মুত্তাফাকুন আলাইহি -হুদুদ অধ্যায় – চুরির হাদ ও তার নিসাব

মুত্তাফাকুন আলাইহি -হুদুদ অধ্যায় – চুরির হাদ ও তার নিসাব

মুত্তাফাকুন আলাইহি -হুদুদ অধ্যায় – চুরির হাদ ও তার নিসাব , এই পর্বের হাদীস =১৬ টি (১০৯৭-১১১২ >> আল লুলু ওয়াল মারজান এর মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্ব-২৯ঃ হুদুদ

২৯/১. চুরির হাদ ও তার নিসাব [শাস্তি দানের জন্য অপরাধের সর্বনিম্ন পরিণাম]
২৯/২. সম্ভ্রান্ত বা যে কোন বংশের চোরের হাত কাটা এবং হুদুদের ব্যাপারে সুপারিশ করার নিষিদ্ধতা।
২৯/৪. বিবাহিত যিনাকারকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা।
২৯/৫. যে নিজেই যিনা করার কথা স্বীকার করলো।
২৬/৬. ইয়াহূদী বা অন্য জিম্মিকে যিনার অপরাধে রজম করা।
২৯/৮. মদখোরের শাস্তি।
২৯/৯. সতর্ক করে দেয়ার জন্য বেত্রাঘাতের পরিমাণ।
২৯/১০. হাদ জারি করাই হচ্ছে অপরাধীর জন্য কাফ্‌ফারাহ।
২৯/১১. চতুষ্পদ জন্তুর আঘাতে, খণিজ সম্পদ উদ্ধার করিতে ও কূপ খনন করিতে মারা গেলে রক্তপণ নেই।

২৯/১. চুরির হাদ ও তার নিসাব [শাস্তি দানের জন্য অপরাধের সর্বনিম্ন পরিণাম]

১০৯৭. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেনঃ সিকি দীনার চুরি করায় হাত কাটা হইবে।

[বোখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ১৩ হাদীস নং ৬৭৯০; মুসলিম ২৯/১, হাঃ ১৬৮৪] মুত্তাফাকুন আলাইহি -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১০৯৮. উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] তিন দিরহাম মূল্যমানের ঢাল চুরি করার অপরাধে চোরের হাত কর্তন করিয়াছেন।

[বোখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ১৩ হাদীস নং ৬৭৯৮; মুসলিম ২৯/১, হাঃ ১৬৮৬] মুত্তাফাকুন আলাইহি -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১০৯৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, চোরের উপর আল্লাহ্‌র লানত নিপতিত হয়, যখন সে একটি ডিম চুরি করে এবং এর জন্য তার হাত কাটা যায় এবং সে একটি রশি চুরি করে। এর জন্য তার হাত কাটা যায়।

[বোখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ৭ হাদীস নং ৬৭৮৩; মুসলিম ২৯/১, হাঃ ১৬৮৭] মুত্তাফাকুন আলাইহি -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২৯/২. সম্ভ্রান্ত বা যে কোন বংশের চোরের হাত কাটা এবং হুদুদের ব্যাপারে সুপারিশ করার নিষিদ্ধতা।

