মিশকাত শরীফ pdf – সওম (রোযা)
মিশকাত শরীফ pdf – সওম (রোযা) >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন
পর্বঃ ৭, অধ্যায়ঃ সওম [রোযা]
পরিচ্ছদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
১৯৫৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মাহে রমাযান [রমজান] শুরু হলে আকাশের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। অন্য এক বর্ণনায় আছে, জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়। শয়তানকে শিকলবন্দী করা হয়। অন্য এক বর্ণনায় আছে, রহমতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। [বোখারী, মুসলিম]{১}
{১} সহীহ : বোখারী ১৮৯৯, ৩২৭৭, মুসলিম ১০৭৯, নাসায়ী ২০৯৯, ২০৯৭, ২১০২, আহমাদ ৭৭৮০, মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাকব ৭৩৮৪, ৭৭৮১, ৯২০৪, শুআবুল ঈমান ৩৩২৬, সহীহ ইবনি হিববান ৩৪৩১। মিশকাত শরীফ pdf -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
১৯৫৭. সাহল ইবনি সাদ হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জান্নাতের আটটি দরজা রয়েছে। এর মধ্যে রইয়্যান নামে একটি দরজা রয়েছে। সিয়াম পালনকারীগণ ছাড়া এ দরজা দিয়ে অন্য কেউ প্রবেশ করিতে পারবে না। [বোখারী, মুসলিম]{১}
{১} সহীহ : বোখারী ৩২৫৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৫২২। মিশকাত শরীফ pdf -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
১৯৫৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় রমাযান [রমজান] মাসে সিয়াম পালন করিবে, তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় ইবাদাতে রাত কাটাবে, তার আগের সব গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াব লাভের আশায় লায়লাতুল কদরে ইবাদাতে কাটাবে তারও আগের সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। [বোখারী, মুসলিম]{১}
{১} সহীহ : বোখারী ৩৮, ১৮০২, ১৯১০, ২০১৪, মুসলিম ৭৬০, আবু দাউদ ১৩৭২, নাসায়ী ২২০৫, ইবনি মাজাহ ১৬৪১, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৮৮৭৫, আহমাদ ৭১৭০, সহীহ ইবনি খুযায়মাহ্ ১৮৯৪, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৫০৬, সহীহ ইবনি হিববান ৩৪৩২। মিশকাত শরীফ pdf -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
১৯৫৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আদম সন্তানের প্রত্যেকটি নেক আমাল দশ থেকে সত্তর গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, কিন্তু এর ব্যতিক্রম হলো সওম। কেননা, সওম আমার জন্যে রাখা হয় এবং আমিই এর প্রতিদান দিব। কারণ সায়িম [রোযাদার] ব্যক্তি নিজের প্রবৃত্তির তাড়না ও খাবার-দাবার শুধু আমার জন্য পরিহার করে। সায়িমের জন্য দুটি খুশী রয়েছে। একটি ইফতার করার সময় আর অপরটি আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের সময়। সায়িমের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মিশ্কের সুগন্ধির চেয়েও বেশী পবিত্র ও পছন্দনীয় এবং সিয়াম ঢাল স্বরূপ [জাহান্নামের আগুন হইতে রক্ষাকবচ]। তাই তোমাদের যে কেউ যেদিন সায়িম হবে সে যেন অশ্লীল কথাবার্তা না বলে আর শোরগোল বা উচ্চবাচ্য না করে। তাকে কেউ যদি গালি দেয় বা কটু কথা বলে অথবা তার সাথে ঝগড়া করিতে চায়, সে যেন বলে দেয়, আমি একজন সায়িম। [বোখারী, মুসলিম]{১}
