দ্বি-মুখী লোকের মিথ্যার নিন্দা এবং আয়ত্তে রাখা
মিথ্যার নিন্দা এবং সত্যের সৌন্দর্যতা ও তার উপকারিতা >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন
২৬. অধ্যায়ঃ দ্বি-মুখী লোকের নিন্দা ও তার এ কাজে হারামকরণ প্রসঙ্গে
২৭. অধ্যায়ঃ মিথ্যা হারামকরণ ও তা মুবাহ হওয়ার বিবরণ
২৮. অধ্যায়ঃ চোগলখোরী হারামকরণ
২৯. অধ্যায়ঃ মিথ্যার নিন্দা এবং সত্যের সৌন্দর্যতা ও তার উপকারিতা
৩০. অধ্যায়ঃ রাগের মুহুর্তে যে নিজেকে বশ করে তার মর্যাদা এবং কিসের সাহায্যে রাগ দূরীভূত হয়
৩১. অধ্যায়: সৃষ্টিগত ভাবে মানুষ নিজেকে আয়ত্তে রাখতে ক্ষমতা রাখে না
২৬. অধ্যায়ঃ দ্বি-মুখী লোকের নিন্দা ও তার এ কাজে হারামকরণ প্রসঙ্গে
৬৫২৪. আবু হুরাইরাহ, [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ মানুষের মধ্যে দু রূপধারী লোক সবচেয়ে নিকৃষ্ট। যে এ দলের নিকট আসে একরূপ নিয়ে এবং অন্য দলের নিকট আসে অন্য আরেক রূপ নিয়ে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৯২, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৪৩]
৬৫২৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
নিশ্চয়ই তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কে বলিতে শুনেছেনঃ দু রুপধারী লোক সবচেয়ে নিকৃষ্ট, যে ব্যক্তি এ দলের নিকটে আসে একরূপ নিয়ে ও অন্যদলের কাছে আসে একরূপ নিয়ে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৯৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৪৪]
৬৫২৬. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে দু রূপধারী মানুষকে সবচেয়ে নিকৃষ্ট পাবে। এক দলের নিকট আসে একরূপ নিয়ে অন্য দলের কাছে আসে আর একরূপ নিয়ে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৯৪, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৪৫]
২৭. অধ্যায়ঃ মিথ্যা হারামকরণ ও তা মুবাহ হওয়ার বিবরণ
৬৫২৭. হিজরতকারিণীদের মধ্যে নবী [সাঃআঃ] এর হাতে প্রথম বাইআত গ্রহণকারিণীদের অন্যতমা সহাবীয়া উম্মু কুলসূম বিনতু উকবাহ ইবনি আবু মুআয়ত [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছেন যে, সে ব্যক্তি মিথ্যুক নয়, যে লোকের মধ্যে আপোষে সমাধা করে দেয়। সে কল্যাণের জন্যই মিথ্যা বলে এবং কল্যাণের জন্যেই চোগলখোরী করে।
ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, তিনটি স্থান ছাড়া আর কোন বিষয়ে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মিথ্যা বলার অনুমতি দিয়েছেন বলে আমি শুনিনি। যুদ্ধ কৌশলের ক্ষেত্রে, মানুষের মধ্যে আপোষ-মীমাংশা করার জন্য, সহধর্মিণীর সাথে স্বামীর কথা ও স্বামীর সাথে সহধর্মিণীর কথা বলার ক্ষেত্রে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৯৫, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৪৬]
৬৫২৮. মুহাম্মাদ ইবনি মুসলিম ইবনি উবাইদুল্লাহ ইবনি আবদুল্লাহ ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
এ সানাদে হুবহু বর্ণনা করিয়াছেন। এছাড়া সালিহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসে রয়েছে। রাবী বলেন, আর লোকেরা যা বলে তাতে শুধু এ তিনটি ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য কোন ক্ষেত্রে মিথ্যা বলার অনুমতি দানের কথা আমি শুনিনি, যা ইবনি শিহাব [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর কথা ইউনুস [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৯৬, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৪৭]
৬৫২৯. যুহরী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
এ সানাদে তাহাঁর কথা [আরবী] [ভালোর জন্যই চোগলখোরী করে] পর্যন্ত বর্ণিত আছে। পরবর্তি অংশ তিনি উল্লেখ করেননি।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৯৭, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৪৮]
২৮. অধ্যায়ঃ চোগলখোরী হারামকরণ
৬৫৩০. আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] বলেছেন, আমি কি তোমাদের হুশিয়ার করবনা, চোগলখোরী কী? তা হচ্ছে কুৎসা রটনা করা, যা মানুষের মধ্যে বৈরিতার সৃষ্টি করে। মুহাম্মাদ [সাঃআঃ] আরও বলেছেন, নিশ্চয়ই কোন ব্যক্তি সত্য কথা বলায় সত্যবাদী লিপিবদ্ধ হয়; আবার কেউ মিথ্যা কথা বলায় মিথ্যাবাদী লিপিবদ্ধ হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৯৮, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৪৯]
২৯. অধ্যায়ঃ মিথ্যার নিন্দা এবং সত্যের সৌন্দর্যতা ও তার উপকারিতা