১১০০. আয়েশা [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

মাখযূম গোত্রের এক চোর নারীর ঘটনা কুরাইশের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন করে তুললো। এ অবস্থায় তারা বলাবলি করিতে লাগল এ ব্যাপারে আল্লাহর রসূল  [সাঃআঃ] -এর সঙ্গে কে আলাপ করিতে পারে? তারা বলিল, একমাত্র রসূল  [সাঃআঃ] -এর প্রিয়তম ওসামা ইবনি যায়িদ এ ব্যাপারে আলোচনা করার সাহস করিতে পারেন। উসামা নাবী [সাঃআঃ] -এর সঙ্গে কথা বলিলেন। নাবী [সাঃআঃ] বলিলেন, তুমি কি আল্লাহ্‌র নির্ধারিত সীমাঙ্ঘনকারিণীর সাজা মাওকুফের সুপারিশ করছ? অতঃপর নাবী [সাঃআঃ] দাঁড়িয়ে খুত্‌বায় বলিলেন, তোমাদের পূর্বের জাতিসমূহকে এ কাজই ধ্বংস করেছে যে, যখন তাহাদের মধ্যে কোন বিশিষ্ট লোক চুরি করত, তখন তারা বিনা সাজায় তাকে ছেড়ে দিত। অন্যদিকে যখন কোন অসহায় গরীব সাধারণ লোক চুরি করত, তখন তার উপর হদ্ জারি করত। আল্লাহ্‌র কসম, যদি মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-এর কন্যা ফাতিমাহ চুরি করত তাহলে আমি তার অবশ্যই তার হাত কেটে দিতাম।

[বোখারী পর্ব ৬০ অধ্যায় ৫৪ হাদীস নং ৩৪৭৫; মুসলিম ২৯/২ হাঃ ১৬৮৮] মুত্তাফাকুন আলাইহি -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২৯/৪. বিবাহিত যিনাকারকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা।

১১০১. উমার ইবনি খাত্তাব [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ্ মুহাম্মাদ [সাঃআঃ]-কে সত্য সহকারে পাঠিয়েছেন। আর তাহাঁর উপর কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছেন। আর আল্লাহ্‌র অবতীর্ণ বিষয়াদির একটি ছিল রজমের আয়াত। আমরা সে আয়াত পড়েছি, বুঝেছি, আয়ত্ত করেছি। আল্লাহ্‌র রসূল  [সাঃআঃ] পাথর মেরে হত্যা করিয়াছেন। আমরাও তাহাঁর পরে পাথর মেরে হত্যা করেছি। আমি আশংকা করছি যে, দীর্ঘকাল অতিবাহিত হবার পর কোন লোক এ কথা বলে ফেলতে পারে যে, আল্লাহ্‌র কসম! আমরা আল্লাহ্‌র কিতাবে পাথর মেরে হত্যার আয়াত পাচ্ছি না। ফলে তারা এমন একটি ফার্‌য ত্যাগের কারণে পথভ্রষ্ট হইবে, যা আল্লাহ্ অবতীর্ণ করিয়াছেন। আল্লাহ্‌র কিতাব অনুযায়ী ঐ ব্যক্তির উপর পাথর মেরে হত্যা অবধারিত, যে বিবাহিত হবার পর যিনা করিবে, সে পুরুষ হোক বা নারী। যখন সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাবে অথবা গর্ভ বা স্বীকারোক্তি পাওয়া যাবে

। [বোখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ৩১ হাদীস নং ৬৮৩০; মুসলিম ২৯/৮, ১৬৯১] মুত্তাফাকুন আলাইহি -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২৯/৫. যে নিজেই যিনা করার কথা স্বীকার করলো।

১১০২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ]-এর কাছে এল। তিনি তখন মাসজিদে ছিলেন। সে তাঁকে ডেকে বলিল, হে আল্লাহ্‌র রসূল  [সাঃআঃ]। আমি যিনা করেছি। তিনি তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এভাবে কথাটি সে চারবার পুনরাবৃত্তি করিল। যখন সে নিজের বিরুদ্ধে চারবার সাক্ষ্য প্রদান করিল তখন নাবী [সাঃআঃ] তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করিলেন, তোমার মধ্যে কি পাগলামীর দোষ আছে? সে বলিল, না। তিনি বললেনঃ তাহলে কি তুমি বিবাহিত? সে বলিল, হ্যাঁ। তখন নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ তোমরা তাকে নিয়ে যাও আর রজম করো।