{১} সহীহ : বোখারী ১৯০৪, মুসলিম ১১৫১, নাসায়ী ২২১৭, ইবনি মাজাহ ১৬৩৮, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৮৮৯৪, ইবনি খুযায়মাহ্ ১৮৯৬, সহীহ ইবনি হিববান ৩৪২৩, আহমাদ ৭৬৯৩, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৩৩২। মিশকাত শরীফ pdf -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
পরিচ্ছদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
১৯৬০. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন রমাযান [রমজান] মাসের প্রথম রাত হয়, শয়তান ও অবাধ্য জীনদেরকে বন্দী করা হয়। জাহান্নামের দরজাসমূহকে বন্ধ করে দেয়া হয়। এর একটিও খোলা রাখা হয় না। এদিকে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। একটিও বন্ধ রাখা হয় না। আহবানকারী [মালাক বা ফেরেশতা] ঘোষণা দেন, হে কল্যাণ অনুসন্ধানকারী! আল্লাহর কাজে এগিয়ে যাও। হে অকল্যাণ ও মন্দ অনুসন্ধানী! [অকল্যাণ কাজ হইতে] থেমে যাও। এ মাসে আল্লাহ তাআলাই মানুষকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত করেন এবং এটা [রমাযান [রমজান] মাসের] প্রত্যেক রাতেই হয়ে থাকে। [তিরমিজি ও ইবনি মাজাহ]{১}
{১} সহীহ : তিরমিজি ৬৮২, ইবনি মাজাহ ১৬৪২, সহীহ ইবনি খুযায়মাহ্ ১৮৮৩, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৫৩২, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮৫০১, সহীহ ইবনি হিববান ৩৪৩৫, সহীহ আল জামি ৭৫৯। মিশকাত শরীফ pdf -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
১৯৬১. ঈমাম আহমাদ [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ
ঈমাম তিরমিজি [রাহিমাহুল্লাহ] বলেছেন, হাদিসটি গরীব।{১}
{১} সহীহ : আহমাদ ১৮৭৯৪, ১৮৭৯৫, নাসায়ী ২১০৪। মিশকাত শরীফ pdf -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
পরিচ্ছদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
১৯৬২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের জন্য রমাযানের বারাকাতময় মাস এসেছে। এ মাসে সওম রাখা আল্লাহ তোমাদের জন্য ফরয করে দিয়েছেন। এ মাসে আসমানের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় এবং বন্ধ করে দেয়া হয় জাহান্নামের সব দরজা। এ মাসে বিদ্রোহী শয়তানগুলোকে কয়েদ করা হয়। এ মাসে একটি রাত আছে যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো; সে অবশ্য অবশ্যই প্রত্যেক কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত রইল। [আহমদ ও নাসায়ী]{১}
{১} সহীহ : নাসায়ী ২১০৬, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৮৮৬৭, আহমাদ ৭১৪৮, সহীহ আত তারগীব ৯৯৯, সহীহ আল জামি ৫৫, শুআবুল ঈমান ৩৩২৮। মিশকাত শরীফ pdf -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
