ইহরাম অবস্থায় মুহরিম ব্যাক্তি র সুগন্ধি ব্যবহার ও শিকার করা

ইহরাম অবস্থায় মুহরিম ব্যাক্তি র সুগন্ধি ব্যবহার ও শিকার করা

ইহরাম অবস্থায় মুহরিম ব্যাক্তি র সুগন্ধি ব্যবহার >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

৭. অধ্যায়ঃ ইহরাম অবস্থায় মুহরিম ব্যাক্তির সুগন্ধি ব্যবহার
৮. অধ্যায়ঃ মুহরিমের জন্য শিকার করা হারাম
৯. অধ্যায়ঃ হারাম এবং হারামের বাইরে ইহরাম কিংবা ইহরামমুক্ত অবস্থায় কোন্ কোন্ জন্তু হত্যা করা জায়িয

৭. অধ্যায়ঃ ইহরাম অবস্থায় মুহরিম ব্যাক্তি র সুগন্ধি ব্যবহার

২৭১৪. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর ইহরাম বাঁধার সময় এবং [হজ্জ সমাপনান্তে] ইহরামমুক্ত হবার পর বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফের পূর্বেও আমি তাঁকে সুগন্ধি মেখে দিয়েছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৯১, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৯০]

২৭১৫. নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর স্ত্রী আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি নিজ হাতে রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর ইহরাম বাঁধার প্রাক্কালে এবং ইহরামমুক্ত হবার পর কিন্তু বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফের পূর্বে তাঁকে সুগন্ধি মেখে দিয়েছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৯২, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৯১]

২৭১৬. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ইহরাম বাঁধার জন্য ইহরামের পোশাক পরিধান করার পূর্বে এবং ইহরামমুক্ত হবার পর বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফের পূর্বে আমি তাঁকে সুগন্ধি মেখে দিতাম।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৯৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৯২]

২৭১৭. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর ইহরাম বাঁধার সময় এবং ইহরাম মুক্ত হবার পর আমি তাঁকে সুগন্ধি মেখে দিয়েছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৯৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৯৩]

২৭১৮. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি বিদায় হজ্জের সময় নিজ হাতে রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -কে যারীরাহ্ [ভারতীয় সুগন্ধি] মেখে দিয়েছি-ইহরাম মুক্ত হবার সময় এবং ইহরাম বাঁধার সময়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৯৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৯৪]

২৭১৯. উসমান ইবনি উরওয়াহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে তার পিতার সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আয়িশা [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর ইহরাম বাঁধার সময় তাঁকে কী জিনিস দিয়ে সুগন্ধিযুক্ত করেছিলেন? তিনি বলিলেন, সর্বোৎকৃষ্ট সুগন্ধি দ্রব্যের [কস্তুরীর] সাহায্যে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৯৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৯৫]

২৭২০. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, যতদূর সম্ভব সর্বোৎকৃষ্ট সুগন্ধির সাহায্যে আমি রসূলুল্লাহ্ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -কে ইহরাম বাঁধার পূর্বে সুগন্ধিযুক্ত করতাম, অতঃপর তিনি ইহরাম বাঁধতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৯৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৯৬]

২৭২১. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, যতদূর সম্ভব সর্বোৎকৃষ্ট সুগন্ধি দ্রব্যের সাহায্যে আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -কে ইহরাম বাঁধার প্রাক্কালে এবং ইহরামমুক্ত হবার পর কিন্তু ত্বওয়াফে ইফাযাহ্ {১৬} করার পূর্বে সুগন্ধিযুক্ত করেছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৯৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৯৭]

{১৬} ১০ যিলহজ্জ মিনা থেকে ফিরে এসে যে ত্বওয়াফ করা হয় এটাকে ত্বওয়াফে যিয়ারাহ্ বা ত্বওয়াফে ইফাযাহ্ বলা হয়।

২৭২২. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি যেন রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর মাথার সিঁথিতে কস্তুরীর ঔজ্জ্বল্য দেখিতে পাচ্ছি, অথচ তিনি তখন ইহরাম অবস্থায় ছিলেন।

রাবী খালাফের বর্ণনায়, তিনি তখন ইহরামাবস্থায় ছিলেন কথার উল্লেখ নেই। তবে তাহাঁর বর্ণনায় আছে, “এটা তাহাঁর ইহরামের সময়কার সুগন্ধি।”

