মাসজিদে হারানো বস্তু খোঁজা ও রসুন, পিঁয়াজ নিষিদ্ধ

মাসজিদে হারানো বস্তু খোঁজা ও রসুন, পিঁয়াজ নিষিদ্ধ

মাসজিদে হারানো বস্তু খোঁজা ও রসুন, পিঁয়াজ নিষিদ্ধ >> সহীহ মুসলিম শরীফ এর মুল সুচিপত্র দেখুন >> নিম্নে মুসলিম শরীফ এর একটি অধ্যায়ের হাদিস পড়ুন

১৭. অধ্যায়ঃ রসুন, পিঁয়াজ, মুলা অথবা এ জাতীয় [দুর্গন্ধযুক্ত] দ্রব্য আহার করে [মাসজিদে প্রবেশ] নিষিদ্ধ
১৮. অধ্যায়ঃ মাসজিদে হারানো বস্তু খোঁজ করা নিষিদ্ধ এবং যে খোঁজ করে তাকে কি বলবে

১৭. অধ্যায়ঃ রসুন, পিঁয়াজ, মুলা অথবা এ জাতীয় [দুর্গন্ধযুক্ত] দ্রব্য আহার করে [মাসজিদে প্রবেশ] নিষিদ্ধ

১১৩৫. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] খায়বার যুদ্ধের সময় বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এসব গাছের কোন একটি খায় অর্থাৎ- রসুন বা অনুরূপ স্বাদ ও গন্ধের কোন কিছু খায় {১} সে যেন মাসজিদে না আসে।

যুহায়রতার বর্ণনাতে “কোন একটি যুদ্ধের কথা উল্লেখ” করিয়াছেন। তিনি খায়বার যুদ্ধের নাম উল্লেখ করেননি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১১২৮, ইসলামিক সেন্টার- ১১৩৭]

{১} বিড়ি, সিগারেট ও তামাক জাতীয় সব বস্তু হারাম; আর তাতে রয়েছে উৎকৃষ্ট দুর্গন্ধ- যা পরিত্যাগ করা প্রত্যেক মুসল্লীর অত্যাবশ্যক।

১১৩৬. আবদুল্লাহ ইবনি উমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কেউ এসব সব্জি অর্থাৎ- রসুন ইত্যাদি খেলে [মুখ থেকে] তার গন্ধ দূর না হওয়া পর্যন্ত সে যেন আমার মাসজিদের কাছে না আসে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১১২৯, ইসলামিক সেন্টার- ১১৩৮]

১১৩৭. আবদুল আযীয ইবনি সুহায়ব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসুন খাওয়া সম্পর্কে আনাস [ইবনি মালিক] [রাদি.] -কে কিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলিলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ সে বা যারা এসব সব্জি [দুর্গন্ধ জাতীয় গাছ] খায় সে বা তারা যেন আমাদের কাছে না আসে {১} এবং আমাদের সাথে নামাজ আদায় না করে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১১৩০, ইসলামিক সেন্টার- ১১৩৯]

{১} এ নিষেধাজ্ঞার হুকুম মসজিদ কিংবা মাসজিদের বাইরের যে কোন ইবাদাত সভা সম্মেলনেও প্রযোজ্য হইবে। [শারহে মুসলিম -২০৯ পৃষ্ঠা]

১১৩৮. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এসব গাছ অর্থাৎ- উদ্ভিদ খাবে সে যেন আমার মাসজিদের নিকটেও না আসে এবং রসুনের গন্ধ দ্বারা আমাদেরকে কষ্ট না দেয়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১১৩১, ইসলামিক সেন্টার- ১১৪০]

১১৩৯. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] পিঁয়াজ ও গোরসুন {১} খেতে নিষেধ করিয়াছেন। কিন্তু কোন এক সময় প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে তা খেলে তিনি বললেনঃ কেউ এসব দুর্গন্ধযুক্ত গাছ [উদ্ভিদ] খেলে সে যেন আমার মাসজিদের নিকটে না আসে। কেননা মানুষ যেসব জিনিসে কষ্ট পায় মালাকগণও [ফেরেশ্‌তামণ্ডলী] সেসব জিনিসে কষ্ট পায়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১১৩২, ইসলামিক সেন্টার- ১১৪১]

{১} দুর্গন্ধযুক্ত শিকড় সমৃদ্ধ একপ্রকার গাছ, যা রসুন সদৃশ, তন্মধ্যে কোনটি ঔষধী এক বছর থাকে, আবার কোনটি কয়েক বছর বেঁচে থাকে, নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এরূপ গাছ চাষ করা হয় এবং তা ভেজে পাকিয়ে খাওয়া হয়, প্রস্রাবের সচ্ছতার জন্য উপাদেয়।

