পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন

পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন

পবিত্রতা অর্জন ও সকাল সকাল মসজিদে গমন >> মিশকাতুল মাসাবীহ এর মুল সুচিপত্র দেখুন

পর্বঃ ৪, অধ্যায়ঃ ৪

  • অধ্যায়ঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
  • অধ্যায়ঃ ৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

অধ্যায়ঃ ৪৪. প্রথম অনুচ্ছেদ

১৩৮১. সালমান [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমুআর দিন গোসল করিবে, যতটুকু সম্ভব পবিত্রতা অর্জন করিবে, তারপর নিজের তেল হইতে তার শরীরে কিছু তেল মাখাবে, অথবা ঘরে সুগন্ধি থাকলে কিছু সুগন্ধি লাগাবে। তারপর মাসজিদের দিকে রওনা হবে। দুব্যক্তির মধ্যে ফাঁক করিবে না। যতটুকু সম্ভব সলাত [নাফ্‌ল] আদায় করিবে। চুপচাপ বসে ইমামের খুতবাহ্‌ শুনবে। নিশ্চয় তার জুমুআহ্‌ ও আগের জুমুআর মাঝখানের সব [সগীরাহ্‌] গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।{১}

{১} সহীহ : বোখারী ৮৮৩, শারহুস সুন্নাত ১০৫৮, সহীহ আত তারগীব ৬৮৯, সহীহ আল জামি ৭৭৩৬। মসজিদে গমন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৩৮২. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি গোসল করে জুমুআর সলাত আদায় করিতে এসেছে ও যতটুকু সম্ভব হয়েছে সলাত আদায় করেছে, ইমামের খুত্‌বাহ্‌ শেষ হওয়া পর্যন্ত চুপচাপ রয়েছে। এরপর ইমামের সাথে সলাত [ফার্‌য] আদায় করেছে। তাহলে তার এ জুমুআহ্‌ থেকে বিগত জুমুআর মাঝখানে, বরং এর চেয়েও তিন দিন আগের গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হবে। {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৮৫৭। মসজিদে গমন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৩৮৩. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি উযু করিবে এবং উত্তমভাবে উযু করিবে, তারপর জুমুআর সলাতে যাবে। চুপচাপ খুত্‌বাহ্‌ শুনবে। তাহলে তার এ জুমুআহ্‌ হইতে ওই জুমুআহ্‌ পর্যন্ত সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে, অধিকন্ত আরো তিন দিনের। আর যে ব্যক্তি খুত্‌বার সময় ধূলা বালি নাড়ল সে অর্থহীন কাজ করিল।[মুসলিম] {১}

{১} সহীহ : মুসলিম ৮৫৭, আবু দাউদ ১০৫০, আত তিরমিজি ৪৯৮, ইবনি মাজাহ ১০৯০, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৫০২৭, আহমাদ ৯৪৮৪, ইবনি খুযায়মাহ্ ১৭৫৬, ১৮১৮, ইবনি হিব্বান ২৭৭৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫৮৪৯, শুআবুল ঈমান ২৭২৬, শারহুস্ সুন্নাহ্ ৩৩৬, সহীহ আত তারগীব ৬৮৩, সহীহ আল জামি ৬১৭৯। মসজিদে গমন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৩৮৪. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন, জুমুআর দিন মালায়িকাহ্‌ [ফেরেশ্‌তারা] মাসজিদের দরজার এসে দাঁড়িয়ে যান। যে ব্যক্তি মাসজিদে প্রথমে আসে তার নাম লিখেন। এরপর তার পরের ব্যক্তির নাম লিখেন। [অতঃপর তিনি বলেন,] যে ব্যক্তি মাসজিদে প্রথমে যান তার দৃষ্টান্ত হলো, যে মাক্কায় কুরবানী দেবার জন্য একটি উট পাঠায়। তারপর যে ব্যক্তি জুমুআর সলাতে আসে তার দৃষ্টান্ত হলো, যে একটি গরু পাঠায়। তারপর যে লোক জুমুআর জন্য মাসজিদে আসে তার উপমা হলো, যে ব্যক্তি কুরবানীর জন্য মাক্কায় একটি দুম্বা পাঠায়। তারপর যে ব্যক্তি জুমুআর সলাত আদায় করার জন্য মাসজিদে আসে তার উদাহরন হলো, যে কুরবানী করর জন্য মাক্কাহ্‌ একটি মুরগী পাঠায়। তারপর যে ব্যক্তি জুমুআর জন্য মাসজিদে আসে তার উপমা হলো, যে একটি ডিম পাঠায়। আর ঈমাম খুত্‌বাহ্‌ দেবার জন্য বের হলে তারা তাদের দপ্তর গুটিয়ে খুত্‌বাহ্‌ শোনেন। [বোখারী মুসলিম] {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৯২৯, মুসলিম ৮৫০, আহমাদ ১০৫৬৮, শারহু মাআনির আসার ৬২৪১, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫৮৬২। মসজিদে গমন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৩৮৫. আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ ঈমাম খুতবাহ্‌ পাঠ করার সময় যদি তুমি তোমার কাছে বসা লোকটিকে বলো যে,চুপ থাকো তাহলে তোমার এ কথাটিও অর্থহীন। ] {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৯৩৪, মুসলিম ৮৫১, আবু দাউদ ১১১২, নাসায়ী ১৪০২, ইবনি মাজাহ ১১১০, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক্ব ৫৪১৬, ইবনি হিব্বান ২৭৯৩, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১০৮০, ইরওয়া ৬১৯, সহীহ আত তারগীব ৭১৬। মসজিদে গমন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৩৮৬. জাবির [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কেউ জুমুআর দিনে মাসজিদে গমন করে কোন মুসলিম ভাইকে যেন তার জায়গা হইতে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে নিজে না বসে। বরং সে বলিতে পারে ভাই! একটু জায়গা করে দিন।{১}