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৬৯৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৯৮]

২৭২৩. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি যেন রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর মাথার সিঁথিতে কস্তূরীর ঔজ্জ্বল্য দেখিতে পাচ্ছি, তিনি তখন তালবিয়াহ পাঠ করছিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭০০, ইসলামিক সেন্টার- ২৬৯৯]

২৭২৪. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি যেন রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর মাথার সিঁথিতে সুগন্ধির ঔজ্জ্বল্য দেখিতে পাচ্ছি, তিনি তখন তালবিয়াহ পাঠ করছিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭০১, ইসলামিক সেন্টার- ২৭০০]

২৭২৫. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি যেন দেখিতে পাচ্ছি……ওয়াকী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হাদীসের অনুরূপ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭০২, ইসলামিক সেন্টার- ২৭০১]

২৭২৬. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি যেন রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর মাথার সিঁথিতে তাহাঁর ইহরামের অবস্থায় সুগন্ধির ঔজ্জ্বল্য দেখিতে পাচ্ছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭০৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৭০২]

২৭২৭. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি যেন রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর সিঁথিতে তাহাঁর ইহরামের অবস্থায় সুগন্ধির ঔজ্জ্বল্য দেখেছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭০৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৭০৩]

২৭২৮. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] যখন ইহরাম বাঁধার সংকল্প করিতেন তখন তিনি যথাসাধ্য সর্বোত্তম সগন্ধি ব্যবহার করিতেন। অতঃপর আমি তাহাঁর মাথায় ও দাড়িতে তৈলের চাকচিক্য দেখেছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭০৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৭০৪]

২৭২৯. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি যেন রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর সিঁথিতে তাহাঁর ইহরামের অবস্থায় কস্তুরীর চাকচিক্য দেখিতে পাচ্ছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭০৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৭০৫]

২৭৩০. হাসান ইবনি উবায়দুল্লাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে এ সানাদে হইতে বর্ণীতঃ

পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭০৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৭০৬ ]

২৭৩১. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -কে তাহাঁর ইহরাম বাধাঁর পূর্বে এবং কুরবানীর দিন বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফের পূর্বে কস্তুরী মিশ্রিত সুগন্ধি মেখে দিতাম।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭০৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৭০৭ ]

২৭৩২. ইবরাহীম ইবনি মুহাম্মাদ ইবনি মুনতাশির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে তার পিতার সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ

তিনি [মুহাম্মাদ] বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.]-কে এমন এক ব্যাক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম- যে সুগন্ধি মেখেছে, অতঃপর মুহরিম অবস্থায় ভোরে উপনীত হয়েছে। তিনি বলিলেন, আমি ভোর বেলা এমন অবস্থায় ইহরাম বাঁধা পছন্দ করি না যে, আমি সুগন্ধি ঝেড়ে ফেলতে ব্যস্ত থাকব। এ কাজ [সুগন্ধি লাগানো] অপেক্ষা আমি আমার দেহে আলকাতরা মাখা অধিক পছন্দনীয় মনে করি। অতঃপর আমি [মুহাম্মাদ] আয়েশাহ [রাদি.]-এর নিকট উপস্থিত হলাম এবং তাঁকে অবহিত করলাম যে, ইবনি উমর [রাদি.] বলেন, “আমি ভোরবেলা এমন অবস্থায় ইহরাম বাঁধা পছন্দ করি না যে, আমি সুগন্ধি ঝেড়ে ফেলতে ব্যস্ত থাকব। এ কাজ [সুগন্ধি লাগানো] অপেক্ষা আমি আমার দেহে আলকাতরা লাগানো অধিক শ্রেয় মনে করি।” তখন আয়েশাহ [রাদি.] বলিলেন , আমি নিজে রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -কে তাহাঁর ইহরাম বাঁধার সময় সুগন্ধি মেখে দিয়েছি। এরপর তিনি তাহাঁর স্ত্রীদের নিকট চক্কর দিলেন, এরপর ভোরবেলা ইহরাম বাঁধলেন। {১৭}

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭০৯ ইসলামিক সেন্টার- ২৭০৮]

