মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় , গোসল, কাফন, দাফন

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় , গোসল, কাফন, দাফন

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় , গোসল, কাফন, দাফন >>আবুদ দাউদ শরীফ এর মুল সুচিপত্র পড়ুন

অধ্যায়ঃ ২১, অনুচ্ছেদঃ ১৪-৪২=২৯টি

অনুচ্ছেদ-১৪ঃ আকস্মিক মৃত্যু
অনুচ্ছেদ-১৫ঃ মহামারীতে মৃত্যুবরণকারীর ফাযীলত
অনুচ্ছেদ-১৬ঃ রোগীর নখ ও লজ্জাস্থানের চুল কাটা
অনুচ্ছেদ-১৭ঃ মৃত্যুর সময় আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ উত্তম
অনুচ্ছেদ-১৮ঃ মৃত্যুর সময় মুমূর্ষ রোগীর পরিধেয় বস্ত্র পরিষ্কার থাকা ভাল
অনুচ্ছেদ-১৯ঃ মৃত্যুপথযাত্রীর সামনে যে ধরনের কথা বলা উচিত
অনুচ্ছেদ-২০ঃ মুমূর্ষু ব্যক্তিকে তালক্বীন দেয়া সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-২১ঃ মৃতের চোখ বন্ধ করা
অনুচ্ছেদ-২২ঃ ইন্না লিল্লাহ পাঠ করা
অনুচ্ছেদ-২৩ঃ মৃতের শরীর ঢেকে রাখা
অনুচ্ছেদ-২৪ঃ মৃত্যুপথযাত্রীর নিকট কুরআন পাঠ
অনুচ্ছেদ-২৫ঃ বিপদের সময় [মাসজিদে] বসা
অনুচ্ছেদ-২৬ঃ মৃতের জন্য শোক প্রকাশ
অনুচ্ছেদ-২৭ঃ বিপদে ধৈর্যধারণ
অনুচ্ছেদ-২৮ঃ মৃতের জন্য কান্নাকাটি করা
অনুচ্ছেদ-২৯ঃ বিলাপ করে কান্নাকাটি করা
অনুচ্ছেদ-৩০ঃ মৃতের পরিবারের জন্য খাদ্য প্রেরণ
অনুচ্ছেদ-৩১ঃ শহীদকে গোসল দিবে কিনা?
অনুচ্ছেদ-৩২ঃ গোসলের সময় মৃত ব্যক্তির লজ্জাস্থান ঢেকে রাখা
অনুচ্ছেদ-৩৩ঃ মৃতকে গোসল দেয়ার পদ্ধতি অনুচ্ছেদ-৩৪ঃ কাফনের বর্ণনা অনুচ্ছেল-৩৫- দামী কাফন ব্যবহার অপছন্দনীয়
অনুচ্ছেদ-৩৬ঃ মহিলাদের কাফন সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-৩৭ঃ মৃতের জন্য মিশ্‌কের সুগন্ধি ব্যবহার
অনুচ্ছেদ-৩৮ঃ দাফন-কাফনে জলদি করা
অনুচ্ছেদ-৩৯ঃ মৃতকে গোসলদাতার গোসল করা সম্পর্কে
অনুচ্ছেদ-৪০ঃ লাশকে চুম্বন করা
অনুচ্ছেদ-৪১ঃ রাতে দাফন করা
অনুচ্ছেদ-৪২ঃ মৃতদেহ এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় নেয়া

অনুচ্ছেদ-১৪ঃ আকস্মিক মৃত্যু

৩১১০ . বনু সুলাইমের উবাইদ ইবনি খালিদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি নাবী [সাঃআঃ] এর অন্যতম সাহাবী ছিলেন। অধস্তন বর্ণনাকারী মুসাদ্দাদ এটি কখনো নাবী [সাঃআঃ] এর মারফূ হাদিসরূপে আবার কখনো উবাইদ ইবনি খালিদের কাছ থেকে মওকুফ হাদিস হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ আকস্মিক মৃত্যু গযবের দ্বারা গ্রেপ্তারস্বরূপ।

সহীহঃ মিশকাত [১৬১১]। মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-১৫ঃ মহামারীতে মৃত্যুবরণকারীর ফাযীলত

৩১১১. জাবির ইবনি আতীক্ব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আবদুল্লাহ ইবনি সাবিতের [রাদি.] মুমূর্ষ অবস্থায় তাহাকে দেখিতে যান। তিনি দেখলেন, সে বেহুঁশ অবস্থায় রয়েছে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তাহাকে সশব্দে ডাকলেন। কিন্তু তিনি তাহাঁর ডাকে সাড়া দিতে পারলেন না। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন” পাঠ করিলেন। তিনি বলিলেনঃ হে আবুর রাবী! আমরা তোমার ব্যাপারে পরাজিত। এতে মহিলারা চিৎকার করলো এবং কাঁদতে লাগলো। ইবনি আতীক্ব [রাদি.] তাহাদেরকে থামাতে চেষ্টা করিলেন। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, তাহাদেরকে ছেড়ে দাও। ওয়াজিব হয়ে গেলে কোন ক্রন্দনকারিণীই কাঁদবে না। সাহাবীরা জিজ্ঞেস করিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ওয়াজিবের তাৎপর্য কি? তিনি বলিলেনঃ মৃত্যু। আবদুল্লাহ ইবনি সাবিতের কন্যা বললো, আল্লাহর শপথ! আমি মনে করেছিলাম, [হে আমার পিতা] তুমি শহীদ হইবে। কারণ তুমি জিহাদের সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছিলে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ মহামহিম আল্লাহ নিশ্চয়ই তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিদানের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। তোমরা কাকে শহীদ বলে গণ্য করো? তারা বলিলেন, আল্লাহর পথে [যুদ্ধে] নিহত ব্যক্তিকে। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ আল্লাহর পথে যুদ্ধকারী শহীদ, পানিতে ডুবে নিহত ব্যক্তি শহীদ, চাপা পড়ে নিহত ব্যক্তি শহীদ এবং প্রসবকালীন কষ্টে নিহত নারী শহীদ। আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আল-জুমউ অর্থ গর্ভবতী মহিলা।