{১} সহীহ : মুসলিম ২১৭৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫৮৯৮, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ১৩০২। মসজিদে গমন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

অধ্যায়ঃ ৪৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

১৩৮৭. আবু সাঈদ ও আবু হুরাইরাহ [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তাঁরা বলেন, নবী [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমুআর দিন গোসল করিবে। উত্তম পোশাক পরবে। তার কাছে থাকলে সুগন্ধি লাগাবে। তারপর মাসজিদে গমন করিবে। কিন্তু মানুষের কাঁধ ডিঙ্গিয়ে সামনে আসার চেষ্টা করিবে না। এরপর যথাসাধ্য সলাত আদায় করিবে। ঈমাম খুতবার জন্য হুজরা হইতে বের হবার পর থেকে সলাত শেষ হওয়া পর্যন্ত চুপচাপ থাকিবে। তাহলে এ জুমুআহ্ হইতে পূর্বের জুমুআহ্ পর্যন্ত যত গুনাহ হয়েছে তা তার কাফফারাহ্ হয়ে যাবে। {১},

{১} হাসান : আবু দাউদ ৩৪৩, ইবনি মাজাহ ১০৯৭, আহমাদ ১১৭৬৮, ইবনি খুযায়মাহ্ ১৭৬২, শারহু মাআনির আসার ২১৬৪, ইবনি হিব্বান ২৭৭৮, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১০৬০, সহীহ আল জামি ৬০৬৭। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস

১৩৮৮. আওস ইবনি আওস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জুমুআর দিনে পোশাক-পরিচ্ছদ ধুইবে ও নিজে গোসল করিবে। এরপর সকাল সকাল প্রস্তুত হবে। সওয়ার না হয়ে পায়ে হেঁটে আগে মাসজিদে যাবে। ইমামের নিকট গিয়ে বসবে। চুপচাপ ইমামের খুতবাহ্ শুনবে। বেহুদা কাজ করিবে না। তার প্রতি কদমে এক বছরের আমালের সওয়াব হবে। অর্থাৎ এক বছরের দিনের সিয়াম ও রাতের সলাতের আমালের পরিমাণ সওয়াব হবে। {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ৩৪৫, ইবনি মাজাহ ১০৮৭, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৪৯৯০, ইবনুর হিব্বান ২৭৮১, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫৮৭৮, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১০৬৫, সহীহ আত তারগীব ৬৯০, সহীহ আল জামি ৬৪০৫, নাসায়ী ১৩৮১, ১৩৮৪, আহমাদ ১৬১৭৩, আত তিরমিজি ৪৯৬। মসজিদে গমন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৩৮৯. আবদুল্লাহ ইবনি সালাম [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমাদের কারো সামর্থ্য থাকলে, সে যেন তার কাজ-কর্মের পোশাক ছাড়া জুমুআর দিনের জন্য এক জোড়া পোশাক রাখে। {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ১০৭৮, ইবনি মাজাহ ১০৯৬, ইবনি খুযায়মাহ্ ১৭৬৫, সুনানুল বায়হাক্বী আল কুবরা ৫৯৫২, সহীহুল জামি ৫৬৩৫। মসজিদে গমন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৩৯০. ঈমাম মালিক ইয়াহ্ইয়া ইবনি সাঈদ আল আনসারী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