{১৭} এ বর্ণনাসমূহ থেকে স্পষ্টভাবে জানা গেল যে, ইহরামের পূর্বে লাগানো সুগন্ধির ঘ্রাণ যদি ইহরাম বঁধার পরও থেকে যায় তবে ক্ষতি নেই, তবে ইহরাম বাধার পর যেন সুগন্ধি না লাগানো হয়।

২৭৩৩. আয়েশাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর দেহে সুগন্ধি মেখে দিতাম। অতঃপর তিনি তাহাঁর স্ত্রীদের নিকট চক্কর দিতেন, অতঃপর ভোরবেলা সুগন্ধি ঝাড়তে ঝাড়তে ইহরাম বাঁধতেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭১০, ইসলামিক সেন্টার- ২৭০৯]

২৭৩৪. ইবরাহীম ইবনি মুহাম্মাদ ইবনি মুনতাশির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর পিতা হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি ইবনি উমর [রাদি.]-কে বলিতে শুনেছিঃ ভোরবেলা সুগন্ধির চিহ্ন দূরীভূত করা অবস্থায় ইহরাম বাঁধার তুলনায় ভোরবেলা আলকাতরা মাখা অবস্থায় ইহরাম বাঁধা আমার নিকট অধিক পছন্দনীয়। রাবী বলেন, এরপর আমি আয়েশাহ [রাদি.]-এর কাছে গিয়ে তাঁকে ইবনি উমারের উক্তি সম্পর্কে অবহিত করলাম। তখন তিনি বলিলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর দেহে খুশবু লাগিয়েছি। এরপর তিনি তাহাঁর স্ত্রীদের কাছে গেলেন। অতঃপর তিনি ইহরাম অবস্থায় ভোর করিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭১১, ইসলামিক সেন্টার- ২৭১০]

৮. অধ্যায়ঃ মুহরিমের জন্য শিকার করা হারাম

২৭৩৫. সাব ইবনি জাসসামাহ্ আল লায়সী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-কে বন্য গাধা [গোশত] হাদিয়্যাহ্ স্বরূপ দিলেন। আর তিনি তখন আবওয়া অথবা ওয়াদ্দান নামক স্থানে অবস্থান করছিলেন। তিনি তার কাছে তা ফেরত পাঠালেন।

সাব [রাদি.] বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আমার চেহারা মলিন দেখে বলিলেন, আমি তোমাকে তা ফেরত দিতাম না, শুধু ইহরামের কারণেই তা ফেরত দিয়েছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭১২, ইসলামিক সেন্টার- ২৭১১]

২৭৩৬. যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে উপরোক্ত সানাদ হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি [সাব] তাঁকে বন্য গাধার গোশত হাদিয়্যাহ্ দিয়েছিলাম। ঈমাম মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] যেরূপ বর্ণনা করিয়াছেন। লায়স ও সালিহ এর বর্ণনায় রয়েছে- সাব ইবনি জাসসামাহ্ [রাদি.] তাকে অবহিত করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭১৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৭১২]

২৭৩৭. যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে উক্তঃ সানাদ হইতে বর্ণীতঃ

তিনি [সাব] বলেন, আমি তাঁকে বন্য গাধার গোশত হাদিয়্যাহ্ দিয়েছিলাম।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭১৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৭১৩]

২৭৩৮. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, সাব ইবনি জাসসামাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীত। তিনি বলেন, সাব ইবনি জাসসামাহ [রাদি.] রাসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]–এর জন্য বন্য গাধার গোশত উপঢৌকন পাঠিয়েছিলেন। আর তিনি তখন ইহরাম অবস্থায় ছিলেন। রাবী বলেন, তাই তিনি এ উপঢৌকন তাকে ফেরত দিলেন এবং বলিলেন, আমরা যদি ইহরাম অবস্থায় না থাকতাম তবে তোমার এ উপঢৌকন অবশ্যই গ্রহণ করতাম।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭১৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৭১৪ ]

২৭৩৯. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

সাব ইবনি জাসসামাহ [রাদি.] নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-কে বন্য গাধার পায়ের গোশত হাদিয়্যাহ্ দেন। তখন তা থেকে রক্ত ঝরছিল।

আর হাকাম–এর সূত্রে শুবাহ কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে বন্য গাধার পেছনের অংশের কথা উল্লেখ আছে।