৬৫৩১. আবদুল্লাহ ইবনি মাসঊদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সততা সৎকর্মের দিকে পথপ্রদর্শন করে আর সৎকর্ম জান্নাতের পথপ্রদর্শন করে। নিশ্চয়ই কোন মানুষ সত্য কথা বলায় সত্যবাদী হিসাবে [তার নাম] লিপিবদ্ধ হয়। আর অসত্য পাপের পথপ্রদর্শন করে এবং পাপ জাহান্নামের দিকে পথপ্রদর্শন করে। নিশ্চয়ই কোন ব্যক্তি নিথ্যায় রত থাকলে পরিশেষে মিথ্যাবাদী হিসেবেই [তার নাম] লিপিবদ্ধ করা হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৩৯৯, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৫০]
৬৫৩২. আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সত্যতা তো পুণ্যের কাজ; আর পুণ্যময় কাজ জান্নাতের পথ দেখিয়ে দেয়। কোন বান্দা সৎ বলার ইচ্ছা করলে অবশেষে আল্লাহর নিকট তার নাম সত্যবাদী বলে লিপিবদ্ধ হয়। আর মিথ্যা তো অপরাধ, এ অপরাধ জাহান্নামের পথপ্রদর্শন করে। আর কোন বান্দা মিথ্যা বলার চিন্তা করার কারণে অবশেষে সে মিথ্যাবাদী হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়।
ইবনি আবু শাইবাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তাহাঁর অপর বর্ণিত হাদীসটি আন্ আন্ সূত্রে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪০০, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৫১]
৬৫৩৩. আবদুল্লাহ [ইবনি মাসঊদ] [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সত্যকে ধারণ করা তোমাদের একান্ত কর্তব্য। কেননা সততা নেক কর্মের দিকে পথপ্রদর্শন করে আর নেককর্ম জান্নাতের পথপ্রদর্শন করে। কোন ব্যক্তি সর্বদা সত্য কথা বললে ও সত্য বলার চেষ্টায় রত থাকলে, অবশেষে আল্লাহর নিকট সে সত্যবাদী হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়। আর তোমরা মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকো! কেননা মিথ্যা পাপের দিকে পথপ্রদর্শন করে। আর পাপ নিশ্চিত জাহান্নামের দিকে পরিচালিত করে। কোন ব্যক্তি সর্বদা মিথ্যা কথা বললে এবং মিথ্যার উপর অবিচল থাকার চেষ্টা করলে, অবশেষে সে আল্লাহর নিকট মিথ্যাবাদীরূপে লিপিবদ্ধ হয়।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪০১, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৫২]
৬৫৩৪. মিনজাব ইবনিল হারিস আত্ তামীমী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি], ইসহাক্ ইবনি ইব্রাহীম আল হানযালী [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] উভয়ে আমাশ হইতে বর্ণীতঃ
এ সানাদে হুবহু হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন। তবে তিনি ঈসা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]-এর হাদীসে “সত্য বলার চেষ্টা করে এবং মিথ্যা বলার চেষ্টা করে এবং মিথ্যা বলার চেষ্টা করে” কথাটি উল্লেখ করেননি। আর ইবনি মুসহির [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বর্ণিত হাদীসে “অবশেষে আল্লাহ তা লিখবেন” কথাটি উল্লেখ আছে।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪০২, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৫৩]
৩০. অধ্যায়ঃ রাগের মুহুর্তে যে নিজেকে বশ করে তার মর্যাদা এবং কিসের সাহায্যে রাগ দূরীভূত হয়
৬৫৩৫. আবদুল্লাহ ইবনি মাসউদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তোমরা তোমাদের মাঝে কাউকে নিঃসন্তান বলে মনে করো? বর্ণনাকারী বলেন, আমরা বললাম, যার সন্তান জন্মায় না তাকেই নিঃসন্তান মনে করি। তিনি বলিলেন, সে ব্যক্তি মূলতঃ নিঃসন্তান নয়। বরং সে লোকই নিঃসন্তান, যে তার কোন সন্তানকে আগে পাঠায়নি [অর্থাৎ-যার জীবিতাবস্থায় তার সন্তান মৃত্যুবরণ করেনি]। তিনি বলিলেন, তোমরা তোমাদের মাঝে কাকে বীর বিক্রম বলে গণ্য করো? আমরা বললাম, যাকে মানুষেরা কুস্তিতে ঠকাতে পারে না। তিনি বলিলেন, মূলতঃ সে বীর বিক্রম নয়; বরং [প্রকৃত বীর সে-ই] যে রাগের মুহূর্তে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।১
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪০৩, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৫৪]
১[আরবী]-এর মৌলিক অর্থ আরব বিশ্বের কাছে “যার সন্তান নেই”। হাদীসের মর্মার্থ হচ্ছে তোমরা নিশ্চয়ই বিশ্বাস কর কারো মৃত্যুতে বিপদগ্রস্ত, শোকাহত, দুঃখিত ব্যক্তি নিঃসন্তান নয়। বরং জীবিতাবস্হায় যার কোন সন্তান মারা যায়নি, ফলে সাওয়াবের আশায় ধৈর্যের পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হয়নি, সেই প্রকৃতপক্ষে নিঃসন্তান। নিশ্চয়ই ধৈর্যের ও মুসীবাতের সাওয়াব লিখা হয়।
