মেহমানের হক। বড়কে সন্মান করা
মেহমানের হক। বড়কে সন্মান করা ও কবিতা পাঠ >> বুখারী শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন
৭৮/৮৪. অধ্যায়ঃ মেহমানের হক।
৭৮/৮৫. অধ্যায়ঃ মেহ্মানের সম্মান রক্ষা করা এবং নিজেই মেহ্মানের খিদমত করা। আল্লাহর বাণীঃ তোমার নিকট ইব্রাহীম এর সম্মানিত মেহ্মানদের……………। (সুরা আয্-যারিয়াত ৫১/২৪)
৭৮/৮৬. অধ্যায়ঃ খাবার প্রস্তুত করা ও মেহমানদের জন্য কষ্ট সংবরন করা।
৭৮/৮৭. অধ্যায়ঃ মেহমানের সামনে রাগ করা, আর অসহনশীল হওয়া নিন্দনীয় ।
৭৮/৮৮. অধ্যায়ঃ মেহমানকে মেজবানের ( এ কথা) বলা যে, যতক্ষন পর্যন্ত আপনি না খান ততক্ষণ আমিও খাব না।
৭৮/৮৯. অধ্যায়ঃ বড়কে সন্মান করা। বয়সে যিনি বড় তিনিই কথাবার্তা ও প্রশ্নাদি শুরু করবেন।
৭৮/৮৪. অধ্যায়ঃ মেহমানের হক।
৬১৩৪
আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন নাবী (সাঃআঃ) আমার নিকট এসে বললেনঃ আমাকে কি এ খবর জানানো হয়নি যে, তুমি সারারাত সলাতে অতিবাহিত কর। আর সারাদিন সিয়াম পালন কর। তিনি বললেনঃ তুমি (এ রকম) করো না। রাতের কিয়দংশ সলাত আদায় কর, আর ঘুমাও। কয়েকদিন সওম পালন কর, আর কয়েকদিন ইফ্তার কর (সওম ভঙ্গ কর)। তোমার উপর তোমার শরীরের হক আছে। তোমার উপর তোমার চোখের হক আছে, তোমার উপর তোমার মেহমানের হক আছে, আর তোমার উপর তোমার স্ত্রীরও হক আছে। নিশ্চয়ই তুমি তোমার আয়ু দীর্ঘ হবার আশা কর। কাজেই প্রতি মাসে তিনদিন সিয়াম পালনই তোমার পক্ষে যথেষ্ট। কেননা, নিশ্চয়ই প্রতিটি নেক কাজের পরিবর্তে তার দশগুণ সাওয়াব দেয়া হয়। সুতরাং এভাবে সারা বছরই সিয়ামের সাওয়াব পাওয়া যায়। তখন আমি কঠোর ব্যবস্থা চাইলে, আমাকে কঠোর ব্যবস্থা দেয়া হলো। আমি বললামঃ এর চেয়েও অধিক পালনের সামর্থ্য আমার আছে। তিনি বললেনঃ তা হলে তুমি প্রতি সপ্তাহে তিনদিন সিয়াম পালন কর। তখন আমি আরও কঠোর ব্যবস্থা চাইলে, আমাকে কঠোর দেয়া হলো। আমি বললামঃ আমি এর চেয়েও অধিক সিয়ামের সামর্থ্য রাখি। তিনি বললেনঃ তবে তুমি আল্লাহর নাবী দাঊদ (আঃ) -এর সিয়াম পালন কর। আমি বললামঃ হে আল্লাহর নাবী! দাঊদ (আঃ) -এর সিয়াম কী রকম? তিনি বলিলেন, আধা বছর সিয়াম পালন। (আঃপ্রঃ- ৫৬৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯১)
৭৮/৮৫. অধ্যায়ঃ মেহ্মানের সম্মান রক্ষা করা এবং নিজেই মেহ্মানের খিদমত করা। আল্লাহর বাণীঃ তোমার নিকট ইব্রাহীম এর সম্মানিত মেহ্মানদের……………। (সুরা আয্-যারিয়াত ৫১/২৪)