আর হাবীব–এর সূত্রে শুবাহ কর্তৃক অপর বর্ণনায় আছে, তিনি [সাব] বন্য গাধার উরুর পার্শ্বের গোশত নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর জন্য উপঢৌকন পাঠান। কিন্তু তিনি তা ফেরত দেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭১৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৭১৫ ]

২৭৪০. ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, যায়দ ইবনি আরক্বাম [রাদি.] তাহাঁর নিকট এলেন। তিনি আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.]-কে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলিলেন, ইহরাম অবস্থায় রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-কে শিকার করা জন্তুর গোশত উপঢৌকন দেয়া হয়েছিল। সেটা যে হারাম এ কথা আপনি আমাকে কিভাবে অবহিত করেছিলেন? রাবী [ত্বাউস] বলেন, তিনি বলিলেন, তাঁকে শিকারকৃত জন্তুর একটি অঙ্গ হাদিয়্যাহ্ দেয়া হয়েছিল, তিনি তা ফেরত দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, আমরা এ গোশত খেতে পারি না, কারণ আমরা ইহরাম অবস্থায় আছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭১৭ , ইসলামিক সেন্টার- ২৭১৬ ]

২৭৪১. আবু ক্বাতাদাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর সঙ্গে রওনা হলাম, এমনকি ক্বাহাহ্ নামক স্থানে গিয়ে পৌঁছলাম। আমাদের কতক ইহরাম অবস্থায় এবং কতক ইহরামবিহীন অবস্থায় ছিল। আমি লক্ষ্য করলাম, আমার সঙ্গীরা একটা কিছুর দিকে তাকাচ্ছে। আমি তাকিয়ে দেখলাম, তা একটি বন্য গাধা। অতএব আমি আমার ঘোড়ার জীন বাঁধলাম এবং বল্লম তুলে নিলাম। এরপর ঘোড়ার পিঠে চেপে বসলাম। এ অবস্থায় আমার চাবুক নিচে পড়ে গেল। আমি আমার সঙ্গীদের তা তুলে দিতে বললাম, তারা ইহরাম অবস্থায় ছিল। তাই তারা আল্লাহর শপথ করে বলিল, আমরা তোমাকে এ ব্যাপারে কিছুমাত্র সাহায্য করিতে পারব না। অতঃপর আমি নিচে নেমে এসে তা তুললাম। অতঃপর ঘোড়ায় চড়ে গাধার পশ্চাদ্ধাবন করলাম। তা ছিল একটি টিলার আড়ালে। আমি বল্লমের আঘাতে এটাকে হত্যা করলাম। অতঃপর আমার সঙ্গীদের কাছে নিয়ে এলাম। তাদের কতক বলিল, তা খাও, আর কতক বলিল, খেও না। নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] আমাদের সম্মুখভাগে ছিলেন। আমি ঘোড়া হাঁকিয়ে তাহাঁর নিকট উপস্থিত হলাম এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বলিলেন, তা হালাল, অতএব তোমরা তা খাও।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭১৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৭১৭ ]

২৭৪২. আবু ক্বাতাদাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি একবার রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর সঙ্গে ছিলেন। মাক্কার একটি পথে যখন আমরা পৌছলাম তখন তিনি তার কতিপয় মুহরিম সঙ্গীসহ নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর পেছনে পড়ে গেলেন। তিনি ছিলেন ইহরামমুক্ত। তিনি একটি বন্য গাধা দেখিতে পেয়ে নিজের ঘোড়ায় চেপে বসলেন এবং সঙ্গীদেরকে তার চাবুকটি তুলে দিতে বলিলেন। তারা তা তুলে দিতে রাযি হলেন না। তিনি তাদেরকে নিজের বল্লমটি তুলে দিতে বলিলেন, এবারও তারা তার কথায় রাজী হলেন না। এরপর তিনি নিজেই তা তুলে নিলেন এবং ঘোড়া হাঁকিয়ে গাধাটি শিকার করিলেন। নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর কতিপয় সাহাবী তার গোশত খেলেন এবং কতক তা প্রত্যাখ্যান করিলেন। অতএব তারা রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর নিকট পৌছে তাঁকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করিলেন। তিনি বলিলেন, এতো খাদ্য, মহামহিম আল্লাহ তোমাদের তা দান করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭১৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৭১৮]

২৭৪৩. আবু ক্বাতাদাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

বন্য গাধা সম্পর্কিত হাদীসটি এ সূত্রেও আবু নাযর বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হয়েছে। কিন্তু যায়দ ইবনি আসলামের বর্ণনায় আছে, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] জিজ্ঞেস করিলেন, এর কিছু গোশত তোমাদের সাথে আছে কি?