৬৫৩৬. আমাশ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
আমাশ [রাদি.] হইতে এ সূত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪০৪, ইসলামিক সেন্টার- ৬৪৫৫]
৬৫৩৭. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সে লোক প্রকৃত বীর বিক্রম নয়, যে কুস্তিতে জয়ী হয় বরং প্রকৃত বীর বিক্রম সে-ই; যে রাগের মুহূর্তে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করিতে পারে।
[ই.ফা.৬৪০৫, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৫৬][আরবী]
৬৫৩৮. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ]-কে বলিতে শুনেছি, সে লোক প্রকৃত বীর বিক্রম নয়, যে কুস্তিতে সফল হয়। লোকেরা জানতে চাইল, হে আল্লাহর রসূল! তাহলে প্রকৃত বীর কে? তিনি বলিলেন, প্রকৃত সাহসী বীর সে-ই, যে রাগের মুহূর্তে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে।
[ই.ফা.৬৪০৬, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৫৬ {ক}]
৬৫৩৯. আবু হুরাইরাহ [রাদি.]-এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে বর্ণীতঃ
আবু হুরায়রা্ [রাদি.]-এর সানাদে নবী [সাঃআঃ] হইতে হুবহু হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ই.ফা.৬৪০৭, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৫৭]
৬৫৪০. সুলাইমান ইবনি সুরাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ]–এর নিকট এসে দুব্যক্তি কথা কাটাকাটিতে প্রবৃত্ত হলো এবং তাদের একজনের দু চোখ [রাগে] লাল হয়ে গেল এবং তার রগরেশা খাড়া হয়ে গেল। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলিলেন, আমি এমন একটা কালিমাহ্ জানি, যা যে কেউ পাঠ করলে তার রাগ দূর হয়ে যায়। আর তা হচ্ছে
أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
[আমি বিতাড়িত শাইতানের থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই]। [এ কথা শুনে] সে ব্যক্তি বলিল, আপনি কি আমাকে পাগল মনে করিয়াছেন?
ইবনিল আলা [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] তার বর্ণনায় বলেন, তারপর তিনি বলিলেন, তুমি কি মনে করেছ? الرَّجُلَ শব্দটি তিনি উল্লেখ করেননি।
[ই.ফা.৬৪০৮, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৫৮]
৬৫৪১. সুলাইমান ইবনি সুরাদ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ]–এর সামনে দুব্যক্তি কথা কাটাকাটি করিতে উদ্যত হলো। তাদের একজন কঠিন রাগান্বিত হলো এবং তার মুখমন্ডল রাগে লাল হয়ে গেল। তখন নবী [সাঃআঃ] তার প্রতি তাকিয়ে বলিলেন, আমি এমন একটা কালিমাহ্ জানি, সে তা পাঠ করে তার থেকে এ রাগ চলে যাবে। [আর তা হলো]
أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
আঊযু বিল্লাহি মিনাশ্ শাইত্ব-নির রজীম-… “আমি বিতাড়িত শাইতানের থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই”। সে সময় যারা নবী [সাঃআঃ]-এর বাণী শুনেছেন, তাদের মধ্য হইতে একজন সে লোকটির নিকট গিয়ে বলিলেন, তুমি কি জান, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটু আগে কি বলেছেন? তিনি [সাঃআঃ] বলেছেন, অবশ্যই আমি এমন একটি কালিমাহ্ জানি, তা যদি সে পাঠ করত তাহলে তার হইতে তা [রাগ] চলে যেত। [আর তা হলো] এ-
أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
তারপর সে ব্যক্তি তাকে বলিল, তুমি কি আমাকে পাগল মনে করেছ?
[ই.ফা.৬৪০৯, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৫৯][আরবী]
৬৫৪২. আমাশ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
এ সানাদে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।
[ই.ফা.৬৪১০, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৬০]
৩১. অধ্যায়ঃ সৃষ্টিগত ভাবে মানুষ নিজেকে আয়ত্তে রাখতে ক্ষমতা রাখে না
৬৫৪৩. আনাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা জান্নাতে যখন আদাম [আঃ]-এর আকৃতি সৃষ্টি করেন তখন আল্লাহ তাআলা তাকে নিজের ইচ্ছামত ফেলে রাখলেন। আর ইব্লীস তার চতুর্দিকে প্রদক্ষিণ করতো এবং দেখিতে থাকতো যে, পদার্থটি কি? সে যখন দেখিতে পেল তা খালী পাত্র তখন সে বুঝল যে, তাকে এমন এক স্বভাব দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে, যে নিজকে আয়ত্তে রাখতে পারে না।
[ই.ফা.৬৪১১, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৬১]
৬৫৪৪. হাম্মাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ
হাম্মাদ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] এ সূত্রে হুবহু বর্ণনা করিয়াছেন।
[ই.ফা.৬৪১২, ইসলামিক সেন্টার-৬৪৬২]
Leave a Reply