জাবির [রাদি.] বলেন, আমি তার রজমকারীদের মধ্যে একজন ছিলাম। আমরা তাকে জানাযা আদায়ের স্থানে রজম করি। পাথরের আঘাত যখন তার অসহ্য হচ্ছিল তখন সে পালাতে লাগল। আমরা হার্‌রা নামক স্থানে তার নাগাল পেলাম। আর সেখানে তাকে রজম করলাম।

[বোখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ২২ হাদীস নং ৬৮১৫-৬৮১৬; মুসলিম ২৯/৫ হাঃ ১৬৯১] মুত্তাফাকুন আলাইহি -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১১০৩. যায়দ ইবনি খালিদ জুহানী [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তাঁরা বলিল, এক ব্যক্তি নাবী [সাঃআঃ]-এর নিকট এসে বলিল, আমি আপনাকে আল্লাহ্‌র কসম দিয়ে বলছি, আপনি আমাদের মাঝে আল্লাহ্‌র কিতাব অনুযায়ী ফায়সালা করবেন। তখন তার প্রতিপক্ষ দাঁড়াল, আর সে ছিল তার চেয়ে অধিক বিজ্ঞ এবং বলিল, সে ঠিকই বলেছে। আপনি আল্লাহ্‌র কিতাব অনুযায়ী আমাদের মাঝে ফায়সালা করে দিন এবং আমাকে অনুমতি দিন, হে আল্লাহ্‌র রসূল  [সাঃআঃ]! নাবী [সাঃআঃ] তাকে বললেনঃ বল। তখন সে বলিল, আমার ছেলে এই ব্যক্তির পরিবারে মজুর ছিল, সে তার স্ত্রীর সঙ্গে যিনা করে বসে। ফলে আমি একশ ছাগল ও একটি গোলামের বিনিময়ে তার থেকে আপোস করে নেই। তারপর কজন আলিমকে জিজ্ঞেস করি। তাঁরা আমাকে জানালেন যে, আমার ছেলের ওপর একশ কশাঘাত ও এক বছরের নির্বাসন। আর এ ব্যক্তির স্ত্রীর উপর রজম। তখন নাবী [সাঃআঃ] বললেনঃ ঐ সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ! আমি অবশ্যই আল্লাহ্‌র কিতাব অনুযায়ী তোমাদের মাঝে ফায়সালা করব। একশ [ছাগল] আর গোলাম তোমার কাছে ফেরত হইবে। আর তোমার ছেলের উপর আসবে একশ কশাঘাত ও এক বছরের নির্বাসন। হে উনাইস! তুমি প্রত্যূষে মহিলার কাছে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করিবে। যদি সে স্বীকার করে তাহলে তাকে রজম করিবে। সে স্বীকার করলে তাকে সে রজম করিল।

[বোখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ৪৬ হাদীস নং ৬৮৫৯; মুসলিম ২৯/৫, হাঃ ১৬৯৭, ১৬৯৮] মুত্তাফাকুন আলাইহি -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২৬/৬. ইয়াহূদী বা অন্য জিম্মিকে যিনার অপরাধে রজম করা।

১১০৪. উমার [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

ইয়াহূদীরা আল্লাহর রসূল  [সাঃআঃ]-এর খিদমতে এসে বলিল, তাহাদের একজন পুরুষ ও একজন মহিলা ব্যভিচার করেছে। নাবী [সাঃআঃ] জিজ্ঞেস করিলেন, প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা করা সম্পর্কে তাওরাতে কী বিধান পেয়েছ? তারা বলিল, আমরা এদেরকে অপমানিত করব এবং তাহাদের বেত্রাঘাত করা হইবে। আবদুল্লাহ ইবনি সালাম [রাদি.] বলিলেন, তোমরা মিথ্যা বলছ। তাওরাতে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যার বিধান রয়েছে। তারা তাওরাত নিয়ে এসে বাহির করিল এবং পাথর নিক্ষেপে হত্যা করা সম্পর্কীয় আয়াতের উপর হাত রেখে তার আগের ও পরের আয়াতগুলো পাঠ করিল। আবদুল্লাহ ইবনি সালাম [রাদি.] বলিলেন, তোমার হাত সরাও। সে হাত সরাল। তখন দেখা গেল পাথর নিক্ষেপে হত্যা করার আয়াত আছে। তখন ইয়াহূদীরা বলিল, হে মুহাম্মাদ! তিনি সত্যই বলছেন। তাওরাতে পাথর নিক্ষেপে হত্যার আয়াতই আছে। তখন নাবী [সাঃআঃ] পাথর নিক্ষেপে দুজনকে হত্যা করার নির্দেশ দিলেন। আবদুল্লাহ বলেন, আমি ঐ পুরষটিকে মেয়েটির দিকে ঝুঁকে পড়তে দেখেছি। সে মেয়েটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিল।