১৯৬৩. আবদুল্লাহ ইবনি উমার হইতে বর্ণীতঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সিয়াম এবং কুরআন বান্দার জন্য শাফাআত করিবে। সিয়াম বলবে, হে রব! আমি তাকে দিনে খাবার গ্রহণ করিতে ও প্রবৃত্তির তাড়না মিটাতে বাধা দিয়েছি। অতএব তার ব্যাপারে এখন আমার শাফাআত কবূল করো। কুরআন বলবে, হে রব! আমি তাকে রাতে ঘুম থেকে বিরত রেখেছি। অতএব তার ব্যাপারে এখন আমার সুপারিশ গ্রহণ করো। অতঃপর উভয়ের সুপারিশই কবূল করা হবে। [বায়হাক্বী; শুআবুল ঈমান]{১}
{১} সহীহ : মুসতাদারাক লিল হাকিম ২০৩৬, শুআবুল ঈমান ১৮৩৯, সহীহ আল জামি ৩৮৮২, সহীহ আত তারগীব ৯৭৩। মিশকাত শরীফ pdf -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস
১৯৬৪. আনাস ইবনি মালিক [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রমাযান [রমজান] মাস এলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, রমাযান [রমজান] মাস তোমাদের মাঝে উপস্থিত। এ মাসে রয়েছে এমন এক রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাতের [কল্যাণ হইতে] বঞ্চিত রয়েছে; সে এর সকল কল্যাণ হইতেই বঞ্চিত। শুধু হতভাগ্যরাই এ রাতের কল্যাণ লাভ হইতে বঞ্চিত থাকে। [ইবনি মাজাহ]{১}
{১} হাসান সহীহ : ইবনি মাজাহ ১৬৪৪, সহীহ আত তারগীব ১৪২৯, আহমাদ ৬৬২৬, সহীহ আল জামি ৩৮৮২, হাকিম ২০৩৬, মুজামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৮৮। তবে আহমাদণ্ডএর সানাদটি দুর্বল। যেহেতু তাতে ইবনি লাহ্ইআহ্ রয়েছে। মিশকাত শরীফ pdf -এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান সহীহ
১৯৬৫. সালমান আল ফারিসী হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, শাবান মাসের শেষ দিনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে উদ্দেশ্য করে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল! একটি মহিমান্বিত মাস তোমাদেরকে ছায়া হয়ে ঘিরে ধরেছে। এ মাস একটি বারাকাতময় মাস। এটি এমন এক মাস, যার মধ্যে একটি রাত রয়েছে, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। আল্লাহ এ মাসের সিয়াম ফরয করিয়াছেন আর নফল করে দিয়েছেন এ মাসে রাতের কিয়ামকে। যে ব্যক্তি এ মাসে একটি নফল কাজ করিবে, সে যেন অন্য মাসের একটি ফরয আদায় করিল। আর যে ব্যক্তি এ মাসে একটি ফরয আদায় করেন, সে যেন অন্য মাসের সত্তরটি ফরয সম্পাদন করিল। এ মাস সবরের [ধৈর্যের] মাস; সবরের সাওয়াব জান্নাত। এ মাস সহমর্মিতার। এ এমন এক মাস যাতে মুমিনের রিযক বৃদ্ধি করা হয়। যে ব্যক্তি এ মাসে কোন সায়িমকে ইফতার করাবে, এ ইফতার তার গুনাহ মাফের কারণ হবে, হবে জাহান্নামের অগ্নিমুক্তির উপায়। তার সাওয়াব হবে সায়িমের অনুরূপ। অথচ সায়িমের সাওয়াব একটুও কমানো হবে না।
আমরা বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের সকলে তো সায়িমের ইফতারীর আয়োজন করিতে সমর্থ নয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ সাওয়াব আল্লাহ তাআলা ঐ ইফতার পরিবেশনকারীকেও প্রদান করেন, যে একজন সায়িমকে এক চুমুক দুধ, একটি খেজুর অথবা এক চুমুক পানি দিয়ে ইফতার করায়। আর যে ব্যক্তি একজন সায়িমকে পেট ভরে খাইয়ে পরিতৃপ্ত করিল, আল্লাহ তাআলা তাকে আমার হাওযে কাওসার থেকে এভাবে পানি খাইয়ে পরিতৃপ্ত করিবেন, যার পর সে জান্নাতে [প্রবেশ করার পূর্বে] আর পিপাসার্ত হবে না। এমনকি সে জান্নাতে প্রবেশ করিবে। এটা এমন এক মাস যার প্রথম অংশে রহমত। মধ্য অংশে মাগফিরাত, শেষাংশে জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাত। যে ব্যক্তি এ মাসে তার অধিনস্তদের ভার-বোঝা সহজ করে দেবে, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করিবেন। তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দেবেন।{১}