ঈমাম মালিক ইয়ায়্ইয়া ইবনি সাঈদ আল আনসারী [রাদি.] হইতে। {১}

{১} জইফ : মুয়াত্ত্বা মালিক ৩৬৬। কারণ হাদিসটি মুযাল। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

১৩৯১. সামুরাহ্ ইবনি জুনদুব [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ তোমরা জুমুআর দিন খুতবার সময় উপস্থিত থাকিবে এবং ইমামের কাছাকাছি বসবে। কারণ কোন ব্যক্তি পেছনে থাকতে থাকতে [অর্থাৎ প্রথম সারিতে না গিয়ে পেছনের সারিতে থাকে] অবশেষে জান্নাতে প্রবেশেও পেছনে পড়ে যাবে। {১}

{১} সহীহ : আবু দাউদ ১১০৮, আহমাদ ২০১১৯, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১০৬৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫৯২৯, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ৩৬৫, সহীহুল জামি ২০০। মসজিদে গমন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৩৯২. সাহল ইবনি মুআয ইবনি আনাস আল জুহানী [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি তাহাঁর পিতা হইতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেনঃ জুমুআর দিনের জামাআতে যে ব্যক্তি মানুষের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনে যাবার চেষ্টা করিবে, ক্বিয়ামতে দিন তাকে জাহান্নামের পুল বানানো হবে। {১}

{১} হাসান লিগায়রিহী : আত তিরমিজি ৫১৩, ইবনি মাজাহ ১১১৬, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১০৮৬, সিলসিলাহ্ আস্ সহীহাহ্ ৩১২৩, জইফ আত তারগীব ৪৩৭, জইফ আল জামি ৫৫১৬। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান লিগাইরিহি

১৩৯৩. মুআয ইবনি আনাস আল জুহানী [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] জুমুআর দিন ইমামের খুতবার সময় হাঁটু উচিয়ে দুহাত দিয়ে তা জড়িয়ে ধরে বসতে নিষেধ করিয়াছেন। [{১}

{১} হাসান : আবু দাউদ ১১১০, আত তিরমিজি ৫১৪, আহমাদ ১৫৬৩০, ইবনি খুযায়মাহ্ ১৮১৫, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১০৬৯, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫৯১২, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১০৮২, সহীহ আল জামি ৬৮৭৬। তবে ইবনি খুযাইমার সানাদটি দুর্বল। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস

১৩৯৪. আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, নবী [সাঃআঃ] বলেনঃ জুমুআর সলাতের সময় কারো যদি তন্দ্রা পেয়ে বসে তাহলে সে যেন স্থান পরিবর্তন করে বসে। {১}

{১} সহীহ : আত তিরমিজি ৫২৬, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৫২৫৩, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১০৭৫, শারহুস্ সুন্নাহ্ ১০৮৭, সহীহ আল জামি ৮১২। মসজিদে গমন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

অধ্যায়ঃ ৪৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ

১৩৯৫. নাফি [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনি উমার [রাদি.]-কে বলিতে শুনিয়াছি, নবী [সাঃআঃ] [সলাতের সময়] কাউকে অপরজনকে তার স্থান হইতে উঠিয়ে দিয়ে নিজে সেখানে বসতে নিষেধ করিয়াছেন। নাফিকে জিজ্ঞেস করা হলো, এটা কি শুধু জুমুআর সলাতের জন্য। উত্তরে তিনি বললেন, জুমুআর সলাত ও অন্যান্য সলাতেও। {১}

{১} সহীহ : বোখারী ৯১১, মুসলিম ২১৭৭। মসজিদে গমন -এই হাদিসটির তাহকীকঃ সহীহ হাদিস

১৩৯৬. আবদুল্লাহ ইবনি আমর [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেনঃ তিন প্রকারের লোক জুমুআর সলাতে উপস্থিত হয়। এক প্রকার হলো, যারা বেহুদা কথাবার্তায় লিপ্ত হয়ে হাজির হয়। জুমুআর দ্বারা তাদের এটাই হয় লাভ। দ্বিতীয় প্রকারের লোক হলো, আল্লাহর কাছে কিছু চাইতে চাইতে হাজির হয়। এরা এমন লোক, যারা আল্লাহর কাছে নিজেদের উদ্দেশ্য সাধন করিতে চায়। আল্লাহ চাইলে তাদের তা দান করিতে পারেন। আর ইচ্ছা না করলে নাও দিতে পারেন। তৃতীয় প্রকারের লোক হলো, শুধু জুমুআর সলাতের উদ্দেশ্যে নিরবতার সাথে মাসজিদে উপস্থিত হয়। সামনে যাবার জন্য কারো ঘাড় টপকায় না। কাউকে কোন কষ্ট দেয় না। এ ধরনের লোকদের এ জুমুআহ্ থেকে পরবর্তী জুমুআহ্ পর্যন্ত সময়ে [সগীরাহ্] গুনাহের কাফফারাহ্ হয়ে যায়। তাছাড়া আর অতিরিক্ত তিন দিনের কাফফারাহ্ হবে এজন্য যে, আল্লাহ তাআলা বলেন,