১১৪০. জাবির ইবনি আবদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

আবুত্‌ ত্বহির-এর বর্ণনায় [আরবি] এবং হারমালাহ্‌-এর বর্ণনায় [আরবি] উল্লেখিত হয়েছে। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রসুন ও পিঁয়াজ খায় তার উচিত আমাদের থেকে দূরে থাকা অথবা আমাদের মসজিদ থেকে সরে থাকা কিংবা বাড়ীতে বসে থাকা। কোন এক সময় তিনি [সাঃআঃ] -এর কাছে শাক-সব্জি ভর্তি একটি ডেকচি আনা হলে তিনি তাতে খাবার গন্ধ দেখে তাতে কি আছে জানার জন্য জিজ্ঞেস করিলেন। তাতে কি ধরনের সব্জি আছে তাকে তা জানানো হলে তিনি তখন তার কোন তার সহাবীর কাছে তা নিয়ে যেতে বলিলেন। এ কথা জেনে সহাবীও তা খাওয়া পছন্দ করিলেন না। তিনি [সাঃআঃ] তাকে বললেনঃ তুমি খেতে পার। কারণ আমি যার [মালায়িকাহ্‌] সাথে কথা বলি তোমাকে তো তার সাথে কথা বলিতে হয় না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১১৩৩, ইসলামিক সেন্টার- ১১৪২]

১১৪১. জাবির ইবনি আবুদুল্লাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে এ রসুন জাতীয় উদ্ভিদ খাবে- কোন কোন সময় আবার তিনি বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পিঁয়াজ, রসুন বা মুলা খাবে সে যেন আমার মাসজিদের কাছেও না আসে। কেননা মানুষ যেসব জিনিস দ্বারা কষ্ট পায় মালাকগণও সেসব জিনিস দ্বারা কষ্ট পায়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১১৩৪, ইসলামিক সেন্টার- ১১৪৩]

১১৪২. ইবনি জুরায়জ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি এসব সব্জি জাতীয় গাছ অর্থাৎ -রসুন খাবে সে যেন আমার মাসজিদে- আমাদের কাছে না আসে। তবে তিনি [ইবনি জুরায়জ] বর্ণিত হাদিসে পিঁয়াজ ও গো-রসুনের কথা উল্লেখ করেননি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১১৩৫, ইসলামিক সেন্টার- ১১৪৪]

১১৪৩. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, খায়বার বিজিত হল। আমরা এখনো ফিরে আসিনি। ইতোমধ্যে আমরা, অর্থাৎ রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] এর সাহাবীগণ ঐ সব্জি অর্থাৎ- রসুনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লাম। কারণ লোকজন সবাই ছিল ক্ষুধার্ত। এরপর আমরা মাসজিদে গেলাম। রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] রসুনের গন্ধ পেয়ে বললেনঃ যে ব্যক্তি এ কদর্য গাছ তথা সব্জি খাবে সে যেন মাসজিদে আমাদের নিকটেও না আসে। এ কথা শুনে সবাই বলিতে শুরু করিল রসুন হারাম হয়ে গিয়েছে। রসুন হারাম হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নবী [সাঃআঃ] -এর কাছে এ খবর পৌঁছলে তিনি লোকজনকে সাক্ষ্য করে বললেনঃ হে লোক সকল! আমার জন্য আল্লাহ তাআলা যা হালাল করে দিয়েছেন তা হারাম করার ক্ষমতা আমার নেই। তবে রসুন এমন একটি সব্জি [গাছ] যার গন্ধ আমি অপছন্দ করি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১১৩৬, ইসলামিক সেন্টার- ১১৪৫]

১১৪৪. আবু সাঈদ আল খুদরী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেছেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] একটি পিঁয়াজের ক্ষেতে গেলেন। সাথে তাহাঁর সাহাবীগণও ছিলেন। কিছু সংখ্যক সহাবী ঐ ক্ষেতের পিঁয়াজ খেলেন এবং অবশিষ্ট সাহাবী খেলেন না। এরপর আমরা সবাই রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর কাছে গেলাম। কিন্তু যারা পিঁয়াজ খাননি তিনি তাদেরকে প্রথমে কাছে ডেকে নিলেন। আর অন্যদেরকে যারা পিঁয়াজ খেয়েছিল পিঁয়াজের গন্ধ দূর না হওয়া পর্যন্ত কাছে ডাকলেন না।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১১৩৭, ইসলামিক সেন্টার- ১১৪৬]

১১৪৫. মাদান ইবনি আবু ত্বলহাহ্ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] হইতে বর্ণীতঃ

[তিনি বলেছেনঃ ] কোন এক জুমুআর দিন উমর ইবনিল খাত্তাব খুতবাহ্ প্রদান করিলেন। সে বক্তৃতায় তিনি নবী [সাঃআঃ] ও আবু বকরের কথা উল্লেখ করে বললেনঃ আমি স্বপ্নে দেখলাম যেন একটি মোরগ আমাকে তিনটি ঠোকর দিল। আমি মনে করি এ স্বপ্নের অর্থ আমার মৃত্যু নিকটবর্তী হওয়া ছাড়া অন্য কিছু নয়। কিছু সংখ্যক লোক বলছে আমি যেন পরবর্তী খালীফাহ মনোনীত করে যাই [কিন্তু আমি যদি পরবর্তী খালীফাহ্ মনোনীত না করেও যাই তাহলেও কোন ক্ষতি নেই]। কেননা, [আমি বিশ্বাস করি] মহান আল্লাহ এ দ্বীনকে এবং তাহাঁর খিলাফাত ব্যবস্থাকে বরবাদ করবেন না। কিংবা যা দিয়ে তার নবী [সাঃআঃ] -কে পাঠিয়েছেন তাও ব্যর্থ করে দিবেন না। খুব শীঘ্রই যদি আমার মৃত্যু হয় তাহলে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর ইন্তিকালের সময় পর্যন্ত যাদের প্রতি সন্তুষ্ট ছিলেন তাদের এ ছয়জনের {১} মধ্য থেকে পরামর্শের ভিত্তিতে খিলাফাতের ব্যাপারে ফায়সালা হইবে। আমি জানি কিছু সংখ্যক লোক এ ব্যাপারে ইসলামের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে। আমি তাদের এ জন্য আমার নিজ হাতে শাস্তি দিয়েছি এরপরে আবারও যদি তারা অনুরূপ কাজ করে [এ ব্যাপারে ইসলামের বদনাম করে] তাহলে তারা আল্লাহর শত্রু, কাফির ও গোমরাহ। এছাড়া আরো একটি বিষয় আছে আমার পরে আমার দৃষ্টিতে কালালাহ বা উত্তরাধিকারীবিহীন লোকের পরিত্যক্ত সম্পদের বিষয় ছাড়া সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ আর কোন বিষয়ই রেখে যাচ্ছি না। [জেনে রেখো!] কালালাহ বা উত্তরাধিকারীবিহীন লোকের পরিত্যক্ত সম্পদ সম্পর্কে রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে যত বেশি জিজ্ঞেস করেছি অন্য কোন বিষয় সম্পর্কে এত জিজ্ঞেস করিনি আর তিনিও এ বিষয়ে আমাকে যত কঠোরভাবে বলেছেন আর কোন বিষয়েই তত কঠোরভাবে বলেননি। এমনকি তিনি আমার বুকের উপর তাহাঁর আঙ্গুল ঠেসে ধরে বলেছেনঃ হে উমর ! সূরাহ্ আন্ নিসার শেষের যে আয়াতটি গ্রীষ্মকালে অবতীর্ণ হয়েছিল [এ ব্যাপারে] সে আয়াতটি কি তোমার জন্য যথেষ্ট নয়? আমি যদি আরও কিছুদিন বেঁচে থাকতাম তাহলে এ বিষয়ে [কালালাহ] এমন একটি ফায়সালা করতাম যা প্রত্যেকের মনের মত হত। চাই সে কুরআন মাজীদ পড়ে থাকুক বা না পড়ে থাকুক। তিনি {উমর [রাদি.] } বললেনঃ হে আল্লাহ ! আমি তোমাকে বিভিন্ন জনপদের উমারাদের [শাসনকর্তা] ব্যাপারে সাক্ষী রেখে বলছি, আমি তাদের উদ্দেশ্য ঐসব এলাকার লোকদের শাসনকর্তা করে পাঠিয়েছি যে তারা তাদের প্রতি ন্যায় বিচার করিবে, লোকদের দ্বীন সম্পর্কে শিক্ষাদান করিবে, নবীর সুন্নত সম্পর্কে অবহিত করিবে এবং “ফাই” বা যুদ্ধের ময়দানে বিনাযুদ্ধে লব্ধ সম্পদ [সঠিকভাবে] বণ্টন করে দিবে। আর তাদের কোন ব্যাপার কঠিন বা সমস্যাপূর্ণ হলে তা আমার কাছে জেনে নিবে। হে লোকজন! আরেকটি কথা হল, তোমরা দুটি [সব্জি জাতীয়] গাছ খেয়ে থাকো; অর্থাৎ পিঁয়াজ ও রসুন। আমি এ দুটি জিনিসকে অরুচিকর বলে মনে করি। আমি দেখেছি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] মাসজিদের কোন লোকের মুখ থেকে ঐ দুটি জিনিসের গন্ধ পেলে তাকে বের করে দিতে আদেশ করিতেন। আর তাদেরকে বাক্বীর দিকে বের করে দেয়া হত। তবে কেউ এ দুটি জিনিস [পিঁয়াজ ও রসুন] খেতে চাইলে যেন রান্না করে গন্ধ দূর করে নেয়।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১১৩৮, ইসলামিক সেন্টার- ১১৪৭]

{১} রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -এর প্রিয়ভাজনের আশারা মুবাশশারা অন্তর্ভুক্ত সে ছয় ব্যাক্তি হলেন: উসমান, আলী, ত্বলহাহ, যুবায়র, সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস এবং আবদুর রহমান বিন্ আওফ [রাদি.] | [শারহে মুসলিম-২১০ পৃষ্ঠা]

১১৪৬. ক্বাতাদাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

[পূর্ব-বর্ণিত হাদীসের] অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১১৩৯, ইসলামিক সেন্টার- ১১৪৮]

১৮. অধ্যায়ঃ মাসজিদে হারানো বস্তু খোঁজ করা নিষিদ্ধ এবং যে খোঁজ করে তাকে কি বলবে

১১৪৭. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ কেউ কোন লোককে মাসজিদের মধ্যে হারানো জিনিস খোঁজ করিতে দেখলে [অর্থাৎ- উচ্চৈঃস্বরে] যেন বলেঃ আল্লাহ করুন! তোমার জিনিস যেন তুমি না পাও। কারণ মসজিদ তো এ উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়নি।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১১৪১, ইসলামিক সেন্টার- ১১৪৯]

১১৪৮. আবু হুরায়রাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] -কে বলিতে শুনেছি। পূর্ব বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১১৪১, ইসলামিক সেন্টার- ১১৫০]

১১৪৯. বুরায়দাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি [বুরায়দাহ্] বলেন, জনৈক ব্যক্তি মাসজিদে হারানো জিনিস অনুসন্ধান করিল। সে বলিল, লাল বর্ণের উটের প্রতি কে ঘোষণা জানাল? অতঃপর নবী [সাঃআঃ] বললেনঃ তুমি যেন তোমার হারানো জিনিস না পাও। কেননা মসজিদ তো মাসজিদের কাজের জন্য বানানো হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১১৪২, ইসলামিক সেন্টার- ১১৫১]

১১৫০. বুরায়দাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি [বুরায়দাহ্] বলেন, নবী [সাঃআঃ] -এর নামাজ আদায় শেষ হলে জনৈক ব্যক্তি দাড়িয়ে জিজ্ঞেস করিল, লোহিত বর্ণের উটের কথা কে বলিল? এ কথা শুনে নবী [সাঃআঃ] বলিলেন, তুমি যেন তা [তোমার হারানো বস্তুটি] না পাও। কারণ মসজিদ মাসজিদের কাজের জন্য নির্মিত হয়েছে।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১১৪৩, ইসলামিক সেন্টার- ১১৫২]

১১৫১. বুরায়দাহ্ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি [বুরায়দাহ্] বলেন, একদিন নবী [সাঃআঃ] ফাজরের নামাজ আদায়ের পর এক গ্রাম্য আরব এসে মাসজিদের দরজায় তার মাথা প্রবেশ করিল। এতটুকু বর্ণনা করার পর তিনি [মুহাম্মাদ ইবনি শায়বাহ] আবু মিসান ও সাওরী বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বিষয়বস্তু সম্বলিত হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

ঈমাম মুসলিম [রহমাতুল্লাহি আলাইহি] বলেন, শায়বাহ ইবনি নাআমাহ আবু নাআমাহ [রহমাতুল্লাহি আলাইহি]। তাহাঁর থেকে মিসআর, হুশায়ম, জারীর সহ অন্যান্য কুফীগণ হাদীস বর্ণনা করিয়াছেন।

[ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ১১৪৪, ইসলামিক সেন্টার- ১১৫৩]


Posted

in

by

Comments

One response to “মাসজিদে হারানো বস্তু খোঁজা ও রসুন, পিঁয়াজ নিষিদ্ধ”

Leave a Reply