{১} মুনকার : জইফ আত তারগীব ৫৮৯, ইবনি খুযায়মাহ্ ১৮৮৭, শুআবুল ঈমান ৩৩৩৬। কারণ এর সানাদে আলী ইবনি যায়দ ইবনি জাদ্আন একজন দুর্বল রাবী। মিশকাত শরীফ pdf -এই হাদিসটির তাহকীকঃ মুনকার
১৯৬৬. ইবনি আব্বাস হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রমাযান [রমজান] মাস শুরু হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক বন্দীকে মুক্তি দিতেন এবং প্রত্যেক সাহায্যপ্রার্থীকে দান করিতেন।{১}
{১} খুবই দুর্বল : সিলসিলাহ্ আয্ যঈফাহ্ ৯/৩০১৫, শুআবুল ঈমান ৩৩৫৭, জইফ আল জামি ৪৩৯৬। কারণ এর সানাদে আবু বাকর আল হুযালী একজন মাতরূক রাবী এবং আল হিম্মানী একজন দুর্বল রাবী। মিশকাত শরীফ pdf -এই হাদিসটির তাহকীকঃ খুবই দুর্বল
১৯৬৭. ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রমাযানকে স্বাগত জানাবার জন্য বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জান্নাতকে সাজানো হইতে থাকে। তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বলেন, বস্তুত যখন রমাযানের প্রথম দিন শুরু হয়, আরশের নীচে জান্নাতের গাছপালার পাতাগুলো হইতে হূরিল ঈন-এর মাথার উপর বাতাস বইতে শুরু করে। তারপর হূরিল ঈন বলিতে থাকে, হে আমাদের রব! তোমার বান্দাদেরকে আমাদের স্বামী বানিয়ে দাও। তাদের সাহচর্যে আমাদের আঁখি যুগল ঠাণ্ডা হোক আর তাদের চোখ আমাদের সাহচর্যে শীতল হোক। [উপরোক্ত তিনটি হাদিস ঈমাম বায়হাক্বী তাহাঁর শুআবুল ঈমান-এ বর্ণনা করিয়াছেন]{১}
{১} খুবই দুর্বল : আহমাদ ৭৮৫৭, জইফ আত তারগীব ৫৮৬, মুজামুল আওসাত ৬৮০০, শুআবুল ঈমান ৩৩৬০, সিলসিলাহ্ আয্ যঈফাহ্ ১৩২৫। কারণ এর সানাদে আল ওয়ালীদ ইবনি আল ওয়ালীদ একজন খুবই দুর্বল রাবী। যেমনটি ঈমাম যাহাবী তার মীযান-এ উল্লেখ করিয়াছেন। আবার কেউ কেউ তাকে মাতরূক বলেছেন। মিশকাত শরীফ pdf -এই হাদিসটির তাহকীকঃ খুবই দুর্বল
১৯৬৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেছেনঃ তাহাঁর উম্মাতকে রমাযান [রমজান] মাসের শেষ রাতে মাফ করে দেয়া হয়। নিবেদন করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! সেটা কি লায়লাতুল কদরের রাত? তিনি [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] বললেন, না। বরং আমালকারী যখন নিজের আমাল শেষ করে তখনই তার বিনিময় তাকে মিটিয়ে দেয়া হয়। [আহমদ]{১}
{১} খুবই দুর্বল : আহমাদ ৭৯১৭, মুসনাদ আল বায্যার ৮৫৭১, শুআবুল ঈমান ৩৩৩০, জইফ আত তারগীব ৫৮। কারণ এর সানাদে হিশাম ইবনি আবী হিশাম সর্বসম্মতিক্রমে একজন দুর্বল রাবী এবং মুহাম্মাদ ইবনি মুহাম্মাদ ইবনি আল আস্ওয়াদ একজন মাজহূল হাল যার থেকে কেবলমাত্র হিশাম এবং আবদুল্লাহ ইবনি আওন হাদিস বর্ণনা করিয়াছেন। মিশকাত শরীফ pdf -এই হাদিসটির তাহকীকঃ খুবই দুর্বল
Leave a Reply