আবু আবদুল্লাহ বুখারী বলেন, বলা হয়ে থাকে। (—) যার অর্থ দাঁড়ায় তার মেহমান ও দর্শনার্থী , কেননা, মাসদার বা ক্রিয়ামূল। (—) শব্দগুলোর মত। বলা হয়েছে, ভূগর্ভস্থ পানি বা ভূগর্ভস্থ কূপ। দুটি ভূগর্ভস্থ পানির (উৎস) এবং ভূগর্ভস্থ পানি। যেরূপ বলা হয়ে থাকে। (—) শব্দটির অর্থ (—) এর অর্থে অর্থাৎ (—) এর অর্থ হয়ে থাকে। যেখানে কোন বালতি পৌঁছতে পারবে না। যে বস্তুর মধ্যে বালতি নামাবে সে স্থানকে (—) অর্থাৎ নামানোর স্থান বলা হয়। (—) অর্থ দর্শনার্থী থেকে সরে যাওয়া। (—) অর্থ (—) অর্থাৎ সরে যাওয়া।
৬১৩৫
আবু শুরায়হ কাবী (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃআঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্তে ও শেষ দিনে বিশ্বাস রাখে, সে যেন মেহ্মানের সম্মান করে। মেহ্মানের সম্মান একদিন ও একরাত। আর সাধারণ মেহমানদারী তিনদিন ও তিনরাত। এরপরে (তা হইবে) সদাকাহ। মেযবানকে কষ্ট দিয়ে, তার কাছে মেহমানের অবস্থান করা বৈধ নয়। (অন্যসূত্রে) মালিক (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) এ রকম বর্ণনা করার পর আরো অধিক বলেন যে, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের উপর ঈমান রাখে, সে যেন উত্তম কথা বলে, অথবা সে যেন চুপ থাকে।(আঃপ্রঃ- ৫৬৯৫,৫৬৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯২)
আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
যে, নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যে লোক আল্লাহইতে ও শেষ দিনে ঈমান রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। আর যে লোক আল্লাহ ও শেষ দিনে ঈমান রাখে, সে যেন মেহমানের সম্মান করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহইতে ও শেষ দিনে ঈমান রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে, নতুবা চুপ থাকে।(আঃপ্রঃ- ৫৬৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯৩)
৬১৩৭
উক্বাহ ইবনু আমির (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একবার আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি আমাদের কোন জায়গায় পাঠালে আমরা এমন কাওমের কাছে হাজির হই, যারা আমাদের মেহমানদারি করে না। এ ব্যাপারে আপনার হুকুম কী? তখন তিনি আমাদের বললেনঃ যদি তোমরা কোন কাওমের নিকট হাজির হও, আর তারা তোমাদের মেহমানদারীর জন্য উপযুক্ত যত্ন নেয়, তবে তোমরা তা গ্রহন করিবে। আর যদি তারা না করে, তা হলে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের থেকে মেহমানদের হক আদায় করে নেবে।(আঃপ্রঃ- ৫৬৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯৪)
৬১৩৮
আবু হুরাইরা (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