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭২০, ইসলামিক সেন্টার- ২৭১৯]

২৭৪৪. আবদুল্লাহ ইবনি আবু ক্বাতাদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমার পিতা হুদায়বিয়ার বছর রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর সঙ্গে গেলেন। তাহাঁর সঙ্গীগণ ইহরাম বাঁধলেন, কিন্তু আবু ক্বাতাদাহ্ [রাদি.] ইহরাম বাঁধলেন না। রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-কে অবহিত করা হল যে, শত্রুরা গয়কাহ্ নামক স্থানে ওঁৎ পেতে আছে। রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তাঁদের যাত্রা অব্যাহত রাখলেন। আবু ক্বাতাদাহ্ [রাদি.] বলেন, আমি তাহাঁর সাহাবীগনের সঙ্গে ছিলাম, তাদের কতক আমার দিকে চেয়ে হাসছিল। আমি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে একটি বন্য গাধা দেখিতে পেলাম। আমি বর্শার আঘাতে তার গতিরোধ করলাম এবং সাহাবীগণের সাহায্য চাইলাম। কিন্তু তারা আমাকে সাহায্য করিতে অস্বীকৃতি জানালেন। আমরা এর গোশত খেলাম এবং রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশংকাবোধ করলাম। অতএব আমি তাহাঁর কাছে পৌছার জন্য কখনো ঘোড়া হাঁকিয়ে, আবার কখনো পদব্রজে অগ্রসর হইতে লাগলাম। মধ্যরাতে গিফার গোত্রের এক ব্যক্তির সাক্ষাৎ পেলাম এবং তাকে জিজ্ঞেগ করলাম, তুমি কোথায় রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর সাক্ষাৎ পেয়েছো? সে বলিল, আমি তাঁকে তাহিন নামক স্থানে ছেড়ে এসেছি এবং তিনি সুফ্ইয়া নামক স্থানে দুপুরের সময়টা যাত্রা বিরতি করার মনস্থ করিয়াছেন। আমি [আবু ক্বাতাদাহ্] তাহাঁর সাথে মিলিত হয়ে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনার সাহাবীগন আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং আপনার জন্য আল্লাহর রহমাত কামনা করিয়াছেন। তারা আপনার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশংকা করিয়াছেন। অতএব আপনি তাদের জন্য অপেক্ষা করুন। অতএব তিনি তাদের জন্য অপেক্ষা করিলেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল!! আমি একটি শিকার ধরেছি এবং তার কিছু অংশ আমার কাছে অবশিষ্ট আছে। নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] লোকদেরকে বলিলেন, তোমরা খাও। তারা ইহরাম অবস্থায় রয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭২১, ইসলামিক সেন্টার- ২৭২০]