সহীহঃ ইবনি মাজাহ [৩৮০৩]। মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-১৬ঃ রোগীর নখ ও লজ্জাস্থানের চুল কাটা

৩১১২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, বনুল হারিস ইবনি আমির ইবনি নাওফাল খুবাইব [রাদি.]-কে খরিদ করেছিল। ইনি সেই খুবাইব যিনি বদর যুদ্ধের দিন আল-হারিস ইবনি আমিরকে হত্যা করেছেন। খুবাইব [রাদি.] তাহাদের কাছে বন্দী ছিলেন। তারা তাহাকে হত্যা করিতে একত্র হলো। তিনি হারিসের কন্যার কাছে ক্ষৌরি হওয়ার জন্য একটি ছুরি চাইলেন। সে তাহাকে তা এনে দিলো। তার অজান্তেই তার শিশু পুত্রটি খুবাইবের কাছে এসে পড়লো। স্ত্রীলোকটি এসে দেখলো, ছেলেটি তার রানের উপর বসে আছে এবং তার হাতে ঐ ধারাল ছুরিটি রয়েছে। সে খুব ভীত হয়ে পড়লো। তার চেহারা দেখে খুবাইব তা বুঝতে পেরে বলিলেন, তুমি কি আশংকা করছো আমি একে হত্যা করবো, আমি কখনো এরূপ করবো না।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-১৭ঃ মৃত্যুর সময় আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ উত্তম

৩১১৩. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে তাহাঁর মৃত্যুর তিন দিন পূর্বে বলিতে শুনেছিঃ তোমাদের কেউ যেন আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ না করে মৃত্যু বরণ না করে।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-১৮ঃ মৃত্যুর সময় মুমূর্ষ রোগীর পরিধেয় বস্ত্র পরিষ্কার থাকা ভাল

৩১১৪. আবু সাঈদ আল-খুদঈ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তার মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এলে তিনি নতুন কাপড় নিয়ে ডাকলেন এবং তা পরিধান করে বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ কোন ব্যক্তি যে কাপড় পরিধান করে মারা যাবে, ক্বিয়ামাতের দিন তাহাকে ঐ কাপড়েই উঠানো হইবে।

সহীহঃ সহিহাহ [১৬৭১]। মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-১৯ঃ মৃত্যুপথযাত্রীর সামনে যে ধরনের কথা বলা উচিত

৩১১৫. উম্মু সালামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তোমরা কোন মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তির কাছে উপস্থিত হলে উত্তম কথা বলবে। কেননা কথার সাথে ফেরেশতারা আমীন আমীন বলেন। আবু সালমাহ [রাদি.] মারা গেলে আমি বলিলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি কী বলবো? তিনি বলিলেনঃ তুমি বলো, “হে আল্লাহ! আপনি তাহাকে ক্ষমা করুন এবং আমাদেরকে কল্যাণকর পরিণতি দান করুন।” উম্মু সালমাহ [রাদি.] বলেন, এ দুআর বদৌলতে মহান আল্লাহ আমার কল্যাণময় পরিণতি দান করিলেন মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-কে [তার সাথে বিবাহ হয়]।

সহীহঃ ইবনি মাজাহ [১৪৪৭]। মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-২০ঃ মুমূর্ষু ব্যক্তিকে তালক্বীন দেয়া সম্পর্কে

৩১১৬. মুআয ইবনি জাবাল [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ যারা সর্বশেষ বাক্য হইবে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”, সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩১১৭. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলিয়াছেনঃ তোমাদের মৃত্যুপথ যাত্রীকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু” তালক্বীন দাও।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-২১ঃ মৃতের চোখ বন্ধ করা

৩১১৮. উম্মু সালামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাঃআঃ আবু সালামাহর [রাদি.] নিকট প্রবেশ করেন। তখনও তার চোখ খোলা থাকায় তিনি তা বন্ধ করে দেন। অতঃপর তার পরিবারের কিছু লোক চিৎকার করে কাঁদতে লাগলো। তিনি বলিলেনঃ নিজেদের জন্য কল্যাণ কামনা ছাড়া তোমরা অযথা কিছু বলো না। কারণ তোমরা যা বলবে তার সাথে সাথে ফেরেশতারা আমীন বলবেন। পুনরায় তিনি বলিলেনঃ “হে আল্লাহ! তুমি আবু সালামাহকে ক্ষমা করে দাও এবং তাহাকে হেদায়াতপ্রাপ্তদের মধ্যে উচ্চ মর্যাদা দান করো। তার পেছনে যারা রয়ে গেলো, তুমিই তাহাদের অভিভাবক হও। হে জগতসমূহের প্রতিপালক! তার কবরকে প্রশস্ত করো এবং তা আলোকিত করো।”

আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, রূহ বের হয়ে যাওয়ার পর চোখ বন্ধ করে দিবে। আবু মাইসারাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] নামক এক ইবাদতগুজার ব্যক্তি বলেন, আমি ইবাদতপ্রিয় জাফার আল-মুআল্লিমের [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] মৃত্যুকালে তার চোখ বন্ধ করে দিয়েছি। তার মৃত্যুর রাতে আমি তাহাকে স্বপ্নে দেখি এবং তিনি বলিলেন, মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্তে তুমি যে আমার চোখ বন্ধ করে দিয়েছিলে তা ছিল আমার প্রতি তোমার মহাঅনুগ্রহ।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-২২ঃ ইন্না লিল্লাহ পাঠ করা

৩১১৯. উম্মু সালামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলিয়াছেনঃ তোমাদের কারো উপর বিপদ আসলে সে যেন বলেঃ “আমরা আল্লাহর জন্য এবং আমরা নিশ্চয়ই তাহাঁর কাছে ফিরে যাবো। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছেই আমার বিপদের কথা পেশ করছি। সুতরাং আমাকে এর উত্তম প্রতিফল দান করুন এবং বিপদকে আমার জন্য কল্যাণকর বস্তুতে পরিবর্তন করে দিন।”

সহীহঃ ইবনি মাজাহ [১৫৯৮]। মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-২৩ঃ মৃতের শরীর ঢেকে রাখা

৩১২০. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী সাঃআঃ-কে একটি ডোরাদার চাঁদর দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছিল।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-২৪ঃ মৃত্যুপথযাত্রীর নিকট কুরআন পাঠ

৩১২১. মাকিল ইবনি ইয়াসার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলিয়াছেনঃ তোমরা তোমাদের মুমূর্ষু ব্যক্তিদের নিকট সূরাহ ইয়াসীন পাঠ করো।

দুর্বলঃ মিশকাত [১৬২২], ইরওয়া [৬৮৮]। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ-২৫ঃ বিপদের সময় [মাসজিদে] বসা

৩১২২. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, যায়িদ ইবনি হারিসাহ, জাফার ও আবদুল্লাহ ইবনি রাওয়াহা [রাদি.] যখন শহীদ হন রসূলুল্লাহ সাঃআঃ মাসজিদে গিয়ে বসেন। তাহাঁর চেহারায় চিন্তার ছাপ পরিলক্ষিত হলো।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-২৬ঃ মৃতের জন্য শোক প্রকাশ

৩১২৩. আবদুল্লাহ ইবনি আমর ইবনিল আস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহর সাঃআঃ সাথে আমরা একটি লাশ দাফন করলাম। আমরা অবসর হলে রসূলুল্লাহ সাঃআঃ ফিরে আসলেন। আমরাও তাহাঁর সাথে ফিরে এলাম। তিনি ঘরের দরজার নিকট পৌছে থামলেন। আমরা এক মহিলার মুখোমুখি হলাম। বর্ণনাকারী বলেন, আমি ধারণা করলাম, তিনি সাঃআঃ মহিলাটিকে চিনতে পেরেছেন। মহিলাটি চলে যাওয়ার সময় দেখা গেলো, তিনি তো ফাত্বিমাহ [রাদি.]। রসূলুল্লাহ সাঃআঃ তাহাকে বলিলেনঃ হে ফাত্বিমাহ! কোন জিনিস তোমাকে ঘর থেকে বের হইতে বাধ্য করেছে? তিনি বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি এসেছিলাম এ বাড়ির লোকদের সান্ত্বনা দিতে এবং ধৈর্য ধারণের নসিহত করিতে। রসূলুল্লাহ সাঃআঃ তাহাকে বলিলেনঃ খুব সম্ভব তুমি তাহাদের সাথে কবর পর্যন্ত গিয়েছিলে। তিনি বলিলেন, আল্লাহর আশ্রয় চাই। নারীদের কবর স্তানে যাওয়ার বিষয়ে আমি আপনার আলোচনা শুনিয়াছি। তিনি বলিলেনঃ যদি তুমি তাহাদের সাথে কবর স্তানে যেতে তাহলে আমি তোমাকে এই করতাম। তিনি এ বিষয়ে কঠোর বাণী উচ্চারণ করিলেন। আমি [মুফাদ্দাল] রবীআহকে আল-কুদা শব্দের অর্থ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলিলেন, আমার ধারণা, এর অর্থ কবর।

দুর্বলঃ নাসায়ী [১৮৮০]। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ-২৭ঃ বিপদে ধৈর্যধারণ

৩১২৪. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নাবী সাঃআঃ এক মহিলার কাছে যান। মহিলাটি তার ছেলের মৃত্যুশোকে কাঁদছিল। তিনি তাহাকে বলিলেনঃ আল্লাহ্‌কে ভয় করো এবং ধৈর্য ধরো। মহিলাটি বললো, তুমি তো আমার মতো বিপদগ্রস্ত হওনি। তাহাকে বলা হলো, ইনি নাবী সাঃআঃ। পরে মহিলাটি তাহাঁর বাড়িতে এলো, কিন্তু দরজায় কোন দারোয়ান দেখলো না। সে বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তখন আপনাকে চিনতে পারিনি। তিনি বলিলেনঃ প্রকৃত ধৈর্য বিপদের প্রথম দিকেই।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-২৮ঃ মৃতের জন্য কান্নাকাটি করা