নাবী (সাঃআঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহয় ও শেষ দিনে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার মেহমানকে সন্মান করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহয় ও শেষ দিনে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার রক্তের সম্পর্ক বজায় রাখে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহয় ও শেষ দিনে বিশ্বাস রাখে, সে যেন কল্যাণকর কথা বলে, অথবা চুপ থাকে।(আঃপ্রঃ- ৫৬৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯৫)
৭৮/৮৬. অধ্যায়ঃ খাবার প্রস্তুত করা ও মেহমানদের জন্য কষ্ট সংবরন করা।
৬১৩৯
আবু জুহাইফাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নাবী (সাঃআঃ) সালমান (রাদি.) ও আবু দারদা (রাদি.) -এর মধ্যে ভাতৃ বন্ধন স্থাপন করেন। এরপর একদিন সালমান (রাদি.) আবু দারদা (রাদি.) -এর সঙ্গে দেখা করিতে গেলেন। তখন তিনি উম্মু দারদা (রাদি.) -কে নিম্নমানের পোশাকে দেখিতে পেলেন।। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার কি হয়েছে? তিনি বললেনঃ তোমার ভাই আবু দারদা (রাদি.) -র দুনিয়াতে কিছুর দরকার নেই। ইতোমধ্যে আবু দারদা (রাদি.) এলেন। অতঃপর তার জন্য খাবার তৈরি করে তাঁকে বলিলেন, আপনি খেয়ে নিন, আমি তো সিয়াম পালন করেছি। তিনি বললেনঃ আপনি যতক্ষন না খাবেন ততক্ষন আমিও খাবনা। তখন তিনিও খেলেন। তারপর যখন রাত হলো, তখন আবু দারদা (রাদি.) সলাতে দাঁড়ালেন। তখন সালমান (রাদি.) তাঁকে বললেনঃ আপনি ঘুমিয়ে পড়ুন। তিনি শুয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পরে আবার উঠে দাঁড়ালে, তিনি বললেনঃ (আরও) ঘুমান। আবশেষে যখন রাত শেষ হয়ে এল, তখন সালমান (রাদি.) বললেনঃ এখন উঠুন এবং তারা উভয়েই সলাত আদায় করিলেন। অতঃপর সালমান (রাদি.) বললেনঃ তোমার উপর তোমার রবের হক আছে, (তেমনি) তোমার উপর তোমার হক আছে এবং তোমার স্ত্রীরও তোমার উপর হক আছে। সুতরাং তুমি প্রত্যেক হক্দারের দাবী আদায় করিবে। তারপর তিনি নাবী (সাঃআঃ) -এর কাছে এসে, তাহাঁর কাছে তার কথা উল্লেখ করলেনঃ তিনি বলিলেন, সালমান ঠিকই বলেছে।(আঃপ্রঃ- ৫৭০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯৬)
৭৮/৮৭. অধ্যায়ঃ মেহমানের সামনে রাগ করা, আর অসহনশীল হওয়া নিন্দনীয় ।
৬১৪০
আবদুর রহমান ইবনু আবু বাক্র (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
যে, একবার আবু বাকর সিদ্দীক (রাদি.) কিছু লোককে মেহমান হিসাবে গ্রহন করিলেন। তিনি (তাহাঁর পুত্র) আবদুর রহমান কে নির্দেশ দিলেন, তোমার এ মেহমানদের নিয়ে যাও। আমি নাবী (সাঃআঃ) -এর নিকট যাচ্ছি। আমি ফিরে আসার পূর্বেই তুমি তাঁদের খাওয়ানো সেরে নিও। আবদুর রহমান (রাদি.) তাদের নিয়ে চলে গেলেন এবং তাহাঁর ঘরে যা ছিল তা সামনে পেশ করে দিয়ে তাদের বলিলেন আপনারা খেয়ে নিন। তাঁরা বললেনঃ আমাদের এ বাড়ির মালিক কোথায়? তিনি বললেনঃ আপনারা খেয়ে নিন। তাঁরা বললেনঃ বাড়ির মালিক না আসা পর্যন্ত আমরা খাবো না। তিনি বললেনঃ আমাদের তরফ থেকে আপনারা আপনাদের খাবার খেয়ে নিন। কারন, আপনারা না খেলে তিনি এলে আমার উপর রাগান্বিত হইবেন। কিন্তু তাঁরা অস্বীকার করিলেন। আমি ভাবলাম যে, তিনি অবশ্যই আমার উপর রাগান্বিত হইবেন। তারপর তিনি ফিরে আসলে আমি তাহাঁর থেকে এক পাশে সরে পড়লাম। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করিলেন, আপনারা কী করিয়াছেন। তখন তারা তাঁকে সব বর্ননা করিলেন। তখন তিনি বললেনঃ হে আবদুর রহমান ! তখন আমি চুপ থাকলাম। তিনি আবার ডাকলেন, হে আবদুর রহমান! এবারেও আমি চুপ থাকলাম। তিনি আবার ডেকে বললেনঃ ওরে মুর্খ! আমি তোকে কসম দিচ্ছি। যদি আমার কথা শুনে থকিস, তবে কেন আসছিস না? তখন আমি বেরিয়ে এসে বললাম, আপনি আপনার মেহমানদের জিজ্ঞেস করুন। তখন তারা বলিলেন, সে ঠিকই আমাদের খাবার এনে দিয়েছিল। তিনি বলিলেন, তবুও কি আপনারা আমার অপেক্ষা করছেন? আল্লাহর কসম! আমি আজ রাতে তো খাবো না। মেহমানরাও বললেনঃ আল্লাহর কসম! আপনি যে পর্যন্ত না খাবেন ততক্ষন আমরাও খাবো না। তখন তিনি বলিলেন, আমি আজ রাতের মত মন্দ রাত আর দেখিনি। আমাদের প্রতি আক্ষেপ। আপনারা কি আমাদের খাবার কবূল করিলেন না? তখন তিনি (আবদুর রহমানকে ডেকে) বললেনঃ তোমার খাবার নিয়ে এসো। তিনি তা নিয়ে আসলে তিনিই খাবারের উপর নিজ হাত রেখে বলিলেন, বিস্মিল্লাহ; এ প্রথম ঘটনাটা শয়তানের কারনেই ঘটেছে। তারপর তিনি খেলেন এবং তারাও খেলেন।(আঃপ্রঃ- ৫৭০১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯৭)
৭৮/৮৮. অধ্যায়ঃ মেহমানকে মেজবানের ( এ কথা) বলা যে, যতক্ষন পর্যন্ত আপনি না খান ততক্ষণ আমিও খাব না।
এ সম্পর্কে নাবী (সাঃআঃ) থেকে আবু জুহাইফাহর হাদীস রয়েছে।
৬১৪১
আবদূর রহমান ইবনু আবু বাক্র (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ একবার আবু বকর (রাদি.) তাহাঁর একজন কিংবা কয়েকজন মেহমান নিয়ে এলেন এবং সন্ধ্যার সময় নাবী (সাঃআঃ) -এর কাছে গেলেন। তিনি ফিরে আসলে আমার মা তাঁকে বললেনঃ আপনি মেহমানকে, কিংবা বলিলেন, মেহমানদের (ঘরে) রেখে (এতো) রাত কোথায় আটকা পড়েছিলেন? তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি তাদের খাবার দাওনি? তিনি বললেনঃ আমি তাদের সামনে খাবার দিয়েছিলাম কিন্তু তারা, বা সে তা খেতে অস্বীকার করিলেন। তখন আবু বকর (রাদি.) রেগে গাল মন্দ করিলেন ও বদ দুআ করিলেন। আর শপথ করিলেন যে, তিনি খাবার খাবেন না। আমি লুকিয়ে ছিলাম। তিনি আমাকে ডেকে বললেনঃ ওরে মূর্খ! তখন মহিলা (আমার মাও) কসম করিলেন যে, যে পর্যন্ত তিনি না খাবেন ততক্ষণ মাও খাবেন না। এদিকে মেহমানটি বা মেহমানরাও কসম খেয়ে বলিলেন যে, যে পর্যন্ত তিনি না খান, সে পর্যন্ত তারাও খাবেন না। তখন আবু বকর (রাদি.) বললেনঃ এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে শয়তান থেকে। তারপর তিনি খাবার আনতে বলিলেন। আর তিনি খেলেন এবং মেহমানরাও খেলেন। কিন্তু তারা খাওয়া আরম্ভ করে যতবারই লুক্মা উঠাতে লাগলেন, তার নীচে থেকে তার চেয়েও অধিক খাবার বাড়তে লাগলো। তখন তিনি তাহাঁর স্ত্রীকে ডেকে বললেনঃ হে বানী ফেরাসের বোন এ কী? তিনি বললেনঃ আমার চোখের প্রশান্তির কসম! এতো আমাদের পূর্বের খাবার থেকে এখন অনেক অধিক দেখছি। তখন সবাই খেলেন এবং তা থেকে তিনি নাবী (সাঃআঃ) -এর নিকট কিছু পাঠিয়ে দিলেন। তারপর তিনি বর্ননা করেন যে, তা থেকে তিনিও খেয়েছিলেন। (আঃপ্রঃ- ৫৭০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯৮)
৭৮/৮৯. অধ্যায়ঃ বড়কে সন্মান করা। বয়সে যিনি বড় তিনিই কথাবার্তা ও প্রশ্নাদি শুরু করবেন।
৬১৪২
রাফি ইবনু খাদীজ (রাদি.) ও সাহল ইবনু আবু হাস্মাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
যে, একবার আব্দুল্লাহ ইবনু সাহল ও মুহাইসাহ ইবনু মাসঊদ (রাদি.) খাইবারে পৌঁছে উভয়েই খেজুরের বাগানের ভিন্ন ভিন্ন পথে চলে গেলেন। সেখানে আবদুল্লাহ ইবনু সাহল (রাদি.) -কে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর আবদুর রহমান ইবনু সাহল ও ইবনু মাসঊদ এর দুই ছেলে হুওয়াইসাহ (রাদি.) ও মুহাইসাহ (রাদি.) নাবী (সাঃআঃ) -এর কাছে এলেন এবং তাহাঁর কাছে নিহত ব্যক্তির কথা বলিতে লাগলেন। আবদুর রহমান (রাদি.) কথা শুরু করিলেন। তিনি ছোট ছিলেন। নাবী (সাঃআঃ) তাদের বললেনঃ তুমি বড়দের ইজ্জত করিবে। বর্ননাকারী ইয়াহইয়া বলেনঃ কথা বলার দায়িত্ব যেন বড়রা পালন করে। তখন তারা তাদের লোক সম্পর্কে কথা বলিলেন। নাবী (সাঃআঃ) তাদের বললেনঃ তোমাদের পঞ্চাশ জন লোক কসম করে তোমাদের নিহত ভাইয়ের হত্যার হক প্রমান কর। তাঁরা বললেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! ঘটনা তো আমরা দেখিনি। তখন নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ তা হলে ইয়াহূদীরা তাদের থেকে পঞ্চাশ জন কসম করে তোমাদের কসম থেকে মুক্তি দিবে। তখন তারা বললেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! ওরা তো কাফির সম্প্রদায়। তারপর নাবী (সাঃআঃ) নিজের তরফ থেকে তাদের নিহত ব্যক্তির ফিদইয়া দিয়ে দিলেন।
সাহল (রাদি.) বললেনঃ আমি সেই ঊটগুলো থেকে একটি উট পেলাম। সেটি নিয়ে আমি যখন আস্তাবলে গেলাম তখন উটনীটি তার পা দিয়ে আমাকে লাথি মারলো। (আঃপ্রঃ- ৫৭০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯৯)
৬১৪৩
রাফি ইবনু খাদীজ (রাদি.) ও সাহল ইবনু আবু হাস্মাহ (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
যে, একবার আব্দুল্লাহ ইবনু সাহল ও মুহাইসাহ ইবনু মাসঊদ (রাদি.) খাইবারে পৌঁছে উভয়েই খেজুরের বাগানের ভিন্ন ভিন্ন পথে চলে গেলেন। সেখানে আবদুল্লাহ ইবনু সাহল (রাদি.) -কে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পর আবদুর রহমান ইবনু সাহল ও ইবনু মাসঊদ এর দুই ছেলে হুওয়াইসাহ (রাদি.) ও মুহাইসাহ (রাদি.) নাবী (সাঃআঃ) -এর কাছে এলেন এবং তাহাঁর কাছে নিহত ব্যক্তির কথা বলিতে লাগলেন। আবদুর রহমান (রাদি.) কথা শুরু করিলেন। তিনি ছোট ছিলেন। নাবী (সাঃআঃ) তাদের বললেনঃ তুমি বড়দের ইজ্জত করিবে। বর্ননাকারী ইয়াহইয়া বলেনঃ কথা বলার দায়িত্ব যেন বড়রা পালন করে। তখন তারা তাদের লোক সম্পর্কে কথা বলিলেন। নাবী (সাঃআঃ) তাদের বললেনঃ তোমাদের পঞ্চাশ জন লোক কসম করে তোমাদের নিহত ভাইয়ের হত্যার হক প্রমান কর। তাঁরা বললেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! ঘটনা তো আমরা দেখিনি। তখন নাবী (সাঃআঃ) বললেনঃ তা হলে ইয়াহূদীরা তাদের থেকে পঞ্চাশ জন কসম করে তোমাদের কসম থেকে মুক্তি দিবে। তখন তারা বললেনঃ হে আল্লাহর রাসুল! ওরা তো কাফির সম্প্রদায়। তারপর নাবী (সাঃআঃ) নিজের তরফ থেকে তাদের নিহত ব্যক্তির ফিদইয়া দিয়ে দিলেন।
সাহল (রাদি.) বললেনঃ আমি সেই ঊটগুলো থেকে একটি উট পেলাম। সেটি নিয়ে আমি যখন আস্তাবলে গেলাম তখন উটনীটি তার পা দিয়ে আমাকে লাথি মারলো।(আঃপ্রঃ- ৫৭০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫৯৯)
৬১৪৪
ইবনু উমার (রাদি.) হইতে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাঃআঃ) বললেনঃ তোমরা আমাকে এমন একটা বৃক্ষের খবর দাও, যার দৃষ্টান্ত মুসলিমের মত। তা সর্বদা তার প্রতিপালকের নির্দেশে খাদ্য দান করে, আর এর পাতাও ঝড়ে না। তখন আমার মনে হল যে এটি খেজুর গাছ। কিন্তু যেহেতু সে স্থানে আবু বাক্র ও উমার (রাদি.) উপস্থিত থেকেও কথা বলছিলেন না , তাই আমিও কথা বলা পছন্দ করিনি। তখন নাবী (সাঃআঃ) নিজেই বলিলেন এটি খেজুর গাছ। তারপর আমি যখন আমার আব্বার সাথে বেরিয়ে এলাম, তখন আমি বললাম আব্বা! আমার মনেও খেয়াল এসেছিল যে, এটা নিশ্চয়ই খেজুর গাছ। তিনি বললেনঃ তোমাকে তা বলিতে কিসে বাধা দিয়েছিল? যদি তুমি তা বলিতে তাহলে এ কথা আমার কাছে এত এত ধন সম্পদ পাওয়ার চেয়েও অধিক প্রিয় হত। তিনি বললেনঃ আমাকে শুধু এ কথাই বাধা দিয়েছিল যে, আমি দেখলাম, আপনি ও আবু বকর (রাদি.) -কেউই কথা বলছেন না। তাই আমিও কথা বলা পছন্দ করলাম না। [৬১; মুসলিম ৫০/১৫, হাদীস ২৮১১, আহমাদ ৬৪৭৭] আঃপ্রঃ- ৫৭০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬০০)
Leave a Reply