২৭৪৫. আবদুল্লাহ ইবনি আবু ক্বাতাদাহ্ [রাদি.] থেকে তার পিতার সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] হজ্জের উদ্দেশে রওনা হলেন এবং আমরাও তাহাঁর সফরসঙ্গী হলাম। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ভিন্ন পথ ধরলেন এবং আবু ক্বাতাদাহ্ [রাদি.] সহ কতিপয় সাহাবাকে [অন্য পথ অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়ে] বলিলেন, তোমরা আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ না করা পর্যন্ত সমুদ্র তীরবর্তী পথ ধরে অগ্রসর হও। আবু ক্বাতাদাহ্ [রাদি.] বলেন, অতএব তারা সমুদ্র উপকূল বরাবর পথ ধরলেন। তারা যখন রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর পথে মোড় নিলেন, তখন আবু ক্বাতাদাহ্ [রাদি.] ছাড়া আর সকলে ইহরাম বাঁধলেন, তিনি ইহরাম বাঁধলেন না। এ অবস্থায় পথ চলতে চলতে তারা কতকগুলো বন্য গাধা দেখিতে পেলেন এবং আবু ক্বাতাদাহ্ [রাদি.] এগুলোকে আক্রমণ করে একটি গাধী শিকার করিলেন। তারা যাত্রা বিরতি দিয়ে গাধীর গোশত খেলেন। আবু ক্বাতাদাহ্ [রাদি.] বলেন, তারা বলিলেন, আমরা ইহরাম অবস্থায় শিকারের গোশত খেলাম। এরপর তারা এর অবশিষ্ট গোশত সঙ্গে নিয়ে রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-এর সঙ্গে মিলিত হয়ে বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমরা ইহরাম বেঁধেছি কিন্তু আবু ক্বাতাদাহ্ [রাদি.] ইহরাম বাঁধেননি। এ অবস্থায় আমরা কয়েকটি বন্য গাধা দেখিতে পেলাম। আবু ক্বাতাদাহ্ [রাদি.] এগুলোর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি গাধী শিকার করেন। আমরা যাত্রা বিরতি দিয়ে এর গোশত খেয়েছি। অতঃপর আমরা পরস্পর বললাম, আমরা ইহরাম অবস্থায় শিকারকৃত পশুর গোশত আহার করব কি অথচ আমরা মুহরিম? আমরা অবশিষ্ট গোশত সাথে করে নিয়ে এসেছি। নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলিলেন, তোমাদের কেউ কি তা শিকার করার নির্দেশ অথবা ইঙ্গিত করেছে? তারা বলিলেন, না। তিনি বলিলেন, তাহলে অবশিষ্ট গোশতও খেতে পার।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭২২, ইসলামিক সেন্টার- ২৭২১]

২৭৪৬. উসমান ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি মাওহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে উপরোক্ত সানাদ সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ

শায়বানের বর্ণনায় আছে, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] জিজ্ঞেস করিলেন, “তোমাদের কেউ কি তাকে [গাধীটি] আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছে অথবা এর প্রতি ইঙ্গিত করেছে?” আর শুবাহর বর্ণনায় আছে, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] জিজ্ঞেস করিলেন, “তোমরা কি [শিকারের দিকে] ইঙ্গিত করেছিলে অথবা সাহায্য করেছিলে” অথবা “শিকার করেছিলে”। শুবাহ্ বলেন রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] এ দুটো বাক্য বলেছেন কিনা তা আমার জানা নেই।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭২৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৭২২]

২৭৪৭. আবদুল্লাহ ইবনি আবু ক্বাতাদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তার পিতা তাকে অবহিত করিয়াছেন যে, তিনি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর সঙ্গে হুদায়বিয়ার অভিযানে অংশগ্রহন করেছিলেন। তিনি বলেন, আমি ছাড়া আর সকলেই উমরাহ্ করার জন্য ইহরাম বেঁধেছিলেন। আমি একটি বন্য গাধা শিকার করলাম এবং আমার মুহরিম সঙ্গীদের এর গোশত্ খাওয়ালাম। অতঃপর আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁকে অবহিত করলাম যে, শিকারের অবশিষ্ট গোশ্ত আমাদের সাথে আছে। তিনি বলিলেন, “তোমরা তা খাও”; তখন তারা ছিলেন মুহরিম।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭২৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৭২৩]

২৭৪৮. আবদুল্লাহ ইবনি আবু ক্বাতাদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে তার পিতার সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ

তারা রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর সঙ্গে [সফরে] রওনা হলেন। তারা সবাই ইহরাম অবস্থায় ছিলেন, কিন্তু আবু ক্বাতাদাহ্ [রাদি.] হালাল অবস্থায় ছিলেন। হাদীসের অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্ববৎ। তবে এ বর্ণনায় আরও আছে, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] জিজ্ঞেস করিলেন, এর কিছু গোশত্ তোমাদের সাথে আছে কি? তারা বলিলেন, এর পায়ের গোশত্ আমাদের সাথে আছে। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] তা নিয়ে আহার করিলেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭২৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৭২৪]