مَنْ جَاۤءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهٗ عَشْرُ أَمْثَالِهَا [الأنعام 6 : 160]

“যে ব্যক্তি কোন উত্তম কাজ করিবে তার জন্য এর দশ গুণ প্রতিদান রয়েছে”-[সুরাহ্ আল আন্আম ৬:১৬০]। {১}

{১} হাসান : আবু দাউদ ১১১৩, সুনানুল বায়হাক্বী আল কুবরা ৫৮৩১, শুআবুল ঈমান ২৭৪২, সহীহ আত তারগীব ৭২৩, সহীহ আল জামি ৮০৪৫। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস

১৩৯৭. আবদুল্লাহ ইবনি আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেন: যে ব্যক্তি জুমুআর দিন খুতবার সময় কথা বলে, সে ভারবাহী গাধার মতো [বোঝা বহন করে, ফল ভোগ করিতে পারে না]। আর যে ব্যক্তি অন্যকে চুপ করিতে বলে তারও জুমুআহ্‌ নেই। [আহ্‌মাদ] {১}

{১} জইফ : আহমাদ ২০৩৩, জইফ আত তারগীব ৪৪০। কারণ এর সানাদে রাবী মুজালিদ ইবনি সাঈদ আল হামদানী-কে ইয়াহ্ইয়া আল ক্বত্ত্বান, আবদুর রহমান বিন মাহদী, আহমাদ, ইবনি মাঈন এবং নাসায়ী [রাহিমাহুল্লাহ]-সহ আরো অনেকে দুর্বল বলেছেন। আর হাফিয ইবনি হাজার [রাহিমাহুল্লাহ] বলেছেন, সে শক্তিশালী নয়, জীবনের শেষ সময়ে তার স্মৃতিশক্তিতে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস

১৩৯৮. উবায়দ ইবনি সাব্বাক্ব [রাহিমাহুল্লাহ] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] কোন এক জুমুআর দিন বলেছেন: হে মুসলিমগণ! এ দিন, যে দিনকে আল্লাহ তাআলা ঈদ হিসেবে গণ্য করিয়াছেন। অতএব তোমরা এ দিন গোসল করিবে। যার কাছে সুগন্ধি আছে সে তা ব্যবহার করলেও কোন ক্ষতি নেই। তোমরা অবশ্য অবশ্যই মিসওয়াক করিবে। {১}

{১} হাসান : ইবনি মাজাহ ১০৯৮, মুয়াত্ত্বা মালিক ২১৩, মুসান্নাফ আবদুর রায্যাক্ব ৫৩০১, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৫০১৬, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫৯৫৯। এই হাদিসটির তাহকীকঃ হাসান হাদিস

১৩৯৯. আব্বাস [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

এবং হাদিসটি আব্বাস [রাদি.] হইতে মুত্তাসিলরূপে বর্ণিত হয়েছে।

এই হাদিসটির তাহকীকঃ নির্ণীত নয়

১৪০০. বারা [রাদি.] হইতে বর্ণীতঃ

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ [সাঃআঃ] বলেছেন: জুমুআর দিন মুসলিমরা যেন অবশ্যই গোসল করে। তার পরিবারে সুগন্ধি থাকলে যেন তা ব্যবহার করে। যদি সুগন্ধি না থাকে তাহলে গোসলের পানিই তার জন্য সুগন্ধি। [আহ্‌মাদ, তিরমিজি; তিনি {তিরমিজি [রাহিমাহুল্লাহ]] বলেন, হাদিসটি হাসান।] {১}

{১} জইফ : আত তিরমিজি ৫২৮, ইবনি আবী শায়বাহ্ ৪৯৮৯, শারহুস্ সুন্নাহ্ ৩৩৪, জইফ আল জামি ২৭০৭। এর সানাদে ইসমাঈল ইবনি ইব্রাহীম আত তায়মী একজন দুর্বল রাবী। এই হাদিসটির তাহকীকঃ দুর্বল হাদিস


Posted

in

by

Comments

Leave a Reply