৩১২৫. উসামাহ ইবনি যায়িদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহর সাঃআঃ কন্যা [যাইনাব [রাদি.]] তাহাঁর নিকট লোক পাঠালেন। তখন আমি ও সাদ [রাদি.] তাহাঁর সাথে ছিলাম। সম্ভবত উবাই [রাদি.] আমাদের সাথেই ছিলেন। তিনি বলে পাঠান, আমার একটি শিশু পুত্র বা [বর্ণনাকারীর সন্দেহ] কন্যা মুমূর্ষু অবস্থায় আছে। আপনি আমাদের এখানে আসুন। তিনি তাহাকে লোক মারফত সালাম পাঠিয়ে বলিলেনঃ বলো, আল্লাহ যা গ্রহণ করেন এবং যা দান করেন তা সবই তাহাঁর। তাহাঁর কাছে প্রতিটি বস্তুর একটা নির্দিষ্ট সময়কাল আছে। তিনি পুনরায় কসম দিয়ে লোক পাঠালেন। তিনি সেখানে গেলেন। বাচ্চাটি রসূলুল্লাহর সাঃআঃ কোলে রাখা হলো। তখন তার প্রাণ ছটফট করছিল। এ দৃশ্য দেখে রসূলুল্লাহর সাঃআঃ দুচোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে লাগলো। সাদ [রাদি.] তাঁকে বলিলেন, এ কি? তিনি বলিলেনঃ এটাই হলো মায়া। আল্লাহ যাদেরকে চান তাহাদের অন্তরে এটি স্থাপন করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাহাঁর বান্দাদের মধ্যে দয়াবানদের দয়া করেন।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩১২৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলিয়াছেনঃ আজ রাতে আমার ঘরে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করেছে। আমি আমার পূর্বপুরুষ ইবরাহীম [আ]-এর নাম অনুসারে তার নাম রেখেছি ইবরাহীম। আনাস [রাদি.] বলেন, আমি দেখেছি ইবরাহীম রসূলুল্লাহর সাঃআঃ সামনেই প্রাণ ত্যাগ করিলেন। রসূলুল্লাহর সাঃআঃ দুই চোখ বেয়ে পানি ঝরছে। তিনি বলিলেনঃ চোখ অশ্রু ঝরাচ্ছে, অন্তর দুঃখভারাক্রান্ত, তবুও আমরা শুধুমাত্র তাই বলবো যাতে আমাদের প্রতিপালক সস্তুষ্ট হইবেন [অর্থাৎ ইন্না লিল্লাহি ওয়া..]। হে ইবরাহীম! তোমার বিচ্ছেদে আমরা শোকার্ত।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-২৯ঃ বিলাপ করে কান্নাকাটি করা

৩১২৭. উম্মু আতিয়্যাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাঃআঃ আমাদেরকে উচ্চস্বরে বিলাপ করে কাঁদতে নিষেধ করেছেন।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩১২৮, আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাঃআঃ বিলাপকারিণী ও তা শ্রবণকারিণীকে অভিশম্পাত করেছেন।

সনদ দুর্বলঃ ইরওয়া [৭৬৯]। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩১২৯. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলিয়াছেনঃ মৃত ব্যক্তিকে তার পরিবারের লোকজনের কান্নাকাটির কারণে শাস্তি দেয়া হয়। এ কথা আয়িশাহ [রাদি.] এর নিকট উল্লেখ করা হলে তিনি বলিলেন, এ ধরনের কথা ইবনি উমার কোত্থেকে শুনেছে। একদা নাবী সাঃআঃ একটি কবর এর  পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে বলিলেনঃ কবর বাসীর পরিবারের লোকজনের কান্নাকাটির কারণে এ কবর এর   বাসিন্দাকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। অতঃপর আয়িশাহ এ আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ “একের বোঝা অন্যের উপর চাপানো হইবে না” [সূরাহ আল-আনআমঃ ১৬৪, বনী ইসরাঈলঃ ১৫, ফাত্বিরঃ ১৮, যুমারঃ ৩৯ এবং নাজমঃ ৩৮]। হান্নাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আবু মুআবিয়াহর সূত্রে বলেন, তিনি সাঃআঃ এক ইয়াহুদীর কবর এর  পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩১৩০. যায়িদ ইবনি আওস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি অসুস্থ আবু মূসা [রাদি.]-কে দেখিতে যাই, তার স্ত্রী কাঁদতে লাগলেন। আবু মূসা [রাদি.] তাহাকে বলিলেন, তুমি কি রসূলুল্লাহর সাঃআঃ নির্দেশ শুনোনি? তিনি বলিলেন, হাঁ শুনিয়াছি। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি কান্না থামিয়ে চুপ হলেন। বর্ণনাকারী বলেন, আবু মূসা [রাদি.] যখন মারা যান, তখন ইয়াযীদ বলেন, আমি মহিলার সাথে সাক্ষাত করে তাহাকে বলিলাম, আবু মূসা আপনাকে কী বলেছিলেন? [তিনি বলেছিলেন, তুমি কি রসূলুল্লাহর সাঃআঃ নির্দেশ শুনোনি- অতঃপর আপনি তখন চুপ হয়েছিলেন। মহিলাটি বলিলেন, রসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলিয়াছেনঃ [মৃত্যুশোক প্রকাশে] যে মহিলা মাথা মুড়িয়ে বিলাপ করে কাঁদে এবং কাপড় ছিঁড়ে ফেলে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।

সহিহ ঃ ইরওয়া [৭৭১]। মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩১৩১. আসীদ ইবনি আসীদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বাইআত গ্রহণকারী জনৈক মহিলার সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেন, রসূলুল্লাহ সাঃআঃ আমাদের কাছ থেকে যেসব সৎকাজের বাইআত গ্রহণ করেছিলেন তাতে এটাও ছিলঃ আমরা তাহাঁর অবাধ্য হবো না, মুখমণ্ডল ক্ষতবিক্ষত করবো না, বুক চাপড়াবো না, ধ্বংসের আহবান করবো না, কাপড়-চোপড় ফাঁড়বো না এবং চুল এলোমেলো করবো না।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৩০ঃ মৃতের পরিবারের জন্য খাদ্য প্রেরণ

৩১৩২. আবদুল্লাহ ইবনি জাফর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাঃআঃ বলিলেনঃ তোমরা জাফরের পরিবারের জন্য খাবার তৈরি করো। কারণ তাহাদের কাছে এমন দুঃসংবাদ এসেছে যা তাহাদেরকে ব্যস্ত রাখবে।

হাসানঃ ইবনি মাজাহ [১৬১০-১৬১১], মিশকাত [১৭৩৯]। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

অনুচ্ছেদ-৩১ঃ শহীদকে গোসল দিবে কিনা?

৩১৩৩. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তির বুকে বা কণ্ঠনালীতে একটি তীর বিদ্ধ হলে তাতেই সে নিহত হলো। অতঃপর তার পরিহিত কাপড়েই তাহাকে [দাফনে] জড়ানো হলো। আমরা তখন রসূলুল্লাহ সাঃআঃ এর সাথেই ছিলাম।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৩১৩৪.m ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাঃআঃ উহুদের শহীদদের ব্যাপারে নির্দেশ দিলেন যে, তাহাদের শরীর থেকে যুদ্ধাস্ত্র ও চামড়ার বস্ত্র খুলে নিয়ে তাহাদের রক্তমাখা পরিধেয় বস্ত্রসহ তাহাদেরকে দাফন করিতে হইবে।

দুর্বলঃ ইবনি মাজাহ [১৫১৫], মিশকাত [১৬৪৩], ইরওয়া [৭০৯]। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩১৩৫. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

উহুদ যুদ্ধের শহীদদেরকে গোসল দেয়া হয়নি। তাহাদেরকে রক্তরঞ্জিত দেহেই দাফন করা হয় এবং তাহাদের উপর জানাযা পড়া হয়নি।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৩১৩৬. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ সাঃআঃ হামযাহ [রাদি.]-এর [লাশের] পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে দেখলেন, তার লাশ বিকৃত করা হয়েছে। তিনি বলিলেনঃ সাফিয়্যাহ্‌ [হামযাহ্‌র বোন] যদি কষ্ট না পেতো তাহলে আমি তার লাশ পড়ে থাকতে দিতাম এবং পশুপাখিরা তা খেয়ে নিতো এবং ক্বিয়ামাতের দিন তাহাকে এদের পেট থেকেই উত্থিত করা হতো। এ সময় কাফনের কাপড় কম ছিলো, কিন্তু মৃতদেহ ছিল অনেক। ফলে এক, দুই, এমনকি তিন ব্যক্তিকে একই কাপড়ে জড়িয়ে কাফন দেয়া হয়। কুতাইবাহ্‌র বর্ণনায় রয়েছেঃ অতঃপর তাহাদেরকে একই কবর দাফন করা হয়। এ সময় রসূলুল্লাহ সাঃআঃ জিজ্ঞেস করিতেনঃ এদের মধ্যে কোন ব্যক্তি কুরআন সম্পর্কে অধিক পারদর্শী ছিল। তিনি তাহাকে ক্বিবলাহ্‌র দিকে [ডানে] রাখতেন।

হাসানঃ তিরমিজি [১০২৭]। হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৩১৩৭. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী সাঃআঃ হামযাহ [রাদি.] এর লাশের পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে দেখলেন, তার মৃতদেহ বিকৃত করা হয়েছে। তিনি হামযাহ [রাদি.] ছাড়া অন্য কোন শহীদের জানাযা পড়েননি।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

৩১৩৮. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ সাঃআঃ উহুদ যুদ্ধের শহীদদের দুইজনকে একই ক্ববরে দাফনের নির্দেশ দেন এবং জিজ্ঞেস করিতে থাকেনঃ এদের মধ্যে কোন ব্যক্তি কুরআন সম্পর্কে অধিক পারদর্শী ছিল। অতঃপর তাহাদের কারো প্রতি ইঙ্গিত করা হলে তাহাকেই তিনি প্রথমে ক্ববরে রাখতেন। তিনি বলিলেনঃ আমি ক্বিয়ামাতের দিন তাহাদের জন্য সাক্ষী হবো। তিনি সাঃআঃ তাহাদেরকে রক্তমাখা দেহে দাফনের নির্দেশ দেন এবং তাহাদের গোসল দিলেন না।

সহীহঃ ইবনি মাজাহ [১৫১৪]। মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩১৩৯. লাইস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

লাইস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে অনুরূপ অর্থবোধক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, তিনি সাঃআঃ উহুদ যুদ্ধের শহীদদের দুই দুই ব্যক্তিকে একই কাপড়ে একত্রে কাফন দেন।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৩২ঃ গোসলের সময় মৃত ব্যক্তির লজ্জাস্থান ঢেকে রাখা

৩১৪০. আলী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নাবী সাঃআঃ বলিয়াছেনঃ তোমার রান অনাবৃত করিবে না এবং জীবিত ও মৃত কারো রানের প্রতি দৃষ্টিপাত করিবে না।

খুবই দুর্বলঃ ইবনি মাজাহ [১৪৬০], ইরওয়া [২৬৯]। হাদিসের তাহকিকঃ খুবই দুর্বল

৩১৪১. আব্বাস ইবনি আবদুল্লাহ ইবনিয যুবাইর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ [রাদি.]-কে বলিতে শুনিয়াছি, যখন সাহাবীগণ নাবী সাঃআঃ-কে গোসল দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, তারা বলিলেন, আল্লাহর শপথ! আমরা বুঝে উঠতে পারছি না, আমরা কি রসূলুল্লাহ সাঃআঃ এর বস্ত্র খুলে নিবো যেভাবে সাধারণ লোকের মৃতদেহ থেকে বস্ত্র খুলে নেই, নাকি তাহাঁর পরিধেয় বস্ত্রসহ তাহাকে গোসল দিবো? তারা এ নিয়ে মতভেদে লিপ্ত হলে মহান আল্লাহ তাহাদের উপর ঘুম চাপিয়ে দিলেন। ঘুমের ঘোরে তাহাদের প্রত্যেকের থুতনী নিজ নিজ বুকের সাথে ঠেকে গেলো। এমতাবস্থায় ঘরের এককোণ থেকে অদৃশ্য আওয়াজ আসলো। ঐ আওয়াজ কে দিলো তা জানা গেলো না। “রসূলুল্লাহ সাঃআঃ-কে কাপড়ে আবৃত অবস্থায়ই গোসল দাও।” একথা শুনে তারা জেগে উঠলেন এবং নাবী সাঃআঃ-কে তাহাঁর জামা পরিহিত অবস্থায় গোসল দিলেন। তারা জামার উপর পানি ঢাললেন এবং হাতের পরিবর্তে জামা দিয়ে তাহাঁর শরীর রগরালেন। আয়িশাহ [রাদি.] বলেন, আমি যদি আগে বুঝতে পারতাম যা পরে বুঝতে পেরেছি তাহলে তাহাঁর স্ত্রীরাই তার গোসল দিতেন।

হাদিসের তাহকিকঃ হাসান হাদিস

অনুচ্ছেদ-৩৩ঃ মৃতকে গোসল দেয়ার পদ্ধতি

৩১৪২. উম্মু আতিয়্যাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহর সাঃআঃ কন্যা [যাইনাব [রাদি.]] মারা গেলে তিনি আমাদের কাছে এসে বলিলেনঃ তোমরা তাহাকে কুল পাতা মেশানো সিদ্ধ পানি দিয়ে তিন, পাঁচ অথবা প্রয়োজনবোধ এর চেয়ে অধিকবার গোসল করাও এবং শেষবারে কাফুর মিশিয়ে নাও। গোসল দেয়া শেষ হলে তোমরা আমাকে খবর দিবে। অতঃপর আমরা গোসল দেয়া শেষ করে তাঁকে খবর দিলাম। তিনি তাহাঁর ব্যবহৃত একখানা কাপড় দিয়ে আমাদেরকে বলিলেনঃ এটা তার গায়ে পরিয়ে দাও।

সহীহঃ ইবনি মাজাহ [১৪৫৮]। মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩১৪৩. উম্মু আতিয়্যাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা তার [যয়নাব [রাদি.]] চুলগুলো তিন গোছায় ভাগ করেছিলাম।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩১৪৪. উম্মু আতিয়্যাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা তাহাঁর [যাইনাবের] মাথার চুল তিন গোছায় ভাগ করলাম। এরপর কপালের [একভাগ] চুল এবং মাথার দুপাশের [দুইভাগ] চুল তার পিছনের দিকে ফেলে দিলাম।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩১৪৫. উম্মু আতিয়্যাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ সাঃআঃ তাহাঁর কন্যার [যাইনাবের] গোসল সম্পর্কে তাহাদেরকে বলিলেনঃ তোমরা তার ডান দিক থেকে এবং উযুর অঙ্গসমূহ থেকে গোসল দেয়া আরম্ভ করিবে।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩১৪৬. উম্মু আতিয়্যাহ্ [রাদি.] হইতে হাফসাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

