ে নেওয়া হইবে। আর ফেৎনা ও গোলযোগ সৃষ্টি হইবে। এমনকি ফরজ নিয়ে দুই ব্যক্তি মতভেদ করিবে, অথচ এমন কাউকেও পাবে না, যে তাহাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিবে।
তাহক্বীক্ব : জইফ। ইরওয়াউ গালীল হা /১৬৬৪ ,১/৩২৯ ;মিশকাত হাদীস নং/২৭৯। যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
৭২. আবু হুরায়রা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ
রসূল [সাঃআঃ] বলেছেন, যে ইলম দ্বারা কারো উপকার সাধিত হয় না, সেটা এমন এক ধন-ভান্ডারের ন্যায়, যা হইতে আল্লাহ্র রাস্তায় খরচ করা হয় না।
তাহক্বীক্ব : জইফ। দারেমী হাদীস নং/৫৫৬;মিশকাত হা /২৮০। যঈফ মিসকাতুল মাসাবিহ -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ দুর্বল হাদীস
Leave a Reply