[বোখারী পর্ব ৬১ অধ্যায় ২৬ হাদীস নং ৩৬৩৫; মুসলিম ২৯/৬, হাঃ ১৬৯৯] মুত্তাফাকুন আলাইহি -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১১০৫. শায়বানী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ্ ইবনি আবু আওফা [রাদি.]-কে জিজ্ঞেস করলাম, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] রজম করিয়াছেন কি? তিনি উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। আমি বললাম, সূরায়ে নূর-এর আগে না পরে? তিনি বলিলেন, আমি অবগত নই।

[বোখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ২১ হাদীস নং ৬৮১৩; মুসলিম ২৯/৬, হাঃ ১৭০২] মুত্তাফাকুন আলাইহি -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১১০৬. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলেছেন, যদি বাঁদী ব্যভিচার করে এবং তার ব্যভিচার প্রমাণিত হয়, তবে তাকে বেত্রাঘাত করিবে। আর তিরস্কার করিবে না। তারপর যদি আবার ব্যভিচার করে তবে তাকে বিক্রি করে দিবে; যদিও পশমের রশির [ন্যায় সামান্য বস্তুর] বিনিময়েও হয়।

[বোখারী পর্ব ৩৪ অধ্যায় ৬৬ হাদীস নং ২১৫২; মুসলিম ২৯/৬, হাঃ ১৭০৩] মুত্তাফাকুন আলাইহি -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১১০৭. যায়দ ইবনি খালিদ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল  [সাঃআঃ]-কে অবিবাহিতা দাসী যদি ব্যভিচার করে সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, যদি সে ব্যভিচার করে, তবে তাকে বেত্রাঘাত কর। আবার যদি সে ব্যভিচার করে আবার বেত্রাঘাত কর। এরপর যদি ব্যভিচার করে তবে তাকে রশির বিনিময়ে হলেও বিক্রি করে দাও।

[বোখারী পর্ব ৩৪ অধ্যায় ৬৬ হাদীস নং ২১৫৩-২১৫৪; মুসলিম ২৯ হুদুদ অধ্যায়ের প্রথমে, হাঃ ১৭০৪] মুত্তাফাকুন আলাইহি -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২৯/৮. মদখোরের শাস্তি।

১১০৮. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] শরাব পান করার ক্ষেত্রে বেত্রাঘাত করিয়াছেন এবং জুতা মেরেছেন। আবু বকর [রাদি.] চল্লিশটি করে বেত্রাঘাত করিয়াছেন।

[বোখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ৪ হাদীস নং ৬৭৭৬; মুসলিম ২৯/৮, হাঃ ১৭০৬] মুত্তাফাকুন আলাইহি -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

১১০৯. আলী ইবনি আবু ত্বলিব [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, আমি যদি কোন অপরাধীকে শাস্তি প্রদান করি আর সে তাতে মরে যায় তবে কোন দুঃখ আসে না। কিন্তু শরাব পানকারী ব্যতীত। সে যদি মারা যায় তবে তার জন্য আমি দিয়াত দিয়ে থাকি। কেননা, রসূলুল্লাহ্ [সাঃআঃ] এ শাস্তির ব্যাপারে কোন সীমা নির্ধারণ করেননি।

[বোখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ৪ হাদীস নং ৬৭৭৮; মুসলিম ২৯/৮, হাঃ ১৭০৭] মুত্তাফাকুন আলাইহি -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২৯/৯. সতর্ক করে দেয়ার জন্য বেত্রাঘাতের পরিমাণ।

১১১০. আবু বুরদাহ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

তিনি বলেন, নাবী [সাঃআঃ] বলিতেনঃ আল্লাহ্‌র নির্ধারিত হদসমূহের কোন হদ ব্যতীত অন্য ক্ষেত্রে দশ কশাঘাতের উর্ধ্বে দণ্ড প্রয়োগ করা যাবে না।

[বোখারী পর্ব ৮৬ অধ্যায় ৪২ হাদীস নং ৬৮৪৮; মুসলিম ২৯/৯, হাঃ ১৭০৮] মুত্তাফাকুন আলাইহি -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২৯/১০. হাদ জারি করাই হচ্ছে অপরাধীর জন্য কাফ্‌ফারাহ।

১১১১. উবাদাহ ইবনিস সামিত [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল  [সাঃআঃ]-এর পাশে একজন সাহাবীর উপস্থিতিতে তিনি বলেনঃ তোমরা আমার নিকট এ মর্মে বায়আত গ্রহণ কর যে, আল্লাহ্‌র সঙ্গে কোন কিছুকে অংশীদার সাব্যস্ত করিবে না, চুরি করিবে না, ব্যভিচার করিবে না, তোমাদের সন্তানদের হত্যা করিবে না, কারো প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করিবে না এবং সৎকাজে নাফরমানী করিবে না। তোমাদের মধ্যে যে তা পূর্ণ করিবে, তার পুরস্কার আল্লাহ্‌র নিকট রয়েছে। আর কেউ এর কোন একটিতে লিপ্ত হলো এবং দুনিয়াতে তার শাস্তি পেয়ে গেলে, তবে তা হইবে তার জন্য কাফ্‌ফারা। আর কেউ এর কোন একটিতে লিপ্ত হয়ে পড়লে এবং আল্লাহ তা অপ্রকাশিত রাখলে, তবে তা আল্লাহ্‌র ইচ্ছাধীন। তিনি যদি চান, তাকে মার্জনা করবেন আর যদি চান, তাকে শাস্তি প্রদান করবেন। আমরা এর উপর বায়আত গ্রহণ করলাম।

[বোখারী পর্ব ২ অধ্যায় ১১ হাদীস নং ১৮; মুসলিম ২৯/১০ হাঃ ১৭০৯] মুত্তাফাকুন আলাইহি -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

২৯/১১. চতুষ্পদ জন্তুর আঘাতে, খণিজ সম্পদ উদ্ধার করিতে ও কূপ খনন করিতে মারা গেলে রক্তপণ নেই।

১১১. আবু হুরাইরাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল  [সাঃআঃ] বলেছেনঃ চতুষ্পদ জন্তুর আঘাত দায়মুক্ত, কূপ [খননে শ্রমিকের মৃত্যুতে মালিক] দায়মুক্ত, খণি [খননে কেউ মারা গেলে মালিক] দায়মুক্ত। রিকাযে এক-পঞ্চমাংশ ওয়াজিব।

[বোখারী পর্ব ২৪ অধ্যায় ৬৬ হাদীস নং ১৪৯৯; মুসলিম ২৯/১১, হাঃ ১৭১০] মুত্তাফাকুন আলাইহি -এই হাদীসটির তাহক্কিকঃ সহীহ হাদীস

Comments

One response to “মুত্তাফাকুন আলাইহি -হুদুদ অধ্যায় – চুরির হাদ ও তার নিসাব”

Leave a Reply