অনুরূপ হাদিস বর্ণনা করেছেন। তাতে এও রয়েছেঃ {তিনি সাঃআঃ বলিলেন} অথবা সাতবার বা প্রয়োজনে এর চেয়ে অধিকবার গোসল দিবে।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩১৪৭. মুহাম্মদ ইবনি সীরীন [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি উম্মু আতিয়্যার [রাদি.] নিকট গোসল দেয়ার পদ্ধতি শিখেছেন। মুহাম্মাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, কুলপাতা মিশানো গরম পানি দিয়ে দুইবার এবং কর্পুর মিশ্রিত পানি দিয়ে একবার গোসল দিতে হয়।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৩৪ঃ কাফনের বর্ণনা

৩১৪৮. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে নাবী [সাঃআঃ] এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

নাবী [সাঃআঃ] একদিন খুত্ববাহ দেয়ার সময় তাতে তাহাঁর এক সাহাবীর কথা উল্লেখ করিলেন। ঐ সাহাবী মারা গেলে লোকেরা তাহাকে রাতের বেলায় অপর্যাপ্ত কাপড়ে কাফন দিয়েছিল। অতঃপর নাবী [সাঃআঃ] মৃত ব্যক্তিকে রাতের বেলায় কবর করাকে তিরস্কার করিলেন, যেন লোকজন জানাযা শরীক হইতে পারে। তবে কেউ বিশেষ কারণে রাতে কবর দিতে চাইলে তা ভিন্ন কথা। নাবী [সাঃআঃ] আরো বলিলেনঃ তোমাদের কেউ তার ভাইকে কাফন পরালে যেন উত্তমরূপে কাফন পরায়।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩১৪৯. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে [তাহাঁর ইন্তেকালের পর] একটি ডোরাদার ইয়ামানী চাঁদর দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। অতঃপর তা পাল্টিয়ে সাদা চাঁদরে ঢেকে দেয়া হয়।

সহীহঃ ইবনি মাজাহ [১৪৬৯]। মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩১৫০. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ তোমাদের কেউ মারা গেলে এবং তার পরিজন সচ্ছল হলে তারা যেন ডোরাদার ইয়ামানী চাদরে কাফন দেন।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩১৫১. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে [তাহাঁর ইন্তেকালের পর] ইয়ামানের তৈরী তিনটি সাদা কাপড়ে কাফন দেয়া হয়েছিল। কাফনে কোন কামীস ও পাগড়ী ছিলো না।

সহীহঃ ইবনি মাজাহ [১৪৬৯]। মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩১৫২. হিশাম ইবনি উরওয়াহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে তার পিতার সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

তিনি [পিতা] আয়িশাহর [রাদি.] কাছ থেকে উপরের হাদিসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। কিন্তু তাতে সুতীর কাপড় উল্লেখ আছে। কেউ আয়িশাহর [রাদি.] নিকট লোকজনের বক্তব্য তাহাঁর কাফনে দুটি সাদা কাপড় ও একটি কারুকার্য খচিত ইয়ামানী চাদর ছিল উল্লেখ করলে তিনি বলেন, [কাফনের জন্য] ইয়ামানী চাদরটি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সাহাবীগণ তা ফিরিয়ে দেন। তারা তাঁকে ঐ চাঁদরে কাফন দেননি।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩১৫৩. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে তিনটি কাপড়ে কাফন দেয়া হয়। এগুলো ছিল নাজরানের তৈরী। যার একটি ছিল চাদর, একটি লুঙ্গি এবং অপরটি ছিল মৃত্যশয্যায় তাহাঁর পরিহিত পোশাক। উসমান ইবনি আবু শাইবাহ্র বর্ণনায় রয়েছেঃ তাহাকে তিনটি কাপড়ে কাফন দেয়া হয়েছিল- যার দুটি চাদর লাল বর্ণের এবং যে জামা পরিহিত অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেল-৩৫- দামী কাফন ব্যবহার অপছন্দনীয়

৩১৫৪. আলী ইবনি আবু ত্বালিব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, তোমরা বেশি দামী কাফন ব্যবহার করিবে না। কেননা আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছিঃ তোমরা কাফনের জন্য বেশি দামী কাপড় ব্যবহার করো না। কেননা তা শিঘ্রই নষ্ট হয়ে যাবে।

দুর্বলঃ মিশকাত [১৬৩৯] হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩১৫৫. আবু ওয়াইল [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে খাব্বাব [রাদি.] এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, মুসআব ইবনি উমাইর [রাদি.] উহুদ যুদ্ধে শহীদ হন।তার কাফনের জন্য একটি কম্বল ছাড়া কিছুই ছিলো না। আমরা তা দিয়ে তার মাথা ঢাকলে তার দুপা উম্মুক্ত হয়ে যেতো আবার তার দুপা ঢাকলে তার মাথা উম্মুক্ত হয়ে যেতো। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেনঃ এ কম্বল দিয়ে তার মাথা ঢেকে দাও এবং তার দূপায়ের উপর ইযখির ঘাস বিছিয়ে দাও।

সহীহঃ তিরমিজি [৪১২৫]। মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩১৫৬. উবাদাহ ইবনিস সামিত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ উত্তম কাফন হচ্ছে হুল্লা এবং কুরবানীর জন্য উত্তম পশু হচ্ছে শিংওয়ালা দুম্বা।

দুর্বলঃ ইবনি মাজাহ [১৪৭৩], মিশকাত [১৬৪১], যয়ীফ সুনান আত-তিরমিজি [২৬৩/১৫৭০]। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ-৩৬ঃ মহিলাদের কাফন সম্পর্কে

৩১৫৭. গাক্বীফ গোত্রের কানিফের কন্যা লায়লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্‌র [সাঃআঃ] কন্যা উম্মু কুলসুম [রাদি.] মারা গেলে যে মহিলা তাহাকে গোসল দেয় তার সাথে আমিও ছিলাম। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] আমাদেরকে [কাফনের জন্য] প্রথমে তহবন্দ, তারপর কামীস, তারপর ওড়না, তারপর চাদর, এবং অন্য একটি কাপড় দিলেন। যা দিয়ে লাশ পেচিয়ে দেয়া হলো। লায়লাহ [রাদি.] বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কাফনের কাপড়সহ দরজার পাশেই বসা ছিলেন। তিনি সেখান থেকে একটি একটি করে কাপড়গুলো আমাদেরকে প্রদান করেন।

হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ-৩৭ঃ মৃতের জন্য মিশ্‌কের সুগন্ধি ব্যবহার

৩১৫৮. আবু সাঈদ আল-খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিয়াছেনঃ তোমাদের সুগন্ধির মধ্যে সর্বোত্তম হলো কস্তুরী।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৩৮ঃ দাফন-কাফনে জলদি করা

৩১৫৯. আল-হুসাইন ইবনি ওয়াহওয়াজ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

ত্বালহা ইবনিল বারাআ [রাদি.] অসুস্থ হলে নাবী [সাঃআঃ] তাহাকে দেখিতে এসে বলিলেনঃ আমি দেখিতে পাচ্ছি ত্বালহার মৃত্যু আসন্ন। কাজেই তোমরা আমাকে তার খবর জানাবে এবং তার দাফন-কাফনের ব্যবস্থা দ্রুত করিবে। কেননা কোন মুসলিমের লাশ তার পরিবারের মধ্যে আটকে রাখা ঠিক নয়।

দুর্বলঃ যঈফাহ [৩২৩২], যয়ীফ আল-জামিউস সাগীর [২০৯৯], মিশকাত [১৬২৫]। হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ-৩৯ঃ মৃতকে গোসলদাতার গোসল করা সম্পর্কে

৩১৬০. আবদুল্লাহ ইবনিয যুবাইর [রাদি.] হইতে আয়িশাহ [রাদি.] সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

তিনি যুবাইর [রাদি.] কে হাদিস শুনিয়েছেন যে, নাবী [সাঃআঃ] চার অবস্থায় গোসল করিতেনঃ সহবাসের পর, জুমুআর দিনে গোসল, শিংগা লাগানোর পর এবং মৃতকে গোসল দেয়ার পর গোসল।

হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

৩১৬১. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ যে ব্যক্তি মৃতকে গোসল দেয় সে যেন গোসল করে এবং যে ব্যক্তি লাশ বহন করে সে যেন উযু করে।

সহীহঃ ইবনি মাজাহ [১৪৬৩]। মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

৩১৬২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে নাবী [সাঃআঃ] এর সূত্র হইতে বর্ণীতঃ

উপরের অনুরূপ হাদিস বর্ণিত। আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, মৃতকে গোসল দেয়ার পর গোসল করা সম্পর্কিত হাদিস রহিত হয়েছে। আমি আহমাদ ইবনি হাম্বলের নিকট শুনিয়াছি, তাহাকে মৃতের গোসল দেয়ার পর গোসল করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তার জন্য উযু করাই যথেষ্ট। আবু দাউদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, আবু সালিহ এ হাদিসের সানাদে তার ও আবু হুরায়রা্র মাঝে ইসহাক্বের নাম ঢুকিয়েছেন। তিনি বলেন, মুসআবের হাদিসটি দুর্বল। তাতে এমন কিছু আছে, যার উপর আমল করা হয় না।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৪০ঃ লাশকে চুম্বন করা

৩১৬৩. আয়িশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে উসমান ইবনি মাযউনের লাশে চুমু খেতে দেখেছি। আমি তাহাঁর চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরতে দেখেছি।

সহীহঃ ইবনি মাজাহ [১৪৫৬]। মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস

অনুচ্ছেদ-৪১ঃ রাতে দাফন করা

৩১৬৪. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, একদা রাতের বেলায় কবর স্থানে আলো দেখিতে পেয়ে লোকেরা সেখানে এসে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে কবর এর  মধ্যে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখলো। তিনি বলিলেনঃ তোমাদের সাথীকে আমার কাছে দাও। এ লোকটি উচ্চস্বরে যিকির করতো।

হাদিসের তাহকিকঃ দুর্বল হাদিস

অনুচ্ছেদ-৪২ঃ মৃতদেহ এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় নেয়া

৩১৬৫. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা উহুদের শহীদদের দাফনের জন্য অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছিলাম। এমন সময় নাবী [সাঃআঃ] এর ঘোষক এসে ঘোষণা করিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন, শহীদদের লাশ যেন তাহাদের নিহত হওয়ার স্থানে দাফন করা হয়। সুতরাং আমরা তাহাদের লাশ [পূর্বের স্থানে] ফিরিয়ে আনি।

মৃত ব্যক্তির জন্য করণীয় ও বর্জনীয় – হাদিসের তাহকিকঃ সহিহ হাদিস


Posted

in

by

Tags:

Comments

Leave a Reply