২৭৪৯. আবদুল্লাহ ইবনি আবু ক্বাতাদাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আবু ক্বাতাদাহ্ [রাদি.] ইহরামকারী একটি দলের সঙ্গে ছিলেন, কিন্তু তিনি ইহরামমুক্ত ছিলেন। হাদীসের পরবর্তী বর্ণনা পূর্ববৎ। এতে আছেঃ রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] জিজ্ঞেস করিলেন, তোমাদের কেউ কি শিকারের দিকে ইঙ্গিত করেছে অথবা কোনরূপ নির্দেশ দিয়েছে? তারা বলিলেন, হে আল্লাহর রসূল! না। তিনি বলিলেন, তাহলে এটা খেতে পার।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭২৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৭২৫]

২৭৫০. মুআয ইবনি আবদুর রহমান ইবনি উসমান আত্ তায়মী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে তার পিতার সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমরা ইহরাম অবস্থায় ত্বলহাহ্ ইবনি উবায়দুল্লাহ [রাদি.]-এর সঙ্গে ছিলাম। তাকে [শিকার করা] পাখির গোশ্ত উপঢৌকন দেয়া হল। এ সময় তিনি ঘুমে ছিলেন। আমাদের কতক তা খেল এবং কতক বিরত থাকল। ত্বলহাহ্ [রাদি.] ঘুম থেকে উঠে গোশ্ত আহরনকারীদের অনুকূলে মত প্রকাশ করিলেন এবং বলিলেন, আমরা রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর সঙ্গে [ইহরাম অবস্থায়] তা [শিকার করা প্রাণীর গোশ্ত] খেয়েছি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭২৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৭২৬]

৯. অধ্যায়ঃ হারাম এবং হারামের বাইরে ইহরাম কিংবা ইহরামমুক্ত অবস্থায় কোন্ কোন্ জন্তু হত্যা করা জায়িয

২৭৫১. নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর সহধর্মিণী আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আমি রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -কে বলিতে শুনেছিঃ এমন চার প্রকার দুষ্ট জন্তু হারাম এবং হারামের বাইরে নিধন করা যায়ঃ চিল [এবং শকুন], কাক, ইঁদুর এবং হিংস্র কুকুর। তিনি [উবায়দুল্লাহ] বলেন, আমি ক্বাসিমকে জিজ্ঞেস করলাম, সাপের বিষয়ে আপনার মত কী? তিনি বলিলেন, তা হীনভাবে হত্যা করিতে হইবে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭২৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৭২৭]

২৭৫২. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেনঃ পাঁচ প্রকার দুষ্ট জন্তুকে হারাম এবং হারামের বাইরে নিধন করা যায়ঃ সাপ, আব্ক্বা [যার বুক ও পিঠ সাদা বর্ণের] কাক, ইঁদুর, হিংস্র কুকুর এবং চিল।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭২৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৭২৮]

২৭৫৩. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ পাঁচটি অনিষ্টকর প্রাণীকে হারামের ভিতরে হত্যা করা যায়ঃ বিচ্ছু, ইঁদুর, কাক, চিল ও হিংস্র কুকুর।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৩০, ইসলামিক সেন্টার- ২৭২৯]

২৭৫৪. হিশাম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

পূর্বোক্ত হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৩১, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৩০]

২৭৫৫. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ পাঁচটি দুষ্ট জন্তু হারামের মধ্যেও হত্যা করিতে হবেঃ ইঁদুর, বিচ্ছু, কাক, চিল এবং হিংস্র কুকুর।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৩২, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৩১]

২৭৫৬. যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে এ সানাদে আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] পাঁচটি দুষ্ট অনিষ্টকর জন্তু হারাম ও হারামের বাইরে নিধনের নির্দেশ দিয়েছেন। হাদীসের অবশিষ্ট অংশ ইয়াযীদ ইবনি যুরায় [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হাদীসের অনুরূপ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৩৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৩২]

২৭৫৭. আয়িশাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ পাঁচটি জন্তুর প্রতিটিই অনিষ্টকর। ইহরাম অবস্থায় তা হত্যা করা যাবেঃ কাক, চিল, হিংস্র কুকুর, বিচ্ছু ও ইঁদুর।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৩৪, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৩৩]

২৭৫৮. সালিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] থেকে তার পিতার সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ

নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেনঃ পাঁচটি জন্তু নিধনে কোন দোষ নেই, হারামের ভিতরে ও ইহরাম অবস্থায়ঃ ইঁদুর, কাক, চিল, বিচ্ছু ও হিংস্র কুকুর।

ইবনি আবু উমর তার রিওয়ায়াতে “হারাম শরীফে বা ইহরাম অবস্থায়” কথাটুকু উল্লেখ করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৩৫, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৩৪]

২৭৫৯. নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর সহধর্মিণী হাফসাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ পাঁচটি জন্তুর প্রত্যেকটিই অনিষ্টকর, কেউ তা হত্যা করলে তার কোন দোষ হইবে নাঃ বিচ্ছু, কাক, চিল, ইঁদুর ও হিংস্র কুকুর।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৩৬, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৩৫]

২৭৬০. যায়দ ইবনি জুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

এক ব্যক্তি ইবনি উমর [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করিল, মুহরিম ব্যক্তি কোন্ কোন্ জন্তু হত্যা করিতে পারে? তিনি বলিলেন, আমাকে রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর জনৈকা সহধর্মিণী অবহিত করিয়াছেন যে, নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] ইঁদুর, বিচ্ছু, চিল, হিংস্র কুকুর ও কাক হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন অথবা রাবী বলেন, নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৩৭, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৩৬]

২৭৬১. যায়দ ইবনি জুবায়র [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি ইবনি ঊমার [রাদি.]-এর নিকট জিজ্ঞেস করিল, মুহরিম ব্যক্তি কোন্ কোন্ জন্তু হত্যা করিতে পারে? তিনি বলিলেন, নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -এর জনৈকা সহধর্মিণী বলেছেন যে, তিনি হিংস্র কুকুর, ইঁদুর, বিচ্ছু, চিল, কাক ও সাপ হত্যা করার নির্দেশ দিতেন।

এমনকি নামাজরত অবস্থায়ও তা হত্যা করা যায়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৩৮, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৩৭]

২৭৬২. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেনঃ এমন পাঁচটি জন্তু আছে যা মুহরিম ব্যক্তি হত্যা করলে কোন দোষ হইবে নাঃ কাক, চিল, বিচ্ছু, ইঁদুর এবং হিংস্র কুকুর।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৩৯, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৩৮]

২৭৬৩. ইবনি জুরায়জ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর নিকট জিজ্ঞেস করলাম, আপনি ইবনি উমর [রাদি.]-কে মুহরিম ব্যক্তির জন্য কোন্ কোন্ প্রাণী হত্যার বৈধতা ঘোষণা করিতে শুনেছেন? নাফি [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] আমাকে বলিলেন, আবদুল্লাহ্ [রাদি.] বলেছেন, আমি নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -কে বলিতে শুনেছি, এমন পাঁচ প্রকারের প্রাণী আছে, কোন ব্যক্তি তা হত্যা করলে তার কোন গুনাহ হইবে নাঃ কাক, চিল, বিচ্ছু, ইঁদুর ও হিংস্র কুকুর।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৪০, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৩৯]

২৭৬৪. ইবনি উমর [রাদি.] থেকে এ সূত্রে হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] থেকে ইবনি মালিক [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ও ইবনি জুরায়জের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে এবং একমাত্র ইবনি জুরায়জ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ব্যতীত নাফি “ইবনি উমর [রাদি.] থেকে নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] -কে বলিতে শুনেছি” কথাটি আর কেউ বলেননি। এ বর্ণনায় ইবনি জুরায়জ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] ইবনি ইসহাক্ব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর অনুসরণ করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৪১, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৪০]

২৭৬৫. ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম]-কে বলিতে শুনেছি, পাঁচ ধরনের প্রাণী, এর কোন একটি হারাম শরীফে বা ইহরাম অবস্থায় হত্যা করা হলে কোন দোষ নেই….পূর্বের হাদীসের অনুরূপ।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৪২, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৪০]

২৭৬৬. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] বলেছেনঃ এমন পাঁচ ধরনের প্রাণী আছে, ইহরাম অবস্থায় কোন ব্যক্তি সেগুলো হত্যা করলে তাতে তার কোন গুনাহ হইবে নাঃ বিচ্ছু, ইঁদুর, হিংস্র কুকুর, কাক ও চিল। হাদীসের মূল পাঠ ইয়াহ্ইয়া ইবনি ইয়াহ্ইয়ার বর্ণনা থেকে নেয়া হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৭৪৩, ইসলামিক সেন্টার- ২৭৪১]


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply